আসল আরব দেশের আরবি কুরআন সঠিক ভাবে পাঠ ও তিলওয়াত করার জন্য এই ‘সরল আরবি কায়দা’ -টি লিখা হয়েছে। এবং এ আরবি কায়দা অধ্যায়ন করলে কুরআন পাঠের সকল নিয়ম-কানুন জানার ফলে দেশীয় কুরআন পাঠ করাও সহজ হবে।
আসলে আরবে পূর্ব কাল অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময় থেকেই আরবি লিখা হতো হারাকাত ছাড়াই। কিন্তু হারাকাত ছাড়া লিখার অর্থ এই নয় যে ঐ হারকাত ছাড়াই লিখিত শব্দের মধ্যে হরফগুলোতে আসলে কোন হারাকাত অলিখিত অবস্থায় বিদ্যমান ছিল না বা আরবিতে আসলে কোন হারাকাতই নেই। আসলে আরবি ভাষায় আদিকাল থেকেই যখন থেকে লিখার পদ্ধতি শুরু হয় তখন থেকেই হারাকাত ছিল। কিন্তু তারা আরবি ভাষা-ভাষি হওয়ার করাণে আরবি শব্দ সম্পর্কে যথেষ্ট পারদর্শি হওয়ায় আরবি লিখতে হারাকাত সহ লিখার প্রয়োজন মনে করতো না যেমন এখনও আরব দেশে আরবি লিখতে হারাকাত লিখা হয় না। কিন্তু হারাকাতগুলো ঐ লিখার মধ্যে উয্য আছে। এবং এই হারাকাতগুলোর সার্বিক নিয়ম মেনেই হারাকাত বিহিন অবস্থায় লিখা আরবি পড়া হয়। কারণ তারা জানে কোন শব্দে কোন হরফে হারাকাত কোন নিয়মে আছে। কিন্তু আমরা যারা আরবি ভাষা ও তার শব্দ ও বাক্য গঠন এবং এর মাখরাজ সম্পর্কে মোটেও অবগত নই তাদের জন্য হারাকাত ও তার নিয়মকানু না জেনে কোন ভাবেই হারাকাত বিহিন আরবি শুদ্ধ ভাবে লিখতে ও পড়তে পারব না। আরবি ভাষা বুঝতেও এ সব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান থাকা জরুরী। আর আরবী কুরআন তিলাওয়াত যোগ্য তাই তিলওয়াতের জন্য বিশেষ পদ্ধতীতে লিখা প্রয়োজন। এই লিখন পদ্ধতীকে হাফ্স বলা হয়। আর সাধারণ আরবি লিখন পদ্ধতীকে নস্ক বলে। ভারত উপমহাদেশ-সহ বিশ্বের অনেক জায়গায় আরবি ভাষা এসেছে ফার্সি কায়দায়। তাই বিশ্বের ঐসব স্থানে এই বিদ্যমান আরবিতে হাফ্স ও নস্ক এর নিয়ম কানুন সঠিক ভাবে অনুসরণ করা হয় নাই। আমাদের দেশে এখনও আসল আরব দেশের কায়দার নিয়ম মেনে কায়দা লিখা হয় নাই। এ ক্ষত্রে এই কায়দাটি উপকারে আসবে।
লিখকঃ মুহাম্মাদ সামসুল আলমবিষয় | পৃষ্ঠা | বিষয় | পৃষ্ঠা |
১. আরম্ভ | ২ | ১৫. কায়দা – ৯, যম্মা ত্ববীলাহ বা মাদ | ১৩ |
২. আরবি হরফগুলো পড় ও লিখ | ২ | ১৬. কায়দা – ১০, হরফ লীন | ১৩ |
৩. আরবি বর্ণমালার পরীক্ষা | ৩ | ১৭. কায়দা – ১১, মাদের আহকাম | ১৩ |
৪. মাখরাজ | ৩ | ১৮. কায়দা – ১২, নূন সাকিন ও তানবীনের ৪টি আহকাম | ১৭ |
৫. অবস্থান ভেদে আরবি হরফ-এর আকৃতি বিভিন্ন রকম হয় | ৫ | ১৯. কায়দা – ১৩, লাম ক্বমারিয়্যাহ ও লাম শামসিয়্যাহ | ১৯ |
৬. আরবিতে মাদের হরফ অর্থাৎ স্বরবর্ণ ও হারাকাত বা স্বরচিহ্ন | ৬ | ২০. কায়দা – ১৪, হামযা ওয়াস্লী ও হামযা ক্বত্ব’য়ী | ২০ |
৭. কায়দা – ১, মাফতুহ | ৭ | ২১. কায়দা – ১৫, নূন কুত্বনী | ২২ |
৮. কায়দা – ২, মাকসূর | ৮ | ২২. কায়দা – ১৬, যে সকল হরফ লিখতে আসে কিন্তু পড়তে আসে না এবং পড়তে আসে কিন্তু লিখতে আসে না | ২২ |
৯. কায়দা – ৩, মাযমূম | ৮ | ২৩. কায়দা – ১৭, তাশদীদযুক্ত নূন ও মীম (মুশাদ্দাদ)- এর বিধান | ২২ |
১০. কায়দা – ৪, সুকূন | ৮ | ২৪. কায়দা – ১৮, তাফখীম (মোটা) ও তারক্বীক (পাতলা) করে পড়ার নিয়ম | ২৩ |
১১. কায়দা – ৫, তানবীন | ১০ | ২৫. কায়দা – ১৯, ক্বলক্বলা ও স্বফীর | ২৪ |
১২. কায়দা – ৬, তাশদীদ | ১২ | ২৬. কায়দা – ২০, ওয়াক্বফ-এর বিবরণ | ২৫ |
১৩. কায়দা – ৭, হারাকাত ত্ববীলাহ, ফাতাহ ত্ববীলাহ বা মাদ | ১২ | ২৭. কায়দা – ২১, সাক্তা এর বিবরণ | ২৬ |
১৪. কায়দা – ৮, কাসরা ত্ববীলাহ বা মাদ | ১২ | ২৮. কুরআন মাজিদের ৩০নং পারা | ২৬ |
— | — | আরবি কুরআনের বিরাম ও বিভিন্ন চিহ্নের পরিচয় | ৩৪ |
بِسۡمِ اللَّهِ الرَّحۡمَٰنِ الرَّحِيمِ
বাংলাদেশে আরবি বর্ণমালা সাধারণত ২৯ টি লিখা হয়। এর মধ্যে হামযা ( أ ء ) -কে আলাদা হরফ হিসাবে লিখা হয়। আসলে আলিফ ( ا ), ওয়া-ও ( و ), ইয়া- ( ي ) এই তিনটি বর্ণ বা হরফ-গুলোকে মাদ হরফ অথবা হরফি ইল্লত বলা হয়, বাংলায় যেমন স্বর-বর্ণ বলা হয়। যখন এই তিনটি বর্ণ হারাকাত (স্বরচিহ্ন) যুক্ত হয় তখন তা মাদের বর্ণ থাকে না, বাংলায় যেমন ব্যঞ্জন-বর্ণ বলা হয়। এ অবস্থায় আরবি বর্ণমালা যা ব্যঞ্জন-বর্ণ (হারাকাত ক্বসিরাহ) ২৮ টি হয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে আরবিতে ওয়া-ও, ইয়া- ও আলিফ হারাকাত বিহীন অবস্থায় স্বর-বর্ণ রূপ ধারণ করে যাকে আরবিতে হারাকাত ত্ববিলাহ বলা হয়, ইহা ৩টি বর্ণ, আলিফ ( ا ), ওয়া-ও ( و ), ইয়া- ( ي ) হয়। কিন্তু আমাদের দেশে কুরআন মাজিদে মাদ বা স্বর-বর্ণ অবস্থায় ওয়া-ও এবং ইয়া- এর উপর সুকুন লিখা হয়। এটা আরবি ব্যাকারণ মতে ভুল।
ث | ت | ب | أ إ ء | আরবি বর্ণমালা ডান দিক থেকে বামে পড়তে ও লিখতে হয়। |
|||
ছা | তা | বা | হামযাহ | ||||
س | ز | ر | ذ | د | خ | ح | ج |
সীন | যা | র- | যাল | দাল | খ- | হা’ | জ্বীম |
ف | غ | ع | ظ | ط | ض | ص | ش |
ফা | গ-ঈন | ‘আ ঈন | য্ব- | ত্ব- | য্ব-দ | স্ব-দ | শীন |
ي | ه | و | ن | م | ل | ك | ق |
ইয়া- | হা | ওয়া ও | নূ ন | মী ম | লাম | কাফ | ক্ব-ফ |
[আরবি অক্ষর সমূহের মধ্যে خ ص ض غ ط ق ظ এই সাতটি অক্ষরকে ইস্তে‘য়ালার অক্ষর বলে। যার উচ্চারণ তাফখীম বা মোটা স্বরে গোল করে হবে। অনুরূপ ভাবে ر এর উচ্চারণও ফাতাহ ও যম্মা অবস্থায় তাফখীম করে পড়তে হবে। উপরে ছকে বাংলায় লিখার সময় এসব অক্ষর-এর পূর্বে (-) চিহ্ন দেয়া হয়েছে আর দীর্ঘ-করে পড়ার জন্য অক্ষরের মধ্যে ফাঁক রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে “কায়দা – ১৭” তে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।]
মাখরাজের আলোকে আরবি বর্ণমালার যথার্থ বাংলা উচ্চারণ কখনো সম্ভব নয়। তবে বাংলা ভাষা-ভাষীদের বুঝা সহজ করার জন্য আরবি বর্ণমালার বাংলা উচ্চারণ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র। অতএব মাখরাজের আলোকে আরবি বর্ণমালার যথার্থ উচ্চারণ জানার বিকল্প নেই। যেমন- قُلۡ (ক্বুল) অর্থ- তুমি বল, كُلۡ (কুল) অর্থ- তুমি খাও। শব্দদ্বয়ের বাংলা উচ্চারণে তেমন কোন পার্থক্য মনে হয় না।
ل | م | ن | و | ه | أ إ ء | ي |
ط | ظ | ع | غ | ف | ق | ك |
ذ | ر | ز | س | ش | ص | ض |
ب | ت | ث | ج | ح | خ | د |
মাখারাজ এর সংজ্ঞাঃ শাব্দিক অর্থ- বের হওয়া বা উচ্চারণ হওয়ার স্থান। পরিভাষিক অর্থ- “আরবি হরফগুলোকে তার নিজস্ব স্থান থেকে উচ্চারণ করাকে মাখরাজ বলে”।
মাখারাজ এর গুরুত্বঃ আর যদি মাখরাজ অনুযায়ী আরবি বর্ণমালা উচ্চারিত না হয়, তাহলে স্থানভেদে বিশাল পরিবর্তন ঘটে। যেমন-
উপরোল্লিখিত শব্দগুলো বাংলায় উচ্চারণ প্রায় একই রকম হওয়া সত্ত্বেও অর্থ ভিন্ন ভিন্ন, শুধু মাখরাজ ও বর্ণ ভিন্ন হওয়ার কারণে। অতএব আরবি প্রতিটি বর্ণকে সঠিক মাখরাজের আলোকে পার্থক্য করে উচ্চারণ শিখতে হবে, নইলে অর্থের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে যাবে। ফলে সোওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ ও স্বালাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের চরম ক্ষতি সাধিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
আরবি মাখরাজ ১৭টি। তবে * তারকা চিহ্নিত মাখরাজগুলো বেশি চর্চা করা একান্ত জরুরী।
ক্র নং | বর্ণ | মাখরাজের বিবরণ |
১ * | ء أ | হলকের শুরু হতে (শক্তভাবে) উচ্চারিত হয় ء যেমন- مَأۡكُولٌ (মা’কুলুন) (নইলে ع হয়ে যেতে পারে) |
ه | হলকের শুরু হতে (সহজভাবে) উচ্চারিত হয় ه যেমন- هَلۡ (হাল) (নইলে ح হয়ে যেতে পারে) | |
২ * | ع | হলকের মাঝখান থেকে (গলাচিপে) উচ্চারিত হয় ع যেমন- بَعۡ (বা‘), عَيۡنٌ (‘আইনুন) |
ح | হলকের মাঝখান থেকে (হা শোঁ শোঁ) শব্দে উচ্চারিত হয় ح যেমন- أَحۡ (আহ্’) | |
৩ * | خ | হলকের শেষ থেকে উচ্চারিত হয় خ যেমন- أَخۡ (আখ), خَمۡرٌ (খামরুন) |
غ | হলকের শেষ থেকে উচ্চারিত হয় غ যেমন- أَغۡ (আগ) | |
৪ * | ق | জিহবার গোড়া, তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে (মোটা আওয়াজে) উচ্চারিত হয় ق যেমন- أَقۡ (আক্ব), قُلۡ (ক্বুল)। (নইলে ك অক্ষরে মিলে যাবে) |
৫ * | ك | জিহবার গোড়া হতে একটু আগে বাড়াইয়া তার বরাবর উপরের তালুর সাথে লাগিয়ে (পাতলা আওয়াজে) উচ্চারিত হয় ك (কাফ)। যেমন- أَكۡ (আক), (নইলে ق অক্ষরে মিলে যাবে) |
৬ * | ج | জিহবার মাঝখান বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে (শক্তভাবে) উচ্চারিত হয় ج (জিম)। যেমন- أَجۡ (আজ), (নইলে ض ظ ز ذ হয়ে যেতে পারে) |
ش | জিহবার মাঝখান বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে (শিষসহ মোটা আওয়াজে) উচ্চারিত হয় ش (শিন)। যেমন- شَرٌّ (শাররুন)। (নইলে ص س ث হয়ে যেতে পারে) | |
ي | জিহবার মাঝখান তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে (নরমভাবে) উচ্চারিত হয় ي (ইয়া)। যেমন- أَيۡ (আয়)। | |
৭ * | ض | জিহবার গোড়ার কিনারা, উপরের মাড়ির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লাগিয়ে (মোটা আওয়াজে) উচ্চারিত হয় ض (য্ব-দ)। যেমন- أَضۡ (আয্ব)। ض এর উচ্চারণ কখনও د (দাল) এর মত নয়। |
৮ | ل | জিহবার আগার কিনারা সামনের উপরের একপাশের দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লাগিয়ে ل (লাম) উচ্চারিত হয়। যেমন- ٱلۡ (আল), لَحۡمٌ (লাহ্’মুন), لَيۡلٌ (লাইলুন)। |
৯ | ن | জিহবার আগা, তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে নাকের বাঁশি হতে উচ্চারিত হয় ن (নূ-ন)। যেমন- أَنۡ (আন), نُورٌ (নূরুন), نَهۡرٌ (নাহ্রুন)। |
১০ | ر | জিহবার আগার উল্টা পিঠ তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে ر (র)। উচ্চারিত হয়। যেমন- أَرۡ (আর), رِزۡقٌ (রিযকুন), رَحِيمٌ (রহীমুন)। |
১১* | د | জিহবার আগা, সামনের উপরের দুই দাঁতের গোড়া হতে (পাতলা আওয়াজে) د (দাল) উচ্চারিত হয়। যেমন- أَدۡ (আদ), (নইলে ط হয়ে যেতে পারে) |
ت | জিহবার আগা, সামনের উপরের দুই দাঁতের গোড়া হতে (পাতলা আওয়াজে) ت (তা) উচ্চারিত হয়। যেমন- بَتۡ (বাত)। (নইলে ط হয়ে যেতে পারে) | |
ط | জিহবার আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের গোড়া হতে (মোটা আওয়াজে) উচ্চারিত হয় ط (ত্ব)। যেমন- أَطۡ (আত্ব)। (নইলে ت হয়ে যেতে পারে) | |
১২* | ص | জিহবার আগা, সামনের নিচের দুই দাঁতের আগা হতে শিষসহ (মোটা আওয়াজে) উচ্চারিত হয় ص (স্বদ)। যেমন- صَلَاة (স্বালাত) (নইলে ث س ش হয়ে যেতে পারে) |
س | জিহবার আগা সামনের নিচের দুই দাঁতের আগা হতে শিষসহ (পাতলা আওয়াজে) উচ্চারিত হয় س (সিন)। যেমন- أَسۡ (আস)। (নইলে ث ش ص হয়ে যেতে পারে) | |
ز | জিহবার আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের গোড়া হতে (মোটা আওয়াজে) উচ্চারিত হয় ز (যা)। যেমন- أَزۡ (আয), زَهۡرٌ (যাহরুন) (নইলে ج ذ ض ظ হয়ে যেতে পারে) | |
১৩* | ظ | জিহবার আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের আগা থেকে (মোটা আওয়াজে) উচ্চারিত হয় ظ (য্ব)। যেমন- أَظۡ (আয্ব) (নইলে ز ذ ج হয়ে যেতে পারে) |
ذ | জিহবার আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের আগা থেকে (নরম আওয়াজে) উচ্চারিত হয় ذ (যা)। যেমন- أَذۡ (আয)। (নইলে ظ ج ض হয়ে যেতে পারে) | |
ث | জিহবার আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের আগা থেকে (নরম আওয়াজে) উচ্চারিত হয় ث (ছা)। যেমন- أَثۡ (আছ) (নইলে س ص ش হয়ে যেতে পারে) | |
১৪ | ف | নিচের ঠোটের পেট, সামনের উপরের দুই দাঁতের আগার সঙ্গে লাগিয়ে উচ্চারিত হয় ف (ফা) উচ্চারিত হয়। যেমন- أُفۡ (উফ্)। |
১৫ | و | দুই ঠোট গোল করে উচ্চারিত হয় و (ওয়াও) উচ্চারিত হয়। যেমন- بُو (বূ)। |
ب | দুই ঠোটের ভিজা জায়গা হতে ب (বা) উচ্চারিত হয়। যেমন- أَبۡ (আব)। | |
م | দুই ঠোটের শুকনা জায়গা হতে م (মিম) উচ্চারিত হয়। যেমন- أَمۡ (আম)। | |
১৬ | و ا ي | মুখের খালি জায়গা হতে মদ্দের হরফ و ا ي উচ্চারিত হয়। যেমন- بَا بُو بِي। |
১৭ | নাকের বাঁশি হতে গুন্নাহ উচ্চারিত হয়। যেমন- إِنَّ (ইন্না), عَمَّ (আম্মা)। |
স্বরণ রাখা উচিৎ আরবি أ ا د ذ ر ز و এই হরফগুলোর বাঁমে কোন হরফ-এর সাথে সংযুক্ত হয় না এবং ء কাহারও সাথে সংযুক্ত হয় না। বাঁকি সকল হরফ তাদের দুই দিকেই সংযুক্ত হয়। নিম্নের ছকে অবস্থান ভেদে আরবি হরফ-এর বিভিন্ন আকৃতি প্রদান করা হল।
