Page 1
যে বিদ্যা অর্জন করিলে আরবী ভাষা শুদ্ধরূপে লিখিতে, বলিতে ও পড়িতে পারা যায়, তাকে আরবী ব্যাকারণ বলে।
আরবী ব্যাকারণ পাঁচ ভাগে বিভক্তঃ
০১। عِلْمُ الْاِمْلَاءِ :- যে নিয়ম-কানুন বা জ্ঞানের দ্বারা আরবী বর্ণের অক্ষর ও বানান সংক্রান্ত বিষয় অবগত হওয়া যায় তাহাকে عِلْمُ الْاِمْلَاءِ বলে। মনে রাখিবে বাংলা ভাষায় ইহাকে বর্ণপ্রকরণ এবং ইংরেজীতে Orthography বলে।
০২। عِلْمُ الصَّرف :- যে নিয়ম-কানুন বা জ্ঞানের দ্বারা আরবী শব্দগুলো বিভিন্ন রূপে পরিবর্তন, রূপান্তর ও পরিবর্ধন সম্বন্ধে অবগত হওয়া যায়, তাকে علم الصرف বলে। মনে রাখিবে, বাংলা ভাষায় ইহাকে শব্দ বা পদ প্রকরণ এবং ইংরেজীতে Etymology বলে।
০৩। عِلْمُ الْبَلَاغَةِ :- যে নিয়ম-কানুন বা জ্ঞানের মাধ্যমে কথা সুন্দর ও সাবলীলভাবে অলংকারের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় তাহাকে عِلْمُ الْبَلَاغَةِ বলে। মনে রাখিবে, বাংলা ভাষায় ইহাকে অলংকার বা বাগ্মীতা বিদ্যা এবং ইরেজীতে Elocution বলে।
০৪। عِلْمُ الْعَرُوضِ :- যে নিয়ম-কানুন বা জ্ঞানের মাধ্যমে বাক্যস্থিত ছন্দের বিন্যাস বা কবিতা রচনা ও উহার ছন্দ বিষয়ে অবগত হওয়া যায়, উহাকে عِلْمُ الْعَرُوض বলে। মনে রাখিবে, বাংলা ভাষায় ইহাকে ছন্দ প্রকরণ এবং ইরেজীতে Prosdy বলে।
০৫। عِلْمُ النَّحو :- যে নিয়ম-কানুন বা জ্ঞানের মাধ্যমে আরবী বাক্য গঠন এবং এর ভুল ত্রুটি দুর করা যায় তাকে عِلْمُ النَّحو বলে। মনে রাখিবে, বাংলা ভাষায় ইহাকে শব্দ ও বাক্য বিন্যাস প্রকরণ এবং ইরেজীতে Syntax বলে।
উপরোক্ত ৫টি বিষয়কে একত্রে আরবী ব্যাকারণ বলে। তবে এইগুলি একটি অপরটি হইতে আলাদা এবং স্বয়ং সম্পূর্ণ রূপে গণ্য করা হয়।
আরবী ভাষা জানা এবং উহার প্রয়োগকালে বিশুদ্ধ গঠন প্রক্রিয়া জানিতে হয়। বাক্যের মধ্যস্থিত শব্দসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করিয়া শব্দের শেষে কোথায় কোন কারক চিহ্ন (এরাব) বসিবে তাহা জানিতে হয়। উপরোক্ত বিষয় অবগত হইয়া যাহাতে আরবী ভাষা বিশুদ্ধ ভাবে চর্চা করা যায় সে লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য লইয়াই علم النَّحو এর অবতারণা করা হইয়াছে।
علم النَّحو এর মূল আলোচ্য বিষয় দু’টি। (১) كَلِمَةٌ বা শব্দ, (২) كَلَامٌ বা বাক্য। উপরোক্ত দু’টি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা علم النَّحو তে করা হয়েছে।
كَلِمَة বা শব্দঃ কতকগুলি অক্ষর একত্রে মিলিত হইয়া যদি অর্থপূর্ণ ভাব প্রকাশ করে তবে উহাকে كلمة বা শব্দ বলে। যথাঃ قَلَمٌ – কলম।
كَلَامٌ বা বাক্যঃ কতগুলি শব্দ একত্রিত হইয়া যদি কোন অর্থপূর্ণ বিষয় বা বক্তব্য প্রকাশ করে তখন তাকে كَلَامٌ বা বাক্য বলে। যেমনঃ شِهَابٌ قَائِمٌ – শিহাব দাঁড়িয়ে আছে।
একটি মাত্র অর্থ নির্দেশকারী একক শব্দকে مُفْرَدٌ বলে। যথা- رَجُلٌ – একটি পুরুষ। مُفْرَدٌ কে আরবী পরিভাষায় كَلِمَة বলা হয়। كَلِمَة বা শব্দ তিন প্রকার হয়ে থাকে। যথা-
(ক) اِسْم যে শব্দ দ্বারা কোন কিছুর নাম, সর্বনাম বা গুন যা কোন কালের সাথে সম্পর্ক রাখে না তাকে اسم বলে। যথাঃ حَسِينَةٌ – (হাসিনা), خَالِدَةٌ – (খালিদা), قَلَمٌ – (কলম)।
(খ) فِعْل যে শব্দ দ্বারা কোন কিছু করা, হওয়া বা ক্রিয়া সম্পদন বুঝায় এবং কালের সাথে সম্পর্ক রাখে তাকে فعل বলে। যথাঃ ضَرَبَ – সে (পুং) প্রহার করল ।
(গ) حَرْف যে শব্দ اسم ও فعل নয় কিন্তু বাক্যের অভ্যন্তরে থাকিয়া অর্থপূর্ণ বাক্য গঠনে সাহায্য করে তাহাকে حرف বলে। যথাঃ مِنْ – হইতে, هَلْ – কি।
যে যৌগিক শব্দ দুই বা ততোধিক শব্দ দ্বারা গঠিত হইয়া বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে তাকে مركب বা যৌগিক শব্দ (বাক্য) বলে। مركب দুই প্রকার, যথাঃ
(ক) مركب مفيد (মুরাক্কাবে মুফিদ), যে বাক্যের মধ্যমে বক্তা তাহার মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করিতে পারে অর্থাৎ যে বাক্যের মাধ্যমে বক্তার বক্তব্য অর্থপূর্ণ ভাবে শেষ হয় এবং শ্রোতার পক্ষে তাহা সম্পূর্ণ রূপে বুঝিতে অসুবিধা হয় না তখন ঐ বাক্যকে مركب مفيد বলে।
(খ) مركب غير مفيد (মুরাক্কাবে গায়রে মুফিদ) যে বক্তব্যের দ্বারা বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণ ভাবে প্রকাশ হয় না বরং আংশিক ভাবে প্রকাশ হয় তখন ঐ ধরনের বাক্যকে مركب غيرمفيد বলে। مركب غيرمفيد কে جمله (জুমলা) বা كلام (কালাম) বলে।
আরবী ভাষায় جمله (জুমলা) কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ
০১। حملهء خبرية (জুমলায়ে খব্রিয়া) যে বাক্য দ্বারা বক্তার বক্তব্যে সাধারণ বর্ণনা, কথা বা সংবাদ পাওয়া যায় উহাকে جملهء خبرية বা বর্ণনামূলক বাক্য বলে। যথাঃ زَيْدٌ عَالِمٌ – যায়েদ জ্ঞানী। حملهء خبرية দুই প্রাকার। যথাঃ
(ক) جملهء اسميه বাক্যের প্রথম অংশ যদি اسم দিয়া শুরু হয় তবে উহাকে جملهء اسميه বলে। এই ধরণের বাক্যের প্রথম অংশ اسم এবং দ্বিতীয় আংশ خبر হয়। خبر পদের পূর্বে الف لام বসে না। এবং مبتدا পদ যে বচন ও লিঙ্গের হইবে خبر (খবর) পদও তদ্রুপ হইবে। উদাহরণঃ حَسِينَةٌ عَالِمَةٌ হাসিন একজন জ্ঞানী মহিলা। এই ধরনের বাক্যের প্রথম অংশকে مسند اليه (মুসনাদ ইলাইহে) বা উদ্দেশ্য বলে। এবং বাক্যের শেষ অংশ কে مسند বা خبر (খবর) বা বিধেয় বলে। উদাহরণঃ اَللَّهُ وَاحِدٌ – আল্লাহ এক। এই বাক্যে اَللَّهُ হইল مسند اليه বা مبتدا (মুবতাদা) এবং واحد শব্দটি مسند বা خبر (খবর)।
(খ) جملهء فعليه (জুমলায়ে ফি’লিয়া) বাক্যের প্রথম অংশ যদি فعل ক্রিয়া পদ দ্বারা শুরু হয় তবে উহাকে جملهء فعليه বলে। উদাহরণঃ قَامَ زَيْدٌ জায়েদ দাঁড়াইল। এখানে قَامَ ক্রিয়া পদটি দিয়ে বাক্যটি শুরু হয়েছে তাই বাক্যটি جملهء فعليه । এই বাক্যে فاعل বা কর্তা জায়েদ এবং قَامَ ক্রিয়া পদ। এই বাক্যে فعل বা ক্রিয়াটি مسند বা বিধেয় এবং فاعل বা কর্তাটি مسند اليه বা উদ্দেশ্য। مسند ও مسند اليه এর মধ্যে সম্পর্ককে اسناد বলে। এখানে মনে রাখার বিষয় اسم (ইছিম) مسند ও مسند اليه উভয়ই হইতে পারে। তবে فعل শুধু مسند হইবে কিন্তু مسند اليه হইবে না। حرف বা অব্যয় কখনোই مسند বা مسند اليه হইবে না।
০২। جملهء انشائية (জুম্লায়ে ইনশাইয়াহ) যে বাক্যের মাধ্যমে বক্তার ইচ্ছা, আকাংখা বা এই ধরনের বিষয় প্রকাশ করে তাকে جملهء انشائية বলে। নিম্ন লিখিত শ্রেণীর বাক্যগুলো جملء انشائية এর অন্তর্ভুক্ত হইবে।
(১) امر (আমর) আদেশসূচক বাক্য। যেমনঃ إِضْرِبْ – তুমি প্রহার কর।
(২) نهى (নাহি) নিষেধাজ্ঞাসূচক বাক্য। যেমনঃ لَا تَضْرِبْ তুমি প্রহার করিও না।
(৩) استفهام (ইস্তিফ্হাম) প্রশ্নবোধক বাক্য। যেমনঃ هَلْ ضَرَبَ زَيْدٌ যায়েদ কি মারিয়াছে?
(৪) تَمَنّئ (তামান্নায়ী) আকাংখাবোধক বাক্য। যেমনঃ لَيْتَ زَيْدًا حَاضِرٌ যায়েদ যদি উপস্থিত হইত।
(৫) ترجى (তারাজী) সম্ভাবনামূলক বাক্য। যেমনঃ لَعَلَّ زَيْدًا حَاضِرٌ হয়তো যায়েদ উপস্থিত থকিবে।
(৬) عُقُود (অকুদ) চুক্তি বা বন্ধনমূলক বাক্য। যেমনঃ بِعْتُ আমি বিক্রয় করিলাম, إِشْتَرَنْتُ আমি ক্রয় করিলাম।
(৭) نِدَا (নিদা) আহবান বা সম্বোধনবাচক বাক্য। যেমনঃ يَا اَللَّهُ হে আল্লাহ।
(৮) عرض (আরজ) অনুরোধসূচক বাক্য। যেমনঃ اَلَا تَنْزِلُ بِنَافَتُصِيْبَ خَيْرًا তুমি আমার নিকট আস; তোমার ভাল হইবে।
(৯) قسم (কসম) শপথমূলক বাক্য। যেমনঃ وَاللَّهِ لَاَضْرِبَنَّ زَيْدً আল্লাহর শপথ! আমি যায়েদকে প্রহার করিব।
(১০) تَعَجّب (তাআজ্জাব) বিস্ময়সূচক বাক্য। যেমনঃ مَا اَحْسَنَهُۥ وَاَحْسِنْ بِهِۦ তাহাকে কিসে সুন্দর করল! এবং সে কত সুন্দর!
