Dua Jikir Jhar-Fuk
Page 3
প্রিন্ট অথবা পিডিএফ সেভ করার জন্য নিচের লিংক বাটনে ক্লিক করুন। প্রিন্টিং পপআপ ডায়লগ বক্স এর ডেষ্টিনেশনে-এর ড্রপডাউন লিষ্ট থেকে প্রিন্ট করার জন্য “প্রিন্টার” অথবা সেভ করার জন্য “সেভ এয পিডিএফ” নির্বচন করুন
বাড়ি থেকে সফরে বের হওয়ার সময় পরিজনের উদ্দেশ্যে এই দু‘আ বলা বিধেয়।
أَسْتَوْدِعُكُمُ اللهَ الَّذِي لَا تَضِيعُ وَدَائِعُهُ.
উচ্চারণঃ আস্তাউদি‘উকুমুল্লা-হাল্লাযী লা তায্বী‘উ অদা-ই‘উহ। অর্থঃ আমি তোমাদেরকে সেই আল্লাহর নিকট আমানত রাখছি, যাঁর আমানত নষ্ট হয় না। [মুসলিম, আহমাদ ২/৪০৩, ইবনে মাজাহ ২/১৩৩]
কেউ সফরে বের হলে পরিজনের উচিত বিদায়কালে তার জন্য নিম্নের দু‘আ করা।
أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ.
উচ্চারণঃ আস্তাউদি‘উল্লা-হা দীনাক অআমা-নাতাকা অখাওয়াতীমা ‘আমালিক।
অর্থঃ আমি তোমার দ্বীন, আমানত এবং আমলের শেষ পরিণতিকে আল্লাহর নিকট গচ্ছিত রাখছি। [মুসলিম, আহমাদ ২/৭, তিরমিযী ২/১৫৫]
زَوَّدَكَ اللهُ التَّقْوٰى، وَغَفَرَ ذَنْبَكَ، وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُ مَا كُنْتَ.
উচ্চারণঃ যাউওয়াদাকাল্লা-হুত তাক্বওয়া অ গাফারা যামবাকা অ য়্যাসসারা লাকাল খাইরা হাইসু মা কুন্তা।
অর্থঃ আল্লাহ তোমাকে তাকওয়ার পাথেয় দান করুন, তোমার গোনাহ মাফ করুন এবং যেখানেই থাক, তোমার জন্য কল্যাণকে সহজ করুন। [তিরমিযী ৩/১৫৫]
اَللّٰهُمَّ اطْوِ لَهُ الْبُعْدَ وَهَوِّنْ عَلَيْهِ السَّفَرَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাত্ববি লাহুল বু‘দা অ হাউবিন ‘আলাইহিস সাফার।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি ওর জন্য (সফরের) দূরত্বকে সঙ্কুচিত করে দাও এবং সফরকে সহজ করে দাও। [তিরমিযী]
পথ চলাকালে উঁচু জায়গায় উঠতে ‘আল্লাহু আকবার’ এবং নিচু জায়গায় নামতে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা কর্তব্য। [বুখারী ৬/১৩৫]
اَللّٰهُمَّ رَبَّ السَّمٰوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ وَرَبَّ الْأَرَضِينَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضْلَلْنَ وَرَبَّ الرِّيَاحِ وَمَا ذَرَيْنَ، أَسْأَلُكَ خَيْرَ هٰذِهِ الْقَرْيَةِ وَخَيْرَ أَهْلِهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ أَهْلِهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا .
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রাব্বাস সমা-ওয়া-তিস সাবই অমা আযলালনা, অরাব্বাল আরায্বীনাস সাবই অমা আক্বলালনা, অরাব্বাশ শায়া-ত্বীনি অমা আয্বলালনা, অরাব্বার রিয়া-হি অমা যারাইনা, আসআলুকা খায়রা হা-যিহিল ক্বারয়্যাতি অখাইরা আহলিহা অখাইরা মা ফীহা। অ আ‘উযু বিকা মিন শার্রিহা অশার্রি আহলিহা অশার্রি মা ফীহা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! হে সপ্তাকাশের ও যা কিছুকে তা ছেয়ে আছে তার প্রতিপালক! হে সপ্ত পৃথিবীর ও যা কিছু তা বহন করে তার প্রতিপালক! হে শয়তানদলের ও তারা যাদেরকে ভ্রষ্ট করে তাদের প্রতিপালক! হে বায়ুর ও যা কিছু তা উড়িয়ে থাকে তার প্রতিপালক! আমি তোমার নিকট এই গ্রাম ও গ্রামবাসীর এবং এর মধ্যে যা কিছু কল্যাণ আছে তা চাচ্ছি আর এই গ্রাম ও গ্রামবাসীর এবং এর মধ্যে যা কিছু অকল্যাণ আছে তা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। [হাকেম ২/১০০, ইবনুস সুন্নী ৫২৪]
لَا إِلٰهَ إلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ، وَهُوَ حَيٌّ لَّا يَمُوتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ علٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ،
উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু য়্যুহয়ী অ য়্যুমীতু, অহুয়া হাইয়্যুল লা য়্যামুতু, বিয়্যাদিহিল খাইরু অহুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।
অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই। সকল রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনি জীবন ও মৃত্যু দান করেন। তিনি চরঞ্জীব, তার মৃত্যু নেই। তাঁরই হাতে যাবতীয় কল্যাণ এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
বাজারে প্রবেশ করে এই দু‘আটি যে পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য ১০ লক্ষ পুন্য লিপিবদ্ধ করবেন, তার ১০ লক্ষ পাপ মোচন করে দেবেন, তাকে ১০ লক্ষ মর্যদায় উন্নীত করবেন এবং জান্নাতে তার জন্য একটি গৃহ নির্মণ করবেন। [তিরমিযী ২/১৫২, হাকেম ১/৫৩৮]
বাজার হল গাফলতি ও ঔদাস্যের জায়গা। তাই সেখানে এই দু‘আ পাঠ করলে এত এত সওয়াব।
ঘোড়া, উঁট বা গাড়ি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে শয়তানকে গালিমন্দ করতে নেই। কারণ এতে সে তৃপ্তি পায়। তাই এই সময় ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ করতে হয়। তাকে শয়তান ছোট হয়ে যায়। [আবু দাঊদ ৪/২৯৬]
سَمِعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ اللهِ وَحُسْنِ بَلَائِهِ عَلَيْنَا، رَبَّنَا صَاحِبْنَا وَأَفْضِلْ عَلَيْنَا عَائِذًا بِاللهِ مِنَ النَّارِ.
উচ্চারণঃ সামি‘আ সা-মি‘উন বিহামদিল্লা-হি অহুসনি বালা-ইহী ‘আলাইনা, রাব্বানা স্বা-হিবনা অ আফয্বিল ‘আলাইনা, ‘আ-ইযাম বিল্লা-হি মিনান্না-র।
অর্থঃ শ্রবণকারী শ্রবণ করেছেন আল্লাহর প্রশংসা ও আমাদের উপর তাঁর উত্তম পরীক্ষার (বিষয়)। হে আমাদের প্রতিপালাক! তুমি আমাদের সঙ্গে থাক এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ কর। আমি আল্লাহর নিকট জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থী। [মুসলিম ৮/২০৮৬]
এ স্থলে সকাল ও সন্ধ্যার ৮ নং যিকর পঠনীয়। ঐ দু‘আটি পড়লে ঐ স্থানের কোন কিছু আর অনিষ্ট করতে পারে না। [মুসলিম ৪/২০৮০]
সফরে বের হওয়ার সময় দু‘আটির সাথে নিম্নের দু‘আটিও যোগ করবে।
آئِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ.