হরফ | শব্দের শুরুতে | উদাহরণ | শব্দের মধ্যে | উদাহরণ | শব্দের শেষে | উদাহরণ |
ء | أ | أَمَلَ | ﺄ ء | يَأۡتِي | ﺄ ء | أَمۡلَأَ |
ب | ﺑ | بَابٌ | ﺒ | سَبُّورَة | ﺐ | مُجِيبٌ |
ت | ﺗ | تَوۡبَةٌ | ﺘ | فِتۡنَةٌ | ﺖ | بَيۡتٌ |
ث | ﺛ | ثَوۡبٌ | ﺜ | مَنۡثُورٌ | ﺚ | ثُلُثٌ |
ج | ﺟ | جُنُودٌ | ﺠ | يُجِيبٌ | ﺞ | حَجَّ |
ح | ﺣ | حُبٌ | ﺤ | نَحۡنُ | ﺢ | صَحِيحٌ |
خ | ﺧ | خُبۡزٌ | ﺨ | سَخِي | ﺦ | مُخٌ |
د | د | دَعۡوَةٌ | ﺪ | بَدۡرٌ | ﺪ | جَدِيدٌ |
ذ | ذ | ذَوۡقٌ | ﺬ | كَذِبٌ | ﺬ | أَنۡقَذَ |
ر | ر | رِحۡلَةٌ | ﺮ | مَرِيضٌ | ﺮ | مُدِيرٌ |
ز | ز | زُهُورٌ | ﺰ | عَزِيمٌ | ﺰ | عَزِيزٌ |
س | ﺳ | سَبۡعَةٌ | ﺴ | مُسۡلِمٌ | ﺲ | شَمۡسٌ |
ش | ﺷ | شُعُورٌ | ﺸ | بَشِيرٌ | ﺶ | مِشۡمِشٌ |
ص | ﺻ | صَبَرَ | ﺼ | بَصِيرٌ | ﺺ | لِصٌ |
ض | ﺿ | ضَمِيرٌ | ﻀ | غَضِبَ | ﺾ | بُغۡضٌ |
ط | ﻃ | طَبُورٌ | ﻂ | خَطِيرٌ | ﻄ | قِطۡ |
ظ | ﻇ | ظَلۡ | ﻆ | عَظِيمٌ | ﻈ | حَفِيظٌ |
ع | ﻋ | عِيدٌ | ﻌ | سَعِيدٌ | ﻊ | مُتَوَاضِعٌ |
غ | ﻏ | غُرۡفَةٌ | ﻐ | يَغِيظٌ | ﻎ | صُبۡغٌ |
ف | ﻓ | فُرُقٌ | ﻔ | صُفُوفٌ | ﻒ | عَفِيفٌ |
ق | ﻗ | قُرۡأَنٌ | ﻘ | إِسۡتَيۡقَضَ | ﻖ | شَقِيقٌ |
ك | ﻛ | كَفِيلٌ | ﻜ | عَلَيۡكُمۡ | ﻚ | رَكِيكٌ |
ل | ﻟ | لَوۡنٌ | ﻠ | عُلُومٌ | ﻞ | جَمِيلٌ |
م | ﻣ | مَرۡحَبًا | ﻤ | فَمَنۡ | ﻢ | سَلِيمٌ |
ن | ﻧ | نَعِيمٌ | ﻨ | كُنۡتُمۡ | ﻦ | خَاشِعِين |
و | و | وَرُودٌ | ﻮ | يَوۡمٌ | ﻮ | يَدۡعُو |
ه | ﻫ | هِلَالٌ | ﻬ | شُهُودٌ | ﻪ | هِجۡرَتُهٌ |
ي | ﻳ | يُحۡيِي | ﻴ | يَسِيرٌ | ﻲ | حَتَّى تَحۡتِي |
বাংলা ভাষায় যেমন স্বরবর্ণ আছে আরবি ভাষাতেও ঠিক তেমন স্বরবর্ণ আছে যাকে মাদের হরফ বলে এবং বাংলা ভাষাতে যেমন স্বরচিহ্ন আছে আরবিতেও তেমনি স্বরচিহ্ন আছে যাকে আরবিতে হারাকাত বলে। বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ হচ্ছে অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ এবং স্বরচিহ্নঃ া ি ী ু ূ ইত্যাদি ঠিক তেমনি আরবিতেও স্বরচিহ্ন আছে একে আরবিতে হারাকাত বলে। নিম্নে ছকে আরবিতে স্বরবর্ণ বা মাদের হরফ এবং এর স্বরচিহ্ন বা হারাকাত বর্ণনা করা হল।
মাদের হরফ | আরবি উচ্চারণ | সংশ্লিষ্ট হারাকাত | আরবি উচ্চারণ | ফার্সি/উর্দূ উচ্চারণ |
ا | আলিফ | ـَ | ফাতাহ | যবর |
و | ওয়া-ও | ـُ | যম্মা | পেশ |
ى | ইয়া- | ـِ | কাসরা | যের |
হারাকাত | আরবি উচ্চারণ | ফার্সি/উর্দূ উচ্চারণ |
ـْ ـۡ | সুকূন | যযম |
ـّ | তাসদীদ/সাদ্দা | তাসদীদ |
ـً | ফাতাহ তানবীন বা দুই ফাতাহ | দুই যবর |
ـٌ | যম্মা তানবীন বা দুই যম্মা | দুই পেশ |
ـٍ | কাসরা তানবীন বা দুই কাসরা | দুই যের |
আরবিতে ا و ي যখন মাদ হয় তখন এর উপর কখনও হারাকাত হয় না। এই তিনটি মাদের হরফে যখন কোন হারাক যুক্ত হয় তখন তা মাদ থাকে না, আলিফ হয়ে যায় হামযাহ। কিন্তু আমাদের দেশে লিখা কুরআন মাজিদে মাদ অবস্থায়ও و ي এর উপর সুকুন দেয়া হয় এবং أ (হামযাহ) কে ا (আলিফ) আকারে লিখা হয়। আর ফারসি/উর্দূ ভাষার অনুকরনে আমাদের দেশে ফাতাহ কে যবর, যম্মা-কে পেশ এবং কাসরা-কে যের বলা হয়।
হারাকাত ক্বসীরাহঃ (সাধারণ স্বরচিহ্ন) = ـَ (ফাতাহ), ـِ (কাসরা), ـُ (যম্মা)
ثَ | تَ | بَ | أَ | মাফ্তূহ (ফাতাহ যুক্ত হরফ) | |||
ছা ফাতাহ ছা | তা ফাতাহ তা | বা ফাতাহ বা | হামযা ফাতাহ আ | ||||
ছা যবর ছা | তা যবর তা | বা যবর বা | হামযা যবর আ | ||||
سَ | زَ | رَ | ذَ | دَ | خَ | حَ | جَ |
সী-ন ফাতাহ সা | যা ফাতাহ যা | র- ফাতাহ র- | যাল ফাতাহ যা | দাল ফাতাহ দা | খ- ফাতাহ খা- | হা’ ফাতাহ হা’ | জ্বীম ফাতাহ জা |
সী-ন যবর সা | যা যবর যা | র- যবর র- | যাল যবর যা | দাল যবর দা | খ- যবর খা- | হা’ যবর হা’ | জ্বীম যবর জা |
فَ | غَ | عَ | ظَ | طَ | ضَ | صَ | شَ |
ফা ফাতাহ ফা | গঈন ফাতাহ গা | ‘আঈন ফাতাহ ‘আ | য্ব- ফাতাহ য্বা- | ত্ব- ফাতাহ ত্বা- | য্ব-দ ফাতাহ য্বা– | স্ব-দ ফাতাহ স্বা- | শী-ন ফাতাহ শা |
ফা যবর ফা | গঈন যবর গা | ‘আঈন যবর ‘আ | য্ব- যবর য্বা- | ত্ব- যবর ত্বা- | য্ব-দ ফাতাহ য্বা– | স্ব-দ যবর স্বা- | শী-ন যবর শা |
يَ | وَ | هَ | نَ | مَ | لَ | كَ | قَ |
ইয়া- ফাতাহ ইয়া | ওয়াও ফাতাহা ওয়া | হা ফাতাহ হা | নূন ফাতাহ না | মী-ম ফাতাহ মা | লাম ফাতাহ লা | কাফ ফাতাহ কা | ক্ব-ফ ফাতাহ ক্বা- |
ইয়া- যবর ইয়া | ওয়া-ও যবর ওয়া | হা যবর হা | নূন যবর না | মী-ম যবর মা | লাম যবর লা | কাফ যবর কা | ক্ব-ফ যবর ক্বা- |
ثِ | تِ | بِ | إِ | মাকসূর (কাসরা যুক্ত হরফ) | |||
ছা কাসরা ছি | তা কাসরা তি | বা কাসরা বি | হামযা কাসরা ই | ||||
ছা যের ছি | তা যের তি | বা যের বি | হামযা যের ই | ||||
سِ | زِ | رِ | ذِ | دِ | خِ | حِ | جِ |
সী-ন কাসরা সি | যা কাসরা যি | র- কাসরা রি- | যাল কাসরা যি | দাল কাসরা দি | খ- কাসরা খি- | হা’ কাসরা হি’ | জ্বীম কাসরা জি |
সী-ন যের সি | যা যের যি | র- যের রি- | যাল যের যি | দাল যের দি | খ- যের খি- | হা’ যের হি’ | জ্বীম যের জি |
فِ | غِ | عِ | ظِ | طِ | ضِ | صِ | شِ |
ফা কাসরা ফি | গঈন কাসরা গি | ‘আঈন কাসরা ‘ই | য্ব- কাসরা য্বি- | ত্ব- কাসরা ত্বি- | য্ব-দ কাসরা য্বি– | স্ব-দ কাসরা স্বি- | শী-ন কাসরা শি |
ফা যের ফি | গঈন যের গি | ‘আঈন যের ‘ই | য্ব- যের য্বি- | ত্ব- যের ত্বি- | য্ব-দ যের য্বি– | স্ব-দ যের স্বি- | শী-ন যের শি |
يِ | وِ | هِ | نِ | مِ | لِ | كِ | قِ |
ইয়া- কাসরা ই- | ওয়াও কাসরা বি- | হা কাসরা হি | নূন কাসরা নি | মী-ম কাসরা মি | লাম কাসরা লি | কাফ কাসরা কি | ক্ব-ফ কাসরা ক্বি- |
ইয়া- যের ই- | ওয়া-ও যের বি- | হা যের হি | নূন যের নি | মী-ম যের মি | লাম যের লি | কাফ যের কি | ক্ব-ফ যের ক্বি- |
ثُ | تُ | بُ | أُ | মাযমূম (যম্মা যুক্ত হরফ) | |||
ছা যম্মা ছু | তা যম্মা তু | বা যম্মা বু | হামযা যম্মা উ | ||||
ছা পেশ ছু | তা পেশ তু | বা পেশ বু | হামযা পেশ উ | ||||
سُ | زُ | رُ | ذُ | دُ | خُ | حُ | جُ |
সী-ন যম্মা সু | যা যম্মা যু | র- যম্মা রু- | যাল যম্মা যু | দাল যম্মা দু | খ- যম্মা খু- | হা’ যম্মা হু’ | জ্বীম যম্মা জু |
সী-ন পেশ সু | যা পেশ যু | র- পেশ রু- | যাল পেশ যু | দাল পেশ দু | খ- পেশ খু- | হা’ পেশ হু’ | জ্বীম পেশ জু |
فُ | غُ | عُ | ظُ | طُ | ضُ | صُ | شُ |
ফা যম্মা ফু | গঈন যম্মা গু | ‘আঈন যম্মা ‘উ | য্ব- যম্মা য্বু- | ত্ব- যম্মা ত্বু- | য্ব-দ যম্মা য্বু– | স্ব-দ যম্মা স্বু- | শী-ন যম্মা শু |
ফা পেশ ফু | গঈন পেশ গু | ‘আঈন পেশ ‘উ | য্ব- পেশ য্বু- | ত্ব- পেশ ত্বু- | য্ব-দ পেশ য্বু– | স্ব-দ পেশ স্বু- | শী-ন পেশ শু |
يُ | وُ | هُ | نُ | مُ | لُ | كُ | قُ |
ইয়া- যম্মা ইউ- | ওয়াও যম্মা বু- | হা যম্মা হু | নূন যম্মা নু | মী-ম যম্মা মু | লাম যম্মা লু | কাফ যম্মা কু | ক্ব-ফ যম্মা ক্বু- |
ইয়া- পেশ ইউ- | ওয়া-ও পেশ বু- | হা পেশ হু | নূন পেশ নু | মী-ম পেশ মু | লাম পেশ লু | কাফ পেশ কু | ক্ব-ফ পেশ ক্বু- |
আরবি ভাষায় سُكُونٌ (ـْ ـۡ) (সুকূন) যুক্ত হরফকে সাকিন বলে, বাংলা ভাষায় আমরা হসন্ত ্ বলি। সুকূন অর্থ স্থির হওয়া বা থেমে যাওয়া। তাই সুকূনযুক্ত হরফ উচ্চারণের সময় তার মাখরাজে (উচ্চারণস্থলে) আওয়াজ কিছুক্ষণের জন্য থেমে স্থির হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত পরের হরফের মাখরাজে স্থানান্তর না হয়, ততক্ষণ সে অবস্থায় স্থির থাকে। যে হরফের উপর সুকূন হয় তাকে সাকিন বলে।
أَثۡ | أَتۡ | أَبۡ | أَءۡ | ফাতাহ-এর সাথে সাকিন (সুকূনযুক্ত হরফ) | |||
হামযা ছা ফাতাহ আছ্ | হামযা তা ফাতাহ আত্ | হামযা বা ফাতাহ আব্ | হামযা হামযা ফাতাহ আ’ | ||||
হামযা ছা যবর আছ্ | হামযা তা যবর আত্ | হামযা বা যবর আব্ | হামযা হামযা যবর আ’ | ||||
أَسۡ | أَزۡ | أَرۡ | أَذۡ | أَدۡ | أَخۡ | أَحۡ | أَجۡ |
হামযা সী-ন ফাতাহ আস্ | হামযা যা ফাতাহ আয্ | হামযা র- ফাতাহ আর্- | হামযা যাল ফাতাহ আয্ | হামযা দাল ফাতাহ আদ্ | হামযা খ- ফাতাহ আখ্ | হামযা হা’ ফাতাহ আহ্’ | হামযা জ্বীম ফাতাহ আজ্ |
হামযা সী-ন যবর আস্ | হামযা যা যবর আয্ | হামযা র- যবর আর্- | হামযা যাল যবর আয্ | হামযা দাল যবর আদ্ | হামযা খ- যবর আখ্ | হামযা হা’ যবর আহ্’ | হামযা জ্বীম যবর আজ্ |
أَفۡ | أَغۡ | أَعۡ | أَظۡ | أَطۡ | أَضۡ | أَصۡ | أَشۡ |
হামযা ফা ফাতাহ আফ্ | হামযা গঈন ফাতাহ আগ্ | হামযা ‘আঈন ফাতাহ আ‘আ্ | হামযা য্ব- ফাতাহ আয্ব্ | হামযা ত্ব- ফাতাহ আত্ব্- | হামযা য্ব-দ ফাতাহ আয্ব্- | হামযা স্ব-দ ফাতাহ আস্ব্- | হামযা শী-ন ফাতাহ আশ্ |
হামযা ফা যবর আফ্ | হামযা গঈন যবর আগ্ | ‘হামযা আঈন যবর আ‘আ্ | হামযা য্ব- যবর আয্ব্ | হামযা ত্ব- যবর আত্ব্ | হামযা য্ব-দ যবর আয্ব্- | হামযা স্ব-দ যবর আস্ব্- | হামযা শী-ন যবর আশ্ |
أَيۡ | أَوۡ | أَهۡ | أَنۡ | أَمۡ | أَلۡ | أَكۡ | أَقۡ |
হামযা ইয়া- ফাতাহ আয়্ | হামযা ওয়াও ফাতাহ আও্ | হামযা হা ফাতাহ আহ্ | হামযা নূন ফাতাহ আন্ | হামযা মী-ম ফাতাহ আম্ | হামযা লাম ফাতাহ আল্ | হামযা কাফ ফাতাহ আক্ | হামযা ক্ব-ফ ফাতাহ আক্ব্ |
হামযা ইয়া- যবর আয়্ | হামযা ওয়াও যবর আও্ | হামযা হা যবর আহ্ | হামযা নূন যবর আন্ | হামযা মী-ম যবর আম্ | হামযা লাম যবর আল্ | হামযা কাফ যবর আক্ | হামযা ক্ব-ফ যবর আক্ব্ |
إِثۡ | إِتۡ | إِبۡ | إِءۡ | কাসরা-এর সাথে সাকিন (সুকূনযুক্ত হরফ) | |||
হামযা ছা কাসরা ইছ্ | হামযা তা কাসরা ইত্ | হামযা বা কাসরা ইব্ | হামযা হামযা কাসরা ই’ | ||||
হামযা ছা যের ইছ্ | হামযা তা যের ইত্ | হামযা বা যের ইব্ | হামযা হামযা যের ই’ | ||||
إِسۡ | إِزۡ | إِرۡ | إِذۡ | إِدۡ | إِخۡ | إِحۡ | إِجۡ |
হামযা সী-ন কাসরা ইস্ | হামযা যা কাসরা ইয্ | হামযা র- কাসরা ইর্- | হামযা যাল কাসরা ইয্ | হামযা দাল কাসরা ইদ্ | হামযা খ- কাসরা ইখ্ | হামযা হা’ কাসরা ইহ্’ | হামযা জ্বীম কাসরা ইজ্ |
হামযা সী-ন যের ইস্ | হামযা যা যের ইয্ | হামযা র- যের ইর্- | হামযা যাল যের ইয্ | হামযা দাল যের ইদ্ | হামযা খ- যের ইখ্ | হামযা হা’ যের ইহ্’ | হামযা জ্বীম যের ইজ্ |
إِفۡ | إِغۡ | إِعۡ | إِظۡ | إِطۡ | إِضۡ | إِصۡ | إِشۡ |
হামযা ফা কাসরা ইফ্ | হামযা গঈন কাসরা ইগ্ | হামযা ‘আঈন কাসরা ই‘ | হামযা য্ব- কাসরা ইয্ব্ | হামযা ত্ব- কাসরা ইত্ব্- | হামযা য্ব-দ কাসরা ইয্ব্- | হামযা স্ব-দ কাসরা ইস্ব্- | হামযা শী-ন কাসরা ইশ্ |
হামযা ফা যের ইফ্ | হামযা গঈন যের ইগ্ | ‘হামযা আঈন যের ই‘ | হামযা য্ব- যের ইয্ব্ | হামযা ত্ব- যের ইত্ব্ | হামযা য্ব-দ যের ইয্ব্- | হামযা স্ব-দ যের ইস্ব্- | হামযা শী-ন যের ইশ্ |
إِيۡ | إِوۡ | إِهۡ | إِنۡ | إِمۡ | إِلۡ | إِكۡ | إِقۡ |
হামযা ইয়া- কাসরা ইয়্ | হামযা ওয়াও কাসরা ইও্ | হামযা হা কাসরা ইহ্ | হামযা নূন কাসরা ইন্ | হামযা মী-ম কাসরা ইম্ | হামযা লাম কাসরা ইল্ | হামযা কাফ কাসরা ইক্ | হামযা ক্ব-ফ কাসরা ইক্ব্ |
হামযা ইয়া- যের ইয়্ | হামযা ওয়াও যের ইও্ | হামযা হা যের ইহ্ | হামযা নূন যের ইন্ | হামযা মী-ম যের ইম্ | হামযা লাম যের ইল্ | হামযা কাফ যের ইক্ | হামযা ক্ব-ফ যের ইক্ব্ |
أُثۡ | أُتۡ | أُبۡ | أُءۡ | যম্মা-এর সাথে সাকিন (সুকূনযুক্ত হরফ) | |||
হামযা ছা যম্মা উছ্ | হামযা তা যম্মা উত্ | হামযা বা যম্মা উব্ | হামযা হামযা যম্মা উ’ | ||||
হামযা ছা পেশ উছ্ | হামযা তা পেশ উত্ | হামযা বা পেশ উব্ | হামযা হামযা পেশ উ’ | ||||
أُسۡ | أُزۡ | أُرۡ | أُذۡ | أُدۡ | أُخۡ | أُحۡ | أُجۡ |
হামযা সী-ন যম্মা উস্ | হামযা যা যম্মা উয্ | হামযা র- যম্মা উর্- | হামযা যাল যম্মা উয্ | হামযা দাল যম্মা উদ্ | হামযা খ- যম্মা উখ্ | হামযা হা’ যম্মা উহ্’ | হামযা জ্বীম যম্মা উজ্ |
হামযা সী-ন পেশ উস্ | হামযা যা পেশ উয্ | হামযা র- পেশ উর্- | হামযা যাল পেশ উয্ | হামযা দাল পেশ উদ্ | হামযা খ- পেশ উখ্ | হামযা হা’ পেশ উহ্’ | হামযা জ্বীম পেশ উজ্ |
أُفۡ | أُغۡ | أُعۡ | أُظۡ | أُطۡ | أُضۡ | أُصۡ | أُشۡ |
হামযা ফা যম্মা উফ্ | হামযা গঈন যম্মা উগ্ | হামযা ‘আঈন যম্মা উ‘আ্ | হামযা য্ব- যম্মা উয্ব্ | হামযা ত্ব- যম্মা উত্ব্- | হামযা য্ব-দ যম্মা উয্ব্- | হামযা স্ব-দ যম্মা উস্ব্- | হামযা শী-ন যম্মা উশ্ |