সংজ্ঞাঃ যে বক্তব্য দ্বারা বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ পায় না এবং শ্রোতা বক্তরা বক্তব্য হইতে যদি সব কিছু পরিস্কারভাবে বুঝতে না পারে তখন ঐ ধরনের বাক্যকে مُرَكَّب غير مفيد (মুরাক্কাব গায়রে মুফিদ) বলে। উদাহরণ- قَلَمِى – আমার কলম। এখানে অনেকগুলি প্রশ্ন করা যায় এবং বাক্যটিতে পূর্ণ তথ্য দেওয়া হয় নাই। কেননা, ‘কলমটি আমার’ এ কথা বলার পর উহা কেমন, কত বড় বা ছোট, ভাল-মন্দ ইত্যাদি অনেক তথ্য বাদ পড়িয়াছে। বিধায় এই বক্যটি অসম্পূর্ণ।
১। مُرَكّب اضافى (মুরাক্কাবে এজাফি) যে বাক্য مضاف ও مضاف اليه এর সংযোগে গঠিত হয় তাহকে مُرَكَّب اضافى বা সম্বন্ধ বাক্য বলে। উদাহরণঃ غُلَامُ زَيْدٍ যায়েদের গুলাম। এখানে বাক্যের প্রথম অংশ অর্থাৎ غُلَامُ পদটি مضاف (মুজাফ) বা সম্বন্ধ এবং দ্বিতীয় অংশ অর্থাৎ زَيْدٍ পদটি مضاف اليه বা সম্বন্ধিত পদ। مضاف اليه এর শেষ বর্ণ সব সময় কাসরা বিশিষ্ট হয়। মনে রাখার বিষয় যে শব্দের শেষে কাসরা হয় উহাকে مَكْسُور (মাকসূর) বা উর্দূ ও ফার্সিতে مجرور বলে। ইহার জন্য নির্ধারিত কোন اعراب (ইরাব) নেই। عامل আমল অনুযায়ী ইহার اعراب হইবে। مضاف এ কখনো আলিফ-লাম বা তানবীন আসিবে না।
২। مُرَكّب بنائ (মুরাক্কাবি বিনায়ী) যে مركب এ, দুইটি اسم বা বিশেষ্যকে একত্রিত করে একটি اسم এ পরিণত করে এবং যেখানে দ্বিতীয় اسم টির সাথে একটি محذوف حرف (মাহজুফ হরুফ) উহ্য থাকে উহাকে مركب بنائ বলে। উদাহরণঃ اَحَدَ عَشَرَ – এগার হইতে تِشْعَةَ عَشَرَ – ঊনিশ পর্যন্ত সংখ্যাবাচক শব্দগুলো মূলতঃ اَحَدٌ وَّ اَشَرٌ (আহাদুন ওয়া আশারুন) ছিল। عَشَرٌ এর সহিত যে واؤ টি ছিল উহাকে حذف (হজফ) বা বাদ দিয়া দুইটি اسم কে একত্র করা হইয়াছে। উভয় অংশের فتحه এর উপর مبنى বা অপরিবর্তনীয় হইবে। অর্থাৎ উক্ত اسم দুইটির শেষ অক্ষরে ফাতাহ স্থায়ী হইবে- কোন অবস্থাতেই উহা উহা পরিবর্তন হইবে না। কিন্তু اِثْنَا عَشَرَ (ইছনা আশারা-বার) উল্লিখিত নিয়মের বিপরীত। কেননা ইহার প্রথম অংশ اِثْنَا শব্দটি معرب অর্থাৎ পরিবর্তনশীল। এখন শুধুমাত্র দ্বিতীয় অংশ مبنى বা অপরিবর্তনীয়।
৩। مركّب منع صرف (মুরাক্কাবে মানে’অ ছরফ) যে مركب দুইটি اسم কে সংযোযিত করে একটি اسم এ পরিণত করে কিন্তু দ্বিতীয় اسم টিতে কোন বর্ণ অন্তর্ভুক্ত করে না তাকে مركّب منع صرف বলে। যথাঃ بَعْلَبَكُّ ও حَضَرَمَوْتُ দুইটি শহরের নাম। بَعْلَبَكُّ আসলে بَعْلٌ ও بَكٌّ ছিল। بَعْلٌ একটি মূর্তির নাম এবং بَكٌّ ছিল উক্ত শহরটির প্রতিষ্ঠাতার নাম। এই দুইটি اسم কে একত্রিত করিয়া একটি اسم করা হইয়াছে। অনুরূপভাবে حَضَرَمَوْتُ ও দুইটি اسم এর মাধ্যমে গঠিত। ইহাও একটি প্রশিদ্ধ শহরের নাম। অধিকাংশ ব্যাকরণবিধগণের মতে এই দুইটি اسم এর প্রথমাংশ فتحه এর উপর مبنى অর্থাৎ সর্বাবস্থায়ই ইহার ফাতাহ অটল থাকিবে।
অবশ্যই মনে রাখিতে হইবে عامل এর বিভিন্নতার দরুন যে সমস্ত اسم এর শেষ অক্ষরের اعراب বা কারক চিহ্ন পরিবর্তন হইয়া যায় তাহাকে معرب বলে। অন্যদিকে عامل বিভিন্নতার দরুন যাহার শেষ অক্ষরের اعراب এর কোন পরিবর্তন ঘটে না বরং সর্বাবস্থায়ই একই রকম থাকে উহাকে مبنى বলা হয়।
مركب غير مفيد কখনো পূর্ণ বাক্য হইতে পরে না। ইহা সর্বদাই একটি সমাপিকা বাক্যের অংশ হয়। যাথাঃ غُلَامُ زَيْدٍ قَائِمٌ এই বাক্যের غُلَامُ زَيْدٍ হইল مبتدا এবং قَائِمٌ পদটি خَبر হইয়াছে। مبتدا ও خبر প্রত্যেকটি বাক্যের একটি আংশ। তদ্রুপ عِنْدِى اَحَدَ عَشَرَ دِرْهَامٌ ও جَاءَ بَعْلَبَكُّ । এই দুইটি উদাহরণের মধ্যে اَحَدَ عَشَرَ এবং بَعْلَبَكُّ পদ দুইটি প্রত্যেকটি একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্যের অংশ বিশেষ কিন্তু পূর্ণঙ্গ বাক্য নহে।
আরবী ভাষায় কোন جُمْلَةٌ বা বাক্য কমপক্ষে দুইটি كَلِمَةٌ বা শব্দ ব্যতিত গঠন করা যায় না। শব্দ দুইটি لَفْظًا বা শাব্দিক হইতে পারে অথবা تَقْدِيرًا অভ্যন্তরীন বা অশাব্দিক হইতে পারে। لَفْظًا বা শাব্দিক বাক্যগুলিতে অর্থ ও শব্দ প্রকাশ্য থাকে। যথাঃ ضَرَبَ زَيْدٌ ও زَيْدٌ قَائِمٌ এখানে দুইটি বাক্যেই فعل এবং فاعل দুইটি পদই বিদ্যমান এবং অর্থও পূর্ণঙ্গ রূপে প্রকাশ করিয়াছে।
আবার যখন বাক্যটি تَقْدِيرًا হয় তখন একটি পদের মাধ্যমেও দুইটি كَلِمَةٌ এর অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়। যথাঃ إِضْرِبْ তুমি প্রহার কর। এখানে একটি পদ অর্থাৎ أَنْتَ উহ্য বা লুপ্ত ভাবে বিদ্যমান রহিয়াছে। যথা- إِضْرِبْ أَنْتَ তুমি মার।
দুইটি পদের অতিরিক্ত পদ দ্বারাও বাক্য গঠন করা যায় তবে কত বেশী كَلِمَةٌ দ্বারা একটি বাক্য গঠন করা যায় তাহার কোন নির্ধারিত সীমারেখা নাই।
মনেরাখার বিষয়ঃ যদি কোন বাক্যে كَلِمَةٌ বা পদের সংখ্যা বেশি হয় তবে বাক্যের মধ্যে কোনটি اسم কোনটি فعل কোনটি حرف তাহা সনাক্ত করিতে হইবে। তারপর উক্ত বাক্যে কোনটি معرب এবং কোনটি مبنى হইবে কোনটি عامل বা কারক চিহ্ন দানকারী এবং কোনটি مَعْمُول বা কারক চিহ্ন গ্রহণকারী হইবে তাহা নির্ধরণ করিয়া ঐ সব পদ বা كَلِمَةٌ গুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কী তাহা নির্ধারণ করিতে হইবে। এই ভাবে প্রতিটি পদের সার্বিক পরিচয় জানিতে পারিলে বাক্যস্থিত مُسْنَد اِلَيْهِ বা উদ্দেশ্য এবং مُسْنَد পদ প্রকাশ পাইবে। ইহাতে বাক্য সহজ ভাবে গঠন করা যাইবে এবং বাক্যের প্রকৃত অর্থ সহজ ভাবে বোধগম্য হইবে।
সংজ্ঞাঃ যে সকল নিদর্শন দ্বারা বাক্যের মধ্যস্থিত كَلِمَةٌ গুলিতে কোনটি اسم কোনটি فعل কোনটি حرف তাহা প্রকাশ করা হয় উহাকে عَلَامَت বা চিহ্ন বলে। اسم – (ইছিম) فعل – (ফে’ল) حرف – (হরুফ) প্রত্যেকটির জন্য নিদ্ধারিত عَلَامَت রহিয়াছে।
যে সকল চিহ্ন ও নিদর্শন দ্বারা বাক্যস্থিত পদ গুলোর মধ্যে কোনটি اسم তাহা প্রকাশ পায় তাহাকে عَلَامَت اسم বা বিশেষ্যের চিহ্ন বলে।
নিম্নলিখিত নিদর্শনগুলির কোন একটি যদি কোন كَلِمَةٌ বা পদের মধ্যে পাওয়া যায় তবে তাকে اسم মনে করিতে হইবে। যথাঃ
১। كَلِمَةٌ এর প্রথমে ال দ্বারা مَعْرِفَة (নির্দিষ্ট) হওয়া যথাঃ اَلْحَمْدُ لِلَّهِ – সকল প্রশংসা আল্লাহর। এখানে মনেরাখার বিষয়ঃ ال নির্দেশক অব্যয়। যথাঃ اَلْقَلَمُ – কলমটি।
২। كَلِمَةٌ এর শেষে تَنْوِينٌ যুক্ত হওয়ে نَكِرَة (অনির্দিষ্ট) হওয়া। যথাঃ قَلَمٌ একটি কলম। এখানে কলম শব্দের শেষে تَنْوِين হয়ে নাকিরাত (অনির্দিষ্ট) হয়েছে।
৩। كَلِمَةٌ এর প্রথমে حَرْف جَار যুক্ত হওয়া। যথাঃ بِزَيْدٍ – যায়েদের নিকট।
৪। مضاف (সম্বন্ধ) হওয়া। যথাঃ غُلَامُ زَيْدٍ – যায়েদের গোলাম।
৫। مُسْنَد اِلَيه (উদ্দেশ্য) হওয়া। যথাঃ دَاؤُدٌ قَائِمٌ – দাউদ দন্ডায়মান।
৬। مُصَغَّر (ক্ষুদ্রতা) হওয়া। যেমনঃ قُلَيْمٌ – একটি ক্ষুদ্রাকৃতির কলম।
৭। مَنْسُوب (সম্বন্ধ নির্দেশক) হওয়া। যেমনঃ بَغْدَادِىٌ – একজন বাগদাদের অধিবাসী।
৮। مُثَنَّى (দ্বিবচন) হওয়া। যেমনঃ رَجُلَانِ – দুইজন পুরুষ।
৯। مَجْمُوع (বহুবচন) হওয়া। যেমনঃ رِجَالٌ – অনেক পুরুষ।
১০। مَوْصُوف (বিশেষণ) হওয়া। যেমনঃ عَلِمٌ – জ্ঞানী।
১১। كَلِمَةٌ এর শেষ অক্ষরে حركت (হরকত) বিশিষ্ট ة যু্ক্ত হওয়া। যথাঃ ضَارِبَةٌ – একজন প্রহারকারিনী স্ত্রীলোক।
সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত নিদর্শন দ্বারা বাক্যস্থিত পদ فعل বা ক্রিয়া হওয়ার প্রমান পাওয়া যায়, উহাদিগকে عَلَامَتُ الْفِعْل বা ক্রিয়া পদের চিহ্ন বলে। নিম্ন লিখিত চিহ্ন সমূহ দ্বারা ক্রিয়াপদের পরিচয় পাওয়া যায়। যেমনঃ
১। শব্দের শুরুতে قَدْ যুক্ত হওয়া। যথাঃ قَدْ ضَرَبَ – সে প্রহার করিয়াছে।
২। শব্দের প্রথমে س যুক্ত হওয়া। যথাঃ سَيَضْرِبُ – অচিরেই সে প্রহার করিবে।
৩। শব্দের প্রথমে سَوْفَ ব্যবহৃত হওয়া। যথাঃ سَوْفَ يَضْرِبُ – আতি অল্প সময়ের মধ্যে সে প্রহার করবে।
৪। শব্দের শুরুতে حَرْفِ جازم (হরফি জযিম) যুক্ত থাকা। যথাঃ لَمْ يَضْرِبْ – সে প্রহার করে নাই।
৫। শব্দের প্রথমে حَرْف نَاصبه (হরফি নাছিবাহ) ফাতাহ যুক্ত থাকা। যথাঃ لَنْ يَّفْعَلَ – সে (পুং) কখনো করিবে না।
৬। শব্দের শেষে ضمير مرفوع متصل (জমিরে মারফু মুত্তাছিল) বা কর্তৃকারকযুক্ত সর্বনাম হওয়া। যথাঃ ضَرَبْتُ – আমি প্রহার করিলাম।
৭। শব্দের সাথে تاء تانيث বা স্ত্রীবাচক ت সংযুক্ত হওয়া। যথাঃ ضَرَبَتْ – সে (স্ত্রী) প্রহার করিল, فَعَلَتْ – সে (স্ত্রী) করিল।
৮। اَمر বা আদেশসূচক হওয়া। যথাঃ إِضْرِبْ – তুমি প্রহার কর।
৯। نَهى নিষেধবাচক শব্দ হওয়া। যথাঃ لَاتَضْرِبْ – তুমি প্রহার করিও না।
১০। কর্তার বচন অনুসারে ক্রিয়া পদের অনুরূপ تَصْرِيف বা রূপান্তর হওয়া। যথাঃ ضَرَبَ – ضَرَبَا – ضَرَبُوا ইত্যাদি।
اسم অথবা فعل এর যে ধরণের আলামত চিহ্ন আছে حرف এর বেলায় সে ধরণের কোন চিহ্ন নাই। তবে একটি কথা মনে রাখিতে হইবে যে, اسم বা فعل এর চিহ্নগুলির কোনটাই এর পূর্বে বা পরে ব্যবহার হইবে না। সুতরাং কোন কালিমায় اسم ও فعل এর কোন চিহ্ন বিদ্যমান না থাকাই উহার অব্যয় হওয়ার নিদর্শন বলিয়া ধরিয়া লাওয়া হয়। যথা مِنْ – হইতে, عَلَىٰ – উপরে, إِلَىٰ – পর্যন্ত, ইত্যাদি।
আরবী ভাষায় ব্যবহৃত শব্দাবলী শেষাক্ষরে পরিবর্তন সাধন হওয়ার বিষয় দুই প্রকার। যথাঃ
১। معرب (মু’রাব) বা কারক চিহ্ন যোগে পরিবর্তনশীল এবং
২। مَبْنِى (মাবনী) অপরিবর্তনীয়।
معرب (মু’রাব) এর সংজ্ঞাঃ আরবী বাক্য গঠনে বিভিন্ন অবস্থায় كَلِمَةٌ এর শেষ অক্ষের হরকত নানান রকম হয়। আর যে কারণে এই হরকত পরিবর্তন হয় তাকে عامل বলে। হরকতগুলো যথাঃ যুম্মাহ, ফাতাহ, কাসরাহ কে اعراب বলে। আর যে অক্ষরের উপর اعراب বসে তাকে مهل اعراب বলে। আর যে শব্দের শেষ অক্ষর عامل অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের اعراب গ্রহণ করে সেই শব্দ কে معرب বলে। যথাঃ ১। (কর্তৃ কারক অবস্থায়) جَاءَ زَيْدٌ – যায়েদ আসিল, ২। (কর্ম কারক অবস্থায়) رَأَيْتُ زَيْدًا – আমি যায়েদকে দেখিলাম, ৩। (সম্বন্ধ পদে অবস্থায়) مَرَرْتُ بِزَيْدٍ – আমি যায়েদের সহিত গিলাম, ইত্যাদি।
যে কালিমা অন্য কোন কালিমাকে হরকত দেয় তাহাকে عَامِل বা পরিচালিক শক্তি বলে। এই পরিচালিকা শক্তি অর্থাৎ عَامِل হইবার কারণে পরবর্তী পদের যে অক্ষরে اعراب (কারক চিহ্ন) হয় সে স্থানকে محل اعراب বা “কারক চিহ্ন ব্যবহারের স্থান” বালা হয়। উপরের উদাহরণ লক্ষ্য করিয়া দেখ বাক্যের প্রথমে جَاءَ এবং رَأَيْتُ শব্দদ্বয় عامل এবং ইহারা زَيْدٌ (জায়দুন) اسم বা পদটিকে যম্মাহ বা পেশ ও ফাতাহ জবর দিয়াছে। এখানে زَيْدٌ শব্দটি معرب বা পরিবর্তণীয় এবং যম্মাহ ও ফাতাহ হইল اعراب (এ’রাব) বা কারক চিহ্ন। আর زَيْدٌ এর শেষ বর্ণ دال (দাল) হইতেছে محلّ اعراب (মহল্লে এ’রাব) কারক চিহ্ন ব্যবহারের স্থান।
مبنى (মাবনী) এর সংজ্ঞাঃ مبنى সেই পদকে বলা হয় যাহার শেষে عامل বা পরিচালিকা শক্তির কারণে পদের শেষ অক্ষরের اعراب বা কারক চিহ্নের কোন প্রকার পরিবর্তন হয় না বরং সর্বদা একই থাকে। অর্থাৎ যম্মাহ অথবা ফাহার স্থানের কাসরা হয় না বা অন্য যে কোন اعراب এর অবস্থার পরিবর্তন হয় না- উহাকে مبنى বলে। যথাঃ هَٰؤُلَآءِ (হা-উলায়ে) ইহার কাসরা, ফাতাহ ও যম্মাহ সব সময় একই থাকে, عامل (আমিল) এর কারণে (এরাব) পরিবর্তন হয় না। উদাহরণঃ ১। (কর্তৃ কারক অবস্থায়) جَآءَ هَٰؤُلَآءِ – আমার নিকটে তাহারা আসিল, ২। (কর্ম কারক অবস্থায়) رَأَيْتُ هَٰؤُلَآءِ – আমি তাহাদের দেখিলাম, ৩। (সম্বন্ধ পদে অবস্থায়) مَرَرْتُ بِهَٰؤُلَآءِ – আমি ইহাদের সঙ্গে গিলাম ইত্যাদি।
مُعْرَبْ এবং مَبْنِى কি তাহা পূর্বেই আলোচনা করা হইয়াছে। এখন পর্যায়ক্রমে مُعْرَبْ ও مَبْنِى এর শ্রেণী বিভাগসহ পরিচয় আলোচনা করা হইতেছে।
০১। আরবী ভাষায় যতপ্রকার حَرْف বা অব্যয় আছে সবই مَبْنِى এর অন্তর্ভূক্ত। কারণ حَرْف কখনও إِعْرَاب গ্রহণ করে না। ফলে ইহা مُسْنَد অথবা مُسْنَد إِلَيْه এবং مًضَاق অথবা مُضَاف إِلَيْه কোনটাই হয় না।
০২। فِعْل এর মধ্যে নিম্ন লিখিত فِعْل সমূহ مَبْنِى এর অন্তর্ভূক্ত। যথা-
(ক) فِعْل مَاضِى অতীতকালীন ক্রিয়া সমূহ।
(খ) أَمْر حَاضِر مَعْرُوف এর মধ্যম পুরুষ ক্রিয়া সমূহ।
(গ) نَحِى حَاضِير مَعْرُوف এর মধ্যম পুরুষ ক্রিয়া সমূহ।
(ঘ) فِعْل مُضَارِع এর ঐ সব শব্দ সমূহ যা نُونٌ جَمْعٌ مُؤَنَّثٌ এবং نُونٌ تَاكِيدٌ নূন সমূহ।
০৩। إِسْمٌ غَيْرٌ مُتَمَكِّنٌ যথা- إِسْمٌ ظَرْفٌ ও إِسْمٌ مَوْصُولَةٌ এবং إِسْمٌ إِشَارَةٌ এগুলো যেহেতু إِسْمٌ غَيْرٌ مُتَمَكِّنٌ সেহেতু ইহারা সবগুলিই مَبْنِى এর অন্তর্ভূক্ত।
জ্ঞতব্যঃ উপরোক্ত বিষয়গুলির মধ্যে جُمْلَة حَرْف এবং فِعْل مَاضِى ও أَمْر حَاضِر مَعْرُوف এই তিনটিকে مَبْنِى أَصْل বলা হয়। এই তিন প্রকার শব্দগুলি مَبْنِى أَصْل বা মৌলিক ভাবে অপরিতর্তনীয়।
০১। إِسْم مُتَمَكِّن ঐ সকল إِسْم বা বিশেষ্য কে বলে যাহা مَبْنِى أَصْل এর সাথে مُشَابَه বা সাদৃশ্য রাখে না। যথাঃ رَجُلٌ، زَيْدٌ ইত্যাদি। এই সব إِسْم যখন কোন عَامِل এর সাথে ব্যবহার হয় তখন উহারা مُعْرَب হইবে।
০২। فِعْل مُضَارِع এর সীগাহগুলি মু’রাব তবে শর্ত এই যে, উহা نُون جَمْع مُؤَنَّث এবং نُون تَاكِيد হইতে মুক্ত হইতে হবে। মনে রাখিবেঃ এই দুই প্রকার مُعْرَب ব্যতীত আরবী ভাষায় আর কোন مُعْرَب নাই। অবশিষ্ট সমস্ত শব্দই مَبْنِى ।
إِسْم مُتَمَكِّن ইরাব পরিবর্তনশীল বিশেষ্যঃ
إِسْم مُتَمَكِّن এর সংজ্ঞাঃ যে إِسْم বা বিশেষ্য مَبْنِى أَصْل এর সাথে সম্পর্ক রাখে না তাকে إِسْم مُتَمَكِّن বলে। যথাঃ رَجُلٌ، زَيْدٌ ইত্যাদি।
إٍسْم غَيْر مُتَمَكِّن ইরাব অপরিবর্তনশীল বিশেষ্যঃ
إٍسْم غَيْر مُتَمَكِّن এর সংজ্ঞাঃ যে إِسْم বা বিশেষ্য مَبْنِى أَصْل এর সাথে সাদৃশ্য বা সম্পর্ক রাখে তাকে إِسْم غَيْر مُتَمَكِّن বলে। যথা- ذَٰلِكَ، هَٰذَٰ، أَنْتَ
মনে রাখিবেঃ مَبْنِى أَصْل বা মৌলিকভাবে অপরিবর্তণীয় শব্দাবলী তিন প্রকারঃ (১) فِعْل مَاضِى বা অতীতকালীন ক্রিয়া সমূহ, (২) أَمْر حَاضِر مَعْرُوف বা আদেশ সূচক মধ্যম পুরুষ কর্তৃবাচ্য এবং (৩) حَرْف বা সকল প্রকার অব্যয় সমূহ।
সংজ্ঞাঃ যে إِسْم (ইসম) مَبْنِى أَصْل এর সাথে مُشَابَة বা সাদৃশ্য মূলক সামঞ্জস্য রাখে তাহাকে إٍسْم غَيْر مُتَمَكِّن বলে। ইহাও মাবনীর অন্তর্ভূক্ত। ইহা মোট আট প্রকার। এই ৮টি বিষয় নিম্নে আলাদা ভাবে আলোচনা করা হইতেছে।
০১। مُضَمَرَات বা সকল প্রকার সর্বনাম সমূহ। যথাঃ أَنَا – আমি, ضَرَبْتُ – আমি প্রহার করিলাম, ইত্যাদি। এই সর্বনামগুলি ক্রিয়া ও কর্তার সহিত সম্পর্ক রাখে।
০২। أَسْمَاءُ الْإِشَارَة বা ইঙ্গিতসূচক সর্বনাম।
০৩। أَسْمَاءُ الْمَوْصُولَة সম্বন্ধসূচক সর্বনাম।