উচ্চারণঃ ——আ-ইবূনা তা-ইবূনা ‘আ-বিদূনা লিরাব্বিনা হা-মিদূন।
অর্থঃ —প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারী, ইবাদতকারী, আমাদের প্রতিপালকের প্রশংসাকারী। [মুসলিম ২/৯৯৮]
তসবীহ ও তাহলীল পরিচ্ছদের ১নং দু‘আ পাঠ করে সফর থেকে ফিরে আসার উপরোক্ত (আ-ইবূনা–) দু‘আটি পড়বে। অতঃপর এই দু‘আটি যুক্ত করবে।
صَدَقَ اللهُ وَعْدَه، وَنَصَرَ عَبْدَه، وَهَزَمَ الْلأَحْزَابَ وَحْدَه.
উচ্চারণঃ স্বাদাক্বাল্লা-হু অ’দাহ, অনাসারা ‘আবদাহ, অহাযামাল আহযা-বা অহদাহ। অর্থঃ আল্লাহ তাঁর অঙ্গীকার সত্য করেছেন, তিনি তাঁর দাসকে সাহায্য করেছেন এবং একাই (কাফির) দলসমূহকে পরাস্ত করেছেন।
মহানবী (সাঃ) এর উপর যে ব্যক্তি একবার দরূদ পাঠ করে, বিনিময়ে আল্লাহ তার উপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করে থাকেন। [মুসলিম ১/২৮৮]
রসূল (সাঃ) এর নাম যার কানে পৌঁছে অথচ দরূদ পাঠ করে না, সেই হল আসল বখীল। [তিরমিযী ৩/১৭৭] সুতরাং তাঁর নাম শোনা বা বলা মাত্র পড়তে হয়। صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. উচ্চারণঃ স্বাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি অসাল্লাম। অথবা عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَسَلَّامُ উচ্চারণঃ ‘আলাইহিস স্বালা-তু অসসালা-ম। অর্থঃ আল্লাহ তাঁর উপর করুণা ও শান্তি বর্ষণ করুন।
সকাল ও সন্ধ্যায় ১০ বার করে দরূদ পাঠ করলে রোজ কিয়ামতে নবী স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের শাফাআত নসীব হবে। [ত্বাবারানী, তারগীব ৬৫৬ নং]
মহানবী (সাঃ) এর উপর দরূদ পাঠের আরো ফযীলত এই যে, তার ফলে পাঠকারীর দুশ্চিন্তা দূর হবে, গোনাহ মাফ হবে, মহানবী (সাঃ) তার জবাব দেবেন, কিয়ামতের দিন কোন আফসোস হবে না, দু‘আ কবুল হবে, ইত্যাদি। দরূদ পাঠ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি মহব্বতের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। [জালাউল আফহাম, ইবনুল কাইয়েম ৩৫৯-৩৭০ দ্রষ্টব্য]
দরূদ পাঠের স্থান হল, সালাতের তাশাহহুদে, কুনুতের শেষে, জানাযার সালাতে, খুতবায়, আযানের জওয়াব দেওয়ার পর, দু‘আর সময়, মসজিদে প্রবেশ করতে ও সেখান হতে বের হতে, ইলমী মজলিসে, জুমআর দিনে ইত্যাদি।
প্রকাশ থাকে যে, জামাআতী দরূদ বা কিয়াম করে দরূদ এবং মনগড়া রচিত দরূদ পাঠ করা বিদআত।
সালাম দেয়া ইসলামের এক শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। যা পরস্পরের মাঝে সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে; যা ঈমান পরিপূরক এক অংশ। সালাম নিম্নরূপে দেওয়া বিধেয়।
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ উচ্চারণঃ আসসালা-মু ‘আলাইকুম। এর সঙ্গে وَرَحْمَةُ اللهِ উচ্চারণঃ অরাহমাতুল্লা-হ। যোগ করা উত্তম। আবার উভয়ের শেষে وَبَرَكَاتُهُ উচ্চারণঃ অবারাকা-তুহ, যুক্ত করা সবচেয়ে উত্তম। মোট ৩ টি বাক্যাংশে ৩০ টি নেকী লাভ হয়ে থাকে। [আবূ দাঊদ ৪/৩৫০, তিরমিযী ৫/৫২]
এগুলির অর্থ হল, আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত এবং তাঁর বর্কত বর্ষণ হোক।
সালামের উত্তর দেওয়ার প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয় তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করবে অথবা ওরই অনুরূপ উত্তর দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী। [কুঃ ৪:৮৬]
সতরাং সালামদাতা যে মেজাজ, কণ্ঠস্বর ও বাক্যে সালাম দেবে তার চেয়ে উত্তম মেজাজ, কণ্ঠস্বর ও অধিক শব্দ দ্বারা সালামের উত্তর দেওয়া কর্তব্য। নচেৎ অনুরূপ জওয়াব দেওয়া ওয়াজিব। সালাম অপেক্ষা তার উত্তর যেন নিকৃষ্টতর না হয়, নচেৎ সম্প্রীতির স্থানে বিদ্বেষ জন্ম নেবে। অতএব উত্তর হবে,
وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ،
উচ্চারণঃ অ ‘আলাইকুমুস সালা-মু অরাহমাতুল্লাহি অবারাকা-তুহ। অর্থঃ আর আপনার উপরও শান্তি, আল্লাহর রহমত ও তাঁর বর্কত বর্ষণ হোক। আর কেউ পরোক্ষভাবে অন্যের মাধ্যমে সালাম পাঠালে যে সালাম পৌঁছাবে তাকে সহ সালামদাতাকে এই উত্তর দেবেঃ
وَعَلَيْكَ وَعَلَيْهِ السَّلَامُ.
উচ্চারণঃ অ ‘আলাইকা অ ‘আলাইহিস সালা-ম। অর্থঃ আর আনার ও তাঁর উপরেও শান্তি বর্ষণ হোক। [সহীহ আবু দাঊদ ৪৩৫৮ নং]
কেবল ইশারা ও ইঙ্গিতে সালাম বা তার উত্তর দেওয়া বৈধ নয়। [তিরমিযী ২১৬৮ নং, সিলসিলা সহীহ ২১৯৪ নং] দূর থেকে সালাম দিলেও হাতের ইশারার সাথে মুখে সালাম উচ্চারণ করতে হবে। অবশ্য সালতে থাকলে কেবল হাতের ইশারায় সালামের উত্তর দেওয়া বিধেয়। [তিরমিযী, মিশকাত ৯৯১ নং]
সালামের হকদার হল মুসলিমগণ। অমুসলিম সালামের হকদার নয়। কোন অমুসলিম সালাম দিলে তার উত্তরে কেবল ‘অলাইকুম’ বলতে পারা যায়। [মুসলিম ৪/১৭০৫] একই দলে মুসলিম ও অমুসলিম থাকলে মুসলিমদেরকে উদ্দেশ্য করে ‘আসসালা-মু আলাইকুম’ বলেই সালাম দেয়া যায়। [বুখারী ৭/১৩২, মুসলিম ৩/১৪২২] আবার কোন অমুসলিম যদি স্পষ্ট করেই ‘আসসালা-মু আলাইকুম’ বলে সালাম দেয়, তবে তার উত্তর ‘অ আলাইকুমস সালা-ম’ বলা দূষণীয় নয়। [ফতোয়া ইবনে উসাইমীন]
সেই ব্যাক্তি শ্রেষ্ঠ যে সক্ষাতে প্রথমে সালাম দিতে চেষ্টা করে। [মিশকাত ৪৬৪ নং] তবুও আরোহী পদাতিককে, পদাতিক উপবিষ্টকে, অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোককে এবং ছোট বড়কে প্রথমে সালাম দিতে চেষ্টা করাই সুন্নত। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৪৬৩২-৪৬৩৩ নং]
জামাতের তরফ থেকে একজন মাত্র লোক সালাম বা তার উত্তর দিলেই যথেষ্ট। [আবু দাঊদ, মিশকাত ৪৬৪৮ নং] শিশু হলেও তাকে সালাম দেওয়া সুন্নত। [মিশকাত ৪৬৩৪ নং] সাক্ষাৎ হলে যেমন সালাম দেবে তেমনি পৃথক বা বিদায় হলেও সালাম দেবে। তবে মুসাফাহ সাক্ষাতের সময় সুন্নাত এবং বিদায়ের সময় মুস্তাহাব। [সিলসিলা সহীহাহ ১/১/৫৩ পৃঃ] যেমন পৃথক হওয়ার পূর্বে সূরা আসর পড়া উত্তম। [ত্বাবারানীর আউসাত্ব, সিলসিলা ২৬৪৮ নং] সালামের সময় কোন প্রকার ঝুঁকা বৈধ নয়।
মোরগ মালাইকা দেখে ডাক দেয়। তাই তার ঐ ডাক শুনে আল্লাহর অনুগ্রহ এই বলে চাইতে হয়।
اَللّٰهُمَّ إنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফায্বলিক। অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট তোমার অনুগ্রহ ভিক্ষা করছি।
গাধা শয়তান দেখে চিৎকার করে। তাই তার চীৎকার শুনে শয়তানের থেকে এই বলে পানাহ চাইতে হয়।
أَعُوذُ بِااللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ.