হামযা ফা পেশ উফ্ | হামযা গঈন পেশ উগ্ | ‘হামযা আঈন পেশ উ‘আ্ | হামযা য্ব- পেশ উয্ব্ | হামযা ত্ব- পেশ উত্ব্ | হামযা য্ব-দ পেশ উয্ব্- | হামযা স্ব-দ পেশ উস্ব্- | হামযা শী-ন পেশ উশ্ |
أُيۡ | أُوۡ | أُهۡ | أُنۡ | أُمۡ | أُلۡ | أُكۡ | أُقۡ |
হামযা ইয়া- যম্মা উয়্ | হামযা ওয়াও যম্মা উও্ | হামযা হা যম্মা উহ্ | হামযা নূন যম্মা উন্ | হামযা মী-ম যম্মা উম্ | হামযা লাম যম্মা উল্ | হামযা কাফ যম্মা উক্ | হামযা ক্ব-ফ যম্মা উক্ব্ |
হামযা ইয়া- পেশ উয়্ | হামযা ওয়াও পেশ উও্ | হামযা হা পেশ উহ্ | হামযা নূন পেশ উন্ | হামযা মী-ম পেশ উম্ | হামযা লাম পেশ উল্ | হামযা কাফ পেশ উক্ | হামযা ক্ব-ফ পেশ উক্ব্ |
ثَنۡ ثِنۡ ثُنۡ | تَنۡ تِنۡ تُنۡ | بَنۡ بِنۡ بُنۡ | أَنۡ إِنۡ أُنۡ | ফাতাহ-এর সাথে সাকিন (সুকূনযুক্ত হরফ) | |||
ছুন্ ছিন্ ছান্ | তুন্ তিন্ তান্ | বুন্ বিন্ বান্ | উন্ ইন্ আন্ | ||||
سَنۡ سِنۡ سُن | زَنۡ زِنۡ زُن | رَنۡ رِنۡ رُنۡ | ذَنۡ ذِنۡ ذُنۡ | دَنۡ دِنۡ دُنۡ | خَنۡ خِنۡ خُنۡ | حَنۡ حِنۡ حُنۡ | جَنۡ جِنۡ جُنۡ |
সুন্ সিন্ সান্ | যুন্ যিন্ যান্ | রু-ন্ রিন্ রা-ন্ | যুন্ যিন্ যান্ | দুন্ দিন্ দান্ | খুন্ খিন্ খান্ | হু’ন্ হি’ন্ হা’ন্ | জুন্ জিন্ জান্ |
فَنۡ فِنۡ فُنۡ | غَنۡ غِنۡ غُنۡ | عَنۡ عِنۡ عُنۡ | ظَنۡ ظِنۡ ظُنۡ | طَنۡ طِنۡ طُنۡ | ضَنۡ ضِنۡ ضُنۡ | صَنۡ صِنۡ صُنۡ | شَنۡ شِنۡ شُنۡ |
ফুন্ ফিন্ ফান্ | গুন্ গিন্ গান্ | ‘উন্ ‘ইন্ ‘আন্ | য্বুন্ য্বিন্ য্বান্ | ত্বুন্ ত্বিন্ ত্বান্ | য্বু-ন্ য্বি-ন্ য্বা-ন্ | স্বু-ন্ স্বিন্ স্বা-ন্ | শুন্ শিন্ শান্ |
يَنۡ يِنۡ يُنۡ | وَنۡ وِنۡ وُنۡ | هَنۡ هِنۡ هُنۡ | نَنۡ نِنۡ نُنۡ | مَنۡ مِنۡ مُنۡ | لَنۡ لِنۡ لُنۡ | كَنۡ كِنۡ كُنۡ | قَنۡ قِنۡ قُنۡ |
ইউন্ ইয়েন্ ইয়ান্ | বু-ন্ বি-ন্ ওয়ান্ | হুন্ হিন্ হান্ | নূন্ নিন্ নান্ | মুন্ মিন্ মান্ | লুন্ লিন্ লান্ | কুন্ কিন্ কান্ | ক্বু-ন্ ক্বিন্ ক্বা-ন্ |
নূনসাকিন তথা সুকূনযুক্ত নূনকে তানবীন বলে। ইহা দুই ফাতাহ বা দুই কাসরা বা দু্ই যম্মা-এর আকৃতিতে প্রকাশিত হয়। যে হরফে তানবীন হয় তাকে “মুনাওয়ান” বলে। যেমনঃ أً – হামযা দুই ফাতাহ আন্, بً- বা দুই ফাতাহ বান্, – তা দুই ফাতাহ তান্, إٍ – হামযা দুই কাসরা ইন্, بٍ – বা দুই কাসরা বিন্, تٍ – তা দুই কাসরা তিন্, أٌ – হামযা দুই যম্মা উন্, بٌ – বা দুই যম্মা বুন্, تٌ – তা দুই যম্মা তুন্।
ثً ثٍ ثٌ | تً تٍ تٌ | بً بٍ بٌ | أً إٍ أٌ | তানবীন – দুই ফাতাহ, দুই কাসরা, দুই যম্মা | |||
ছুন্ ছিন্ ছান্ | তুন্ তিন্ তান্ | বুন্ বিন্ বান্ | উন্ ইন্ আন্ | ||||
سً سٍ سٌ | زً زٍ زٌ | رً رٍ رٌ | ذً ذٍ ذٌ | دً دٍ دٌ | خً خٍ خٌ | حً حٍ حٌ | جً جٍ جٌ |
সুন্ সিন্ সান্ | যুন্ যিন্ যান্ | রু-ন্ রিন্ রা-ন্ | যুন্ যিন্ যান্ | দুন্ দিন্ দান্ | খুন্ খিন্ খান্ | হু’ন্ হি’ন্ হা’ন্ | জুন্ জিন্ জান্ |
فً فٍ فٌ | غً غٍ غٌ | عً عٍ عٌ | ظً ظٍ ظٌ | طً طٍ طٌ | ضً ضٍ ضٌ | صً صٍ صٌ | شً شٍ شٌ |
ফুন্ ফিন্ ফান্ | গুন্ গিন্ গান্ | ‘উন্ ‘ইন্ ‘আন্ | য্বুন্ য্বিন্ য্বান্ | ত্বুন্ ত্বিন্ ত্বান্ | য্বু-ন্ য্বি-ন্ য্বা-ন্ | স্বু-ন্ স্বিন্ স্বা-ন্ | শুন্ শিন্ শান্ |
يً يٍ يٌ | وً وٍ وٌ | هً هٍ هٌ | نً نٍ نٌ | مً مٍ مٌ | لً لٍ لٌ | كً كٍ كٌ | قً قٍ قٌ |
ইউন্ ইয়েন্ ইয়ান্ | বু-ন্ বি-ন্ ওয়ান্ | হুন্ হিন্ হান্ | নূন্ নিন্ নান্ | মুন্ মিন্ মান্ | লুন্ লিন্ লান্ | কুন্ কিন্ কান্ | ক্বু-ন্ ক্বিন্ ক্বা-ন্ |
অভিন্ন পাশাপাশি দুইটি হরফ, প্রথমটি সাকিন (সুকূনযুক্ত) ও দ্বিতীয়টি মুতাহাররিক (হারাকাতযুক্ত) এ অবস্থায় প্রথমটি হরফটিকে দ্বিতীয় হরফের মধ্যে ‘ইদগাম’ তথা প্রবেশ করানো। এবং ঐ হরফটির উপর ّ (তাশদীদ) দ্বিত্ব চিহ্ন বসানো। যেমনঃ قَدَّمَ শব্দটি আসলে قَدۡدَمَ ছিল, এখানে দাল অভিন্ন দুইটি হরফ, যার প্রথটি সাকিন আর দ্বিতীয়টি মুতাহাররিক। প্রথম দালটি দ্বিতীয় দালটির মধ্যে ইদগাম বা প্রবেশ করায়ে উহার উপর ّ (তাশদীদ) বা দ্বিত্ব চিহ্ন বসান হয়েছে।
أَثَّ | أَتَّ | أَبَّ | أَءَّ | ফাতাহ তাশদীদ | |||
আছ্ছা | আত্তা | আব্বা | আ’আ | ||||
أَسَّ | أَزَّ | أَرَّ | أَذَّ | أَدَّ | أَخَّ | أَحَّ | أَجَّ |
আস্সা | আয্যা | আর্রা | আয্যা | আদ্দা | আখ্খা | আহ্’হা | আজ্জা |
أَفَّ | أَغَّ | أَعَّ | أَظَّ | أَطَّ | أَضَّ | أَصَّ | أَشَّ |
আফ্ফা | আগ্গা | আ‘আ্ ‘আ | আয্ব্ যা | আত্ব্ ত্বা | আয্ব্- য্বা- | আস্ব্ স্বা | আশ্ শা |
أَيَّ | أَوَّ | أَهَّ | أَنَّ | أَمَّ | أَلَّ | أَكَّ | أَقَّ |
আয়্ইয়া | আও্ওয়া | আহ্হা | আন্না | আম্মা | আল্লা | আক্কা | আক্ব্ ক্বা |
إِثِّ | إِتِّ | إِبِّ | إِءِّ | কাসরা তাশদীদ | |||
ইছ্ছি | ইত্তি | ইব্বি | ই’ই | ||||
إِسِّ | إِزِّ | إِرِّ | إِذِّ | إِدِّ | إِخِّ | إِحِّ | إِجِّ |
ইস্সি | ইয্যি | ইর্রি | ইয্যি | ইদ্দি | ইখ্খি | ইহ্’হি’ | ইজ্জি |
إِفِّ | إِغِّ | إِعِّ | إِظِّ | إِطِّ | إِضِّ | إِصِّ | إِشِّ |
ইফ্ ফি | ইগ্ গি | ই‘ই্ ‘ই | ইয্ব্ য্বি | ইত্ব্ ত্বি | ইয্ব্- য্বি- | ইস্ব্ স্বি | ইশ্শি |
إِيِّ | أَوَّ | إِهِّ | إِنِّ | إِمِّ | إِلِّ | إِكِّ | إِقِّ |
ইয়্ য় | ইব্- বি | ইহ্হি | ইন্ নি | ইম্ মি | ইল্লি | ইক্ কি | ইক্ব্ ক্বি |
أُثُّ | أُتُّ | أُبُّ | أُءُّ | যম্মা তাশদীদ | |||
উছ্ছু | উত্তু | উব্বু | উ’উ | ||||
أُسُّ | أُزُّ | أُرُّ | أُذُّ | أُدُّ | أُخُّ | أُحُّ | أُجُّ |
উস্সু | উয্যু | উর্রু | উয্যু | উদ্দু | উখ্খু | উহ্’হু’ | উজ্জু |
أُفُّ | أُغُّ | أُعُّ | أُظُّ | أُطُّ | أُضُّ | أُصُّ | أُشُّ |
উফ্ ফু | উগ্গু | উ‘উ্ ‘উ | উয্ব্ য্বু | উত্ব্ ত্বু | উয্ব্- য্বু | উস্ব্- স্বু- | উশ্শু |
أُيُّ | أُوُّ | أُهُّ | أُنُّ | أُمُّ | أُلُّ | أُكُّ | أُقُّ |
উই্ ইউ | উব্- বু- | উহ্হু | উন্নু | উম্মু | উল্ লু | উক্ কু | উক্ব্ ক্বু |
আরবিতে মাফতূহ-এর পরে ا (আলিফ) হলে মাদ ফাতাহ ত্ববীলাহ হয় এবং মাকসূর এর পর ي (ইয়া-) হলে মাদ কাসরা ত্ববীলাহ হয় এবং মাযমূম এর পর و (ওয়া ও) হলে মাদ যম্মা ত্ববীলাহ হয়।
নাম | হরফ | উদাহরণ আরবি | ফার্সি/উর্দূ উদাহরণ |
ফাতাহ ত্ববীলাহ | ـَ ا | بَا – الرَّحۡمَٰن | بٰ |
কাসরা ত্ববীলাহ | ـِ ي | بِي – هِۦ | ه |
যম্মা ত্ববীলাহ | ـُ و | بُو – هُۥ | هٗ |
ثَا | تَا | بَا | أَا | ফাতাহ ত্ববীলাহ (মাফতূহ-এর পরে আলিফ) | |||
ছা ফাতাহ আলিফ ছা.. | তা ফাতাহ আলিফ তা.. | বা ফাতাহ আলিফ বা.. | হামযা ফাতাহ আলিফ আ.. | ||||
ছা যবর আলিফ ছা.. | তা যবর আলিফ তা.. | বা যবর আলিফ বা.. | হামযা যবর আলিফ আ.. | ||||
سَا | زَا | رَا | ذَا | دَا | خَا | حَا | جَا |
সী-ন ফাতাহ আলিফ সা.. | যা ফাতাহ আলিফ যা.. | র- ফাতাহ আলিফ রা-.. | যাল ফাতাহ আলিফ যা.. | দাল ফাতাহ আলিফ দা.. | খ- ফাতাহ আলিফ খা-.. | হা’ ফাতাহ আলিফ হা’.. | জ্বীম ফাতাহ আলিফ জা.. |
সী-ন যবর আলিফ সা.. | যা যবর আলিফ যা.. | র- যবর আলিফ রা-.. | যাল যবর আলিফ যা.. | দাল যবর আলিফ দা.. | খ- যবর আলিফ খা-.. | হা’ যবর আলিফ হা’.. | জ্বীম যবর আলিফ জা.. |
فَا | غَا | عَا | ظَا | طَا | ضَا | صَا | شَا |
ফা ফাতাহ আলিফ ফা.. | গঈন ফাতাহ আলিফ গা.. | ‘আঈন ফাতাহ আলিফ ‘আ.. | য্ব- ফাতাহ আলিফ য্বা-.. | ত্ব- ফাতাহ আলিফ ত্বা-.. | য্ব-দ ফাতাহ আলিফ য্বা–.. | স্ব-দ ফাতাহ আলিফ স্বা-.. | শী-ন ফাতাহ আলিফ শা.. |
ফা যবর আলিফ ফা.. | গঈন যবর আলিফ গা.. | ‘আঈন যবর আলিফ ‘আ.. | য্ব- যবর আলিফ য্বা-.. | ত্ব- যবর আলিফ ত্বা-.. | য্ব-দ যবর আলিফ য্বা–.. | স্ব-দ যবর আলিফ স্বা-.. | শী-ন যবর আলিফ শা.. |
يَا | وَا | هَا | نَا | مَا | لَا | كَا | قَا |
ইয়া- ফাতাহ আলিফ ইয়া.. | ওয়াও ফাতাহা আলিফ ওয়া.. | হা ফাতাহ আলিফ হা.. | নূন ফাতাহ আলিফ না.. | মী-ম ফাতাহ আলিফ মা.. | লাম ফাতাহ আলিফ লা.. | কাফ ফাতাহ আলিফ কা.. | ক্ব-ফ ফাতাহ আলিফ ক্বা-.. |
ইয়া- যবর আলিফ ইয়া.. | ওয়া-ও যবর আলিফ ওয়া.. | হা যবর আলিফ হা.. | নূন যবর আলিফ না.. | মী-ম যবর আলিফ মা.. | লাম যবর আলিফ লা.. | কাফ যবর আলিফ কা.. | ক্ব-ফ যবর আলিফ ক্বা-.. |
আরবিতে মাকসূর-এর পরে ي (ইয়া) হলে মাদ কাসরাহ ত্ববীলাহ হয়। এ অবস্থায় দুই হারাকাত বা এক আলিফ পরিমাণ টানতে হবে।
ثِي | تِي | بِي | إِي | মাকসূর (কাসরা যুক্ত হরফ) | |||
ছা কাসরা ইয়া ছী | তা কাসরা ইয়া তী | বা কাসরা ইয়া বী | হামযা কাসরা ইয়া ঈ | ||||
সা যের ইয়া ছী | তা যের ইয়া তী | বা যের ইয়া বী | হামযা যের ইয়া ঈ | ||||
سِي | زِي | رِي | ذِي | دِي | خِي | حِي | جِي |
সী-ন কাসরা ইয়া সী | যা কাসরা ইয়া যী | র- কাসরা ইয়া রী- | যাল কাসরা ইয়া যী | দাল কাসরা ইয়া দী | খ- কাসরা ইয়া খী- | হা’ কাসরা ইয়া হী’ | জ্বীম কাসরা ইয়া জী |
সী-ন যের ইয়া সী | যা যের ইয়া যী | র- যের ইয়া রী- | যাল যের ইয়া যী | দাল যের ইয়া দী | খ- যের ইয়া খী- | হা’যের ইয়া হী’ | জ্বীম যের ইয়া জী |
فِي | غِي | عِي | ظِي | طِي | ضِي | صِي | شِي |
ফা কাসরা ইয়া ফী | গঈন কাসরা ইয়া গী | ‘আঈন কাসরা ইয়া ‘ঈ | য্ব- কাসরা ইয়া য্বী- | ত্ব- কাসরা ইয়া ত্বী- | য্ব-দ কাসরা ইয়া য্বী– | স্ব-দ কাসরা ইয়া স্বী- | শী-ন কাসরা ইয়া শী |
ফা যের ইয়া ফী | গঈন যের ইয়া গী | ‘আঈন যের ইয়া ‘ঈ | য্ব- যের ইয়া য্বী- | ত্ব- যের ইয়া ত্বী- | য্ব-দ যের ইয়া য্বী– | স্ব-দ যের ইয়া স্বী- | শী-ন যের ইয়া শী |
يِي | وِي | هِي | نِي | مِي | لِي | كِي | قِي |
ইয়া- কাসরা ইয়া ঈ- | ওয়াও কাসরা ইয়া বী- | হা কাসরা ইয়া হী | নূন কাসরা ইয়া নী | মী-ম কাসরা ইয়া মী | লাম কাসরা ইয়া লী | কাফ কাসরা ইয়া কী | ক্ব-ফ কাসরা ইয়া ক্বী- |
ইয়া- যের ইয়া ঈ- | ওয়া-ও যের ইয়া বী- | হা যের ইয়া হী | নূন যের ইয়া নী | মী-ম যের ইয়া মী | লাম যের ইয়া লী | কাফ যের ইয়া কী | ক্ব-ফ যের ইয়া ক্বী- |
আরবিতে মাযমূম-এর পরে و (ওয়া-ও) হলে মাদ যম্মা ত্ববীলাহ হয়। এ অবস্থায় দুই হারাকাত বা এক আলিফ পরিমাণ টানতে হবে।
ثُو | تُو | بُو | أُو | যম্মা ত্ববীলাহ (মাযমূম এর পর و হলে) | |||
ছা যম্মা ওয়াও ছূ | তা যম্মা ওয়াও তূ | বা যম্মা ওয়াও বূ | হামযা যম্মা ওয়াও ঊ | ||||
ছা পেশ ওয়াও ছূ | তা পেশ ওয়াও তূ | বা পেশ ওয়াও বূ | হামযা পেশ ওয়াও ঊ | ||||
سُو | زُو | رُو | ذُو | دُو | خُو | حُو | جُو |
সী-ন যম্মা ওয়াও সূ | যা যম্মা ওয়াও যূ | র- যম্মা ওয়াও রূ- | যাল যম্মা ওয়াও যূ | দাল যম্মা ওয়াও দূ | খ- যম্মা ওয়াও খূ- | হা’ যম্মা ওয়াও হূ’ | জ্বীম যম্মা ওয়াও জূ |
সী-ন পেশ ওয়াও সূ | যা পেশ ওয়াও যূ | র- পেশ ওয়াও রূ- | যাল পেশ ওয়াও যূ | দাল পেশ ওয়াও দূ | খ- পেশ ওয়াও খূ- | হা’ পেশ ওয়াও হূ’ | জ্বীম পেশ ওয়াও জূ |
فُو | غُو | عُو | ظُو | طُو | ضُو | صُو | شُو |
ফা যম্মা ওয়াও ফূ | গঈন যম্মা ওয়াও গূ | ‘আঈন যম্মা ওয়াও ‘ঊ | য্ব- যম্মা ওয়াও য্বূ- | ত্ব- যম্মা ওয়াও ত্বূ- | য্ব-দ যম্মা ওয়াও য্বূ– | স্ব-দ যম্মা ওয়াও স্বূ- | শী-ন যম্মা ওয়াও শূ |
ফা পেশ ওয়াও ফূ | গঈন পেশ ওয়াও গূ | ‘আঈন পেশ ওয়াও ‘ঊ | য্ব- পেশ ওয়াও য্বূ- | ত্ব- পেশ ওয়াও ত্বূ- | য্ব-দ পেশ ওয়াও য্বূ– | স্ব-দ পেশ ওয়াও স্বূ- | শী-ন পেশ ওয়াও শূ |
يُو | وُو | هُو | نُو | مُو | لُو | كُو | قُو |
ইয়া- যম্মা ওয়াও ইঊ- | ওয়াও যম্মা ওয়াও বূ- | হা যম্মা ওয়াও হূ | নূন যম্মা ওয়াও নূ | মী-ম যম্মা ওয়াও মূ | লাম যম্মা ওয়াও লূ | কাফ যম্মা ওয়াও কূ | ক্ব-ফ যম্মা ওয়াও ক্বূ- |
ইয়া- পেশ ওয়াও ইউ- | ওয়া-ও পেশ ওয়াও বূ- | হা পেশ ওয়াও হূ | নূন পেশ ওয়াও নূ | মী-ম পেশ ওয়াও মূ | লাম পেশ ওয়াও লূ | কাফ পেশ ওয়াও কূ | ক্ব-ফ পেশ ওয়াও ক্বূ- |
হরফে লীনঃ ওয়াও ও ইয়া সাকিন হলে এবং তার পূর্বে মাফতূহ তথা ফাতাহ বিশিষ্ট অক্ষর হলে এ অবস্থায় ওয়াও এবং ইয়াকে “হরফে লীন” বলে। হরফে লীন নরম করে উচ্চারণ করতে হয়। আর শুধু মাত্র ওয়াক্ফের সময় এই লীন হরফের পরে হরফ সাকিন করার সময় এই লীন হরফকে এক বা দুই বা তিন আলিফ তথা দুই বা চার বা ছয় হারাকাত বরাবর টেনে পড়তে হয়। মনে রেখ আরবি দুই হারাকাত সমান আমাদের দেশে ১ আলিফ পরিমাণ।
হরফি লীন বা মদ্দে লীন পড়ার নিয়ম- قَوۡمٌ সাধরণত ওয়াক্ফ ছাড়া পড়তে হবে “ক্বাওমুন” নরম করে, আর ওয়াক্ফের সময় বলতে হবে “ক্বাওউ–ম্” চার থেকে ছয় হারাকাত বা দুই থেকে তিন আলিফ পরিমাণ টেনে পড়ে শেষ হরফে সাকিন করতে হবে। উদাহরণঃ
