Web Page 2: Kitabul Gusul-5 to Kitabus Salat-8
وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِنْ كُنْتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوا وَإِنْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنَ الغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ مِنْهُ مَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ حَرَجٍ وَلَكِنْ يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ} [المائدة: ٦] وَقَوْلِهِ جَلَّ ذِكْرُهُ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِي سَبِيلٍ حَتَّى تَغْتَسِلُوا وَإِنْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنَ الغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا} [النساء: ٤٣]
হে মু’মিনগণ! যখন তোমরা সালাতের উদ্দেশে দন্ডায়মান হও তখন (সালাতের পূর্বে) তোমাদের মুখমন্ডল ধৌত কর এবং হাতগুলিকে কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও, আর মাথা মাসাহ কর এবং পা’গুলিকে টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে ফেল। যদি তোমরা অপবিত্র হও তাহলে গোসল করে সমস্ত শরীর পবিত্র করে নাও। কিন্তু যদি রোগগ্রস্ত হও কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেহ পায়খানা হতে ফিরে আস কিংবা তোমরা স্ত্রীদেরকে স্পর্শ কর (স্ত্রী-সহবাস কর), অতঃপর পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও, তখন তোমরা তা দ্বারা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত মাসাহ কর, আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা আনয়ন করতে চাননা, বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে ও তোমাদের উপর স্বীয় নি‘আমাত পূর্ণ করতে চান, যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। [সূরা আল-মায়েদা, ৫:৬]
হে মু’মিনগণ! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতের কাছেও যেওনা, যখন নিজের উচ্চারিত বাক্যের অর্থ নিজেই বুঝতে সক্ষম নও – এ অবস্থায় অথবা গোসল যরুরী হলে তা সমাপ্ত না করে সালাতের জন্য দান্ডায়মান হয়োনা। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র। যদি তোমরা পীড়িত হও, কিংবা প্রবাসে অবস্থান কর অথবা তোমাদের মধ্যে কেহ পায়খানা হতে প্রত্যাগত হয় কিংবা রমণী স্পর্শ করে এবং পানি না পাওয়া যায় তাহলে বিশুদ্ধ মাটির অম্বেষণ কর, তদ্বারা তোমাদের মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ মুছে ফেল; নিশ্চয়ই আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল। [সূরা আন-নিছা, ৩:৪৩]
হাদিসের মান: সহীহ
٢٤٨ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلّى الله عليه وسلم ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَانَ إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الجَنَابَةِ، بَدَأَ فَغَسَلَ يَدَيْهِ، ثُمَّ يَتَوَضَّأُ كَمَا يَتَوَضَّأُ لِلصَّلَاةِ، ثُمَّ يُدْخِلُ أَصَابِعَهُ فِي المَاءِ، فَيُخَلِّلُ بِهَا أُصُولَ شَعَرِهِ، ثُمَّ يَصُبُّ عَلَى رَأْسِهِ ثَلَاثَ غُرَفٍ بِيَدَيْهِ، ثُمَّ يُفِيضُ المَاءَ عَلَى جِلْدِهِ كُلِّهِ “
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন হিশাম ইব্ন ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন জানাবাতের গোসল করতেন, তখন প্রথমে তাঁর হাত দু’টো ধুয়ে নিতেন। অতঃপর সালাতের উযূর মত উযূ করতেন। অতঃপর তাঁর আঙ্গুলগুলো পানিতে ডুবিয়ে নিয়ে চুলের গোড়া খিলাল করতেন। অতঃপর তাঁর উভয় হাতের তিন আঁজলা পানি মাথায় ঢালতেন। তারপর তাঁর সারা দেহের উপর পানি ঢেলে দিতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৬২, ২৭২; মুসলিম ৩/৯, হাঃ ৩১৬, আহমাদ ২৫৭০৪] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৪৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٤٩ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «تَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُضُوءهُ لِلصَّلَاةِ، غَيْرَ رِجْلَيْهِ، وَغَسَلَ فَرْجَهُ وَمَا أَصَابَهُ مِنَ الأَذَى، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَيْهِ المَاءَ، ثُمَّ نَحَّى رِجْلَيْهِ، فَغَسَلَهُمَا، هَذِهِ غُسْلُهُ مِنَ الجَنَابَةِ»
মু‘হাম্মাদ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আ‘আমাশ থেকে, তিনি সালিম ইব্ন আবূ জা’দ থেকে, তিনি কুরায়ব থেকে, তিনি ইব্ন ‘আব্বাস থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী মাইমূনা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন, পা দুটো ব্যতীত এবং তাঁর লজ্জাস্থান ও যে যে স্থানে নোংরা লেগেছে তা ধুয়ে নিলেন। অতঃপর নিজের উপর পানি ঢেলে দেন। অতঃপর সেখান হতে সরে গিয়ে পা দু’টো ধুয়ে নেন। এই ছিল তাঁর জানাবাতের গোসল।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৫৭, ২৫৯, ২৬০, ২৬৬, ২৭৪, ২৭৬, ২৮১; মুসলিম ৩/৯, হাঃ ৩১৭, আহমাদ ২৬৮৬১] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৪৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٥٠ – حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ، مِنْ قَدَحٍ يُقَالُ لَهُ الفَرَقُ»
আদম ইব্ন আবূ ইয়াসিন আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন আবূ যি’ব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন যুহুরী থেকে, তিনি ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র (কাদাহ) হতে (পানি নিয়ে) গোসল করতাম। সেই পাত্রকে ফারাক বলা হতো।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৬১, ২৬৩, ২৭৩, ২৯৯, ৫৯৫৬, ৭৩৩৯; মুসলিম ৩/১০, হাঃ ৩১৯, আহমাদ ২৫৮৯৪] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৪৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٥١ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ: حَدَّثَنِي شُعْبَةُ ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، يَقُولُ: دَخَلْتُ أَنَا وَأَخُو عَائِشَةَ عَلَى عَائِشَةَ، فَسَأَلَهَا أَخُوهَا عَنْ غُسْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَدَعَتْ بِإِنَاءٍ نَحْوًا مِنْ صَاعٍ، فَاغْتَسَلَتْ، وَأَفَاضَتْ عَلَى رَأْسِهَا، وَبَيْنَنَا وَبَيْنَهَا حِجَابٌ» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: قَالَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَبَهْزٌ، وَالجُدِّيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، «قَدْرِ صَاعٍ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মু‘হাম্মাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুস স্বামাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু’বাহ আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ বক্র ইব্ন হাফ্স্ব আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ সালামা (রহমাহুল্লাহ) থেকে আমি শুনলাম, তিনি বলছেন: আমি ও ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা)-এর ভাই ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা)-এর নিকট গমন করলাম। তাঁর ভাই তাঁকে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি প্রায় এক সা’ (আড়াই কিলোগ্রাম পরিমাণ)-এর সমপরিমাণ এক পাত্র আনলেন। তারপর তিনি গোসল করলেন এবং স্বীয় মাথার উপর পানি ঢাললেন। তখন আমাদের ও তাঁর মাঝে পর্দা ছিল। আবূ ‘আবদুল্লাহ [বুখারী (রহমাহুল্লাহ)] বলেন যে, ইয়াযীদ ইব্ন হারূন (রহমাহুল্লাহ), বাহয্ জুদ্দীই (রহমাহুল্লাহ) শু’বাহ (রহমাহুল্লাহ) থেকে “ نَحْوًا مِنْ صَاعٍ ” এর পরিবর্তে “قَدْرِ صَاعٍ ” (এক সা’ পরিমাণ) এর কথা বর্ণনা করেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [মুসলিম ৩/১০, হাঃ ৩২০] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৪৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٥٢ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، أَنَّهُ كَانَ عِنْدَ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ هُوَ وَأَبُوهُ وَعِنْدَهُ قَوْمٌ فَسَأَلُوهُ عَنِ الغُسْلِ، فَقَالَ: «يَكْفِيكَ صَاعٌ»، فَقَالَ رَجُلٌ: مَا يَكْفِينِي، فَقَالَ جَابِرٌ: «كَانَ يَكْفِي مَنْ هُوَ أَوْفَى مِنْكَ شَعَرًا، وَخَيْرٌ مِنْكَ» ثُمَّ أَمَّنَا فِي ثَوْبٍ
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মু‘হাম্মাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়া‘হইয়া ইব্ন আদম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: যুহায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আবূ ইস‘হাক থেকে, তিনি বললেন: আবূ জা‘ফার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি ও তাঁর পিতা জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর নিকট ছিলেন। সেখানে আরো কিছু লোক ছিলেন। তাঁরা তাঁকে গোসল সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, এক সা’ তোমার জন্য যথেষ্ট। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল: আমার জন্য তা যথেষ্ট নয়। জাবির (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: তোমার চেয়ে অধিক চুল যাঁর মাথায় ছিল এবং তোমার চেয়ে যিনি উত্তম ছিলেন (আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর জন্য তো এ পরিমাণই যথেষ্ট ছিল। অতঃপর তিনি এক কাপড়ে আমাদের ইমামাত করেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৫৫, ২৫৬; মুসলিম ৩/১১, হাঃ ৩২৯, আহমাদ ১৫০৪১] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫০]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٥٣ – حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَيْمُونَةَ كَانَا يَغْتَسِلَانِ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: «كَانَ ابْنُ عُيَيْنَةَ، يَقُولُ أَخِيرًا عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، وَالصَّحِيحُ مَا رَوَى أَبُو نُعَيْمٍ»
আবূ নু‘আয়ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন ‘উয়ায়নাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আম্র থেকে, তিনি জাবির ইব্ন যায়দ থেকে, তিনি ইব্নু ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও মাইমূনা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) একই পাত্রের পানি দিয়ে গোসল করতেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ বলেন, ইব্নু ‘উয়ায়নাহ তাঁর শেষ জীবনে ইব্নু ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর মাধ্যমে মাইমূনা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) হতে তা বর্ণনা করতেন। তবে আবূ নু’আয়ম (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর বর্ণনাই ঠিক।
অনুরূপ বর্ণনা : [মুসলিম ৩/১০, হাঃ ৩২২, আহমাদ ২৬৮৬] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫১]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٥٤ – حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَمَّا أَنَا فَأُفِيضُ عَلَى رَأْسِي ثَلَاثًا، وَأَشَارَ بِيَدَيْهِ كِلْتَيْهِمَا»
আবূ নু‘আয়ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: যুহায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আবূ ইস‘হাক থেকে, তিনি বললেন: সুলায়মান ইব্ন স্বুরাদ আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: জুবায়র ইব্নু মুত্ব‘ইম (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আল্লহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “আমি তিনবার আমার মাথায় পানি ঢালি। এই বলে তিনি উভয় হাতের দ্বারা ইঙ্গিত করেন”।
অনুরূপ বর্ণনা : [মুসলিম ৩/১১, হাঃ ৩২৭, আহমাদ ১৬৭৪৯, ১৬৭৮০] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫২]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٥٥ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مِخْوَلِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُفْرِغُ عَلَى رَأْسِهِ ثَلَاثًا»
মু‘হাম্মাদ ইব্ন বাস্সার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: গুন্দার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু’বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মিখওয়াল ইব্ন রাশিদ থেকে, তিনি মু‘হাম্মাদ ইব্ন আলী থেকে, তিনি জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন, “নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের মাথায় তিনবার পানি ঢালতেন”।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৫৪] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٥٦ – حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَامٍ، حَدَّثَنِي أَبُو جَعْفَرٍ، قَالَ: قَالَ لِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَأَتَانِي ابْنُ عَمِّكَ يُعَرِّضُ بِالحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدِ ابْنِ الحَنَفِيَّةِ. قَالَ: كَيْفَ الغُسْلُ مِنَ الجَنَابَةِ؟ فَقُلْتُ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْخُذُ ثَلَاثَةَ أَكُفٍّ وَيُفِيضُهَا عَلَى رَأْسِهِ، ثُمَّ يُفِيضُ عَلَى سَائِرِ جَسَدِهِ» فَقَالَ لِي الحَسَنُ إِنِّي رَجُلٌ كَثِيرُ الشَّعَرِ، فَقُلْتُ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْثَرَ مِنْكَ شَعَرًا»
আবূ নু‘আয়ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মা‘আমার ইব্ন ইয়া‘হইয়া ইব্ন সালিম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, আবূ জা’ফার আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: জাবির (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাকে বললেন: আমার নিকট তোমার চাচাত ভাই অর্থাৎ হাসান ইব্নু মুহাম্মাদ ইব্নু হানাফিয়াহ আগমন করেছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “জানাবাতের গোসল কীভাবে করতে হয়?” আমি বললাম, “নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন আঁজলা পানি নিতেন এবং নিজের মাথার উপর ঢেলে দিতেন। অতঃপর নিজের সারা দেহে পানি বহিয়ে দিতেন। তখন হাসান আমাকে বললেন, আমার মাথার চুল খুব বেশি। আমি তাঁকে বললাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুল তোমার চেয়ে অধিক ছিল।”
অনুরূপ বর্ণনা : [২৫২] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٥٧ – حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَتْ مَيْمُونَةُ: «وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ، فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ، وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ»
মূস ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল ওয়া‘হিদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আমাশ থেকে, তিনি সালিম ইব্ন আবূ জা’দ থেকে, তিনি কুরায়ব থেকে, তিনি ইব্নু ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: মাইমূনাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বললেন, “আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দুবার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন৷ পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন৷ তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন৷ তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন৷ অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন৷ তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন।”
অনুরূপ বর্ণনা : [২৪৯] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٥٨ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ، عَنِ القَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ : كَانَ النَّبِيُّ صلّى الله عليه وسلم «إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الجَنَابَةِ، دَعَا بِشَيْءٍ نَحْوَ الحِلَابِ، فَأَخَذَ بِكَفِّهِ، فَبَدَأَ بِشِقِّ رَأْسِهِ الأَيْمَنِ، ثُمَّ الأَيْسَرِ، فَقَالَ بِهِمَا عَلَى وَسَطِ رَأْسِهِ»
মু‘হাম্মাদ ইব্ন মুছান্না আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আস্বিম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘হানযালাহ থেকে, তিনি কাসিম থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন, “নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন জানাবাতের গোসল করতেন, তখন হিলাবের অনুরূপ পাত্র চেয়ে নিতেন৷ তারপর এক আঁজলা পানি নিয়ে প্রথমে মাথার ডান পাশ এবং পরে বাম পাশ ধুয়ে ফেলতেন৷ দু’হাতে মাথার মাঝখানে পানি ঢালতেন।”
অনুরূপ বর্ণনা : [মুসলিম ৩/৯, হাঃ ৩১৮] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٥٩ – حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَالِمٌ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: حَدَّثَتْنَا مَيْمُونَةُ قَالَتْ: «صَبَبْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غُسْلًا، فَأَفْرَغَ بِيَمِينِهِ عَلَى يَسَارِهِ فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ غَسَلَ فَرْجَهُ، ثُمَّ قَالَ بِيَدِهِ الأَرْضَ فَمَسَحَهَا بِالتُّرَابِ، ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ، وَأَفَاضَ عَلَى رَأْسِهِ، ثُمَّ تَنَحَّى، فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ، ثُمَّ أُتِيَ بِمِنْدِيلٍ فَلَمْ يَنْفُضْ بِهَا»
‘উমার ইব্ন ‘হাফ্স্ব ইব্ন গিয়াছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: তাঁর পিতা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আমাশ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সালিম আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন কুরায়ব থেকে, তিনি ইব্ন ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: মাইমূনাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বললেন, “আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য গোসলের পানি ঢেলে রাখলাম৷ তিনি তাঁর ডান হাত দিয়ে বাঁ হাতে পানি ঢাললেন এবং উভয় হাত ধুলেন। অতঃপর তাঁর লজ্জাস্থান ধৌত করলেন এবং মাটিতে তাঁর হাত ঘষলেন। পরে তা ধুয়ে কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তারপর তাঁর চেহারা ধুলেন এবং মাথার উপর পানি ঢাললেন। পরে ঐ স্থান হতে সরে গিয়ে দু’পা ধুলেন। অবশেষে তাঁকে একটি রুমাল দেয়া হল, কিন্তু তা দিয়ে শরীর মুছলেন না।”
অনুরূপ বর্ণনা : [২৪৯] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٦٠ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ الحُمَيْدِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اغْتَسَلَ مِنَ الجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الحَائِطَ، ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন যুবায়র ‘হুমায়দী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আ‘আমাশ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন সালিম ইব্ন আবূ জা’দ থেকে, তিনি কুরায়ব থেকে, তিনি ইব্ন ‘আব্বাস থেকে, তিনি মাইমূনাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বললেন, “নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন।”
অনুরূপ বর্ণনা : [২৪৯] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮]
وَأَدْخَلَ ابْنُ عُمَرَ، وَالبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ يَدَهُ فِي الطَّهُورِ وَلَمْ يَغْسِلْهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وَلَمْ يَرَ ابْنُ عُمَرَ، وَابْنُ عَبَّاسٍ بَأْسًا بِمَا يَنْتَضِحُ مِنْ غُسْلِ الجَنَابَةِ
ইব্ন উ’মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ও বারা-ইব্ন আ’যিব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হাত না ধুয়ে পানিতে হাত ঢুকিয়েছেন, তারপর উযু করেছেন। ইব্ন উ’মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ও ইব্ন আ’ব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) যে পানিতে ফরয গোসলের পানির ছিটা পড়েছে তা ব্যবহারে কোন দোষ মনে করতেন না।
হাদীসের মান: সহীহ
٢٦١ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، أَخْبَرَنَا أَفْلَحُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنِ القَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ، تَخْتَلِفُ أَيْدِينَا فِيهِ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মাস্লামাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আফ্লাহ’ ইব্ন হু’মায়দ আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন ক্বাসেম থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্রের পানি দিয়ে এভাবে গোসল করতাম যে, তাতে আমাদের দু’জনের হাত একের পর এক পড়তে থাকতো।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৫০; মুসলিম ৩/১০, হাঃ ৩১৯, ৩২১] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৫৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٦٢ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الجَنَابَةِ غَسَلَ يَدَهُ»
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হা’ম্মাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হিশাম থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাবাতের গোসল করার সময় প্রথমে হাত ধুয়ে নিতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৪৮] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬০]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٦٣ – حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ مِنْ جَنَابَةٍ» وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ القَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ مِثْلَهُ
আবূ ওয়ালিদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আবূ বক্র ইব্ন হা’ফস্ব থেকে, তিনি ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্রের পানি নিয়ে জানাবাতের গোসল করতাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৫০] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬১]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٦٤ – حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَبْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالمَرْأَةُ مِنْ نِسَائِهِ يَغْتَسِلَانِ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ» زَادَ مُسْلِمٌ، وَوَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، عَنْ شُعْبَةَ «مِنَ الجَنَابَةِ»
আবূল ওয়ালীদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্দুল্লাহ ইব্ন জাব্র থেকে, তিনি বললেন: আমি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনলাম, তিনি বলছেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর স্ত্রীদের কেউ কেউ একই পাত্রের পানি নিয়ে গোসল করতেন। মুসলিম (রহমাহুল্লাহ) এবং ওয়াহ্ব ইব্নু জারীর (রহমাহুল্লাহ) শু‘বাহ (রহমাহুল্লাহ) হতে ‘তা ফরয গোসল ছিল বলে বর্ণনা করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬২]
‘আবদুর রহমান ইব্নু কাসিম (রহমাহুল্লাহ) তাঁর পিতার সূত্রে আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
وَيُذْكَرُ عَنْ ابْنِ عُمَرَ: «أَنَّهُ غَسَلَ قَدَمَيْهِ بَعْدَ مَا جَفَّ وَضُوءُهُ»
ইব্ন উ’মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি উযূর অঙ্গসমূহ শুকিয়ে যাওয়ার পর দু’পা ধুয়েছিলেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٢٦٥ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَتْ مَيْمُونَةُ: «وَضَعْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاءً يَغْتَسِلُ بِهِ، فَأَفْرَغَ عَلَى يَدَيْهِ، فَغَسَلَهُمَا مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ، فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ دَلَكَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، وَغَسَلَ رَأْسَهُ ثَلَاثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَنَحَّى مِنْ مَقَامِهِ، فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন মাহ্’বূব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল ওয়াহি’দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আ‘আ্মাশ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন সালিম ইব্ন আবূল জাআ’দ থেকে, তিনি ইব্ন ‘আব্বাস এর স্বাধীন করা গুলাম কুরায়ব থেকে, তিনি ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: মাইমূনাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বললেন: আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম, তিনি উভয় হাতে পানি ঢেলে দু’বার করে বা তিনবার করে তা ধুয়ে নিলেন৷ অতঃপর তিনি ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাতে ঢাললেন এবং তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে নিলেন৷ পরে তাঁর হাত মাটিতে ঘষলেন৷ তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন। আর তাঁর চেহারা ও হাত দু’টো ধুলেন৷ তারপর তাঁর মাথা তিনবার ধুলেন এবং তাঁর সারা শরীরে পানি ঢাললেন৷ অবশেষে সেখান হতে একটু সরে গিয়ে তাঁর দু’পা ধুয়ে ফেললেন৷
অনুরূপ বর্ণনা : [২৪৯] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٦٦ – حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الحَارِثِ، قَالَتْ: «وَضَعْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غُسْلًا وَسَتَرْتُهُ، فَصَبَّ عَلَى يَدِهِ، فَغَسَلَهَا مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ» – قَالَ: سُلَيْمَانُ لَا أَدْرِي، أَذَكَرَ الثَّالِثَةَ أَمْ لَا؟ – ثُمَّ أَفْرَغَ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ، ثُمَّ دَلَكَ يَدَهُ بِالأَرْضِ أَوْ بِالحَائِطِ، ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ، وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، وَغَسَلَ رَأْسَهُ، ثُمَّ صَبَّ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَنَحَّى فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ، فَنَاوَلْتُهُ خِرْقَةً، فَقَالَ بِيَدِهِ هَكَذَا، وَلَمْ يُرِدْهَا “
মূসা ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ ‘আওয়ানাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, আ‘আমাশ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন সালিম ইব্ন আবূ জা‘আদ থেকে, তিনি ইব্ন আব্বাস এর স্বাধীন করা গুলাম কুরায়ব থেকে, তিনি মাইমূনাহ্ বিনতু হারিস (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য গোসলের পানি রেখে পর্দা করে দিলাম। তিনি পানি দিয়ে দু’বার কিংবা তিনবার হাত ধুলেন৷ সুলায়মান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন, তৃতীয়বারের কথা বলেছেন কিনা আমার মনে পড়ে না। তখন তিনি ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাতে ঢাললেন এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে নিলেন৷ তারপর তাঁর হাত মাটিতে বা দেওয়ালে ঘষলেন৷ পরে তিনি কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন এবং তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুলেন এবং মাথা ধুয়ে ফেললেন। তারপর তাঁর শরীরে পানি ঢেলে দিলেন৷ পরে সেখান হতে সরে গিয়ে তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন৷ অবশেষে আমি তাঁকে একখণ্ড কাপড় দিলাম; কিন্তু তিনি হাতের ইঙ্গিতে নিষেধ করলেন এবং তা নিলেন না।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৪৯] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٦٧ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ المُنْتَشِرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: ذَكَرْتُهُ لِعَائِشَةَ فَقَالَتْ: يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ «كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَطُوفُ عَلَى نِسَائِهِ، ثُمَّ يُصْبِحُ مُحْرِمًا يَنْضَخُ طِيبًا»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন বাস্সার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ ‘আদী এবং ইয়াহ্’ইয়া ইব্ন সা‘ঈদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন শুউ’বাহ থেকে, তিনি ইবরাহীম ইব্ন মুহা’ম্মাদ ইব্ন মুনতাশির থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি বললেন: আমি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) এর নিকট আবদুল্লাহ ইব্নু ‘উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর উক্তিটি ১ উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন: আল্লাহ্ আবূ ‘আবদুর রহমানকে রহম করুন। আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সুগন্ধি লাগাতাম, তারপর তিনি তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। তারপর ভোরবেলায় এমন অবস্থায় ইহ্রাম বাঁধতেন যে, তাঁর দেহ হতে খুশবু ছড়িয়ে পড়তো।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৭০; মুসলিম ১৫/৭, হাঃ ১১৯২] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৫]
ফুটনোটঃ
১. আমি এমন অবস্থায় ইহ্রাম বাঁধতে পছন্দ করি না, যাতে সকালে আমার দেহ থেকে খুশবু ছড়িয়ে পড়ে (দ্র. হাদীস নং ২৬৮) ।
হাদীসের মান: সহীহ
٢٦٨ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدُورُ عَلَى نِسَائِهِ فِي السَّاعَةِ الوَاحِدَةِ، مِنَ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَهُنَّ إِحْدَى عَشْرَةَ» قَالَ: قُلْتُ لِأَنَسٍ أَوَكَانَ يُطِيقُهُ؟ قَالَ: كُنَّا نَتَحَدَّثُ «أَنَّهُ أُعْطِيَ قُوَّةَ ثَلَاثِينَ» وَقَالَ سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، إِنَّ أَنَسًا، حَدَّثَهُمْ «تِسْعُ نِسْوَةٍ»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন বাশ্শার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মু‘আয ইব্ন হিশাম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমার পিতা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ক্বাতাদাহ থেকে, তিনি বললেন: আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীগণের নিকট দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের ১ শক্তি দেয়া হয়েছে। সা’ঈদ (রহমাহুল্লাহ) ক্বাতাদাহ (রহমাহুল্লাহ) হতে বর্ণনা করেন, আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জনের কথা বলেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫ দ্রষ্টব্য] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৬]
ফুটনোটঃ
১. কোন কোন রিওয়ায়াতে, বেহেশতী চল্লিশজনের শক্তি দান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এবং তিরমিযীর বর্ণনায় একজন বেহেশতীর শক্তি একশ লোকের শক্তির সমান বলে উল্লেখ করা হয়েছে (হাশিয়া ৪, সহীহ বুখারী ৭১, আসাহ্হুল মাতাবি, দিল্লী) ।
হাদীসের মান: সহীহ
٢٦٩ – حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: كُنْتُ رَجُلًا مَذَّاءً فَأَمَرْتُ رَجُلًا أَنْ يَسْأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِمَكَانِ ابْنَتِهِ، فَسَأَلَ فَقَالَ: «تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ»
আবূ ওয়ালীদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: যাইদাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আবূ হা’স্বীন থেকে, তিনি আবূ ‘আব্দুর রহমান থেকে, তিনি ‘আলী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন, আমার অধিক মযী বের হত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা আমার স্ত্রী হবার কারনে আমি একজনকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠালাম। তিনি প্রশ্ন করলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: উযূ কর এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেল।
অনুরূপ বর্ণনা : [১৩২] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٧٠ – حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ المُنْتَشِرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ، فَذَكَرْتُ لَهَا قَوْلَ ابْنِ عُمَرَ: مَا أُحِبُّ أَنْ أُصْبِحَ مُحْرِمًا أَنْضَخُ طِيبًا، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: «أَنَا طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ طَافَ فِي نِسَائِهِ، ثُمَّ أَصْبَحَ مُحْرِمًا»
আবূ নু’মান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ ‘আওয়ানাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইবরাহীম ইব্ন মুহা’ম্মাদ ইব্ন মুনতাশির থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি বললেন: আমি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) কে জিজ্ঞেস করলাম এবং আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এর উক্তি উল্লেখ করলাম,- “আমি এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধা পছন্দ করি না যাতে সকালে আমার দেহ হতে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ে।” ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বললেন: আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সুগন্ধি লাগিয়েছি, তার পর তিনি পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন এবং তাঁর ইহ’রাম অবস্থায় সকাল হয়েছে।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৬৭] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٧١ – حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا الحَكَمُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الطِّيبِ، فِي مَفْرِقِ النَّبِيِّ صلّى الله عليه وسلم وَهُوَ مُحْرِمٌ»
আদম ইব্ন আবূ ইয়াসিন আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হা’কাম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইবরাহীম থেকে, তিনি আসওয়াদ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমি যেন এখনো দেখছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর ইহ্রাম অবস্থায় তাঁর সিঁথিতে খুশবুর ঔজ্জ্বল্য রয়েছে।
অনুরূপ বর্ণনা : [১৫৩৮, ৫৯১৮, ৫৯২৩; মুসলিম ১৫/৭, হাঃ ১১৯০, আহমাদ ২৫৮৩৩] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৬৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٧٢ – حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الجَنَابَةِ، غَسَلَ يَدَيْهِ، وَتَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ، ثُمَّ اغْتَسَلَ، ثُمَّ يُخَلِّلُ بِيَدِهِ شَعَرَهُ، حَتَّى إِذَا ظَنَّ أَنَّهُ قَدْ أَرْوَى بَشَرَتَهُ، أَفَاضَ عَلَيْهِ المَاءَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ غَسَلَ سَائِرَ جَسَدِهِ»
‘আব্দান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন, তিনি বললেন: হিশাম ইব্ন ‘উরওয়াহ আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন জানাবাতের গোসল করতেন, তখন তিনি দু’হাত ধৌত করতেন এবং সালাতের উযূর মত উযূ করতেন। তারপর গোসল করতেন। পরে তাঁর হাত দিয়ে চুল খিলাল করতেন। চামড়া ভিজেছে বলে যখন তিনি নিশ্চিত হতেন, তখন তাতে তিনবার পানি ঢালতেন। তারপর সমস্ত শরীর ধুয়ে ফেলতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৪৮] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭০]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٧٣ – وَقَالَتْ: «كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ، نَغْرِفُ مِنْهُ جَمِيعًا»
(পূর্বের হাদীসের বর্ণনার পর থেকে) তিনি (‘আয়িশা রাজিআল্লাহু ‘আনহা) আরো বললেন: আমি ও আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র হতে গোসল করতাম। আমরা একই সাথে তা হতে আঁজলা ভরে পানি নিতাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৫০] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৫ শেষাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭০]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٧٤ – حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، قَالَ: أَخْبَرَنَا الفَضْلُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: أَخْبَرَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ قَالَتْ: «وَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضُوءًا لِجَنَابَةٍ، فَأَكْفَأَ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا، ثُمَّ غَسَلَ فَرْجَهُ، ثُمَّ ضَرَبَ يَدَهُ بِالأَرْضِ أَوِ الحَائِطِ، مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ، وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَذِرَاعَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى رَأْسِهِ المَاءَ، ثُمَّ غَسَلَ جَسَدَهُ، ثُمَّ تَنَحَّى فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ» قَالَتْ: «فَأَتَيْتُهُ بِخِرْقَةٍ فَلَمْ يُرِدْهَا، فَجَعَلَ يَنْفُضُ بِيَدِهِ»
ইউসুফ ইব্ন ‘ঈসা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ফযল ইব্ন মূসা আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন, তিনি বললেন: আ‘মাশ আমাদেরকে খবর দিলেন সালিম থেকে, তিনি আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এর স্বাধীন করা গুলাম কুরায়ব থেকে, তিনি আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি মাইমূনা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাবাতের গোসলের জন্য পানি রাখলেন। তারপর দু’বার বা তিনবার ডান হাত দিয়ে বাম হাতের উপর পানি ঢাললেন এবং তাঁর লজ্জাস্থান ধৌত করলেন। তারপর তাঁর হাত মাটিতে বা দেয়ালে দু’বার বা তিনবার ঘষলেন। পরে তিনি কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন এবং চেহারা ও দু’হাত ধৌত করলেন। তারপর তাঁর মাথায় পানি ঢাললেন এবং তাঁর শরীর ধুলেন। অতঃপর একটু সরে গিয়ে তাঁর দু’পা ধৌত করলেন। মাইমূনা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন: অতঃপর আমি একখণ্ড কাপড় দিলে তিনি তা নিলেন না, বরং নিজ হাতে পানি ঝেড়ে ফেলতে থাকলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৪৯] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭১]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٧٥ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ وَعُدِّلَتِ الصُّفُوفُ قِيَامًا، فَخَرَجَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قَامَ فِي مُصَلَّاهُ، ذَكَرَ أَنَّهُ جُنُبٌ، فَقَالَ لَنَا: «مَكَانَكُمْ» ثُمَّ رَجَعَ فَاغْتَسَلَ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَيْنَا وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ، فَكَبَّرَ فَصَلَّيْنَا مَعَهُ ” تَابَعَهُ عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَرَوَاهُ الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মুহা’ম্মাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘উছমান ইব্ন ‘উমারআমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইউনুস আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন যুহুরী থেকে, তিনি আবূ সালামাহ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: একবার সালাতের ইক্বামাত দেয়া হলে সবাই দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করছিলেন, তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সামনে বেরিয়ে আসলেন। তিনি মুসাল্লায় দাঁড়ালে তাঁর মনে হলো যে, তিনি জানাবাত অবস্থায় আছেন। তখন তিনি আমাদের বললেন: স্ব স্ব স্থানে দাঁড়িয়ে থাক। তিনি ফিরে গিয়ে গোসল করে আবার আমাদের সামনে আসলেন এবং তাঁর মাথা হতে পানি ঝরছিল। তিনি তাকবীর (তাহ্রীমাহ) বাঁধলেন, আর আমরাও তাঁর সাথে সালাত আদায় করলাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭২]
‘আবদুল আ’লা (রহমাহুল্লাহ) যুহরী (রহমাহুল্লাহ) হতে এবং আওযা’ঈ (রহমাহুল্লাহ)-ও যুহরী (রহমাহুল্লাহ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [৬৩৯, ৬৪০; মুসলিম ৫/২৯, হাঃ ৬০৫, আহমাদ ১০৭২৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٧٦ – حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو حَمْزَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ الأَعْمَشَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَتْ مَيْمُونَةُ: «وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غُسْلًا، فَسَتَرْتُهُ بِثَوْبٍ، وَصَبَّ عَلَى يَدَيْهِ، فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ صَبَّ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ، فَضَرَبَ بِيَدِهِ الأَرْضَ، فَمَسَحَهَا، ثُمَّ غَسَلَهَا، فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ، وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَذِرَاعَيْهِ، ثُمَّ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَأَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَنَحَّى، فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ، فَنَاوَلْتُهُ ثَوْبًا فَلَمْ يَأْخُذْهُ، فَانْطَلَقَ وَهُوَ يَنْفُضُ يَدَيْهِ»
‘আব্দান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ হামযাহ আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন, তিনি বললেন: আমি শুনলাম আ‘মাশ থেকে, তিনি সালিম ইব্ন আবূল জা‘দ থেকে, তিনি কুরায়ব থেকে, তিনি আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি মাইমূনা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম এবং কাপর দিয়ে পর্দা করে দিলাম। তিনি দু’হাতের উপর পানি ঢেলে উভয় হাত দুয়ে নিলেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি ঢেলে লজ্জাস্থান ধৌত করলেন। পরে হাতে মাটি লাগিয়ে ঘষে নিলেন এবং ধুয়ে ফেললেন। অতঃপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, চেহারা ও দু’হাত (কনুই পর্যন্ত) ধৌত করলেন। তারপর মাথায় পানি ঢাললেন ও সমস্ত শরীরে পানি পৌছালেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। অতঃপর আমি তাঁকে একটা কাপড় দিলাম কিন্তু তা নিলেন না। তিনি দু’হাত ঝাড়তে ঝাড়তে চলে গেলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৪৯] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٧٧ – حَدَّثَنَا خَلَّادُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَافِعٍ، عَنِ الحَسَنِ بْنِ مُسْلِمٍ ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كُنَّا إِذَا أَصَابَتْ إِحْدَانَا جَنَابَةٌ، أَخَذَتْ بِيَدَيْهَا ثَلَاثًا فَوْقَ رَأْسِهَا، ثُمَّ تَأْخُذُ بِيَدِهَا عَلَى شِقِّهَا الأَيْمَنِ، وَبِيَدِهَا الأُخْرَى عَلَى شِقِّهَا الأَيْسَرِ»
খাল্লাদ ইব্ন ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইবরাহীম ইব্ন নাফি‘ই আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হা’সান ইব্ন মুসলিম থেকে, তিনি স্বাফিয়াহ বিন্তি শায়বাহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমাদের কারও জানাবাতের গোসলের প্রয়োজন হলে সে দু’হাতে পানি নিয়ে তিনবার মাথায় ঢালত। পরে হাতে পানি নিয়ে ডান পাশে তিনবার এবং আবার অপর হাতে পানি নিয়ে বাম পাশে তিনবার ঢালত।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ২৭৪]
وَقَالَ بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُ أَحَقُّ أَنْ يُسْتَحْيَا مِنْهُ مِنَ النَّاسِ»
বাহায (রহমাহুল্লাহ) তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, লজ্জা করার ব্যাপারে মানুষের চেয়ে আল্লাহ্ তা‘আলাই হকদার।
হাদীসের মান: সহীহ
٢٧٨ – حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” كَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ يَغْتَسِلُونَ عُرَاةً، يَنْظُرُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ، وَكَانَ مُوسَى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَغْتَسِلُ وَحْدَهُ، فَقَالُوا: وَاللَّهِ مَا يَمْنَعُ مُوسَى أَنْ يَغْتَسِلَ مَعَنَا إِلَّا أَنَّهُ آدَرُ، فَذَهَبَ مَرَّةً يَغْتَسِلُ، فَوَضَعَ ثَوْبَهُ عَلَى حَجَرٍ، فَفَرَّ الحَجَرُ بِثَوْبِهِ، فَخَرَجَ مُوسَى فِي إِثْرِهِ، يَقُولُ: ثَوْبِي يَا حَجَرُ، حَتَّى نَظَرَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ إِلَى مُوسَى، فَقَالُوا: وَاللَّهِ مَا بِمُوسَى مِنْ بَأْسٍ، وَأَخَذَ ثَوْبَهُ، فَطَفِقَ بِالحَجَرِ ضَرْبًا ” فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: وَاللَّهِ إِنَّهُ لَنَدَبٌ بِالحَجَرِ، سِتَّةٌ أَوْ سَبْعَةٌ، ضَرْبًا بِالحَجَرِ
ইসহা’ক্ব ইব্ন নাস্ব্র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুর রায্যক্ব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মা‘মার থেকে, তিনি হাম্মাম ইব্ন মুনাব্বিহ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: বানী ইসরাঈলের লোকেরা নগ্ন হয়ে একে অপরকে দেখা অবস্থায় গোসল করতো। কিন্তু মূসা (‘‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একাকী গোসল করতেন। এতে বানী ইসরাঈলের লোকেরা বলাবলি করছিল, আল্লাহর কসম, মূসা (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘কোষবৃদ্ধি’ রোগের কারণেই আমাদের সাথে গোসল করেন না। একবার মূসা (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটা পাথরের উপর কাপড় রেখে গোসল করছিলেন। পাথরটা তাঁর কাপড় নিয়ে পালাতে লাগল। তখন মূসা (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “পাথর! আমার কাপড় দাও,” “পাথর! আমার কাপড় দাও”, বলে পেছনে পেছনে ছুটলেন। এদিকে বাণী ইসরাঈল মূসার দিকে তাকাল। তখন তারা বলল, আল্লাহর কসম মূসার কোন রোগ নেই। মূসা (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাথর থেকে কাপড় নিয়ে পরলেন এবং পাথরটাকে পিটাতে লাগলেন। আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন, আল্লাহর কসম, পাথরটিতে ছয় কিংবা সাতটা পিটুনীর দাগ পড়ে গেল।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
ফুটনোটঃ
وَقَالَ بَهْزٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُ أَحَقُّ أَنْ يُسْتَحْيَا مِنْهُ مِنَ النَّاسِ».