০৪। أَسْمَاءُالْأَفْعَال ক্রিয়াসূচক সর্বনাম।
০৫। أَسْمَاءُ الْأَصْوَات ধ্বনিসূচক সর্বনাম।
০৬। أَسْمَاءُ الضَّرْف وَ الزَّمَانِ স্থান বা কালবাচক সর্বনাম।
০৭। أَسْمَاءُ الْكِنَايَة পরোক্ষ ইঙ্গিতসূচক সর্বনাম। যথাঃ ذَيْتَ -كَيْتَ
০৮। مُرَكَّبِ بِنَائِ অপরিবর্তনীয় যৌগিক বাক্যাংশ।
নিম্নে উপরের বিষয়গুলি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হইল। প্রথমে مُضْمَرَات বা সর্বনাম প্রসঙ্গে আলোচনা করা হইবে।
সংঙ্গাঃ اسم বা বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে كلمه বা পদ ব্যবহার করা হয় তাহাকে ضمير (জমির) বলে। মনে রাখিবে বাংলায় ইহাকে সর্বনাম বলে। যথাঃ هُوَ – সে, أَنَا – আমি, أَنْتَ – তুমি, ইত্যাদি। আরবীতে مضمرات পাঁচ প্রোকার। যথাঃ
০১। ضَمَائِرِ مَرْفُوعْ مُتَّصِل – (জমায়েরে মারফু মুত্তাছিল) বা কর্তৃকারক সংযুক্ত সর্বনাম বলে। অর্থাৎ এগুলি ক্রিয়াপদের সহিত মিলিত হইয়া ব্যাবহৃত হয়।
০২। ضَمَائِرِ مَرْفُوعْ مُنْفَصِل – (জমায়েরে মরফু মুনফাছিল) বা কর্তৃকারকে পৃথক সর্বনাম। অর্থাৎ এইগুলি فعل বা ক্রিয়াপদের সাথে মিলিত না হয়ে বরং পৃথক ভাবে ব্যবহার হয়।
০৩। ضَمَائِرِ مَنْصُوب مُتَّصِل – (জমায়েরে মানছুব মুত্তাছিল) বা কর্মকারকে সংযুক্তসর্বনাম। অর্থাৎ এইগুলির ব্যবহার فعل বা ক্রিয়াপদের সহিত সংযুক্ত অবস্থায় হয়।
০৪। ضَمَائِرِ مَنْصُوب مُنْفَصِل – (জমায়েরে মানছুব মুনফাসিল) বা কর্মকারক পৃথক সর্বনাম। অর্থাৎ এগুলি فعل বা ক্রিয়াপদের সহিত মিলিত না হয়ে পৃথক ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
০৫। ضَمَائِرِ مَجْرُور مُتَّصِل – (জামায়েরে মাজরুর মুত্তাছিল) বা সম্বন্ধ পদে সংযুক্ত সর্বনাম। অর্থাৎ এইগুলি حرف বা اسم এর সহিত ব্যবহার হইবে।
মনে রাখিবেঃ فِعْل এর রূপান্তর কালে ১৪ টি ছিগা বা শব্দরূপ হয় যা মিজান ও মুনশা‘আবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে প্রত্যেক প্রকার ضَمِير বা সর্বনামেরও ১৪ টি করিয়া সতন্ত্র ছিগাহ বা শব্দরূপ আছে। তাই নিম্নে পাঁচ প্রকার ضَمِير এর প্রত্যেকটির ১৪ টি ছিগা হিসাবে মোট ৭০ টি ছিগার বিস্তারিত বিবরণ তুলিয়া ধরা হইয়াছে।
সংজ্ঞাঃ যে সকল ضَمِير বা সর্বনাম فِعْل এর সাথে একত্রে থাকে তাকে ضَمِير مُتَّصِلْ বলে। فِعْل গুলির সাথে সংযুক্ত ضَمِير গুলি আসলে উক্ত فِعْل এর فَاعِل বা কর্তা। এই ভাবে فِعْل এর সহিত ضَمِير গুলি যখন فَاعِل এর সাথে প্রাকাশ বা অপ্রকাশ ভাবে সংশ্লিষ্ট হয়, তখন উহাকে ضَمِير مَرْفُوع مُتَّصِل বলে। ইহা দুই প্রকারঃ (১) بَارِزٌ বা ظَاهِرٌ – প্রকাশ্য, (২) مستتر বা مخفى – উহ্য। নিম্নে ضَرْبٌ শব্দটির প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ১৪ টি ছিগা বা শব্দরূপ فعل ماضى বা অতীত কালীন ক্রিয়াতে রূপান্তর করা হইয়াছে।
ضَمِير مَرْفُوع مُتَّصِل রূপান্তর | উচ্চারণ | উহ্য ضَمِير | অর্থ | পূর্ণ অর্থ | عَدَد |
---|---|---|---|---|---|
غَائِب এর مُذَكَّر এর ৩টি | |||||
ضَرَبَ | যা’রাবা | উহ্য هُوَ | সে/তিনি (১ জন পুং) | সে (১ জন পুং) প্রহার করল | وَحِد |
ضَرَبَا | যা’রাবা- | উহ্য هُمَا | তাহারা (২ জন পুং) | তাহারা (২জন পুং) প্রহার করল | تَثْنِيَة |
ضَرَبُوا | যা’রাবূ | উহ্য هُمْ | তাহারা (সকল পুং) | তাহারা (সকল পুং) প্রহার করল | جَمْع |
غَائِب এর مُؤَنَّث এর ৩টি | |||||
ضَرَبَتْ | যা’রাবাত | উহ্য هِىَ | সে/তিনি (১ জন স্ত্রী) | সে (১ জন স্ত্রী) প্রহার করল | وَحِد |
ضَرَبَتَا | যা’রাবাতা- | উহ্য هُمَا | তাহারা (২ জন স্ত্রী) | তাহারা (২ জন স্ত্রী) প্রহার করল | تَثْنِيَة |
ضَرَبْنَ | যা’রাবনা | উহ্য هُنَّ | তাহারা (সকল স্ত্রী) | তাহারা (সকল স্ত্রী) প্রহার করল | جَمْع |
حَاضِر এর مُذَكَّر এর ৩টি | |||||
ضَرَبْتَ | যা’রাবতা | উহ্য أَنْتَ | তুমি (১ জন পুং) | তুমি (১ জন পুং) প্রহার করলে | وَحِد |
ضَرَبْتُمَا | যা’রাবতুমা | উহ্য أَنْتُمَا | তোমরা (২জন পুং) | তোমরা (২জন পুং) প্রহার করলে | تَثْنِيَة |
ضَرَبْتُمْ | যা’রাবতুম | উহ্য أَنْتُمْ | তোমরা (সকল পং) | তোমরা (সকল পং) প্রহার করলে | جَمْع |
حَاضِر এর مُؤَنَّث এর ৩টি | |||||
ضَرَبْتِ | যা’রাবতি | উহ্য أَنْتِ | তুমি (১ জন স্ত্রী) | তুমি (১ জন স্ত্রী) প্রহার করলে | وَحِد |
ضَرَبْتُمَا | যা’রাবতুমা- | উহ্য أَنْتُمَا | তোমরা (২ জন স্ত্রী) | তোমরা (২জন স্ত্রী) প্রহার করলে | تَثْنِيَة |
ضَرَبْتُنَّ | যা’রাবতুন্না | উহ্য أَنْتُنَّ | তোমরা (সকল স্ত্রী) | তোমরা (সকল স্ত্রী) প্রহার করলে | جَمْع |
مُتَكَلِّم এর مُذَكَّر/مُؤَنَّث এর ২টি | |||||
ضَرَبْتُ | যা’রাবতু | উহ্য أَنَا | আমি (১ জন স্ত্রী/পুরুষ) | আমি (১ জন স্ত্রী/পুরুষ) প্রহার করলাম | وَحِد |
ضَرَبْنَا | যা’রবনা- | উহ্য نَحْنُ | আমরা (২জন/সকল পুরুষ/স্ত্রী) | আমরা (২জন/সকল পুরুষ/স্ত্রী) প্রহার করলাম | تَثْنِيَة/جُمْع |
সংজ্ঞাঃ যে সকল ضَمِير বা সর্বনাম فِعْل বা ক্রিয়াপদের সাথে একত্রিত না হইয়া বরং পৃথক ভাবে থাকে তাহাকে ضَمِير مُنْفَصِل বলে। যখন বাক্যে فعل – গুলির সাথে ضَمِير গুলি পৃথক ভাবে থাকে তখন উক্ত ضَمِير গুলি فعل গুলির فَاعِل বা কর্তা রূপে থাকে। যেমনঃ جَآءَ ذَيْدٌ وَهُوَ كَتَبَ ইত্যাদি। আবার যখন বাক্যে ضَمِير গুলি فعل -এর সাথে সংযুক্তি ছাড়া অন্য পদের সাথে হয় তখন ঐ ضَمِير গুলি مُبْتَدَا বা উদ্দেশ্যের রূপে থেকে এবং تَرْكِيب হিসাবে مُبْتَدا -ই হয়ে থাকে। যেমনঃ هُوَ عَالِمٌ – তিনি আলিম। এখন দেখা যাচ্ছ এই ضَمِير গুলি সব সময় فاعل অথবা مُبْتَدا রূপে থাকে। এই জন্য এই ضَمِير গুলিকে ضَمِير مَرْفُوع مُنْفَصِل বা কর্তৃকারকে পৃথক সর্বনান বলা হয়ে থাকে। নিম্নের উদাহরণ গুলো লক্ষ্য কর।
ضَمَائِرِ مَرْفُوع مُنْفَصِل এর রূপান্তর |
উচ্চারণ | বাংলা অর্থ | عَدَد – বচন |
---|---|---|---|
مُذَكَّر – পুং লিঙ্গ, غَائِب – নামপুরুষ এর ৩টি সীগাহ | |||
هُوَ | হুয়া | সে/তিনি (১জন পুং) | وَاحد |
هُمَا | হুমা | তাহারা (২ জন পুং) | تَثْنِيَة |
هُمْ | হুম | তাহারা (সকল পুং) | جَمْع |
مُؤَنَّث – স্ত্রী লিঙ্গ, غَائِب – নামপুরুষ এর ৩টি সীগাহ | |||
هِىَ | হিয়া | সে/তিনি (১জন স্ত্রী) | وَاحد |
هُمَا | হুমা | তাহারা (২ জন স্ত্রী) | تَثْنِيَة |
هُنَّ | হুন্না | তাহারা (সকল স্ত্রী) | جَمْع |
مُذَكَّر – পুং লিঙ্গ, حَاضِى – মধ্যম পুরুষ এর ৩টি সীগাহ | |||
أَنْتَ | আন্তা | তুমি/আপনি (১জন পুং) | وَاحد |
أَنْتُمَا | আন্তুমা | তোমরা/আপনারা (২ জন পুং) | تَثْنِيَة |
أَنْتُمْ | আনতুম | তোমরা/আপনারা (সকল পুং) | جَمْع |
مُؤَنَّث – স্ত্রী লিঙ্গ, حَاضِى – মধ্যম পুরুষ এর ৩টি সীগাহ | |||
أَنْتِ | আন্তি | তুমি/আপনি (১জন স্ত্রী) | وَاحد |
أَنْتُمَا | আন্তুমা | তোমরা/আপনারা (২ জন স্ত্রী) | تَثْنِيَة |
أَنْتُنَّ | আন্তুন্না | তোমরা/আপনারা (সকল স্ত্রী) | جَمْع |
مُذَكَّر/مُؤَنَّث – পুং লিঙ্গ/স্ত্রী, مُتَكَلِّم – উত্তমপুরুষ এর ২টি সীগাহ | |||
أَنَا | আনা | আমি (১ জন পুং/স্ত্রী) | وَاحِد |
نَحْنُ | নাহ্নু | আমরা (২ জন/সকল পুং/স্ত্রী) | تَثْنِيَة/جَمْع |