خَيۡرٌ – حَيۡثٌ – كَيۡفٌ – قُرَيۡشٌ – بَيۡتٌ – سَوۡفٌ – خَوۡفٌ – يَوۡمٌ – حَوۡلٌ – صَوۡمٌ – نَجۡدَيۡنِ – مَوۡتٌ – شُعَيۡبٌ – بَيۡتٌ – لَيۡلٌ – صَيۡفٌ – نَوۡمٌ
মাদ করে পড়ার হাদীস ভিত্তিক দলীলঃ ইব্নে মাসউদ রাজিআল্লাহু ‘আনহু একজন মানুষকে কুরআন পড়াতেন। সে ব্যক্তি নিম্নের আয়াতটি إِنَّمَ ٱلَصَّدَقَٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَٱلۡمَسَٰكِينِ، التوبة ٢٠ এখানে (لِلۡفُقَرَآءِ) শব্দটি মাদ তথা না টেনে পড়ে কাস্র অর্থাৎ ছোট করে পড়লে ইব্নু মাসউদ রাজিআল্লাহু ‘আনহু বললেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াতটি এ ভাবে পড়া শিখাননি। মানুষটি বলল: হে আবূ আব্দুর রহ’মান! ‘তাহলে কি ভাবে তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনাকে পড়িয়েছেন’? তিনি রাজিআল্লাহু ‘আনহু মাদ বা টেন পড়ে বললেন: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে إِنَّمَ ٱلَصَّدَقَٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَٱلۡمَسَٰكِينِ এই ভাবে পড়িয়েছেন। [তাবারানী, শাইখ আলবানী রহ্’মাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন]
মাদের সঙ্গাঃ মাদের আভিধানিক অর্থ- বেশি করা, লম্বা করা বা টানা। আর পারিভাষিক অর্থ- মাদের অবস্থায় (و ا ي) তিনটি হরফের যে কোন একটির পরে যদি হামযা অথবা কোন সাকিন হরফ হয় তাহলে শব্দটিকে লম্বা করে পড়ার নাম মাদ।
মাদের কারণ দু’টিঃ ১। মাদের হরফের পরে হামযা হওয়া। যেমন- ٱلسَّمَآءِ ২। মাদের হরফের পরে সকিন হওয়া। যেমন- ٱلضَّآلِّينَ
[নোটঃ প্রতিটি তাশদীদযুক্ত হরফের প্রথমটি সাকিন ও দ্বিতীয়টি হারাকাতযুক্ত যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে।]
মাদ মূলত তিন প্রকারঃ
১। মাদ আসলী বা ত্ববা‘য়ী, মাদ লীন, মাদ ইওয়ায।
২। মাদ ফার‘য়ী।
৩। মাদ স্বেলাহ।
মাদ অবস্থায় (মাফতু এর পরে আলিফ, মাকসূরের পর ইয়া-, মাযমূম এর পর ওয়া-ও হলে) ا ي و এর কোন একটি হরফের পরে হামজা অথবা সুকূন (তাশদীদ) না হলে যে মাদ হয় তাকে “মাদ আসলি” বা “মাদ ত্ববায়ী” বলে। এ মাদের শর্ত হলোঃ মাদের হরফ হারাকাত ও সুকূন মুক্ত হতে হবে এবং আলিফের পূর্বে ফাতাহযুক্ত হরফ, ইয়া-এর পূর্বে কাসরাযুক্ত হরফ, এবং ওয়াও এর পূর্বে যম্মাযুক্ত হরফ হবে। এর মাদ ২ হারাকাত পরিমাণ। উদাহরণ – কায়দা ৭, ৮, ৯ দেখ।
আর ইয়া ও ওয়ও যদি সাকিন হয় এবং তার পূর্বের হরফ মাফতুহ বা ফাতাহযুক্ত হয় তাকে “মদ লীন” বলে। উদাহরণ – কায়দা ১০ দেখ।
শব্দের শেষে দুই ফাতাহ হলে ওয়াক্বফ-এর সময় একটি ফাতাহ পরে যায় এবং বাঁকি এক ফাতাহ দিয়ে ২ হারাকাত পরিমাণ টেনে পড়তে হয়। আরবি কুরআনে এই দুই ফাতাহ একটু আগু-পিছু করে লিখা হয়। একে মাদ ইওয়ায বলে। যেমন-
صَفًّا صَفّٗا – عَلِيمًا حَكِيمٗا – مَعَ ٱلۡعُسۡرِ يُسۡرٗا – أَن يُّتۡرَكَ سُدٗىٰ
মাদের হরফের পরে মাদের কারণ হামযা অথবা সুকূন আসলে মাদ ত্ববা‘য়ীকে অতিরিক্ত লম্বা করে টেনে পড়াকে মাদ ফার‘য়ী বলা হয়।
মাদ মুত্তাসিল (ওয়াজিব) – মুত্তাসিল অর্থ মিলিত হওয়া। একই শব্দে মাদের হরফের পরে হামযা হলে তাকে মাদ মুত্তাসিল বলে। এই মাদের পরিমাণ ৪ বা ৫ হারাকাত। আর ওয়াকফ করলে ৬ হারাকাত পরিমাণ। মাদ মুত্তাসিল একই শাব্দে একের অধিক আসলে সবকটি মাদ করা ওয়যিব, কোন একটি মাদ না করা জয়েয নয়। যেমন- ٱلسَّمَآءِ – سُوٓءَ – سِيٓئَتۡ – وَأَمَّا ٱلسَّآئِلَ – جَآءَ – أُولَٰٓئِكَ – شُهَدَآءُ – شَآءَ – نِسَآءٌ – جَزَآؤُهُمۡ
মুনফাসিল অর্থ পৃথক থাকা। মাদের হরফের পরে পৃথক শব্দে হামযা হলে তাকে মাদ মুনফাসিল বলে। এর মাদের পরিমাণ ৪ বা ৫ হারাকাত। মুনফাসিল বাক্যের শব্দগুলোর মধ্যে যে কয়টিতে আসবে সবগুলো মাদ করা জায়েয। যেমন- وَمَآ أُنزِلَ – قَالُوٓاْ ءَامَنَّا – وَفِيٓ أَنْفُسِكُمۡ – إِنَّآ أَعۡطَيۡنَا – مَآ أَعۡبُدُ – يَدَآ أَبِي – وَلَآ أَنۡتُمۡ – مَآ أَغۡنَٰى – قَالُوٓاْ إِنَّا
মাদের হরফের পূর্বে হামযা আসলে তাকে মাদ বদল বলে। বদল অর্থ পরিবর্তন হওয়া। হামযা মাদের হরফে পরিবর্তিত হওয়ার করণে তাকে মাদ বদল বলে। এ মাদের পরিমাণ ৪ বা ৫ হারাকাত। যেমন-
أُوتِيَ – أُومِنَ – لِإِيلَٰفِ – إِيمَانًا – أَامِينَ – أَامَنُوا
মাদের হরফ বা লীন হরফের পরে ওয়াক্ফের সময় সুকূন হওয়ার করণে যে মাদ হয় তাকে মাদ আরিযী লিস্সুকূন বলে। আরিযী অর্থ কারণবশত। কারণবশত ওয়াক্ফ করার ফলে সুকূন হলে মাদ করতে হয় বলে মাদ আরিযী লিস্সুকুন নামকরণ করা হয়েছে। এ মাদের পরিমাণ ৪ বা ৬ হারাকাত। যেমন-
ٱلۡعَٰلَمِينَ – نَسۡتَعِينُ – بَيۡتٞ – ٱلرَّحِيمُ – ٱلۡعَٰلَمِينَ – ٱلدِّينِ – ٱلصِّرَاطَ – ٱلمُسۡتَقِيمَ – وَٱلنَّاسِ – ٱلۡكَٰفِرُونَ
মাদের হরফের পরে লাজিমী-আবশ্যকীয় সুকূন আসলে ওয়াস্ল তথা মিলিয়ে পড়া বা ওয়াক্ফ তথা থামা এই দুই অবস্থায় মাদ করা জরুরি। এর মাদের পরিমাণ ৬ হারাকাত করা জরুরি। মাদ লাযিম দুই প্রাকারঃ ক) মাদ লাযিম কালমী (শব্দে)। খ) মাদ লাযিম হারফী (হরফে)। এগুলো প্রত্যেকে আবার দুই প্রকার- ১) মুখফ্ফাফ (সুকূনযুক্ত-হালাকা)। ২) মুছাক্বক্বল (তাশদীদযুক্ত-ভারি)।
শব্দের মধ্যে যদি মাদের হরফের পরে সাকিন হরফ তার পরের হরফে ইদগাম (মিলিত) না হয় তথা সুকূন হয় তবে কালমী মুখফ্ফাফ হবে। এই মাদ কুরআন মাজিদে শুধু মাত্র সূরা ইউনুসে এর দুইটি আয়াতে একই শব্দে এসেছে যেমন- ءَآلۡئَٰنَ وَقَدۡ كُنتُم ، يونس ١٥ ءَآلۡئَٰنَ وَقَدۡ عَصَيۡتَ ، يونس ٩١
শব্দের মধ্যে যদি মাদের হরফের পরে সাকিন হরফ তার পরের হরফে ইদগাম (মিলিত) হয় তথা তাসদীদ হয় তবে কালমী মুছাক্বক্বল হবে। যেমন- وَلَاجَآنّٞ – دَآبَّةٖ – أَتُحَٰٓجُّوٓنِّي – ضَآلَّا -كَآفَّةً – وَلَا ٱلضَّآلِّينَ – طَآمَّةُ – جَآنَّ – صَآجَّةٌ
কোন হরফের বানান এর মধ্যে মাদের হরফের পরে যদি সাকিন হরফে ইদগাম না হয় তথা সুকূন হয় তাহলে হরফি মুখফ্ফাফ হবে। ইহা (ح ي ط ه ر) এই ৫টি হরফ হবে। এর মাদ বা টান ২ হারাকাত পরিমাণ। যেমন-
طه ، طه ١
কোন হরফের বানান এর মধ্যে মাদের হরফের পরে যদি সাকিন হরফ তার পরের হরফে ইদগাম হয় তথা তাশদীদ হয় তবে হরফী মুছাক্বক্বল হবে। ইহা (ع – ص – ق – ن – س – ك – م – ل এই ৮টি হরফে হবে। এর মাদ বা টান ৬ হারাকাত পরিমাণ। যেমন- الٓمٓ، ٱلبقر ١
[বিঃদ্রঃ কুরআন মাজিদের সূরার প্রথমে যে সকল হরফে মুকাত্তা‘আত ব্যবহৃত হয় সেগুলো তিন প্রকার: ১। যে মাদ ৬ হারাকাত পরিমাণ তা হচ্ছে- ع – ص – ق – ن – س – ك – م – ل এই ৮টি হরফ, ২। যে মাদ ২ হারাকাত পরিমাণ অর্থাৎ মাদ তাবা‘ঈ তা হচ্ছে- ح ي ط ه ر এই ৫টি হরফ, ৩। আর যে হরফে মাদ নেই তা হচ্ছে- ا আলিফ।]
আরবি ভাষায় তৃতীয় পুরুষ একবচন সর্বনামের জন্য (ه) – এর ব্যবহার করা হয়। যদি এ (ه) -এর আগে ও পরের হরফ হারাকাতযুক্ত হয় তাহলে মাদ ত্ববা‘ঈর ন্যায় দুই হারাকাত টেনে পড়তে হয়। একে ছোট স্বেলাহ বলে। আরবি কুরআনে এ অবস্থায় (ه) – মাযমূম হলে তার পরে একটি ছোট ওয়াও এবং মাকসূর হলে একটি ছোট ইয়া লিখা হয়।
[আমাদের দেশের ছাপা কুরআনে এর জন্য উল্টা পেশ বা খাড়া যের ব্যবহার করা হয়।] যেমন-
بَلَيٰٓ إِنَّ رَبَّهُۥ كَانَ بِهِۦ بَصِرٗا، الانشقاق : ١٥
আর যদি (ه) -এর পরে হামযাহ থাকে তবে মাদ মুনফাসেলের ন্যায় ৪ বা ৫ হারাকাত মাদ করে পড়তে হবে। একে বড় স্বেলাহ বলে। আরবি কুরআনে এ অবস্থায় ঐ ছোট ওয়াও এবং ইয়ার উপর মাদের চিহ্ন (ـٓ) লিখা থাকবে। যেমন-
وَأَمۡرُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِ، ٱلبقرة ٢٧٥ وَٱلَّذِينَ يَصِلُونَ مَآ أَمَرَ ٱللَّهُ بِهِۦٓ أَن يُوصَلَ ، ٱلرعد ٢١
কিন্তু এর বিপরীত অবস্থাও হয়ে থাকেঃ-
[নোটঃ ه (হা) স্বেলাহ মিলিয়ে পড়ার সময় মাদ হবে কিন্তু ওয়াক্ফ করার সময় মাদ হবে না। বরং সাকিন পড়তে হবে।]
ইযহার অর্থ স্পষ্ট করা। নূন সাকিন ও তানবীনের পরে হলকুমের (ء – ه – ع – ح – غ – خ) -এই ছয়টি হরফের যে কোন একটি হলে ঐ সময় নূন সাকিন ও তানবীনকে ইযহার তথা স্পষ্ট করে পড়তে হয়। গুন্নাহ করে টেন না পড়ে সাভাবিক ভাবে এক হারাকাত পরিমান পড়তে হবে। ইযহার এক শব্দের মাঝে হতে পারে, আবার দুই শব্দের মধ্যেও হতে পারে। আরবি কুরআনে যে স্থানে তানবীন ইযহার হবে সেখানে হারাকাত দুইটি সমান সমান করে লিখা থাকে। যেমন- أً إٍ أٌ
হরফ | নূন সাকিন | তানবীন |
ء | مَنۡ ءَامَنَ | عَذَبًا أَلِيمًا |
ه | مِنۡهُ | نُوحًا هَدَيۡنَا |
ع | يَنۡعِقُ | عَجُوزٌ عَقِيم |
ح | مِنۡ حَقٍّ | بِغُلَامٍ حَلِيم |
غ | مِنۡ غِلٍّ | فَظًا غَلِيظًا |
خ | مِنۡ خَيۡرٍ | عَلِيمٌ خَبِير |
ইখফা অর্থ অস্পষ্ট করা। নূন সাকিন ও তানবীনের পরে ইখফার- (ت – ث – ج – د – ذ – ز – س – ش – ص – ض – ط – ظ – ف – ق – ك) এই পনেরটি হরফের কোন একটি আসলে নূন সাকিন ও তানবীনকে ইখফা তথা নূন সাকিন ও তানবীনের গুন্নার উচ্চারণকে অস্পষ্ট করে পড়তে হবে। আর গুন্না হচ্ছে আওয়াজকে নাকের মধ্যে বাজিয়ে টেনে উচ্চারণ করা। ইখফা একটি শব্দের মধ্যে হতে পারে আবার দুইটি শব্দ মিলেও হতে পারে। আরবি কুরআনে যে স্থানে তানবীন ইখফা হবে সেখানে হারাকাত দুইটি একটু আগে পিছে করে (بٗ بٖ بٞ) লিখা হয় যেমনটি উদাহরণে দেওয়া হয়েছে। আর নূন সাকিনের ইখফার আরবি কুরআনে নূনের উপর কোন হারাকাত লিখা থাকে না।
হরফ | নূন সাকিন | তানবীন |
ت | فَمَن تَابَ | قَوۡمٞ تَجۡهَلُونَ |
ث | مِن ثَمَرَةٍ | مَآءٗ ثَجَّاجٗا |
ج | مَن جَآءَ | صَعِيدٗا جُرُزٗا |
د | مِن دُبُرٍ | وَكَأۡسٗا دِهَاقٗا |
ذ | عَن ذِكۡرِي | ظِلّٖ ذِي ثَلَٰثِ شُعَبٖ |
ز | فَمَن زُحۡزِحَ | نَفۡسٗا زَكِيَّةَۢ |
س | يَنسِلُون | إِنِّي عَٰمِلٞۖ سَوۡفَ |
ش | أَن شَأۡنَا | نَفۡسٖ شَيۡئًا |
ص | مِن صَلۡصَالٍ | جِمَٰلَتٞ صُفۡرٞ |
ض | يَنظُرُون | لِبَعۡضٖ ظَهِيرٗا |
ط | وَمَا يَنطِقُ | حَلَٰلٗا طَيِّبٗا |
ظ | يَنظُرُون | لِبَعۡضٖ ظَهِيرٗا |
ف | يُنفِقُ | وَنُحَاسٞ فَلَا تَنَٰصِرَانِ |
ق | مِن قَبۡلُ | رِزۡقٗاۙ قَالُواْ |
ك | مَن كَانَ | جِهَادٗا كَبِيرٗا |
ইদগাম অর্থ একত্রে মিলানো, সংযুক্তকরণ বা প্রবিষ্টকরণ। নূন সাকিন ও তানবীনের পরে ভিন্ন শব্দের প্রথমে ইদগামের (ي – ر – م – ل – و – ن) -এই ছয়টি হরফের কোন একটি হরফ আসলে নূন সাকিন ও তানবীনকে ইদগাম তথা মিলিয়ে পড়তে হয়। ইদগামের হরফগুলো একত্রে করলে (يَرۡمَلُونْ) (ইয়ারমালূন) শব্দ হয়। আরবি কুরআনে যে স্থানে তানবীন ইদগাম হবে সেখানে হারাকাত দু’টি একটু আগে পিছে করে লিখা হয়। আর নূন সাকিনের ইদগামের অবস্থায় আরবি কুরআনে নূনের উপর কোন হারাকাত লিখা থাকে না।
ইদগাম মা‘আল গুন্নাহ, তথা গুন্নাহসহ ইদগাম। এর হরফ চারটিঃ (ي – و – م – ن)। একত্রে করলে (يومن) (ইউমিনু) হয়। আরবি কুরআনে ওয়াও এবং ইয়া হলে তার উপর তাশদীদ ব্যবহার করা হয় না, তবে বাঁকি হরফগুলোতে তাশদীদ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশীয় কুরআনে (ইয়া) ও (ওয়াও) এর উপর তাশদীদ ব্যবহার করা হয়।
হরফ | নূন সাকিন | তানবীন |
ي | مَن يَكۡفُر | عَيۡنٗا يَشۡرَبُ |
و | مِن وَالٍ | هُزُوٗا وَلَعِبٗا |
م | مِن مَّالٍ | قَوۡمٞ مُّسۡرِفُونَ |
ن | مِن نَّطۡفَةٍ | سُلۡطَٰنٗا نَّصِيرٗا |
ইদগাম বিগাইরি গুন্নাহ তথা গুন্নাহ ছাড়া ইদগাম। এর হরফ দু’টি: (ر ل) (র- ও লাম)। নূন সাকিন বা তানবীনের পর (লাম) ও (র-) হরফ আসলে তাকে গুন্নাহ ছাড়াই ইদগাম করতে হবে। এ অবস্থায় আরবি কুরআনে তানবীনে হারাকাতগুলো আগু-পিছু করে লিখা হয় এবং নূন সাকিনের উপর সূকুন লিখা হয় না আর (লাম) ও (র-) এর উপর তাশদীদ লিখা হয়।
হরফ | নূন সাকিন | তানবীন |
ر | مِن رَّحۡمَةٍ | غَفُورٞ رَّحِيمٌ |
ل | مِن لَّدُنۡ | رِزۡقٗا لَّكُمۡ |
ইক্বলাব অর্থ পরিবর্তন করা। নূন সাকিন ও তানবীনের পরে ইক্বলাবের একটি হরফ (ب) আসলে নূন সাকিন ও তানবীনকে ইক্বলাব তথা মীম দ্বারা পরিবর্তন করে গুন্নাহসহ পড়তে হয়। ইহা বুঝানর জন্য কুরআন মাজীদে নূন সাকিন ও তানবীনের পরে উপরে বা নিচে একটি ছোট মীম লিখা হয়। যেমনটি উদাহরণে দেখ যাচ্ছে। ইক্বলাব এক শব্দে যেমন হয় তেমনি দুই শব্দেও হয়।
হরফ | নূন সাকিন | তানবীন |
ب | مِنۢ بَعۡدِ | خَبِيرَۢا بَصِيرٗا |
ب | مِنۢ بَعۡضٖ | ءَايَٰتِۢ بَيِّنَٰتٖۖ |
ب | تُنۢبِتُ | لَيَّۢا بِأَلۡسِنَٰتهِمۡ |
ب | مَنۢ بَعَثَنَا | صُمُّۢبُكۡمٌ |
