Page 1
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব
দ্বীনের সকল আকীদা, বিধানসমূহ, লেনদেন, আচার-আনুষ্ঠান সবকিছুর মূল ভিত্তি হলো এই দু’টি অহী তথা কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীস। আর ইহাই হচ্ছে ইলাহী (ঐশী) দ্বীনের দাবী। কারণ দ্বীনের ভিত্তি সম্পূর্ণ নির্ভুল এলাহী দলিল প্রমাণের উপর হওয়া জরুরি। দ্বীনের বিধান কোন গবেষকের গবেষণা বা কারো স্বপ্ন কিংবা সুফীদের ইলহাম অথবা কাশফ দ্বারা হতে পারে না। ইমাম শাফী (রহঃ) বলেনঃ “কোন অবস্থাতে কারো কথা মান্য করা জরুরি না। কিন্তু আল্লাহর কিতাব ও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিশুদ্ধ হদীস সর্বাবস্থাতে মান্য করা জরুরি। এ ছাড়া সবকিছুই এ দু’টির অধীন।” [জিমাউল ‘ইলম]
কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের অধীন দু’টি দলিল (প্রমাণ) রয়েছে। তা হলোঃ
কুরআন হলো আল্লাহ তা‘আলার মহাবাণী যা মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত ফিরিস্তা জিবরীল আমীনের মাধ্যমে সুস্পষ্ট আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে। ইহা মুতাওয়াতির (এত অধিক সংখ্যাক বর্ণনাকারী দ্বারা বর্ণিত সূত্র যা মিথ্যা হওয়া অসম্ভব) সূত্রে বর্ণিত যার শব্দ ও অর্থ উভয়টি মু‘জিযা ও এর মধ্যে ৮৬টি মক্কী এবং ২৮টি মাদানী মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে এবং পারা সংখ্যা ত্রিশ। কুফার কারীদের গণনা মতে আয়াত সংখ্যা ৬,২৩৬টি ও অন্যান্যদের গণনায় ৬,৬৬৬টি। আর শব্দ সংখ্যা ৭৭,৪৩৭টি বা ৭৭,৪৩৯টি ও আক্ষর সংখ্যা ৩,২০,৬৭০টি।
হাদীস হলোঃ যা নবী (সাঃ) থেকে প্রকাশিত হয়েছে, চাই তাঁর বাণী হোক বা কাজ কিংবা সমর্থন। নবী (সাঃ) বলেন- “আমি তোমাদের মাঝে দু’টি জিনিস ছেড়ে যাচ্ছি যতক্ষণ তোমরা তা মজবুত করে আঁকড়িয়ে ধরে থাকবে ততক্ষণ পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর (নবীর) সুন্নত।” (মুওয়াত্তা ইমাম মালেক) হাদীসের এ মর্যাদা ও স্থান এ জন্যই যে, সুন্নত কখনো কুরআনের বিস্তারিত বর্ণনাকারী অথবা কুরআনের যে বিষয়ে দলিল নেই সে ব্যাপারে বিধান সাব্যস্তকারী। আর এ কারণেই কুরআনে বহু স্থানে রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর আনুগত্য আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। যেমন- আল্লাহর বাণীঃ “হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলুল আমর (দ্বীনি আলেম ও ইসলামী রাষ্ট্রের আমীর) তাদের। এর পর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যার্পন কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।” (সূরা নিসা, ৫৯)
ইজমা‘আর কিছু উদাহরণঃ
ইজমা‘আ দুই প্রকারঃ
ইজমা‘আর জন্য শর্তাবলীঃ
মুজতাহিদের জন্য শর্তাবলীঃ
কিয়াস হলো- কোন শাখাকে আসলের সাথে দু’টির মাঝে সমন্বয়কারী কারণে সামঞ্জস্যবিধান করা। যেমন- মদ (আসল) হারামের কারণ নেশা। তাই গাঁজা ইত্যাদি সকল নেশাজাত দ্রব্য (শাখা) হারাম। কারণ এসবের মাঝে নেশা রয়েছে।
কিয়াস সহায়ক দলিল তার প্রমাণঃ