সংজ্ঞাঃ যে সকল ضَمِير বা সর্বনাম فِعْل বা ক্রিয়া পদের সহিত একত্র হইয়া বাক্যে ব্যবহার হয় তাহাকে ضَمِير مُتَّصِل বলে। যখন ইহা فِعْل এর সাথে মিলিত হইয়া ব্যবহৃত হয় তখন এই ضَمِير গুলি উক্ত فِعْل গুলির مَفْعُول بِهِ বা কর্মকারক রূপেই ব্যবহৃত হয়। যথা – ضَرَبَهُ زَيْدٌ যায়েদ তাহাকে প্রহার করিল। এই ভাবে মিলিত فِعْل এর ضَمِير কে ضَمِير مَنْصُوب مُتَّصِل বলে। এটাকে গুছিয়ে এক সাথে বললে সংঙ্গা এমন হয়ঃ “যে সকল ضَمِير বা সর্বনাম যখন فِعْل বা ক্রিয়া পদের সহিত একত্র হইয়া বাক্যে مَفْعُول بِهِ বা কর্মকারক অবস্থায় থাকে তখন তাহাকে ضَمِير مَنْصُوب مُتَّصِل বলে।” এই ধরণের ضَمِير মাঝে মাঝে اَلْحَرْف الْمُشَبَه بالفعل এর সাথেও একত্রিত হয়। এবং তখন উহা আকারে ضَمِير مَنْصُوب مُتَّصِل এর মত হইলেও অর্থের দিক দিয়া ضَمِير مَرْفُو مُنْفَصل এর মত হয়। যথাঃ إِنَّهُ حَسِينَه – নিশ্চয়ই সে হাসিনা। নিম্নে ضَرْبٌ পদ দ্বারা গঠিত অতীত কালীন ক্রিয়ায় ইহার ১৪টি সীগাহ বা শব্দ রূপ লক্ষ্য কর।
ضَمَائِر مَنْصُوب مُتَّصِل এর রূপান্তর |
উচ্চারণ | চিহ্ন | চিহ্নের অর্থ | পূর্ণ অর্থ | عَدد |
---|---|---|---|---|---|
غَائِب এর مُذَكَّر এর ৩ টি সীগাহ | |||||
ضَرَبَهُ | য’রাবাহূ | هُ | তাহাকে (১ জন পুং) | সে তাহাকে (১ জন পুং) মারিল | واحد |
ضَرَبَهُمَا | য’রাবাহুমা | هُمَا | তাহাদেরকে (২জন পুং) | সে তাহাদেরকে (২ জন পুং) মারিল | تثنية |
ضَرَبَهُمْ | য’রাবাহুম | هُمْ | তাহাদেরকে (সকল পুং) | সে তাহাদেরকে (সকল পুং) মারিল | جمع |
غَائِب এর مُؤَنَّث এর ৩টি সীগাহ | |||||
ضَرَبَهَا | য’রাবাহা | هَا | তাহাকে (১ জন স্ত্রী) | সে তাহাকে (১ জন স্ত্রী) মারিল | واحد |
ضَرَبَهُمَا | য’রাবাহুমা | هُمَا | তাহাদেরকে (২জন স্ত্রী) | সে তাহাদের (২ জন স্ত্রী) কে মারিল | تثنية |
ضَرَبَهُنَّ | য’রাবাহুন্না | هُنَّ | তাহাদেরকে (সকল স্ত্রী) | সে তাহাদের (সকল স্ত্রী) কে মারিল | جمع |
حَاضِر এর مُذَكَّر এর ৩টি সীগাহ | |||||
ضَرَبَكَ | য’রাবাকা | كَ | তোমাকে (১ জন পুং) | সে তোমাকে (১ জন পুং) মারিল | واحد |
ضَرَبَكُمَا | য’রাবাকুমা | كُمَا | তোমাদেরকে (২জন পুং) | সে তোমাদেরকে (২ জন পুং) মারিল | تثنية |
ضَرَبَكُمْ | য’রাবাকুম | كُمْ | তোমাদেরকে (সকল পুং) | সে তোমাদেরকে (সকল পুং) মারিল | جمع |
حَاضِر এর مُؤَنَّث এর ৩টি সীগাহ | |||||
ضَرَبَكِ | য’রাবাকি | كِ | তোমাকে (১ জন স্ত্রী) | সে তোমাকে (১ জন স্ত্রী) মারিল | واحد |
ضَرَبَكُمَا | য’রাবাকুমা | كُمَا | তোমাদেরকে (২জন স্ত্রী) | সে তোমাদের (২জন স্ত্রী) কে মারিল | تثنية |
ضَرَبَكُنَّ | য’রাবাকুন্না | كُنَّ | তোমাদেরকে (সকল স্ত্রী) | সে তোমাদেরকে (সকল স্ত্রী) মারিল | جمع |
مُتَكَلِّم এর مُذَكَّر/مُؤَنَّث এর ২টি সীগাহ | |||||
ضَرَبَنِى | য’রাবানী | نِى | আমাকে (১ জন পুং/স্ত্রী) | সে আমাকে (১ জন পুং/স্ত্রী) মারিল | واحد |
ضَرَبَنَا | য’রাবানা | نَا | আমাদেরকে (২/সকল পুং/স্ত্রী) | সে আমাদেরকে (২/সকল পুং/স্ত্রী) মারিল | تثنية/جمع |
সংজ্ঞাঃ যে সকল ضَمِير বা সর্বনাম فِعْل বা ক্রিয়াপদের সাথে একত্র না হইয়া বরং পৃথক ভাবে বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে مَفْعُول بِه বা কর্মকারকের রূপ ধারণ করে তখন উহাকে ضَمِير مَنْصُوب مُنْفَصِل বলে। যেমনঃ إِيَّاكَ نَعْبُدُ – আমরা কেবল আপনারই উপসনা করিতেছি। زَيْدٌ نَصَرَ الْيَوْمَ إِيَّاهُ – যায়েদ অদ্য তাহাকেই সাহায্য করিল। এখানে إِيَّاكَ এবং إِيَّاهُ শব্দ দ্বয় ضَمِير مَنْصُوب مُنْفَصِل বা কর্মকারকে পৃথক সর্বনাম। নিম্নের ছকে ضَمِير مَنْصُوب مُنْفَصِل এর ১৪ টি ছিগা দেখান হলো।
ضَمَائِر مَنْصُوب مُنْفَصِل এর রূপান্তর |
উচ্চারণ | চিহ্ন | চিহ্নের অর্থ | পূর্ণ অর্থ | عَدد |
---|---|---|---|---|---|
غَائِب এর مُذَكَّر এর ৩টি সীগাহ | |||||
إِيَّاهُ | ইয়্যাহূ | هُ | তাহাকে (১ জন পুং) | তাহাকেই (১ জন পুং) | واحد |
إِيَّاهُمَا | ইয়্যাহুমা | هُمَا | তাহাদেরকে (২ জন পুং) | তাহাদেরকেই (২ জন পুং) | تثنية |
إِيَّاهُمْ | ইয়্যাহুম | هُمْ | তাহাদেরকে (সকল পুং) | তাহাদেরকেই (সকল পুং) | جمع |
غَائِب এর مُؤَنَّث এর ৩টি সীগাহ | |||||
إِيَّاهَا | ইয়্যাহা | هَا | তাহাকে (১ জন স্ত্রী) | তাহাকেই (১ জন স্ত্রী) | واحد |
إِيَّاهُمَا | ইয়্যাহুমা | هُمَا | তাহাদেরকে (২ জন স্ত্রী) | তাহাদেরকেই (২ জন স্ত্রী) | تثنية |
إِيَّاهُنَّ | ইয়্যা হুন্না | هُنَّ | তাহাদেরকে (সকল স্ত্রী) | তাহাদেরকেই (সকল স্ত্রী) | جمع |
حَاضِر এর مُذَكَّر এর ৩টি সীগাহ | |||||
إِيَّاكَ | ইয়্যাকা | كَ | তোমাকে (১ জন পুং) | তোমাকেই (১ জন পুং) | واحد |
إِيَّاكُمَا | ইয়্যাকুমা | كُمَا | তোমাদেরকে (২ জন পুং) | তোমাদেরকেই (২ জন পুং) | تثنية |
إِيَّاكُمْ | ইয়্যাকুম | كُمْ | তোমাদেরকে (সকল পুং) | তোমাদেরকেই (সকল পুং) | جمع |
حَاضِر এর مُؤَنَّث এর ৩টি সীগাহ | |||||
إِيَّاكِ | ইয়্যাকি | كِ | তোমাকে (১ জন স্ত্রী) | তোমাকেই (১ জন স্ত্রী) | واحد |
إِيَّاكُمَا | ইয়্যাকুমা | كُمَا | তোমাদেরকে (২ জন স্ত্রী) | তোমাদেরকেই (২ জন স্ত্রী) | تثنية |
إِيَّاكُنَّ | ইয়্যাকুন্না | كُنَّ | তোমাদেরকে (সকল স্ত্রী) | তোমাদেরকেকেই (সকল স্ত্রী) | جمع |
مُتَكَلِّم এর مُذَكَّر/مُؤَنَّث এর ২টি সীগাহ | |||||
إِيَّاىَ | ইয়্যায়া | يَ | আমাকে (১ জন পুং/স্ত্রী) | আমাকেই (১ জন পুং/স্ত্রী) | واحد |
إِيَّانَا | ইয়্যানা | نَا | আমাদেরকে (২/সকল পুং/স্ত্রী) | আমাদেরকেই (২/সকল পুং/স্ত্রী) | تثنية/جمع |
সংজ্ঞাঃ যে সকল ضَمِير সম্বন্ধ পদের পরিবর্তে সম্বন্ধিত পদের সহিত হইয়া ব্যবহৃত হয় সেই গুলিকে ضَمِير مَجْرُور مُتَّصِل বলে। তবে স্বতন্ত্র ভাবে এই গুলি একটি ل এর সহিত ব্যবহৃত হয় বলিয়া ইহার অর্থ ‘জন্য’ বা ‘আছে’ অর্থ উহ্য থাকে। এই য’মীর গুলি إِسْم ও حَرْف جَر এর শেষে যুক্ত হইয়া থাকে। যথা- قَلَمُهُ – তাহার কলম, لَهُ – তাহার আছে বা لَكَ – তোমার ইত্যাদি।
ضَمَائِر مَجْرُور مُتَّصِل এর রূপান্তর |
উচ্চারণ | চিহ্ন | চিহ্নের অর্থ | পূর্ণ অর্থ | عَدد |
---|---|---|---|---|---|
غَائِب এর مُذَكَّر এর ৩টি সীগাহ | |||||
لَهُ | লাহূ | هُ | তাহার (১ জন পুং) | তাহার (১ জন পুং) আছে | واحد |
لَهُمَا | লাহুমা | هُمَا | তাহাদের (২জন পুং) | তাহাদের (২ জন পুং) আছে | تثنية |
لَهُمْ | লাহুম | هُمْ | তাহাদের (সকল পুং) | তাহাদের (সকল পুং) আছে | جمع |
غَائِب এর مُؤَنَّث এর ৩টি সীগাহ | |||||
لَهَا | লাহা | هَا | তাহার (১ জন স্ত্রী) | তাহার (১ জন স্ত্রী) আছে | واحد |
لَهُمَا | লাহুমা | هُمَا | তাহাদের (২ জন স্ত্রী) | তাহাদের (২ জন স্ত্রী) আছে | تثنية |
لَهُنَّ | লাহুন্না | هُنَّ | তাহাদের (সকল স্ত্রী) | তাহাদের (সকল স্ত্রী) আছে | جمع |
حَاضِر এর مُذَكَّر এর ৩টি সীগাহ | |||||
لَكَ | লাকা | كَ | তোমার (১ জন পুং) | তোমার (১ জন পুং) আছে | واحد |
لَكُمَا | লাকুমা | كُمَا | তোমাদের (২ জন পুং) | তোমাদের (২ জন পুং) আছে | تثنية |
لَكُمْ | লাকুম | كُمْ | তোমাদের (সকল পুং) | তোমাদের (সকল পুং) আছে | جمع |
حَاضِر এর مُؤَنَّث এর ৩টি সীগাহ | |||||
لَكِ | লাকি | كِ | তোমার (১ জন স্ত্রী) | তোমার (১ জন স্ত্রী) আছে | واحد |