উচ্চরণঃ আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম। অনুরূপভাবে রাত্রে কুকুরের ডাক শুনলেও ঐ দু ‘আ পড়তে হয়। কারণ এরাও শয়তান দেখে ঐ ভাবে ডাক ছাড়ে। (কোন রূহ দেখে নয়) [বুখারী ৬/৩৫০, মুসলিম ৪/২০৯২, আবু দাঊদ ৪/৩২৭]
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
﴿وَللهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنٰى فَادْعُوهُ بِهَا﴾
অর্থঃ আল্লাহর জন্যই যাবতীয় সুন্দর নাম। সুতরাং তোমরা সেই সব নাম ধরেই তাঁকে ডাক। [সূরা আ’রাফ ১৮০]
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহর এমন ৯৯টি নাম রয়েছে যে কেউ তা (দু ‘আতে) গণনা করবে (বা মুখস্ত করে তার অর্থ ও দাবী অনুযায়ী আমল করবে) সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [বুখারী, মুসলিম ২৬৭৭ নং]
কুরআন মাজীদ ও সহীহ সুন্নাহ থেকে সেই নামাগুলি নিম্নরূপঃ
১। اَللهُ (আল্লা-হ), ২। اَلْأَحَدُ (আল আহাদ) একক, ৩। اَلْأَوَّلُ (আল আউওয়াল) আদি, ৪। اَلْآخِرُ (আল আ-খির) অন্ত, ৫। الْأَعْلٰى (আল আ’লা) মহামহীয়ান, ৬। اَلْأَكْرَمُ (আল আকরাম) দৃষ্টান্তহীন দানশীল, ৭। اَلْإِلٰهُ (আল ইলা-হ) উপাস্য, ৮। اَلْبَارِي (আল বা-রী) উদ্ভাবনকর্তা, ৯। اَلْبَاسِطُ (আল বা-সিত্ব) জীবিকা সম্প্রসারণকারী, ১০। اَلْبَرَُّ (আল বার্র) কৃপানিধি, ১১। اَلْبَصِيرُ (আল বাস্বীর) সর্বদ্রষ্টা, ১২। اَلْبَاطِنُ (আল বা-ত্বিন) নিগূঢ়, গুপ্ত, ১৩। اَلتَّوَّابُ (আত তাউওয়া-ব) তওবা গ্রহণকারী, ১৪। اَلْجَبَّارُ (আল জাব্বা-র) প্রবল, ১৫। اَلْجَمِيلُ (আল জামীল) সুন্দর, ১৬। اَلْجَوَادُ (আল জাওয়া-দ) অতি দানশীল, ১৭। اَلْحَافِظُ (আল হা-ফিয) রক্ষাকর্তা, ১৮। اَلْحَسِيبُ (আল হাসীব) হিসাব গ্রহণকর্তা, ১৯। اَلْحَفِيطُ (আল হাফীয) রক্ষণাবেক্ষণকারী, ২০। اَلْحَقُّ (আল হাক্ক্ব) সত্য, ২১। اَلْحَكَمُ (আল হাকাম) বিচারকর্তা, ২২। اَلْحَكِيمُ (আল হাকীম) প্রজ্ঞাময়, ২৩। اَلْحَلِيمُ (আল হালীম) সহিষ্ণু, ২৪। اَلْ حَمِيدُ (আল হামীদ) প্রশংসিত, ২৫। اَلْحَيُّ (আল হাইয়্যু) চিরঞ্জীব, ২৬। اَلْحَيِيُّ (আল হায়িয়্যু) লজ্জাশীল, ২৭। اَلْخَالِقُ (আল খা-লিক্ব) সৃজনকর্তা বা স্রষ্টা, ২৮। اَلْخَبِيرُ (আল খাবীর) পরিজ্ঞাতা, ২৯। اَلْخَلَّاقُ (আল খাল্লা-ক্ব) মহাস্রষ্ট, ৩০। اَلرَّؤُوفُ (আর রাঊফ) অত্যন্ত দয়ার্দ্র, ৩১। اَلرَّبُّ (আর রাব্বু) প্রভু, প্রতিপালক, ৩২। اَلرَّحْمٰنُ (আর রহমা-ন) পরম করুণাময়, ৩৩। اَلرَّحِيمُ (আর রাহীম) অতি দয়াবান, ৩৪। اَلرَّزَّاقُ (আর রাযযা-ক্ব) মহারুযীদাতা, ৩৫। اَلرَّفِيقُ (আর রাফীক্ব) সঙ্গী, কৃপানিধি, ৩৬। اَلرَّقِيبُ (আর রাক্বীব) তত্ত্বাবধায়ক, ৩৭। اَلسُّبُّوحُ (আস সুব্বূহ) নিরঞ্জন, ৩৮। اَلسِّتِّيرُ (আস সিত্তীর) অতি গোপনকারী, ৩৯। اَلسَّلَامُ (আস সালা-ম) শান্তি, নিরবদ্য, ৪০। اَلسَّمِيعُ (আস সামী’) সর্বশ্রোতা, ৪১। اَلسَّيِّدُ (আস সাইয়িদ) প্রভু, ৪২। اَلشَّافِي (আশ শা-ফী) আরোগ্যদাতা, ৪৩। اَلشَّاكِرُ (আশ শা-কির) পুরস্কারদাতা, ৪৪। اَلشَّكُورُ (আশ শাকূর) গুণগ্রাহী, ৪৫। اَلشَّهِيدُ (আশ শাহীদ) সাক্ষী, প্রত্যক্ষদর্শী, ৪৬। اَلصَّمَدُ (আস স্বামাদ) ভরসাস্থল। ৪৭। اَلطَّيِّبُ (আত ত্বাইয়্যিব) পবিত্র, ৪৮। اَلظَّاهِرُ (আয-যাহির) ব্যক্ত, অপরাভূত, ৪৯। اَلْعَالِمُ (আল ‘আ-লিম) জ্ঞাতা, ৫০। اَلْعَزِيزُ (আল ‘আযীয) পরাক্রমশালী, ৫১। اَلْعَظِيمُ (আল ‘আযীম) সুমহান, ৫২। اَلْعَفُوُّ (আল ‘আফুউ) ক্ষমাশীল, ৫৩। اَلْعَلِيمُ (আল ‘আলীম) সর্বজ্ঞ, ৫৪। اَلْعَلِيُّ (আল ‘আলিয়্যু) সুউচ্চ, ৫৫। اَلْغَفَّارُ (আল গফফা-র) অতি মার্জনাকারী, ৫৬। اَلْغَفُورُ (আল গাফূর) মহাক্ষমাশীল, ৫৭। اَلْغَنِيُّ (আল গানিয়্যু) অভাবমুক্ত, অমুখাপেক্ষী, ৫৮। اَلْفَتَّاحُ (আল ফাত্তা-হ) বিচারকশ্রেষ্ঠ, ৫৯। اَلْقَابِضُ (আল ক্বা-বিয্ব) জীবিকা সঙ্কুচনকারী, ৬০। اَلْقَادِرُ (আল ক্বা-দির) শক্তিমান, ৬১। اَلْقَاهِرُ (আল ক্বা-হির) পরাক্রমশালী, ৬২। اَلْقُدُّوسُ (আল ক্বুদ্দূস) আতি পবিত্র, ৬৩। اَلْقَدِيرُ (আল ক্বাদীর) সর্বশক্তিমান, ৬৪। اَلْقَرِيبُ (আল ক্বারীব) নিকটবর্তী, ৬৫। اَلْقَوِيُّ (আল ক্বাবিইয়্যু) প্রবল ক্ষমতাবান, ৬৬। اَلْقَهَّارُ (আল ক্বাহহা-র) প্রবল প্রতাপশালী, ৬৭। اَلْقَيُّومُ (আল ক্বাইয়্যূম) অবিনশ্বর, ৬৮। اَلْكَبِيرُ (আল কাবীর) সুমহান, ৬৯। اَلْكَرِيمُ (আল কারীম) মহানুভব, সম্মানিত, ৭০। اَللَّطِيفُ (আল লাত্বীফ) সূক্ষ্মদর্শী, ৭১। اَلْمُؤَخِّرُ (আল মুআখখির) সর্বশেষ, ৭২। اَلْمُؤْمِنُ (আল মু’মিন) নিরাপত্তাবিধায়ক, সত্যায়নকারী, ৭৩। اَلْمُبِينُ (আল মুবীন) স্পষ্ট, প্রকাশক, ৭৪। اَلْمُتَعَالِي (আল মুতা‘আ-লী) সর্বোচ্চ মর্যাদাবান, ৭৫। اَلْمُتَكَبِّرُ (আল মুতাকাব্বির) গর্বের অধিকারী, ৭৬। اَلْمَتِينُ (আল মাতীন) পরাক্রান্ত, ৭৭। اَلْمُجِيبُ (আল মুজীব) প্রার্থনা মঞ্জুরকারী, ৭৮। اَلْمَجِيدُ (আল মাজীদ) মর্যাদাবান, গৌরবান্নিত, ৭৯। اَلْمُحِيطُ (আল মুহীত্ব) পরিবেষ্টনকারী, ৮০। اَلْمُصَوِّرُ (আল