১ – তা যেন উট, গরু, ছাগল কিংবা ভেড়া হয় [হাজ্জ/২৮]।
২ – পশুগুলি যেন শারঈ বিধানানুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক হয়, অর্থাৎ দুধ দাঁত পড়ে গেছে এমন বয়সের হয়। উট হলে তার বয়স যেন পাঁচ বছর হয়। গরু হলে যেন দু’বছর বয়সের হয়। ছাগল হলে যেন একবছর পূর্ণ হয়। আর ভেড়া হলে ছয় মাস বয়সই যথেষ্ট। [মুসলিম ১৯৬৩/সউদী ফাতাওয়া বোর্ড]
৩ – কুরবানীর পশু যেন দোষ মুক্ত হয় যেমন স্পষ্ট টেরা বা অন্ধ না হয়, স্পষ্ট খোঁড়া না হয়, স্পষ্ট রোগা না হয় এবং এত বয়স্ক না হয়, যার হাড়ের মজ্জা শেষ হয়ে গেছে। [আবু দাঊদ (২৮০২) তিরমিযী (১৪৯৭) নাসাঈ (৪৩৭১)] এর থেকে নিম্ন পর্যায়ের দোষ থাকলে তা কুরবানীতে বৈধ হবে কিন্তু উত্তম হবে না।
৪ – তা যেন কুরবানীর দিন সমূহে ঈদের নামাযের পর সম্পাদন করা হয়। নবী স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে নামাযের আগে কুরবানী করল সে নিজের জন্য যবাই করলো। আর যে নামাযের পর যবাই করলো তার কুরবানী পূর্ণ হল এবং মুসলিমদের সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত হলো”। [বুখারী ৫৫৫৬/মুসলিম ১৯৬১]
৫ – কুরবানীদাতা যেন কুরবানীর উদ্দেশ্যে অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যবাই করে অন্য উদ্দেশ্যে না থাকে। [মাজমু ৮/৪০৫] নবী স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “সৎ আমল সমূহ মানুষের নিয়তের উপর নির্ভর করে”। [বুখারী ১ম হাদীস] তাই যে যেই নিয়তে যবাই করবে সে সেই অনুযায়ী ফল পাবে।
৬ – সর্ব্বোত্তম কুরবানী: সর্ব্বোত্তম কুরবানী হচ্ছে, একটি পূর্ণ উটের কুরবানী অত:পর একটি পূর্ণ গরুর কুরবানী অত:পর একটি পূর্ণ ছাগল বা ভেড়ার কুরবানী অত:পর ভাগা কুরবানী। কারণ জুমআর দিনে ফযীলতের সময়ের স্তর বর্ণনায় যে সাদাকার বর্ণনা এসেছে তাতে উপরোক্ত সিরিয়াল বিদ্যমান। [আলমুগনী১৩/৩৬৬] যদিও ইমাম মালিক ভেড়া বা ছাগলের কুরবানীকে উত্তম বলেছেন।