لَكُمَا | লাকুমা | كُمَا | তোমাদের (২ জন স্ত্রী) | তোমাদের (২ জন স্ত্রী) আছে | تثنية |
لَكُنَّ | লাকুন্না | كُنَّ | তোমাদের (সকল স্ত্রী) | তোমাদের (সকল স্ত্রী) আছে | جمع |
مُتَكَلِّم এর مُذَكَّر/مُؤَنَّث এর ২টি সীগাহ | |||||
لِى | লী | يَ | আমার (১ জন পুং/স্ত্রী) | আমার (১ জন পুং/স্ত্রী) আছে | واحد |
لَنَا | লানা | نَا | আমাদের (২ জন/সকল পুং/স্ত্রী) | আমাদের ( ২ জন/সকল পুং/স্ত্রী) আছে | تثنية/جمع |
সংজ্ঞাঃ যে সকল পদ দ্বারা সাধারণতঃ নিকটে لِلْقَرِيب অথবা দূরের لِلْبَعِيد কোন ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি নির্দেশ অথবা ইঙ্গিত করা হয় বা কাছের ও দূরের কিছু বুঝায়, উহাদেরকে إِسْم إِشَارَة বলে। ذَا – এই/ইহা (একজন পুরুষ) ذَانِ – ذَيْنِ – এইগুলি/ইহারা (তাহারা দুইজন পুরুষ), تِهِى – ذِهِى – ذِهْ – تِهْ – تِى – تَا – এই/ইহা (সে একজন স্ত্রী)। اُلَآء – এইগুলি/ইহারা (তাহারা সকল পুরুষ বা স্ত্রী)। উপরোক্ত إِسْم إِشَارَة গুলির সহিত هَاءِ تَنْبِيَه বা অভিহিত করণ মূলক هَاء সংযোগের মাধ্যমে ইহাকে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হইল।
রূপান্তর | উচ্চারণ | পূর্ণ অর্থ | |
---|---|---|---|
لِلْقَرِيب এর مُذَكَّر এর ৩টি সীগাহ | |||
هَٰذَا | হা-যা | এই/ইহা | واحد |
هَٰذَانِ | হা-যানে | এই দুইটি/ইহারা(২) | تثنية |
هَٰؤُلَآءِ | হা-উলা-এ | ইহারা (বহু) | جمع |
لِلْقَرِيب এর مُؤَنَّث এর ৩টি সীগাহ | |||
هَٰذِهِۦ | হা-যিহী | এই/ইহা | واحد |
هَٰتَانِ | হা-তা-নে | এই দুইটি/ইহারা(২) | تثنية |
هَٰؤُلَآءِ | হা-উলা-ই | ইহারা (বহু) | جمع |
لِلْبَعِيد এর مُذَكَّر এর ৩টি সীগাহ | |||
ذَاكَ،ذَٰلِكَ | যা-কা,যা-লিকা | উহা/ঐ | واحد |
ذَالِكَ | যা-লিকা | ঐ দুইটি/উহারা (২) | تثنية |
أُولَٰئِكَ | ঊলা-ইকা | ঐগুলি/উহারা (বহু) | جمع |
لِلْبَعِيد এর مُؤَنَّث এর ৩টি সীগাহ | |||
تَاكَ،تِلْكَ | তা-কা, তিলকা | উহা/ঐ | واحد |
تَانِكَ | তা-নিকা | ঐ দুইটি/উহারা (২) | تثنية |
أُولَٰئِكَ | ঊলা-ইকা | ঐগুলি/উহারা (বহু) | جمع |
সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত ضَمِير বা সর্বনাম দ্বারা কোন বাক্যের অন্তর্গত অন্য কোন পদের সহিত সম্বন্ধ স্থাপন করে তাহাকে أَسْمَء مَوصُولة বা সম্বন্ধবাচক সর্বনাম বলে।
যে শব্দের মাধ্যমে দুইটি পদের মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় তাহাকে আরবীতে صِلَة বলে। অর্থাৎ صِلَة এমন একটি শব্দ যাহা উল্লেখ না করিলে বাক্যের অর্থ পূর্ণ হইবে না এবং উহা অবশ্যই বাক্যের অন্যান্য পদের সহিত সম্বন্ধ স্থাপন করিয়া দিবে।
এ কথা অবশ্যই মনে রাখিবেঃ যে সমস্ত সর্বনাম তাহার صِلَة ছাড়া مُبْتَدَا বা উদ্দেশ্য, خَبْر বা বিধেয়, অথবা فَاعِل বা কর্তা এবং مَفْعُول বা কর্ম কোন কিছুই হয় না তাহাকেই إٍسْم مَوْصُول বলে।
রূপান্তর | উচ্চারণ | অর্থ | عَدَد |
---|---|---|---|
مُذَكَّر পুং লিঙ্গ | |||
ٱلَّذِى | আল্লাযী | যে, যিনি বা যেই | وَاحِد |
ٱلَّذَانِ | আল্লাযানে | যেই দুই জন | تَثْنِيَة |
ٱلَّذَيْنِ | আল্লাযায়নে | যেই দুই জন | |
ٱلَّذِينَ | আল্লাযীনা | যাহারা | جَمْع |
مُؤَنَّث স্ত্রী লিঙ্গ | |||
ٱلَّٰتِى | আল্লাতি | যে, যিনি বা যেই | وَاحِد |
ٱلَّتَانِ | আল্লাতানে | যেই দুই জন | تَثْنِيَة |
ٱلَّتَيْنِ | আল্লাতায়নে | যেই দুই জন | |
ٱلَّاتِى | আল-লাতি | যারা/যাহারা | جَمْع |
ٱلَّوَاتِى | আল্লাওয়াতি | যারা/যাহারা |
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ مَنْ – যে, কে; এবং مَا – যা, যাহা কিছু; শব্দ দুইটিও إِسْم مَوْصُول তে ব্যবহার হয়। مَنْ বিবেক সম্পন্ন প্রাণীর জন্য এবং مَا বিবেক সম্পন্ন এবং বিবেকহীন উভয় প্রকার প্রাণির জন্য ব্যবহার হয়। مَنْ প্রশ্ন করিতেও ব্যবহার হয়। এ সব ছাড়াও নিম্নলিখিত বিষয়গুলি إِسْم مَوْصُول বা সম্বন্ধ সূচক সর্বনাম হইবে। যথাঃ ১) أَنْ কোন পুরুষ ব্যক্তি, ২) إٍسْم فَاعِل বা কর্তৃকারক বিশেষ্য, ৩) أَيَّةٌ কোন স্ত্রীলোক, ৪) إِسْم مَفْعُول বা কর্মকারক বিশেষ্য, ৫) ٱلَّذِى অর্থে ব্যবহৃত আলিফ লাম, এবং ৬) বণী ত্বয় গোত্রের পরিভাষায় ٱلَّذِى ব্যবহৃত ذُو তবে ইহা مُعْرَب হইবে না। কিন্তু ইহাদের মধ্যে أَىٌّ ও أَيَّةٌ মু’রাব হইতে পারে।
সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত ضَمِير দ্বারা فِعْل বা ক্রিয়ার অর্থ প্রকাশ পায় কিন্তু فِعْل মত تَصْرِيف বা রূপান্তর হয় না, এইরূপ শব্দ সমূহকে أَسْمَاءِ أَفْعَال বলে। ইহা প্রদানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ
১। যে সমস্ত ضَمِير (আমর হাজির) বা মধ্যম পুরুষ অনুজ্ঞায় ক্রিয়ার অর্থ প্রদান করিবে। ইহার শব্দ চারটি। যথাঃ
(ক) رُوَيْدَ – সুযোগ দেওয়া। উদাহরণঃ رُوَيْدَ حَالِيمَةَ – তুমি হালিমাকে সুযোগ দাও।
(খ) بَلْهَ – ছাড়িয়া দেওয়া। উদাহরণঃ بَلْهَ حَسِينَة – হাসিনাকে ছাড়িয়া দাও।
(গ) حَيَّهَل – আসা। উদাহরণঃ حَيَّهَلَ الْفَلَاح – তুমি কল্যাণের দিকে আস।
(ঘ) هَلُمَّ – আগমন করা। উদাহরণঃ هَلُمَّ بَيْتَنَا – তুমি আমাদের বড়িতে আসিও।
২। যে সমস্ত ضَمِير বা সর্বনাম فِعْل مَاضِى বা অতীত কালের অর্থ প্রদান করে। ইহার শব্দ দুইটি। যথাঃ
(ক) هَيْهَاتَ – দূরীভূত হইয়াছে। উদাহরণঃ هَيْهَاتَ يَوْمُ الظُّلْمِ – অত্যাচারের দিন শেষ হইয়াছে।
(খ) شَتَّانَ – বিচ্ছিন্ন হইয়াছে। উদাহরণঃ شَتَّانَ حَسِينَة – হাসিনা বিচ্ছিন্ন হইয়াছে।
সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত শব্দ বা ধ্বনির মাধ্যমে মানুষ বা কোন প্রাণীর স্বর বুঝায় অথবা কাহরও আওয়াজ নকল করিবার নিমিত্তে অথবা কাউকে আহবান করিবার জন্য ব্যবাহর করা হয় উহাদেরকে (আসমায়ে আসওয়াত) বা ধ্বনি সূচক সর্বনাম বলে। ইহা প্রধানত ৫টি। যথাঃ
১। أُحْ – أُحْ – এই শব্দুগুলি কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় প্রকাশ পায়।
২। أُفْ – এই শব্দটি মানুষ ব্যথা ও বেদনা পাইলে ধ্বনির মাধ্যমে প্রকাশ করে।
৩। بَخَّ – ইহা আনন্দ বা সন্তুষ্ট প্রকাশ করার জন্য মানুষের মুখ থেকে বের হয়।
৪। نَخَّ – এই শব্দটি সাধারণতঃ আরবদেশে উটকে দাঁড়ানো অবস্থা হইতে বসানোর জন্য ব্যবহার করে।
৫। غَاقَّ – কাকের স্বর।
সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত শব্দ দ্বারা কর্ম সম্পাদনের স্থান বা সময়কে বুঝায় সেগুলিকে إِسْمِ ظَرْف বলে। ইহা দুই ভাবে বিভক্ত। যথাঃ
(ক) أَسْمَاءُ ظَرْفِ الزَّمَانِ – যে সমস্ত শব্দ দ্বারা কোন কর্ম সম্পাদনের কাল বা সময়কে বুঝায়, তাহাকে إِسْم ظَرْف زَمَان বা কালবাচক সর্বনাম বলে। নিম্নে সবগুলো উদাহরণ উল্লেখ করা হইল।
১। إِذْ – যখন। উদাহরণঃ وَ إِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَئِكَةُ إِنِّى جَاعِلٌ فِى الْأَرْضِ خَلِيفَة – যখন আল্লাহ তা’আলা ফিরিস্তাদগণকে বললেন যে, আমি পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি সৃষ্টি করিতে চাই।
২। إِذَا – যখন, যে সময়। উদাহরণঃ إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ – যে সময় আল্লাহর সাহায্য আসিবে।
৩। مَتَٰى – কখন। উদাহরণঃ مَتَٰى سُرِقَ – কখন চুরি হইয়াছে?