বাহায (রহমাহুল্লাহ) তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, লজ্জা করার ব্যাপারে মানুষের চেয়ে আল্লাহ্ তা’আলাই হকদার।
হাদীসের মান: সহীহ
٢٧٩ – وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” بَيْنَا أَيُّوبُ يَغْتَسِلُ عُرْيَانًا، فَخَرَّ عَلَيْهِ جَرَادٌ مِنْ ذَهَبٍ، فَجَعَلَ أَيُّوبُ يَحْتَثِي فِي ثَوْبِهِ، فَنَادَاهُ رَبُّهُ: يَا أَيُّوبُ، أَلَمْ أَكُنْ أَغْنَيْتُكَ عَمَّا تَرَى؟ قَالَ: بَلَى وَعِزَّتِكَ، وَلَكِنْ لَا غِنَى بِي عَنْ بَرَكَتِكَ ” وَرَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بَيْنَا أَيُّوبُ يَغْتَسِلُ عُرْيَانًا»
(পূর্বের হাদীসের বর্ণনার পর থেকে) তিনি (আবূ হুরায়রা রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আরো বলেন যে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: এক সময় আইয়ুব (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিবস্ত্রাবস্থায় গোসল করছিলেন। তখন তাঁর উপর সোনার পঙ্গপাল বর্ষিত হচ্ছিল। আইয়ুব (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কাপড়ে সেগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছিলেন। তখন তাঁর রব তাঁকে বললেন: হে আইয়ুব! আমি কি তোমাকে এগুলো হতে অমুখাপেক্ষী করিনি? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ, আপনার ইয্যতের কসম। অবশ্যই করেছেন। তবে আমি আপনার বরকত হতে বেনিয়ায নই। এভাবে বর্ণনা করেছেন ইব্রাহীম (রহমাহুল্লাহ) আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হতে- নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: একদা আইয়ুব (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করেছিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٨٠ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ، تَقُولُ: ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ تَسْتُرُهُ فَقَالَ: «مَنْ هَذِهِ؟» فَقُلْتُ: أَنَا أُمُّ هَانِئٍ
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মাস্লামাহ ইব্ন ক্বা‘আনাব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মালিক থেকে, তিনি ‘উমার ইব্ন ‘উবায়দুল্লাহ এর স্বাধীন করা গুলাম আবূ নাযর থেকে, তিনি উম্মু হানী বিন্তু আবূ ত্বালিব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এর স্বাধীন করা গুলাম আবূ মুর্রাহ থেকে, তিনি উম্মু হানী বিনতু আবূ ত্বলিব (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে শুনলেন, তিনি বলেন: আমি মাক্কাহ বিজয়ের বছর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গিয়ে তাঁকে গোসলরত অবস্থায় দেখলাম, ফাতিমাহ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাঁকে পর্দা করে রেখেছিলেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন ইনি কে? আমি বললামঃ আমি উম্মু হানী।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٨١ – حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ قَالَتْ: «سَتَرْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَغْتَسِلُ مِنَ الجَنَابَةِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ، ثُمَّ صَبَّ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ وَمَا أَصَابَهُ، ثُمَّ مَسَحَ بِيَدِهِ عَلَى الحَائِطِ أَوِ الأَرْضِ، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ غَيْرَ رِجْلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ المَاءَ، ثُمَّ تَنَحَّى، فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ» تَابَعَهُ أَبُو عَوَانَةَ، وَابْنُ فُضَيْلٍ فِي السَّتْرِ
‘আব্দান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি খবরা দিলেন, তিনি বললেন: সুফয়ান আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন আ‘মাশ থেকে, তিনি সালিম ইব্ন আবূ জা‘আদ থেকে, তিনি কুরায়ব থেকে, তিনি তিনি ইব্ন ‘আব্বাস থেকে, তিনি মাইমূনা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য পর্দা করেছিলাম আর তিনি জানাবাতের গোসল করছিলেন। তিনি দু’হাত ধুলেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে পানি নিয়ে লজ্জাস্থান এবং যেখানে কিছু লেগেছিল তা ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে বা দেয়ালে হাত ঘষলেন এবং দু’পা ছাড়া সালাতের উযূর মতই উযূ করলেন। তারপর তাঁর সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছালেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুলেন। আবূ ‘আওয়ানাহ (রহমাহুল্লাহ) ও [ سِتَرَ] (পর্দা করা) এর ব্যাপারটি এই হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٨٢ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ المُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ: جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ امْرَأَةُ أَبِي طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ: إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الحَقِّ، هَلْ عَلَى المَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا هِيَ احْتَلَمَتْ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نَعَمْ إِذَا رَأَتِ المَاءَ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন হিশাম ইব্ন ‘উরওয়া থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি যয়নাব বিন্তি আবূ সালামাহ থেকে, তিনি উম্মুল মু‘মিনীন সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আবূ তালহা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এর স্ত্রী উম্মু সুলায়ম (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খিদমাতে এসে বললেনঃ ইয়া রসূলাল্লাহ! আল্লাহ্ তা‘আলা হকের ব্যাপারে লজ্জা করেন না। স্ত্রীলোকের ইহ্তিলাম (স্বপ্নদোষ) হলে কি ফরয গোসল করবে? আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “হাঁ, যদি তারা বীর্য দেখে”।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٨٣ – حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَكْرٌ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِيَهُ فِي بَعْضِ طَرِيقِ المَدِينَةِ وَهُوَ جُنُبٌ، فَانْخَنَسْتُ مِنْهُ، فَذَهَبَ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ جَاءَ، فَقَالَ: «أَيْنَ كُنْتَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ» قَالَ: كُنْتُ جُنُبًا، فَكَرِهْتُ أَنْ أُجَالِسَكَ وَأَنَا عَلَى غَيْرِ طَهَارَةٍ، فَقَالَ: «سُبْحَانَ اللَّهِ، إِنَّ المُسْلِمَ لَا يَنْجُسُ»
‘আলী ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া আমাদরকে বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হু’মায়দ আমাদেরকে বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: বাক্র আমাদেরকে বর্ণনা করলেন আবূ রা‘ফী থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: তাঁর সাথে মদীনার কোন এক পথে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দেখা হলো। আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তখন জানাবাত অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে অপবিত্র মনে করে সরে পড়লাম। পরে আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) গোসল করে এলেন। পুনরায় সাক্ষাত হলে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন: ওহে আবূ হুরাইরা! কোথায় ছিলে? আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: আমি জানাবাতের অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করিনি। তিনি বললেন: সুবহানাল্লাহ্! মু’মিন অপবিত্র হয় না।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
[تعليق مصطفى البغا]
‘আত্বা (রহমাহুল্লাহ) বলেছেন, অপবিত্র ব্যক্তি উযূ না করেও শিঙ্গা লাগাতে, নখ কাটতে এবং মাথা মুণ্ডন করতে পারে।
হাদীসের মান: সহীহ
٢٨٤ – حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ حَدَّثَهُمْ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ «يَطُوفُ عَلَى نِسَائِهِ، فِي اللَّيْلَةِ الوَاحِدَةِ، وَلَهُ يَوْمَئِذٍ تِسْعُ نِسْوَةٍ»
‘আব্দুল আআ’লা ইব্ন হা’ম্মাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াযীদ ইব্ন যুরা‘য় আমাদেরকে বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সা‘ঈদ আমাদেরকে বর্ণনা করলেন ক্বতাদাহ থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন, “নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই রাতে পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। তখন তাঁর নয়জন স্ত্রী ছিলেন”।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٨٥ – حَدَّثَنَا عَيَّاشٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ بَكْرٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا جُنُبٌ، فَأَخَذَ بِيَدِي، فَمَشَيْتُ مَعَهُ حَتَّى قَعَدَ، فَانْسَلَلْتُ، فَأَتَيْتُ الرَّحْلَ، فَاغْتَسَلْتُ ثُمَّ جِئْتُ وَهُوَ قَاعِدٌ، فَقَالَ: «أَيْنَ كُنْتَ يَا أَبَا هِرٍّ»، فَقُلْتُ لَهُ، فَقَالَ: «سُبْحَانَ اللَّهِ يَا أَبَا هِرٍّ إِنَّ المُؤْمِنَ لَا يَنْجُسُ»
‘আয়্য়াশ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আব্দুল আ‘আলা আমাদেরকে বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হু’মায়দ আমাদেরকে বর্ণনা করলেন বক্র থেকে, তিনি আবূ রা‘ফি থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমার সাথে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাক্ষাত হলো, তখন আমি জুনুবী ছিলাম। তিনি আমার হাত ধরলেন, আমি তাঁর সাথে চললাম। এক স্থানে তিনি বসে পড়লেন। তখন আমি সরে পড়ে বাসস্থানে এসে গোসল করলাম। আবার তাঁর নিকট গিয়ে তাঁকে বসা অবস্থায় পেলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন আবূ হুরায়রা! কোথায় ছিলে? আমি তাঁকে (ঘটনা) বললাম। তখন তিনি বললেনঃ ‘সুবহানাল্লাহ্! মু’মিন অপবিত্র হয় না’।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٨٦ – حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، وَشَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ ” أَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْقُدُ وَهُوَ جُنُبٌ؟ قَالَتْ: نَعَمْ وَيَتَوَضَّأُ “
আবূ নু‘আয়ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হিশাম এবং শায়বান আমাদেরকে বর্ণনা করলেন ইয়াহ’ইয়া ইব্ন কাছীর থেকে, তিনি আবূ সালামাহ থেকে, তিনি বললেন: আমি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) কে জিজ্ঞেস করলাম: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি জানাবাতের অবস্থায় ঘুমাতেন? তিনি বললেনঃ হাঁ, তবে তিনি উযূ করে নিতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٨٧ – حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الخَطَّابِ، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَرْقُدُ أَحَدُنَا وَهُوَ جُنُبٌ؟ قَالَ: «نَعَمْ إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ، فَلْيَرْقُدْ وَهُوَ جُنُبٌ»
ক্বুতায়বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লায়ছ আমাদেরকে বর্ণনা করলেন না‘ফি থেকে, তিনি ইব্ন ‘উমার থেকে, তিনি ‘উমার ইব্নুল-খাত্তাব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, “আমাদের কেউ জানাবাতের অবস্থায় ঘুমাতে পারবে কি?” তিনি বললেন, “হাঁ, উযূ করে নিয়ে জানাবাতের অবস্থায়ও ঘুমাতে পারে”।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٨٨ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ، وَهُوَ جُنُبٌ، غَسَلَ فَرْجَهُ، وَتَوَضَّأَ لِلصَّلَاةِ»
ইয়াহ’ইয়া ইব্ন বুকায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লায়ছ আমাদেরকে বর্ণনা করলেন ‘উবায়দুল্লাহ ইব্ন আবূ জা‘ফার থেকে, তিনি মুহা’ম্মাদ ইব্ন আব্দুর রহ’মান থেকে, তিনি ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন জানাবাতের অবস্থায় ঘুমাতে ইচ্ছা করতেন তখন তিনি লজ্জাস্থান ধুয়ে সালাতের উযূর মত উযূ করতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٨٩ – حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: اسْتَفْتَى عُمَرُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَنَامُ أَحَدُنَا وَهُوَ جُنُبٌ؟ قَالَ: «نَعَمْ إِذَا تَوَضَّأَ»
মূসা ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: জুওয়ায়্রিয়াহ আমাদেরকে বর্ণনা করলেন না‘ফি থেকে, তিনি ‘আব্দুল্লাহ থেকে, তিনি বললেন: ‘উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, “আমাদের কেউ জুনুবী অবস্থায় ঘুমাতে পারবে কি?” তিনি বললেন, “হাঁ, যদি উযূ করে নেয়”।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٩٠ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ: ذَكَرَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ مِنَ اللَّيْلِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ، ثُمَّ نَمْ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন দীনার থেকে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললেন, “রাতে কোন সময় তাঁর গোসল ফরয হয় (তখন কী করতে হবে?)” রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, “উযূ করবে, লজ্জাস্থান ধুয়ে নিবে তারপর ঘুমাবে”।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٩١ – حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، ح وحَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الحَسَنِ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا جَلَسَ بَيْنَ شُعَبِهَا الأَرْبَعِ، ثُمَّ جَهَدَهَا فَقَدْ وَجَبَ الغَسْلُ» تَابَعَهُ عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، عَنْ شُعْبَةَ، مِثْلَهُ وَقَالَ مُوسَى: حَدَّثَنَا أَبَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَخْبَرَنَا الحَسَنُ مِثْلَهُ
মু‘আয ইব্ন ফাযালাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হিশাম আমাদেরকে বর্ণনা করলেন, (অন্য সনদে) আবূ নু‘আয়ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হিশাম থেকে, তিনি ক্বাতাদাহ থেকে, তিনি হা’সান থেকে, তিনি আবূ রাফি‘ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “কোন ব্যক্তি স্ত্রীর চার শাখার মাঝে বসে তার সাথে সঙ্গত হলে, তার উপর গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়”। ‘আমর (রহমাহুল্লাহ) শু‘বাহ্র সূত্রে এই হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হাসান [বাসরী (রহমাহুল্লাহ)]-এর সূত্রেও অনুরূপ বলেছেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ্ (রহমাহুল্লাহ) বলেন: এটা উত্তম ও অধিকতর মযবুত। মতভেদের কারণে আমরা অন্য হাদীসটিও বর্ণনা করেছি, গোসল করাই অধিকতর সাবধানতা।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٩٢ – حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، عَنِ الحُسَيْنِ، قَالَ: يَحْيَى، وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الجُهَنِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَأَلَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ فَقَالَ: أَرَأَيْتَ إِذَا جَامَعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ فَلَمْ يُمْنِ؟ قَالَ: عُثْمَانُ: «يَتَوَضَّأُ كَمَا يَتَوَضَّأُ لِلصَّلَاةِ وَيَغْسِلُ ذَكَرَهُ» قَالَ عُثْمَانُ: سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَالزُّبَيْرَ بْنَ العَوَّامِ، وَطَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَأُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ – فَأَمَرُوهُ بِذَلِكَ. قَالَ: يَحْيَى، وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
আবূ মা‘মার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল ওয়ারিছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হু’সায়ন থেকে, তিনি ইয়াহ’ইয়া থেকে বললেন: আবূ সালামাহ আমাকে হাদীসটি খবর দিলেন ‘আত্বা ইব্ন ইয়াসার থেকে, তিনি যায়দ ইব্ন খালিদ জুহায়নী থেকে, তিনি ‘উসমান ইব্নু ‘আফফান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে জিজ্ঞেস করলেন, “স্বামী-স্ত্রী সঙ্গত হলে যদি মনি বের না হয় (তখন কী করবে)?” উসমান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন, “সালাতের উযূর মত উযূ করবে এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে”। ‘উসমান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন, “আমি এটা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছি”। অতঃপর আলী ইব্নু আবূ ত্বলিব, যুবায়র ইব্নুল-আও্ওয়াম, ত্বলহা ইব্নু ‘উবাইদুল্লাহ ও উবাই ইব্নু কা‘ব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তারা সবাই ঐ একই জবাব দিয়েছেন। আবূ সালামা (রহমাহুল্লাহ) আবূ আইয়ুব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি [আবূ আইয়ুব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)] এ কথা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে শুনেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٩٣ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو أَيُّوبَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ: إِذَا جَامَعَ الرَّجُلُ المَرْأَةَ فَلَمْ يُنْزِلْ؟ قَالَ: «يَغْسِلُ مَا مَسَّ المَرْأَةَ مِنْهُ، ثُمَّ يَتَوَضَّأُ وَيُصَلِّي» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: «الغَسْلُ أَحْوَطُ، وَذَاكَ الآخِرُ، وَإِنَّمَا بَيَّنَّا لِاخْتِلَافِهِمْ»
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে বর্ণনা করলেন হিশাম ইব্ন ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি বললেন: আমার পিতা আমাকে খবর দিলেন, তিনি বললেন: আমাকে আবূ আয়য়ূব খবর দিলেন, তিনি বললেন: উবাই ইব্নু কা‘ব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাকে খবর দিলেন, তিনি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রসূল! স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হলে যদি বীর্য বের না হয় (তার হুকুম কী?)” তিনি বলেলেন, “স্ত্রী থেকে যা লেগেছে তা ধুয়ে উযূ করবে ও সালাত আদায় করবে”।
আবূ ‘আবদুল্লাহ [বুখারী (রহমাহুল্লাহ)] বলেন: গোসল করাই শ্রেয়। আর তা-ই সর্বশেষ হুকুম। আমি এই শেষের হাদীসটি বর্ণনা করেছি মতভেদ থাকার কারণে। কিন্তু পানি (গোসল) অধিক পবিত্রকারী। ১
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
ফুটনোটঃ
১. এ বিধান পরে রহিত হয়েছে। স্ত্রী সঙ্গম হবার কারণে গোসল ফরয হয়। এটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত।
وَقَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى: {وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ المَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي المَحِيضِ} [البقرة: ٢٢٢]- إِلَى قَوْلِهِ – {وَيُحِبُّ المُتَطَهِّرِينَ} [البقرة: ٢٢٢]
আল্লাহ তা ‘আলার বাণী : “এবং তারা তোমাকে (স্ত্রীলোকদের) ঋতু সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছে; তুমি বল, ওটা হচ্ছে অশুচি। অতএব ঋতুকালে স্ত্রীলোকদেরকে অন্তরাল কর এবং উত্তম রূপে শুদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটে যেওনা” [সূরা আল-বাক্বারা, ২:২২২] তাঁর বাণী : “যারা পবিত্র থাকে তাদেরকেও আল্লাহ ভালবাসেন” [সূরা আল-বাক্বারা, ২:২২২]
وَقَالَ بَعْضُهُمْ: «كَانَ أَوَّلُ مَا أُرْسِلَ الحَيْضُ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: «وَحَدِيثُ النَّبِيِّ صلّى الله عليه وسلم أَكْثَرُ»
করো কারো মতে সর্বপ্রথম হায়য শুরু হয় বনী ইসরাঈলী মহিলাদের। আবূ আবদুল্লাহ বুখারী (রহমাহুল্লাহ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীসই গ্রহণযোগ্য।
হাদীসের মান: সহীহ
١٩٤ – حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ القَاسِمِ، قَالَ: سَمِعْتُ القَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ: خَرَجْنَا لَا نَرَى إِلَّا الحَجَّ، فَلَمَّا كُنَّا بِسَرِفَ حِضْتُ، فَدَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَبْكِي، قَالَ: «مَا لَكِ أَنُفِسْتِ؟». قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: «إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَاقْضِي مَا يَقْضِي الحَاجُّ، غَيْرَ أَنْ لَا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ» قَالَتْ: وَضَحَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نِسَائِهِ بِالْبَقَرِ
‘আলী ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমি ‘আব্দুর রহ’মান ইব্ন ক্বাসিম থেকে শুনলাম, তিনি বললেন: আমি ক্বাসিম ইব্ন মুহা’ম্মাদ থেকে শুনলাম, তিনি বলছেন: আমি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে শুনলাম, তিনি বলেন: আমরা হজ্জের উদ্দেশেই (মদীনা হতে) বের হলাম। ‘সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছার পর আমার হায়েয আসলো। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে আমাকে কাঁদতে দেখলেন এবং বললেন: এ তো আল্লাহ্ তা’আলাই আদম-কন্যাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি বাইতুল্লাহ্র ত্বওয়াফ ছাড়া হজ্জের বাকী সব কাজ করে নাও। ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন: আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ হতে গাভী কুরবানী করলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩০৫, ৩১৬, ৩১৭, ৩১৯, ৩২৮, ১৫১৬, ১৫১৮, ১৫৫৬, ১৫৬০, ১৫৬১, ১৫৬২, ১২৩৮, ১৬৫০, ১৭০৯, ১৭২০, ১৭৩৩, ১৭৫৭, ১৭৬২, ১৭৭১, ১৭৭২, ১৭৮৩, ১৭৮৬, ১৭৮৭, ১৭৮৮, ২৯৫২, ২৯৮৪, ৪৩৯৫, ৪৪০১, ৪৪০৮, ৫৩২৯, ৫৫৪৮, ৫৫৫৯, ৬১৫৭,৭২২৯; মুসলিম ১৫/১৭, হাঃ ১২১১] [আধুনিক প্রকাশনী- ২৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯০]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٩٥ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كُنْتُ أُرَجِّلُ رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا حَائِضٌ»
সনদ পূর্বের হাদীস ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন, “আমি হায়েয অবস্থায় আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথা আঁচড়ে দিতাম”।
অনুরূপ বর্ণনা : [] []
হাদীসের মান: সহীহ
٢٩٦ – حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ: أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّهُ سُئِلَ أَتَخْدُمُنِي الحَائِضُ أَوْ تَدْنُو مِنِّي المَرْأَةُ وَهِيَ جُنُبٌ؟ فَقَالَ عُرْوَةُ: كُلُّ ذَلِكَ عَلَيَّ هَيِّنٌ، وَكُلُّ ذَلِكَ تَخْدُمُنِي وَلَيْسَ عَلَى أَحَدٍ فِي ذَلِكَ بَأْسٌ أَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ: «أَنَّهَا كَانَتْ تُرَجِّلُ، تَعْنِي رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهِيَ حَائِضٌ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَئِذٍ مُجَاوِرٌ فِي المَسْجِدِ، يُدْنِي لَهَا رَأْسَهُ، وَهِيَ فِي حُجْرَتِهَا، فَتُرَجِّلُهُ وَهِيَ حَائِضٌ»
ইবরাহীম ইব্ন মূসা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হিশাম ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে খবর দিলেন জুরায়জ থেকে, তিনি বললেন: হিশাম ইব্ন ‘উরওয়াহ (রহমাহুল্লাহ) আমাকে খবর দিলেন ‘উরওয়াহ থেকে, তাঁকে (‘উরওয়াহ্কে) প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, ঋতুবতী স্ত্রী কি স্বামীর খিদমত করতে পারে? অথবা গোসল ফরয হওয়ার অবস্থায় কি স্ত্রী স্বামীর নিকটবর্তী হতে পারে? ‘উরওয়াহ (রহমাহুল্লাহ) জবাব দিলেন, এ সবই আমার নিকট সহজ। এ ধরনের সকল মহিলাই স্বামীর খিদমত করতে পারে। এ ব্যাপারে কারো অসুবিধা থাকার কথা নয়। আমাকে ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেছেন যে, তিনি হায়েযের অবস্থায় আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুল আঁচড়ে দিতেন। আর আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মু’তাফিক অবস্থায় মসজিদ হতে তাঁর (‘আয়িশার) হুজরার দিকে তাঁর নিকট মাথাটা বাড়িয়ে দিতেন। তখন তিনি মাথার চুল আঁচড়াতেন অথচ তিনি ছিলেন ঋতুবতী।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
وَكَانَ أَبُو وَائِلٍ: «يُرْسِلُ خَادِمَهُ وَهِيَ حَائِضٌ إِلَى أَبِي رَزِينٍ، فَتَأْتِيهِ بِالْمُصْحَفِ، فَتُمْسِكُهُ بِعِلَاقَتِهِ»
আবূ ওয়াইল (রহমাহুল্লাহ) তাঁর ঋতুবতী দাসীকে আবূ রাযীন (রহমাহুল্লাহ)-এর কাছে পাঠাতেন, আর দাসী জুযদানে পেঁচিয়ে কুরআন শরীফ নিয়ে আসত।
হাদীসের মান: সহীহ
١٩٧ – حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ الفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، سَمِعَ زُهَيْرًا، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ صَفِيَّةَ، أَنَّ أُمَّهُ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَانَ يَتَّكِئُ فِي حَجْرِي وَأَنَا حَائِضٌ، ثُمَّ يَقْرَأُ القُرْآنَ»
আবূ নু‘আয়ম ফাযলু ইব্ন দুকায়ন আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, যুহায়র শুনলেন মানস্বুর ইব্ন স্বাফীয়াহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন, “নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। আর তখন আমি হায়েযের অবস্থায় ছিলাম”।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ] [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٩٨ – حَدَّثَنَا المَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أُمِّ سَلَمَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ حَدَّثَتْهَا قَالَتْ: بَيْنَا أَنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مُضْطَجِعَةٌ فِي خَمِيصَةٍ، إِذْ حِضْتُ، فَانْسَلَلْتُ، فَأَخَذْتُ ثِيَابَ حِيضَتِي، قَالَ: «أَنُفِسْتِ» قُلْتُ: نَعَمْ، فَدَعَانِي، فَاضْطَجَعْتُ مَعَهُ فِي الخَمِيلَةِ
মাক্কী ইব্ন ইবরাহীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হিশাম আমাদেরকে বর্ণনা করলেন ইয়াহ’ইয়া ইব্ন আবূ কাছির থেকে, তিনি আবূ সালামাহ থেকে, তিনি যায়নাব বিনতি উম্মু সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন, “আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে একই চাদরের নীচে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমার হায়েয দেখা দিলে আমি চুপি চুপি বেরিয়ে গিয়ে হায়েযের কাপড় পরে নিলাম। তিনি বললেন: তোমার কি নিফাস দেখা দিয়েছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি আমাকে ডাকলেন। আমি তাঁর সঙ্গে চাদরের ভেতর শুয়ে পড়লাম”।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩২২, ৩২৩, ১৯২৯; মুসলিম ৩/২, হাঃ ২৯৬, আহমাদ ২৬৫৮৭] [আ.প্র. ২৮৯, ই.ফা. ২৯৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٢٩٩ – حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ كِلَانَا جُنُبٌ»
ক্বাবীস্বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে বর্ণনা করলেন মানস্বুর থেকে, তিনি ইবরাহীম থেকে, তিনি আসওয়াদ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন, “আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাবাত অবস্থায় একই পাত্র হতে পানি নিয়ে গোসল করতাম”।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৫০] [আ.প্র. ২৯০, ই.ফা. ২৯৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٠٠ – «وَكَانَ يَأْمُرُنِي، فَأَتَّزِرُ، فَيُبَاشِرُنِي وَأَنَا حَائِضٌ»
সনদ পূর্বের হাদীস, ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, এবং তিনি আমাকে নির্দেশ দিলে আমি ইযার পরে নিতাম, আমার হায়েয অবস্থায় তিনি আমার সাথে মিশামিশি করতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩০২, ২০৩০ দ্রষ্টব্য] [আ.প্র. ২৯০, ই.ফা. ২৯৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٠١ – «وَكَانَ يُخْرِجُ رَأْسَهُ إِلَيَّ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ فَأَغْسِلُهُ وَأَنَا حَائِضٌ»
সনদ পূর্বের হাদীস, ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তাছাড়া তিনি ই’তিকাফ অবস্থায় মাথা বের করে দিতেন, আর আমি হায়েয অবস্থায় মাথা ধুয়ে দিতাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৯৫] [আ.প্র. ২৯০, ই.ফা. ২৯৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٠٢ – حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ هُوَ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَتْ إِحْدَانَا إِذَا كَانَتْ حَائِضًا، فَأَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُبَاشِرَهَا ” أَمَرَهَا أَنْ تَتَّزِرَ فِي فَوْرِ حَيْضَتِهَا، ثُمَّ يُبَاشِرُهَا، قَالَتْ: وَأَيُّكُمْ يَمْلِكُ إِرْبَهُ، كَمَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْلِكُ إِرْبَهُ ” تَابَعَهُ خَالِدٌ، وَجَرِيرٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ
ইবরাহীম ইব্ন খালীল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আলী ইব্ন মুসহির আমাদেরকে বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ ইসহা’ক শায়বানী আমাদেরকে বর্ণনা করলেন আব্দুর রহ’মান ইব্ন আসওয়াদ থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন, “আমাদের কেউ হায়েয অবস্থায় থাকলে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাথে মিশামিশি করতে চাইলে তাকে প্রবল হায়েযে ইযার পরার নির্দেশ দিতেন। তারপর তার সাথে মিশামিশি করতেন।” তিনি [‘আয়িশা রাযিআল্লাহু আনহা] বলেন, “তোমাদের মধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মত কাম-প্রবৃত্তি দমন করার শক্তি রাখে কে?” খালিদ ও জারীর (রহমাহুল্লাহ) শায়বানী (রহমাহুল্লাহ) হতে এ হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩০০; মুসলিম ৩/১, হাঃ ২৯৩] [আ.প্র. ২৯১, ই.ফা. ২৯৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٠٣ – حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ، قَالَ: سَمِعْتُ مَيْمُونَةَ، تَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا أَرَادَ أَنْ يُبَاشِرَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ أَمَرَهَا، فَاتَّزَرَتْ وَهِيَ حَائِضٌ» وَرَوَاهُ سُفْيَانُ عَنِ الشَّيْبَانِيِّ
আবূ নু‘মান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল ওয়াহি’দ আমাদেরকে বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শায়বানী আমাদেরকে বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আব্দুল্লাহ ইব্ন শাদ্দাদ আমাদেরকে বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমি মাইমূনা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে শুনলাম, তিনি বলেন, “রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন স্ত্রীর সাথে হায়েয অবস্থায় মিশামিশি করতে চাইলে তাকে ইযার পরতে বলতেন। শায়বানী (রহমাহুল্লাহ) হতে সুফিয়ান (রহমাহুল্লাহ) এ বর্ণনা করেছেন।”
অনুরূপ বর্ণনা : [মুসলিম ৩/১, হাঃ ২৯৪, আহমাদ ২৬৯১৮] [আ.প্র. ২৯২, ই.ফা. ২৯৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٠٤ – حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي زَيْدٌ هُوَ ابْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَضْحَى أَوْ فِطْرٍ إِلَى المُصَلَّى، فَمَرَّ عَلَى النِّسَاءِ، فَقَالَ: «يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ فَإِنِّي أُرِيتُكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ» فَقُلْنَ: وَبِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ، وَتَكْفُرْنَ العَشِيرَ، مَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَذْهَبَ لِلُبِّ الرَّجُلِ الحَازِمِ مِنْ إِحْدَاكُنَّ»، قُلْنَ: وَمَا نُقْصَانُ دِينِنَا وَعَقْلِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «أَلَيْسَ شَهَادَةُ المَرْأَةِ مِثْلَ نِصْفِ شَهَادَةِ الرَّجُلِ» قُلْنَ: بَلَى، قَالَ: «فَذَلِكِ مِنْ نُقْصَانِ عَقْلِهَا، أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ» قُلْنَ: بَلَى، قَالَ: «فَذَلِكِ مِنْ نُقْصَانِ دِينِهَا»
সা‘ঈদ ইব্ন আবূ মারইয়াম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: যায়দ ইব্ন সলামাহ আমাকে খবর দিলেন ‘ইয়াযী ইব্ন আব্দুল্লাহ থেকে, তিনি আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, একবার ঈদুল আযহা অথবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন: হে মহিলা সমাজ! তোমরা সদাক্বাহ করতে থাক। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন: কী কারণে, হে আল্লাহ্র রসূল? তিনি বললেন: তোমরা অধিক পরিমানে অভিশাপ দিয়ে থাক আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও। বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চেয়ে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখিনি। তারা বললেন: আমাদের দ্বীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়, হে আল্লাহ্র রসূল? তিনি বললেন: একজন মহিলার সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়? তারা উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’। তখন তিনি বললেন: এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির ত্রুটি। আর হায়েয অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম হতে বিরত থাকে না? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন: এ হচ্ছে তাদের দ্বীনের ত্রুটি।
অনুরূপ বর্ণনা : [১৪৬২, ১৯৫১, ২৬৫৮; মুসলিম ১/৩৪, হাঃ ৭৯, ৮০ আহমাদ ৫৪৪৩] [আ.প্র. ২৯৩, ই.ফা. ২৯৮]
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: «لَا بَأْسَ أَنْ تَقْرَأَ الآيَةَ»، وَلَمْ يَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ «بِالقِرَاءَةِ لِلْجُنُبِ بَأْسًا» وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ اللَّهَ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ ” وَقَالَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ: «كُنَّا نُؤْمَرُ أَنْ يَخْرُجَ الحُيَّضُ فَيُكَبِّرْنَ بِتَكْبِيرِهِمْ وَيَدْعُونَ» وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سُفْيَانَ، أَنَّ هِرَقْلَ دَعَا بِكِتَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَرَأَ فَإِذَا فِيهِ: ” بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ وَ {يَا أَهْلَ الكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ} [آل عمران: ٦٤] ” الآيَةَ وَقَالَ عَطَاءٌ: عَنْ جَابِرٍ، حَاضَتْ عَائِشَةُ فَنَسَكَتْ المَنَاسِكَ غَيْرَ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ وَلَا تُصَلِّي وَقَالَ الحَكَمُ: ” إِنِّي لَأَذْبَحُ وَأَنَا جُنُبٌ، وَقَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ} [الأنعام: ١٢١]