আল্লাহতা‘আলার বাণী- “আল্লাহ সত্যগ্রন্থ ও মীজান নাজিল করেছেন।” (সূরা শুরা, ১৭) মীজান হলো যার দ্বারা বিষয়াদি ওজন ও পরিমাপ করা যায়। নবীর (সাঃ) এর বাণী- একজন মহিলা তার মৃত মার পক্ষ থেকে রোজা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি (সাঃ) বলেন “আচ্ছা তোমার মার প্রতি কারো ঋণ থকলে সেটা কি আদায় করতে? সে বলল, হ্যঁ, তিনি (সাঃ) বললেন, অতএব তোমার মার পক্ষ থেকে রোজা কাজা করে দাও।” [বুখারী ও মুসলিম] উমর (রাঃ) আবু মূসা আশ’য়ারী (রাঃ) কে বিচার ফয়সালার ব্যাপারে এক পত্রে বলেন- “যা কুরআনে ও সুন্নাতে পাবেন না সে ব্যাপারে বিষয়গুলোর কিয়াস করবেন এবং অনুরূপ সদৃশ্য বিষয়গুলো জেনে যা আল্লাহর নিকট প্রিয় ও সত্যের সদৃশ তার অনুমোদন দেবেন।” [বাইহাকী- ১০/১১৫; দরাকুতনী- ৪/২০৬-২০৭ ও ইগাছাতুল লাহফান- ইবনুল কায়্যেম- ১/৮৬] ইমাম মুজানী বর্ণনা করেন- সাহাবীদের যুগ থেকে আমাদের যুগ পর্যন্ত ফিকাহবীদগণ এ ব্যাপারে একমত যে, সত্যের নজির সত্য এবং বাতিলের নজির বাতিল। আর তাঁরা ফিকহের সমস্ত বিধান কিয়াস প্রয়োগ করেছেন।
কিয়াসের রোকন চারটিঃ
কিয়াসের শর্তাবলীঃ
কিয়াস দুই প্রাকারঃ
আল্লাহতা‘আলার সমস্ত নবী-রসূলগণ নিজ নিজ উম্মতকে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা এবং তাওয়হীদের বিপরীত শিরক থেকে বাঁচার জন্য নির্দেশ করেছেন। আর ইহা হলো তাওহীদের মূল কথা যা আল্লাহর হক। আর সর্বপ্রকার ইবাদত একমাত্র নবী-রসূলদের তরীকায় আদায় কারার জন্য আদেশ দিয়েছেন যা নবুয়াত ও রেসালাতের মূল। এছাড়া আল্লাহতা‘আলা ও নবী-রসূলগণের আদেশ-নিষেধ পালন করাই হলো তাকওয়া। আর উপরের তিনটি উসূলের উপর নির্ভর করবে আখেরাত। সঠিকভাবে পালন করলে আখেরাতে জান্নাত আর না করলে জাহান্নাম। সকল নবী-রসূলগণ এ চারটি উসুল দ্বারাই দা‘আওয়াত ও তাবলীগ করেছেন। পূর্ণ দ্বীন ইসলাম এই চার উসূলের মাঝেই কেন্দ্রীভূত। সর্বপ্রথম রাসূল নূহ (আঃ) কে আল্লাহতা‘আলা এই চারটি উসূল দ্বারাই প্রেরণ করেন। আল্লাহতা‘আলার বাণীঃ
إِنَّآ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلىٰ قَومِهٖٓ أَنْ أَنْذِرْ قَوْمَكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَّاتِيَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ (1) قَالَ يٰقَوْمِ إِنِّى لَكُمْ نَذِيْرٌ مُّبِيْنٌ (2) أَنِ اعْبُدُوا اللهَ وَاتَّقُوهُ وَاَطِيْعُونِ (3) يَغْفِرْ لَكُمْ مِّنْ ذُنُوبِكُمْ وَيُؤَخِّرْكُمْ إِلٰٓى أَجَلٍ مُّسَمًّ، إِنَّ أَجَلَ اللهِ إِذَا جَٓاءَ لَايُؤَخَّرُ , لَوْكُنْتُمْ تَعْلَمُونَ (نوح 1 – 4)
“আমি নূহ্কে প্রেরণ করেছিলাম তার জাতির নিকট এ কথা বলে যে, তাদের প্রতি যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি আসার আগেই তুমি তোমার জাতিকে সতর্ক কর। সে বলল, হে আমার জাতি! আমি তোমাদের জন্যে স্পষ্ট সতর্ককারী। এ বিষয় যে, তোমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত কর, তাঁকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং নির্দিস্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহর নির্দিষ্টকাল যখন আসবে, তখন আর অবকাশ দেয়া হবে না, যদি তোমরা তা জানতে।” [সূরা নূহ, ১-৪] আল্লাহ তা‘আলা প্রথম ও দ্বিতীয় আয়াত এবং চতুর্থ আয়াতে আখেরাত উসুল উল্লেখ করেছেন। আর তৃতীয় আয়াতে তিনটি উসুল তথা তাওহীদ, তাকওয়া ও রিসালাত উল্লেখ করেছেন। দা‘আওয়াতের ময়দানে যারা কাজ করছেন তাদেরকে এ চারটি উসূলের প্রতি গুরুত্ব দেয়া অতীব জরুরী। নিম্নে চারটি উসূলের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হল।
নবী-রসূলগণ তাঁদের জাতিকে সকল ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য করা এবং কোন প্রকার ইবাদত আল্লাহ ছাড়া অন্য কার জন্য না করার দা‘আওয়াত করেন। যেমন- বিভিন্ন নবী-রসূলগণের দা‘আওয়াত সম্পর্কে আল্লাহতা‘আলার বাণীঃ
لَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوحًا اِلٰى قَوْمهٖ فَقَالَ يٰقَوْمِ اعْبُدُوا اللهَ مَالَكُمْ مِنْ اِلٰهٍ غَيْرُهٗ، اِنِّىٓ اَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيْمٍ(اعراف – 95)
“আমি নূহ্কে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম, অতএব তিনি বললেন, হে আমার জাতি! তোমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত কর তাঁর সাথে অন্য কাহাকেও সামিল কর না, আমি এক কঠিন দিবসে তোমাদের উপর শাস্তির আশংকা করছি।” [সূরা আরাফ, ৫৯] [ঠিক এমন সূরা আছে, সূরা আরাফ- ৬৫, ৭৩, ৮৫, সূরা হূদ- ৫০, ৬১, ৮৪, সূরা মুমিনূন- ২৩]
নবূয়্যাত শব্দ থেকে নবী যার অর্থ খবরদাতা এবং রেসালত শব্দ থেকে রসূল যার অর্থ পত্রবাহক বা দূত। নবী-রসূলগণ (আঃ) আল্লাহ‘আলার পক্ষ থেকে খবরদাতা ও দূত। নবী-রসূলগণ (আঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে যা প্রচার করতেন তার অনুগত্য করা জন্য দাওয়াত করেন। প্রতিটি নবী-রসূল নিজ নিজ জাতিকে তাঁদের আনুগত্য করার জন্য নির্দেশ এবং নাফরমানি করতে নিষেধ করেন। রেসালাতের মর্মার্থ হলো- এক আল্লাহর ইবাদত শুধুমাত্র সে নবী বা রসূলের তরীকা (মানহাজ্ব, পদ্ধতি) ছাড়া আর অন্য কোন তরীকা দ্বারা করা যাবে না। আর করলেও তা আল্লাহর নিকট গ্রহণ যোগ্য হবে না। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা নিম্নে আয়াত সমূহে বলেনঃ
فَتَوَلّٰى عَنْهُمْ وَقَالَ يٰقَوْمِ لَقَدْ اَبْلَغْتُكُمْ رِسَالَةَ رَبِّى وَنَسَحْتُ لَكُمْ وَلٰكِنْ لَّاتُحِبُّونَ النّٰصِحِيْنَ (اعراف – 97)
“সালেহ তাদের থেকে প্রস্থান করলো এবং বলল- হে আমার জাতি, আমি তোমাদের কাছে স্বীয় প্রতিপালকের পয়গাম (রেসালত) পৌঁছিয়েছি এবং তোমাদের মঙ্গল কামনা করছি কিন্তু তোমরা মঙ্গলাকাঙ্খীদেরকে ভালবাস না।” [সূরা আ’রাফ- ৭৯]
يٰٓاَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَٓا اُنْزِلَ اِلَيْكَ مِنْ رَّبِّكَ، وَاِنْ لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهٗ، وَاللهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ، اِنَّ للهَ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الْكَفِرِيْنَ (مائدة – 76)
“হে রসূল! আপনার প্রতি আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা আপনি পৌঁছায়ে দিন। যদি আপনি এরূপ না করেন তবে আপনি তাঁর পয়গাম কিছুই পৌঁছালেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।” [সূরা মায়েদা- ৬৭]
قُلْ يٰٓاَيُّهَا النَّاسُ اِنِّى رَسُولُ اللهِ اِلَيْكُمْ جَمِيْعًا الَّذِى لَهٗ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَلْاَرْضِ، لَٓااِلٰهَ اِلَّاهُوَ يُحْىٖ وَيُمِيتُ، فَاٰمِنُوا بِاللهِ وَ رَسُولِهِ النَّبِىِّ الْاُمِّىِّ الَّذِى يُؤْمِنُ بِاللهِ وَ كَلِمٰتِهٖ وَاتَّبِعُوهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ (اعراف – 851)
“বলুন! হে মানুষ, তোমাদের সকলের প্রতি আমি আল্লাহর রসূল, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবই তাঁর, তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নাই তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান, অতএব তোমরা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সেই রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর যিনি উম্মি এবং তিনি বিশ্বাস স্থাপন করেছেন আল্লাহর প্রতি এবং তাঁর কালেমার প্রতিও আর তার আনুগত্য কর, সম্ভবত তোমরা সঠিক পথ পাবে।” [সূরা আ’রাফ- ১৫৮]