মুস্বাউয়ির) রূপদাতা, ৮১। اَلْمُعْطِي (আল মু’ত্বী) দাতা, ৮২। اَلْمُقْتَدِرُ (আল মুক্বতাদির) সর্বশক্তিমান, ৮৩। اَلْمُقَدِّمُ (আল মুক্বাদ্দিম) অগ্রবর্তী, ৮৪। اَلْمُقِيتُ (আল মুক্বীত) শক্তিমান, রুযীদাতা, ৮৫। اَلْمَلِكُ (আল মালিক) সম্রাট, বাদশা, ৮৬। اَلْمَلِيكُ (আল মালীক) অধীশ্বর, ৮৭। اَلْمَنَّانُ (আল মান্না-ন) পরম অনুগ্রহশীল, ৮৮। اَلْمَوْلَى (আলমাউলা) প্রভু, সাহায্যকারী, ৮৯। اَلْمُهَيْمِنُ (আলমুহাইমিন) সাক্ষী, রক্ষক, ৯০। اَلنَّصِيرُ (আন নাসীর) সহায়, ৯১। اَلْوَاحِدُ (আল ওয়া-হিদ) অদ্বিতীয়, এক, ৯২। اَلْوَارِثُ (আল ওয়া-রিস) চুরান্ত মালিকানার অধিকারী, ৯৩। اَلْوَاسِعُ (আল ওয়া-সি) সর্বব্যাপী, প্রাচুর্যময়, ৯৪। اَلْوِتْرُ (আল বিতর) অযুগ্ম, একক, বিজোড়, ৯৫। اَلْوَدُودُ (আল ওয়দূদ) প্রেমময়, ৯৬। اَلْوَكِيلُ (আল অকীল) কর্মবিধায়ক, তত্ত্বাবধায়ক, ৯৭। اَلْوَلِيُّ (আল আলিয়্যু) বন্ধু, অভিভাবক, ৯৮। اَلْوَهَّابُ (আল অহহা-ব) মহাদাতা, ৯৯। جَامِعُ النَّاسِ (জা-মিউন্না-স) মানব জাতিকে সমবেতকারী, ১০০। مَالِكُ الْمُلْكِ (মা-লিকুল মুলক) সারা রাজ্যের রাজা, সার্বভৌম, ১০১। بَدِيعُ السَّمٰوَاتِ وَالْأَرْضِ (বাদীউস সামা-ওয়া-তি অলআরয্ব) আকাশ-মণ্ডলী ও পৃথিবীর উদ্ভাবক, ১০২। نُورُ السَّمٰوَاتِ وَالْأَرْضِ (নূরুস সামা-ওয়া-তি অল আরয) আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর জ্যোতি, ১০৩। ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ (যুল জালা-লি অল ইকরা-ম) শ্রেষ্ঠ দয়ালু, ১০৪। أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ (আরহামুর রা-হিমীন) শ্রেষ্ঠ দয়ালু, ১০৫। أَحْكَمُ الْحَاكِمِينَ (আহকামুল হা-কিমীন) শ্রেষ্ঠ বিচারক, ১০৬। أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ (আহসানুল খা-লিক্বীন) সুনিপুন স্রষ্টা, ১০৭। خَيْرُ الرَّازِقِينَ (খাইরুর রা-যিক্বীন) শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা।
প্রকাশ যে, আল্লাহর নামাবলী নির্দিষ্টকরণের ব্যাপারে বর্ণিত হাদীসটি শুদ্ধ নয়। [আল-ক্বাওয়াইদুল মুসলা ফী সিফাতিল্লাহি অ আসমাইহিল হুসনা, ইবনে উসাইমীন ১৮-২০ পৃঃ]
কুরআন মাজীদে আল্লাহ পাক বহু প্রকার দু‘আ বর্ণনা করে বান্দাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। কুরআনের শব্দে সে সব দু‘আ নিশ্চয়ই শ্রেষ্ঠ। এখানে পাঠকের খিদমতে সেই সকল দু‘আর বরাত মূল বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে পেশ করব। পুস্তিকার কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় তা মূল আরবী ও অর্থ সহ উল্লেখ করতে পারলাম না। আশা করি দু‘আগুলো কুরআন মাজীদ থেকে মুখস্ত করে নিতে প্রিয় পাঠক-পাঠিকার কোন অসুবিধা হবে না।
اَللّٰهُمَّ أَصْلِحْ لِي دِنِىَ الَّذِي هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِي، وَأَصْلِحْ لِي دُنْيَاىَ الَّتِي فِيهَا مَعَاشِي، وَأَصْلِحْ لِي آخِرَتِي الَّتِي فِيهَا مَعَادِي، وَاجْعَلِ الْحَيَاةَ زِيَادَةً لِّي فِي كُلِّ خَيْرٍ، وَاجْعَلِ الْمَوْتَ رَاحَةً لِّي مِنْ كُلِّ شَرٍّ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আস্বলিহ লী দীনিয়াল্লাযী হুয়া ‘ইস্বমাতু আমরী, অ আস্বলিহ লী দুনয়্যা-য়্যাল্লাতী ফীহা মা’আ-শী, অ আস্বলিহ লী আ-খিরাতিয়াল্লাতী ফীহা মা’আ-দী। অজ‘আলিল হায়া-তা যিয়া-দাতাল লী ফী কুল্লি খাইর। অজ‘আলিল মাউতা রা-হাতাল লী মিন কুল্লি শার্র।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার দ্বীনকে সুন্দর কর, যা আমরা সকল কর্মের হিফাযতকারী। আমার পার্থিব জীবনকে সুন্দর কর, যাতে আমার জীবিকা রয়েছে। আমার পরকালকে সুন্দর কর, যাতে আমার প্রত্যাবর্তন হবে। আমার জন্য হায়াতকে প্রত্যেক কল্যাণে বৃদ্ধি কর এবং আমার মউতকে প্রত্যেক অকল্যাণ থেকে আরামদায়ক কর। [মুসলিম ৪/২০৮৭]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আ-ফিয়াতা ফিদদুনয়্যা অলআ-খিরাহ। অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ইহকালে ও পরকালে নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। [ইবনে মাজাহ ৩/১৮০]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدٰى وَالتُّقٰى وَالْغِنٰى.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা অততুক্বা অল‘আফা-ফা অলগিনা। অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হিদায়াত, পরহেযগারী, অশ্লীলতা হতে পবিত্রতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি। [মুসলিম ৪/২০৮৭]
اَللّٰهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلٰى طَاعَتِكَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা মুস্বার্রিফাল ক্বুলূবি স্বার্রিফ ক্বুলূবানা ‘আলা ত্বা-আতিক। অর্থঃ হে আল্লাহ! হে হৃদয়সমূহকে আবর্তনকারী! তুমি আমাদের হৃদয়সমূহকে তোমার আনুগত্যের উপর আবর্তিত কর। [মুসলিম ৪/২০৪৫]
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلٰى دِينِكَ.