ইবরাহীম (রহমাহুল্লাহ) বলেছেন: (হায়েয অবস্থায়) আয়াত পাঠে কোন দোষ নেই। ইব্ন আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) জুনুবীর জন্য কুরআন পাঠে কোন দোষ মনে করতেন না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকির করতেন। উম্মু আ’তিয়্যাহ (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন: (ঈদের দিন) হায়েজ অবস্থায় মিহলাদের বাহিরে নিয়ে আসার জন্য আমাদেরকে বলা হতো, যাতে তারা তাকবীর পাঠ করে ও দু’আ করে। ইব্ন আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আবূ সুফয়ান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণনা করেন যে, হিরাক্ক্ল (রোম সম্রাট) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পত্র চেয়ে নিলেন এবং তা পাঠ করলেন। তাতে লেখা ছিল, “দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে। আপনি বলুন! হে কিতাবীগণ! এস সে কথায় যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই -আমরা যেন আল্লাহ ব্যাতীত কারো ইবাদত না করি। কোন কিছুকেই তাঁর শরিক না করি, এবং আমাদের কেউ কাউকে আল্লাহ ব্যতীত রবরূপে গ্রহণ না করি। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলুন, তোমরা সাক্ষী থাক আমরা মুসলিম। [সূরা আলি ‘ইমরান, ৩:৬৪]
আ’ত্বা (রহমাহুল্লাহ) জাবির (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণনা করেন যে, “আ’য়শা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) হায়েজ অবস্থায় কা’বা ত্বওয়াফ ছাড়া হ’জ্জের অন্যান্য আহকাম পালন করেছেন কিন্তু স্বালাত আদায় করেন নি। হা’কাম (রহমাহুল্লাহ) বলেছেন: আমি জুনুবী অবস্থায়ও যবে’হ করে থাকি। অথচ আল্লাহর বাণী হলো, “তোমরা আহার করো না সে সব প্রাণী, যার উপর আল্লাহর নাম নেওয়া হয়নি”। [সূরা আল-মা’ইদাহ, ৬:১২১]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٠٥ – حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ القَاسِمِ، عَنِ القَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نَذْكُرُ إِلَّا الحَجَّ، فَلَمَّا جِئْنَا سَرِفَ طَمِثْتُ، فَدَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَبْكِي، فَقَالَ: «مَا يُبْكِيكِ؟» قُلْتُ: لَوَدِدْتُ وَاللَّهِ أَنِّي لَمْ أَحُجَّ العَامَ، قَالَ: «لَعَلَّكِ نُفِسْتِ؟» قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: «فَإِنَّ ذَلِكِ شَيْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَافْعَلِي مَا يَفْعَلُ الحَاجُّ، غَيْرَ أَنْ لَا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِي»
আবূ নু‘আয়ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল ‘আযীয ইব্ন আবূ সালামাহ আমাদেরকে বর্ণনা করলেন আব্দুর রহ’মান ইব্ন ক্বাসিম থেকে, তিনি ক্বাসিম ইব্ন মুহা’ম্মাদ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন, “আমরা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে হজ্জের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। আমরা ‘সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছেলে আমি ঋতুবতী হই। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে আমাকে কাঁদতে দেখলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন: তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম: আল্লাহ্র শপথ! এ বছর হজ্জ না করাই আমার জন্য পছন্দনীয়। তিনি বললেন: সম্ভবত তুমি ঋতুবতী হয়েছ। আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন: এটাতো আদম-কন্যাদের জন্যে আল্লাহ্ নির্ধারিত করেছেন। তুমি পবিত্র হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য হাজীদের মত সমস্ত কাজ করে যাও, কেবল কা’বার তাওয়াফ করবে না।”
অনুরূপ বর্ণনা : [২৯৪] [আ.প্র. ২৯৪, ই.ফা. ২৯৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٠٦ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: قَالَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي لَا أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالحَيْضَةِ، فَإِذَا أَقْبَلَتِ الحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلَاةَ، فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا، فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন হিশাম ইব্ন ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: ফাতিমা বিনতু আবূ হুবায়শ (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহ্র রসূল! আমি কখনও পবিত্র হই না। এমতাবস্থায় আমি কি সালাত ছেড়ে দেব? আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: এ হলো এক ধরনের বিশেষ রক্ত, হায়েযের রক্ত নয়। যখন তোমার হায়েয শুরু হয় তখন তুমি সালাত ছেড়ে দাও। আর হায়েয শেষ হলে রক্ত ধুয়ে সালাত আদায় কর। ১
অনুরূপ বর্ণনা : [২২৮] [আ.প্র. ২৯৫, ই.ফা. ৩০০]
ফুটনোটঃ
১. হায়েয ও নিফাসের মেয়াদের অতিরিক্ত সময়কালীন রজঃস্রাবকে ইসতিহাযা এবং সে মহিলাকে মুস্তাহাযা বলা হয় । (আইনী ৩খ: ১৪২)
হাদীসের মান: সহীহ
٣٠٧ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ المُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ أَنَّهَا قَالَتْ: سَأَلَتِ امْرَأَةٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ إِحْدَانَا إِذَا أَصَابَ ثَوْبَهَا الدَّمُ مِنَ الحَيْضَةِ كَيْفَ تَصْنَعُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَصَابَ ثَوْبَ إِحْدَاكُنَّ الدَّمُ مِنَ الحَيْضَةِ فَلْتَقْرُصْهُ، ثُمَّ لِتَنْضَحْهُ بِمَاءٍ، ثُمَّ لِتُصَلِّي فِيهِ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন হিশাম ইব্ন ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি ফাতিমা বিন্তি মুনযির থেকে, তিনি আসমা বিন্ত আবূ বক্র সিদ্দীক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: এক মহিলা আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করল, “হে আল্লাহ্র রসূল! আমাদের কারো কাপড়ে হায়েযের রক্ত লাগলে কী করবে?” আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “তোমাদের কারো কাপড়ে হায়েযের রক্ত লাগলে সে তা রগড়িয়ে, তারপর পানিতে ধুয়ে নেবে এবং সে কাপড়ে সালাত আদায় করবে।”
অনুরূপ বর্ণনা : [২২৭] [আ.প্র. ২৯৬, ই.ফা. ৩০১]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٠٨ – حَدَّثَنَا أَصْبَغُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الحَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ القَاسِمِ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَتْ إِحْدَانَا تَحِيضُ، ثُمَّ تَقْتَرِصُ الدَّمَ مِنْ ثَوْبِهَا عِنْدَ طُهْرِهَا، فَتَغْسِلُهُ وَتَنْضَحُ عَلَى سَائِرِهِ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ»
আস্ব্বাগ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ওয়াহ্ব আমাকে খবর দিলেন, তিনি বললেন: ‘আম্র ইব্ন হারিছ আমাকে খবর দিলেন আব্দুর রহ’মান ইব্ন ক্বাছিম থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন, “আমাদের কারো হায়েয হলে, পবিত্র হওয়ার পর রক্ত রগড়িয়ে কাপড় পানি দিয়ে ধুয়ে সেই কাপড়ে তিনি সালাত আদায় করতেন।”
অনুরূপ বর্ণনা : [আ.প্র. ২৯৭, ই.ফা. ৩০২]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٠٩ – حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَكَفَ مَعَهُ بَعْضُ نِسَائِهِ وَهِيَ مُسْتَحَاضَةٌ تَرَى الدَّمَ»، فَرُبَّمَا وَضَعَتِ الطَّسْتَ تَحْتَهَا مِنَ الدَّمِ، وَزَعَمَ أَنَّ عَائِشَةَ رَأَتْ مَاءَ العُصْفُرِ، فَقَالَتْ: كَأَنَّ هَذَا شَيْءٌ كَانَتْ فُلَانَةُ تَجِدُهُ
ইসহা’ক আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: খালিদ ইব্ন আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন খালিদ থেকে, তিনি ‘ইকরামাহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে তাঁর কোন এক স্ত্রী ইস্তিহাযার অবস্থায় ই’তিকাফ করেন। তিনি রক্ত দেখতেন এবং স্রাবের কারণে প্রায়ই তাঁর নীচে একটি পাত্র রাখতেন। রাবী বলেন: ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) হলুদ রঙের পানি দেখে বলেছেন, এ যেন আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অমুক স্ত্রীর ইস্তিহাযার রক্ত।”
অনুরূপ বর্ণনা : [৩১০, ৩১১, ২০৩৭ দ্রষ্টব্য] [আ.প্র. ২৯৮, ই.ফা. ৩০৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٣١٠ – حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «اعْتَكَفَتْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةٌ مِنْ أَزْوَاجِهِ، فَكَانَتْ تَرَى الدَّمَ وَالصُّفْرَةَ وَالطَّسْتُ تَحْتَهَا وَهِيَ تُصَلِّي»
ক্বুতায়বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াযীদ ইব্ন যুরায়‘ই আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন খালিদ থেকে, তিনি ‘ইকরামাহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন, “আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে তাঁর কোন একজন স্ত্রী ই’তিকাফ করেছিলেন। তিনি রক্ত ও হলদে পানি বের হতে দেখতেন আর তাঁর নীচে একটা পাত্র বসিয়ে রাখতেন এবং সে অবস্থায় সালাত আদায় করতেন।”
অনুরূপ বর্ণনা : [৩০৯] [আ.প্র. ২৯৯, ই.ফা. ৩০৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٣١١ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ بَعْضَ أُمَّهَاتِ المُؤْمِنِينَ اعْتَكَفَتْ وَهِيَ مُسْتَحَاضَةٌ»
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মু‘তামির আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন খালিদ থেকে, তিনি ‘ইকরামাহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন, “উম্মুল-মুমিনীনের একজন ইস্তিহাযা অবস্থায় ইতিকাফ করেছিলেন।”
অনুরূপ বর্ণনা : [৩০৯] [আ.প্র. ৩০০, ই.ফা. ৩০৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٣١٢ – حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «مَا كَانَ لِإِحْدَانَا إِلَّا ثَوْبٌ وَاحِدٌ تَحِيضُ فِيهِ، فَإِذَا أَصَابَهُ شَيْءٌ مِنْ دَمٍ قَالَتْ بِرِيقِهَا، فَقَصَعَتْهُ بِظُفْرِهَا»
‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেনঃ আমাদের কারো একটির অধিক কাপড় ছিল না। তিনি হায়েয অবস্থায়ও এই কাপড়খানিই ব্যবহার করতেন, তাতে রক্ত লাগলে থুথু দিয়ে ভিজিয়ে নখ দ্বারা খুঁটিয়ে নিতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আ.প্র. ৩০১, ই.ফা. ৩০৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٣١٣ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الوَهَّابِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حَفْصَةَ، قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: أَوْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «كُنَّا نُنْهَى أَنْ نُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثٍ، إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا، وَلَا نَكْتَحِلَ وَلَا نَتَطَيَّبَ وَلَا نَلْبَسَ ثَوْبًا مَصْبُوغًا، إِلَّا ثَوْبَ عَصْبٍ، وَقَدْ رُخِّصَ لَنَا عِنْدَ الطُّهْرِ إِذَا اغْتَسَلَتْ إِحْدَانَا مِنْ مَحِيضِهَا فِي نُبْذَةٍ مِنْ كُسْتِ أَظْفَارٍ، وَكُنَّا نُنْهَى عَنِ اتِّبَاعِ الجَنَائِزِ»، قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: رَوَاهُ هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ حَفْصَةَ ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
উম্মু আতিয়্যা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেনঃ কোন মৃত ব্যক্তির জন্যে আমাদের তিন দিনের অধিক শোক পালন করা হতে নিষেধ করা হতো। কিন্তু স্বামীর ক্ষেত্রে চার মাস দশদিন (শোক পালনের অনুমতি ছিল)। আমরা তখন সুরমা লাগাতাম না, সুগন্ধি ব্যবহার করতাম না, ইয়েমেনের তৈরি রঙিন কাপড় ছাড়া অন্য কোন রঙিন কাপড় পরিধান করতাম না। তবে হায়েয হতে পবিত্রতার গোসলে আজফারের খোশবু মিশ্রিত বস্ত্রখন্ড ব্যবহারের অনুমতি ছিল। আর আমাদের জানাযার পেছনে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। এই বর্ণনা হিশাম ইব্নু হাস্সান (রহমাহুল্লাহ) হাফসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হতে, তিনি উম্মে আতিয়্যা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হতে এবং তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বিবৃত করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [১২৭৮, ১২৭৯, ৫৩৪০, ৫৩৪১, ৫৩৪২, ৫৩৪৩; মুসলিম ১১/১১, হাঃ ৯৩৮] [আ.প্র. ৩০২, ই.ফা. ৩০৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٣١٤ – حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ صَفِيَّةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ امْرَأَةً سَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ غُسْلِهَا مِنَ المَحِيضِ، فَأَمَرَهَا كَيْفَ تَغْتَسِلُ، قَالَ: «خُذِي فِرْصَةً مِنْ مَسْكٍ، فَتَطَهَّرِي بِهَا» قَالَتْ: كَيْفَ أَتَطَهَّرُ؟ قَالَ: «تَطَهَّرِي بِهَا»، قَالَتْ: كَيْفَ؟، قَالَ: «سُبْحَانَ اللَّهِ، تَطَهَّرِي» فَاجْتَبَذْتُهَا إِلَيَّ، فَقُلْتُ: تَتَبَّعِي بِهَا أَثَرَ الدَّمِ
ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘উইয়ায়নাহআমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মানুস্বূর ইব্ন স্বাফীয়াহ থেকে, তিনি তাঁর মাতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, এক মহিলা আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে হায়েযের গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি তাকে গোসলের নিয়ম বলে দিলেন যে, এক টুকরা কস্তুরী লাগানো নেকড়া নিয়ে পবিত্রতা হাসিল কর। মহিলা বললেন: কীভাবে পবিত্রতা হাসিল করব? আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তা দিয়ে পবিত্রতা হাসিল কর। মহিলা (তৃতীয়বার) বললেনঃ কীভাবে? আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: সুবহানাল্লাহ! তা দিয়ে তুমি পবিত্রতা হাসিল কর। ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন: তখন আমি তাকে টেনে আমার নিকট নিয়ে আসলাম এবং বললাম: তা দিয়ে রক্তের চিহ্ন বিশেষভাবে মুছে ফেল।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩১৫, ৭৩৫৭; মুসলিম ৩/১৩, হাঃ ৩৩২] [আ.প্র. ৩০৩, ই.ফা. ৩০৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٣١٥ – حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ امْرَأَةً مِنَ الأَنْصَارِ قَالَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَيْفَ أَغْتَسِلُ مِنَ المَحِيضِ؟ قَالَ: «خُذِي فِرْصَةً مُمَسَّكَةً، فَتَوَضَّئِي ثَلَاثًا» ثُمَّ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَحْيَا، فَأَعْرَضَ بِوَجْهِهِ، أَوْ قَالَ: «تَوَضَّئِي بِهَا» فَأَخَذْتُهَا فَجَذَبْتُهَا، فَأَخْبَرْتُهَا بِمَا يُرِيدُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
মুসলিম ইব্ন ইবরাহীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: বুহায়ব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মানস্বূর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন তাঁর মাতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বললেন: একজন আনসারী মহিলা আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন: আমি কীভাবে হায়েযের গোসল করবো? আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: এক টুকরো কস্তুরীযুক্ত নেকড়া লও এবং তিনবার ধুয়ে নাও। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অতঃপর লজ্জাবশত অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন এবং বললেন: তা দিয়ে তুমি পবিত্র হও। ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন: আমি তাকে নিজের দিকে টেনে নিলাম। তারপর তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথার মর্ম বুঝিয়ে দিলাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩১৪] [আ.প্র. ৩০৪, ই.ফা. ৩০৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٣١٦ – حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ: أَهْلَلْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ، فَكُنْتُ مِمَّنْ تَمَتَّعَ وَلَمْ يَسُقْ الهَدْيَ، فَزَعَمَتْ أَنَّهَا حَاضَتْ وَلَمْ تَطْهُرْ حَتَّى دَخَلَتْ لَيْلَةُ عَرَفَةَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذِهِ لَيْلَةُ عَرَفَةَ وَإِنَّمَا كُنْتُ تَمَتَّعْتُ بِعُمْرَةٍ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي، وَأَمْسِكِي عَنْ عُمْرَتِكِ»، فَفَعَلْتُ، فَلَمَّا قَضَيْتُ الحَجَّ أَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ لَيْلَةَ الحَصْبَةِ، فَأَعْمَرَنِي مِنَ التَّنْعِيمِ مَكَانَ عُمْرَتِي الَّتِي نَسَكْتُ
মূসা ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইবরাহীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শিহাব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সঙ্গে বিদায় হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলাম। আমিও তাদেরই একজন ছিলাম যারা তামাত্তুর নিয়্যত করেছিল এবং সঙ্গে কুরবানীর পশু নেয়নি। তিনি বলেন: তার হায়েয শুরু হয় আর আরাফা এর রাত পর্যন্ত তিনি পাক হননি। ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন: আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আজ তো আরাফার রাত, আর আমি হজ্জের সঙ্গে উমরারও নিয়্যত করেছি। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন: মাথার বেণী খুলে ফেল, চুল আঁচড়াও আর উমরা হতে বিরত থাক। আমি তাই করলাম। হজ্জ সমাধা করার পর আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুর (রহমাহুল্লাহ) কে ‘হাসবায়’ অবস্থানের রাতে (আমাকে উমরা করানোর) নির্দেশ দিলেন। তিনি তানঈম হতে আমাকে ‘উমরা করালেন, যেখান হতে আমি ‘উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম। ১
অনুরূপ বর্ণনা : [২৯৪] [আ.প্র. ৩০৫, ই.ফা. ৩১০]
ফুটনোটঃ
১. একই সফরে হজ্জ ও উমরা করা।
হাদীসের মান: সহীহ
٣١٧ – حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: خَرَجْنَا مُوَافِينَ لِهِلَالِ ذِي الحِجَّةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُهِلَّ بِعُمْرَةٍ فَلْيُهْلِلْ، فَإِنِّي لَوْلَا أَنِّي أَهْدَيْتُ لَأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ» فَأَهَلَّ بَعْضُهُمْ بِعُمْرَةٍ، وَأَهَلَّ بَعْضُهُمْ بِحَجٍّ، وَكُنْتُ أَنَا مِمَّنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ، فَأَدْرَكَنِي يَوْمُ عَرَفَةَ وَأَنَا حَائِضٌ، فَشَكَوْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «دَعِي عُمْرَتَكِ، وَانْقُضِي رَأْسَكِ، وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِحَجٍّ»، فَفَعَلْتُ حَتَّى إِذَا كَانَ لَيْلَةُ الحَصْبَةِ، أَرْسَلَ مَعِي أَخِي عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَخَرَجْتُ إِلَى التَّنْعِيمِ، فَأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ مَكَانَ عُمْرَتِي قَالَ هِشَامٌ: «وَلَمْ يَكُنْ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ هَدْيٌ، وَلَا صَوْمٌ وَلَا صَدَقَةٌ»
‘উবায়দ ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ উসামাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হিশাম থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমরা যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার সময় নিকটবর্তী হলে বেরিয়ে পড়লাম। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: যে উমরার ইহরাম বাঁধতে চায় সে তা করতে পারে। কারণ, আমি সাথে কুরবানীর পশু না আনলে উমরার ইহরামই বাঁধতাম। তারপর কেউ উমরার ইহরাম বাঁধলেন, আর কেউ হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন। আমি ছিলাম উমরার ইহরামকারীদের মধ্যে। আরাফার দিনে আমি ঋতুবতী ছিলাম। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট আমার অসুবিধার কথা বললাম। তিনি বললেন: তোমার উমরা ছেড়ে দাও, মাথার বেণী খুলে চুল আঁচড়াও, আর হজ্জের ইহরাম বাঁধ। আমি তাই করলাম। ‘হাসবা’ নামক স্থানে অবস্থানের রাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সাথে আমার ভাই আবদুর রহমান ইব্নু আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে পাঠালেন। আমি তানঈমের দিকে বের হলাম। সেখানে পূর্বের উমরার পরিবর্তে ইহরাম বাঁধলাম। হিশাম (রহমাহুল্লাহ) বলেন: এসব কারণে কোন দম (কুরবানী), সওম বা সদকা দিতে হয়নি।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৯৪] [আ.প্র. ৩০৬, ই.ফা. ৩১১]
হাদীসের মান: সহীহ
٣١٨ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَكَّلَ بِالرَّحِمِ مَلَكًا ، يَقُولُ: يَا رَبِّ نُطْفَةٌ، يَا رَبِّ عَلَقَةٌ، يَا رَبِّ مُضْغَةٌ، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَقْضِيَ خَلْقَهُ قَالَ: أَذَكَرٌ أَمْ أُنْثَى، شَقِيٌّ أَمْ سَعِيدٌ، فَمَا الرِّزْقُ وَالأَجَلُ، فَيُكْتَبُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ “
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হা’ম্মাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উবায়দুল্লাহ ইব্ন আবূ বকর থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা মাতৃগর্ভের জন্য একজন মালাইকা নির্ধারণ করেছেন। তিনি (পর্যায়ক্রমে) বলতে থাকেন, হে রব! এখন বীর্য-আকৃতিতে আছে। হে রব! এখন জমাট রক্তে পরিণত হয়েছে। হে রব! এখন মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়েছে। অতঃপর আল্লাহ্ তা’আলা যখন তার সৃষ্টি পূর্ণ করতে চান, তখন জিজ্ঞেস করেন: পুরুষ, না স্ত্রী? সৌভাগ্যবান, না দুর্ভাগা? রিয্ক ও বয়স কত? আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তার মাতৃগর্ভে থাকতেই তা লিখে দেয়া হয়।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৩৩৩, ৬৫৯৫; মুসলিম ৪৬/১, হাঃ ২৬৪৬] [আ.প্র. ৩০৭, ই.ফা. ৩১২]
হাদীসের মান: সহীহ
٣١٩ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ، فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ، وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ، فَقَدِمْنَا مَكَّةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ وَلَمْ يُهْدِ، فَلْيُحْلِلْ، وَمَنْ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ وَأَهْدَى، فَلَا يُحِلُّ حَتَّى يُحِلَّ بِنَحْرِ هَدْيِهِ، وَمَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ، فَلْيُتِمَّ حَجَّهُ» قَالَتْ: فَحِضْتُ فَلَمْ أَزَلْ حَائِضًا حَتَّى كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ، وَلَمْ أُهْلِلْ إِلَّا بِعُمْرَةٍ، فَأَمَرَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَنْقُضَ رَأْسِي وَأَمْتَشِطَ، وَأُهِلَّ بِحَجٍّ وَأَتْرُكَ العُمْرَةَ، فَفَعَلْتُ ذَلِكَ حَتَّى قَضَيْتُ حَجِّي، فَبَعَثَ مَعِي عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَأَمَرَنِي أَنْ أَعْتَمِرَ مَكَانَ عُمْرَتِي مِنَ التَّنْعِيمِ
ইয়াহ’ইয়া ইব্ন বুকায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লায়ছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উক্বায়ল থেকে, তিনি ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমরা আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বিদায় হজ্জের সময় বের হয়েছিলাম। আমাদের কেউ ইহরাম বেঁধেছিল ‘উমরার আর কেউ বেঁধেছিল হজ্জের। আমরা মক্কায় এসে পৌঁছলে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: যারা ‘উমরার ইহরাম বেঁধেছে কিন্তু কুরবানীর পশু সাথে আনেনি, তারা যেন ইহরাম খুলে ফেলে। আর যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছে ও কুরবানীর পশু সাথে এনেছে, তারা যেন কুরবানী করা পর্যন্ত ইহরাম না খোলে। আর যারা হজ্জের ইহরাম বেঁধেছে তারা যেন হজ্জ পূর্ণ করে। ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন: অতঃপর আমার হায়েয শুরু হয় এবং আরাফার দিনেও তা বহাল থাকে। আমি শুধু ‘উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে মাথার বেণী খোলার, চুল আঁচড়ে নেয়ার এবং ‘উমরার ইহরাম ছেড়ে হজ্জের ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দিলেন। আমি তাই করলাম। পরে হজ্জ সমাধা করলাম। অতঃপর ‘আবদুর রহমান ইব্নু আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে আমার সাথে পাঠালেন। তিনি আমাকে তান’ঈম হতে পূর্বের পরিত্যক্ত উমরার পরিবর্তে ‘উমরা পালনের আদেশ করলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [১৯৪] [আ.প্র. ৩০৮, ই.ফা. ৩১৩]
وَكُنَّ نِسَاءٌ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ بِالدُّرَجَةِ فِيهَا الكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ، فَتَقُولُ: «لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ القَصَّةَ البَيْضَاءَ» تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنَ الحَيْضَةِ وَبَلَغَ بِنْتَ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ: أَنَّ نِسَاءً يَدْعُونَ بِالْمَصَابِيحِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ يَنْظُرْنَ إِلَى الطُّهْرِ، فَقَالَتْ: «مَا كَانَ النِّسَاءُ يَصْنَعْنَ هَذَا وَعَابَتْ عَلَيْهِنَّ»
মহিলারা ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) -এর নিকট কৌটায় করে তুলা প্রেরণ করতো। তাতে হলুদ রং দেখলে ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলতেন, “তাড়াহুড়া করো না, সাদা পরিস্কার দেখা পর্যন্ত অপেক্ষা কর। এর দ্বারা তিনি হায়েয পাক হওয়া বোঝাতেন। যায়দ ইব্নু সাবিত (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এর কন্যার নিকট সংবাদ এলো যে, স্ত্রীলোকরা রাতের অন্ধকারে প্রদীপ চেয়ে নিয়ে হায়েয হতে পবিত্র হলো কিনা তা দেখতেন। তিনি বললেন: স্ত্রীলোকেরা (পূর্বে) এমনটি করতেন না। তিনি তাদের দোষারোপ করেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٢٠ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ، كَانَتْ تُسْتَحَاضُ، فَسَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالحَيْضَةِ، فَإِذَا أَقْبَلَتِ الحَيْضَةُ، فَدَعِي الصَّلَاةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মুহাম্মাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হিশাম থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: ফাতিমা বিনতে আবূ হুবায়শ (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) এর ইস্তিহাযা হতো। তিনি এ বিষয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: এ হচ্ছে রোগের রক্ত, হায়েযের রক্ত নয়। সুতরাং হায়েয শুরু হলে সালাত ছেড়ে দেবে। আর হায়েয শেষ হলে গোসল করে সালাত আদায় করবে।
অনুরূপ বর্ণনা : [২২৮] [আ.প্র. ৩০৯, ই.ফা. ৩১৪]
وَقَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: وَأَبُو سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَدَعُ الصَّلَاةَ»
জাবির ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ্ ও আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, (স্ত্রীলোক হায়েযকালীন সময়ে) সালাত ছেড়ে দেবে।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٢١ – حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي مُعَاذَةُ، أَنَّ امْرَأَةً قَالَتْ لِعَائِشَةَ: أَتَجْزِي إِحْدَانَا صَلَاتَهَا إِذَا طَهُرَتْ؟ فَقَالَتْ: أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ؟ «كُنَّا نَحِيضُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا يَأْمُرُنَا بِهِ» أَوْ قَالَتْ: فَلَا نَفْعَلُهُ
মূসা ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হাম্মাম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ক্বাদাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মু‘আযাহ আমাকে বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: জনৈকা মহিলা ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) কে বললেন: হায়েযকালীন কাযা সালাত পবিত্র হওয়ার পর আদায় করলে আমাদের জন্য চলবে কি-না? ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বললেন: তুমি কি হারূরিয়্যাহ? (খারিজীদের একদল) ১ আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে ঋতুবতী হতাম কিন্তু তিনি আমাদের সালাত কাযার নির্দেশ দিতেন না। অথবা তিনি [‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা)] বলেনঃ আমরা তা কাযা করতাম না।
অনুরূপ বর্ণনা : [মুসলিম ৩/১৫, হাঃ ৩৩৫, আহমাদ ২৪৭১৪] [আ.প্র. ৩১০, ই.ফা. ৩১৫]
ফুটনোটঃ
১. খারিজীদের একটি দল যারা ঋতুবতীর জন্য সালাতের কাযা ওয়াজিব মনে করত। (আইনী, ৩খ ৩০০ পৃ.)
হাদীসের মান: সহীহ
٣٢٢ – حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: حِضْتُ وَأَنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الخَمِيلَةِ، فَانْسَلَلْتُ فَخَرَجْتُ مِنْهَا، فَأَخَذْتُ ثِيَابَ حِيضَتِي فَلَبِسْتُهَا، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنُفِسْتِ» قُلْتُ: نَعَمْ، فَدَعَانِي، فَأَدْخَلَنِي مَعَهُ فِي الخَمِيلَةِ. قَالَتْ: وَحَدَّثَتْنِي أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَانَ يُقَبِّلُهَا وَهُوَ صَائِمٌ». «وَكُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ مِنَ الجَنَابَةِ»
সা‘আদ ইব্ন হা’ফস আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শায়বান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইয়াহ’ইয়া থেকে, তিনি আবূ সালামাহ থেকে, তিনি যায়নাব বিনতি আবূ সালামাহ থেকে, তিনি উম্মু সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে একই চাদরের নীচে শায়িত অবস্থায় আমার হায়েয দেখা দিল। তখন আমি চুপিসারে বেরিয়ে এসে হায়েযের কাপড় পরে নিলাম। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ডেকে নিয়ে তাঁর চাদরের নীচে স্থান দিলেন। বর্ণনাকারী যায়নাব (রহমাহুল্লাহ) বলেন: আমাকে উম্মু সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) এও বলেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোযা রাখা অবস্থায় তাকে চুমু খেতেন। [উম্মে সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) আরও বলেন] আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই পাত্র হতে পানি নিয়ে জানাবাতের গোসল করতাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৯৮] [আ.প্র. ৩১১, ই.ফা. ৩১৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٢٣ – حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ بَيْنَا أَنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُضْطَجِعَةٌ فِي خَمِيلَةٍ حِضْتُ، فَانْسَلَلْتُ، فَأَخَذْتُ ثِيَابَ حِيضَتِي، فَقَالَ: «أَنُفِسْتِ»، فَقُلْتُ: نَعَمْ فَدَعَانِي، فَاضْطَجَعْتُ مَعَهُ فِي الخَمِيلَةِ “
মু‘আয ইব্ন ফাযালাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হিশাম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইয়াহ’ইয়া থেকে, তিনি আবূ সালামাহ থেকে, তিনি যায়নাব বিনতি আবূ সালামাহ থেকে, তিনি উম্মু সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: এক সময় আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একই চাদরের নীচে শুয়েছিলাম। আমার হায়েয শুরু হলো। তখন আমি গোপনে বেরিয়ে গিয়ে হায়েযের কাপড় পরে নিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: তোমার কি হায়েয আরম্ভ হয়েছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি আমাকে ডেকে নিলেন এবং আমি তার সঙ্গে একই চাদরের নীচে শুয়ে পড়লাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৯৮] [আ.প্র. ৩১২, ই.ফা. ৩১৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٢٤ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ سَلَامٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حَفْصَةَ، قَالَتْ: كُنَّا نَمْنَعُ عَوَاتِقَنَا أَنْ يَخْرُجْنَ فِي العِيدَيْنِ، فَقَدِمَتِ امْرَأَةٌ، فَنَزَلَتْ قَصْرَ بَنِي خَلَفٍ، فَحَدَّثَتْ عَنْ أُخْتِهَا، وَكَانَ زَوْجُ أُخْتِهَا غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَكَانَتْ أُخْتِي مَعَهُ فِي سِتٍّ، قَالَتْ: كُنَّا نُدَاوِي الكَلْمَى، وَنَقُومُ عَلَى المَرْضَى، فَسَأَلَتْ أُخْتِي النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَعَلَى إِحْدَانَا بَأْسٌ إِذَا لَمْ يَكُنْ لَهَا جِلْبَابٌ أَنْ لَا تَخْرُجَ؟ قَالَ: «لِتُلْبِسْهَا صَاحِبَتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا وَلْتَشْهَدِ الخَيْرَ وَدَعْوَةَ المُسْلِمِينَ»، فَلَمَّا قَدِمَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ، سَأَلْتُهَا أَسَمِعْتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: بِأَبِي، نَعَمْ، وَكَانَتْ لَا تَذْكُرُهُ إِلَّا قَالَتْ: بِأَبِي، سَمِعْتُهُ يَقُولُ: «يَخْرُجُ العَوَاتِقُ وَذَوَاتُ الخُدُورِ، أَوِ العَوَاتِقُ ذَوَاتُ الخُدُورِ، وَالحُيَّضُ، وَلْيَشْهَدْنَ الخَيْرَ، وَدَعْوَةَ المُؤْمِنِينَ، وَيَعْتَزِلُ الحُيَّضُ المُصَلَّى»، قَالَتْ حَفْصَةُ: فَقُلْتُ الحُيَّضُ، فَقَالَتْ: أَلَيْسَ تَشْهَدُ عَرَفَةَ، وَكَذَا وَكَذَا
মুহা’ম্মাদ, তিনি ইব্ন সালাম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আব্দুল ওয়াহ্হাব আমাদেরকে খবর দিলেন আয়য়ূব থেকে, তিনি হা’ফস্বাহ (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমরা আমাদের যুবতীদের ঈদের সালাতে বের হতে নিষেধ করতাম। এক মহিলা বনূ কালাফের মহলে এসে পৌঁছলেন এবং তিনি তার বোন হতে বর্ণনা করলেন। তার ভগ্নীপতি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বারটি গায্ওয়াহ (বড় যুদ্ধ) –এ অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন: আমার বোনও তার সঙ্গে ছয়টি গায্ওয়ায় শরীক ছিলেন। সেই বোন বলেন: আমরা আহতদের পরিচর্যা ও অসুস্থদের সেবা করতাম। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন: আমাদের কারো ওড়না না থাকার কারণে বের না হলে কোন অসুবিধা আছে কি? আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তার সাথীর ওড়না তাকে পরিয়ে দেবে, যাতে সে ভাল মজলিস ও মু’মিনদের দা’ওয়াতে শরীক হতে পারে। যখন উম্মু আতিয়্যা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) আসলেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম: আপনি কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এরূপ শুনেছেন? উত্তরে তিনি বললেন: আমার পিতা তাঁর জন্য কুরবান হোক। হ্যাঁ, তিনি এরূপ বলেছিলেন। নবীর কথা আলোচিত হলেই তিনি বলতেন, “আমার পিতা তার জন্য কুরবান হোক।” আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, যুবতী, পর্দানশীন মহিলা অথবা যুবতী, পর্দানশীন ও ঋতুবতী মহিলারা বের হবে এবং ভাল স্থানে ও মু’মিনদের দা’ওয়াতে অংশ গ্রহণ করবে। অবশ্য ঋতুবতী মহিলাগণ (ঈদের মাঠে) সালাত থেকে বিরত থাকবে। হাফসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন: আমি জিজ্ঞেস করলাম ঋতুবতীও কি বেরুবে? তিনি বললেন: সে কি ‘আরাফাতে ও অমুক অমুক স্থানে উপস্থিত হয় না?