৪। كَيْفَ – কেমন, কেমন করিয়া। উদাহরণঃ كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِأَايَٰتِ اللَّهِ – কেমন করিয়া তোমরা আল্লাহর নিদর্শনকে অস্বীকার করিবে?
৫। أَيَّانَ – কবে, কোন সময়। উদাহারণঃ أَيَّانَ مُرْسَاهَا – কবে যাত্রা করিবে?
৬। أَمْسٍ – গতকল্য। উদাহরণঃ جَاءَ رَاشِدٌ بِالْأَمْسِ – রাশিদ গতকল্য গিয়াছে।
৭। مُذْ وَ مُنْذُ – তখন হইতে (সময়ের শুরু)। উদাহরণঃ مَا رَأَيْتُهُۥ مُذْ يَوْمِ الْأَحَدِ – আমি তাহাকে রবিবার হইতে দেখিতেছি না।
৮। قَطُّ – অবশ্যই। ইহা অতীত কালে ব্যবাহার হয়। উদাহরণঃ مَا رَأَيْتُهُۥ قَطٌّ – আমি অবশ্যই তাহাকে দেখি নাই।
৯। عَوْضُ – কখনো। ইহা ভবিষ্যত কালে ব্যবাহার হয়। উদাহরণঃ لَا تُظْلِمْ عَوْضٌ কখনো কাহারও উপর অত্যাচার করিও না।
১০। قَبْلُ – পূর্বে। উদাহরণঃ مِنْ قَبْلُ – তার পূর্বে।
১১। بَعْدُ – পরে। উদাহরণঃ مِنۢ بَعْدُ – তার পরে।
মনে রাখিবেঃ قَبْلُ এবং بَعْدُ তখনই ظَرْف হিসাবে ব্যবহার হইবে যখন এইগুলি সম্বন্ধ পদ হইবে এবং مُضَاف إِلَيْهِ – উদ্দেশ্য مَحْذُف مَعْنَوِى হইবে। অর্থাৎ যখন ইহারা মুযা’ফ রূপে ব্যবহার হয় এবং ইহাদের মুযা’ফ ইলাইহি উহ্য আথচ উদ্দেশ্য হয় এবং তখন ইহারা مَبْنِى হইবে। مَحْذُوف مَعْنوى অর্থ হইতেছে এই যে, যদিও শব্দের দিক দিয়া মুযা’ফ ইলাইহকে হযফ করা হইয়াছে কিন্তু মনে মনে জানা থাকিবে যে مُضاف اليه টি কিভাবে রহিয়াছে।
(খ) أَسْمَاءُ ظَّرْفِ الْمَكَان যে সমস্ত সর্বনাম দ্বারা কর্ম বা ক্রিয়া সম্পাদন করার স্থান বুঝায়, তাহাকে إِسْمِ مَكَان বলে। নিম্ন লিখিত শব্দগুলি দ্বারা স্থান বাচক সর্বনাম নির্ণয় করা হয়। যথাঃ
১। حَيْثُ – যেথায়, যে স্থানে।
২। قُدَّامُ – সামনে, সম্মুখে, আগে।
৩। تَحْتُ – নিচে, নিম্নে বা নিম্নদেশে।
৪। فَوْقُ – উপরে, উর্দ্ধে।
মনে রাখিবেঃ যখন ইহারা مُضَاف হয় এবং مُضَاف إِلَيْه (মুজাফ ইলাইহি) مَحْذُوفِ مَعْنَوِى (মাহযুফে মা’নবী) হয় তখন ইহরা مَبْنِى হইবে।
সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত পদ দ্বারা অনিশ্চিত ও সংশয়িত অর্থ প্রকাশ করে বা অনবধারিতভাবে কোন কিছুর প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করা হয় তাহাকে إِسْمِ كِنَايَة বলে। উদাহরণঃ
০১। كَمْ (কাম) – কত? এই পদ দ্বারা কোন একটি বিষয় বা বস্তুর পরিমাপ বা পরিমাণের প্রতি ইঙ্গিত প্রকাশ পাইতেছে। যথাঃ كَمْ تَاكَا عِنْدَكَ – তোমার নিকট কত টাকা আছে?
০২। كَذَا – এই রূপ, এমন ব্যপার। এই পদ দ্বারা অস্পষ্ট ভাবে কোন বস্তু বা কথা বা কাজের ধরনের প্রতি ইঙ্গিত করা হইতেছে। যথা – كَذَا تَاكَا عِنْدِى – আমার নিকট এমন টাকা আছে।
০৩। كَيْتَ – এই রূপ কথা। এই পদ দ্বারা বক্তা পরোক্ষভাবে কোন কথার ধরনের প্রতি ইঙ্গিত করিতেছে। যথা – صُمْتُ كَيْتَ – আমি এমন রোজা রাখিয়াছি। এই কথায় অস্পষ্টতা বিদ্যমান।
০৪। ذَيْتَ – ঐ ধরনের কথা। এই পদ দ্বারা বক্তা পরোক্ষভাবে কোন কাজটি কি ধারনের ছিল তাহার উত্তর দিতেছে। যথা – صُمْتُ ذَيْتَ – আমি ঐ ধরনের রোজা রাখিয়াছি। এইখানে কথায় অস্পষ্টতা বিরাজ করিতেছে। কেননা, রোজাটি কি ধারনের তাহার কোন উল্লেখ নাই।
সংজ্ঞাঃ مُرَكَّب বলিতে সংযুক্তি বা যৌগিক বুঝায়। مُرَكَّبِ بِنَائى বলিতে এমন দুইটি সংখ্যাবাচক শব্দদ্বয়ের যৌগিক প্রক্রিয়া বুঝায় যাহার মাধ্যমে ঐ দুইটি বিশেষ্য পদ সংযুক্তি হইয়া একটি পদে রূপান্তর হয়। কিন্তু ঐ শব্দ দ্বয়ের মাঝে একটি حَرْفِ عَطْف বা পদ থাকে। যথাঃ أَحَدَ عَشَرَ বা এগার। কিন্তু ইহা মূলত ছিল أَحَدٌ وَّ عَشَرٌ । এখানে و উহ্য হয়ে أَحَدَعَشَرَ হয়েছে। এখানে و অক্ষরটি حَرْفِ عَطْف । এই ভাবে أَحَدَ عَشَرَ হইতে تِسْعَةَ عَشَرَ পর্যন্ত প্রতিটি স্থানেই حَرْفِ عَطْف আছে। এইগুলিকে مُرَكَّبِ بِنَائى বলা হয়।
সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত পদ দ্বারা কোন ব্যক্তি, বস্তু বা অন্য কিছুর নাম গুণ বুঝায় বা প্রকাশ পায় এবং যাহা কালের সাথে সম্পর্ক রাখে না তাহাকে إِسْمٌ বলে। যথাঃ قَلَمٌ، كِتَابٌ ইত্যাদি। আরবী ভাষায় إِسْم কে দুই শ্রণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। যথাঃ
০১। مَعْرِفَةٌ – নির্দিষ্টতা জ্ঞাপক বিশেষ্য। সংজ্ঞাঃ যাহা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে বুঝায়, তাহাকে مَعْرِفَةٌ বলে। সাধারণত نَكِرَةٌ বা অনির্দিষ্ট বিশেষ্যের পূর্বে ال যোগ করিয়া مَعْرِفَةٌ গঠন করা হয় এবং এর শেষ অক্ষরে কখনো তানবীন হয় না। যেমনঃ رَجُلٌ – একটি লোক, হইতে ٱلرَّجُلُ – লোকটি। যে শব্দের পূর্বال থাকে তাহার শেষ অক্ষরে تَنْوِينٌ বসে না, এবং সেই শব্দের প্রথমে লামের নিচে কাসরা বসাইলে উক্ত আলিফটি লোপ পাইবে। যথা ٱلْكِتَابُ – (পুস্তকটি) হইতে لِلْكِتَابُ (পুস্তকটির জন্য)।
০২। نَكِرَةٌ – অনির্দিষ্টতা জ্ঞাপক বিশেষ্য। সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত পদ দ্বারা কোন বস্তু বা ব্যক্তিকে নির্দষ্ট করিয়া না বুঝাইয়া অনির্দিষ্ট ভাবে বুঝায় তাহাকে نَكِرَةٌ বলে। যথাঃ قَلَمٌ একটি কলম, بَكَرَةٌ একটি গাভী ইত্যাদি।
মনে রাখিবেঃ مَعْرِفَةٌ বা নির্দিষ্ট জ্ঞাপক বিশেষ্য পদ ছাড়া বাকী সবই نَكِرَةٌ বা অনির্দিষ্ট জ্ঞাপক বিশেষ্যের আওতায় পড়িবে। এবং এই نَكِرَةٌ পদের শেষ অক্ষরের উপর সব সময় তানবীন হয়।
إِسْم مَعْرِفَة সাত প্রকার। নিম্নে উহাদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হইল।
০১। مُضَمَرَات – সর্বনাম সমূহ। যথা- هُمْ – هُمَا – هُوَ ইত্যাদি।
০২। أَعْلَام – কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর নাম। যেমন- رَفِق (রফিক) حَسِينَ (হাসিনা)
০৩। الْمُعَرَّفُ بِالْلَامِ – আলিফ লাম যোগ করে যে সকল مَعْرِفَة গঠন করা হয়। যথা- الْكِتَابُ – الرَّجُولُ
০৪। أَسْمَاءِ إِشَارَة – ইঙ্গিতবাচক সর্বনাম। যথা- هَٰذَٰ (হা-যা) – ইহা, هَٰذِهِۦ (হা-যিহী) – ইহা (স্ত্রী), ذَٰلِكَ (যা-লিকা)- ঐ।
০৫। إِسْمِ مَوْصُولَة – সম্বন্ধবাচক সর্বনাম। যথা- ٱلَّذِى – যে, ٱلَّتِى – যে (স্ত্রী) ইত্যাদি। إِسْمِ إِشَارَة এবং إِسْمِ مَوْصُول কে مُبْهَمَات বা অস্পষ্ট বিশেষ্যও বলা হয়।
০৬। مَعْرِفَة بِنِدَا – সম্বোধন বা আহবান যোগে নির্দিষ্টতা জ্ঞাপক বিশেষ্য। যথা- يَا حَالِيمَة – হে, হালিমা!
