“কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা তোমাদেরকে যেন এতটা উত্তেজিত না করে যে তোমরা ইনসাফ করা ত্যাগ করবে, সুবিচার কর, এটা তাকওয়ার নিকটবর্তী, তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ পূর্ণ ওয়াকিফহাল” [মায়েদাহদ]
ন্যায় বিচার কর। সেই বিচার যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন! দুনিয়াবী বিষয়ে হোক কিংবা দ্বীনী বিষয়ে। বরং বিষয়টা দ্বীনী হলে আরোও সতর্ক তা অবলম্বন করা উচিৎ। এবার যদি কেউ মুসলিম হয়, দ্বীনের বড় খেদমত আঞ্জামদাতা হয়, যেমন ইমাম হয়, মুহাদ্দেস হয়, ফকীহ হয়, মুফাস্সের হয়, দাঈ হয়, তাহলে তার সম্বন্ধে ইনসাফ করতে হলে কেমন হওয়া উচিৎ?
ইমাম বুখারী তাঁর বুখারীতে বহু স্থানে এমন অনুচ্ছেদ নির্ণয় করেছেন ও তাতে এমন হাদীস এনেছেন যাতে বিভিন্ন ফেরকার খন্ডন করা হয়েছে এমন কি বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির মতেরও খন্ডন করা হয়েছে। তিনি তাতে ইশারায় বলতেনঃ কতিপয় রায়পন্থী বলেন, কতিপয় কুফাবাসী বলেন.. ইত্যাদি। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ফেরকার নামই নেন নি। এটা হচ্ছে জ্ঞানীদের সম্পর্কে ইনসাফের নমূ না। কিন্ত
এ যুগে এসব কি ধরণের ইনসাফ? বলা হচ্ছে, আহলে খবীস (খবীস পন্থী) আহলে হদস (হদস বা পাদ পন্থী) রাফেদানী, শয়তানের দল, দালাল, আবার ইহূদী-খৃষ্টানদের দালাল, উপমহাদেশের নিতান্তই গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী আহলুল হাদীসরা যে সেখান থেকে কার দালালী করে? দরবারী আলেম, প্রভৃতি..।
পরিশেষে যদি দেখেন ইবনু তায়মিয়া, ইবনুল কাইয়্যুম, শাওকানী, ইবনু বায, ইবনু উসায়মীন, আলবানী (রাহেমাহুমুল্লাহু আজমাঈন) এদের নাম বিক্রিত করে, মন্দ অরুচিকর ভাষায় তাদের জ্ঞানের তাচ্ছিল্য করা হয়, অপবাদ দেওয়া হয়, তাহলে সেই লোকদের কি বলা যায়? জ্ঞানী হলে জ্ঞানের আধারে খন্ডন হয়, কিন্তু জ্ঞান না থাকলে গালাগালি ও অপবাদের মাধ্যমে খন্ডন।
এটাই বলব আপনাদের কথাবার্তাই আপনাদের পরিচয়। আর হাঁ কম করে হলে এটা তাকওয়ার তো পরিচয় নয়, ইনসাফ নয়, কারণ আল্লাহ বলেনঃ ((কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা তোমাদেরকে যেন এতটা উত্তেজিত না করে যে তোমরা ইনসাফ করা ত্যাগ করবে, সুবিচার কর, এটা তাকওয়ার নিকটবর্তী, তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ পূর্ণ ওয়াকিফহাল) [মায়েদাহদ৮] বিষয়টি সকল আলেম, লেখক ও তালেবে ইলমের জন্য চিন্তার বিষয়.. আল্লাহ যেন তাওফীক দেন।