অনুরূপ বর্ণনা : [৯৩৫১, ৯৭১, ৯৭৪, ৯৮০, ৯৮১, ১৬৫২; মুসলিম ৮/১, হাঃ ৮৯০] [আ.প্র. ৩১৩, ই.ফা. ৩১৮]
لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَنْ يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ اللَّهُ فِي أَرْحَامِهِنَّ} [البقرة: ٢٢٨] وَيُذْكَرُ عَنْ عَلِيٍّ، وَشُرَيْحٍ: «إِنِ امْرَأَةٌ جَاءَتْ بِبَيِّنَةٍ مِنْ بِطَانَةِ أَهْلِهَا مِمَّنْ يُرْضَى دِينُهُ، أَنَّهَا حَاضَتْ ثَلَاثًا فِي شَهْرٍ صُدِّقَتْ» وَقَالَ عَطَاءٌ: «أَقْرَاؤُهَا مَا كَانَتْ وَبِهِ» قَالَ إِبْرَاهِيمُ: وَقَالَ عَطَاءٌ: «الحَيْضُ يَوْمٌ إِلَى خَمْسَ عَشْرَةَ» وَقَالَ مُعْتَمِرٌ: عَنْ أَبِيهِ: سَأَلْتُ ابْنَ سِيرِينَ عَنِ المَرْأَةِ تَرَى الدَّمَ بَعْدَ قُرْئِهَا بِخَمْسَةِ أَيَّامٍ؟ قَالَ: «النِّسَاءُ أَعْلَمُ بِذَلِكَ»
কারণ আল্লাহ তা‘আলা ঘোষণা করেছেন: “তাদের পক্ষে বৈধ নয় গোপন রাখা যা আল্লাহ তাদের জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন।” [সূরা আল-বাকারা, ২:২২৮] আলী ও শুরাযাহ (রহমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। যদি মহিলার নিজ পরিবারের দ্বীনদার কেউ সাক্ষ্য দেয় যে, এ মহিলা তিন বার ঋতুবতী হয়েছে, তবে তার কথা গ্রহণযোগ্য হবে। ‘আত্বা (রহমাহুল্লাহ) বলেন: মহিলার হায়েযের দিন গণনা করা হবে তার পূর্ব স্বভাব অনুসারে। ইবরাহীম (রহমাহুল্লাহ)-ও অনুরূপ বলেন। ‘আত্বা (রহমাহুল্লাহ) আরো বলেন: হায়েয একদিন হতে পনেরো দিন পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মু’তামির তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: আমি ইব্ন সীরীন (রহমাহুল্লাহ)-কে এমন মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞাস করলাম যে তার পূর্ণ অভ্যাস অনুযায়ী হায়েযের পাঁচ দিন পূর্ণ হওয়ার পরও রক্ত দেখে? তিনি জবাবে বললেন: এ ব্যাপারে মহিলারা ভাল জানে।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٢٥ – حَدَّثَنَا أَحْمَدُ ابْنُ أَبِي رَجَاءٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ عُرْوَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ، سَأَلَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: إِنِّي أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ، فَقَالَ: «لَا إِنَّ ذَلِكِ عِرْقٌ، وَلَكِنْ دَعِي الصَّلَاةَ قَدْرَ الأَيَّامِ الَّتِي كُنْتِ تَحِيضِينَ فِيهَا، ثُمَّ اغْتَسِلِي وَصَلِّي»
আহ’মাদ ইব্ন আবূ রাজাই আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ উসামাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমি হিশাম ইব্ন ‘উরওয়াহ থেকে শুনেছি, তিনি বললেন: আমার পিতা আমাকে খবর দিলেন ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: ফাতিমা বিনতু আবূ হুবায়শ (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমার ইস্তিহাযা হয়েছে এবং পবিত্র হচ্ছি না। আমি কি সালাত পরিত্যাগ করবো? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: না, এ হলো রগ থেকে বের হওয়া রক্ত। তবে এরূপ হওয়ার পূর্বে যতদিন হায়েয হতো সে কয়দিন সালাত অবশ্যই পরিত্যাগ করো। তারপর গোসল করে নিবে ও সালাত আদায় করবে।
অনুরূপ বর্ণনা : [২২৮] [আ.প্র. ৩১৪, ই.ফা. ৩১৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٢٦ – حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ: «كُنَّا لَا نَعُدُّ الكُدْرَةَ وَالصُّفْرَةَ شَيْئًا»
ক্বুতায়বাহ ইব্ন সা‘ঈদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আয়য়ূব থেকে, তিনি মুহা’ম্মাদ থেকে, তিনি ‘উম্মু আত্বীয়্যাহ (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমরা মেটে ও হলুদ রং হায়েযের মধ্যে গণ্য করতাম না।
অনুরূপ বর্ণনা : [আ.প্র. ৩১৫, ই.ফা. ৩২০]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٢٧ – حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، وَعَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ اسْتُحِيضَتْ سَبْعَ سِنِينَ، فَسَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ، فَأَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ، فَقَالَ: «هَذَا عِرْقٌ» فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ
ইবরাহীম ইব্ন মুনযির আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মা‘আনুন আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন আবূ যি’ব আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি ‘আমরাহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: উম্মু হাবীবাহ (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) সাত বছর পর্যন্ত ইস্তিহাযায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এ ব্যাপারে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন। তিনি তাঁকে গোসলের নির্দেশ দিলেন এবং বললেন: এ রগ থেকে বের হওয়া রক্ত। অতঃপর উম্মু হাবীবা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) প্রতি সালাতের জন্য গোসল করতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [মুসলিম ৩/১৪, হাঃ ৩৩৪, আহমাদ ২৭৫১৬] [আ.প্র. ৩১৬, ই.ফা. ৩২১]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٢٨ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا قَالَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ قَدْ حَاضَتْ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَعَلَّهَا تَحْبِسُنَا أَلَمْ تَكُنْ طَافَتْ مَعَكُنَّ»، فَقَالُوا: بَلَى، قَالَ: «فَاخْرُجِي»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসূফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন আবূ বাক্র ইব্ন মুহা’ম্মাদ ইব্ন ‘আম্র ইব্ন হা’য্ম থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আম্রাহ্ বিন্তি ‘আব্দুর রহ’মান থেকে, তিনি আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহ্র রসূল! সফিয়্যাহ বিনতু হুয়াইয়ের হায়েয শুরু হয়েছে। তিনি বললেন: সে তো আমাদেরকে আটকিয়ে রাখবে। সে কি তোমাদের সঙ্গে তাওয়াফে-যিয়ারত করেনি? তাঁরা জবাব দিলেন, হ্যাঁ করেছেন। তিনি বললেন: তা হলে বের হও।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৯৪] [আ.প্র. ৩১৭, ই.ফা. ৩২২]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٢٩ – حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: «رُخِّصَ لِلْحَائِضِ أَنْ تَنْفِرَ إِذَا حَاضَتْ»
মু‘আল্লা ইব্ন আসাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: উহায়ব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ত্বাবুস থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইব্নু আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: (তাওয়াফে যিয়ারতের পর) মহিলার হায়েয হলে তার চলে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে।
অনুরূপ বর্ণনা : [১৭৫৫, ১৭৬০] [আ.প্র. ৩১৮, ই.ফা. ৩২৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٣٠ – وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ: ” فِي أَوَّلِ أَمْرِهِ إِنَّهَا لَا تَنْفِرُ، ثُمَّ سَمِعْتُهُ يَقُولُ: «تَنْفِرُ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ لَهُنَّ»
(পূর্বের হাদীসের সনদ) ইব্নু উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, এর পূর্বে ইব্নু উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলতেন: সে যেতে পারবে না। তারপর তাঁকে বলতে শুনেছি যে, সে যেতে পারে। কারণ, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জন্য (যাওয়ার) অনুমতি দিয়েছিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [১৭৬১ দ্রষ্টব্য] [আ.প্র. ৩১৮ শেষাংশ, ই.ফা. ৩২৩ শেষাংশ]
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي وَلَوْ سَاعَةً، وَيَأْتِيهَا زَوْجُهَا إِذَا صَلَّتْ، الصَّلَاةُ أَعْظَمُ»
(পূর্বের হাদীসের সনদ) ইব্ন ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: ইস্তিহাযাগ্রস্তা নারী দিনের কিছু সময়ের জন্য হলেও পবিত্রতা দেখলে গোসল করবে ও সালাত আদায় করবে। আর সালাত আদায় করার পর তার স্বামী তার সাথে মিলতে পারবে। কারণ, সালাতের গুরুত্ব অত্যধিক।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٣١ – حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، عَنْ زُهَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَقْبَلَتِ الحَيْضَةُ، فَدَعِي الصَّلَاةَ، وَإِذَا أَدْبَرَتْ، فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي»
‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেনঃ আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হায়েয দেখা দিলে সালাত ছেড়ে দাও আর হায়েযের সময় শেষ হয়ে গেলে রক্ত ধুয়ে নাও এবং সালাত আদায় কর।
অনুরূপ বর্ণনা : [২২৮] [আ.প্র. ৩১৯, ই.ফা. ৩২৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٣٢ – حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي سُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شَبَابَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حُسَيْنٍ المُعَلِّمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ: «أَنَّ امْرَأَةً مَاتَتْ فِي بَطْنٍ، فَصَلَّى عَلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَامَ وَسَطَهَا»
আহ’মাদ ইব্ন সুরায়জ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শাবাবাহ আমাদেরকে খবর দিলেন, তিনি বললেন: শু‘উবাহ আমাদেরকে খবর দিলেন হু’সায়নিল মুআল্লিম থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ ইব্ন বুরায়দাহ থেকে, তিনি সামুরাহ ইব্ন জুনদুব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: একজন প্রসূতি মহিলা মারা গেলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জানাযার সালাত আদায় করলেন। সালাতে তিনি মহিলার দেহের মাঝ বরাবর দাঁড়িয়েছিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [১৩৩১, ১৩৩২ দ্রষ্টব্য] [আ.প্র. ৩২০, ই.ফা. ৩২৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٣٣ – حَدَّثَنَا الحَسَنُ بْنُ مُدْرِكٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ اسْمُهُ الوَضَّاحُ، مِنْ كِتَابِهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، قَالَ: سَمِعْتُ خَالَتِي مَيْمُونَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا كَانَتْ تَكُونُ حَائِضًا، لَا تُصَلِّي وَهِيَ مُفْتَرِشَةٌ بِحِذَاءِ مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «وَهُوَ يُصَلِّي عَلَى خُمْرَتِهِ إِذَا سَجَدَ أَصَابَنِي بَعْضُ ثَوْبِهِ»
হা’সান ইব্ন মুদরিক আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া ইব্ন হা’ম্মাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ আওয়ানাহ আমাদেরকে খবর দিলেন, তিনি বললেন: সুলাইমান শায়বানী আমাদেরকে খবর দিলেন, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইব্নু শাদ্দাদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমি আমার খালা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী মাইমূনা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) হতে শুনেছি যে, তিনি হায়েয অবস্থায় সালাত আদায় করতেন না; তখন তিনি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সালাতের সিজদার জায়গায় সোজাসুজি শুয়ে থাকতেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার চাটাইয়ে সালাত আদায় করতেন। সিজদা করার সময় তাঁর কাপড়ের অংশ আমার (মাইমূনাহ্র) শরীর স্পর্শ করতো।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৭৯, ৩৮১, ৫১৭, ৫১৮ দ্রষ্টব্য] [আ.প্র. ৩২১, ই.ফা. ৩২৬]
وَقَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى: {فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا، فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ مِنْهُ} [المائدة: ٦]
আল্লাহ তা‘আলার বাণী: “তোমরা যদি পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত মাসাহ কর” [সূরা আল-মাইদাহ- ৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٣٤ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ القَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ أَوْ بِذَاتِ الجَيْشِ انْقَطَعَ عِقْدٌ لِي، فَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى التِمَاسِهِ، وَأَقَامَ النَّاسُ مَعَهُ وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ، فَأَتَى النَّاسُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، فَقَالُوا: أَلَا تَرَى مَا صَنَعَتْ عَائِشَةُ؟ أَقَامَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسِ وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ، وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاضِعٌ رَأْسَهُ عَلَى فَخِذِي قَدْ نَامَ، فَقَالَ: حَبَسْتِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسَ، وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ، وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: فَعَاتَبَنِي أَبُو بَكْرٍ، وَقَالَ: مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ وَجَعَلَ يَطْعُنُنِي بِيَدِهِ فِي خَاصِرَتِي، فَلَا يَمْنَعُنِي مِنَ التَّحَرُّكِ إِلَّا مَكَانُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى فَخِذِي، «فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَصْبَحَ عَلَى غَيْرِ مَاءٍ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ التَّيَمُّمِ فَتَيَمَّمُوا»، فَقَالَ أُسَيْدُ بْنُ الحُضَيْرِ: مَا هِيَ بِأَوَّلِ بَرَكَتِكُمْ يَا آلَ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ: فَبَعَثْنَا البَعِيرَ الَّذِي كُنْتُ عَلَيْهِ، فَأَصَبْنَا العِقْدَ تَحْتَهُ
আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন ‘আব্দুর রহমান ইব্ন ক্বাসিম থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমরা রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে কোন এক সফরে বের হয়েছিলাম যখন আমরা “বায়যা” অথবা “যাতুল জায়শ” নামক স্থানে পৌঁছলাম তখন একখানা হার হারিয়ে গেল। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-সেখানে হারের খোঁজে থেমে গেলেন আর লোকেরাও তাঁর সঙ্গে থেমে গেলেন, অথচ তাঁরা পানির নিকটে ছিলেন না। তখন লোকেরা আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এর নিকট এসে বললেন: ‘আয়িশা কী করেছেন আপনি কি দেখেন নি? তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও লোকদের আটকিয়ে ফেলেছেন, অথচ তাঁরা পানির নিকটে নেই এবং তাঁদের সাথেও পানি নেই। আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমার নিকট আসলেন, তখন আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-আমার উরুর উপরে মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলেন। আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: তুমি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর লোকদের আটকিয়ে ফেলেছ! অথচ আশেপাশে কোথাও পানি নেই। এবং তাঁদের সাথেও পানি নেই। ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: আবূ বক্র আমাকে খুব তিরস্কার করলেন আর, আল্লাহ্র ইচ্ছা, তিনি যা খুশি তাই বললেন। তিনি আমার কোমরে আঘাত দিতে লাগলেন। আমার উরুর উপর আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথা থাকায় আমি নড়তে পারছিলাম না। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ভোরে উঠলেন, কিন্তু পানি ছিল না। তখন আল্লাহ্ তা’আলা তায়াম্মুমের আয়াত নাযিল করলেন। অতঃপর সবাই তায়াম্মুম করে নিলেন। উসায়দ ইব্নু হুযায়্র (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: হে আবূ বকরের পরিবারবর্গ! এটাই আপনাদের প্রথম বরকত নয়। ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: তারপর আমি যে উটে ছিলাম তাকে দাঁড় করালে দেখি আমার হারখানা তার নীচে পড়ে আছে।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৩৬, ৩৬৭২, ৩৭৭৩, ৪৫৮৩, ৪৬০৭, ৪৬০৮, ৫১৬৪, ৫২৫০, ৫৮৮২, ৬৮৪৪, ৬৮৪৫; মুসলিম ৩/২৮, হাঃ ৩৬৭, আহমাদ ২৫৫১০] [আ.প্র. ৩২২, ই.ফা. ৩২৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٣٥ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ هُوَ العَوَقِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: ح وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ النَّضْرِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا سَيَّارٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ هُوَ ابْنُ صُهَيْبٍ الفَقِيرُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ قَبْلِي: نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ، وَجُعِلَتْ لِي الأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا، فَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ فَلْيُصَلِّ، وَأُحِلَّتْ لِي المَغَانِمُ وَلَمْ تَحِلَل لِأَحَدٍ قَبْلِي، وَأُعْطِيتُ الشَّفَاعَةَ، وَكَانَ النَّبِيُّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ خَاصَّةً وَبُعِثْتُ إِلَى النَّاسِ عَامَّةً “
মুহা’ম্মাদ ইব্ন সিনান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি ‘আওয়াকী ছিলেন, তিনি বললেন: হুশায়ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, এবং (অন্য বর্ণনায়) সা‘ঈদ ইব্ন নযর আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হুশায়ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সায়য়ার আমাদেরকে খবর দিলেন, তিনি বললেন: ইয়াযীদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন তিনি ইব্ন স্বূহায়ব ফাক্বীর ছিলেন, তিনি বললেন: জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাদেরক খবর দিলেন, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-বলেন: আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় দান করা হয়েছে, যা আমার পুর্বে কাউকেও দান করা হয়নি।
(১) আমাকে এমন প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে যে, একমাস দূরত্বেও তা প্রতিফলিত হয়;
(২) সমস্ত যমীন আমার জন্য পবিত্র ও সালাত আদায়ের উপযোগী করা হয়েছে। কাজেই আমার উম্মতের যে কোন লোক ওয়াক্ত হলেই সালাত আদায় করতে পারবে;
(৩) আমার জন্য গানীমাতের মাল হালাল করে দেওয়া হয়েছে, যা আমার পূর্বে আর কারো জন্য হালাল করা হয়নি;
(৪) আমাকে (ব্যাপক) শাফা’আতের অধিকার দেওয়া হয়েছে;
(৫) সমস্ত নবী প্রেরিত হতেন কেবল তাঁদের সম্প্রদায়ের জন্য, আর আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে সমগ্র মানব জাতির জন্য।
অনুরূপ বর্ণনা : [৪৩৮, ৩১২২; মুসলিম ৫/১, হাঃ ৫২১ আহমাদ ১৪২৬৮] [আ.প্র. ৩২৩, ই.ফা. ৩২৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٣٦ – حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا اسْتَعَارَتْ مِنْ أَسْمَاءَ قِلَادَةً فَهَلَكَتْ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا فَوَجَدَهَا، «فَأَدْرَكَتْهُمُ الصَّلَاةُ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ، فَصَلَّوْا، فَشَكَوْا ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ التَّيَمُّمِ» فَقَالَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ لِعَائِشَةَ: جَزَاكِ اللَّهُ خَيْرًا، فَوَاللَّهِ مَا نَزَلَ بِكِ أَمْرٌ تَكْرَهِينَهُ، إِلَّا جَعَلَ اللَّهُ ذَلِكِ لَكِ وَلِلْمُسْلِمِينَ فِيهِ
যাকারীয়া ইব্ন ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন নুমায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হিশাম ইব্ন ‘উরওয়াহআমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি একদা (তাঁর বোন) আসমা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) এর হার ধার করে নিয়ে গিয়েছিলেন। (পথিমধ্যে) হারখানা হারিয়ে গেল। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-সেটির অনুসন্ধানে লোক পাঠালেন। তিনি হারটি এমন সময় পেলেন, যখন তাঁদের সালাতের সময় হয়ে গিয়েছিল অথচ তাঁদের কাছে পানি ছিল না। তাঁরা সালাত আদায় করলেন। তারপর বিষয়টি তাঁরা আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বর্ণনা করেন। তখন আল্লাহ্ তা’আলা তায়াম্মুমের আয়াত অবতীর্ণ করেন। সেজন্য উসায়দ ইব্নু হুযায়র (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) কে লক্ষ্য করে বললেন: আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন। আল্লাহ্র কসম! আপনি যে কোন অপছন্দনীয় অবস্থার মুখোমুখী হয়েছেন, তাতেই আল্লাহ্ তা’আলা আপনার ও সমস্ত মুসলমানের জন্য মঙ্গল রেখেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৩৪] [আ.প্র. ৩২৪, ই.ফা. ৩২৯]
وَبِهِ قَالَ عَطَاءٌ: وَقَالَ الحَسَنُ: «فِي المَرِيضِ عِنْدَهُ المَاءُ، وَلَا يَجِدُ مَنْ يُنَاوِلُهُ يَتَيَمَّمُ» وَأَقْبَلَ ابْنُ عُمَرَ: «مِنْ أَرْضِهِ بِالْجُرُفِ فَحَضَرَتِ العَصْرُ بِمَرْبَدِ النَّعَمِ فَصَلَّى، ثُمَّ دَخَلَ المَدِينَةَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ فَلَمْ يُعِدْ»
‘আত্বা (রহমাহুল্লাহ)-এর মতামতও তাই। হাসান বসরী (রহমাহুল্লাহ) বলেন: যে রোগীর নিকট পানি আছে কিন্তু তর নিকট তা পৌঁছাবার কোন লোক না থাকে, তবে সে তায়াম্মুম করবে। ইব্ন ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাঁর জরুফ নামক স্থানের জমি হতে ফেরার সময় ‘মিরবাদুল মানাম’-এ পৌঁছালে আসরের সময় হয়ে যায়। তখন তিনি (তায়াম্মুম করে) সালাত আদায় করলেন। পরে তিনি মদীনা পৌঁছালেন। তখনো সূর্য উপরে ছিল। কিন্তু তিনি সালাত পুনরায় আদায় করলেন না।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٣٧ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ الأَعْرَجِ، قَالَ: سَمِعْتُ عُمَيْرًا مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: أَقْبَلْتُ أَنَا وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَسَارٍ، مَوْلَى مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَبِي جُهَيْمِ بْنِ الحَارِثِ بْنِ الصِّمَّةِ الأَنْصَارِيِّ، فَقَالَ أَبُو الجُهَيْمِ الأَنْصَارِيُّ «أَقْبَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ نَحْوِ بِئْرِ جَمَلٍ فَلَقِيَهُ رَجُلٌ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَقْبَلَ عَلَى الجِدَارِ، فَمَسَحَ بِوَجْهِهِ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ»
ইয়াহ’ইয়া ইব্ন বুকায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লাইস আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘জাফার ইব্ন রাবী‘আহ থেকে, তিনি ‘আরাজ থেকে, তিনি বললেন: ‘আব্বাস এর স্বাধীন করা গুলাম ‘উমায়র থেকে আমি শুনলাম, তিনি বললেন: আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী মায়মূনাহ (রাজিআল্লাহু ‘আনহা)-এর স্বাধীন করা গুলাম ‘আব্দুল্লা ইব্ন ইয়াসার যাচ্ছিলাম যতক্ষন না আমরা আবূ জুহায়ম ইব্ন হা’রিছ ইব্ন স্বিম্মাহ আনস্বারীর নিকট পৌঁছিলাম, আবূ জুহায়ম আনস্বারী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনার কাছে অবস্থিত ‘বি’রে জামাল’ হতে আসছিলেন। পথিমধ্যে তাঁর সাথে এক ব্যক্তির সাক্ষাত হলো। লোকটি তাঁকে সালাম করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জওয়াব না দিয়ে দেয়ালের নিকট অগ্রসর হয়ে তাতে (হাত মেরে) নিজের চেহারা ও হস্তদ্বয় মাস্হ করে নিলেন, তারপর সালামের জবাব দিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [মুসলিম ৩/২৮, হাঃ ৩৬৯ আহমদ ১৭৫৪৯] [আ.প্র. ৩২৫, ই.ফা. ৩৩০]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٣٨ – حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا الحَكَمُ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ، فَقَالَ: إِنِّي أَجْنَبْتُ فَلَمْ أُصِبِ المَاءَ، فَقَالَ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ لِعُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ: أَمَا تَذْكُرُ أَنَّا كُنَّا فِي سَفَرٍ أَنَا وَأَنْتَ، فَأَمَّا أَنْتَ فَلَمْ تُصَلِّ، وَأَمَّا أَنَا فَتَمَعَّكْتُ فَصَلَّيْتُ، فَذَكَرْتُ لِلنَّبِيِّ صلّى الله عليه وسلم، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ هَكَذَا» فَضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَفَّيْهِ الأَرْضَ، وَنَفَخَ فِيهِمَا، ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ
আদম আমাদেরকে আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হা’কাম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন যাররাহ থেকে, তিনি সা‘ঈদ ইব্ন ‘আব্দুর রহমান ইব্ন আবযা থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি বলেন: জনৈক ব্যক্তি ‘উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর নিকট এসে জানতে চাইল: একবার আমার গোসলের দরকার হল অথচ আমি পানি পেলাম না। তখন ‘আম্মার ইব্নু ইয়াসার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ‘উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে বললেন: আপনার কি সেই ঘটনা মনে আছে যে, একদা আমরা দু’জন সফরে ছিলাম এবং দু’জনেরই গোসলের প্রয়োজন দেখা দিল। আপনি তো সালাত আদায় করলেন না। আর আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে সালাত আদায় করলাম। তারপর আমি ঘটনাটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বর্ণনা করলাম। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তোমার জন্য তো এতটুকুই যথেষ্ট ছিল- এ বলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ হাত মাটিতে মারলেন এবং দু’হাতে ফুঁ দিয়ে তাঁর চেহারা ও উভয় হাত মাস্হ করলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৩৯, ৩৪০, ৩৪১, ৩৪২, ৩৪৩, ৩৪৫, ৩৪৬, ৩৪৭; মুসলিম ৩/২৮, হাঃ ৩৬৮, আহমাদ ১৮৩৫৬] [আ.প্র. ৩২৬, ই.ফা. ৩৩১]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٣٩ – حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي الحَكَمُ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ عَمَّارٌ: «بِهَذَا وَضَرَبَ – شُعْبَةُ – بِيَدَيْهِ الأَرْضَ، ثُمَّ أَدْنَاهُمَا مِنْ فِيهِ، ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ» وَقَالَ النَّضْرُ: أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الحَكَمِ، قَالَ: سَمِعْتُ ذَرًّا، يَقُولُ: عَنْ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، قَالَ الحَكَمُ: وَقَدْ سَمِعْتُهُ مِنْ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ عَمَّارٌ
হা’জ্জাজ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে খবর দিলেন, তিনি বললেন: হা’কিম আমাকে খবর দিলেন যার থেকে, সা‘ঈদ ইব্ন ‘আব্দুর রহমান ইব্ন আবযা থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি বললেন: ‘আম্মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: (যা পূর্বের হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে তা)। শু’বাহ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) নিজের হস্তদ্বয় মাটিতে মেরে মুখের নিকট নিলেন (ফুঁ দিলেন)। তারপর নিজের চেহারা ও উভয় হাত মাস্হ করলেন। নাযর (রহমাহুল্লাহ) শু’বাহ (রহমাহুল্লাহ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৩৮] [আ.প্র. ৩২৭, ই.ফা. ৩৩২]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٤٠ – حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الحَكَمِ، عَنْ ذَرٍّ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ شَهِدَ عُمَرَ وَقَالَ لَهُ عَمَّارٌ: «كُنَّا فِي سَرِيَّةٍ، فَأَجْنَبْنَا»، وَقَالَ: «تَفَلَ فِيهِمَا»
ইব্নু ‘আবদুর রহমান ইব্নু আব্যা (রহমাহুল্লাহ) তাঁর পিতা হতে থেকে, তিনি (‘আবদুর রহমান) ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর নিকট উপস্থিত ছিলেন, আর ‘আম্মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাঁকে বলছিলেনঃ আমরা এক অভিযানে গিয়েছিলাম, আমরা উভয়ই জুনুবী হয়ে পড়লাম। উক্ত রিওয়ায়াতে হাত দু’টোতে ফুঁ দেয়ার বর্ণনা — -এর স্থলে — বলেছেন। উভয়ই সমার্থক।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৩৮] [আ.প্র. ৩২৮, ই.ফা. ৩৩৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٤١ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الحَكَمِ، عَنْ ذَرٍّ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، قَالَ: قَالَ عَمَّارٌ لِعُمَرَ: تَمَعَّكْتُ، فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «يَكْفِيكَ الوَجْهَ وَالكَفَّيْنِ»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন কাসীর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বা আমাদেরকে খবর দিলেন হা’কাম থেকে, তিনি যার্র থেকে, তিনি ইব্ন ‘আব্দুর রহমান ইব্ন আব্যা থেকে, তিনি ‘আবদুর রহমান ইব্ন আব্যা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: ‘আম্মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে বলছিলেন: আমি (তায়াম্মুমের জন্য) মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম। পরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গেলাম। তখন তিনি বলেছিলেন: চেহারা ও হাত দু’টো মাস্হ করাই তোমার জন্য যথেষ্ট।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৩৮] [আ.প্র. ৩২৯, ই.ফা. ৩৩৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٤٢ – حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الحَكَمِ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، قَالَ: شَهِدْتُ عُمَرَ، فَقَالَ لَهُ عَمَّارٌ، وَسَاقَ الحَدِيثَ
মুসলিম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘হাকাম থেকে, তিনি যার্র থেকে, তিনি ইব্ন ‘আবদুর রহমান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি ‘আব্দুর রহমান ইব্ন আব্যা থেকে, তিনি বলেন: আমি ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, ‘আম্মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাঁকে বললেন, এরপর রাবী পূর্বের হাদীসটি বর্ণনা করেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৩৮] [আ.প্র. নাই, ই.ফা. ৩৩৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٤٣ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الحَكَمِ، عَنْ ذَرٍّ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ عَمَّارٌ: «فَضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ الأَرْضَ، فَمَسَحَ وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন বাশ্শার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: গুনদার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হা’কাম থেকে, তিনি যার্র থেকে, তিনি ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু আবযা থেকে, তিনি তাঁর পিতা (‘আবদুর রহমান) থেকে, তিনি বললেন: ‘আম্মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন, “নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাটিতে হাত মারলেন এবং তাঁর চেহারা ও হস্তদ্বয় মাস্হ করলেন”।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৩৮] [আ.প্র. ৩৩০, ই.ফা. ৩৩৬]
وَقَالَ الحَسَنُ: «يُجْزِئُهُ التَّيَمُّمُ مَا لَمْ يُحْدِثْ» وَأَمَّ ابْنُ عَبَّاسٍ وَهُوَ مُتَيَمِّمٌ ” وَقَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ: «لَا بَأْسَ بِالصَّلَاةِ عَلَى السَّبَخَةِ وَالتَّيَمُّمِ بِهَا»
হাসান (রহমাহুল্লাহ) বলেন: হাদস না হওয়া পর্যন্ত তার জন্য তায়াম্মুমই যথেষ্ট। ইব্ন আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তায়াম্মুম করে ইমামতি করেছেন। ইয়াহ্’ইয়া ইব্ন সাঈদ (রহমাহুল্লাহ) বলেন: লোনা ভূমিতে সালাত আদায় করা বা তাতে তায়ম্মুম করায় কোন বাধা নেই।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٤٤ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَوْفٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ، عَنْ عِمْرَانَ، قَالَ: كُنَّا فِي سَفَرٍ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّا أَسْرَيْنَا حَتَّى كُنَّا فِي آخِرِ اللَّيْلِ، وَقَعْنَا وَقْعَةً، وَلَا وَقْعَةَ أَحْلَى عِنْدَ المُسَافِرِ مِنْهَا، فَمَا أَيْقَظَنَا إِلَّا حَرُّ الشَّمْسِ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنِ اسْتَيْقَظَ فُلَانٌ، ثُمَّ فُلَانٌ، ثُمَّ فُلَانٌ – يُسَمِّيهِمْ أَبُو رَجَاءٍ فَنَسِيَ عَوْفٌ ثُمَّ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ الرَّابِعُ – وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا نَامَ لَمْ يُوقَظْ حَتَّى يَكُونَ هُوَ يَسْتَيْقِظُ، لِأَنَّا لَا نَدْرِي مَا يَحْدُثُ لَهُ فِي نَوْمِهِ، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ عُمَرُ وَرَأَى مَا أَصَابَ النَّاسَ وَكَانَ رَجُلًا جَلِيدًا، فَكَبَّرَ وَرَفَعَ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ، فَمَا زَالَ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ حَتَّى اسْتَيْقَظَ بِصَوْتِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ شَكَوْا إِلَيْهِ الَّذِي أَصَابَهُمْ، قَالَ: «لَا ضَيْرَ – أَوْ لَا يَضِيرُ – ارْتَحِلُوا»، فَارْتَحَلَ، فَسَارَ غَيْرَ بَعِيدٍ، ثُمَّ نَزَلَ فَدَعَا بِالوَضُوءِ، فَتَوَضَّأَ، وَنُودِيَ بِالصَّلَاةِ، فَصَلَّى بِالنَّاسِ، فَلَمَّا انْفَتَلَ مِنْ صَلَاتِهِ إِذَا هُوَ بِرَجُلٍ مُعْتَزِلٍ لَمْ يُصَلِّ مَعَ القَوْمِ، قَالَ: «مَا مَنَعَكَ يَا فُلَانُ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَ القَوْمِ؟» قَالَ: أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ وَلَا مَاءَ، قَالَ: «عَلَيْكَ بِالصَّعِيدِ، فَإِنَّهُ يَكْفِيكَ»، ثُمَّ سَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاشْتَكَى إِلَيْهِ النَّاسُ مِنَ العَطَشِ، فَنَزَلَ فَدَعَا فُلَانًا – كَانَ يُسَمِّيهِ أَبُو رَجَاءٍ نَسِيَهُ عَوْفٌ – وَدَعَا عَلِيًّا فَقَالَ: «اذْهَبَا، فَابْتَغِيَا المَاءَ» فَانْطَلَقَا، فَتَلَقَّيَا امْرَأَةً بَيْنَ مَزَادَتَيْنِ – أَوْ سَطِيحَتَيْنِ – مِنْ مَاءٍ عَلَى بَعِيرٍ لَهَا، فَقَالَا لَهَا: أَيْنَ المَاءُ؟ قَالَتْ: عَهْدِي بِالْمَاءِ أَمْسِ هَذِهِ السَّاعَةَ وَنَفَرُنَا خُلُوفٌ، قَالَا لَهَا: انْطَلِقِي، إِذًا قَالَتْ: إِلَى أَيْنَ؟ قَالَا: إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: الَّذِي يُقَالُ لَهُ الصَّابِئُ، قَالَا: هُوَ الَّذِي تَعْنِينَ، فَانْطَلِقِي، فَجَاءَا بِهَا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَدَّثَاهُ الحَدِيثَ، قَالَ: فَاسْتَنْزَلُوهَا عَنْ بَعِيرِهَا، وَدَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِنَاءٍ، فَفَرَّغَ فِيهِ مِنْ أَفْوَاهِ المَزَادَتَيْنِ – أَوْ سَطِيحَتَيْنِ – وَأَوْكَأَ أَفْوَاهَهُمَا وَأَطْلَقَ العَزَالِيَ، وَنُودِيَ فِي النَّاسِ اسْقُوا وَاسْتَقُوا، فَسَقَى مَنْ شَاءَ وَاسْتَقَى مَنْ شَاءَ وَكَانَ آخِرُ ذَاكَ أَنْ أَعْطَى الَّذِي أَصَابَتْهُ الجَنَابَةُ إِنَاءً مِنْ مَاءٍ، قَالَ: «اذْهَبْ فَأَفْرِغْهُ عَلَيْكَ»، وَهِيَ قَائِمَةٌ تَنْظُرُ إِلَى مَا يُفْعَلُ بِمَائِهَا، وَايْمُ اللَّهِ لَقَدْ أُقْلِعَ عَنْهَا، وَإِنَّهُ لَيُخَيَّلُ إِلَيْنَا أَنَّهَا أَشَدُّ مِلْأَةً مِنْهَا حِينَ ابْتَدَأَ فِيهَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اجْمَعُوا لَهَا» فَجَمَعُوا لَهَا مِنْ بَيْنِ عَجْوَةٍ وَدَقِيقَةٍ وَسَوِيقَةٍ حَتَّى جَمَعُوا لَهَا طَعَامًا، فَجَعَلُوهَا فِي ثَوْبٍ وَحَمَلُوهَا عَلَى بَعِيرِهَا وَوَضَعُوا الثَّوْبَ بَيْنَ يَدَيْهَا، قَالَ لَهَا: «تَعْلَمِينَ، مَا رَزِئْنَا مِنْ مَائِكِ شَيْئًا، وَلَكِنَّ اللَّهَ هُوَ الَّذِي أَسْقَانَا»، فَأَتَتْ أَهْلَهَا وَقَدِ احْتَبَسَتْ عَنْهُمْ، قَالُوا: مَا حَبَسَكِ يَا فُلَانَةُ، قَالَتْ: العَجَبُ لَقِيَنِي رَجُلَانِ، فَذَهَبَا بِي إِلَى هَذَا الَّذِي يُقَالُ لَهُ الصَّابِئُ فَفَعَلَ كَذَا وَكَذَا، فَوَاللَّهِ إِنَّهُ لَأَسْحَرُ النَّاسِ مِنْ بَيْنِ هَذِهِ وَهَذِهِ، وَقَالَتْ: بِإِصْبَعَيْهَا الوُسْطَى وَالسَّبَّابَةِ، فَرَفَعَتْهُمَا إِلَى السَّمَاءِ – تَعْنِي السَّمَاءَ وَالأَرْضَ – أَوْ إِنَّهُ لَرَسُولُ اللَّهِ حَقًّا، فَكَانَ المُسْلِمُونَ بَعْدَ ذَلِكَ يُغِيرُونَ عَلَى مَنْ حَوْلَهَا مِنَ المُشْرِكِينَ، وَلَا يُصِيبُونَ الصِّرْمَ الَّذِي هِيَ مِنْهُ، فَقَالَتْ: يَوْمًا لِقَوْمِهَا مَا أُرَى أَنَّ هَؤُلَاءِ القَوْمَ يَدْعُونَكُمْ عَمْدًا، فَهَلْ لَكُمْ فِي الإِسْلَامِ؟ فَأَطَاعُوهَا، فَدَخَلُوا فِي الإِسْلَامِ، قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: ” صَبَأَ: خَرَجَ مِنْ دِينٍ إِلَى غَيْرِهِ ” وَقَالَ أَبُو العَالِيَةِ: «الصَّابِئِينَ فِرْقَةٌ مِنْ أَهْلِ الكِتَابِ يَقْرَءُونَ الزَّبُورَ»