আরবি শব্দের আসল রূপ হচ্ছে আলিফ-লাম ছাড়া হওয়া অর্থাৎ নাকেরা (অনির্দিষ্ট জ্ঞপক) হওয়া। যেমন:- كِتَابٌ একটি কিতাব, শব্দটি মা’রিফাহ বা নির্দিষ্ট করার জন্য আলিফ-লাম যোগ করতে হয়। যেমন:- ٱلۡكِتَابُ
লাম দুই প্রকার: ক) লাম ক্বমারিয়্যাহ, খ) লাম শামসিয়্যাহ।
যে লাম তার পরের হরফের মধ্যে ইদগাম তথা মিলে যায় না এবং ইহা লিখতে আসে ও পড়তেও আসে তাকে লাম ক্বমারিয়্যাহ বলে। এই লাম (أ – ب – ج – ح – خ – ع – غ – ف – ق – ك – م – ه – و – ي) এই ১৪টি হরফের যে কোন একটি পূর্বে আসে।
ٱلۡقَمَرُ | ٱلۡقُرۡءَانُ | ٱلۡإِنۡسَٰنُ |
ٱلۡخُبْزُ | ٱلۡجَبَلُ | ٱلۡمُدَرِّسُ |
যে লাম তার পরের হরফের মধ্যে ইদগাম হয় তথা মিলে যায়। ইহা লিখতে আসে কিন্তু পড়তে আসে না তাকে লাম শামসিয়্যাহ বলে। এই লাম (ت – ث – د – ذ – ر – ز – س – ش – ص – ض – ط – ظ – ل – ن) এই ১৪টি হরফের মধ্যে যে কোন একটির পূর্বে আসে।
ٱلشَّمۡسُ | ٱلصَّلَوٰةُ | ٱلتَّوۡبَةُ |
ٱلدُّنۡيَا | ٱلسُّكَّرُ | ٱلطَّرِيقُ |
যে হামযা শব্দের শুরুতে হয় এবং শুধু বাক্যের প্রথমে হলে পড়তে আসে। আর মাঝখানে হলে মিলিয়ে পড়ার কারণে পড়তে আসে না তাকে হামযা ওয়াস্লী বলে। ইহা দেখতে (ٱ) এমন দেখা যায়। আলিফের উপর স্ব-দ এর মাথাটুকু যোগ করা হয়েছে। যেমনঃ- ( ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ – وَٱسۡتَعِينُواْ بِٱلصَّبۡرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ ) “আলহা’মদু” -এর হামযা ওয়াসলী পড়তে এসেছে; কারণ বাক্যের প্রথমে হয়েছে। কিন্তু “ওয়াস্তা‘ঈনূ” “বিস্সাবরি” -এ দুইটি শব্দে হামযাসমূহ মিলিয়ে পড়ার কারণে পড়তে আসেই; কারণ শব্দের মাঝখানে হয়েছে।
হামযা ওয়াসলীর উপর কোন হারাকাত লিখা হয় না। হামযা ওয়াসলী শব্দের শুরুতে হলে এবং সেখান থেকে পড়া আরম্ভ করলে পড়তে আসবে। এ আবস্থায় পড়ার নিয়ম তিনটি।
যদি শব্দের প্রথমে হামযা ওয়াসলী পরে (লাম) ٱل হয় তাহলে সে হামযা ওয়াসলী ফাতাহ দ্বারা পড়তে হবে। যেমনঃ
শব্দ | উচ্চারণ | শব্দ | উচ্চারণ |
ٱلرَّحِيمِ | আর্রহীম | ٱلۡعَٰلَمِينَ | আল্ ‘আলামীন |
ٱلرَّحۡمَٰنِ | আর্রহ্মা-ন | ٱلۡحَمۡدُ | আল্হাম্দ্ |
যদি শব্দের প্রথমে হামযা ওয়াস্লী-সহ তৃতীয় হরফ মাফতুহ অথবা মাকসূর হয় তাহলে হামযা ওয়াস্লীটি কাসরা হবে।
শব্দ | উচ্চারণ | শব্দ | উচ্চারণ |
وَٱشۡرَبُواْ | ওয়াশ্রাবূ | فَٱغۡفِرۡ | ফাগ্ফির্ |
وَٱعۡلَمُوٓاْ | ওয়া‘লামূ | فَٱضۡرِبۡ | ফায্রিব্ |
ٱتَّخَذُواْ | ইত্তাখাযূ | ٱهۡدِنَا | ইহ্দিনা |
ٱذۡهَبۡ | ইয্হাব্ | ٱضۡرِبۡ | ইয্রিব্ |
উপরের উদাহরণ লক্ষ্য কর, প্রথম দুই লাইনের শব্দগুলোতে হামযা ওয়াস্লী শব্দের শুরুতে না হওয়ার কারণে পড়তে আসেনি। কিন্তু পরের দুই লাইনে শব্দের শুরুতে হামযা ওয়াস্লী হওয়ার ফলে তৃতীয় হরফ ফাতাহ ও কাসরা দুই অবস্থাতেই হামযা ওয়াস্লী কাসরা দ্বারা পড়তে হয়েছে।
যদি শব্দের প্রথমে হামযা ওয়াস্লী-সহ তৃতীয় হরফ মাযমূম হয় তাহলে হামযা ওয়াস্লীটি যম্মাযুক্ত হবে।
শব্দ | উচ্চারণ | শব্দ | উচ্চারণ | শব্দ | উচ্চারণ |
وَٱشۡدُدۡ | ওয়াশ্দুদ | وَٱحۡلُلۡ | ওয়াহ্লুল | وَٱضۡمُمۡ | ওয়ায্মুম |
ٱعۡبُدُواْ | উ‘বুদূ | ٱمۡكُثُوٓاْ | উম্কুছূ | ٱسۡجُدُواْ | উস্জুদূ |
উপরের উদাহরণ লক্ষ্য কর, প্রথম লাইনের শব্দগুলোতে হামযা ওয়াস্লী শুরুতে না হওয়ার ফলে পড়তে আসেনি। কিন্তু দ্বিতীয় লাইনের শব্দগুলোর শুরুতে হামযা ওয়াস্লী হওয়ার ফলে তৃতীয় হরফে যম্মা থাকায় হামযা ওয়াস্লী যম্মাযুক্ত হয়ে উচ্চারিত হয়েছে।
যে হামযা শব্দের শুরুতে এবং বাক্যের শুরুতে ও মাঝখানে সকল অবস্থাতেই হারাকাত থাকে ও পড়তে হয় তাকে হামযা ক্বত্ব’য়ী বলে। হামযা ক্বত্ব’য়ী দেখতে أ এমন দেখা যায়। ফাতাহ ও যম্মা অবস্থায় أَ أُ এভাবে আলিফের উপর ء লিখা হয় এবং কাসরা অবস্থায় إِ এভাবে আলিফের নিচে ء লিখা হয়।
أَنۡ | أَمۡ | أَلِيمٌ | وَأُدۡخِلَ | أُجُورَكُمۡ | أُمِّهَا | أُذُنُ |
إِنَّ | إِسْمَ | إِنَّمَا | إِنۡسَٰنٌ |
যদি তানবীনের পরে হামযা ওয়াসলী আসে এবং হামযা ওয়াসলীর পরের হরফ সাকিন তথা সুকূনযুক্ত হয়, তাহলে তানবীনের নূন সাকিনকে কাসরা দ্বারা পড়তে হবে; কারণ হামযা ওয়সলীর মাঝখানে পড়তে আসে না, যার ফলে দু’টি সাকিন একত্রে জমা হয় যা পড়া অসম্ভব। যেমনঃ نُوحٌ ٱبۡنَهُ এখানে نُوحٌ শব্দটি আসলে ছিল نُوحُنۡ তাহলে نۡ নূনসাকিন এবং হামযা ওয়াস্লী মাঝে পড়তে আসবে না আর তার পরের হরফ بۡ বা সাকিন। যার ফলে দুইটি সাকিন একত্রে জমা হয় যা পড়া আসম্ভব। তাই নূন সাকিনকে একটি কাসরা দ্বারা মিলিয়ে পড়তে হবে। আমাদের দেশের ছাপা কুরআন মাজিদে একটি কাসরাযুক্ত نِ নূন লিখা থাকে। এর ব্যবহার আরবি কুরআনে দেওয়া হয়নি কিন্তু ব্যাকরণ হিসাবে পড়তে হবে।
যম্মা দ্বারা তানবীন | ফাতাহ দ্বারা তানবীন | কাসরা দ্বারা তানবীন |
عُزَيۡرٌ ٱبۡنُ ٱللَّهِ | عَادًا ٱلۡأُولَٰى | كَرَمَدٍ ٱشۡتَدَّتۡ |
‘উযায়রু নিবনুল্লাহ | ‘আদা নিলউলা | কারামাদি নিশতাদ্দাত |
خَيۡرٌ ٱطۡمَأَنَّ بِهِۦۖ | جَزَآءً ٱلۡحُسۡنَيٰۖ | يَوۡمَئِذٍ ٱلۡمُسۡتَقَرُّ |
খায়রু নিত্বমাআন্না বিহী | জাযাআ নিল’হুসনা | ইয়াওমাইযি নিলমুসতাক্বার্রু |
فِتۡنَةٌ ٱنقَلَبَ | مَثَلًا ٱلۡقَوۡمُ | قَرۡيَةٍ ٱسۡتَطۡعَمَآ |
ফিতনাতু নিনক্বালাবা | মাছালা নিলক্বাওমূ | ক্বারইয়াতি নিসতাত্ব’আমা.. |
যে সকল হরফ লিখতে আসে কিন্তু পড়তে আসে না এবং পড়তে আসে কিন্তু লিখতে আসে না
যেমন আলিফ জায়িদা তথা অতিরিক্ত আলিফ। এ ধরনের অতিরিক্ত হরফের উপরে একটি গোল আকৃতির চিহ্ন اْ থাকে। যেমনটি নিচের উদাহরণে দেওয়া হয়েছে।
১. বহুবচন শব্দের و ওয়াও-এর পরের আলিফ। যেমনঃ قَالُوٓاْ – قُولُوٓاْ
২. مِاْئَةَ শব্দের আলিফ।
৩. أَنَاْ শব্দের আলিফ। কিন্তু ওয়াক্ফের সময় পড়তে হবে।
৪. أُوْلَٰتِ – أُوْلُواْ – أُوْلِي – أُوْلَٰٓئِكَ এ শব্দগুলোর و ওয়াও।
লফযে জালালাহ তথা ٱللَّهُ শব্দের লামের পরে আলিফ। অর্থাৎ লামে দ্বিত্ব চিহ্ন (লা) আছে পড়তে হবে টেনে (লা-) দীর্ঘ করে। আমাদের দেশ কুরআনগুলোতে খাড়া যবর লিখা থাকে। এ ধরণের ব্যবহার আরবি কুরআনে হয় না।
নূন ও মীম মুশাদ্দাদ তথা তাশদীদযুক্ত হলে উচ্চারণের সময় দুই হারাকাত তথা এক আলিফ পরিমাণ গুন্নাহ করে পড়তে হবে। নাকের মধ্যে আওয়াজ বাজানোকে গুন্নাহ বলে। যেমনঃ
وَإِنَّ عَلَيۡكُمۡ لَحَٰفِظِينَ، ٱلۡإِنفطار ١٠ عَمَّ يَتَسَآءَلُونَ، ٱلنبأ ١
মীম সকিনের পর ب হরফ আসলে ইখফা শাফাবী তথা ইযহার ও ইদগামের মাঝামাঝি ঠোঁটের মধ্যে ইখফা করতে হবে। এতে গুন্নাহ বাকি রেখে তাশদীদ ছাড়া পড়তে হবে। যেমনঃ تُلۡقُونَ إِلَيۡهِم بِٱمَوَدَّةِ ۚوَأَلۡسِنَٰتَهُم بِٱلسُّوٓءِ
মীম সাকিনের পরে হারাকাতযুক্ত মীম হলে গুন্নাহসহ ইদগাম করে পড়তে হবে। যেমনঃ
سِيمَاهُمۡ فِي وُجُوهِهِم مِّنۡ أَثَرِ ٱلسُّجُودِۚ ، وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ مِنۡهُم مَّغۡفِرَةٗ،
মীম সাকিনের পরে (বা) ب ও (মীম) م ছাড়া অন্যান্য ২৬ টি হরফের যে কোন একটি হরফ হলে মীমকে ঠোঁটের মধ্যে ইযহার করে পড়তে হয়। ইযহার শাফবী-এর ২৬টি হরফের মধ্যে ج خ ذ م ظ غ ف ق এ ৮টি হরফ মীম সাকিনের পরে অন্য শব্দে হয়। আর বাকি ১৮টি হরফ মীম সাকিনের সঙ্গে একই শব্দে যেমন হয় ঠিক তেমনি দুইটি শব্দেও হয়।
(خُصَّ ضَغۡطُ قِظَّ) এ ৭টি হরফকে ইস্তি‘আলার হরফ বলে। এগুলো সর্বদা তাফখীম তথা মোটা করে পড়তে হয়।
ইস্তি‘আলার ৭টি হরফ ছাড়া বাঁকি ২১টি হরফকে ইস্তিফালের হরফ বলা হয়। এগুলোকে তারক্বীক তথা পাতলা করে পড়তে হয়। কিন্তু ر ও ل কে কিছু অবস্থায় তফখীম (মোটা) করে পড়তে হয়।
(লাফযুল জালালাহ) ٱللَّهُ শব্দের ل ফাতাহ বা যম্মা এর পরে আসলে সেই লাম-কে তাফখীম (মোটা) করে পড়তে হবে। যেমনঃ (تَٱللَّهِ – عَلَيۡهُ ٱللَّهَ)। আর যদি ل কাসরা এর পরে আসে তবে তরক্বীক্ব (পাতলা) করে পড়তে হবে। যেমনঃ (بِٱللَّهِ – بِسۡمِ ٱللَّهِ)
ক) ر কে তাফখীম বা (মোটা) করে পড়ার নিয়মঃ
১. ر যদি মাফতুহ ও মাযমূম হয় তাহলে তাফখীম করে পড়তে হবে। যেমনঃ رَبَّنَا – ٱلرَّحۡمَٰنِ – ٱلرَّحِيمِ – رُزِقۡنَا – ٱلرُّوحُ
২. ر সাকিনের পূর্বের হরফ ফাতাহ বা যম্মাযুক্ত হলে র কে তাফখীম করে পড়তে হবে। যেমনঃ يَرۡجِعُ – يُرۡجَعُ
৩. ر সাকিন যদি হামযা ওয়াস্লীর পরে হয় তবে সর্বদা তফখীম করে পড়তে হবে। যেমনঃ
وَٱرۡزُقۡنَا – ٱرۡكُضُ – أَمِ ٱرۡتَابُوٓاْ – مَنِ ٱرۡتَضَيٰ
৪. ر সাকিন কাসরা আরেযীর পরে এক শব্দে মিলে হোক বা দ্বিতীয় শব্দে হোক তাফখীম (মোটা) করে পড়তে হবে। যেমনঃ ٱرۡجِعُوٓاْ – إِنِ ٱرۡتَبۡتُمۡ
৫. একই শব্দের মধ্যে ر সাকিনের পর ইস্তি‘আলার কোন হরফ হলে র কে মোটা করে পড়তে হবে। যেমনঃ لَبِٱلۡمِرۡصَادِ
৬. ر এর উপর ওয়াক্ফ করার সময় সর্বদা সাকিন করে পড়তে হবে। এ সময় ر এর পূর্বের হরফও যদি সাকিন হয় এবং তার আগের হরফ মাফতুহ কিংবা মাযমূম হয় তাহলে ر কে মোটা করে পড়তে হবে। যেমনঃ خَيۡرٌ – شَكُورٖ
১. যদি ر কাসরাযুক্ত হয় তবে তারক্বীক্ব করে পড়তে হবে। চাই কাসরাটি আসল কাসরা হোক বা ‘আরেযী তথা কারণবশত কসরা হোক। শব্দের মধ্যখানে হোক বা কোন পার্শ্বে হোক। তানবীন দ্বারা কাসরা হোক বা তানবীন ছাড়া কাসরা হোক। তার পূর্বের হরফ সাকিন হোক বা যে কোন হারাকাতযুক্ত দ্বারা হোক। তার পরে ইস্তি‘আলার হোক বা ইস্তিফাল হোক, বিশেষ্যে হোক বা ক্রিয়াই হোক। যেমনঃ
رِزۡقٗا – وٱلۡغَٰرِمِينَ – فَضُرِبَ – أَنذِرِ ٱلنَّاسَ – أَمۡرِمَّرِيجٖ – وَلَيَلٍ عَشۡرٖ
২. আর ر সাকিন যদি মধ্যখানে কাসরা আসলীর পরে হয় আর তার পরে সে শব্দে ইস্তি‘আলার কোন হরফ না হয়, তবে সেই র-কে তারক্বীক্ব করে পড়তে হবে। যেমনঃ فِرۡعَوۡنَ – لَشِرۡذِمَةٞ – مِرۡيَةٖ
৩. যদি ر সাকিনের পরে অন্য শব্দে ইস্তি‘আলার কোন হরফ আসে তবে তারক্বীক্ব করে পড়তে হবে। যেমনঃ
وَلَا تُصَعِّرۡ خَدَّكَ – فَٱصۡبِرۡ جَمِيلًا
৪. যদি ر শব্দের শেষে এসে সাকিন হয় এবং ر -এর পূর্বে ইস্তি‘আলার হরফ ছাড়া অন্য কোন হরফ সাকিন হয় যার আগের হরফ কাসরাযুক্ত হয় তাহলে ر কে তারক্বীক্ব করে পড়তে হবে। যেমনঃ ٱلذِّكۡرِ – قَدِيرٞ – ٱلۡمَصِيرُ
যদি ر সাকিনের পরে একই শব্দে ইস্তি‘আলার হরফ মাকসূর তথা কাসরাযুক্ত হয় তবে তাফখীম ও তারক্বীক্ব দুই ভাবে পড়া যাবে। যেমন:- فِرۡقٖ
ক্বলক্বলা অর্থ অস্থির ও নড়ানো বা প্রতিধ্বনী হওয়া। সুকূনযুক্ত হরফকে স্থির করে পড়তে হয় যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ক্বলক্বলার ৫টি হরফ ‘জাহ্র’ (স্পষ্ট) ও ‘শিদ্দাহ’ (শক্ত) দু’টি স্বিফাত বা গুণ একত্রিত হয়েছে। তাই সাকিন অবস্থায় উচ্চারণে তার মাখরাজকে একটু নড়িয়ে বা প্রতিধ্বনী করে পড়তে হয়, যাতে করে শ্বাসাঘাত শুনতে শক্ত লাগে। ক্বলক্বলার ৫টি হরফ যথাঃ (د – ج – ب – ط – ق)
১. ছোট ক্বলক্বলা:- যদি সাকিনযুক্ত ক্বলক্বলার হরফ শব্দের মাঝখানে হয়, তাহলে ছোট করে ক্বলক্বলা করতে হবে। যেমনঃ خَلَقۡنَا – قِطۡمِيرٍ – رَبۡوَةٖ – ثَمَّ ٱجۡتَبَٰهُ – يَدۡخُلُونَ
২. বড় ক্বলক্বলা:- ক্বলক্বলার হরফ শব্দের শেষে , বিশেষ করে তাশদীদযুক্ত হলে এবং ওয়াক্ফ তথা বিরতি করলে বড় করে ক্বলক্বলা করতে হবে। যেমনঃ خَلَٰقٖ – مُحِيطٞ – بَهِيجٍ – قَرِيبٞ – مَجِيدٞ – ٱلۡحَقَّ
স্বফীর অর্থ পাখির শিস বা শিটি। ز – س – ص এ ৩টি হরফের উচ্চারণের সময় দুই ঠোঁটের মাঝে শিটির আওয়াজের মত একটু অতিরক্ত শব্দ করে পড়াকে স্বফীর বলে। ৩টি হরফের মধ্যে ص -এর সব চেয়ে বেশি শক্ত স্বফীর হবে।
অবস্থা | ز | س | ص |
মাফতুহ | زَلۡزَلَةَ | سَوۡفَ | يُصَلُّونَ |
মাকসূর | يَجۡزِي | وَأَحۡسِنُوٓاْ | صِرَٰطَ |
মাযমূম | زُمَرٗا | سُبۡحَٰنَ | لَّايَعۡصُونَ |
সাকিন | مَّزۡجَٰةٖ | لَايَسۡتَكۡبِرُونَ | وَلَا يُصۡلِحُونَ |
ওয়াক্বফ শব্দের অর্থ থামা। নিঃশ্বাস শেষ করে পড়ার নাম ওয়াক্বফ। ওয়াক্বফ করার নিয়মঃ
১। শব্দের শেষ বর্ণে ফাতাহ, কাসরা, যম্মা, দুই কাসরা ও দুই যম্মা হলে ওয়াক্বফ এর সময় সাকিন হয়ে যায়। যেমনঃ رَبِّ ٱلۡعَالَمِينَ – পড়তে হবেঃ রাব্বিল ‘আলামী…ন্। بِرَبِّ ٱلنَّاسِ – পড়তে হবেঃ বি রাব্বিন্ না…স্। তেমনি ভাবে- هُوَ ٱلۡأَبۡتَرُ – قُلۡ هُوَ ٱللَّهُ أَحَادٌ – حَبۡلٌ
২। শব্দের শেষে দুই ফাতাহ (ফাতাহ তানবীন) হলে একটি ফাতাহ বাদ দিয়ে দুই হারাকাত পরিমাণ টেনে পড়তে হয়। যেমনঃ عَلِيمٗا – আলীমা..। حَكِيمٗا – হা’কীমা.. । إِنَّ مَعَ ٱلۡعُسۡرِ يُسۡرٗا – ইন্না মা ‘আল ‘উস্রি ইউস্রা..। এমনি ভাবে- فِى دِينِ ٱللَّهِ أَفۡوَاجٗا – إِنَّهُۥ كَانَ تَوَّابٗا
