بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَانِ الرَّحِيْمِ
ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ ۞ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ۞ مَٰلِكِ يَوْمِ ٱلدِّينِ ۞ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ۞ ٱهْدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلْمُسْتَفِيمَ ۞ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ ۞ غَيْرِ ٱلْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا ٱلضَّالِّينَ۞
পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু আল্লাহর নামে
সকল প্রশংসা জগৎ সমূহের রব একমাত্র আল্লাহর জন্য। যিনি পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু। প্রতিফল দিবসের অধিপতি। আমরা একমাত্র আপনারই ইবাদত করি এবং আপনারই কাছেই সাহায্য চাই। আমাদেরকে সরল সঠিক পথ দেখান। তাদের পথে যাদেরকে আপনি অনুগ্রহ করলেন। তাদের পথে নয় যাদের প্রতি আপনি ক্রোধান্নিত এবং যাহারা আতিশয় পথভ্রষ্ট।
اَلْحَمْدُ لِلهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَعْفِرْهُ وَنُؤْمِنُ بِهِى وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْهِ وَنَعُوذُ بِاللهِ مِنْ شُرُورِ اَنْفُسِنَا وَ مِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَلِنَا – مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُّضْلِلْهُ فَلَا هَادِىَ لَهُ وَ نَشْهَدُ أَن لَّاإِلَه إِللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَهُ وَنَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُه أَرْسَلَهُ بِالْحَقِّ بَشِيْرًا وَّنَذِيْرًا – فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيْثِ كِتَابُ اللهِ وَ خَيْرَ الْهَدْىِ هَدْىُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَشَرَّالْأُمُرِ مُحْدَثَاتُهَا وَ كُلَّ مُحْدَثَتٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ وَ كُلَّ ضَلَالَةٍ فِى النَّرِ-
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আমরা তাঁরই প্রশংসা করছি, তাঁরই কাছে সাহায্য চাচ্ছি, তাঁরই উপর ঈমান আনছি, তাঁরই উপর নির্ভর করছি এবং আমাদের অন্তরের কুমন্ত্রণা ও আমাদের দুষ্কর্ম থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। হে আল্লাহ তুমি যাকে পথ দেখাও সে পথভ্রষ্ট হয় না এবং তুমি যাকে পথভ্রষ্ট কর সে পথ পায় না। আমরা স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশি নাই, আমরা আরও স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ তাঁর দাস এবং রসূল (বার্তাবাহক)। তাকে তিনি সত্য সহ সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারী রূপে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর কিতাবের কথাই সবচেয়ে উত্তম, সবচেয়ে উত্তম পথ প্রদর্শন হচ্ছে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আ’লইহি ওয়া সাল্লাম এর, সবচেয়ে ক্ষতিকর হচ্ছে নতুন কথা, সকল নতুন কথাই উদ্ভাবিত (বিদআ’ত) কথা, সকল উদ্ভাবিত (বিদআ’ত) কথাই ভ্রষ্টতা আর সকল ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নম।
أَمَّا بَعَدُ، أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ، بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيْمِ، ٱقْرَا بِٱسْمِ رَبِّكَ ٱلَّذِى خَلَقَ ۞ خَلَقَ ٱلْإِنْسَٰنَ مِنْ عَلَقٍ ۞ ٱقْرَا وَرَبُّكَ ٱلْأَكْرَمُ ۞ ٱلَّذِى عَلَّمَ بِٱلْقَلَمِ ۞ عَلَّمَ ٱلْإِنْسَٰنَ مَا لَمْ يَعْلَمْ ۞
অতঃপর, অভিশপ্ত শয়তান থেকে আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। পরম করুণাময় অতিশয় দায়লু আল্লাহর নামে। আল্লাহ তাআলা মানব ও দানবের জন্য যে প্রথম বাক্য তাঁর বান্দা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর উপর নাযিল করেন তা হচ্ছে পড়া এবং শিক্ষার কথা। উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ বালেনঃ
পড় তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে সৃষ্টি করেছেন আলাক থেকে। পড় অত্যন্ত সম্মানিত তোমার রবের নামে। যিনি কলমের সাহয্যে শিক্ষা দান করেন। মানুষকে এমন বিষয় শিক্ষা দান করেন যে বিষয়ে সে কিছু জানত না।
আল্লাহই সব চেয়ে বড় শিক্ষক। তিনি তাঁর মনোনীত বান্দা তাঁর রসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলইহে ওয়া সাল্লাম এর মাধ্যমে মানব ও জ্বীনকে শিক্ষা দিয়াছেন। আল্লাহ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলইহে ওয়া সাল্লাম কে মানব ও জ্বীনদের জন্য শিক্ষক বানিয়েছেন। তাই তাঁর এ শিক্ষা প্রসার ও প্রচারের লক্ষ্যে দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ বাংলা ভাষায় বিশ্বের সকল ভাই ও বোনদের নিকট পৌছায়ে দেয়ার কাজ করে যাচ্ছে।