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ্’ইয়া ইব্ন সা‘ঈদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আওউফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ রাজা‘ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘ইমরান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। আমরা রাতে চলতে চলতে শেষরাতে এক স্থানে ঘুমিয়ে পড়লাম। মুসাফিরের জন্য এর চেয়ে মধুর ঘুম আর হতে পারে না। (আমরা এমন ঘোর নিদ্রায় নিমগ্ন ছিলাম যে,) সূর্যের উত্তাপ ছাড়া অন্য কিছু আমাদের জাগাতে পারেনি। সর্বপ্রথম জাগলেন অমুক, তারপর অমুক, তারপর অমুক। (রাবী) আবূ রাজা’ (রহমাহুল্লাহ) তাঁদের সবার নাম নিয়েছিলেন কিন্তু ‘আওফ (রহমাহুল্লাহ) তাঁদের নাম মনে রাখতে পারেন নি। চতুর্থবারের জেগে ওঠা ব্যক্তি ছিলেন ‘উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুমালে আমরা তাকে কেউ জাগাতাম না, যতক্ষণ না তিনি নিজেই জেগে উঠতেন। কারণ নিদ্রাবস্থায় তাঁর উপর কী অবতীর্ণ হচ্ছে তা তো আমাদের জানা নেই। ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) জেগে মানুষের অবস্থা দেখলেন, আর তিনি ছিলেন দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তি – উচ্চৈঃস্বরে তাকবীর বলতে আরম্ভ করলেন। তিনি ক্রমাগত উচ্চৈঃস্বরে তাকবীর বলতে থাকলেন। এমন কি তাঁর শব্দে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জেগে উঠলেন। তখন লোকেরা তাঁর নিকট ওজর পেশ করলো। তিনি বললেন: কোন ক্ষতি নেই বা বললেন: কোন ক্ষতি হবে না। এখান হতে চল। তিনি চলতে লাগলেন। কিছু দূর গিয়ে থামলেন। উযূর পানি আনালেন এবং উযূ করলেন। সালাতের আজান দেয়া হলো। তিনি লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। সালাত শেষে দেখলেন, এক লোক আলাদা দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি লোকদের সাথে সালাত আদায় করেন নি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন: হে অমুক! তোমাকে লোকদের সাথে সালাত আদায় করতে কিসে বিরত রাখলো? তিনি বললেন আমার উপর গোসল ফরয হয়েছে। অথচ পানি নেই। তিনি বললেন: পবিত্র মাটি নাও (তায়াম্মুম কর), এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুনরায় সফর শুরু করলেন। লোকেরা তাঁকে পিপাসার কষ্ট জানালো। তিনি অবতরণ করলেন, তারপর অমুক ব্যক্তিকে ডাকলেন। (রাবী) আবূ রাজা’ (রহমাহুল্লাহ) তার নাম উল্লেখ করেছিলেন কিন্তু ‘আওফ (রহমাহুল্লাহ) তা ভুলে গেছেন। তিনি ‘আলী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কেও ডাকলেন। তারপর উভয়কেই পানি খুঁজে আনতে বললেন। তারা পানির খোঁজে বের হলেন। তাঁরা পথে এক মহিলাকে দুই মশক পানি উটের উপর করে নিতে দেখলেন। তাঁরা তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ পানি কোথায়? গতকাল এ সময়ে আমি পানির নিকটে ছিলাম। আমার গোত্র পিছনে রয়ে গেছে। তাঁরা বললেন: এখন আমাদের সঙ্গে চলো। সে বললো: কোথায়? তারা বললেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট। সে বললো: সেই লোকটির নিকট যাকে সাবি’ (ধর্ম পরিবর্তনকারী) বলা হয়? তাঁরা বললেন: হ্যাঁ, তোমরা যাকে এই বলে থাক। আচ্ছা, এখন চলো। তারা তাকে নিয়ে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলেন এবং সমস্ত ঘটনা খুলে বললেন। ‘ইমরান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: লোকেরা স্ত্রীলোকটিকে তার উট হতে নামালেন। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি পাত্র আনতে বললেন এবং উভয় মশকের মুখ খুলে তাতে পনি ঢাললেন এবং সেগুলোর মুখ বন্ধ করে দিলেন। তারপর সে মশকের নীচের মুখ খুলে দিয়ে লোকদের মধ্যে পানি পান করার ও জন্তু-জানোয়ারকে পানি পান করানোর ঘোষণা দিয়ে দিলেন। তাঁদের মধ্যে যার ইচ্ছা পানি পান করলেন ও জন্তুকে পান করালেন। অবশেষে যে ব্যক্তির গোসল দরকার ছিল, তাকেও এক পাত্র পানি দিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: এ পানি নিয়ে যাও এবং গোসল সার। ঐ মহিলা দাঁড়িয়ে দেখছিল যে, তার পানি নিয়ে কী করা হচ্ছে। আল্লাহ্র কসম! যখন তার হতে পানি নেয়া শেষ হ’ল তখন আমাদের মনে হ’ল, মশকগুলো পূর্বাপেক্ষা অধিক ভর্তি। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: মহিলার জন্য কিছু একত্র কর। লোকরা মহিলার জন্যে আজওয়া (বিশেষ খেজুর), আটা ও ছাতু এনে একত্র করলেন। যখন তাঁরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী জমা করলেন, তখন একটা কপড়ে বেঁধে মহিলাকে উটের উপর সওয়ার করালেন এবং তার সামনে কাপড়ে বাঁধা গাঁঠরিটি রেখে দিলেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তুমি জান যে, আমরা তোমার পানি মোটেই কম করিনি; বরং আল্লাহ তা’আলাই আমাদের পানি পান করিয়েছেন। অতঃপর সে তার পরিজনের নিকট ফিরে গেল। তার বেশ দেরী হয়েছিল। পরিবারের লোকজন তাকে জিজ্ঞেস করলো, হে অমুক! তোমার এত দেরী হল কেন? উত্তরে সে বললো: একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা! দু’জন লোকের সাথে আমার দেখা হয়েছিল। তারা আমাকে সেই লোকটির কাছে নিয়ে গিয়েছিল, যাকে সাবি’ বলা হয়। আর সেখানে সে এসব করল। এ বলে সে মধ্যমা এবং তর্জনী আঙুল দিয়ে আসমান ও জমিনের দিকে ইঙ্গত করে বলল, আল্লাহ্র কসম! সে এ দুটির মধ্যে সবচেয়ে বড় জাদুকর নয় তো সে বস্তবিকই আল্লাহ্র রসূল। এ ঘটনার পর মুসলিমরা ঐ মহিলার গোত্রের আশপাশের মুশরিকদের উপর হামলা করতেন কিন্তু মহিলার সাথে সম্পর্কযুক্ত গোত্রের কোন ক্ষতি করতেন না। একদা মহিলা নিজের গোত্রকে বললো: আমার মনে হয়, তারা ইচ্ছা করে আমাদের নিস্কৃতি দিচ্ছে। এসব দেখে কি তোমরা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হবে না? তারা সবাই মহিলাটির কথা মেনে নিল এবং ইসলামে দাখিল হয়ে গেল।
আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহমাহুল্লাহ) বলেনঃ صباء শব্দের অর্থ নিজের দ্বীন ছেড়ে অন্যের দ্বীন গ্রহণ করা। আবুল ‘আলিয়া (রহমাহুল্লাহ) বলেন: صابئين হচ্ছে আহলে কিতাবের একটি দল, যারা যবূর কিতাব পড়ে থাকে। أصب শব্দের অর্থ ঝুঁকে পড়া।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৪৮, ৩৫৭১; মুসলিম ৫/৫৫, হাঃ ৬৮২ আহমদ ১৯৯১৯] [আ.প্র. ৩৩১, ই.ফা. ৩৩৭]
ফুটনোটঃ
সূরা ইউসুফের ৩৩নং আয়াতে এ শব্দটি এসেছে।
وَيُذْكَرُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ العَاصِ: ” أَجْنَبَ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ، فَتَيَمَّمَ وَتَلَا: {وَلَا تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا} [النساء: ٢٩] فَذَكَرَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُعَنِّفْ “
‘আমর ইব্নুল ‘আস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর ঘটনা, তিনি জুনুবী হয়ে পড়লে তায়াম্মুম করলেন। আর (এ প্রসঙ্গে) তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন: তোমরা নিজেদের হত্যা করো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। [৪:২৯] এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করা হলে তিনি তাকে দোষারোপ করেননি।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٤٥ – حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ غُنْدَرٌ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: قَالَ أَبُو مُوسَى لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ: «إِذَا لَمْ يَجِدِ المَاءَ لَا يُصَلِّي؟» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: لَوْ رَخَّصْتُ لَهُمْ فِي هَذَا كَانَ إِذَا وَجَدَ أَحَدُهُمُ البَرْدَ قَالَ: هَكَذَا – يَعْنِي تَيَمَّمَ – وَصَلَّى، قَالَ: قُلْتُ: «فَأَيْنَ قَوْلُ عَمَّارٍ لِعُمَرَ؟» قَالَ: إِنِّي لَمْ أَرَ عُمَرَ قَنِعَ بِقَوْلِ عَمَّارٍ
বিশ্র ইব্ন খালিদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মুহা’ম্মাদ তিনি গুন্দার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে খবর দিলেন সুলায়মান থেকে, তিনি আবূ ওয়াইল (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আবূ মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু মাস’ঊদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে জিজ্ঞেস করলেন: (অপবিত্র ব্যক্তি) পানি না পেলে কি সালাত আদায় করবে না? ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: হাঁ, আমি একমাসও যদি পানি না পাই তবে সালাত আদায় করবো না। এ ব্যাপারে যদি লোকদের অনুমতি দেই তা হলে তারা একটু শীত বোধ করলেই এরূপ করতে থাকবে। অর্থাৎ তায়াম্মুম করে সালাত আদায় করবে। আবূ মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: তাহলে ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর সামনে ‘আম্মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর কথার তাৎপর্য কী হবে? তিনি উত্তরে বললেন: ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ‘আম্মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর কথায় সন্তুষ্ট হয়েছেন বলে আমি মনে করি না।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٤٦ – حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ: سَمِعْتُ شَقِيقَ بْنَ سَلَمَةَ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَبِي مُوسَى، فَقَالَ لَهُ أَبُو مُوسَى: أَرَأَيْتَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِذَا أَجْنَبَ فَلَمْ يَجِدْ مَاءً، كَيْفَ يَصْنَعُ؟ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: لَا يُصَلِّي حَتَّى يَجِدَ المَاءَ، فَقَالَ أَبُو مُوسَى: فَكَيْفَ تَصْنَعُ بِقَوْلِ عَمَّارٍ حِينَ قَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَانَ يَكْفِيكَ» قَالَ: أَلَمْ تَرَ عُمَرَ لَمْ يَقْنَعْ بِذَلِكَ، فَقَالَ أَبُو مُوسَى: فَدَعْنَا مِنْ قَوْلِ عَمَّارٍ كَيْفَ تَصْنَعُ بِهَذِهِ الآيَةِ؟ فَمَا دَرَى عَبْدُ اللَّهِ مَا يَقُولُ، فَقَالَ: إِنَّا لَوْ رَخَّصْنَا لَهُمْ فِي هَذَا لَأَوْشَكَ إِذَا بَرَدَ عَلَى أَحَدِهِمُ المَاءُ أَنْ يَدَعَهُ وَيَتَيَمَّمَ فَقُلْتُ لِشَقِيقٍ فَإِنَّمَا كَرِهَ عَبْدُ اللَّهِ لِهَذَا؟ قَالَ: «نَعَمْ»
‘উমার ইব্ন হা’ফস্ব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমার পিতা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আ‘মাশ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমি শাক্বীক্ব ইব্ন সলামাহ থেকে শুনেছি, তিনি বলেন: আমি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু মাস’ঊদ ও আবূ মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর নিকট ছিলাম। তাঁকে আবূ মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: হে আবূ ‘আবদুর রহমান। কেউ অপবিত্র হলে যদি পানি না পায় তবে কী করবে? তখন ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: পানি না পাওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করবে না। আবূ মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: তা হলে ‘আম্মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর কথার উত্তরে আপনি কী বলবেন? তাঁকে যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন (তায়াম্মুম করে নেয়া) তোমার জন্য যথেষ্ট ছিল। ‘আবদুল্লাহ্ (ইব্নু মাস’ঊদ) (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: তুমি দেখ না ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ‘আম্মারের এই কথায় সন্তুষ্ট ছিলেন না? আবূ মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) পুনরায় বললেন ‘আম্মারের কথা বাদ দিলেও তায়াম্মুমের আয়াতের কী ব্যাখ্যা করবেন? ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এর কোন উত্তর দিতে পারলেন না। তিনি তবুও বললেন: আমরা যদি লোকদের তার অনুমতি দিয়ে দেই তাহলে আশঙ্কা হয়, কারো নিকট পানি ঠাণ্ডা মনে হলেই তায়াম্মুম করবে। রাবী আ’মাশ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: আমি শাক্বীক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে প্রশ্ন করলাম, “আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এ কারণে কি তায়াম্মুম অপছন্দ করেছিলেন?” তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٤٧ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَامٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، فَقَالَ لَهُ أَبُو مُوسَى: لَوْ أَنَّ رَجُلًا أَجْنَبَ فَلَمْ يَجِدِ المَاءَ شَهْرًا، أَمَا كَانَ يَتَيَمَّمُ وَيُصَلِّي، فَكَيْفَ تَصْنَعُونَ بِهَذِهِ الْآيَةِ فِي سُورَةِ المَائِدَةِ: {فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا} [النساء: ٤٣] فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: لَوْ رُخِّصَ لَهُمْ فِي هَذَا لَأَوْشَكُوا إِذَا بَرَدَ عَلَيْهِمُ المَاءُ أَنْ يَتَيَمَّمُوا الصَّعِيدَ. قُلْتُ: وَإِنَّمَا كَرِهْتُمْ هَذَا لِذَا؟ قَالَ: نَعَمْ، فَقَالَ أَبُو مُوسَى: أَلَمْ تَسْمَعْ قَوْلَ عَمَّارٍ لِعُمَرَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَاجَةٍ، فَأَجْنَبْتُ فَلَمْ أَجِدِ المَاءَ، فَتَمَرَّغْتُ فِي الصَّعِيدِ كَمَا تَمَرَّغُ الدَّابَّةُ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَصْنَعَ هَكَذَا، فَضَرَبَ بِكَفِّهِ ضَرْبَةً عَلَى الأَرْضِ، ثُمَّ نَفَضَهَا، ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا ظَهْرَ كَفِّهِ بِشِمَالِهِ أَوْ ظَهْرَ شِمَالِهِ بِكَفِّهِ، ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ» فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: أَفَلَمْ تَرَ عُمَرَ لَمْ يَقْنَعْ بِقَوْلِ عَمَّارٍ؟ وَزَادَ يَعْلَى، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ: كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبِي مُوسَى، فَقَالَ أَبُو مُوسَى: أَلَمْ تَسْمَعْ قَوْلَ عَمَّارٍ لِعُمَرَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَنِي أَنَا وَأَنْتَ، فَأَجْنَبْتُ فَتَمَعَّكْتُ بِالصَّعِيدِ، فَأَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْنَاهُ، فَقَالَ: «إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ هَكَذَا. وَمَسَحَ وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ وَاحِدَةً»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন সালাম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ মু‘আবিয়াহ আমাদেরকে খবর দিলেন আ‘মাশ থেকে, তিনি শাক্বীক (রহমাহুল্লাহ) থেকে, তিনি বলেন: আমি ‘আবদুল্লাহ্ (ইব্নু মাস’ঊদ) ও আবূ মূসা আশ’আরী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর সঙ্গে বসা ছিলাম। আবু মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে বললেন: কোন ব্যক্তি জুনুবী হলে সে যদি এক মাস পর্যন্ত পানি না পায়, তা হলে কি সে তায়াম্মুম করে সালাত আদায় করবে না? শাক্বীক (রহমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: এক মাস পানি না পেলেও সে তায়াম্মুম করবে না। তখন তাঁকে আবূ মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: তাহলে সূরা মায়িদাহ্র এ আয়াত সম্পর্কে কী করবেন যে, “পানি না পেলে পাক মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে”- (সূরা আল-মায়িদা ৫/৬)। আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) জওয়াব দিলেন, মানুষকে সেই অনুমতি দিলে অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছার সম্ভাবনা রয়েছে যে, সামান্য ঠান্ডা লাগলেই লোকেরা মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে। আমি বললাম আপনারা এ জন্যেই কি তা অপছন্দ করেন? তিনি জবাব দিলেন, হাঁ। আবূ মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: আপনি কি ‘উমর ইব্নু খাত্তাব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)–এর সম্মুখে ‘আম্মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর এ কথা শোনেননি যে, আমাকে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটা প্রয়োজনে বাইরে পাঠিয়েছিলেন। সফরে আমি জুনুবী হয়ে পড়লাম এবং পানি পেলাম না। এজন্য আমি জন্তুর মত মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম। পরে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট ঘটনাটি বর্ণনা করলাম। তখন তিনি বললেন: তোমার জন্য তো এটুকুই যথেষ্ট ছিল- এই বলে তিনি দু’ হাত মাটিতে মারলেন, তারপর তা ঝেড়ে নিলেন এবং তা দিয়ে তিনি বাম হাতে ডান হাতের পিঠ মাস্হ করলেন কিংবা রাবী বলেছেন, বাম হাতের পিঠ ডান হাতে মাস্হ করলেন। তারপর হাত দু’টো দিয়ে তাঁর মুখমন্ডল মাস্হ করলেন। ‘আবদুল্লাহ্ বললেন: আপনি দেখেন নি যে, ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ‘আম্মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর কথায় সন্তুষ্ট হননি? ইয়া’লা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আ’মাশ (রহমাহুল্লাহ) হতে এবং তিনি শাক্বীক (রহমাহুল্লাহ) হতে আরো বলেছেন যে, তিনি বললেন: আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ও আবূ মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)–এর নিকট হা্যির ছিলাম: আবূ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলছিলেন: আপনি ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হতে ‘আম্মারের এ কথা শোনেননি যে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ও আপনাকে বাইরে পাঠিয়েছিলেন। তখন আমি জুনুবী হয়ে গিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়েছিলাম। তারপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এসে এ বিষয় তাঁকে জানালাম। তখন তিনি বললেন: তোমার জন্য এই যথেষ্ট ছিল- এ বলে তিনি তাঁর মুখমন্ডল ও দু’ হাত একবার মাস্হ করলেন?
অনুরূপ বর্ণনা : [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٤٨ – حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَوْفٌ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ الخُزَاعِيُّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَجُلًا مُعْتَزِلًا لَمْ يُصَلِّ فِي القَوْمِ، فَقَالَ: «يَا فُلَانُ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ فِي القَوْمِ؟» فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ: أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ وَلَا مَاءَ، قَالَ: «عَلَيْكَ بِالصَّعِيدِ فَإِنَّهُ يَكْفِيكَ»
‘আবদান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল্লাহ আমাদেরকে খবর দিলেন, তিনি বললেন: ‘আওফ আমাদেরকে খাবর দিলেন আবূ রাজা’ থেকে, তিনি বললেন: ‘ইমরান ইব্নু হুসায়ন আল-খু্যা’ঈ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যাক্তিকে জামা’আতে সালাত আদায় না করে পৃথক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন। তিনি লোকটিকে ডেকে বললেন: হে অমুক! তুমি জামা’আতে সালাত আদায় করলে না কেন? লোকটি বললো: হে আল্লাহর রসূল! আমার গোসলের প্রয়োজন হয়েছিল, কিন্তু পানি নেই। তিনি বললেন: তুমি পবিত্র মাটির ব্যবহার (তায়াম্মুম) করবে। তা-ই তোমার জন্য যথেষ্ট।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ]
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سُفْيَانَ، فِي حَدِيثِ هِرَقْلَ، فَقَالَ: يَأْمُرُنَا يَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بِالصَّلَاةِ وَالصِّدْقِ وَالعَفَافِ»
ইব্ন ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: আমার কাছে আবূ সুফিয়ান ইব্ন হারব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হিরাকল-এর হাদীসে বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি এ কথাও বলেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সালাত, সত্যবাদীতা ও চারিত্রিক পবিত্রতার নির্দেশ দিয়েছেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٤٩ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: كَانَ أَبُو ذَرٍّ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” فُرِجَ عَنْ سَقْفِ بَيْتِي وَأَنَا بِمَكَّةَ، فَنَزَلَ جِبْرِيلُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَفَرَجَ صَدْرِي، ثُمَّ غَسَلَهُ بِمَاءِ زَمْزَمَ، ثُمَّ جَاءَ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مُمْتَلِئٍ حِكْمَةً وَإِيمَانًا، فَأَفْرَغَهُ فِي صَدْرِي، ثُمَّ أَطْبَقَهُ، ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي، فَعَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، فَلَمَّا جِئْتُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، قَالَ جِبْرِيلُ: لِخَازِنِ السَّمَاءِ افْتَحْ، قَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ هَذَا جِبْرِيلُ، قَالَ: هَلْ مَعَكَ أَحَدٌ؟ قَالَ: نَعَمْ مَعِي مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَلَمَّا فَتَحَ عَلَوْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا، فَإِذَا رَجُلٌ قَاعِدٌ عَلَى يَمِينِهِ أَسْوِدَةٌ، وَعَلَى يَسَارِهِ أَسْوِدَةٌ، إِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَمِينِهِ ضَحِكَ، وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَسَارِهِ بَكَى، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالِابْنِ الصَّالِحِ، قُلْتُ لِجِبْرِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا آدَمُ، وَهَذِهِ الأَسْوِدَةُ عَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ نَسَمُ بَنِيهِ، فَأَهْلُ اليَمِينِ مِنْهُمْ أَهْلُ الجَنَّةِ، وَالأَسْوِدَةُ الَّتِي عَنْ شِمَالِهِ أَهْلُ النَّارِ، فَإِذَا نَظَرَ عَنْ يَمِينِهِ ضَحِكَ، وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ شِمَالِهِ بَكَى حَتَّى عَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّانِيَةِ، فَقَالَ لِخَازِنِهَا: افْتَحْ، فَقَالَ لَهُ خَازِنِهَا مِثْلَ مَا قَالَ الأَوَّلُ: فَفَتَحَ، – قَالَ أَنَسٌ: فَذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ فِي السَّمَوَاتِ آدَمَ، وَإِدْرِيسَ، وَمُوسَى، وَعِيسَى، وَإِبْرَاهِيمَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ، وَلَمْ يُثْبِتْ كَيْفَ مَنَازِلُهُمْ غَيْرَ أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ آدَمَ فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا وَإِبْرَاهِيمَ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ، قَالَ أَنَسٌ – فَلَمَّا مَرَّ جِبْرِيلُ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِدْرِيسَ قَالَ: مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالأَخِ الصَّالِحِ، فَقُلْتُ مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا إِدْرِيسُ، ثُمَّ مَرَرْتُ بِمُوسَى فَقَالَ: مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالأَخِ الصَّالِحِ، قُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا مُوسَى، ثُمَّ مَرَرْتُ بِعِيسَى فَقَالَ: مَرْحَبًا بِالأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ، قُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا عِيسَى، ثُمَّ مَرَرْتُ بِإِبْرَاهِيمَ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالِابْنِ الصَّالِحِ، قُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا إِبْرَاهِيمُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ “، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَأَخْبَرَنِي ابْنُ حَزْمٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَأَبَا حَبَّةَ الأَنْصَارِيَّ، كَانَا يَقُولَانِ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ثُمَّ عُرِجَ بِي حَتَّى ظَهَرْتُ لِمُسْتَوَى أَسْمَعُ فِيهِ صَرِيفَ الأَقْلَامِ»، قَالَ ابْنُ حَزْمٍ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” فَفَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى أُمَّتِي خَمْسِينَ صَلَاةً، فَرَجَعْتُ بِذَلِكَ، حَتَّى مَرَرْتُ عَلَى مُوسَى، فَقَالَ: مَا فَرَضَ اللَّهُ لَكَ عَلَى أُمَّتِكَ؟ قُلْتُ: فَرَضَ خَمْسِينَ صَلَاةً، قَالَ: فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ ذَلِكَ، فَرَاجَعْتُ، فَوَضَعَ شَطْرَهَا، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى، قُلْتُ: وَضَعَ شَطْرَهَا، فَقَالَ: رَاجِعْ رَبَّكَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ، فَرَاجَعْتُ فَوَضَعَ شَطْرَهَا، فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ ذَلِكَ، فَرَاجَعْتُهُ، فَقَالَ: هِيَ خَمْسٌ، وَهِيَ خَمْسُونَ، لَا يُبَدَّلُ القَوْلُ لَدَيَّ، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى، فَقَالَ: رَاجِعْ رَبَّكَ، فَقُلْتُ: اسْتَحْيَيْتُ مِنْ رَبِّي، ثُمَّ انْطَلَقَ بِي، حَتَّى انْتَهَى بِي إِلَى سِدْرَةِ المُنْتَهَى، وَغَشِيَهَا أَلْوَانٌ لَا أَدْرِي مَا هِيَ؟ ثُمَّ أُدْخِلْتُ الجَنَّةَ، فَإِذَا فِيهَا حَبَايِلُ اللُّؤْلُؤِ وَإِذَا تُرَابُهَا المِسْكُ “
ইয়াহ’ইয়া ইব্ন বুকায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লায়স আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইঊনুস থেকে, তিনি ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আবূ যার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: আমি মক্কায় থাকা অবস্থায় আমার গৃহের ছাদ উন্মুক্ত করা হ’ল। অতঃপর জিব্রীল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবতীর্ণ হয়ে আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। আর তা যমযমের পানি দ্বারা ধৌত করলেন। অতঃপর হিকমাত ও ঈমানে ভর্তি একটি সোনার পাত্র নিয়ে আসলেন এবং তা আমার বুকের মধ্যে ঢেলে দিয়ে বন্ধ করে দিলেন। অতঃপর হাত ধরে আমাকে দুনিয়ার আকাশের দিকে নিয়ে চললেন। পরে যখন দুনিয়ার আকাশে আসলাম জিব্রীল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসমানের রক্ষককে বললেনঃ দরজা খোল। আসমানের রক্ষক বললেনঃ কে আপনি? জিব্রীল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আমি জিব্রীল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। (আকাশের রক্ষক) বললেন: আপনার সঙ্গে কেউ রয়েছেন কি? জিব্রীল বললেন: হাঁ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রয়েছেন। অতঃপর রক্ষক বললেন: তাকে কি ডাকা হয়েছে? জিব্রীল বললেন: হাঁ। অতঃপর যখন আমাদের জন্য দুনিয়ার আসমানকে খুলে দেয়া হল আর আমরা দুনিয়ার আসমানে প্রবেশ করলাম তখন দেখি সেখানে এমন এক ব্যক্তি উপবিষ্ট রয়েছেন যার ডান পাশে অনেকগুলো মানুষের আকৃতি রয়েছে আর বাম পাশে রয়েছে অনেকগুলো মানুষের আকৃতি। যখন তিনি ডান দিকে তাকাচ্ছেন হেসে উঠছেন আর যখন বাম দিকে তাকাচ্ছেন কাঁদছেন। অতঃপর তিনি বললেন: স্বাগতম ওহে সৎ নবী ও সৎ সন্তান। আমি (রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিব্রীল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললাম: কে এই ব্যক্তি? তিনি জবাব দিলেন: ইনি হচ্ছেন আদম (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। আর তাঁর ডানে বামে রয়েছে তাঁর সন্তানদের রূহ। তার মধ্যে ডান দিকের লোকেরা জান্নাতী আর বাম দিকের লোকেরা জাহান্নামী। ফলে তিনি যখন ডান দিকে তাকান তখন হাসেন আর যখন বাম দিকে তাকান তখন কাঁদেন। অতঃপর জিব্রীল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে নিয়ে দ্বিতীয় আসমানে উঠলেন। অতঃপর তার রক্ষককে বললেন: দরজা খোল। তখন এর রক্ষক প্রথম রক্ষকের মতই প্রশ্ন করলেন। পরে দরজা খুলে দেয়া হল। আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: আবূ যার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) উল্লেখ করেন যে, তিনি [রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] আসমানসমূহে আদম, ইদরীস, মূসা, ‘ঈসা এবং ইব্রাহীম (‘আলাইহিমুস সালাম)-কে পান। কিন্তু আবূ যার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাদের স্থানসমূহ নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। তবে এতটুকু উল্লেখ করেছেন যে, তিনি আদম (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দুনিয়ার আকাশে এবং ইব্রাহীম (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ষষ্ঠ আসমানে পান।
আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: জিব্রীল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নিয়ে ইদরীস (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন তখন ইদরীস (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: মারহাবা ওহে সৎ ভাই ও পুণ্যবান নবী। আমি (রসূলুল্লাহ্) বললাম: ইনি কে? জিব্রীল বললেন: ইনি হচ্ছেন ইদরীস (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। অতঃপর আমি মূসা (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করাকালে তিনি বলেন: মারহাবা হে সৎ নবী ও পুণ্যবান ভাই। আমি বললাম: ইনি কে? জিব্রীল বললেন: ইনি মূসা (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। অতঃপর আমি ‘ঈসা (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করাকালে তিনি বলেন: মারহাবা হে সৎ নবী ও পুণ্যবান ভাই। আমি বললাম: ইনি কে? জিব্রীল বললেন: ইনি হচ্ছেন ‘ঈসা (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। অতঃপর আমি ইব্রাহীম (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলে তিনি বলেন: মারহাবা হে পুণ্যবান নবী ও নেক সন্তান। আমি বললাম: ইনি কে? জিব্রীল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: ইনি হচ্ছেন ইব্রাহীম (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। ইব্নু শিহাব বলেন: ইব্নু হায্ম (রহমাহুল্লাহ) আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, ইব্নু ‘আব্বাস ও আবূ হাব্বা আল-আনসারী উভয়ে বলতেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: অতঃপর আমাকে আরো উপরে উঠানো হল অতঃপর এমন এক সমতল স্থানে এসে আমি উপনীত হই যেখানে আমি লেখার শব্দ শুনতে পাই। ইব্নু হায্ম ও আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: অতঃপর আল্লাহ আমার উম্মাতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করে দেন। অতঃপর তা নিয়ে আমি ফিরে আসি। অবশেষে যখন মূসা (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করি তখন তিনি বললেন: আল্লাহ তা’আলা আপনার উম্মাতের উপর কি ফরয করেছেন? আমি বললাম: পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তিনি বললেন: আপনি আপনার পালনকর্তার নিকট ফিরে যান, কেননা আপনার উম্মাত তা পালন করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। আল্লাহ তা’আলা কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মূসা (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পুনরায় গেলাম আর বললাম: কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন: আপনি পুনরায় আপনার রবের নিকট ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মাত এটিও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরো কিছু অংশ কমিয়ে দেয়া হল। আবারো মূসা (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গেলাম, এবারো তিনি বললেন: আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের নিকট যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি পুনরায় গেলাম, তখন আল্লাহ বললেন: এই পাঁচই (নেকির দিক দিয়ে) পঞ্চাশ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোন রদবদল হয় না। আমি পুনরায় মূসা (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলে তিনি আমাকে আবারও বললেন: আপনার প্রতিপালকের নিকট পুনরায় যান। আমি বললাম: পুনরায় আমার প্রতিপালকের নিকট যেতে আমি লজ্জাবোধ করছি। অতঃপর জিব্রীল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা ১ পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। আর তখন তা বিভিন্ন রঙে আবৃত ছিল, যার তাৎপর্য আমি অবগত ছিলাম না। অতঃপর আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হলে আমি দেখতে পেলাম যে, তাতে রয়েছে মুক্তোমালা আর তার মাটি হচ্ছে কস্তুরী।
অনুরূপ বর্ণনা : [১৬৩৬, ৩৩৪২; মুসলিম ১/৭৪, হাঃ ১৬৩, আহমাদ ২১১৯৩] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪২]
ফুটনোটঃ
১. সিদরাতুল মুনতাহাঃ উর্দ্ধাকাশে মালাকগণের চলাচলের শেষ সীমানায় একটি কুল বৃক্ষ আছে সেই কুল বৃক্ষটিকে সিদরাতুল মুনতাহা বলা হয়।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٥٠ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ المُؤْمِنِينَ، قَالَتْ: «فَرَضَ اللَّهُ الصَّلَاةَ حِينَ فَرَضَهَا، رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ، فِي الحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الحَضَرِ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইঊসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন স্বালিহ’ ইব্ন কায়েস থেকে, তিনি ‘উরওয়াহ ইব্ন যুবায়র থেকে, তিনি উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহ তা’আলা মুকীম অবস্থায় ও সফরে দু’রাক’আত সালাত ফরয করেছিলেন। পরে সফরের সালাত আগের মত রাখা হয় আর মুকীম অবস্থার সালাত বাড়িয়ে দেয়া হয়।
অনুরূপ বর্ণনা : [১০৯০, ৩৯৩৫; মুসলিম ৬/১, হাঃ ৬৮৫] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪৩]
وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {خُذُوا زِينَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ} [الأعراف: ٣١] وَمَنْ صَلَّى مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ ” وَيُذْكَرُ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَزُرُّهُ وَلَوْ بِشَوْكَةٍ فِي إِسْنَادِهِ نَظَرٌ» وَمَنْ صَلَّى فِي الثَّوْبِ الَّذِي يُجَامِعُ فِيهِ مَا لَمْ يَرَ أَذًى «وَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَا يَطُوفَ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ»
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন: “তোমরা প্রত্যেকে সালাতের সময় সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান করবে” (৭:৩১)
এক বস্ত্র শরীরে জড়িয়ে সালাত আদায় করা। সালামা ইব্নুল আকওয়া (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা জামায় বোতাম লাগিয়ে নাও এমন কি কাঁটা দিয়ে হলেও। এই হাদীসের সনদ সম্পর্কে কথা আছে। যে কাপড় পড়ে স্ত্রী সহবাস করা হয়েছে তাতে কোন নাপাকি দেখা না গেলে তা পরিধান করে সালাত আদায় করা যায়। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশ দিয়েছেন যে, উলঙ্গ অবস্থায় যেন কেউ বায়তুল্লাহর তাওয়াফ না করে।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٥١ – حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ: أُمِرْنَا أَنْ نُخْرِجَ الحُيَّضَ يَوْمَ العِيدَيْنِ، وَذَوَاتِ الخُدُورِ فَيَشْهَدْنَ جَمَاعَةَ المُسْلِمِينَ، وَدَعْوَتَهُمْ وَيَعْتَزِلُ الحُيَّضُ عَنْ مُصَلَّاهُنَّ، قَالَتِ امْرَأَةٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِحْدَانَا لَيْسَ لَهَا جِلْبَابٌ؟ قَالَ: «لِتُلْبِسْهَا صَاحِبَتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا»، وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ: حَدَّثَنَا عِمْرَانُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، حَدَّثَتْنَا أُمُّ عَطِيَّةَ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا
মূসা ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াযীদ ইব্ন ইবরাহীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মুহা’ম্মাদ থেকে, তিনি উম্মু ‘আতিয়্যা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিবসে ঋতুবতী এবং পর্দানশীন নারীদের বের করে আনার নির্দেশ দিলেন, যাতে তারা মুসলমানদের জামা’আতে অংশ গ্রহণ করতে পারে। অবশ্য ঋতুবতী নারীগণ সালাতের জায়গা হতে দূরে অবস্থান করবে। এক মহিলা বললেন: হে আল্লাহ্র রসূল! আমাদের কারো কারো ওড়না নেই। তিনি বললেন, “তার সাথীর উচিত তাকে নিজের ওড়না পরিয়ে দেয়া”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ৩৩৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪৪]
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু রাজা’ (রহমাহুল্লাহ) সূত্রে ‘আতিয়্যা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এরূপ বলতে শুনেছি।
وَقَالَ أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ: «صَلَّوْا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَاقِدِي أُزْرِهِمْ عَلَى عَوَاتِقِهِمْ»
আর আবূ হাযিম (রহমাহুল্লাহ) সাহল ইব্ন সা’দ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণনা করেন যে, সাহাবায়ে কিরাম নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে তহবন্দ কাঁধে বেঁধে সালাত আদায় করেছিলেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٥٢ – حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي وَاقِدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ المُنْكَدِرِ، قَالَ: «صَلَّى جَابِرٌ فِي إِزَارٍ قَدْ عَقَدَهُ مِنْ قِبَلِ قَفَاهُ وَثِيَابُهُ مَوْضُوعَةٌ عَلَى المِشْجَبِ»، قَالَ لَهُ قَائِلٌ: تُصَلِّي فِي إِزَارٍ وَاحِدٍ؟، فَقَالَ: «إِنَّمَا صَنَعْتُ ذَلِكَ لِيَرَانِي أَحْمَقُ مِثْلُكَ وَأَيُّنَا كَانَ لَهُ ثَوْبَانِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
মুহাম্মাদ ইব্নুল মুনকাদির (রহমাহুল্লাহ) থেকে, তিনি বলেনঃ একদা জাবির (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কাঁধে লুঙ্গি বেঁধে সালাত আদায় করেন। আর তাঁর কাপড় (জামা) আলনায় রাখা ছিল। তখন তাঁকে এক ব্যক্তি বললোঃ আপনি যে এক লুঙ্গি পরে সালাত আদায় করলেন? তিনি জবাবে বললেনঃ তোমার মত আহাম্মকদের দেখানোর জন্য আমি এমন করেছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে আমাদের কার দু’টো কাপড় ছিল?