৩। শব্দের শেষে তাশদীদ হলে ওয়াক্বফ এর সময় সাকিন হবে এবং সাকিন থাকলে তা বহাল থাকবে। যেমনঃ أَبِي لَهَبٖ وَتَبَّ – পড়তে হবেঃ আবী লাহাবিও ওয়া তাব্। এমনি ভাবে – وَلَمۡ يُولَدۡ – مَّا عَبَد تُّمۡ – ذَٰلِكَ إِلَّا بِٱلۡحَقِّ – فِى عِبَٰدِى
৪। শব্দের শেষ বর্ণ ة (গোল তা) হলে ওয়াক্বফ এর সময় ه (হা) হয়ে যায়। যেমনঃ ٱلۡقَارِ عَةُ – مَا ٱلۡقَارِعَةُ – ٱلۡ مُوقَدَةُ – إِنَّهَا عَلَيۡهِم مُّؤۡصَدَةٞ
৫। (ওয়াও) কিংবা (ইয়া) সাকিনের আগের বর্ণে ফাতাহ হলে ওয়াক্বফ এর সময় দুই হারাকাত পরিমাণ টেনে পড়তে হয়। যেমনঃ لِإِيلَٰفِ قُرَيۡشٖ – إِيلَٰفِهِمۡ رِحۡلَةَ ٱلشِّتَآءِ وَٱلصَّيۡفِ – رَبَّ هَٰذَا ٱلۡبَيۡتِ
৬। আলিফ মাক্বসুরা মিলাইয়া ও ওয়াক্বফ এর সময় দুই হারাকাত পরিমাণ টেনে পড়তে হয়। যেমনঃ وَٱلضُّحَىٰ – وَٱلَّيۡلِ إِذَا سَجَىٰ – أَن رَّا أَهُ ٱسۡتَغۡنَىٰ – إِنَّ إِلَىٰ رَبِّكَ ٱلرُّجۡعَىٰ
কুরআন তিলাওয়াতের সময় নিঃশ্বাস জারী রেখে উচ্চারিত স্বর কিছুক্ষণের জন্য থেমে পুনরায় ঐ স্বরের মাধ্যমে পরবর্তী শব্দ বা অক্ষর পাঠ করাকে সাক্তা বলে। ইমাম হাফস (রহ) এর বর্ণনা অনুশারে কুরআনের চার স্থানে সাকতা রয়েছে। যথা-
১ | সূরা মুতাফ্ফিফীন – ৮৩:১৪ | كَلَّا بَلۡ سكتة رَانَ عَلىٰ قُلُوبِهِم مَّاكَانُواْ يَكۡسِبُونَ |
২ | সূরা ইয়াসীন – ৩৬:৫২ | هَٰذَا سكتة مِن مَّرۡقَدِنَا |
৩ | সূরা ক্বিয়ামাহ – ৭৫:২৭ | وَ قِيلَ مَنۡ سكتة رَاقٖ |
৪ | সূরা কাহফ – ১৮:১ | وَلَمۡ يَجۡعَل لَّهُۥ عِوَجًا سكتة قَيِّمًا |
سُورَةُ ٱلۡفَاتِحَة ١ مكية | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ١ | সূরা ফাতিহা, সূরা নং ১ মাক্বি |
ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ٣ مَٰلِكِ يَوۡمِ ٱلدِّينِ ٤ إِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَإِيَّاكَ نَسۡتَعِينُ ٥ ٱهۡدِنَا ٱصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧
سُورَةُ ٱلنَّاسِ ١١٤ مكية | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ١ | সূরা নাস, সূরা নং ১১৪, মাক্কি |
قُلۡ أَعُوذُبِرَبِّ ٱلنَّاسِ ١ مَلِكِ ٱلنَّاسِ ٢ إِلَّٰهِ ٱلنَّاسِ ٣ مِنۡ شَرِّ ٱلۡوَسۡوَاسِ ٱلخَنَّاسِ ٤ ٱلَّذِي يُوَسۡوِسُ فِى صُدُورِ ٱلنَّاسِ ٥ مِنَ ٱلۡجِنَّةِ وَٱلنَّاسِ ٦
سُورَةُ ٱلۡفَلَقِ ١١٣ مكية | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা ফালাক, সূরা নং ১১৩, মাক্কি |
قُلۡ أَعُذُبِرَبِّ ٱلۡفَلَقِ ١ مِنۡ شَرِّ مَاخَلَقَ ٢ وَمِنۡ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ٣ وَمِنۡ شَرِّ ٱلنَّفَّٰثَّٰتِ فِي ٱلۡعُقَدِ ٤ وَمِنۡ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ٥
سُورَةُ ٱلۡإِخۡلَاصِ ١١٢ مكية | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ١ | সূরা ইখলাস, সূরা নং ১১২, মাক্কি |
قُلۡ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ ١ ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ ٢ لَمۡ يَلِدۡ وَلَمۡ يُولَدۡ ٣ وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدُۢ ٤
سُورَةُ ٱلۡمَسَدِ ١١١ مكية | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ١ | সূরা মাসাদ, সূরা নং ১১১, মাক্কি |
تَبَّتۡ يَدَآ أَبِي لَهَبٖ وَتَبَّ ١ مَآ أَغۡنَيٰ عَنۡهُ مَالُهُۥ وَمَاكَسَبَ ٢ سَيَصۡلَيٰ نَارٗا ذَاتَ لَهَبٖ ٣ وَٱمۡرَأَتُهُۥ حَمَّالَةَ ٱلۡحَطَبِ ٤ فِي جِيدِ هَا حَبۡلٞ مِّن مَّسَدِۢ ٥
سُورَةُ ٱلۡنَّصۡرِ ١١٠ مَدَنِيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ١ | সূরা নস্বর, সূরা নং ১১০, মাদানী |
إِذَا جَآءَ نَصۡرُ ٱللَّهِ وَٱلۡفَتۡحُ ١ وَرَأَيۡتَ ٱلنَّاسَ يَدۡخُلُونَ فِي دِينِ ٱللَّهِ أَفۡوَاجٗا ٢ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَٱسۡتَغۡفِرۡهُۚ إِنَّهُۥ كَنَ تُوَّابَۢا ٣
سُورَةُ ٱلۡكَفِرُونَ ١٠٩ مكية | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ١ | সূরা কাফিরুন, সূরা নং ১০৯, মাক্কি |
قُلۡ يَٰٓأَيُّهَا ٱلۡكَٰفِرُنَ ١ لَآ أَعۡبُدُ مَاتُعۡبُدُونَ ٢ وَلَآ أَنتُمۡ عَٰبِدُونَ مَآ أَعۡبُدُ ٣ وَلَآ أَنَاْ عَابِدٞ مَّاعَبَد تُّمۡ ٤ وَلَآ أَنتُمۡ عَٰبِدُونَ مَآأَعۡبُدُ ٥ لَكُمۡ دِينُكُمۡ وَلِيَدِينِ ٦
سُورَةُ ٱلۡكَوۡثَرِ ١٠٨ مكية | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা কাওসার, সূরা নং ১০৮, মাক্কি |
إِنَّآ أَعۡطَيۡنَٰاكَ ٱلۡكَوۡثَرَ ١ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنۡحَرۡ ٢ إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ ٱلۡأَبۡتَرُ ٣
سُورَةُ ٱلۡمَاعُونِ ١٠٧ مكية | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা মাঊন, সূরা নং ১০৭, মাক্কি |
أَرَءَيۡتَ ٱلَّذِي يَكَذِّبُ بِٱلدِّينِ ١ فَذَلِكَ ٱلَّذِي يَدُعُّ ٱلۡيَتِيمَ ٢ وَلَا يَحُضُّ عَلَيٰ طَعَامِ ٱلۡمِسۡكِينِ ٣ فَوَيۡلٞ لِّلۡمُصَلِّينَ ٤ ٱلَّذِينَ هُمۡ عَن صَلَاتِهِمۡ سَهُونَ ٥ ٱلَّذِينَ هُمۡ يُرَآءُونَ ٦ وَيَمۡنَعُونَ ٱلۡمَعُونَ ٧
سُورَةُ ٱلۡقُرَيۡشٍ ١٠٦ مكية | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা কূরায়শ, সূরা নং ১০৬, মাক্কি |
لِإِيلَٰفِ قُرَيۡشٍ ١ إِۦلَٰفهِمۡ رِحۡلَةَ ٱلشِّتَآءِ وَٱلصَّيۡفِ ٢ فَلۡيَعۡبُدُواْ رَبَّ هَٰذَا ٱلۡبَيۡتِ ٣ ٱلَّذِيٓ أَطۡعَمَهُم مِّن جُوعٖ وَءَامَنَهُم مِّنۡ خَوۡفِۢ ٤
سُورَةُ ٱلۡفِيلِ ١٠٥ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা ফীল, সূরা নং ১০৫, মাক্কি |
أَلَمۡتَرَ كَيۡفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصۡحَٰبِ ٱلۡفِيلِ ١ أَلَمۡ يَجۡعَلۡ كَيۡدَهُمۡ فِي تَضۡلِيلِ ٢ وَأَرۡسَلَ عَلَيۡهِمۡ طَيۡرًا أَبَبِيلَ ٣ تَرۡمِيهِمۡ بِحِجَارَةٖ مِّن سِجِّيلٖ ٤ فَجَعَلَهُمۡ كَعَسۡفٖ مَّأۡكُولِۢ ٥
سُورَةُ ٱلۡهُمَزَةِ ١٠٤ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা হুমাযাহ, সূরা নং ১০৪, মাক্কি |
وَيۡلٞ لِّكُلِّ هُمَزَةٖ لُّمَزَةٍ ١ ٱلَّذِي جَمَعَ مَالٗاوَعَدَّدَهُۥ ٢ يَحۡسَبُ أَنَّ مَالَهُۥٓ أَخۡلَدَهُۥ ٣ كَلَّاۖ لَيُنۢبَذَنَّ فِي ٱلۡحُطَمَةِ ٤ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا ٱلۡحُطَمَةُ ٥ نَارُ ٱللَّهِ ٱلۡمُوقَدَةُ ٦ ٱلَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى ٱلۡأَفۡئِدَةِ ٧ إِنَّهَا عَلَيۡهِم مُّؤۡصَدَةٞ ٨ فِي عَمَدٖ مُّمَدَّدَةِۢ ٩
سُورَةُ ٱلۡعَصۡرِ ١٠٣ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা আস্বর, সূরা নং ১০৩, মাক্কি |
وَٱلۡعَصۡرِ ١ إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ لَفِي خُسۡرٍ ٢ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلۡحَقِّ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلصَّبۡرِ ٣
سُورَةُ ٱلۡتَّكَاثَرِ ١٠٢ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা তাকাছুর, সূরা নং ১০২, মাক্কি |
أَلۡهَٰكُمُ ٱلتَّكَاثُرُ ١ حَتَّىٰ زُرۡتُمُ ٱلۡمَقَابِرَ ٢ كَلَّا سَوۡفَ تَعۡلَمُونَ ٣ ثُمَّ كَلَّا سَوۡفَ تَعۡلَمُونَ ٤ كَلَّا لَوۡتَعۡلَمُونَ عِلۡمَ ٱلۡيَقِينَ ٥ لَتَرَوُنَّ ٱلۡجَحِيمَ ٦ ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيۡنَ ٱلۡيَقِينِ ٧ ثُمَّ لَتُسۡئَلُنَّ يَوۡمَئِذٍ عَنِ ٱلنَّعِيمِ ٨
سُورَةُ ٱلۡقَارِعَةِ ١٠١ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা ক্বারি‘আহ, সূরা নং ১০১, মাক্কি |
ٱلۡقَارِعَةُ ١ مَا ٱلۡقَارِعَةُ ٢ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَاٱلۡقَارِعَةُ ٣ يَوۡمَ يَكُونُ ٱلنَّاسُ كَٱلۡفَرَاشِ ٱلۡمَبۡثُوثِ ٤ وَتَكُونُ ٱلۡجِبَالُ كَٱلۡعِهۡنِ ٱلۡمَنۡفُوشِ ٥ فَأَمَّامَن ثَقُلَتۡ مَوَٰزِينُهُۥ ٦ فَهُوَ فِي عِيشَةِ رَّاضِيَةِ ٧ وَأَمَّا مَنۡ خَفَّتۡ مَوَٰزِينُهُۥ ٨ فَأُمُّهُۥ هَاوِيَةٞ ٩ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَاهِيَهۡ ١٠ نَارٌ حَامِيَةٞ ١١
سُورَةُ ٱلۡعَادِيَاتِ ١٠٠ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা ‘আদীয়াত, সূরা নং ১০০, মাক্কি |
وَٱلۡعَٰدِيَٰتِ ضَبۡحٗا ١ فَٱلۡمُورِيَٰتِ قَدۡحٗا ٢ فَٱلۡمُغِيرَٰتِ صُبۡحٗا ٣ فَأَثَرۡنَ بِهِۦ نَقۡعٗا ٤ فَوَسَطۡنَ بِهِۦ جَمۡعًا ٥ إِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ لِرَبِّهِۦ لَكَنُودٞ ٦ وَإِنَّهُۥ عَلَىٰ ذَٰلِكَ لَشَهِيدٞ ٧ وَإِنَّهُۥ لِحُبِّ ٱلۡخَيۡرِ لَشَدِيدٌ ٨ * أَفَلَا يَعۡلَمُ إِذَا بُعۡثِرَ مَافِي ٱلۡقُبُورِ ٩ وَحُصِّلَ مَافِى ٱلصُّدُورِ ١٠ إِنَّ رَبَّهُم بِهِمۡ يَوۡمَئِذٖ لَّخَبِيرُۢ ١١
سُورَةُ ٱلزَّلۡزَلَة ٩٩ مَدَنِيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা যাল্যালাহ, সূরা নং ৯৯, মাদানী |
إِذَا زُلۡزِلَتِ ٱلۡأَرۡضُ زِلۡزَالَهَا ١ وَأَخۡرَجَتِ ٱلۡأَرۡضُ أَثۡقَالَهَا ٢ وَقَالَ ٱلۡإِنۡسَٰنُ مَالَهَا ٣ يَوۡمَئِذٖ تُحَدِّثُ أَخۡبَارَهَا ٤ بِأَنَّ رَبَّكَ أَوۡحَٰى لَهَا ٥ يَوۡمَئِذٖ يَصۡدُرُ ٱلنَّاسُ أَشۡتَاتَالِّيُرَوۡاْ أَعۡمَٰلَهُمۡ ٦ فَمَن يَعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّةٍ خَيۡرٗا يَرَهُۥ ٧ وَمَن يَعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖ شَرَّايَرَهُۥ ٨
سُورَةُ ٱلۡبَيَّنَةِ ٩٨ مَدَنِيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা বায়্য়ানাহ, সূরা নং ৯৮, মাদনী |
لَمۡ يَكُنِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡ أَهۡلِ ٱلۡكِتَٰبِ وَٱلۡمُشۡرِكِينَ مُنفَكِّنَ حَتَّىٰ تَأۡتِيَهُمُ ٱلۡبَيَّنَةُ ١ رَسُولٞ مِّنَ ٱللَّهِ يَتۡلُواْ صُحُفٗا مُّطَهَّرَةٗ ٢ فِيهَا كُتُبٞ قَيِّمَةٞ ٣ وَمَا تَفَرَّقَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ إِلَّا مِنۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡهُمُ ٱلۡبَيَّنَةُ ٤ وَمَآ أُمِرُوٓاْ إِلَّا لِيَعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مُخۡلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ حُنَفَآءَ وَيُقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَيُؤۡتُواْ ٱلزَّكَوٰةَۚ وَذَلِكَ دِينُ ٱلۡقَيِّمَةِ ٥ إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡ أَهۡلِ ٱلۡكِتَٰبِ وَٱلۡمُشۡرِكِينَ فِى نَارِجَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَآج أُوْلَٰٓئِكَ هُمۡ شَرُّ ٱلۡبَرِيَّةِ ٦ إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ أُوْلَٰٓئِكَ هُمۡ خَيۡرُ ٱلۡبَرِيَّةِ ٧ جَزَآؤُهُمۡ عِندَ رَبِّهِمۡ جَنَّٰتُ عَدۡنٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۖ رَّضِيَ ٱللَّهُ عَنۡهُمۡ وَرَضُواْ عَنۡهُۚ ذَٰلِكَ لِمَنۡ خَشِيَ رَبَّهُۥ٨
سُورَةُ ٱلۡقَدۡرِ ٩٧ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা ক্বদর, সূরা নং ৯৭, মাক্কি |
إِنَّآ أَنۡزَلۡنَٰهُ فِي لَيۡلَةِ ٱلۡقَدۡرِ ١ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَالَيۡلَةُ ٱلۡقَدۡرِ ٢ لَيۡلَةُ ٱلۡقَدۡرِ خَيۡرٞ مِّنۡ أَلۡفِ شَهۡرٖ ٣ تَنَزَّلُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ فِيهَا بِإِذۡنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمۡرٖ ٤ سَلَٰمٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطۡلَعِ ٱلۡفَجۡرِ ٥
سُورَةُ ٱلۡعَلَقِ ٩٦ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা ‘আলাক্ব, সূরা নং ৯৬, মাক্কি |
ٱقۡرَأۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلَّذِي خَلَقَ ١ خَلَقَ ٱلۡإِنۡسَٰنَ مِنۡ عَلَقٍ ٢ ٱقۡرَأۡ وَرَبُّكَ ٱلۡأَكۡرَمُ ٣ ٱلَّذِي عَلَّمَ بِٱلۡقَلَمِ ٤ عَلَّمَ ٱلۡإِنسَٰنَ مَالَمۡ يَعۡلَمۡ ٥ كَلَّآ إِنَّ ٱلۡإِنۡسَٰنَ لَيَطۡغَىٰٓ ٦ أَن رَّءَاهُ ٱسۡتَغۡنَىٰٓ ٧ إِنَّ إِلَىٰ رَبِّكَ ٱلرُّجۡعَىٰٓ ٨ أَرَءَيۡتَ ٱلَّذِى يَنۡهَىٰ ٩ عَبۡدًا إِذَا صَلَّىٰٓ ١٠ أَرَءَيۡتَ إِنۡ كَانَ عَلَى ٱلۡهُدَىٰٓ ١١ أَوۡ أَمَرَ بِٱلتَّقۡوَىٰٓ ١٢ أَرَءَيۡتَ إِن كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰٓ ١٣ أَلَمۡ يَعۡلَمۡ بِأَنَّ ٱللَّهَ يَرَىٰ ١٤ كَلَّا لَئِن لَّمۡيَنۡتَهِ لَنَسۡفَعَۢا بِٱلنَّاصِيَةِ ١٥ نَاصِيَةٖ كَٰذِبَةٍ خَاطِئَةٖ ١٦ فَلۡيَدۡعُ نَادِيَهُۥ ١٧ سَنَدۡعُ ٱلزَّبَانِيَةَ ١٨ كَلَّا لَاتُطِعۡهُ وَٱسۡجُدۡ وَٱقۡتَرِب ۩ ١٩ سَجۡدَة