مَا كَانَ مُحَمَّدٌ اَبَٓا اَحَدٍ مِّنْ رِّجَالِكُمْ وَلَكِنْ رَّسُولَ اللهِ وَخَاتَمَ النَّبِيّٖنَ، وَكَانَ اللهُ بِكُلِّ شَئٍ عَلِيمًا (احزاب – 04)
“মুহাম্মাদ তোমাদের কোন ব্যক্তির বাবা নন, বরং তিনি আল্লাহর রসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।” [সূরা আহজাব- ৪০]
فَاِنْ كَذَّبُوكَ فَقَدْ كُذِّبَ رُسُلٌ مِّنْ قَبْلِكَ جَٓاءُو بِالْبَيَّنٰتِ وَالزُّبُرِ وَلْكِتٰبِ الْمُنِيْرِ (عمران – 481)
“তাছাড়া এরা যদি আপনাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তবে আপনার পূর্বেও এরা এমন বহু নবীগণকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে, যারা নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছিলেন এবং এনেছিলেন সহীফা ও প্রদীপ্ত গ্রন্থ।” [আল এমরান- ১৮৪]
يٰمَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ اَلَمْ يَاتِكُمْ رُسُلٌ مِّنْكُمْ يَقُصُّونَ عَلَيْكُمْ اٰيٰتِى وَيُنْذِرُونَكُمْ لِقَآءَ يَوْمِكُمْ هٰذَا، قَالُوا شَهِدْنَا عَلٰٓى اَنْفُسِنَا وَغَرَّتْهُمُ الْحَيٰوةُ الدُّنْيَا وَشَهِدُوا عَلٰٓى اَنْفُسِهِمْ اَنَّهُمْ كَانُوا كٰفِرِيْنَ (انعام – 031)
“হে জ্বিন ও মানব সম্প্রদায়, তোমাদের কাছি কি তোমাদের মধ্য থেকে রসূল আগমন করেননি, যাঁরা তোমাদেরকে আমার বিধানাবলী বর্ণনা করতেন এবং তোমাদেরকে আজকের এ দিনের সাক্ষাতের ভীতি প্রদর্শন করতেন? তারা বলবে, আমরা স্বীয় পাপ স্বীকার করে নিলাম। পার্থিব্য জীবন তাদেরকে প্রতারিত করেছে। তারা নিজেদের বিরুদ্ধে অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে যে, তারা কাফের ছিল।” [সূরা আন’আম- ১৩০]
وَسِيْقَ الَّذِيْنَ كَفَرُوٓا اِلٰى جَهَنَّمَ زُمَرًا، حَتّٰٓى اِذَا جَٓاءُوهَا فُتِحَتْ اَبْوَابُهَا وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَٓا اَلَمْ يَاتِكُمْ رُسُلٌ مِّنْكُمْ يَتْلُونَ عَلَيْكُمْ اٰيٰتِ رَبِّكُمْ وَيُنْذِرُونَكُمْ لِقَٓاءَ يَوْمِكُمْ هٰذَا، قَالُوا بَلٰى وَلٰكِنْ حَقَّتْ كَلِمَةُ الْعَذَابِ عَلَى الْكٰفِرِيْنَ (زمر – 17)
“কাফেরদেরকে জাহান্নামের দিকে দলে দলে হাঁকিয়ে নেয়া হবে। তারা যখন সেখানে পৌঁছবে, তখন তার দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হবে এবং জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে রসূল আসেননি, যারা তোমাদের কাছে তোমাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করতেন এবং সতর্ক করতেন এ দিনের সাক্ষাতের ব্যাপারে? তারা বলবে, হাঁ, কিন্তু কাফেরদের প্রতি শাস্তির বিধানই বাস্তাবাইত হয়েছে।” [সূরা যুমার- ৭১] আর এ জন্যে কোন কাফের সুসলিম হতে চাইলে এক আল্লাহর সাক্ষ্য দেওয়ার সাথে সাথে নবীর রসালতের সাক্ষ্য না দেওয়া পর্যন্ত মুসলিম হতে পারবে না।
قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللهَ فَاتَّبِعُونِى يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْلَكُمْ ذُنُوبَكُمْ، وَاللهُ غَفُورٌ رَّحِيْمٌ (عمران – 13)
“বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদেরকে ভালবাসেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দায়ালু।” [সূরা আল-ইমরান- ৩১]
Page 1