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৫৩, ৩৬১, ৩৭০ দ্রষ্টব্য] [আধুনিক প্রকাশনীঃ৩৩৯ , ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٥٣ – حَدَّثَنَا مُطَرِّفٌ أَبُو مُصْعَبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي المَوَالِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ المُنْكَدِرِ، قَالَ: رَأَيْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يُصَلِّي فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، وَقَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِي ثَوْبٍ»
মুহাম্মাদ ইব্নুল মুনকাদির (রহমাহুল্লাহ) থেকে, তিনি বলেনঃ আমি জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে এক কাপড়ে সালাত আদায় করতে দেখেছি। আর তিনি বলেছেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এক কাপড়ে সালাত আদায় করতে দেখেছি।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৫২; মুসলিম, ৪/৫২, হাঃ ৫১৮, আহমাদ ১৫১৩৩] [আধুনিক প্রকাশনীঃ৩৪০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪৬]
قَالَ الزُّهْرِيُّ: ” فِي حَدِيثِهِ المُلْتَحِفُ المُتَوَشِّحُ: وَهُوَ المُخَالِفُ بَيْنَ طَرَفَيْهِ عَلَى عَاتِقَيْهِ، وَهُوَ الِاشْتِمَالُ عَلَى مَنْكِبَيْهِ ” قَالَ: قَالَتْ أُمُّ هَانِئٍ: «التَحَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَوْبٍ وَخَالَفَ بَيْنَ طَرَفَيْهِ عَلَى عَاتِقَيْهِ»
যুহরী (রহমাহুল্লাহ) তাঁর হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, مُلْتَحِفُ -এর অর্থ مُتَوَشِّحُ -আর্থ্যাৎ যে চাদরের উভয় অংশ বিপরীতে কাঁধে রাখে। এভাবে কাঁধের উপর চাদর রাখাকে ইশতিমাল বলে। উম্মে হানী (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক চাদর গায় দিলেন এবং তিনি চাদরের উভয় প্রান্ত বিপরীত কাঁধে রাখলেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٥٤ – حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ قَدْ خَالَفَ بَيْنَ طَرَفَيْهِ»
‘উবায়দুল্লাহ ইব্ন মূসা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হিশাম ইব্ন ‘উরওয়াহআমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘উমর ইব্নু আবূ সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি মাত্র কাপড় পরিধান করে সালাত আদায় করেছেন, যার উভয় প্রান্ত বিপরীত দিকে রেখেছিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৫৫, ৩৫৬; মুসলিম ৪/৫২, হাঃ ৫১৭, আহমাদ ২৭৬০] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٥٥ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهُ «رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ قَدْ أَلْقَى طَرَفَيْهِ عَلَى عَاتِقَيْهِ»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন মুছান্না আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হিশাম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমার পিতা আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উমর ইব্নু আবূ সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে উম্মু সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা)-এর ঘরে একটি মাত্র কাপড় পরিধান করে সালাত আদায় করতে দেখেছেন। তিনি [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] সে কাপড়ের উভয় প্রান্ত নিজের উভয় কাঁধে রেখেছিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٥٦ – حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ أَخْبَرَهُ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ مُشْتَمِلًا بِهِ فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ وَاضِعًا طَرَفَيْهِ عَلَى عَاتِقَيْهِ»
‘উবায়দুল্লাহ ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ উসামাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হিশাম থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘উমর ইব্নু আবূ সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটি মাত্র পোষাক জড়িয়ে উম্মু সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা)-এর ঘরে সালাত আদায় করতে দেখেছি, যার প্রান্তদ্বয় তাঁর দুই কাঁধের উপর রেখেছিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৫৪; মুসলিম ৪/৫২, হাঃ ৫১৭, আহমাদ ১৬৩৩৫] [(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٥٧ – حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّ أَبَا مُرَّةَ مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ، تَقُولُ: ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الفَتْحِ، فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ، قَالَتْ: فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: «مَنْ هَذِهِ» ، فَقُلْتُ: أَنَا أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: «مَرْحَبًا بِأُمِّ هَانِئٍ»، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ، قَامَ فَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، فَلَمَّا انْصَرَفَ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، زَعَمَ ابْنُ أُمِّي أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلًا قَدْ أَجَرْتُهُ، فُلَانَ ابْنَ هُبَيْرَةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ» قَالَتْ أُمُّ هَانِئٍ: وَذَاكَ ضُحًى
ইসমা‘ঈল ইব্ন আবূ উওয়াস আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক ইব্ন আনাস আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উমার ইব্ন ‘উবায়দুল্লাহ-এর স্বাধীন করা গুলাম আবূ নযর থেকে, তিনি উম্মু হানী বিনতি আবূ ত্বালিব এর স্বাধীন করা গুলাম আবা মুর্রাহ থেকে, তিনি উম্মু হানী বিনতু আবূ ত্বলিব (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমি মক্কা বিজয়ের বছর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গিয়ে দেখলাম যে, তিনি গোসল করছেন আর তাঁর মেয়ে ফাতিমা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) তাঁকে আড়াল করে রেখেছেন। তিনি বলেন: আমি তাঁকে সালাম প্রদান করলাম। তিনি জানতে চাইলেন: এ কে? আমি বললাম: আমি উম্মু হানী বিনতু আবূ ত্বলিব। তিনি বললেন: মারহাবা, হে উম্মু হানী! গোসল শেষ করে তিনি এক কাপড় জড়িয়ে আট রাক’আত সালাত আদায় করলেন। সালাত সমাধা করলে তাঁকে আমি বললাম: হে আল্লাহর রসূল! আমার সহোদর ভাই [‘আলী ইব্নু আবূ ত্বলিব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ] এক ব্যক্তিকে হত্যা করতে চায়, অথচ আমি তাকে আশ্রয় দিয়েছি। সে ব্যক্তিটি হুবায়রার ছেলে অমুক। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: হে উম্মু হানী! তুমি যাকে নিরাপত্তা দিয়েছ, আমিও তাকে নিরাপত্তা দিলাম। উম্মু হানী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: এ সময় ছিল চাশতের ওয়াক্ত।
অনুরূপ বর্ণনা : [২৮০; মুসলিম ৩/১৬, হাঃ ৩৩৬, আহমাদ ২৬৯৭৩] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫০]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٥٨ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ سَائِلًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلَاةِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَوَلِكُلِّكُمْ ثَوْبَانِ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি সা‘ঈদ ইব্ন মুসায়্য়িব থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, এক ব্যক্তি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটি কাপড়ে সালাত আদায়ের মাসআলা জিজ্ঞেস করল। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বললেন: তোমাদের প্রত্যেকের কি দু’টি করে কাপড় আছে?
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৬৫; মুসলিম ৪/৫২, হাঃ ৫১৫, আহমাদ ৭১৫২] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫১]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٥٩ – حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يُصَلِّي أَحَدُكُمْ فِي الثَّوْبِ الوَاحِدِ لَيْسَ عَلَى عَاتِقَيْهِ شَيْءٌ»
আবূ ‘আস্বিম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মালিক থেকে, তিনি আবূ যিনাদ থেকে, তিনি ‘আব্দুর রাহমান আ’রাজি থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের কেউ এক কাপড় পরে এমনভাবে যেন সালাত আদায় না করে যে, তার উভয় কাঁধে এর কোন অংশ নেই।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৬০; মুসলিম ৪/৫২, হাঃ ৫১৬, আহমাদ ৭৩১১] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫২]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٦٠ – حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ: سَمِعْتُهُ – أَوْ كُنْتُ سَأَلْتُهُ – قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: أَشْهَدُ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ صَلَّى فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ فَلْيُخَالِفْ بَيْنَ طَرَفَيْهِ»
আবূ নু‘আয়ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শায়বান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইয়াহ’ইয়া ইব্ন আবূ কাছির থেকে, তিনি ‘ইকরামাহ থেকে, তিনি বললেন: আমি শুনলাম বা জিঞ্জাসা করছিলাম আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি এক কাপড়ে সালাত আদায় করে, সে যেন কপড়ের দু’প্রান্ত বিপরীত পাশে রাখে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٦١ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الحَارِثِ، قَالَ: سَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الصَّلَاةِ فِي الثَّوْبِ الوَاحِدِ، فَقَالَ: خَرَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، فَجِئْتُ لَيْلَةً لِبَعْضِ أَمْرِي، فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي، وَعَلَيَّ ثَوْبٌ وَاحِدٌ، فَاشْتَمَلْتُ بِهِ وَصَلَّيْتُ إِلَى جَانِبِهِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «مَا السُّرَى يَا جَابِرُ» فَأَخْبَرْتُهُ بِحَاجَتِي، فَلَمَّا فَرَغْتُ قَالَ: «مَا هَذَا الِاشْتِمَالُ الَّذِي رَأَيْتُ»، قُلْتُ: كَانَ ثَوْبٌ – يَعْنِي ضَاقَ – قَالَ: «فَإِنْ كَانَ وَاسِعًا فَالْتَحِفْ بِهِ، وَإِنْ كَانَ ضَيِّقًا فَاتَّزِرْ بِهِ»
ইয়াহ’ইয়া ইব্ন স্বালিহ’ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ফুলায়হ’ ইব্ন সুলায়মান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন সা’ঈদ ইব্নু হারিস থেকে, তিনি বলেন: আমরা জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে একটি কাপড়ে সালাত আদায় করা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি বললেন: আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে কোন এক সফরে বের হয়েছিলাম। এক রাতে আমি কোন দরকারে তাঁর নিকট গেলাম। দেখলাম, তিনি সালাতে রত আছেন। তখন আমার শরীরে মাত্র একখানা কাপড় ছিল। আমি কাপড় দিয়ে শরীর জড়িয়ে নিলাম আর তাঁর পার্শ্বে সালাতে দাঁড়ালাম। তিনি সালাত শেষ করে জিজ্ঞেস করলেন: জাবির! রাতের বেলা আসার কারণ কী? তখন আমি তাঁকে আমার প্রয়োজনের কথা জানালাম। আমার কাজ শেষ হলে তিনি বললেন: এ কিরূপ জড়ানো অবস্থায় তোমাকে দেখলাম? আমি বললাম: কাপড় একটিই ছিল (তাই এভাবে করেছি)। তিনি বললেন: কাপড় যদি বড় হয়, তাহলে শরীরে জড়িয়ে পরবে। আর যদি ছোট হয় তাহলে লুঙ্গি হিসেবে ব্যবহার করবে।
অনুরূপ বর্ণনা : [৩৫২; মুসলিম ৫৩/১৮, হাঃ ৩০১০] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٦٢ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: كَانَ رِجَالٌ يُصَلُّونَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَاقِدِي أُزْرِهِمْ عَلَى أَعْنَاقِهِمْ، كَهَيْئَةِ الصِّبْيَانِ، وَيُقَالُ لِلنِّسَاءِ: «لَا تَرْفَعْنَ رُءُوسَكُنَّ حَتَّى يَسْتَوِيَ الرِّجَالُ جُلُوسًا»
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন সুফইয়ান থেকে, তিনি বললেন: আবূ হা’যিম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন সাহ্ল ইব্ন সা‘দ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন, লোকেরা শিশুদের মত নিজেদের লুঙ্গি কাঁধে বেঁধে সালাত আদায় করতেন। আর মহিলাদের প্রতি নির্দেশ ছিল যে, তারা যেন পুরুষদের ঠিকমত বসে যাওয়ার পূর্বে সিজদা হতে মাথা না উঠায়।
অনুরূপ বর্ণনা : [৮১৪, ১২১৫; মুসলিম ৪/২৯, হাঃ৪৪১, আহমাদ ১৫৫৬২] [আধুনিক প্রকাশনীঃ৩৪৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ৩৫৫]
وَقَالَ الحَسَنُ: «فِي الثِّيَابِ يَنْسُجُهَا المَجُوسِيُّ لَمْ يَرَ بِهَا بَأْسًا» وَقَالَ مَعْمَرٌ: «رَأَيْتُ الزُّهْرِيَّ يَلْبَسُ مِنْ ثِيَابِ اليَمَنِ مَا صُبِغَ بِالْبَوْلِ» وَصَلَّى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ: فِي ثَوْبٍ غَيْرِ مَقْصُورٍ “
(পূর্বের হাদীসের বর্ণনার পর থেকে) হাসান (রহমাহুল্লাহ) বলেন: মাজুসী (অগ্নিপূজক) দের তৈরী কাপড়ে সালাত আদায় করায় কোন ক্ষতি নেই। আর মা’মার (রহমাহুল্লাহ) বলেন: আমি যুহরী (রহমাহুল্লাহ) কে ইয়ামানের তৈরি কাপড়ে সলাত আদায় করতে দেখেছি, যা পেশাবের দ্বারা রঞ্জিত (কাপড় ধৌত করার পরেও দাগ যায়নি এমন কাপড়) ছিল। ‘আলী ইব্ন আবূ তালীব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) অধোয়া নতুন কাপড়ে সালাত আদায় করেছেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٦٣ – حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَقَالَ: «يَا مُغِيرَةُ خُذِ الإِدَاوَةَ»، فَأَخَذْتُهَا، فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى تَوَارَى عَنِّي، فَقَضَى حَاجَتَهُ، وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ شَأْمِيَّةٌ، فَذَهَبَ لِيُخْرِجَ يَدَهُ مِنْ كُمِّهَا فَضَاقَتْ، فَأَخْرَجَ يَدَهُ مِنْ أَسْفَلِهَا، فَصَبَبْتُ عَلَيْهِ، فَتَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ، وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ، ثُمَّ صَلَّى
ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ মু‘আবিয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আ‘মাশ থেকে, তিনি মুসলিম থেকে, মাসরূক থেকে, তিনি মুগীরা ইব্নু শু’বা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমি কোন এক সফরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। তিনি বললেন: হে মুগীরা! বদনাটি নাও। আমি তা নিলাম। তিনি আমার দৃষ্টির অগোচরে গিয়ে প্রয়োজন সারলেন। তখন তার শরীরে ছিল শামী জুব্বা। তিনি জুব্বার আস্তিন হতে হাত বের করতে চাইলেন। কিন্তু আস্তিন সংকীর্ণ হবার ফলে তিনি নীচের দিক দিয়ে হাত বের করলেন। আমি পানি ঢেলে দিলাম এবং তিনি সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। আর তাঁর উভয় মোজার উপর মাস্হ করলেন ও পরে সালাত আদায় করলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٦٤ – حَدَّثَنَا مَطَرُ بْنُ الفَضْلِ، قَالَ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يُحَدِّثُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَنْقُلُ مَعَهُمُ الحِجَارَةَ لِلْكَعْبَةِ وَعَلَيْهِ إِزَارُهُ»، فَقَالَ لَهُ العَبَّاسُ عَمُّهُ: يَا ابْنَ أَخِي، لَوْ حَلَلْتَ إِزَارَكَ فَجَعَلْتَ عَلَى مَنْكِبَيْكَ دُونَ الحِجَارَةِ، قَالَ: «فَحَلَّهُ فَجَعَلَهُ عَلَى مَنْكِبَيْهِ، فَسَقَطَ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ، فَمَا رُئِيَ بَعْدَ ذَلِكَ عُرْيَانًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
মাত্বার ইব্ন ফয্ল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: রাওহ’ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: যাকারীয়া ইব্ন ইসহা’ক্ব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আম্র ইব্ন দীনার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমি জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনলাম, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (নবুওয়াতের পূর্বে) কুরাইশদের সাথে কা’বার (মেরামতের) জন্যে পাথর তুলে দিচ্ছিলেন। তাঁর পরিধানে ছিল লুঙ্গি। তাঁর চাচা আ’ব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাঁকে বললেন: ভাতিজা! তুমি লুঙ্গি খুলে কাঁধে পাথরের নীচে রাখলে ভাল হ’ত। জাবির (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: তিনি লুঙ্গি খুলে কাঁধে রাখলেন এবং তৎক্ষণাৎ বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। এরপর তাঁকে আর কখনো নগ্ন অবস্থায় দেখা যায়নি।
অনুরূপ বর্ণনা : [১৫৮২, ৩৮২৯; মুসলিম ৩/১৯, হাঃ ৩৪০] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৭]
১. কাবাঃ সাধারণত জামার উপরিভাগে যে ঢিলাঢালা আচকান পরা হয়।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٦٥ – حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَامَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ عَنِ الصَّلَاةِ فِي الثَّوْبِ الوَاحِدِ، فَقَالَ: «أَوَكُلُّكُمْ يَجِدُ ثَوْبَيْنِ» ثُمَّ سَأَلَ رَجُلٌ عُمَرَ، فَقَالَ: «إِذَا وَسَّعَ اللَّهُ فَأَوْسِعُوا»، جَمَعَ رَجُلٌ عَلَيْهِ ثِيَابَهُ، صَلَّى رَجُلٌ فِي إِزَارٍ وَرِدَاءٍ، فِي إِزَارٍ، وَقَمِيصٍ فِي إِزَارٍ وَقَبَاءٍ، فِي سَرَاوِيلَ وَرِدَاءٍ، فِي سَرَاوِيلَ وَقَمِيصٍ، فِي سَرَاوِيلَ وَقَبَاءٍ، فِي تُبَّانٍ وَقَبَاءٍ، فِي تُبَّانٍ وَقَمِيصٍ، قَالَ: وَأَحْسِبُهُ قَالَ: فِي تُبَّانٍ وَرِدَاءٍ
সুলায়মান ইব্ন হা’রব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হা’ম্মাদ ইব্ন যায়দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আয়য়ুব থেকে, তিনি মুহা’ম্মাদ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট দাঁড়িয়ে এক কাপড়ে সালাত আদায়ের হুকুম জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেন: তোমাদের প্রত্যেকের নিকট কি দু’খানা করে কাপড় আছে? অতঃপর এক ব্যক্তি ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেন: আল্লাহ যখন তোমাদের সামর্থ্য দিয়েছেন তখন তোমরাও নিজেদের সামর্থ্য প্রকাশ কর। লোকেরা যেন পুরো পোশাক একত্রে পরিধান করে অর্থাৎ মানুষ লুঙ্গি ও চাদর, লুঙ্গি ও জামা, লুঙ্গি ও কাবা, পায়জামা ও চাদর, পায়জামা ও জামা, পায়জামা ও কাবা, জাঙ্গিয়া ও কাবা, জাঙ্গিয়া ও জামা পরে সালাত আদায় করে। আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন যে, আমার মনে হয় ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) জাঙ্গিয়া ও চাদরের কথাও বলেছিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٦٦ – حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَا يَلْبَسُ المُحْرِمُ؟ فَقَالَ: «لَا يَلْبَسُ القَمِيصَ وَلَا السَّرَاوِيلَ، وَلَا البُرْنُسَ، وَلَا ثَوْبًا مَسَّهُ الزَّعْفَرَانُ، وَلَا وَرْسٌ، فَمَنْ لَمْ يَجِدِ النَّعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسِ الخُفَّيْنِ، وَلْيَقْطَعْهُمَا حَتَّى يَكُونَا أَسْفَلَ مِنَ الكَعْبَيْنِ»، وَعَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
‘আস্বিম ইব্ন ‘আলাআমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন আবূ যি’ব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন যুহ্রী থেকে, তিনি সালাম থেকে, তিনি ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলো, ইহরামকারী কী পরিধান করবে? তিনি বললেন, সে জামা পরবে না, পায়জামা পরবে না, টুপি পরবে না, যাফরান বা ওয়ার্স ১ রঙের রঞ্জিত কাপড় পরবে না। আর জুতা না পেলে মোজা পরবে। তবে তা কর্তন করে পায়ের গিরার নীচ পর্যন্ত নেবে। নাফি’ (রহমাহুল্লাহ), ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৯]
ফুটনোটঃ
১. ওয়ারসঃ এক প্রকার হলুদ রঙের তৃণ জাতীয় সুগন্ধি ।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٦٧ – حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اشْتِمَالِ الصَّمَّاءِ، وَأَنْ يَحْتَبِيَ الرَّجُلُ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، لَيْسَ عَلَى فَرْجِهِ مِنْهُ شَيْءٌ»
আবূ ক্বুতায়বাহ ইব্ন সা‘ঈদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লায়ছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি ‘উবায়দুল্লাহ ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ‘উত্বাহ থেকে, তিনি আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশতিমালে সাম্মা ১ বা আট-শাট করে কাপড় শরীরে জাড়ায়ে পরতে এবং এক কাপড়ে ইয়াহতিবা ২ বা সামনের দিকে দুই হাঁটু খাড়া করে রেখে পাছার উপর ভর করে বসার কারণে লজ্জাস্থানের কাপড় সরে যায় এমন করে বসতে নিষেধ করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬০]
ফুটনোটঃ
১. ইশতিমালে সাম্মাঃ ছিদ্র বিহীন কাপড়ে শরীর এমনভাবে জড়ানো যাতে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নড়াচড়া করতে অসুবিধা হয়।
২. ইয়াহতিবাহঃ সামনে দিকে দুই হাঁটু খাড়া করে রেখে পাছার ভরে বসা যাতে লজ্জাস্থান দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٦٨ – حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «نَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعَتَيْنِ عَنِ اللِّمَاسِ وَالنِّبَاذِ، وَأَنْ يَشْتَمِلَ الصَّمَّاءَ، وَأَنْ يَحْتَبِيَ الرَّجُلُ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ»
ক্বাবীস্বাহ ইব্ন ‘উক্ববাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আবূ যিনাদ থেকে, তিনি আ‘রাজ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’ধরনের ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করেছেন। তা হল লিমাস ৩ ও নিবায ৪ আর ইশতিমালে সাম্মা এবং এক কাপড়ে ইহতিবা করতে নিষেধ করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬১]
ফুটনোটঃ
৩. লিমাসঃ ক্রয়-বিক্রয় এর সময় ক্রেতা দ্রব্যটি স্পর্শ করলেই ক্রয় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়া।
৪. নিবায: মুল্য নির্ধারনের সময় বিক্রেতা ক্রেতার দিকে দ্রব্যটি ছুঁড়ে মারলে কিংবা ক্রেতা দ্রব্যটির দিকে কংকর ছুঁড়ে মারলে ক্রয়-বিক্রয় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়া।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٦٩ – حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: بَعَثَنِي أَبُو بَكْرٍ فِي تِلْكَ الحَجَّةِ فِي مُؤَذِّنِينَ يَوْمَ النَّحْرِ، نُؤَذِّنُ بِمِنًى: أَنْ لَا يَحُجَّ بَعْدَ العَامِ مُشْرِكٌ وَلَا يَطُوفَ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ ” قَالَ حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ: ثُمَّ أَرْدَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا، فَأَمَرَهُ أَنْ يُؤَذِّنَ بِبَرَاءَةٌ، قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَأَذَّنَ مَعَنَا عَلِيٌّ فِي أَهْلِ مِنًى يَوْمَ النَّحْرِ: «لَا يَحُجُّ بَعْدَ العَامِ مُشْرِكٌ وَلَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ»
ইসহা’ক আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়া‘কূব ইব্ন ইবরাহীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন আখী ইব্ন শিহাব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন তাঁর চাচা থেকে, তিনি বললেন: হু’মায়দ ইব্ন আব্দুর রহ’মান ইব্ন ‘আওফ আমাকে খবর দিলেন, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন, আমাকে আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) [যখন আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পক্ষ হতে তাঁকে হজ্জের আমীর বানানো হয়েছিল] কুরবানির দিন ঘোষকদের সাথে মিনায় এ ঘোষণা করার জন্য পাঠালেন যে, এ বছরের পর কোন মুশরিক বায়তুল্লাহ্র হজ্জ করতে পারবে না। আর উলঙ্গ লোকও বায়তুল্লাহ্ ত্বওয়াফ করতে পারবে না। হুমায়দ ইব্নু ‘আব্দুর রহমান (রহমাহুল্লাহ) বলেন, অতঃপর আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আলী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে আবূ বক্র এর পিছনে প্রেরণ করেন আর তাঁকে সূরা বারা’আতের (প্রথম অংশের) ঘোষণা করার নির্দেশ দেন। আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: তখন আমাদের সঙ্গে ‘আলী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কুরবানীর দিন মিনায় ঘোষণা দেন যে, এ বছরের পর হতে আর কোন মুশরিক হজ্জ করতে পারবে না এবং কোন উলঙ্গ ব্যক্তিও আর ত্বওয়াফ করতে পারবে না।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬২]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٧٠ – حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي المَوَالِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ المُنْكَدِرِ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ: وَهُوَ «يُصَلِّي فِي ثَوْبٍ مُلْتَحِفًا بِهِ، وَرِدَاؤُهُ مَوْضُوعٌ»، فَلَمَّا انْصَرَفَ قُلْنَا: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ تُصَلِّي وَرِدَاؤُكَ مَوْضُوعٌ، قَالَ: نَعَمْ، أَحْبَبْتُ أَنْ يَرَانِي الجُهَّالُ مِثْلُكُمْ «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي هَكَذَا»
‘আব্দুল ‘আযীয ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন আবূ মাওয়ালী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মুহাম্মাদ ইব্নুল মুনকাদির (রহমাহুল্লাহ) থেকে, তিনি বলেন, আমি জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর নিকট গিয়ে দেখি তিনি একটি মাত্র কাপড় নিজের শরীরে জড়িয়ে সালাত আদায় করছেন অথচ তাঁর একটি চাদর সেখানে রাখা ছিল। সালাতের পর আমরা বললাম, হে আবূ ‘আবদুল্লাহ্। আপনি সালাত আদায় করেছেন, অথচ আপনার চাদর তুলে রেখেছেন? তিনি বললেন, হাঁ, তোমাদের মত নির্বোধদের দেখানোর জন্য আমি এমন করেছি। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছি।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৩]
وَيُرْوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَجَرْهَدٍ، وَمُحَمَّدِ بْنِ جَحْشٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الفَخِذُ عَوْرَةٌ» وَقَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ: «حَسَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ فَخِذِهِ» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: «وَحَدِيثُ أَنَسٍ أَسْنَدُ، وَحَدِيثُ جَرْهَدٍ أَحْوَطُ حَتَّى يُخْرَجَ مِنَ اخْتِلَافِهِمْ» وَقَالَ أَبُو مُوسَى: «غَطَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رُكْبَتَيْهِ حِينَ دَخَلَ عُثْمَانُ» وَقَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ: «أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَخِذُهُ عَلَى فَخِذِي، فَثَقُلَتْ عَلَيَّ حَتَّى خِفْتُ أَنْ تَرُضَّ فَخِذِي»
আবু ‘আব্দুল্লাহ (রহমাহুল্লাহ) বর্ণনা করেন ইব্ন আব্বাস, জারহাদ ও মুহা’ম্মাদ ইব্ন জাহ্শ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে, তিনি বলেন: ঊরু সতরের অন্তর্ভুক্ত। আর আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঊরু থেকে কাপড় সরিয়েছিলেন (আবু ‘আব্দুল্লাহ বুখারী (রহমাহুল্লাহ) বলেন) সনদের দিক থেকে আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর হাদীস অধিক সহীহ, আর জারহাদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এর হাদীস অধিকতর সতর্কতামূলক। এভাবেই (উম্মাতের মধ্যে) মতবিরোধ এড়াতে পারি। আর আবূ মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেছেন: ‘উসমান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর আগমনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাঁটু ঢেকে নেন। যায়িদ ইব্ন সাবিত (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর ওহী নাযিল করেছেন এমন অবস্থায় যখন তাঁর ঊরু ছিল আমার ঊরুর উপর। আমার কাছে তাঁর ঊরু এত ভারী বোধ হচ্ছিল যে, আমি আশংকা করছিলাম, হয়ত আমার ঊরুর হাড় ভেঙ্গে যাবে।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٧١ – حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا خَيْبَرَ، فَصَلَّيْنَا عِنْدَهَا صَلَاةَ الغَدَاةِ بِغَلَسٍ، فَرَكِبَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَكِبَ أَبُو طَلْحَةَ، وَأَنَا رَدِيفُ أَبِي طَلْحَةَ، فَأَجْرَى نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي زُقَاقِ خَيْبَرَ، وَإِنَّ رُكْبَتِي لَتَمَسُّ فَخِذَ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ حَسَرَ الإِزَارَ عَنْ فَخِذِهِ حَتَّى إِنِّي أَنْظُرُ إِلَى بَيَاضِ فَخِذِ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا دَخَلَ القَرْيَةَ قَالَ: ” اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ {فَسَاءَ صَبَاحُ المُنْذَرِينَ} [الصافات: 177] ” قَالَهَا ثَلَاثًا، قَالَ: وَخَرَجَ القَوْمُ إِلَى أَعْمَالِهِمْ، فَقَالُوا: مُحَمَّدٌ، قَالَ عَبْدُ العَزِيزِ: وَقَالَ بَعْضُ أَصْحَابِنَا: وَالخَمِيسُ – يَعْنِي الجَيْشَ – قَالَ: فَأَصَبْنَاهَا عَنْوَةً، فَجُمِعَ السَّبْيُ، فَجَاءَ دِحْيَةُ الكَلْبِيُّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَعْطِنِي جَارِيَةً مِنَ السَّبْيِ، قَالَ: «اذْهَبْ فَخُذْ جَارِيَةً»، فَأَخَذَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ، فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَعْطَيْتَ دِحْيَةَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ، سَيِّدَةَ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ، لَا تَصْلُحُ إِلَّا لَكَ، قَالَ: «ادْعُوهُ بِهَا» فَجَاءَ بِهَا، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خُذْ جَارِيَةً مِنَ السَّبْيِ غَيْرَهَا»، قَالَ: فَأَعْتَقَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَزَوَّجَهَا، فَقَالَ لَهُ ثَابِتٌ: يَا أَبَا حَمْزَةَ، مَا أَصْدَقَهَا؟ قَالَ: نَفْسَهَا، أَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا، حَتَّى إِذَا كَانَ بِالطَّرِيقِ، جَهَّزَتْهَا لَهُ أُمُّ سُلَيْمٍ، فَأَهْدَتْهَا لَهُ مِنَ اللَّيْلِ، فَأَصْبَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَرُوسًا، فَقَالَ: «مَنْ كَانَ عِنْدَهُ شَيْءٌ فَلْيَجِئْ بِهِ» وَبَسَطَ نِطَعًا، فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالتَّمْرِ، وَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالسَّمْنِ، قَالَ: وَأَحْسِبُهُ قَدْ ذَكَرَ السَّوِيقَ، قَالَ: فَحَاسُوا حَيْسًا، فَكَانَتْ وَلِيمَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
ইয়া‘ক্বূব ইব্ন ইবরাহীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইসমা‘ঈল ইব্ন ‘উলায়য়াহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল ‘আযীয ইব্ন স্বুহায়ব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাইবার অভিযানে বের হয়েছিলেন। সেখানে আমরা খুব ভোরে ফজরের সালাত আদায় করলাম। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওয়ার হলেন। আবূ তাল্হা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-ও সওয়ার হলেন, আর আমি আবূ তালহার পিছনে উপবিষ্ট ছিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সওয়ারীকে খায়বারের পথে চালিত করলেন। আমার হাঁটু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঊরুতে লাগছিল। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ঊরু হতে ইযার সরে গেল। এমনকি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উজ্জ্বলতা যেন এখনও আমি দেখছি। তিনি যখন নগরে প্রবেশ করলেন তখন বললেন: আল্লাহু আকবার। খায়বার ধ্বংস হোক। আমরা যখন কোন কওমের প্রাঙ্গনে অবতরণ করি তখন সতর্কীকৃতদের ভোর হবে কতই না মন্দ! এ কথা তিনি তিনবার উচ্চারণ করলেন। আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন, খায়বারের অধিবাসীরা নিজেদের কাজে বেরিয়েছিল। তারা বলে উঠল, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! ‘আবদুল ‘আযীয (রহমাহুল্লাহ) বলেন: আমাদের কোন কোন সাথী “পুর্ণ বাহিণীসহ” (ওয়াল খামীস) শব্দও যোগ করেছেন। পরে যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা খায়বার জয় করলাম। তখন যুদ্ধবন্দীদের সমবেত করা হল। দিহ্য়া (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এসে বললেন, হে আল্লাহ্র নবী! বন্দীদের হতে আমাকে একটি দাসী দিন। তিনি বললেন, যাও, তুমি একটি দাসী নিয়ে যাও। তিনি সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাজিআল্লাহু ‘আনহা)-কে নিলেন। তখন এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল: ইয়া নবীয়াল্লাহ! বনূ কুরাইযা ও বনূ নাযীরের অন্যতম নেত্রী সাফিয়্যা বিনতে হুয়াইকে আপনি দিহ্য়াকে দিচ্ছেন? তিনি তো একমাত্র আপনারই যোগ্য। তিনি বললেন, দিহ্য়াকে সাফিয়্যা সহ ডেকে আন। তিনি সাফিয়্যাসহ উপস্থিত হলেন। যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফিয়্যা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে দেখলেন তখন (দিহ্য়াকে) বললেন, তুমি বন্দীদের হতে অন্য একটি দাসী দেখে নাও। রাবী বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফিয়্যা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে আযাদ করে দিলেন এবং তাঁকে বিয়ে করলেন। রাবী সাবিত (রহমাহুল্লাহ) আবূ হামযা (আনাস) (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে জিজ্ঞেস করলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে কি মাহর দিলেন? আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) জবাব দিলেন: তাঁকে আযাদ করাই তাঁর মাহর। এর বিনিময়ে তিনি তাঁকে বিয়ে করেছেন। অতঃপর পথে উম্মু সুলায়ম (রারাজিআল্লাহু ‘আনহা) সাফিয়্যা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা)-কে সাজিয়ে রাতে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাহু)-এর খিদমতে পেশ করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাসর রাত যাপন করে ভোরে উঠলেন। তিনি ঘোষণা দিলেন: যার নিকট খাবার কিছু আছে সে যেন তা নিয়ে আসে। এ বলে তিনি একটি চামড়ার দস্তরখান বিছালেন। কেউ খেজুর নিয়ে আসলো, কেউ ঘি আনলো। ‘আবদুল ‘আযীয (রহমাহুল্লাহ) বলেন: আমার মনে হয় আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ছাতুর কথাও উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তাঁরা এসব মিশিয়ে খাবার তৈরি করলেন। এ-ই ছিল রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওয়ালীমাহ।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৪]
وَقَالَ عِكْرِمَةُ: «لَوْ وَارَتْ جَسَدَهَا فِي ثَوْبٍ لَأَجَزْتُهُ»
‘ইকরিমা (রহমাহুল্লাহ) বলেন: যদি একটি কাপড়ে মহিলার সমস্ত শরীর ঢেকে যায় তবে তাতেই সালাত জায়েয হবে।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٧٢ – حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ: لَقَدْ «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الفَجْرَ، فَيَشْهَدُ مَعَهُ نِسَاءٌ مِنَ المُؤْمِنَاتِ مُتَلَفِّعَاتٍ فِي مُرُوطِهِنَّ، ثُمَّ يَرْجِعْنَ إِلَى بُيُوتِهِنَّ مَا يَعْرِفُهُنَّ أَحَدٌ»
আবূ ইয়ামান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘আয়ব আমাদেরকে খবর দিলেন যুহুরী থেকে, তিনি বললেন: ‘উরওয়াহ আমাকে খবর দিলেন ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের সালাত আদায় করতেন আর তাঁর সঙ্গে অনেক মু’মিন মহিলা চাদর দিয়ে গা ঢেকে শরীক হত। অতঃপর তারা নিজ নিজ ঘরে ফিরে যেতো। আর তাদেরকে কেউ চিনতে পারতো না।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٧٣ – حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي خَمِيصَةٍ لَهَا أَعْلَامٌ، فَنَظَرَ إِلَى أَعْلَامِهَا نَظْرَةً، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «اذْهَبُوا بِخَمِيصَتِي هَذِهِ إِلَى أَبِي جَهْمٍ وَأْتُونِي بِأَنْبِجَانِيَّةِ أَبِي جَهْمٍ، فَإِنَّهَا أَلْهَتْنِي آنِفًا عَنْ صَلَاتِي» وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُنْتُ أَنْظُرُ إِلَى عَلَمِهَا، وَأَنَا فِي الصَّلَاةِ فَأَخَافُ أَنْ تَفْتِنَنِي»