উচ্চারণঃ ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলূবি সাব্বিত ক্বালবী ‘আলা দীনিক। অর্থঃ হে হৃদয়সমূহকে বিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। [সঃ জামে’ ৬/৩০৯]
اللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَالْهَرَمِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ، اَللّٰهُمَّ آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا، أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلَاهَا، اَللّٰهُمَّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لَّا يَنْفَعُ،وَمِنْ قَلْبٍ لَّا يَخْشَعُ، وَمِنْ نَفْسٍ لَّا تَشْبَعُ، وَمِنْ دَعْوَةٍ لَّا يُسْتَجَابُ لَهَا،
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল ‘আজযি অলকাসালি অলজুবনি অলহারামি অ ‘আযা-বিল ক্বাবর। আল্লা-হুম্মা আ-তি নাফসী তাক্বওয়া-হা অযাক্কিহা আন্তা খাইরু মান যাক্কা-হা, আন্তা অলিয়্যুহা অমাউলা-হা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন ‘ইলমিল লা য়্যানফা’, অমিন ক্বালবিল না য়্যাখশা’, অমিন নাফসিল লা তাশবা, অমিন দা’ওয়াতিল লা য়্যুস্তাজা-বু লাহা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, স্থবিরতা, এবং কবরের আযাব থেকে পানাহ চাচ্ছি। হে আল্লাহ! আমার আত্মায় তোমার ভীতি প্রদান কর এবং তাকে পবিত্র কর, তুমিই শ্রেষ্ঠ পবিত্রকারী। তুমিই তার অভিভাবক ও প্রতিপালক। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সেই ইলম থেকে পানাহ চাচ্ছি, যা কোন উপকারে আসে না। সেই হৃদয় থেকে পানাহ চাচ্ছি, যা বিনম্র হয় না। সেই আত্মা থেকে পানাহ চাচ্ছি, যা তৃপ্ত হয় না এবং সেই দু‘আ থেকে পানা চাচ্ছি যা কবুল হয় না।
সংসারে দাস-দাসীর প্রয়োজন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। [মুসলিম ২৭২ নং]
أَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِي لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ.
উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম অ আতূবু ইলাইহ।
অর্থঃ আমি সেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব, অবিনশ্বর। এবং আমি তাঁর কাছে তওবা করছি।
এউ দু‘আ (সত্যিকারে অনুতপ্ত হৃদয়ে) ৩ বার পাঠ করলে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করার মত পাপ হলেও মাফ হয়ে যাবে। [তিরমিযী ৩/১৮২, আবূ দাঊদ ২/৮৫]
اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা ‘আফুব্বুন কারীমুন তুহিব্বুল আ’ফওয়া, ফা’ফু আন্নী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল মহানুভব, ক্ষমাকে তুমি পছন্দ কর। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। এটি লাইলাতুল ক্বদরে পঠনীয়।
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي وَجَهْلِي وَإِسْرَافِي فِي أَمْرِي وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِي هَزْلِي وَجِدِّي وَخَطَئِي وَعَمْدِي وَكُلُّ ذَلِكَ عِنْدِي.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লী খাত্বীআতী অজাহলী অইসরা-ফী ফী আমরী, অমা আন্তা আ’লামু বিহী মিন্নী। আল্লা-হুম্মাগফির লী হাযলি অজিদ্দী অখাত্বাঈ অ‘আমদী, অকুল্লু যা-লিকা ‘ইন্দী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার পাপ, মূর্খামী, কর্মে সীমালংঘনকে এবং যা তুমি আমার চেয়ে অধিক জান, তা আমার জন্য ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমার অযথার্থ ও যথার্থ, অনিচ্ছাকৃত ও ইচ্ছাকৃতভাবে করা পাপসমূহকে ক্ষমা করে দাও। আর এই প্রত্যেকটি পাপ আমার আছে। [বুখারী ১১/১৯৬]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفَجْأَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন যাওয়া-লি নি’মাতিকা অতাহাউবুলি ‘আ-ফিয়াতকা অফাজআতি নিক্বমাতিকা অজামী-‘ই সাখাত্বিক।
অর্থঃ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট তোমার অনুগ্রহের অপসারণ, নিরাপত্তার পরিবর্তন, আকস্মিক প্রতিশোধ এবং যাবতীয় ক্রোধ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [মুসলিম ২৭৩৯ নং]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شّرِّ سَمْعِي وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي وَمِنْ شَرِّ قَلْبِي وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন শার্রি সামঈ’, অমিন শার্রি বাস্বারী, অমিন শার্রি লিসা-নী, অমিন শার্রি ক্বালবী, অমিন শার্রি মানিইয়্যী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট আমার কর্ণ, চক্ষু, রসনা, অন্তর এবং বির্য (যৌনাঙ্গে)র অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। [আবূ দাউদ ২/৯২, তিরমিযী ৩/১৬৬, নাসাঈ ৩/১১০৮]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلَاءِ وَدَرَكِ الشَّقَاءِ وَسُوءِ الْقَضَاءِ وَشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন জাহদিল বালা-ই অদারকিশ শাক্বা-ই অসূইল ক্বায্বা-ই অশামা-তাতিল আ‘দা-।
অর্থঃ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট কঠিন দুরবস্থা (ধনে জনের স্বল্পতা), দুর্ভাগ্যের নাগাল, মন্দ ভাগ্য এবং দুশমনের হাসি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। [বুখারী ৭/১৫৫, মুসলিম ২৭০ নং]
اَللّٰهُمَّ احْفِظْنِي بِالْإِسْلَامِ قَائِمًا وَّاحْفَظْنِي بِالْإِسْلَامِ قَاعِدًا وَّاحْفِظْنِي بِالْإِسْلَامِ رَاقِدًا، وَّلَا تُشْمِتْ بِي عَدُوًّا وَّلَا حَاسِدًا. اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ كُلِّ خَيْرٍ خَزَائِنُهُ بِيَدِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ كُلِّ شَرٍّ خَزَائِنُهُ بِيَدِكَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাহফযনী বিল ইসলা-মি ক্বা-ইমা, অহফাযনী বিল ইসলা-মি ক্ব-ইদা, অহফাযনী বিল ইসলা-মি রা-ক্বিদা। অলা তুশমিত বী আদুউওয়াঁউ অলা হা-সিদা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন কুল্লি খাইরিন খাযা-ইনুহু বিয়্যাদিক, অ আঊযু বিকা মিন কুল্লি শার্রিন খাযা-ইনুহু বিয়্যাদিক।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ইসলামের সাথে দণ্ডায়মান, উপবেশন এবং শয়নাবস্থায় রক্ষণাবেক্ষণ কর। আমার উপর কোন শত্রু ও হিংসুকে হাসায়ো না। হে আল্লাহ! আমি অবশ্যই তোমার নিকট প্রত্যেক সেই কল্যাণ প্রার্থনা করছি, যার ভাণ্ডার তোমার হাতে এবং প্রত্যেক সেই অকল্যাণ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যার ভাণ্ডারও তোমারই হাতে। [হাকেক ১/৫২৫, সহীহুল জামে’ ২/৩৯৮, সিলসিলাহ সহীহাহ ১৫৪০ নং]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الْعَدُوِّ وَشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ ‘ঊযু বিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি অগালাবাতিল আদুউবি অশামা-তাতিল আ’দা-।