০৭। مَعْرِفَة بِإِضَافَت – সম্বন্ধ স্থাপন করিয়া যে مَعْرِفَة হয়। অর্থাৎ উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর সহিত যে সমস্ত শব্দ مُضَاف স্বরূপ ব্যবহার হইয়া থাকে সেইগুলিও مَعْرِفَة হয়। যথা- كِتَابُ زَيْدٍ – যায়েদের বই। قَلَمُهُو – তাহার কলম ইত্যাদি।
সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত পদ দ্বারা বাক্যের অন্তর্গত ব্যক্তি, বস্তু বা বিষয়কে প্রকৃতি অনুসারে ভাগ করিয়া পুরুষ, স্ত্রী, ক্লীব ইত্যাদি রূপ দেওয়া হয় তাহাকে جِنْسٌ বলে। লিঙ্গভেদে আরবী ভাষায় إِسْم দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ ১। مُذَكَّرٌ – পুং লিঙ্গ এবং ২। مُؤَنَّثٌ – স্ত্রী লিঙ্গ।
০১। مُذَكَّرٌ – পুং লিঙ্গঃ- সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত পদ দ্বারা পুরুষ পরিচয় পাওয়া যায় তাহাকে مُذَكَّرٌ বলে। এই ধরনের বিশেষ্য গুলিতে عَلَامَتِ تَانِيثٌ বা স্ত্রীলিঙ্গের চিহ্ন থাকিবে না। উদাহারণঃ رَجُلٌ – একজন পুরুষ মানুষ, فَرَسٌ – একটি ঘোড়া।
০২। مُؤَنَّثٌ – স্ত্রী লিঙ্গঃ- সংজ্ঞাঃ যে সমস্ত পদ দ্বারা স্ত্রী পরিচয় পাওয়া যায় তাহাকে مُؤَنَّثٌ – স্ত্রী লিঙ্গ বলে। এই ধরনের إِسْمٌ গুলির মধ্যে عَلَامَتِ تَانِيثٌ বা স্ত্রীলিঙ্গের চিহ্ন থাকিবে। উদাহরণঃ إِمْرَأةٌ – একজন স্ত্রীলোক। এখানে ة (গোল তা) স্ত্রীলিঙ্গের চিহ্ন।
০১. إِسْمٌ এর শেষ অক্ষরে ة (গোল তা) হইলে স্ত্রীলিঙ্গ হইবে। যথা- فَاطِمَةٌ একজন মহিলার নাম।
০২. أَلِف مَقْصُورَىٰ বা হ্রস্ব আলিফ হওয়া। যথা – حُبْلَىٰ – গর্ভবতী, بُشْرَىٰ – সুসংবাদ।
০৩. أَلِف مَمْدُودَةٌ বা দীর্ঘ আলিফ বা মদ্দ্ বিশিষ্ট আলিফ যুক্ত হওয়া। যথা – حَمْرَآءٌ – লাল রং বিশিষ্ট জিনিস, بَيْضَآءٌ – সাদা রং বিশিষ্ট জিনিস।
০৪. تَاءِ مُقَدَّرَةٌ বা তা উহ্য হওয়া। যথাঃ أَرْضٌ – পৃথিবী, পৃথিবী পৃষ্ঠ, ইহা মূলত أَرْضَةٌ ছিল, ইহার تَصْغِيرٌ বা ক্ষুদ্রতা জ্ঞাপক বিশেষ্য أُرَيْضَةٌ আসে। তাছগীর করার সময় إِسْمٌ ইহার স্ব-অবস্থায় ফিরিয়া যায়। সুতরাং দেখা যায় যে أَرْضٌ শব্দটি مُؤَنَّثِ سِمَاعِى বা অনিয়মিত স্ত্রীবাচক শব্দ।
مُؤَنَّثٌ বা স্ত্রীলিঙ্গ তিন প্রকার। যথাঃ
০১। حَقِيقِى বা প্রকৃত। অর্থাৎ যে مُؤَنّثٌ এর বিপরীতে প্রাণীবাচক পুরুষ বিদ্যমান থাকে, তাহাকে مُؤَنَّث حَقِيفِى বলে। যথা – أُمٌّ মা। এর বিপরীতে প্রাণীবাচক পুংলিঙ্গ أَبٌّ – পিতা বিদ্যমান।
০২। مُؤَنَّث لَفْظِى বা শাব্দিক। যে مُؤَنَّث এর বিপরীতে প্রাণীবাচক পুরুষ থাকে না কিন্তু তাহাদের শেষ অক্ষরে স্ত্রীলিঙ্গের চিহ্ন বিদ্যমান থাকে তাহাকে مُؤَنَّث لَفْظِى বলে। যথা – ظُلْمَةٌ অন্ধকার, قُوَّةٌ শক্তি। এইগুলি শব্দগত ভাবে স্ত্রীলিঙ্গ রূপে ব্যবহার হয় কিন্তু ইহাদের বিপরীতে কোন পুরুষ নাই। ইহাদিগকে مُؤَنَّث قِيَاسِى ও বলে।
০৩। سِمَاعِى বা প্রচলিত স্ত্রীলিঙ্গঃ যে স্ত্রীলিঙ্গের বিপরীতে পুংলিঙ্গও হয় না স্ত্রীলিঙ্গও হয় না কিন্তু তবু ইহারা স্ত্রীলিঙ্গ রূপে ব্যবহৃত হয়। যথা – دَارٌ – ঘর, نَارٌ – অগ্নি, شَمْسٌ – সূর্য, ইত্যাদি।
সংজ্ঞাঃ যে শব্দের দ্বারা বাক্যস্থিত ব্যক্তি, বস্তু বা অন্যান্য বিষয়ের সংখ্যা বা পরিমাণ জানা যায় তাহাকে عَدَدٌ বা বচন বলে। عَدَدٌ তিন প্রকার। যথাঃ
০১। وَاحِدٌ একবচন। যে إِسْمٌ দ্বারা একটি মাত্র ব্যক্তি বা বস্তুকে বুঝায়, তাহাকে وَاحِدٌ বলে। যথা – قَلَمٌ – একটি কলম।
০২। تَثْنِيَةٌ দ্বি-বচন। যে إِسْمٌ দ্বারা দুইটি ব্যক্তি বা বস্তু বুঝায়, তাহাকে تَثْنِيَةٌ বলে। একবচনের সাথে أَنِ যোগ করিলে দ্বি-বচন হইয়া যায়। যথা – قَلَمٌ – একটি কলম, থেকে قَلَمَانِ – দুইটি কলম। অর্থাৎ শব্দের শেষে এমন ধরনের আলিফ অথবা ইয়া যোগ করিতে হইবে যাহার পূর্বের বর্ণে ফাতাহ এবং শেষ বর্ণে কাসরা বিশিষ্ট হইবে। এখানে আলিফের উপর যযম এবং শব্দের শেষে নূনের নিচে কাসরা হয়েছে।
০৩। جَمْعٌ বহুবচন। যে إِسْمٌ দ্বারা দুই এর অধিক ব্যক্তি বা বস্তু বুঝায় তাহাকে جَمْعٌ বলে। আরবী ভাষায় সাধারণতঃ لَفْظًا অর্থাৎ শব্দগত ভাবে অথবা تَقْدِيرًا বা অভ্যন্তরীণ ভাবে পরিবর্তনের মাধ্যমে বহুবচন গঠন করা হয়। যথা- একবচনে رَجُلٌ – একজন পুরুষ। কিন্তু শব্দটি পরিবর্তন করে رِجَالٌ অনেক পুরুষ করা হইল। আবার কখনও অর্থগত পরিবর্তনের কারণে বহুবচন হয় কিন্তু শব্দের কোন পরিবর্তন হয় না। যথা – فُلْكٌ একটি নৌকা এই শব্দটি একবচন। ইহা বহুবচনেও এই রূপই হইবে তবে একবচন হিসাবে ধারার সময় قُفْلٌ – একটা তালা এর ওজন বা মানদণ্ড নিতে হইবে আর جَمْعٌ এর সময় أُسْدٌ – (অনেক বাঘ্র) মানদণ্ডে নিতে হইবে। যার وَاحِدٌ হয় أَسَدٌ – একটি বাঘ্র।
শব্দগত ভাবে جَمْع কে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথাঃ
(ক) جَمْع تَكْسِيرٌ أَوْ جَمْع مُكَسَّرٌ – অনিয়মিত বহুবচন, (খ) جَمْع تَصْحِيحٌ أَوْ جَمْع مُصَحَّحٌ – নিয়মিত বহুবচন।
সংজ্ঞাঃ যে جمع একবচন থেকে বহু বচনে রূপান্তর করার সাধারণ নিয়মের পরিবর্তে একবচনের ওজন পরিবর্তন করে যে বহুবচন হয় তাহাকে جَمْع تَكْسِيرٌ বা جُمْع مُكَسَّرٌ – অনিয়মিত বহুবচন বলে। যেমন – رَجُلٌ – একটি পুরুষ, ইহার বহুবচন رِجَالٌ – অনেক পুরুষ, আবার مَسْجِدٌ – একটি মসজিদ, এর বহুবচন مَسَاجِدٌ – অনেক মসজিদ। ثُلَاثِي তিন অক্ষর বিশিষ্ট শব্দের অনিয়মিত বহুবচনের কাঠামো বা নির্ধারিত কোন গঠন প্রণালী নাই। ইহার ব্যবহা শ্রুতিনির্ভর। তাই এই সমস্ত ওজনকে سِمَاعِى বা শ্রুতিনির্ভর বলে। কিন্তু رُبَاعِى চারবর্ণ বিশিষ্ট এবং خُمَاسِى বা পাঁচবর্ণ বিশিষ্ট শব্দের বহুবচনের ওজন فَعَالِلُ হয়। যথা – جَعْفَرٌ হইতে جَعَافِرٌ এবং جَجْمَرِشُ হইতে جَجَامِرُ । خُمَاسِى বা পাঁচবর্ণ বিশিষ্ট শব্দের ক্ষেত্রে উহার শেষ বর্ণ হযফ বা লোপ হইয়া যায়।
جَمْع تَكْسِيرٌ বা অনিয়মিত বহুবচন দুই প্রকার। যথাঃ
(১) جَمْع قِلَّةٌ – স্বল্প সংখ্যা জ্ঞাপক বহুবচন। এই ধরণের বহুবচনের সংখ্যা তিন হইতে দশের নিচে যে কোন সংখ্যক ব্যাক্তি বা বস্তুকে বুঝাইবে। ইহার ওজন চারটি। যথা- ১) أَفْعُلٌ এর উদাহরণ- أَكْلُبٌ , ২) أَفْعِلَةٌ এর উদাহরণ – أَعْبِنَةٌ , ৩) فِعْلَةٌ এর উদাহরণ – غِلْمَةٌ । ইহা ছাড়াও আলিফ ও লাম বিহীন উভয় লিঙ্গের جَمْع مُصَحَّحٌ এর দুইটি ওজনও স্বল্প সংখ্যা জ্ঞাপক বহুবচন।
(২) جَمْع كَثْرَةٌ বা অধিক সংখ্যা জ্ঞাপক বহুবচন। এই ধরণের বহুবচন দশ বা তার উর্দ্ধ সংখ্যার ব্যাক্তি বা বস্তুকে বুঝায়। جَمْع قِلَّةٌ এর ওজন যাহা উপরে বর্ণনা করা হইয়াছে তাহা ব্যতীত সব ওজনই ইহার অন্তর্ভূক্ত।
সংজ্ঞাঃ যে সকল বহুবচন বচনের রূপান্তরের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী একবচন থেকে দ্বিবচন ও বহুবচন হয় তাহাকে جَمْع مُصَحَّحٌ বলে। ইহাকে جَمْع سَالِم ও বলা হয়। ইহা দুই ভাগে বিভক্ত। যথা-
(১) جَمْع مُذَكَّر سَالِم পুংলিঙ্গে নিয়মিত বহুবচন- সাধারনত একবচন فَاعِلٌ – কর্তৃকারক শব্দের শেষে ونَ এবং مَفْعُولٌ – কর্মকারক ও مَجْرُورٌ – সম্বন্ধ বাচক শব্দের শেষে ينَ যোগ করে এই প্রকার বহুবচন গঠন করা হয়। যথা – কর্তৃ কারকে مُسْلِمُونَ আর কর্মকারকে ও সম্বন্ধ পদে – مُسْلِمِينَ
(২) جَمْع مُؤَنَّث سَالِم স্ত্রীলিঙ্গে নিয়মিত বহুবচন- সাধারনত একবচন فَاعِلٌ – কর্তৃকারক শব্দের শেষে أَتٌ এবং مَفْعُولٌ – কর্মকারক ও مَجْرُورٌ – সম্বন্ধ বাচক শব্দের শেষে أَتٍ যোগ করে এই প্রকার বহুবচন গঠন করা হয়। যথা – কর্তৃ কারকে مُسْلِمَاتٌ আর কর্মকারকে ও সম্বন্ধ পদে – مُسْلِمَاتٍ
এ পেজ লিখা শেষ হয় নাই…..
Mohammed Jane Alam says:
আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের ঈলমে ছ্বরফ ও নাহুয়ীর আর্টিকেল টি খুব উপকারী হয়েছে। জাঝাকাল্লাহু খাইর। দুটোর কি কোন পিডিএফ(pdf) পাব?
Md Shamsul Alam says:
ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
কিতাবটি লিখা সম্পূর্ণ হলে অবশ্যই পিডিএফ ফাইল পাবেন।