سُورَةُ ٱلتِّينِ ٩٥ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা ত্বীন, সূরা নং ৯৫, মাক্কি |
وَٱلتِّينِ وَٱلزَّيۡتُونِ ١ وَطُورِ سِينِينَ ٢ وَهَٰذَا ٱلۡبَلَدِ ٱلۡأَمِينِ ٣ لَقَدۡ خَلَقۡنَا ٱلۡإِنسَٰنَ فِىٓ أَحۡسَنِ تَقۡوِيمِ ٤ ثُمَّ رَدَدۡنَٰهُ أَسۡفَلَ سَٰفِلِينَ ٥ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فَلَهُمۡ أَجۡرٌ غَيۡرُ مَمۡنُونٖ ٦ فَمَا يُكَذِّبُكَ بَعۡدُ بِٱلدِّينِ ٧ أَلَيۡسَ ٱللَّهُ بِأَحۡكَمِ ٱلۡحَٰكِمِينَ ٨
سُورَةُ ٱلشَّرۡحِ ٩٤ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা আশ্শারহ্’, সূরা নং ৯৪, মাক্কি |
أَلَمۡ نَشۡرَحۡ لَكَ صَدۡرَكَ ١ وَوَضَعۡنَا عَنكَ وِزۡرَكَ ٢ ٱلَّذِيٓ أَنقَضَ ظَهۡرَكَ ٣ وَرَفَعۡنَا لَكَ ذِكۡرَكَ ٤ فَإِنَّ مَعَ ٱلۡعُسۡرِ يُسۡرًا ٥ إِنَّ مَعَ ٱلۡعُسۡرِ يُسۡرَ ٦ فَإِذَا فَرَغۡتَ فَٱنصَبۡ ٧ وَإِلَيٰ رَبِّكَ فَٱرۡغَب ٨
سُورَةُ ٱلضُّحَىٰ ٩٣ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা যুহা’, সূরা নং ৯৩, মাক্কি |
وَٱلضُّحَىٰ ١ وَٱلَّيۡلِ إِذَا سَجَىٰ ٢ مَاوَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَاقَلَىٰ ٣ وَلَلۡأَخِرَةُ خَيۡرٞلَّكَ مِنَ ٱلۡأُولَىٰ ٤ وَلَسَوۡفَ يُعۡطِيكَ رَبُّكَ فَتذرۡضَىٰٓ ٥ أَلَمۡ يَجِدۡكَ يَتِيمٗا فَئَاوَىٰ ٦ وَوَجَدَكَ ضَآلَّافَهَدَىٰ ٧ وَوَجَدَكَ عَآئِلٗا فَأَعۡنَىٰ ٨ فَأَمَّا ٱلۡيَتِيمَ فَلَاتَقۡهَرۡ ٩ وَأَمَّا ٱلسَّآئِلَ فَلَا تَنۡهَرۡ ١٠ وَأَمَّا بِنِعۡمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثۡ ١١
سُورَةُ ٱللَّيۡلِ ٩٢ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা লায়ল, সূরা নং ৯২, মাক্কি |
وَٱلَّيۡلِ إِذَا يَغۡشَىٰ ١ وَٱلنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّىٰ ٢ وَمَاخَلَقَ ٱلذَّكَرَ وَٱلۡأُنۡثَىٰٓ ٣ إِنَّ سَعۡيَكُمۡ لَشَتَّىٰ ٤ فَأَمَّا مَنۡ أَعۡطَىٰ وَٱتَّقَىٰ ٥ وَصَدَّقَ بِٱلۡحُسۡنَىٰ ٦ فَسَنُيَسِّرُهُۥ لِلۡيُسۡرَىٰ ٧ وَأَمَّامَنۢ بَخِلَ وَٱسۡتَغۡنَىٰ ٨ وَكَذَّبَ بِٱلۡحُسۡنَىٰ ٩ فَسَنُيَسِّرُهُۥ لِلۡعُسۡرَىٰ ١٠ وَمَايُغۡنِى عَنۡهُ مَالُهُۥٓ إِذَا تَرَدَّىٰٓ ١١ إِنَّ عَلَيۡنَا لَلۡهُدَىٰ ١٢ وَإِنَّ لَنَالَلۡأَخِرَةَ وَٱلۡأُولَىٰ ١٣ فَأَنۡذَرۡتُكُمۡ نَارٗا تَلَظَّىٰ ١٤ لَايَصۡلَٰهَآ إِلَّا ٱلۡأَشۡقَى ١٥ ٱلَّذِي كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ ١٦ وَسَيُجَنَّبُهَا ٱلۡأَتۡقَى ١٧ ٱلَّذِي يُؤۡتِي مَالَهُۥ يَتَزَكَّىٰ ١٨ وَمَالِأَحَدٍ عِنۡدَهُۥ مِن نِّعۡمَةٖ تُجۡزَىٰٓ ١٩ إِلَّا ٱبۡتِغَآءَ وَجۡهِ رَبِّهِ ٱلۡعَلَىٰ ٢٠ وَلَسَوۡفَ يَرۡضَىٰ ٢١
سُورَةُ ٱلشَّمۡسِ ٩١ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা শামস্, সূরা নং ৯১, মাক্কি |
وَٱلشَّمۡسِ وَضُحَٰهَا ١ وَٱلۡقَمَرِ إِذَا تَلَٰهَا ٢ وَٱنَّهَارِ إِذَا تَلَٰهَا ٣ وَٱلَّيۡلِ إِذَا يَغۡشَٰهَا ٤ وَٱلسَّمَآءِ وَمَابَنَٰهَا ٥ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا طَحَٰهَا ٦ وَنَفۡسٖ وَمَاسَوَّىٰهَا ٧ فَأَلۡهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقۡوَىٰهَا ٨ قَدۡ أَفۡلَحَ مَن زَكَّٰهَا ٩ وَقَدۡ خَابَ مَن دَسَّٰهَا ١٠ كَذَّبَتۡ ثَمُودُ بِطَغۡوَىٰهَآ ١١ إِذِٱنۢبَعَثَ أَشۡقَٰهَا ١٢ فَقَالَ لَهُمۡ رَسُولُ ٱللَّهِ نَاقَةَ ٱللَّهِ وَسُقۡيَٰهَا ١٣ فَكَذَّبُوهُ فَعَقَرُوهَا فَدَمۡدَمَ عَلَيۡهِمۡ رَبُّهُمۡ بِذَنۢبِهِمۡ فَسَوَّىٰهَا ١٤ وَلَايَخَافُ عُقۡبَٰهَا ١٥
سُورَةُ ٱلۡبَلَدِ ٩٠ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা বালাদ, সূরা নং ৯০, মাক্কি |
لَآ أُقۡسِمُ بِهَٰذَا ٱلۡبَلَدِ ١ وَأَنتَ حِلُّۢ بِهَٰذَا ٱلۡبَلَدِ ٢ وَوَالِدٖ وَمَاوَلَدَ ٣ لَقَدۡ خَلَقۡنَا ٱلۡإِنۡسَٰنَ فِي كَبَدٍ ٤ أَيَحۡسَبُ أَن لَّن يَقۡدِرَ عَلَيۡهِ أَحَدٞ ٥ يَقُولُ أَهۡلَكۡتُ مَالٗا لُّبَدًا ٦ أَيَحۡسَبُ أَن لَّمۡيَرَهُۥٓ أَحَدٌ ٧ أَلَمۡ نَجۡعَل لَّهُۥ عَيۡنَيۡنِ ٨ وَلِسَانٗاوَشَفَتَيۡنِ ٩ وَهَدَيۡنَٰهُ ٱلنَّجۡدَيۡنِ ١٠ فَلَا ٱقۡتَحَمَ ٱلۡعَقَبَةَ ١١ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَل ٱلۡعَقَبَةُ ١٢ فَكُّ رَقَبَةٍ ١٣ أَوۡ إِطۡعَٰمٞ فِي يَوۡمٖ ذِي مَسۡغَبَةٖ ١٤ يَتِيمٗا ذَا مَقۡرَبَةٍ ١٥ أَوۡ مِسۡكِينٗا ذَا مَتۡرَبَةٖ ١٦ ثُمَّ كَانَ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلصَّبۡرِ وَتَوَاصَوۡاْ بِٱلۡمَرۡحَمَةِ ١٧ أُوْلَٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلۡمَيۡمَنَةِ ١٨ وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِئَايَٰتِنَا هُمۡ أَصۡحَٰبُ ٱلۡمَشۡئَمَةِ ١٩ عَلَيۡهِمۡ نَارٞ مُّؤۡصَدَةُۢ ٢٠
سُورَةُ ٱلۡفَجۡرِ ٨٩ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা ফাজর, সূরা নং ৮৯, মাক্কি |
وَٱلۡفَجۡرِ ١ وَلَيَالٍ عَشۡرٖ ٢ وَٱشَّفۡعِ وَٱلۡوَتۡرِ ٣ وَٱلَّيۡلِ إِذَا يَسۡرِ ٤ هَلۡ فِى ذَٰلِكَ قَسَمٞ لِّذِى حِجۡرٍ ٥ أَلَمۡ تَرَ كَيۡفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ ٦ إِرَمَ ذَاتِ ٱلۡعِمَادِ ٧ ٱلَّتِى لَمۡ يُخۡلَقۡ مِثۡلُهَا فِى ٱلۡبِلَٰدِ ٨ وَثَمُودَ ٱلَّذِينَ جَابُواْ ٱلصَّخۡرَ بِٱلۡوَادِ ٩ وَفِرۡعَوۡنَ ذِى ٱلۡأَوۡتَادِ ١٠ ٱلَّذِينَ طَغَوۡاْ فِى ٱلۡبِلَٰدِ ١١ فَأَكۡثَرُواْ فِيهَا ٱلۡفَسَادَ ١٢ فَصَبَّ عَلَيۡهِمۡ رَبُّكَ سَوۡطَ عَذَابٍ ١٣ إِنَّ رَبَّكَ لَبِٱلۡمِرۡصَادِ ١٤ فَأَمَّا ٱلۡإِنۡسَٰنُ إِذَا مَاٱبۡتَلَٰهُ رَبَّهُۥ فَأَكۡرَمَهُۥ وَنَعَّمَهُۥ فَيَقُولُ رَبِّىٓ أَكۡرَمَنِ ١٥ وَأَمَّآ إِذَا مَاٱبۡتَلَٰهُ فَقَدَرَ عَلَيۡهِ رِزۡقَهُۥ فَيَقُولُ رَبِّىٓ أَهَٰنَنِ ١٦ كَلَّاۖ بَل لَّاتُكۡرِمُونَ ٱلۡيَتِيمَ ١٧ وَلَا تَحَٰٓضُّونَ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلمِسۡكِينِ ١٨ وَتَأۡكُلُونَ ٱتُّرَاثَ أَكۡلٗا لَّمَّا ١٩ وَتُحِبُّونَ ٱلۡمَالَ حُبّٗاجَمّٗا ٢٠ كَلَّآ إِذَا دُكَّتِ ٱلۡأَرۡضُ دَكّٗادَكّٗا ٢١ وَجَآءَ رَبُّكَ وَٱلۡمَلَكُ صَفّٗاصَفّٗا ٢٢ وَجِاْيٓءَ يَوۡمَئِذِۢ بِجَهَنَّمَۚ يَوۡمَئِذٖ يَتَذَكَّرُ ٱلۡإِنۡسَٰنُ وَأَنَّىٰ لَهُ ٱلذِّكۡرَىٰ ٢٣ يَقُولُ يَٰلَيۡتَنِى قَدَّمۡتُ لِحَيَاتِى ٢٤ فَيَوۡمَئِذٖ لَّايُعَذِّبُ عَذَابَهُۥٓ أَحَدٞ ٢٥ وَلَايُثِقُ وَثَاقَهُۥٓ أَحَدٞ ٢٦ يَٰٓأَيَّتُهَا ٱلنَّفۡسُ ٱلۡمُطۡمَئِنَّةُ ٢٧ ٱرۡجِعِىٓ إِلَىٰ رَبِّكِ رَاضِيَةٗ مَّرۡضِيَّةٗ ٢٨ فَٱدۡ خُلِى فِي عِبَٰدِي ٢٩ وَٱدۡخُلِى جَنَّتِى ٣٠
سُورَةُ ٱلۡغَاشِيَةِ ٨٨ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা গাশীয়াহ্, সূরা নং ৮৮, মাক্কি |
هَلۡ أَتَٰكَ حَدِيثُ ٱلۡغَٰشِيَةِ ١ وُجُوهٞ يَوۡمَئِذٍ خَٰشِعَةٌ ٢ عَامِلَةٞ نَّاصِبَةٞ ٣ تَصۡلَىٰ نَارًاحَامِيَةٗ ٤ تُسۡقَىٰ مِنۡ عَيۡنٍ ءَانِيَةٖ ٥ لَّيۡسَ لَهُمۡ طَعَامٌ إِلَّامِن ضَرِيعٖ ٦ لَّايُسۡمِنُ وَلَايُغۡنِى مِن جُوعٖ ٧ وُجُوهٞ يَوۡمَئِذٖ نَّاعِمَةٞ ٨ لِّسَعۡيِهَا رَضِيَةٞ ٩ فِى جَنَّةٍ عَالِيَةٖ ١٠ لَّاتَسۡمَعُ فِيهَا لَٰغِيَةٗ ١١ فِيهَا عَيۡنٞ جَارِيَةٞ ١٢ فِيهَا سُرُرٞمَّرۡفُوعَةٞ ١٣ وَأَكۡوَابٞ مَّوۡضُوعَةٞ ١٤ وَنَمَارِقُ مَصۡفُوفَةٞ ١٥ وَزَرَا بِيُّ مَبۡثُوثَةٌ ١٦ أَفَلَا يَنۡظُرُونَ إِلَى ٱلۡإِبِلِ كَيۡفَ خُلِقَتۡ ١٧ وَإِلَى ٱلسَّمَآءِ كَيۡفَ رُفِعَتۡ ١٨ وَإِلَى ٱلۡجِبَالِ كَيۡفَ نُصِبَتۡ ١٩ وَإِلَى ٱلۡأَرۡضِ كَيۡفَ سُطِحَتۡ ٢٠ فَذَكِّرۡ إِنَّمَآ أَنۡتَ مُذَكِّرٞ ٢١ لَّسۡتَ عَلَيۡهِمۡ بِمُصَيۡطِرٍ ٢٢ إِلَّا مَن تَوَلَّىٰ وَكَفَرَ ٢٣ فَيُعَذِّبُهُ ٱللَّهُ ٱلۡعَذَابَ ٱلۡأَكۡبَرَ ٢٤ إِنَّ إِلَيۡنَآ إِيَابَهُمۡ ٢٥ ثُمَّ إِنَّ عَلَيۡنَا حِسَابَهُمۡ ٢٦
سُورَةُ ٱلۡأَعۡلَىٰ ٨٧ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা আ‘লা, সূরা নং ৮৭, মাক্কি |
سَبِّحِ ٱسۡمَ رَبِّكَ ٱلۡأَعۡلَى ١ ٱلَّذِي خَلَقَ فَسَوَّىٰ ٢ وَٱلَّذِي قَدَّرَ فَهَدَىٰ ٣ وَٱلَّذِي أَخۡرَجَ ٱلۡمَرۡعَىٰ ٤ فَجَعَلَهُۥ غُثَآءً أَحۡوَىٰ ٥ سَنُقۡرِئُكَ فَلَاتَنۡسَىٰٓ ٦ إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُۚ إِنَّهُۥ يَعۡلَمُ ٱلۡجَهۡرَ وَمَايَخۡفَىٰ ٧ وَنُيَسِّرُكَ لِلۡيُسۡىٰ ٨ فَذَكِّرۡ إِن نَّفَعَتِ ٱلذِّكۡرَىٰ ٩ سَيَذَّكَّرُ مَن يَخۡشَىٰ ١٠ وَيَتَجَنَّبُهَا ٱلۡأَشۡقَى ١١ ٱلَّذِي يَصۡلَى ٱلنَّارَ ٱلۡكُبۡرَىٰ ١٢ ثُمَّ لَايَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحۡيَىٰ ١٣ قَدۡ ٱفۡلَحَ مَن تَزَكَّىٰ ١٤ وَذَكَرَ ٱسۡمَ رَبِّهِۦ فَصَلَّىٰ ١٥ بَلۡ تُؤۡثِرُونَ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا ١٦ وَٱلۡأَخِرَةُ خَيۡرٞ وَأَبۡقَىٰٓ ١٧ إِنَّ هَٰذَا لَفِى ٱصُّحُفِ ٱلۡأُولَىٰ ١٨ صُحُفِ إِبۡرَٰحِيمَ وَمُوسَىٰ ١٩
سُورَةُ ٱلطَّارِقِ ٨٦ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা ত্বারিক্ব, সূরা নং ৮৬, মাক্কি |
وَٱلسَّمَآءِ وَٱلطَّارِقِ ١ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَاٱلطَّارِقُ ٢ ٱلنَّجۡمُ ٱلثَّاقِبُ ٣ إِن كُلُّ نَفۡسٖ لَّمَّا عَلَيۡهَا حَافِطٞ ٤ فَلۡيَنظُرِ ٱلۡإِنسَٰنُ مِمَّ خُلِقَ ٥ خُلِقَ مِن مَّآءٖدَافِقٖ ٦ يَخۡرُجُ مِنۢ بَيۡنِ ٱصُّلۡبِ وَٱلبَّرَآئِبِ ٧ إِنَّهُۥ عَلَىٰ رَجۡعِهِۦ لَقَادِرٞ ٨ يَوۡمَ تُبۡلَى ٱلسَّرَآئِرُ ٩ فَمَا لَهُۥ مِن قُوَّةٖ وَلَانَاصِرٖ ١٠ وَٱلسَّمَآءِ ذَاتِ ٱلرَّجۡعِ ١١ وَٱلۡأَرۡضِ ذَاتِ ٱلصَّدۡعِ ١٢ إِنَّهُۥ لَقَوۡلٞ فَصۡلٞ ١٣ وَمَا هُوَ بِٱلۡهَزۡلِ ١٤ إِنَّهُمۡ يَكِدُونَ كَيۡدٗا ١٥ وَأَكِيدُ كَيۡدٗا ١٦ فَمَهِّلِ ٱلۡكَٰفِرِينَ أَمۡهِلۡهُمۡ رُوَيۡدَۢا ١٧
سُورَةُ ٱلۡبُورُجِ ٨٥ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা বূরুজ, সূরা নং ৮৫, মাক্কি |
وَٱلسَّمَآءِ ذَاتِ ٱلۡبُرُوجِ ١ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡمَوۡعُودِ ٢ وَشَاهِدٖ وَمَشۡهُودٖ ٣ قُتِلَ أَصۡحَٰبُ ٱلۡأُخۡدُودِ ٤ ٱلنَّارِ ذَاتِ ٱلۡوَقُودِ ٥ إِذۡ هُمۡ عَلَيۡهَا قُعُودٞ ٦ وَهُمۡ عَلَىٰ مَايَفۡعَلُونَ بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ شُهُودٞ ٧ وَمَا نَقَمُواْ مِنۡهُمۡ إِلَّآ أَن يُؤۡمِنُواْ بِٱللَّهِ ٱلعَزِيزِ ٱلۡحَمِيدِ ٨ ٱلَّذِِى لُهُۥ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىۡءٖ شَهِيدٌ ٩ إِنَّ ٱلَّذِينَ فَتَنُواْ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ ثُمَّ لَمۡ يَتُوبُواْ فَلَهُمۡ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَلَهُمۡ عَذَابُ ٱلۡحَرِيقِ ١٠ إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ لَهُمۡ جَنَّٰتٞ تَجۡرِى مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ ج ذَٰلِكَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡكَبِيرُ ١١ إِنَّ بَطۡشَ رَبِّكَ لَشَدِيدٌ ١٢ إِنَّهُۥ هُوَ يُبۡدِئُ وَيُعِيدُ ١٣ وَهُوَ ٱلۡغَفُرُ ٱلۡوَدُودُ ١٤ ذُوٱلۡعَرۡشِ ٱلۡمَجِيدُ ١٥ فَعَّلٞ لِّمَا يُرِيدُ ١٦ هَلۡ أَتَٰكَ حَدِيثُ ٱلۡجُنُودِ ١٧ فِرۡعَوۡنَ وَثَمُودَ ١٨ بَلِ ٱلَّذِينَ كَفَرُاْ فِى تَكۡذِيبٖ ١٩ وَٱللَّهُ مِن وَرَآئِهِم مُّحِيطٗ ٢٠ بَلۡ هُوَ قُرۡءَانٞ مَّجِيدٞ ٢١ فِى لَوۡحٖ مَّحۡفُوظِۢ ٢٢
سُورَةُ ٱلۡإِنۡشِقَاقِ ٨٤ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা ইনশিক্বাক্ব, সূরা নং ৮৪, মাক্কি |