আহ’মাদ ইব্ন ইউনুস আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইবরাহীম ইব্ন সা‘দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন শিহাব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা একটি কারুকার্য খচিত চাদর গায়ে দিয়ে সালাত আদায় করলেন। আর সালাতে সে চাদরের কারুকার্যের প্রতি তাঁর দৃষ্টি পরল। সালাত শেষে তিনি বললেন: এ চাদরখানা আবূ জাহমের নিকট নিয়ে যাও, আর তাঁর কাছ হতে আমবিজানিয়্যাহ (কারুকার্য ছাড়া মোটা চাদর) নিয়ে আস। এটা তো আমাকে সালাত থেকে অমনোযোগী করে দিচ্ছিল। হিশাম ইবনে ‘উরওয়া (রহমাহুল্লাহ) তাঁর পিতা হতে এবং তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমি সালাত আদায়ের সময় এর কারুকার্যের প্রতি আমার দৃষ্টি পড়ে। তখন আমি আশংকা করেছিলাম যে, এটা আমাকে ফিতনায় ফেলে দিতে পারে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ৩৬০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٧٤ – حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، كَانَ قِرَامٌ لِعَائِشَةَ سَتَرَتْ بِهِ جَانِبَ بَيْتِهَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمِيطِي عَنَّا قِرَامَكِ هَذَا، فَإِنَّهُ لَا تَزَالُ تَصَاوِيرُهُ تَعْرِضُ فِي صَلَاتِي»
আবূ মা‘মার ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ‘আমর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল ওয়ারিছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল আযীয ইব্ন স্বুহায়ব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আনাস ইব্ন মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর নিকট একটা বিচিত্র রঙের পাতলা পর্দার কাপড় ছিল। তিনি তা ঘরের একদিকে পর্দা হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আমার সামনে থেকে তোমার এই পর্দা সরিয়ে নাও। কারণ সালাত আদায়ের সময় এর ছবিগুলো আমার সামনে ভেসে ওঠে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٧٥ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ: أُهْدِيَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُّوجُ حَرِيرٍ، فَلَبِسَهُ، فَصَلَّى فِيهِ، ثُمَّ انْصَرَفَ، فَنَزَعَهُ نَزْعًا شَدِيدًا كَالكَارِهِ لَهُ، وَقَالَ: «لَا يَنْبَغِي هَذَا لِلْمُتَّقِينَ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লায়ছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইয়াযীদ ইব্ন আবূ হা’বীব থেকে, তিনি আবূল খায়র থেকে, তিনি ‘উকবা ইব্নু ‘আমির (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটা রেশমী জুব্বা হাদিয়া হিসেবে দেয়া হয়েছিল। তিনি তা পরিধান করে সালাত আদায় করলেন। কিন্তু সালাত শেষ হবার সাথে সাথে দ্রুত তা খুলে ফেললেন, যেন তিনি তা পড়া অপছন্দ করছিলেন। অতঃপর তিনি বললেন: মুত্তাকীদের জন্যে এই পোশাক সমীচীন নয়। ১
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৮]
ফুটনোটঃ
১. পুরুষের জন্য রেশমি কাপড় পরিধান হারাম হবার পূর্বের ঘটনা এটি।
হাদীসের মান: সহীহ
376 – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قُبَّةٍ حَمْرَاءَ مِنْ أَدَمٍ، وَرَأَيْتُ بِلَالًا أَخَذَ وَضُوءَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَأَيْتُ النَّاسَ يَبْتَدِرُونَ ذَاكَ الوَضُوءَ، فَمَنْ أَصَابَ مِنْهُ شَيْئًا تَمَسَّحَ بِهِ، وَمَنْ لَمْ يُصِبْ مِنْهُ شَيْئًا أَخَذَ مِنْ بَلَلِ يَدِ صَاحِبِهِ، ثُمَّ رَأَيْتُ بِلَالًا أَخَذَ عَنَزَةً، فَرَكَزَهَا وَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ، مُشَمِّرًا صَلَّى إِلَى العَنَزَةِ بِالنَّاسِ رَكْعَتَيْنِ، وَرَأَيْتُ النَّاسَ وَالدَّوَابَّ يَمُرُّونَ مِنْ بَيْنِ يَدَيِ العَنَزَةِ»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন ‘আর‘আরাহআমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘উমার ইব্ন আবূ যাইদাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আওন ইব্ন আবূ জুহা’য়ফাহ থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি বলেন: আমি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে চামড়ার একটি লাল তাবুতে দেখলাম এবং তাঁর জন্য উযুর পানি নিয়ে বিলাল (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে উপস্থিত দেখলাম। আর লোকেরা তাঁর উযুর পানির জন্য প্রতিযোগিতা করছে। কেউ সামান্য পানি পাওয়া মাত্র তা দিয়ে শরীর মুছে নিচ্ছে। আর যে পায়নি সে তার সাথীর ভিজা হাত হতে নিয়ে নিচ্ছে। অতঃপর বিলাল (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একটি লৌহফলকযুক্ত ছড়ি নিয়ে এসে তা মাটিতে পুঁতে দিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটা লাল ডোরাযুক্ত পোশাক পরে বের হলেন, তাঁর তহবন্দ কিঞ্চিৎ উঁচু করে পড়া ছিল। সে ছড়িটি সামনে রেখে লোকদের নিয়ে দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন। আর মানুষ ও জন্ত-জানোয়ার ঐ ছড়িটির বাইরে চলাফেরা করছিল।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৯]
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: «وَلَمْ يَرَ الحَسَنُ بَأْسًا أَنْ يُصَلَّى عَلَى الجُمْدِ وَالقَنَاطِرِ، وَإِنْ جَرَى تَحْتَهَا بَوْلٌ أَوْ فَوْقَهَا أَوْ أَمَامَهَا إِذَا كَانَ بَيْنَهُمَا سُتْرَةٌ» وَصَلَّى أَبُو هُرَيْرَةَ: «عَلَى سَقْفِ المَسْجِدِ بِصَلَاةِ الإِمَامِ» وَصَلَّى ابْنُ عُمَرَ: «عَلَى الثَّلْجِ»
আবূ আ’ব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহমাহুল্লাহ) বলেন: হা‘সান বসরী (রহমাহুল্লাহ) বরফ ও পুলের উপর সালাত আদায় করা দুষণীয় মনে করতেন না-যদিও তার নীচ দিয়ে, উপর দিয়ে অথবা সামনের দিক দিয়ে পেশাব প্রবাহিত হয়; যদি উভয়ের মাঝে ব্যবধান থাকে। আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) মসজিদের ছাদে ইমামের সাথে সালাত আদায় করেছিলেন ইব্ন উ’মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বরফের উপর সালাত আদায় করেছেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٧٧ – حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، قَالَ: سَأَلُوا سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ: مِنْ أَيِّ شَيْءٍ المِنْبَرُ؟ فَقَالَ: مَا بَقِيَ بِالنَّاسِ أَعْلَمُ مِنِّي، هُوَ مِنْ أَثْلِ الغَابَةِ عَمِلَهُ فُلَانٌ مَوْلَى فُلَانَةَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «وَقَامَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ عُمِلَ وَوُضِعَ، فَاسْتَقْبَلَ القِبْلَةَ، كَبَّرَ وَقَامَ النَّاسُ خَلْفَهُ، فَقَرَأَ وَرَكَعَ وَرَكَعَ النَّاسُ، خَلْفَهُ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ رَجَعَ القَهْقَرَى، فَسَجَدَ عَلَى الأَرْضِ، ثُمَّ عَادَ إِلَى المِنْبَرِ، ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ، ثُمَّ رَجَعَ القَهْقَرَى حَتَّى سَجَدَ بِالأَرْضِ»، فَهَذَا شَأْنُهُ، قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: قَالَ عَلِيُّ بْنُ المَدِينِيِّ: ” سَأَلَنِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ رَحِمَهُ اللَّهُ عَنْ هَذَا الحَدِيثِ، قَالَ: فَإِنَّمَا أَرَدْتُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَعْلَى مِنَ النَّاسِ فَلَا بَأْسَ أَنْ يَكُونَ الإِمَامُ أَعْلَى مِنَ النَّاسِ بِهَذَا الحَدِيثِ، قَالَ: فَقُلْتُ: إِنَّ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ كَانَ يُسْأَلُ عَنْ هَذَا كَثِيرًا فَلَمْ تَسْمَعْهُ مِنْهُ قَالَ: لَا “
আলী ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ হাযিম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লোকেরা সাহ্ল ইব্নু সা‘দ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে জিজ্ঞেস করল [(নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর] মিম্বার কিসের তৈরি ছিল? তিনি বললেন: এ বিষয়ে আমার চেয়ে বেশি জ্ঞাত আর কেউ নেই। তা ছিল গাবা নামক স্থানের ঝাউগাছের কাঠ দিয়ে তৈরি। অমুক মহিলার আযাদকৃত দাস অমুক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য তা তৈরি করেছিল। তা পুরোপুরি তৈরি ও স্থাপিত হবার পর আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার উপর দাঁড়িয়ে ক্বিবলার দিকে মুখ করে তাকবীর বললেন। লোকেরা তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে গেলেন। অতঃপর তিনি কিরাআত পড়লেন ও রুকূতে গেলেন। সকলেই তাঁর পিছনে রুকূতে গেলেন। অতঃপর তিনি মাথা তুলে পেছনে সরে গিয়ে মাটিতে সিজদা করলেন। পুনরায় মিম্বারে ফিরে আসলেন এবং কিরাআত পড়ে রুকূতে গেলেন। অতঃপর তাঁর মাথা তুললেন এবং পেছনে সরে গিয়ে মাটিতে সিজদা করলেন। এ হলো মিম্বারের ইতিহাস। আবূ ‘আবদুল্লাহ্ (ইমাম বুখারী) (রহমাহুল্লাহ) বলেন: ‘আলী ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রহমাহুল্লাহ) বলেছেন যে, আমাকে আহমদ ইব্নু হাম্বাল (রহমাহুল্লাহ) এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন এবং বলেছিলেন: আমার ধারনা, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবচাইতে উঁচু স্থানে ছিলেন। সুতরাং ইমামের মুক্তাদীদের চেয়ে উঁচু স্থানে দাঁড়ানোতে কোন দোষ নেই। ‘আলী ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রহমাহুল্লাহ) বলেন: আমি আহমাদ ইব্নু হাম্বল (রহমাহুল্লাহ) কে বললাম: সুফাইয়ান ইব্নু ‘উয়াইনাহ (রহমাহুল্লাহ) কে এ বিষয়ে বহুবার জিজ্ঞেস করা হয়েছে, আপনি তাঁর নিকট এ বিষয়ে কিছু শোনেননি? তিনে জবাব দিলেন: না।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৭০]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٧٨ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَقَطَ عَنْ فَرَسِهِ فَجُحِشَتْ سَاقُهُ – أَوْ كَتِفُهُ – وَآلَى مِنْ نِسَائِهِ شَهْرًا، فَجَلَسَ فِي مَشْرُبَةٍ لَهُ دَرَجَتُهَا مِنْ جُذُوعٍ، فَأَتَاهُ أَصْحَابُهُ يَعُودُونَهُ، فَصَلَّى بِهِمْ جَالِسًا وَهُمْ قِيَامٌ، فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ: «إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا، وَإِنْ صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا» وَنَزَلَ لِتِسْعٍ وَعِشْرِينَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّكَ آلَيْتَ شَهْرًا، فَقَالَ: «إِنَّ الشَّهْرَ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন ‘আব্দুর রাহী’ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াযীদ ইব্ন হারূন আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হু’মায়দ ত্বাবীল আমাদেরকে খবর দিলেন আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা ঘোড়া হতে পড়ে গেলেন, এতে তিনি পায়ের ‘গোছায়’ অথবা (রাবী বলেছেন) ‘কাঁধে’ আঘাত পান। তিনি তাঁর স্ত্রীদের হতে এক মাসের জন্য পৃথক হয়ে থাকেন। তখন তিনি ঘরের উপরের কক্ষে অবস্থান করেন যার সিঁড়ি ছিল খেজুর গাছের কান্ডের তৈরি। সাহাবীগণ তাঁকে দেখতে এলেন, তিনি তাঁদের নিয়ে বসে সালাত আদায় করলেন, আর তাঁরা ছিলেন দাঁড়ানো। সালাম ফিরিয়ে তিনি বললেন: ইমাম এজন্যে যে, মুক্তাদীরা তার অনুসরণ করবে। সুতরাং ইমাম তাকবীর বললে তোমরাও তাকবীর বলবে, তিনি রুকু করলে তোমরাও রুকূ করবে। তিনি সিজদা করলে তোমরাও সিজদা করবে। ইমাম দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলে তোমরাও দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে। অতঃপর ঊনত্রিশ দিন পূর্ণ হলে তিনি নেমে আসলেন। তখন লোকেরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো এক মাসের শপথ করেছিলেন। তিনি বললেন: এ মাস ঊনত্রিশ দিনের।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৭১]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٧٩ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، عَنْ خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ” يُصَلِّي وَأَنَا حِذَاءَهُ، وَأَنَا حَائِضٌ، وَرُبَّمَا أَصَابَنِي ثَوْبُهُ إِذَا سَجَدَ، قَالَتْ: وَكَانَ يُصَلِّي عَلَى الخُمْرَةِ “
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন খালিদ থেকে, তিনি বললেন: সুলায়মান শায়বানী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন শাদ্দাদ থেকে, তিনি মাইমূনা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সালাত আদায় করতেন তখন হায়েয অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও আমি তাঁর বরাবর বসে থাকতাম। কখনো কখনো তিনি সিজদা করার সময় তাঁর কাপড় আমার গায়ে লাগতো। আর তিনি ছোট চাটাইয়ের উপর সালাত আদায় করতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৭২]
وَصَلَّى جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَبُو سَعِيدٍ: «فِي السَّفِينَةِ قَائِمًا» وَقَالَ الحَسَنُ: «قَائِمًا مَا لَمْ تَشُقَّ عَلَى أَصْحَابِكَ تَدُورُ مَعَهَا وَإِلَّا فَقَاعِدًا»
জাবির ইব্ন আ’ব্দুল্লাহ ও আবূ সা‘ঈদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) নৌকায় দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেছেন। হা’সান (রহমাহুল্লাহ) বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সাথীদের জন্যে কষ্টকর না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে। আর নৌকার দিক পরিবর্তনের সাথে সাথে ঘুরে যাবে। অন্যথায় বসে সালাত আদায় করবে।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٨٠ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ جَدَّتَهُ مُلَيْكَةَ دَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِطَعَامٍ صَنَعَتْهُ لَهُ، فَأَكَلَ مِنْهُ، ثُمَّ قَالَ: «قُومُوا فَلِأُصَلِّ لَكُمْ» قَالَ أَنَسٌ: فَقُمْتُ إِلَى حَصِيرٍ لَنَا، قَدِ اسْوَدَّ مِنْ طُولِ مَا لُبِسَ، فَنَضَحْتُهُ بِمَاءٍ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَفَفْتُ وَاليَتِيمَ وَرَاءَهُ، وَالعَجُوزُ مِنْ وَرَائِنَا، فَصَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ انْصَرَفَ
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন ইসহা’ক ইব্ন ‘আবদুল্লাহ ইব্ন আবূ তালহা’হ থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: তাঁর দাদী মুলাইকা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খাওয়ার দাওয়াত দিলেন, যা তাঁর জন্যই তৈরি করেছিলেন। তিনি তা হতে খেলেন, অতঃপর বললেন: উঠ, তোমাদের নিয়ে আমি সালাত আদায় করি। আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: আমি আমাদের একটি চাটাই আনার জন্য উঠলাম, তা অধিক ব্যবহারে কালো হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি সেটা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। অতঃপর আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতের জন্য দাঁড়ালেন। আর আমি এবং একজন ইয়াতীম ৮ বালক (যুমাইরাহ) তাঁর পেছনে দাঁড়ালাম আর বৃদ্ধা দাদী আমাদের পেছনে ছিলেন। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে দু’রাক‘আত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি চলে গেলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٨١ – حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، قَالَتْ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي عَلَى الخُمْرَةِ»
আবূ ওয়ালীদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুলাইমান শায়বানী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন শাদ্দাদ থেকে, তিনি মাইমূনা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছোট চাটাইয়ের উপর সালাত আদায় করতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৪]
وَصَلَّى أَنَسٌ «عَلَى فِرَاشِهِ» وَقَالَ أَنَسٌ: «كُنَّا نُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَسْجُدُ أَحَدُنَا عَلَى ثَوْبِهِ»
আনাস ইব্ন মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) নিজের বিছানায় সালাত আদায় করতেন। আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে সালাত আদায় করতাম। আমাদের কেউ কেউ নিজ কাপড়ের উপর সিজদা করত।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٨٢ – حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَايَ، فِي قِبْلَتِهِ فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي، فَقَبَضْتُ رِجْلَيَّ، فَإِذَا قَامَ بَسَطْتُهُمَا»، قَالَتْ: وَالبُيُوتُ يَوْمَئِذٍ لَيْسَ فِيهَا مَصَابِيحُ
ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উমার ইব্ন ‘উবায়দুল্লাহ এর স্বাধীন করা গুলাম আবূ নযর থেকে, তিনি আবূ সালামাহ ইব্ন ‘আব্দুর রহমান থেকে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে ঘুমাতাম, আমার পা দু’খানা তাঁর ক্বিবলার দিকে ছিল। তিনি সিজদায় গেলে আমার পায়ে মৃদু চাপ দিতেন, তখন আমি পা দু’খানা গুটিয়ে নিতাম। আর তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আমি পা দু’খানা প্রসারিত করতাম। তিনি বলেন: সে সময় ঘরগুলোতে বাতি ছিল না।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ৩৬৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٨٣ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي وَهِيَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ القِبْلَةِ عَلَى فِرَاشِ أَهْلِهِ اعْتِرَاضَ الجَنَازَةِ»
ইয়াহ’ইয়া ইব্ন বুকায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লায়ছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘উক্বায়ল আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি বললেন: ‘উরওয়াহ আমাকে খাবর দিলেন, তিনি বললেন: ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) তাকে [‘উরওয়া (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)] কে খবর দিলেন, তিনি বললেন: আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করতেন আর তিনি (‘আয়িশা রাজিআল্লাহু ‘আনহা) আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর ক্বিবলার মধ্যে পারিবারিক বিছানার উপর জানাযার মত আড়াআড়িভাবে শুয়ে থাকতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٨٤ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ عِرَاكٍ، عَنْ عُرْوَةَ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي وَعَائِشَةُ مُعْتَرِضَةٌ بَيْنَهُ وَبَيْنَ القِبْلَةِ عَلَى الفِرَاشِ الَّذِي يَنَامَانِ عَلَيْهِ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লায়ছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘ইরাক থেকে, তিনি ‘উরওয়া থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করতেন, আর ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাঁর ও ক্বিবলার মাঝখানে তাঁদের বিছানায় যাতে তারা ঘুমাতেন আড়াআড়ি ভাবে শুয়ে থাকতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৭]
وَقَالَ الحَسَنُ: «كَانَ القَوْمُ يَسْجُدُونَ عَلَى العِمَامَةِ وَالقَلَنْسُوَةِ وَيَدَاهُ فِي كُمِّهِ»
হাসান বসরী (রহমাহুল্লাহ) বলেন, লোকেরা পাগড়ী ও টুপির উপর সিজদা করতো আর তাদের হাত আস্তিনের মধ্যে থাকত।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٨٥ – حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ المَلِكِ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ المُفَضَّلِ، قَالَ: حَدَّثَنِي غَالِبٌ القَطَّانُ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «كُنَّا نُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَضَعُ أَحَدُنَا طَرَفَ الثَّوْبِ مِنْ شِدَّةِ الحَرِّ فِي مَكَانِ السُّجُودِ»
আবূ ওয়ালীদ হিশাম ইব্ন ‘আব্দুল মালিক আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: বিশর ইব্ন মুফাযযাল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: গালিব ক্বাত্ত্বান আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন বক্র ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সালাত আদায় করতাম। আমাদের কেউ কেউ সিজদা কালে বেশী গরমের কারণে কাপড়ের প্রান্ত সিজদার স্থানে রাখতো।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٨٦ – حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو مَسْلَمَةَ سَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ الأَزْدِيُّ، قَالَ: سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ: أَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِي نَعْلَيْهِ؟ قَالَ: «نَعَمْ»
আদম ইব্ন আবূ ইয়াসিন আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ মাসলামা সা‘ঈদ ইব্নু ইয়াযীদ আল-আয্দী আমাদেরকে খবর দিলেন, তিনি বললেন: আমি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি তাঁর না‘লাইন (চপ্পল) পরে সালাত আদায় করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ,৩৭৩ ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٨٧ – حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ: سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ، يُحَدِّثُ عَنْ هَمَّامِ بْنِ الحَارِثِ، قَالَ: رَأَيْتُ جَرِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ «بَالَ، ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ، ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى» فَسُئِلَ، فَقَالَ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَنَعَ مِثْلَ هَذَا» قَالَ إِبْرَاهِيمُ: «فَكَانَ يُعْجِبُهُمْ لِأَنَّ جَرِيرًا كَانَ مِنْ آخِرِ مَنْ أَسْلَمَ»
আদম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আ‘মাশ থেকে, তিনি বললেন: আমি ইবরাহীম থেকে শুনেছি, তিনি আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হাম্মাম ইব্নু হারিস থেকে, তিনি বলেন: আমি জারীর ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে দেখলাম যে, তিনি পেশাব করলেন। অতঃপর উযূ করলেন আর উভয় মোজার উপরে মাস্হ্ করলেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন: আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেও এরূপ করতে দেখেছি। ইবরাহীম (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: এ হাদীস মুহাদ্দিসীনের নিকট অত্যন্ত পছন্দনীয়। কারণ জারীর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ছিলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শেষ সময়ে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে একজন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৮০]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٨٨ – حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنِ المُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ: «وَضَّأْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ وَصَلَّى»
ইসহা’ক ইব্ন নাস্বার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ উসামাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আ‘মাশ থেকে, তিনি মুসলিম থেকে, তিনি মাসরূক্ব থেকে, তিনি মুগীরা ইব্নু শু’বাহ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে উযূ করিয়েছি। তিনি (উযূর সময়) মোজা দু’টির উপর মাস্হ্ করলেন ও সালাত আদায় করলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৮১]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٨٩ – أَخْبَرَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا مَهْدِيٌّ، عَنْ وَاصِلٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، رَأَى رَجُلًا لَا يُتِمُّ رُكُوعَهُ وَلَا سُجُودَهُ، فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ قَالَ لَهُ حُذَيْفَةُ: «مَا صَلَّيْتَ؟» قَالَ: وَأَحْسِبُهُ قَالَ: «لَوْ مُتَّ مُتَّ عَلَى غَيْرِ سُنَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
স্বালত ইব্ন মুহা’ম্মাদ আমাদেরকে হাদীসটি সংবাদ দিলেন, তিনি বললেন: মাহদী আমাদেরকে খবর দিলেন ওয়াস্বিল থেকে, তিনি আবূ ওয়াই’ল থেকে, তিনি হুযাইফা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি তার রুকু-সিজদা পুরোপুরি আদায় করছিল না। সে যখন সালাত শেষ করলো তখন তাকে হুযাইফা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: তোমার সালাত ঠিক হয়নি। রাবী বলেন: আমার মনে হয় তিনি (হুযাইফা) এ কথাও বলেছেন, (এ অবস্থায়) তোমার মৃত্যু হলে তা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর তরীকার বাইরে হবে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٩٠ – أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ هُرْمُزَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ ابْنِ بُحَيْنَةَ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا صَلَّى فَرَّجَ بَيْنَ يَدَيْهِ حَتَّى يَبْدُوَ بَيَاضُ إِبْطَيْهِ» وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ نَحْوَهُ
ইয়াহ’ইয়া ইব্ন বুকায়র আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন, তিনি বললেন: বক্র ইব্ন মুযার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন জা‘ফার ইব্ন রাবী‘আ থেকে, তিনি ইব্ন হুর্মুয থেকে, তিনি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু মালিক ইব্ন বুহা’য়নাহ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতের সময় উভয় বাহু পৃথক রাখতেন। এমনকি তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখা যেতো। লাইস (রহমাহুল্লাহ) বলেন: জা’ফর ইব্নু রবী’আহ্ (রহমাহুল্লাহ) আমার নিকট অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ,৩৭৭ ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৩]
يَسْتَقْبِلُ بِأَطْرَافِ رِجْلَيْهِ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ: عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
আবূ হুমায়দ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٩١ – حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ المَهْدِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ سِيَاهٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى صَلَاتَنَا وَاسْتَقْبَلَ قِبْلَتَنَا، وَأَكَلَ ذَبِيحَتَنَا فَذَلِكَ المُسْلِمُ الَّذِي لَهُ ذِمَّةُ اللَّهِ وَذِمَّةُ رَسُولِهِ، فَلَا تُخْفِرُوا اللَّهَ فِي ذِمَّتِهِ»
‘আমর ইব্ন আব্বাস আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন মাহদী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মানস্বূর ইব্ন সা‘দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মায়মূন ইব্ন সিয়াহ থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তি আমাদের ন্যায় সালাত আদায় করে, আমাদের ক্বিবলামুখী হয় আর আমাদের যবেহ করা প্রাণী খায়, সেই মুসলিম, যার জন্য আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল যিম্মাদার। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্র যিম্মাদারীতে বিশ্বাসঘাতকতা করো না।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٩٢ – حَدَّثَنَا نُعَيْمٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ المُبَارَكِ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَإِذَا قَالُوهَا، وَصَلَّوْا صَلَاتَنَا، وَاسْتَقْبَلُوا قِبْلَتَنَا، وَذَبَحُوا ذَبِيحَتَنَا، فَقَدْ حَرُمَتْ عَلَيْنَا دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ، إِلَّا بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ»
নু‘আয়ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন মুবারক আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হু’মায়দ ত্বাবীল থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আমাকে লোকের বিরুদ্ধে জিহাদ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যতক্ষণ না তারা ‘লা– ইলা–হা ইল্লাল্লাহ” স্বীকার করবে। যখন তারা তা স্বীকার করে নেয়, আমাদের মত সালাত আদায় করে, আমাদের ক্বিবলামুখী হয় এবং আমাদের যবেহ করা প্রাণী খায়, তখন তাদের জান-মালসমূহ আমাদের জন্য হারাম হয়ে যায়। অবশ্য রক্তের বা সম্পদের দাবীর কথা ভিন্ন। আর তাদের হিসাব আল্লাহ্র নিকট।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٩٣ – قَالَ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ: أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، قَالَ: سَأَلَ مَيْمُونُ بْنُ سِيَاهٍ، أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: يَا أَبَا حَمْزَةَ، مَا يُحَرِّمُ دَمَ العَبْدِ وَمَالَهُ؟ فَقَالَ: «مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاسْتَقْبَلَ قِبْلَتَنَا، وَصَلَّى صَلَاتَنَا، وَأَكَلَ ذَبِيحَتَنَا، فَهُوَ المُسْلِمُ، لَهُ مَا لِلْمُسْلِمِ، وَعَلَيْهِ مَا عَلَى المُسْلِمِ»
ইব্ন আবূ মারইয়াম বললেন: ইয়াহ’ইয়া ইব্ন আয়য়ূব আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন, তিনি বললেন: হু’মায়দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে, এবং (অন্য সনদ) ‘আলী ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ বলেন: খালিদ ইব্ন হারিছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হু’মায়দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মায়মূন ইব্নু সিয়াহ আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে জিজ্ঞেস করলেন: হে আবূ হামযাহ! কিসে মানুষের জান- মাল হারাম হয়? তিনি জবাব দিলেন, যে ব্যক্তি ‘লা– ইলা–হা ইল্লাল্লাহ’র সাক্ষ্য দেয়, আমাদের ক্বিবলামুখী হয়, আমাদের মত সালাত আদায় করে আর আমাদের যবহ্ করা প্রাণী খায়, সেই মুসলিম। অন্য মুসলমানের মতই তার অধিকার রয়েছে। আর অন্য মুসলমানদের মতই তাকে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৯ শেষাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৫ শোষংশ]
لَيْسَ فِي المَشْرِقِ وَلَا فِي المَغْرِبِ قِبْلَةٌ» لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَسْتَقْبِلُوا القِبْلَةَ بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ، وَلَكِنْ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا»
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা পায়খানা বা পেশাব করতে কিবলামুখী হবে না, বরং তোমরা (উত্তর অঞ্চলের অধিবাসীরা) পূর্ব দিকে কিংবা পশ্চিম দিকে মুখ ফিরাবে।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٩٤ – حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا أَتَيْتُمُ الغَائِطَ فَلَا تَسْتَقْبِلُوا القِبْلَةَ، وَلَا تَسْتَدْبِرُوهَا وَلَكِنْ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا» قَالَ أَبُو أَيُّوبَ: «فَقَدِمْنَا الشَّأْمَ فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ بُنِيَتْ قِبَلَ القِبْلَةِ فَنَنْحَرِفُ، وَنَسْتَغْفِرُ اللَّهَ تَعَالَى»، وَعَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا أَيُّوبَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
‘আলী ইব্ন আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: যুহুরী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আত্বা ইব্ন ইয়াযীদ লায়ছী থেকে, তিনি আবূ আইয়ূব আনসারী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যখন তোমরা পায়খানা করতে যাও, তখন ক্বিবলার দিকে মুখ করবে না কিংবা পিঠও দিবে না, বরং তোমরা পূর্ব দিকে অথবা পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে। আবূ আইয়ূব আনসারী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: আমরা যখন সিরিয়ায় এলাম তখন পায়খানাগুলো ক্বিবলামুখী বানানো পেলাম। আমরা কিছুটা ঘুরে বসতাম এবং আল্লাহ্ তা’আলার নিকট তাওবাহ ইসতিগফার করতাম। যুহরী (রহমাহুল্লাহ) ‘আত্বা (রহমাহুল্লাহ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, আমি আবূ আইয়ূব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে অনুরূপ বর্ণনা করতে শুনেছি।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٩٥ – حَدَّثَنَا الحُمَيْدِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: سَأَلْنَا ابْنَ عُمَرَ عَنْ رَجُلٍ طَافَ بِالْبَيْتِ العُمْرَةَ، وَلَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ، أَيَأْتِي امْرَأَتَهُ؟ فَقَالَ: قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «فَطَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا، وَصَلَّى خَلْفَ المَقَامِ رَكْعَتَيْنِ، وَطَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ»، وَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
হু’মায়দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আমর ইব্ন দীনার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমরা ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম – যে ব্যক্তি ‘উমরাহ্র ন্যায় বাইতুল্লাহ্র ত্বওয়াফ করেছে কিন্তু সাফা-মারওয়ায় সা’ঈ করে নি, সে কি তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করতে পারবে? তিনি জবাব দিলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে সাতবার বায়তুল্লাহ্ তওয়াফ করেছেন, মাকামে ইবরাহীমের নিকট দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছেন আর সাফা-মারওয়ায় সা’ঈ করেছেন। তোমাদের জন্যে আল্লাহ্র রসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।
অনুরূপ বর্ণনা : [১৬২৩, ১৬২৭, ১৬৪৫, ১৬৪৭, ১৭৯৩ দ্রষ্টব্য] [আ.প্র. ৩৮১, ই.ফা. ৩৮৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٩٦ – وَسَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، فَقَالَ: «لَا يَقْرَبَنَّهَا حَتَّى يَطُوفَ بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ»
(সনদ একই) (পূর্বের হাদীসটির বর্ণনার পর থেকে) আমরা জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছি, তিনি বলেছেন: সাফা-মারওয়ার সা’ঈ করার আগ পর্যন্ত স্ত্রীর নিকটবর্তী (সহবাস) হবে না।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮১ শেষাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৭ শেষাংশ]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٩٧ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سَيْفٍ يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، قَالَ: أُتِيَ ابْنُ عُمَرَ فَقِيلَ لَهُ: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ الكَعْبَةَ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: فَأَقْبَلْتُ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ خَرَجَ وَأَجِدُ بِلَالًا قَائِمًا بَيْنَ البَابَيْنِ، فَسَأَلْتُ بِلَالًا، فَقُلْتُ: أَصَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الكَعْبَةِ؟ قَالَ: «نَعَمْ، رَكْعَتَيْنِ، بَيْنَ السَّارِيَتَيْنِ اللَّتَيْنِ عَلَى يَسَارِهِ إِذَا دَخَلْتَ، ثُمَّ خَرَجَ، فَصَلَّى فِي وَجْهِ الكَعْبَةِ رَكْعَتَيْنِ»
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন সায়ফ অর্থাৎ ইব্ন সুলায়মান থেকে, তিনি বললেন: আমি মুজাহিদ থেকে শুনেছি, তিনি বললেন: এক ব্যাক্তি ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর নিকট এলেন এবং বললেন: ইনি হলেন আল্লাহর রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তিনি কা’বা ঘরে প্রবেশ করেছেন। ইব্নু ‘উমর বলেন: আমি সেদিকে এগিয়ে গেলাম এবং দেখলাম যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বা হতে বেরিয়ে পড়েছেন। আমি বিলাল (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে দুই কপাটের মাঝখানে দাঁড়ানো দেখে জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি কা’বা ঘরের অভ্যন্তরে সালাত আদায় করেছেন? তিনি জবাব দিলেন, হ্যাঁ, কা’বায় প্রবেশ করার সময় তোমার বাঁ দিকের দুই স্তম্ভের মাঝখানে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। অতঃপর তিনি বের হলেন এবং কা’বার সামনে দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ,৩৮২ ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٣٩٨ – حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَمَّا دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ البَيْتَ، دَعَا فِي نَوَاحِيهِ كُلِّهَا، وَلَمْ يُصَلِّ حَتَّى خَرَجَ مِنْهُ، فَلَمَّا خَرَجَ رَكَعَ رَكْعَتَيْنِ فِي قُبُلِ الكَعْبَةِ، وَقَالَ: «هَذِهِ القِبْلَةُ»