অর্থঃ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ঋণ ও শত্রুর কবল এবং দুশমনের হাসি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। [নাসাঈ ৩/১১১৩]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدٰى وَالسَّدَادَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা অসসাদা-দ। অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট (সকল বিষয়ে) হিদায়াত ও সঠিকতা প্রার্থনা করছি। [মুসলিম ৪/২০৯০]
اَللّٰهُمَّ أَكْثِرْ مَالِي وَوَلَدِي وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَنِي.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আকসির মা-লী অঅলাদী অবা-রিক লী ফীমা আ’ত্বাইতানী। অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার ধন ও সন্তান বৃদ্ধি কর এবং যা কিছু আমাকে দিয়েছ তাতে বর্কত দান কর। [বুখারী ৭/১৫৪]
رَبِّ أَعِنِّي وَلَا تُعِنْ عَلَيَّ، وَانْصُرْنِي وَلَا تَنْصُرْ عَلَيَّ, وَامْكُرْ لِي وَلَا تَمْكُرْ عَلَيَّ، وَاهْدِنِي وَيَسِّرِ الْهُدٰى إِلَيَّ، وَنْصُرْنِي عَلٰى مَنْ بَغَى عَلَيَّ، رَبِّ اجْعَلْنِي لَكَ شَاكِرًا، لَّكَ ذَاكِرًا، لَّكَ رَهَّابًا، لَّكَ مِطْوَاعًا، إِلَيْكَ مُخْبِتًا أَوَّاهًا مُّنِيبًا، رَبِّ تَقَبَّلْ تَوْبَتِي، وَاغْسِلْ حَوْبَتِي، وَأَجِبْ دَعْوَتِي، وَثَبِّتْ حُجَّتِي، وَاهْدِ قَلْبِي، وَسَدِّدْ لِسَانِي، وَاسْلُلْ سَخِيمَةَ قَلْبِي.
উচ্চারণঃ রাব্বি আ’ইন্নী অলা তু’ইন ‘আলাইয়্যা, অনস্বুরনী অলা তানসুর ‘আলাইয়্যা, অমকুর লী অলা তামকুর ‘আলাইয়্যা, অহদিনী অয়্যাসসিরল হুদা ইলাইয়্যা, অনস্বুরনী ‘আলা মান বাগা ‘আলাইয়্যা। রাব্বিজ’আলনী লাকা শা-কিরাল লাকা যা-কিরা, লাকা রাহহা-বাল লাকা মিত্বওয়া-‘আ, ইলাইকা মুখবিতান আউওয়া-হাম মুনীবা। রাব্বি তাকাব্বাল তাউবাতী, অগসিল হাউবাতী, অআজিব দা’ওয়াতী, অসাব্বিত হুজ্জাতী, অহদি ক্বালবী, অসাদ্দিদ লিসা-নী, অসলুল সাখীমাতা ক্বালবী।
অর্থঃ হে প্রতিপালক! আমাকে সাহায্য কর এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করো না। আমার পক্ষে পরিকল্পনা কর এবং আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করো না। আমাকে হিদায়াত কর আর আমার জন্য হিদায়াত সহজ করে দাও। যে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য কর। হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে তোমার কৃতজ্ঞ, তোমাকে স্মরণকারী ও ভয়কারী, তোমার একান্ত অনুগত, তোমার কাছে অনুনয়-বিনয়কারী, কোমল হৃদয় বিশিষ্ট এবং সতত তোমার অভিমুখী বানিয়ে নাও। হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার তাওবা কবুল কর, আমার গুনাহ ধৌত কর, আমার প্রার্থনা মঞ্জুর কর, আমার হুজ্জতকে মজবুত কর, আমার হৃদয়কে পথ দেখাও, আমার ভাষাকে মার্জিত কর এবং আমার অন্তরের ময়লাকে দূর করে দাও। [আবূ দাউদ ২/৮৩, তিরমিযী ৩/১৭৮]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّءِ الْأَسْقَامِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল বারাস্বি অলজুনুনি অলজুযা-মি অমিন সাইয়্যিইল আসক্বা-ম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার কঠিন ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [আবূ দাউদ ২/৯৩, তিরমিযী ৩/১৮৪, নাসাঈ ৩/১১১৬]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَالْهَرَمِ وَالْقَسْوَةِ وَالْغَفْلَةِ وَالْعَيْلَةِ وَالذِّلَّةِ وَالْمَسْكَنَةِ. أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ وَالْكُفْرِ وَالْفُسُوقِ وَالشِّقَاقِ وَالنِّفَاقِ وَالسُّمْعَةِ وَالرِّيَاءِ. وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الصَّمَمِ وَالْبَكَمِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَالْبَرَصِ وَسَيِّءِ الْأَسْقَامِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল ‘আজযি অলকাসালি অলজুবনি অলবুখলি অলহারামি অলক্বাসওয়াতি অলগাফলাতি অল‘আইলাতি অযযিল্লাতি অলমাস্কানাহ। অ আঊযু বিকা মিনাল ফাক্বরি অলকুফরি অলফুসূক্বি অশশিক্বা-ক্বি অননিফা-ক্বি অসসুম‘আতি অররিয়া-। অ আ’ঊযু বিকা মিনাস স্বামামি অলবাকামি অলজুনূনি অলজুযা-মি অলবারাস্বি অসাইয়্যেইল আসক্বা-ম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, কার্পণ্য, স্থবিরতা, কঠোরতা, ঔদাস্য, দারিদ্র, লঞ্ছনা এবং দ্বীনতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। তোমার নিকট অভাব-অনটন, কুফরী, ফাসেকী, বিরোধিতা, কপটতা এবং (আমলে) সুনাম ও লোক প্রদর্শনের উদ্দেশ্য থেকে পানাহ চাচ্ছি। আর আমি তোমার নিকট বধিরতা, মূকতা, উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ, ধবল এবং সকল প্রকার কঠিন ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [সহীহুল জামে’ ১/৪০৬]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الْأَخْلَاقِ وَالْأَعْمَالِ وَالْأَهْوَاءِ وَالْأَدْوَاءِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’ঊযু বিকা মিন মুনকারা-তিল আখলা-ক্বি অলআ‘মা-লি অলআহওয়া-ই অলআদওয়া-।