إِذَا ٱلسَّمَآءُ ٱلنۡشَقَّتۡ ١ وَأَذِنَتۡ لِرَبِّهَا وَحُقَّتۡ ٢ وَإِذَا ٱلۡأَرۡضُ مُدَّتۡ ٣ وَٱلۡقَتۡ مَافِيهَا وَتَخَلَّتۡ ٤ وَأَذِنَتۡ لِرَبِّهَا وَحُقَّتۡ ٥ يَٰأَيُّهَا ٱلۡإِنۡسَٰنُ إِنَّكَ كَادِحٌ إِلَيٰ رَبِّكَ كَدۡحٗا فَمُلَٰقِيهِ ٦ وَأَمَّ مَنۡ أُوتِيَ كِتَٰبَهُۥ بِيَمِينِهِۦ ٧ فَسَوۡفَ يُحَاسَبُ حِسَابٗا يَسِيرٗا ٨ وَيَنقَلِبُ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦ مَسۡرُورٗا ٩ وَأَمَّا مَنۡ أُتِيَ كِتَٰبَهُۥ وَرَآءَ ظَهۡرِهِۦ ١٠ فَسَوۡفَ يَدۡعُواْ ثُبُورٗا ١١ وَيَصۡلَيٰ سَعِيرًا ١٢ إِنَّهُۥ كَانَ فِي أَهۡلِهِۦ مَسۡرُورًا ١٣ إِنَّهُۥ ظَنَّ أَن لَّن يَحُورَ ١٤ بَلَيٰٓۚ إِنَّ رَبَّهُۥ كَانَ بِهِۦ بَصِيرٗا ١٥ فَلَآ أُقۡسِمُ بِٱلشَّفَقِ ١٦ وَٱلَّيۡلِ وَمَاوَسَقَ ١٧ وَٱلۡقَمَرِ إِذَا ٱتَّسَقَ ١٨ لَتَرۡكَبُنَّ طَبَقًا عَن طَبَقٖ ١٩ فَمَا لَهُمۡ لَايُؤۡمِنُونَ ٢٠ وَإذَا قُرِئَ عَلَيۡهِمُ ٱلۡقُرۡءَانُ لَايَسۡجُدُونَ ۩ ٢١ بَلِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ يُكَذِّبُونَ ٢٢ وَٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِمَا يُوعُونَ ٢٣ فَبَشِّرۡ هُمۡ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ ٢٤ إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُوا ٱلصَّٰلِحَٰتِ لَهُمۡ أَجۡرٌ غَيۡرُ مَمۡنُونِۢ ٢٥
سُورَةُ ٱلۡمُطَفِّفِينَ ٨٣ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা মুত্বাফ্ফেফীন, সূরা নং ৮৩, মাক্কি |
وَيۡلٞ لِّلۡمُطَفِّفِينَ ١ ٱلَّذِينَ إِذَا ٱكۡتَالُواْ عَلَى ٱلنَّاسِ يَسۡتَوۡفُونَ ٢ وَإِذَا كَالُوهُمۡ أَووَّزَنُو هُمۡ يُخۡسِرُونَ ٣ أَلَايَظُنُّ أُلَٰٓئِكَ أَنَّهُم مَّبۡعُوثُونَ ٤ لِيَوۡمٍ عَظِيمٖ ٥ يَوۡمَ يَقُومُ ٱلنَّاسُ لِرَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٦ كَلَّآ إِنَّ كِتَٰبَ ٱلۡفُجَّارِ لَفِى سِجِّينِ ٧ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَاسِجِّينٞ ٨ كِتَٰبٞ مَّرۡقُومٞ ٩ وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ ١٠ ٱلَّذِينَ يُكَذِّبُونَ بِيَوۡمِ ٱلدِّينَ ١١ وَمَايُكَذِّبُ بِهِۦٓ إِلَّاكُلُّ مُعۡتَدٍ أَثِيمٍ ١٢ إِذَا تُتۡلَىٰ عَلَيۡهِ ءَايَٰتُنَا قَالَ أَسَٰطِيرُ ٱلۡأَوَّلِينَ ١٣ كَلَّاۖبَلۡۜ رَانَ عَلَىٰ قُلُوبِهِم مَّاكَانُواْ يَكۡسِبُونَ ١٤ كَلَّآ إِنَّهُمۡ عَن رَّبِّهِمۡ يَوۡمَئِذٖ لَّمَحۡجُوبُونَ ١٥ ثُمَّ إِنَّهُمۡ لَصَالُواْ ٱلۡجَحِيمِ ١٦ ثُمَّ يُقَالُ هَذَا ٱلَّذِى كُنتُم بِهِۦ تُكَذِّبُونَ ١٧ كَلَّآ إِنَّ كِتَٰبَ ٱلۡأَبۡرَارِ لَفِى عِلِّيِّنَ ١٨ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا عِلِّيُّونَ ١٩ كِتَٰبٞ مَّرۡقُومٞ ٢٠ يَشۡهَدُهُ ٱلۡمُقَرَّبُونَ ٢١ إِنَّ ٱلۡأَبۡرَارَ لَفِى نَعِيمٍ ٢٢ عَلَى ٱلۡأَرَآئِكِ يَنظُرُونَ ٢٣ تَعۡرِفُ فِي وُجُوهِهِمۡ نَضۡرَةَ ٱلنَّعِيمِ ٢٤ يُسۡقَوۡنَ مِن رَّحِيقٖ مَّخۡتُومٍ ٢٥ خِتَٰمُهُۥمِسۡكٞۚ وَفِى ذَٰلِكَ فَلۡيَتَنَافَسِ ٱلۡمُتَنَٰفِسُونَ ٢٦ وَمِزَاجُهُۥ مِن تَسۡنِيمٍ ٢٧ عَيۡنٗا يَشۡرَبُ بِهَا ٱلۡمُقَرَّبُونَ ٢٨ إِنَّ ٱلَّذِينَ أَجۡرَمُواْ كَانُواْ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ يَضۡحَكُونَ ٢٩ وَإِذَا مَرُّواْ بِهِمۡ يَتَغَامَزُونَ ٣٠ وَإِذَا ٱنقَلَبُوٓاْ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِمُ ٱنقَلَبُواْ فَكِهِينَ ٣١ وَإِذَا رَأَوۡهُمۡ قَالُوٓاْ إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ لَضَآلُّونَ ٣٢ وَمَآ أُرۡسِلُواْ عَلَيۡهِمۡ حَٰفِظِينَ ٣٣ فَٱلۡيَوۡمَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنَ ٱلۡكُفَّارِ يَضۡحَكُونَ ٣٤ عَلَى ٱلۡأَرَئِكِ يَنظُرُونَ ٣٥ هَلۡ ثُوِّبَ ٱلۡكُفَّارُ مَاكَانُواْ يَفۡعَلُونَ ٣٦
سُورَةُ ٱلتَّكۡوِيرِ ٨١ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা ইনফিতার, সূরা নং ৮২, মাক্কি |
إِذَا ٱلسَّمَآءُ ٱنفَطَرَتۡ ١ وَإِذَا ٱلۡكَوَاكِبُ ٱنتَثَرَتۡ ٢ وَإِذَا ٱلۡبِحَارُ فُجِّرَتۡ ٣ وَإِذَا ٱلۡقُبُورُ بُعۡثِرَتۡ ٤ عَلِمَتۡ نَفۡسٞ مَّاقَدَّمَتۡ وَأَخَّرَتۡ ٥ يَٰأَيُّهَا ٱلۡإِنۡسَٰنُ مَاغَرَّكَ بِرَبِّكَ ٱلۡكَرِيمِ ٦ ٱلَّذِى خَلَقَكَ فَسَوَّىٰكَ فَعَدَ لَكَ ٧ فِىٓ أَىِّ صُورَةٖ مَّا شَآءَ رَكَّبَكَ ٨ كَلَّا بَلۡ تُكَذِّبُونَ بِٱلدِّينِ ٩ وَإِنَّ عَلَيۡكُمۡ لَحَٰفِظِينَ ١٠ كِرَامٗا كَٰتِبِينَ ١١ يَعۡلَمُونَ مَاتَفۡعَلُونَ ١٢ إِنَّ ٱلۡأَبۡرَارَ لَفِى نَعِيمٖ ١٣ وَإِنَّ ٱلۡفُجَّارَ لَفِى جَحِيمٖ ١٤ يَصۡلَوۡنَهَا يَوۡمَ ٱلدِّينِ ١٥ وَمَا هُمۡ عَنۡهَا بِغَآئِبِينَ ١٦ وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَايَوۡمُ ٱلدِّينِ ١٧ ثُمَّ مَآ أَدۡرَىٰكَ مَايَوۡمُ ٱلدِّينِ ١٩ يَوۡمَ لَاتَمۡلِكُ نَفۡسٞ شَيۡئٗاۖ وَٱلۡأَمۡرُ يَوۡمَئِذٖ لِّلَّهِ ١٩
سُورَةُ ٱلتَّكۡوِيرِ ٨١ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা তাকবীর, সূরা নং ৮১, মাক্কি |
إِذَا ٱلشَّمۡسُ كُوِّرَتۡ ١ وَإِذَا ٱلنُّجُومُ ٱنكَدَرَتۡ ٢ وَإِذَا ٱلۡجِبَالُ سُيِّرَتۡ ٣ وَإِذَا ٱلۡعِشَارُ عُطِّلَتۡ ٤ وَإِذَا ٱلۡوُحُوشُ حُشِرَتۡ ٥ وَإِذَا ٱلۡبِحَارُ سُجِّرَتۡ ٦ وَإِذَا ٱلنُّفُوسُ زُوِّجَتۡ ٧ وَإذَا ٱلۡمَوۡءُۥدَةُ سُئِلَتۡ ٨ بِأَىِّ ذَنۢبٖ قُتِلَتۡ ٩ وَإِذَا ٱصُّحُفُ نُشِرَتۡ ١٠ وَإذَا ٱلسَّمَآءُ كُشِطَتۡ ١١ وَإِذَا ٱلۡجَحِيمُ سُعِّرَتۡ ١٢ وَإِذَا ٱلۡجَنَّةُ أُزۡلِفَتۡ ١٣ عَلِمَتۡ نَفۡسٞ مَّآ أَحۡضَرَتۡ ١٤ فَلَآ أُقۡسِمُ بِٱلۡخُنَّسِ ١٥ ٱلۡجَوَارِ ٱلۡكُنَّسِ ١٦ وَٱلَّيۡلِ إِذَا عَسۡعَسَ ١٧ وَٱلصُّبۡحِ إِذَا تَنَفَّسَ ١٨ إِنَّهُۥ لَقَوۡلُ رَسُولٖ كَرِيمٖ ١٩ ذِى قُوَّةٍ عِندَ ذِى ٱلۡعَرۡشِ مَكِينٖ ٢٠ مُّطَاعٖ ثُمَّ أَمِينٖ ٢١ وَمَا صَاحِبُكُم بِمَجۡنُونٖ ٢٢ وَلَقَدۡ رَءَاهُ بِٱلۡأُفُقِ ٱلۡمُبِينِ ٢٣ وَمَا هُوَ عَلَى ٱلۡغَيۡبِ بِضَنِينٖ ٢٤ وَمَا هُوَ بِقَوۡلِ شَيۡطَٰنٖ رَّجِيمٖ ٢٥ فَأَيۡنَ تَذۡهَبُونَ ٢٦ إِنۡ هُوَ إِلَّا ذِكۡرٞ لِّلۡعَٰلَمِينَ ٢٧ لِمَن شَآءَ مِنكُمۡ أَن يَسۡتَقِيمَ ٢٨ وَمَا تَشَآءُونَ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢٩
سُورَةُ عَبَسَ ٨٠ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা ‘আবাসা, সূরা নং ৮০, মাক্কি |
عَبَسَ وَتَوَلَّىٰٓ ١ أَن جَآءَهُ ٱلۡأَعۡمَىٰ ٢ وَمَا يُدۡرِيكَ لَعَلَّهُۥ يَزَّكَّىٰٓ ٣ أَوۡ يَذَّكَّرُ فَتَنفَعَهُ ٱلذِّكۡرَىٰٓ ٤ أَمَّامَنِ ٱسۡتَغۡنَىٰ ٥ فَأَنتَ لَهُۥ تَصَدَّىٰ ٦ وَمَا عَلَيۡكَ أَلَّايَزَّكَّىٰ ٧ وَأَمَّامَن جَآءَكَ يَسۡعَىٰ ٨ وَهُوَ يَخۡشَىٰ ٩ فَأَنتَ عَنۡهُۥ تَلَهَّىٰ ١٠ كَلَّآ إِنَّهَا تَذۡكِرَةٞ ١١ فَمَن شَآءَ ذَكَرَهُۥ ١٢ فِى صُحُفٖ مُّكَرَّمَةٖ ١٣ مَّرۡفُوعَةٖ مُّطَهَّرَةِۢ ١٤ بِأَيۡدِى سَفَرَةٖ ١٥ كِرَمِۢ بَرَرَةٖ ١٦ قُتِلَ ٱلۡإِنسَٰنُ مَآ أَكۡفَرَهُۥ ١٧ مِنۡ أَيِّ شَىۡءٍ خَلَقَهُۥ ١٨ مِن نُّطۡفَةٍ خَلَقَهُۥ فَقَدَّرَهُۥ ١٩ ثُمَّ ٱلسَّبِيلَ يَسَّرَهُۥ ٢٠ ثُمَّ أَمَاتَهُۥ فَأَقۡبَرَهُۥ ٢١ ثُمَّ إِذَا شَآءَ أَنۡشَرَهُۥ ٢٢ كَلَّا لَمَّا يَقۡضِ مَآ أَمَرَهُۥ ٢٣ فَلۡيَنظُرِ ٱلۡإِنسَٰنُ إِلَىٰ طَعَامِهِۦٓ ٢٤ أَنَّاصَبَبۡنَا ٱلۡمَآءَ صَبّٗا ٢٥ ثُمَّ شَقَقۡنَا ٱلۡأَرۡضَ شَقّٗا ٢٦ فَأَنۢبَتۡنَا فِيهَا حَبَّا ٢٧ وَعِنَبٗا وَقَضۡبٗا ٢٨ وَزَيۡتُونَا وَنَخۡلٗا ٢٩ وَحَدَآئِقَ غُلۡبٗا ٣٠ وَفَٰكِهَةٗ وَأَبَّا ٣١ مَّتَٰعٗا لَّكُمۡ وَلِأَنۡعَٰمِكُمۡ ٣٢ فَإِذََا جَآءَتِ ٱلصَّآخَّةُ ٣٣ يَوۡمَ يَفِرُّٱلۡمَرۡءُ مِنۡ أَخِيهِ ٣٤ وَأُمِّهِۦ وَأَبِيهِ ٣٥ وَصَٰحِبَتِهِۦ وَبَنِيهِ ٣٦ لِكُلِّ ٱمۡرِىٖٔ مِّنۡهُمۡ يَوۡمَئِذٖ شَأۡنٞ يُغۡنِيهِ ٣٧ وُجُوهٞ يَوۡمَئِذٖ مُّسۡفِرَةٞ ٣٨ ضَاحِكَةٞ مُّسۡتَبۡشِرَةٞ ٣٩ وَوُجُوهٞ يَوۡمَئِذٍ عَلَيۡهَا غَبَرَةٞ ٤٠ تَرۡهَقُهَا قَتَرَةٌ ٤١ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَفَرَةُ ٱلۡفَجَرَةُ ٤٢
سُورَةُ ٱلنَّازِعَاتِ ٧٩ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা নাযি‘আত, সূরা নং ৭৯, মাক্কি |
وَٱلنَّٰزِعَٰتِ غَرۡقٗا ١ وَٱلنَّٰشِطَٰتِ نَشۡطٗا ٢ وَٱلسَّٰبِحَٰتِ سَبۡحٗا ٣ فَٱلسَّٰبِقَٰتِ سَبۡقٗا ٤ فَٱلۡمُدَبِّرَٰتِ أَمۡرٗا ٥ يَوۡمَ تَرۡجُفُ ٱلرَّاجِفَةُ ٦ تَتۡبَعُهَا ٱلرَّدِفَةُ ٧ قُلُوبٞ يَوۡمَئِذٖ وَاجِفَةٌ ٨ أَبۡصَٰرُهَا خَٰشِعَةٞ ٩ يَقُولُونَ أَءِذَا كُنَّا عِظَٰمٗا نَّخِرَةٗ ١١ قَالُواْ تِلۡكَ إِذٗا كَرَّةٌ خَاسِرَةٞ ١٢ فَإِنَّمَا هِىَ زَجۡرَةٞ وَٰحِدَةٞ ١٣ فَإِذَا هُم بِٱلسَّاهِرَةِ ١٤ هَلۡ أَتَٰكَ حَدِيثُ مُوسَىٰٓ ١٥ إِذۡنَادَىٰهُ رَبُّهُۥ بِٱلۡوَادِ ٱلۡمُقَدَّسِ طُوًى ١٦ ٱذۡهَبۡ إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ إِنَّهُۥ طَغَىٰ ١٧ فَقُلۡ هَل لَّكَ إِلَىٰٓ أَن تَزَكَّىٰ ١٨ وَأَهۡدِيَكَ إِلَىٰ رَبِّكَ فَتَخۡشَىٰ ١٩ فَأَرَىٰهُ ٱلۡأَيَةَ ٱلۡكُبۡرَىٰ ٢٠ فَكَذَّبَ وَعَصَىٰ ٢١ ثُمَّ أَدۡبَرَ يَسۡعَىٰ ٢٢ فَحَشَرَ فَنَادَىٰ ٢٣ فَقَالَ أَنَاْ رَبُّكُمۡ ٱلۡأَعۡلَىٰ ٢٤ فَأَخَذَهُ ٱللَّهُ نَكَالَ ٱلۡأَخِرَةِ وَٱلۡأُولَىٰ ٢٥ إِنَّفِى ذَٰلِكَ لَعِبۡرَةٗ لِّمَن يَخۡشَىٰٓ ٢٦ ءَأَنتُمۡ أَشَدُّ خَلۡقًا أَمِ ٱلسَّمَآءُۚ بَنَٰهَا ٢٧ رَفَعَ سَمۡكَهَا فَسَوَّىٰهَا ٢٨ وَأَغۡطَشَ لَيۡلَهَا وَأَخۡرَجَ ضُحَٰهَا ٢٩ وَٱلۡأَرۡضَ بَعۡدَ ذَٰلِكَ دَحَٰهَآ ٣٠ أَخۡرَجَ مِنۡهَا مَآءَ هَاوَ مَرۡعَٰهَا ٣١ وَٱلۡجِبَالَ أَرۡسَٰهَا ٣٢ مَتَٰعٗا لَّكُمۡ وَلِأَنۡعَٰمِكُمۡ ٣٣ فَإِذَا جَآءَتِ ٱلطَّآمَّةُ ٱلۡكُبۡرَىٰ ٣٤ يَوۡمَ يَتَذَكَّرُ ٱلۡإِنۡسَٰنُ مَاسَعَىٰ ٣٥ وَبُرِّزَتِ ٱلۡجَحِيمُ لِمَن يَرَىٰ ٣٦ فَأَمَّا مَن طَغَىٰ ٣٧ وَءَاثَرَ ٱلۡحَيَوَٰةَ ٱلدُّنۡيَا ٣٨ فَإِنَّ ٱلۡجَحِيمَ هِىَ ٱلۡمَأۡوَىٰ ٣٩ وَأَمَّا مَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِۦ وَنَهَى ٱلنَّفۡسَ عَنِ ٱلۡهَوَىٰ ٤٠ فَإِنَّ ٱلۡجَنَّتَ هِيَ ٱلۡمَأۡوَىٰ ٤١ يَسۡئَلُونَكَ عَنِ ٱلسَّاعَةِ أَيَّانَ مُرۡسَٰهَا ٤٢ فِيمَ أَنتَ مِن ذِكۡرَىٰهَآ ٤٤ إِنَّمَآ أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخۡشَٰهَا ٤٥ كَأَنَّهُمۡ يَوۡمَ يَرَوۡنَهَا لَمۡ يَلۡبَثُوٓاْ إِلَّاعَشِيَّٰةً أَوۡضُحَٰهَا ٤٦
سُورَةُ ٱلنَّبَإِ ٧٨ مَكِّيَّة | بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ | সূরা নাবা, সূরা নং ৭৮, মাক্কি |
عَمَّ يَتَسَآءَلُونَ ١ عَنِ ٱلنَّبَإِ ٱلۡعَظِيمِ ٢ ٱلَّذِى هُمۡ فِيهِ مُخۡتَلِفُونَ ٣ كَلَّا سَيَعۡلَمُونَ ٤ ثُمَّ كَلَّا سَيَعۡلَمُونَ ٥ أَلَمۡ نَجۡعَلِ ٱلۡأَرۡضَ مِهَٰدٗا ٦ وَٱلۡجِبَالَ أَوۡتَادٗا ٧ وَخَلَقۡنَٰكُمۡ أَزۡوَٰجٗا ٨ وَجَعَلۡنَا نَوۡمَكُمۡ سُبَاتٗا ٩ وَجَعَلۡنَا ٱلَّيۡلَ لِبَاسٗا ١٠ وَجَعَلۡنَا ٱلنَّهَارَ مَعَاشٗا ١١ وَبَنَيۡنَا فَوۡقَكُمۡ سَبۡعٗا شِدَادٗا ١٢ وَجَعَلۡنَا سِرَاجٗا وَهَّاجٗا ١٣ وَأَنۡزَلۡنَا مِنَ ٱلۡمُعۡصِرَٰتِ مَآءٗ ثَجَّاجٗا ١٤ لِّنُخۡرِجَ بِهِۦ حَبّٗاوَ نَبَاتٗا ١٥ وَجَنَّٰتٍ أَلۡفَافًا ١٦ إِنَّ يَوۡمَ ٱلۡفَصۡلِ كَانَ مِيقَٰتٗا ١٧ يَوۡمَ يُنفَخُ فِى ٱلصُّورِ فَتَأۡتُونَ أَفۡوَاجٗا ١٨ وَفُتِحَتِ ٱلسَّمَآءُ فَكَانَتۡ أَبۡوَٰبٗا ١٩ وَسُيِّرَتِ ٱلۡجِبَالُ فَكَانَتۡ سَرَابًا ٢٠ إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتۡ مِرۡصَادٗا ٢١ لِّلطَّٰغِينَ مَئَابٗا ٢٢ لَّٰبِثِينَ فِيهَآ أَحۡقَابٗا ٢٣ لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرۡدٗا وَلَاشَرَابًا ٢٤ إِلَّا حَمِيمٗا وَغَسَّاقٗا ٢٥ جَزَآءٗ وِفَاقًا ٢٦ إِنَّهُمۡ كَانُواْ لَايَرۡجُونَ حِسَابٗا ٢٧ وَكَذَّبُواْ بِئَايَٰتِنَا كِذَّابٗا ٢٨ وَكُلَّ شَىۡءٍ أَحۡصَيۡنَٰهُ كِتَٰبٗا ٢٩ فَذُوقُواْ فَلَن نَّزِيدَكُمۡ إِلَّا عَذَابًا ٣٠
বিবরণ | চিহ্ন |
---|---|
ওয়াক্ফ করা জরুরী | ـۘ |
ওয়াক্ফ করা নিষেধ | ـۙ |
মিলিয়ে পড়া উত্তম, তবে ওয়াক্ফ করা জায়েয | ـۖ |
ওয়াক্ফ করা জায়েয | ـۚ |
যে কোন এক স্থানে ওয়াক্ফ করা জায়েয | ۛ |
অতিরিক্ত হরফ যা পড়তে হবে না | ا۬ |
মিলিয়ে পড়ার সময় অতিরিক্ত হরফ বুঝানো | اْ |
সুকূনের আলামত বুঝানোর জন্য | بۡ |
ইকলাব আছে বুঝানোর জন্য | ۢ |
তানবীনকে ইযহার করে পাড়ার জন্য | بً بٍ بٌ |
তানবীনকে ইদগাম ও ইখফা করে পড়ার জন্য | بٗ بٖ بٞ |
ছেড়ে দেওয়া হরফক (আলিফ) পড়া ওয়াজিব | ٰ |
সদের পরিবর্তে সীন পড়া ওয়াজিব। আর যদি নিচে হয় তবে সদ পড়া বেশি প্রসিদ্ধ | ۜ |
অতিরিক্ত মাদ জরুরী | ٓ |
সিজদার স্থান। যেখনে সিজদা করা ওয়াজিব তার নিচে দাগ থাকবে | ۩ |
পারা ও হিজব শুরুর আলামত | ۞ |
আয়াত শেষ ও তার নম্বর | ٣ |
MIJAN says:
thanks