অর্থঃ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট দুশ্চরিত্র, অসৎ কর্ম, কুপ্রবৃত্তি এবং কঠিন রোগসমূহ থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। [তিরমিযী ৩/১৮৪, সহীহুল জামে’ ১২৯৮ নং]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ، وَأَنْ تَغْفِرَ لِي وَتَرْحَمْنِي، وَإِذَا أَرَدْتَّ فِتْنَةَ قَوْمٍ فَتَوَفَّنِي غَيْرَ مَفْتُونٍ، وَأَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُّحِبُّكَ وَحُبًّ عَمَلٍ يُّقَرِّبُنِي إِلٰى حُبِّكَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ফি’লাল খাইরা-তি অতার্কাল মুনকারা-তি অহুব্বাল মাসা-কীন, অআন তাগফিরা লী অতারহামনী, অইযা আরাত্তা ফিতনাতা ক্বাউমিন ফাতাওয়াফফানী গাইরা মাফতূন। অ আসআলুকা হুব্বাকা অহুব্বা মাঁই য়্যুহিব্বুকা অহুব্বা ‘আমালিঁই য়্যুক্বার্রিবুনী ইলা হুব্বিক।
অর্থঃ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট সৎকর্ম করার ও অসৎ কর্ম ত্যাগ করার প্রেরণা এবং দীন-হীনদের ভালোবাসা প্রার্থনা করছি। আর চাচ্ছি যে, তুমি আমাকে ক্ষমা কর ও দয়া কর। আর যখন তুমি কোন সম্প্রদায়কে ফিতনায় ফেলার ইচ্ছা করবে তখন আমাকে বিনা ফিতনায় মরণ দিও। আমি তোমার নিকট তোমার ভালোবাসা ও তার ভালোবাসা যে তোমাকে ভালোবাসে এবং সেই কর্মের ভালোবাসা যা আমাকে তোমার ভালোবাসার নিকটবর্তী করে তা প্রার্থনা করছি। [মুসলিম, আহমদ ৫/২৪৩, তিরমিযী ২৫৮২ নং, হাকেম ১/৫২১]
اَللّٰهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ، اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِعِزَّتِكَ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ أَنْ تُضِلَّنِي، أَنْتَ الْحَيُّ الَّذِي لَا يَمُوتُ وَالْجِنُّ وَالْإِنْسُ يَمُوتُونَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু অবিকা আ-মানতু অ ‘আলাইকা তাওয়াক্কালতু অইলাইকা আনাবতু অবিকা খা-স্বামতু, আল্লা-হুম্মা আ‘ঊযু বিইযযাতিকা লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা আন তুয্বিল্লানী, আন্তাল হাইয়্যুল্লাযী লা য়্যামূতু অলজিন্নু অলইনসু য়্যামূতুন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই নিকট আত্মসমর্পণ করেছি, তোমার উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি, তোমারই উপর ভরসা রেখেছি, তোমারই প্রতি অভিমুখ করেছি এবং তোমারই সাহায্যে বিতর্ক করেছি। হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার ইজ্জতের অসীলায় পানাহ চাচ্ছি যে, তুমি আমাকে পথভ্রষ্ট করো না। তুমি ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই। তুমিই সেই চিরঞ্জীব যাঁর মৃত্যু নেই। আর দানব ও মানব সকলে মৃত্যুবরণ করবে। [বুখারী ৮/১৬৭, মুসলিম ২৭১ নং]
اَللّٰهُمَّ إِنِّن أَعُوذُ بِكَ مِنَ التَّرَدِّي وَالْهَدَمِ وَالْغَرَقِ وَالْحَرَقِ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ يَتَخَبَّطَنِىَ الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ فِي سَبِيلِكَ مُدْبِرًا، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ لَدِيغًا.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাত তারাদ্দী অলহাদামি অলগারাক্বি অলহারাক্ব, অ আ‘উযু বিকা আঁই য়্যাতাখাব্বাত্বানিয়াশ শাইত্বা-নু ‘ইন্দাল মাউত। অ আ‘ঊযু বিকা আন আমূতা ফী সাবীলিকা মুদবিরা। অ আ‘ঊযু বিকা আন আমূতা লাদীগা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি পড়ে যাওয়া, ভেঙ্গে (চাপা) পড়া, ডুবে ও পুড়ে যাওয়া থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। মৃত্যুকালে শয়তানের স্পর্শ থেকে, তোমার পথে পৃষ্ঠপ্রদর্শন ক’রে মরা থেকে এবং সর্পদষ্ট হয়ে মরা থেকেও আমি তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি। [আবূ দাউদ ২/৯২, নাসাঈ ৩/১১২৩]
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي وَوَسِّعْ لِي فِي دَارِي وَبَارِكْ لِي فِي رِزْقِي.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লী যামবী অঅসসি, লী ফী দা-রী অবা-রিক লী ফী রিযক্বী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার অপরাধ ক্ষমা কর, আমার গৃহ প্রশস্ত কর এবং আমার রুযীতে বর্কত দাও। [মুসলিম, আহমদ ৪/৬৩, সহীহুল জামে’ ১২৬৫]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ وَرَحْمَتِكَ فَإِنَّهُ لَا يَمْلِكُهَا إِلَّا أَنْتَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফায্বলিকা অরাহামাতিকা, ফাইন্নাহু লা য়্যামলিকুহা ইল্লা আন্তা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট তোমার অনুগ্রহ ও করুণা ভিক্ষা করছি। যেহেতু একমাত্র তুমিই এ সবের মালিক। [মাজমাউয যাওয়াএদ ১০/১৫৯, সহীহুল জামে’ ১২৭৮ নং]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُوعِ فَإِنَّهُ بِئْسَ الضَّجِيعُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخِيَانَةِ فَإِنَّهَا بِئْسَتِ الْبِطَانَةُ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল জূ-, ফাইন্নাহু বি’সায য্বাজী-। অ আ’ঊযু বিকা মিনাল খিয়ানাহ, ফাইন্নাহা বি’সাতিল বিত্বা-নাহ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ক্ষুধা থেকে পানাহ চাচ্ছি, কারণ তা নিকৃষ্ট শয়ন-সাথী। আর আমি খিয়ানত থেকেও পানাহ চাচ্ছি, কারণ তা নিকৃষ্ট সহচর। [আবূ দাউদ ২/৯১, নাসাঈ ৩/১১১২]
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِيِي، أَعُذُ بِاللهِ مِنْ ضَيْقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লী অহদিনী অরযুক্বনী অ ‘আ-ফিনী, আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিন য্বাইক্বিল মাক্বা-মি য়্যাউমাল ক্বিয়ামাহ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাকে মাফ কর, সঠিক পথ দেখাও, রুযী দাও এবং নিরাপত্তা দাও। আমি আল্লাহর নিকট কিয়ামতের অবস্হানক্ষেত্রের সংকীর্ণতা থেকে আশ্রয় ভিক্ষা করছি। [নাসাঈ ১/৩৫৬, ইবনে মাজাহ ১/২২৬]
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ أَوْسَعَ رِزْقِكَ عَلَيَّ عِنْدَ كِبَرِ سِنِّي وَانْقِطَاعِ عُمُرِي.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাজ‘আল আউসা‘আ রিযক্বিকা ‘আলাইয়্যা ‘ইন্দা কিবারি সিন্নী অনক্বিত্বা-‘ই ‘উমুরী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার বার্ধক্যে ও মৃত্ত্যুর সময় তোমার অধিকতম ব্যাপক রুযী দান করো। [হাকেম ১/৫৪২, সহীহুল জামে’ ১২৫৫ নং]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ وَالْقِلَّةِ وَالذِّلَّةِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আউযু বিকা মিনাল ফাক্বরি অলক্বিল্লাতি অযযিল্লাহ, অ আ‘ঊযু বিকা মিন আন আযলিমা আউ উযলাম।
অর্থঃ হে আল্লহা! অবশ্যই আমি তোমার নিকট দারিদ্র, অভাব-অনটন ও লাঞ্ছনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি, যাতে আমি অত্যাচার না করি ও অত্যাচারিত না হই।
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ يَوْمِ السُّوءِ وَمِنْ لَيْلَةِ السُّوءِ وَمِنْ سَاعَةِ السُّوءِ وَمِنْ صَاحِبِ السُّءِ وَمِنْ جَارِ السُّوءِ فِي دَارِ الْمُقَامَةِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন য়্যাউমিস সূ-ই অমিন লাইলাতিস সূ-ই অমিন সা-‘আতিস সূ-ই অমিন স্বা-হিবিস্ব সূ-ই আমিন জা-রিস সূ-ই ফী দা-রিল মুক্বা-মাহ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট মন্দ দিন, মন্দ রাত, মন্দ সময়, অসৎ সঙ্গী এবং স্থায়ী আবাসস্থলে অসৎ প্রতিবেশী হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১৪৪, সহীহুল জামে’ ১২৯৯ নং]
অস্থায়ী আবাসস্থলে প্রতিবেশী পরিবর্তন হয়ে থাকে। [হাকেম ১/৫৩২, নাসাঈ ৮/২৭৪, সহীহুল জামে’ ১২৯০ নং]
اَللّٰهُمَّ فَقِّهْنِي فِي الدِّينِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মানফা’নী বিমা আল্লামতানী অ ‘আল্লিমনী মা য়্যানফা’উনী অযিদনী ‘ইলমা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! যা কিছু আমাকে শিখিয়েছ, তার দ্বারা আমাকে উপকৃত কর এবং আমাকে সেই জ্ঞান দান কর, যা আমাকে উপকৃত করবে। আর আমার ইলম আরো বৃদ্ধি কর। [ইবনে মাজাহ ১/৪৭]
اَللّٰهُمَّ انْفَعْنِي بِمَا عَلَّمْتَنِي وَعَلِّمْنِي مَا يَنْفَعُنِي وَزِدْنِي عِلْمًا.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মানফা’নী বিমা আল্লামতানী অ ‘আল্লিমনী মা য়্যানফা’উনী অযিদনী ‘ইলমা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! যা কিছু আমাকে শিখিয়েছ, তার দ্বারা আমাকে উপকৃত কর এবং আমাকে সেই জ্ঞান দান কর, যা আমাকে উপকৃত করবে। আর আমার ইলম আরো বৃদ্ধি কর। [ইবনে মাজাহ ১/৪৭]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَّافِعًا وَّأَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لَّا يَنْفَعُ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ‘ইলমান না-ফি‘আ, অ আ‘ঊযু বিকা মিন ‘ইলমিল লা য়্যানফা’।
অর্থঃ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট উপকারী শিক্ষা প্রার্থনা করছি এবং যে শিক্ষা কোন উপকারে আসে না, সে শিক্ষা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। [ইবনে মাজাহ ১/৪৭]
اَللّهُمَّ رَبَّ جِبْرَائِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَرَبَّ إِسْرَافِيلَ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ حَرِّ النَّارِ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রাব্বা জিবরা-ঈলা অ মীকা-ঈলা অরাব্বা ইসরা-ফীর, আ‘ঊযু বিকা মিন হার্রিন না-রি অমিন ‘আযা-বিল ক্বাবর।
অর্থঃ হে আল্লাহ! হে জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের প্রতিপালক! আমি তোমার নিকট জাহান্নামের উত্তাপ ও কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [নাসাঈ ৩/১১২১, সহীহুল জামে ১৩০৫ নং]
اَللّٰهُمَّ مَتِّعْنِي بِسَمْعِي وَبَصَرِي وَاجْعَلْهُمَا الْوَارِثَ مِنِّي، وَانْصُرْنِي عَلٰى مَنْ يَّظْلِمُنِي وَخُذْ مِنْهُ بِثَارِي.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা মাত্তি’নী বিসামঈ অবাস্বারী অজ‘আলহুমাল ওয়া-রিসা মিন্নী, অনসুরনী ‘আলা মাঁই য়্যাযলিমুনী অখুয মিনহু বিসা’রী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাকে আমার কর্ণ ও চক্ষু দ্বারা উপকৃত কর এবং মরণ পর্যন্ত তা অবশিষ্ট রাখ। যে আমার উপর অত্যাচার করে তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য কর এবং তার নিকট থেকে আমার জন্য প্রতিশোধ গ্রহণ কর। [তিরমিযী ৩/১৮৮, সহীহুল জামে ১৩১০ নং]
اَللّٰهُمَّ أَحْيِنِي مِسْكِينًا وَّأَمِتْنِي مِسْكِينًا وَّاحْشُرْنِي فِي زُمْرَةِ الْمَسَاكِينِ.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আহয়িনী মিসকীনাঁউ অ আমিতনী মিসকীনাঁউ অহশুরনী ফী যুমরাতিল মাসা-কীন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাকে দীন-হীন করে জীবিত রাখ, দীন-হীন অবস্থায় মরণ দিও এবং দীন-হীনদের দলে আমার হাশর করো। [সহীহুল জামে ১২৬১ নং]
اَللّٰهُمَّ كَمَا حَسَّنْتَ خَلْقِي فَحَسِّنْ خُلْقِي.
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা কামা হাসসান্তা খালক্বী ফাহাসসিন খুলুক্বী। অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে যেমন সুন্দর করে সৃষ্টি করেছ, তেমনি আমার চরিত্রকেও সুন্দর কর। [আহমাদ, সহীহুল জামে ১৩০৭ নং]
প্রকাশ যে, আয়নায় মুখ দেখার সময় উক্ত দু‘আটি পাঠ করার ব্যাপারে হাদীস সহীহ নয়। [ইরওয়াউল গালীল ১/১১৫]
و صلى الله على نبينا محمد و على آله وصحبه أجمعين.
Page 3
Dua Jikir Jhar-Fuk
Sultan Mahmud Maruf says:
Assalamu Alaikum,
AL-HAMDULILLAH, we are benefited for this Islamic site. With due respect to you, I would like to know about a word وَسَلَّامَ written in 140 nos. Dua of page 3 of Index articles 5 nos as below:
মহানবীর (সাঃ) এর নাম শুনলে-
মহানবী (সাঃ) এর উপর যে ব্যক্তি একবার দরূদ পাঠ করে, বিনিময়ে আল্লাহ তার উপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করে থাকেন। [মুসলিম ১/২৮৮]
রসূল (সাঃ) এর নাম যার কানে পৌঁছে অথচ দরূদ পাঠ করে না, সেই হল আসল বখীল। [তিরমিযী ৩/১৭৭] সতরাং তাঁর নাম শোনা বা বলা মাত্র পড়তে হয়। صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّامَ. উচ্চারণঃ স্বাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি অসাল্লাম।
As we know وَسَلَّامَ grammatically indicates 3 Alif Taan on lam Horof.
But here would be وَسَلَّمَ ? Please clarify this.
Best regards,
Maruf.
Md Shamsul Alam says:
ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকুতুহু।
জাযাকাল্লাহু খায়র, এটা টাইপ মিস্টেক হয়েছিল। সংশোধন করে দেয়া হয়ে।