ইসহা’ক ইব্ন নস্বর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুর রাজ্জাক আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন জুরায়জ আমাদেরকে খবর দিলেন ‘আত্বা থেকে, তিনি বললেন: আমি ইব্নু ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনেছি, তিনি বলেন: যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বায় প্রবেশ করেন, তখন তার সকল দিকে দু’আ করেছেন, সালাত আদায় না করেই বেরিয়ে এসেছেন এবং বের হবার পর কা’বার সামনে দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছেন এবং বলেছেন, এটাই ক্কিবলা।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৯]
وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اسْتَقْبِلِ القِبْلَةَ وَكَبِّرْ»
আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কিবলামুখী হও এবং তাকবীর বল।
হাদীসের মান: সহীহ
٣٩٩ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ البَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: ” كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى نَحْوَ بَيْتِ المَقْدِسِ، سِتَّةَ عَشَرَ أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّ أَنْ يُوَجَّهَ إِلَى الكَعْبَةِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ} [البقرة: ١٤٤]، فَتَوَجَّهَ نَحْوَ الكَعْبَةِ “، وَقَالَ السُّفَهَاءُ مِنَ النَّاسِ، وَهُمُ اليَهُودُ: {مَا وَلَّاهُمْ} [البقرة: ١٤٢] عَنْ قِبْلَتِهِمُ الَّتِي كَانُوا عَلَيْهَا، قُلْ لِلَّهِ المَشْرِقُ وَالمَغْرِبُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ فَصَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ، ثُمَّ خَرَجَ بَعْدَ مَا صَلَّى، فَمَرَّ عَلَى قَوْمٍ مِنَ الأَنْصَارِ فِي صَلَاةِ العَصْرِ نَحْوَ بَيْتِ المَقْدِسِ، فَقَالَ: هُوَ يَشْهَدُ: أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ تَوَجَّهَ نَحْوَ الكَعْبَةِ، فَتَحَرَّفَ القَوْمُ، حَتَّى تَوَجَّهُوا نَحْوَ الكَعْبَةِ
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন রাজা’ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইসরাঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আবূ ইসহা’ক্ব থেকে, তিনি বারাআ ‘ইব্নু ‘আযিব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বায়তুল মুকাদ্দাসমুখী হয়ে ষোল বা সতের মাস সালাত আদায় করেছেন। আর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বার দিকে ক্কিবলা করা পছন্দ করতেন। মহান আল্লাহ্ নাযিল করেনঃ “আকাশের দিকে আপনার বারাবার তাকানোকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করছি”- (সূরা আল-বাকারাহ, ২:১৪৪)। অতঃপর তিনি কা’বার দিকে মুখ করেন। আর নির্বোধ লোকেরা- তারা ইয়াহুদি- বলতো, “তারা এ যাবত যে ক্কিবলা অনুসরণ করে আসছিল, তা হতে কিসে তাদেরকে ফিরিয়ে দিল? বলুনঃ (হে নবী) পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহ্রই। তিনি যাকে ইচ্ছা সঠিক পথে পরিচালিত করেন”- (সূরা আল-বাকারাহ, ২:১৪২)। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে এক ব্যক্তি সালাত আদায় করলেন এবং বেরিয়ে গেলেন। তিনি আসরের সালাতের সময় আনসারগণের এক গোত্রের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করছিলেন। তখন তিনি বললেন- (তিনি নিজেই) সাক্ষী যে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে তিনি সালাত আদায় করেছেন, আর তিনি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কা’বার দিকে মুখ করেছেন। তখন সে গোত্রের লোকজন ঘুরে কা’বার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৯০]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٠٠ – حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ، حَيْثُ تَوَجَّهَتْ فَإِذَا أَرَادَ الفَرِيضَةَ نَزَلَ فَاسْتَقْبَلَ القِبْلَةَ»
মুসলিম ইব্ন ইবরাহীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হিশাম ইব্ন আবূ ‘আবূ ‘আব্দুল্লাহআমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া ইব্ন আবূ কাছীর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মুহা’ম্মাদ ইব্ন আব্দুর রহ’মান থেকে, তিনি জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের সওয়ারীর উপর (নফল) সালাত আদায় করতেন- সওয়ারী তাঁকে নিয়ে যে দিকেই মুখ করত না কেন। কিন্তু যখন ফরয সালাত আদায়ের ইচ্ছা করতেন, তখন নেমে পড়তেন এবং ক্কিবলামুখী হতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৯১]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٠١ – حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – قَالَ إِبْرَاهِيمُ: لَا أَدْرِي زَادَ أَوْ نَقَصَ – فَلَمَّا سَلَّمَ قِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَحَدَثَ فِي الصَّلَاةِ شَيْءٌ؟ قَالَ: «وَمَا ذَاكَ»، قَالُوا: صَلَّيْتَ كَذَا وَكَذَا، فَثَنَى رِجْلَيْهِ، وَاسْتَقْبَلَ القِبْلَةَ، وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ، فَلَمَّا أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ، قَالَ: «إِنَّهُ لَوْ حَدَثَ فِي الصَّلَاةِ شَيْءٌ لَنَبَّأْتُكُمْ بِهِ، وَلَكِنْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ، أَنْسَى كَمَا تَنْسَوْنَ، فَإِذَا نَسِيتُ فَذَكِّرُونِي، وَإِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ، فَلْيَتَحَرَّ الصَّوَابَ فَلْيُتِمَّ عَلَيْهِ، ثُمَّ لِيُسَلِّمْ، ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ»
‘উসমান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: জারীর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মানস্বুর থেকে, তিনি ইবরাহীম থেকে, তিনি ‘আলক্বামাহ থেকে, তিনি বললেন: ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করলেন। রাবী ইবরাহীম বলেন: আমার জানা নেই, তিনি বেশি করেছেন বা কম করেছেন, সালাম ফিরানোর পর তাঁকে বলা হল, হে আল্লাহ্র রসূল! সালাতের মধ্যে নতুন কিছু হয়েছে কি? তিনি বললেন: তা কি? তাঁরা বললেন: আপনি তো এরূপ সালাত আদায় করলেন। তিনি তখন তাঁর দু’পা ঘুরিয়ে ক্কিবলামুখী হলেন। আর দু’টি সিজদা আদায় করলেন। অতঃপর সালাম ফিরলেন। পরে তিনি আমাদের দিকে ফিরে বললেন: যদি সালাত সম্পর্কে নতুন কিছু হতো, তবে অবশ্যই তোমাদের তা জানিয়ে দিতাম। কিন্তু আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষ। তোমরা যেমন ভুল করে থাক, আমিও তোমাদের মত ভুলে যাই। আমি কোন সময় ভুলে গেলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেবে। তোমাদের কেউ সালাত সম্বন্ধে সন্দেহে পতিত হলে সে যেন নিঃসন্দেহ হবার চেষ্টা করে এবং সে অনুযায়ী সালাত পূর্ণ করে। অতঃপর যেন সালাম ফিরিয়ে দুটি সিজদা দেয়।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৯২]
«وَقَدْ سَلَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَكْعَتَيِ الظُّهْرِ، وَأَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ بِوَجْهِهِ ثُمَّ أَتَمَّ مَا بَقِيَ»
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের দু’রাকাত সালাত আদায় করে সালাম ফিরিয়ে মুসল্লীগণের দিকে মুখ করলেন। তার পরে বাকী সালাত পূর্ণ করলেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٠٢ – حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ” وَافَقْتُ رَبِّي فِي ثَلَاثٍ: فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ اتَّخَذْنَا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى، فَنَزَلَتْ: {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى} [البقرة: ١٢٥] وَآيَةُ الحِجَابِ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ أَمَرْتَ نِسَاءَكَ أَنْ يَحْتَجِبْنَ، فَإِنَّهُ يُكَلِّمُهُنَّ البَرُّ وَالفَاجِرُ، فَنَزَلَتْ آيَةُ الحِجَابِ، وَاجْتَمَعَ نِسَاءُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الغَيْرَةِ عَلَيْهِ، فَقُلْتُ لَهُنَّ: (عَسَى رَبُّهُ إِنْ طَلَّقَكُنَّ أَنْ يُبَدِّلَهُ أَزْوَاجًا خَيْرًا مِنْكُنَّ)، فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ” قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ:
‘আম্র ইব্ন ‘আওফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হুশায়ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হুমায়দ থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন, ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেছেন: তিনটি বিষয়ে আমার অভিমত আল্লাহ্র ওয়াহীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে। আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আমরা যদি মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান বানাতে পারতাম! তখন এ আয়াত নাযিল হয়: “তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান বানাও” – (সূরা আল-বাক্কারাহ, ২:১২৫)। (দ্বিতীয়) পর্দার আয়াত, আমি বললাম: হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি যদি আপনার সহধর্মিণীগণকে পর্দার আদেশ করতেন! কেননা, সৎ ও অসৎ সবাই তাঁদের সাথে কথা বলে। তখন পর্দার আয়াত নাযিল হয়। আর একবার নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহধর্মিণীগণ অভিমান সহকারে একত্রে তাঁর নিকট উপস্থিত হন। তখন আমি তাঁদেরকে বললাম: “আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যদি তোমাদের ত্বালাক দেন, তাহলে তাঁর রব তাঁকে তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের চেয়ে উত্তম অনুগত স্ত্রী দান করবেন” – (সুরাহ তাহরীম ৬৬/৫)। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়।
অনুরূপ বর্ণনা : [৪৪৮৩, ৪৭৯০, ৪৯১৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٠٢/١ – وحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنِي حُمَيْدٌ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا بِهَذَا
ইব্ন আবূ মার্ইয়াম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া ইব্ন আয়য়ুব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হুমায়দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমি আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হতে অনুরূপ শুনেছি।
অনুরূপ বর্ণনা : [আ.প্র. ৩৮৭, ই.ফা. ৩৯৩] [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٠٣ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: بَيْنَا النَّاسُ بِقُبَاءٍ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ، إِذْ جَاءَهُمْ آتٍ، فَقَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ اللَّيْلَةَ قُرْآنٌ، وَقَدْ أُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الكَعْبَةَ، فَاسْتَقْبِلُوهَا، وَكَانَتْ وُجُوهُهُمْ إِلَى الشَّأْمِ، فَاسْتَدَارُوا إِلَى الكَعْبَةِ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক ইব্ন আনাস আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আব্দুল্লাহ ইব্ন দীনার থেকে, তিনি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: একদা লোকেরা কুবা নামক স্থানে ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় তাদের নিকট এক ব্যক্তি এসে বললেন যে, এ রাতে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ হয়েছে। আর তাঁকে কা’বামুখী হবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই তোমরা কা’বার দিকে মুখ কর। তখন তাঁদের চেহারা ছিল শামের (বায়তুল মুকাদ্দাসের) দিকে। একথা শুনে তাঁরা কা’বার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٠٤ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الظُّهْرَ خَمْسًا، فَقَالُوا: أَزِيدَ فِي الصَّلَاةِ؟ قَالَ: «وَمَا ذَاكَ» قَالُوا: صَلَّيْتَ خَمْسًا ، فَثَنَى رِجْلَيْهِ وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন শু‘বাহ থেকে, তিনি হা’কাম থেকে, তিনি ইবরাহীম থেকে, তিনি ‘আলক্বামাহ থেকে, তিনি ‘আবদুল্লাহ্ (ইব্নু মাস’উদ) (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের সালাত পাঁচ রাক’আত আদায় করেন। তখন মুসল্লীগণ জিজ্ঞেস করলেন: সালাতে কি কিছু বৃদ্ধি করা হয়েছে? তিনি বললেন: তা কি? তারা বললেন: আপনি যে পাঁচ রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। রাবী বলেন, তিনি নিজের পা ঘুরিয়ে (ক্কিবলামুখী হয়ে) দু’ সিজদা (সিজদা সাহু) করে নিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٠٥ – حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى نُخَامَةً فِي القِبْلَةِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ حَتَّى رُئِيَ فِي وَجْهِهِ، فَقَامَ فَحَكَّهُ بِيَدِهِ، فَقَالَ: «إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صَلَاتِهِ فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ، أَوْ إِنَّ رَبَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ القِبْلَةِ، فَلَا يَبْزُقَنَّ أَحَدُكُمْ قِبَلَ قِبْلَتِهِ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ أَوْ تَحْتَ قَدَمَيْهِ» ثُمَّ أَخَذَ طَرَفَ رِدَائِهِ، فَبَصَقَ فِيهِ ثُمَّ رَدَّ بَعْضَهُ عَلَى بَعْضٍ، فَقَالَ: «أَوْ يَفْعَلُ هَكَذَا»
ক্বুতায়বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইসমা‘ঈল ইব্ন জা‘আফর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হু’মায়দ থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বিবলার দিকে (দেয়ালে) ‘কফ’ দেখলেন। এটা তাঁর নিকট কষ্টদায়ক মনে হল। এমনকি তাঁর চেহারায় তা ফুটে উঠল। তিনি উঠে গিয়ে তা হাত দিয়ে পরিষ্কার করলেন। অতঃপর তিনি বললেন: তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সে তার রবের সাথে একান্তে কথা বলে। অথবা বলেছেন, তার ও ক্বিবলার মাঝখানে তার রব আছেন। কাজেই, তোমাদের কেউ যেন ক্বিলার দিকে থুথু না ফেলে। বরং সে যেন তার বাম দিকে অথবা পায়ের নিচে তা ফেলে। অতঃপর চাদরের আঁচল নিয়ে তাতে তিনি থুথু ফেললেন এবং তার এক অংশকে অন্য অংশের উপর ভাঁজ করলেন এবং বললেন: অথবা সে এমন করবে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٠٦ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى بُصَاقًا فِي جِدَارِ القِبْلَةِ، فَحَكَّهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ، فَقَالَ: «إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي، فَلَا يَبْصُقُ قِبَلَ وَجْهِهِ، فَإِنَّ اللَّهَ قِبَلَ وَجْهِهِ إِذَا صَلَّى»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন নাফি‘ থেকে, তিনি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বিবলার দিকের দেওয়ালে থুথু দেখে তা পরিষ্কার করে দিলেন। অতঃপর লোকদের দিকে ফিরে বললেন: যখন তোমাদের কেউ সালাত আদায় করে সে যেন তার সামনের দিকে থুথু না ফেলে। কেননা, সে যখন সালাত আদায় করে তখন তার সামনের দিকে আল্লাহ্ তা’আলা থাকেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٠٧ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ المُؤْمِنِينَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «رَأَى فِي جِدَارِ القِبْلَةِ مُخَاطًا أَوْ بُصَاقًا أَوْ نُخَامَةً، فَحَكَّهُ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন হিশাম ইব্ন ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি উম্মুল ‘মুমিনীন ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বিবলার দিকের দেয়ালে নাকের শ্লেস্মা, থুথু কিংবা কফ দেখলেন এবং তা পরিষ্কার করলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৮]
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «إِنْ وَطِئْتَ عَلَى قَذَرٍ رَطْبٍ، فَاغْسِلْهُ وَإِنْ كَانَ يَابِسًا فَلَا»
ইব্ন ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেছেন: যদি আর্দ্র আবর্জনায় তোমার পা ফেল, তখন তা ধুইয়ে ফেলবে, আর শুকনো হলে ধোয়ার প্রয়োজন নেই।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٠٨ – حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، وَأَبَا سَعِيدٍ حَدَّثَاهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى نُخَامَةً فِي جِدَارِ المَسْجِدِ، فَتَنَاوَلَ حَصَاةً فَحَكَّهَا، فَقَالَ: «إِذَا تَنَخَّمَ أَحَدُكُمْ فَلَا يَتَنَخَّمَنَّ قِبَلَ وَجْهِهِ، وَلَا عَنْ يَمِينِهِ وَلْيَبْصُقْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ قَدَمِهِ اليُسْرَى»
মূসা ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইবরাহীম ইব্ন সা‘দ আমাদেরকে হাদীসটি খবর দিলেন, তিনি বললেন: ইব্ন শিহাব আমাদেরকে খবর দিলেন হু’মায়দ ইব্ন ‘আব্দুর রহমান থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা ও আবু সা’ঈদ (খুদরী) (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদের দেয়ালে কফ দেখে কাঁকর নিয়ে তা মুছে ফেললেন। অতঃপর তিনি বললেন: তোমাদের কেউ যেন সামনের দিকে অথবা ডান দিকে কফ না ফেলে, বরং সে যেন তা তার বাম দিকে অথবা তার বাম পায়ের নীচে ফেলে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৯]
হাদীসের মান: সহীহ
এ হাদীসটি পূর্বের হাদীসটির মতো সনদ ও মতোন একই।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤١٠ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، وَأَبَا سَعِيدٍ أَخْبَرَاهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى نُخَامَةً فِي حَائِطِ المَسْجِدِ، فَتَنَاوَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَصَاةً، فَحَتَّهَا، ثُمَّ قَالَ: «إِذَا تَنَخَّمَ أَحَدُكُمْ، فَلَا يَتَنَخَّمْ قِبَلَ وَجْهِهِ، وَلَا عَنْ يَمِينِهِ، وَلْيَبْصُقْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ قَدَمِهِ اليُسْرَى»
ইয়াহ’ইয়া ইব্ন বুকায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লায়ছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উক্বায়ল থেকে, তিনি ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি হু’মায়দ ইব্ন ‘আব্দুর রহমান থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ও আবূ সা’ঈদ (খুদরী) (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদের দেয়ালে কফ দেখলেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছু কাঁকর নিলেন এবং তা মুছে ফেললেন। অতঃপর তিনি বলেন, “তোমাদের কেউ কফ ফেললে তা যেন সে সামনে অথবা ডানে না ফেলে। বরং সে বাম দিকে কিংবা বাম পায়ের নীচে ফেলে”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪০০]
হাদীসের মান: সহীহ
এ হাদীসটি পূর্বের হাদীসটির মতো, সনদ ও মতোন একই।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤١٢ – حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أَخْبَرَنِي قَتَادَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَتْفِلَنَّ أَحَدُكُمْ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَلَا عَنْ يَمِينِهِ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ رِجْلِهِ»
হা’ফ্স্ব ইব্ন ‘উমার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ক্বাতাদাহ আমাকে খবর দিলেন, তিনি বললেন: আমি আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনলাম, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমাদের কেউ যেন তার সামনে বা ডানে থুথু নিক্ষেপ না করে; বরং তার বামে অথবা বাম পায়ের নীচে ফেলে”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪০১]
হাদীসের মান: সহীহ
٤١٣ – حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ المُؤْمِنَ إِذَا كَانَ فِي الصَّلَاةِ، فَإِنَّمَا يُنَاجِي رَبَّهُ، فَلَا يَبْزُقَنَّ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَلَا عَنْ يَمِينِهِ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ قَدَمِهِ»
আদম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ক্বাতাদাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন, আমি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনলাম, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “মু’মিন যখন সালাতে থাকে, তখন সে তার প্রতিপালকের সাথে নিভৃতে কথা বলে। কাজেই সে যেন তার সামনে, ডানে থুথু না ফেলে, বরং তার বাম দিকে অথবা (বাম) পায়ের নীচে ফেলে”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪০২]
হাদীসের মান: সহীহ
٤١٤ – حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ، أَنَّ النَّبِيَّ صلّى الله عليه وسلم أَبْصَرَ نُخَامَةً فِي قِبْلَةِ المَسْجِدِ، فَحَكَّهَا بِحَصَاةٍ ثُمَّ «نَهَى أَنْ يَبْزُقَ الرَّجُلُ بَيْنَ يَدَيْهِ، أَوْ عَنْ يَمِينِهِ وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ قَدَمِهِ اليُسْرَى» وَعَنِ الزُّهْرِيِّ، سَمِعَ حُمَيْدًا، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ نَحْوَهُ
আলী ইব্ন ‘আব্দুল্লাহআমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফ্ইয়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: যুহুরী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হুমায়দ ইব্ন আব্দুর রহমান থেকে, তিনি আবূ সা’ঈদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা মসজিদের ক্বিবলার দিকের দেয়ালে কফ দেখলেন, তখন তিনি কাঁকর দিয়ে তা মুছে দিলেন। অতঃপর সামনের দিকে অথবা ডান দিকে থুথু ফেলতে নিষেধ করলেন। কিন্তু (প্রয়োজনে) বাম দিকে অথবা বাম পায়ের নীচে ফেলতে বললেন। যুহরী (রহমাহুল্লাহ) হুমাঈদ (রহমাহুল্লাহ)-এর মাধ্যমে আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হতে অনুরূপ রিওয়ায়াত আছে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪০৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٤١٥ – حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «البُزَاقُ فِي المَسْجِدِ خَطِيئَةٌ وَكَفَّارَتُهَا دَفْنُهَا»
আদম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ক্বাতাদাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনলাম, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “মসজিদে থুথু ফেলা গুনাহের কাজ, আর তার কাফফারাহ (প্রতিকার) হচ্ছে তা দাবিয়ে দেয়া (মুছে ফেলা)”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪০৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٤١٦ – حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ إِلَى الصَّلَاةِ، فَلَا يَبْصُقْ أَمَامَهُ، فَإِنَّمَا يُنَاجِي اللَّهَ مَا دَامَ فِي مُصَلَّاهُ، وَلَا عَنْ يَمِينِهِ، فَإِنَّ عَنْ يَمِينِهِ مَلَكًا، وَلْيَبْصُقْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ قَدَمِهِ، فَيَدْفِنُهَا»
ইসহা’ক্ব ইব্ন নাস্বর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুর রাজ্জাক আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মা‘মার থেকে, তিনি হাম্মাম থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনেছেন, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে, তিনি বলেন, “তোমাদের কেউ সালাতে দাঁড়ালে সে তার সামনের দিকে থুথু ফেলবে না। কেননা সে যতক্ষণ তার মুসল্লায় থাকে, ততক্ষণ মহান আল্লাহর সাথে চুপে চুপে কথা বলে। আর ডান দিকেও ফেলবে না। তার ডানদিকে থাকেন ফেরেশতা/মালাক। সে যেন তার বাম দিকে অথবা পায়ের নীচে থুথু ফেলে এবং পরে তা দাবিয়ে দেয়”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪০৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٤١٧ – حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى نُخَامَةً فِي القِبْلَةِ، فَحَكَّهَا بِيَدِهِ وَرُئِيَ مِنْهُ كَرَاهِيَةٌ، أَوْ رُئِيَ كَرَاهِيَتُهُ لِذَلِكَ وَشِدَّتُهُ عَلَيْهِ، وَقَالَ: «إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صَلَاتِهِ، فَإِنَّمَا يُنَاجِي رَبَّهُ أَوْ رَبُّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ قِبْلَتِهِ، فَلَا يَبْزُقَنَّ فِي قِبْلَتِهِ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ أَوْ تَحْتَ قَدَمِهِ»، ثُمَّ أَخَذَ طَرَفَ رِدَائِهِ، فَبَزَقَ فِيهِ وَرَدَّ بَعْضَهُ عَلَى بَعْضٍ، قَالَ: «أَوْ يَفْعَلُ هَكَذَا»
মালিক ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন. তিনি বললেন: যুহায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হু’মায়দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বিবলার দিকে (দেয়ালে) কফ দেখে তা নিজ হাতে মুছে ফেললেন আর তাঁর চেহারায় অসন্তোষ প্রকাশ পেল। বা সে কারনে তাঁর চেঁহারায় অসন্তোষ প্রকাশ পেলো এবং এর প্রতি তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ পেল। তিনি বললেন, “যখন তোমাদের কেউ সালাতে দাঁড়ায়, তখন সে তার প্রতিপালকের সাথে চুপে চুপে কথা বলে। অথবা (বলেছেন) তখন তার প্রতিপালক, ক্বিবলা ও তার মাঝখানে থাকেন। কাজেই সে যেন ক্বিবলার দিকে থুথু না ফেলে, বরং (প্রয়োজনে) তার বাম দিকে বা পায়ের নীচে ফেলবে। অতঃপর তিনি চাদরের কোণ ধরে তাতে থুথু ফেলে এক অংশের উপর অপর অংশ ভাঁজ করে দিলেন এবং বললেন, অথবা এমন করবে”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪০৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٤١٨ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «هَلْ تَرَوْنَ قِبْلَتِي هَا هُنَا، فَوَاللَّهِ مَا يَخْفَى عَلَيَّ خُشُوعُكُمْ وَلَا رُكُوعُكُمْ، إِنِّي لَأَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِي»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন আবূ যিনাদ থেকে, তিনি আ‘রাজ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমরা কি মনে কর যে, আমার দৃষ্টি (কেবল) ক্বিবলার দিকে? আল্লাহ্র কসম! আমার নিকট খুশু’ (বিনয়) ও রুকূ’ কিছুই গোপন থাকে না। অবশ্যই আমি আমার পেছন হতেও তোমাদের দেখতে পাই”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪০৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٤١٩ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةً، ثُمَّ رَقِيَ المِنْبَرَ، فَقَالَ فِي الصَّلَاةِ وَفِي الرُّكُوعِ: «إِنِّي لَأَرَاكُمْ مِنْ وَرَائِي كَمَا أَرَاكُمْ»
ইয়াহ’ইয়া ইব্ন স্বালিহ’ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ফুলায়হ’ ইব্ন সুলায়মান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হিলাল ইব্ন আলী থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেছেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি মিম্বারে উঠলেন এবং ইরশাদ করলেন, “তোমাদের সালাতে ও রুকূ’তে আমি অবশ্যই তোমাদেরকে আমার পেছন হতে দেখে থাকি, যেমন এখন তোমাদেরকে দেখতে পাচ্ছি”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪০৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٢٠ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَابَقَ بَيْنَ الخَيْلِ الَّتِي أُضْمِرَتْ مِنَ الحَفْيَاءِ، وَأَمَدُهَا ثَنِيَّةُ الوَدَاعِ، وَسَابَقَ بَيْنَ الخَيْلِ الَّتِي لَمْ تُضْمَرْ مِنَ الثَّنِيَّةِ إِلَى مَسْجِدِ بَنِي زُرَيْقٍ»، وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ فِيمَنْ سَابَقَ بِهَا
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন নাফি‘, তিনি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন, “আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধের জন্যে তৈরি ঘোড়াকে ‘হাফয়া’ (নামক স্থান) হতে ‘সানিয়াতুল ওয়াদা’ পর্যন্ত দৌড় প্রতিযোগিতা করিয়েছিলেন। আর যে ঘোড়া যুদ্ধের জন্যে তৈরি নয়, সে ঘোড়াকে ‘সানিয়া’ হতে যুরাইক গোত্রের মসজিদ পর্যন্ত দৌড় প্রতিযোগিতা করিয়েছিলেন। আর এই প্রতিযোগিতায় ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) অগ্রগামী ছিলেন”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪০৯]
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: «القِنْوُ العِذْقُ وَالِاثْنَانِ قِنْوَانِ وَالجَمَاعَةُ أَيْضًا قِنْوَانٌ مِثْلَ صِنْوٍ وَصِنْوَانٍ»
আবূ ‘আব্দুল্লাহ বুখারী (রহমাহুল্লাহ) বলেন, اَلْقِنْوُ اَلْعِذْقُ – একই জিনিসের নাম। এর দ্বিবচন قِنْوَانِ এবং বহুবচনেও قُنْوَانٌ যেমন صِنْوٌ ও صِنْوَانٌ ।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٢١ – وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ يَعْنِي ابْنَ طَهْمَانَ، عَنْ عَبْدِ العَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَالٍ مِنَ البَحْرَيْنِ، فَقَالَ: «انْثُرُوهُ فِي المَسْجِدِ» وَكَانَ أَكْثَرَ مَالٍ أُتِيَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلّى الله عليه وسلم، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الصَّلَاةِ وَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَيْهِ، فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ جَاءَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ، فَمَا كَانَ يَرَى أَحَدًا إِلَّا أَعْطَاهُ، إِذْ جَاءَهُ العَبَّاسُ، فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ: أَعْطِنِي، فَإِنِّي فَادَيْتُ نَفْسِي وَفَادَيْتُ عَقِيلًا، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُذْ» فَحَثَا فِي ثَوْبِهِ، ثُمَّ ذَهَبَ يُقِلُّهُ فَلَمْ يَسْتَطِعْ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اؤْمُرْ بَعْضَهُمْ يَرْفَعْهُ إِلَيَّ، قَالَ: «لَا» قَالَ: فَارْفَعْهُ أَنْتَ عَلَيَّ، قَالَ: «لَا» فَنَثَرَ مِنْهُ، ثُمَّ ذَهَبَ يُقِلُّهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اؤْمُرْ بَعْضَهُمْ يَرْفَعْهُ عَلَيَّ، قَالَ: «لَا» قَالَ: فَارْفَعْهُ أَنْتَ عَلَيَّ، قَالَ: «لَا» فَنَثَرَ مِنْهُ، ثُمَّ احْتَمَلَهُ، فَأَلْقَاهُ عَلَى كَاهِلِهِ، ثُمَّ انْطَلَقَ، فَمَا زَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُتْبِعُهُ بَصَرَهُ حَتَّى خَفِيَ عَلَيْنَا – عَجَبًا مِنْ حِرْصِهِ – فَمَا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَثَمَّ مِنْهَا دِرْهَمٌ
এবং ইবরাহীম অর্থাৎ ইব্ন ত্বাহমান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আব্দুল ‘আযীয ইব্ন স্বুহায়ব থেকে, তিনি আনাস ইব্ন মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বাহরাইন হতে কিছু সম্পদ এলো। তিনি বললেন: এগুলো মসজিদে রেখে দাও। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ যাবত যত সম্পদ আনা হয়েছে তার মধ্যে এ সম্পদই ছিল পরিমাণে সবচে’ বেশী। অতঃপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাতে চলে গেলেন এবং এর দিকে দৃষ্টি দিলেন না। সালাত শেষ করে তিনি এসে সম্পদের নিকট গিয়ে বসলেন। তিনি যাকেই দেখলেন, কিছু সম্পদ দিয়ে দিলেন। ইতোমধ্যে ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এসে বললেন: হে আল্লাহর রসূল! আমাকেও কিছু দিন। কারণ আমি নিজের ও ‘আকীলের (এ দু’জন বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের কয়েদী ছিলেন) পক্ষ হতে মুক্তিপণ দিয়েছি। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন: নিয়ে যান। তিনি তা কাপড়ে ভরে নিলেন। অতঃপর তা উঠাতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু পারলেন না। তিনি বললেন: হে আল্লাহর রসূল! কাউকে বলুন, যেন আমাকে এটি উঠিয়ে দেয়। তিনি বললেন না। ‘আবাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: তাহলে আপনি নিজেই তুলে দিন। তিনি বললেন: না। ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তা হতে কিছু সম্পদ রেখে দিলেন। অতঃপর পুনরায় তা তুলতে চেষ্টা করলেন। (এবারও তুলতে না পেরে) তিনি বললেন: হে আল্লাহর রসূল! কাউকে আদেশ করুন যেন আমাকে তুলে দেয়। তিনি বললেন: না। অতঃপর ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: তাহলে আপনিই আমাকে তুলে দিন। তিনি বললেন: না। অতঃপর ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আরো কিছু সম্পদ নামিয়ে রাখলেন। এবার তিনি উঠতে পারলেন এবং তা নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এই লোভ দেখে এতই বিস্মিত হয়েছিলেন যে, তিনি ‘আব্বাসের দিকে তাকিয়ে থাকলেন যতক্ষণ না তিনি চোখের আড়াল হলেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানে একটি দিরহাম অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত উঠলেন না।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ অনুচ্ছেদ পৃঃ ২০৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ অনুচ্ছেদ ২৮৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٢٢ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، سَمِعَ أَنَسًا، قَالَ: وَجَدْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي المَسْجِدِ مَعَهُ نَاسٌ، فَقُمْتُ فَقَالَ لِي: «آرْسَلَكَ أَبُو طَلْحَةَ؟»، قُلْتُ: نَعَمْ، فَقَالَ: «لِطَعَامٍ»، قُلْتُ: نَعَمْ، فَقَالَ: «لِمَنْ مَعَهُ قُومُوا، فَانْطَلَقَ وَانْطَلَقْتُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইঊসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন ইসহা’ক্ব ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন আবূ ত্বালহা থেকে, তিনি আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনেছেন, তিনি বলেন: আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মসজিদে পেলাম আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েক জন সাহাবী। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। তিনি আমাকে বললেন: তোমাকে কি আবূ তাল্হা পাঠিয়েছেন? আমি বললাম: জী হাঁ। তিনি বললেন: খাবার জন্য? আমি বললাম: জী হাঁ। তখন তাঁর আশে পাশে যাঁরা ছিলেন, তিনি তাঁদেরকে বললেন: উঠ। অতঃপর তিনি চলতে শুরু করলেন। (রাবী বলেন) আর আমি তাঁদের সামনে সামনে অগ্রসর হলাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪১০]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٢٣ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ «أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا أَيَقْتُلُهُ؟ فَتَلَاعَنَا فِي المَسْجِدِ، وَأَنَا شَاهِدٌ»
ইয়াহ’ইয়া ইব্ন মূসা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আব্দুর রাজযাযাক্ব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন জুরায়জ আমাদেরকে খবর দিলেন, তিনি বললেন: ইব্ন শিহাব আমাদেরকে খবর দিলেন সাহ্ল ইব্নু সা’দ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: “এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল। কেউ তার স্ত্রীর সাথে অন্য ব্যক্তিকে দেখতে পেলে কি তাকে হত্যা করবে?” পরে মসজিদে সেও তার স্ত্রী একে অন্যকে ‘লি’আন’ ১ করল। তখন আমি তা প্রত্যক্ষ করলাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪১১]
ফুটনোটঃ
১. লি‘আন: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সৃষ্ট বিবাদে কোন মিমাংসা না হলে, সর্ব শেষ ফয়সালা হিসেবে তারা প্রত্যেকে নিজের উপর অভিসম্পাত বর্ষণ করবে এই বলে যে, যদি আমি মিথ্যা বাদী হই তাহলে আল্লাহর অভিসম্পাত আমার উপর পতিত হোক। [সূরা নূর ২৪:৬-৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٢٤ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ عِتْبَانَ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَاهُ فِي مَنْزِلِهِ، فَقَالَ: «أَيْنَ تُحِبُّ أَنْ أُصَلِّيَ لَكَ مِنْ بَيْتِكَ؟» قَالَ: فَأَشَرْتُ لَهُ إِلَى مَكَانٍ، فَكَبَّرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَفَفْنَا خَلْفَهُ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসলামাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইবরাহীম ইব্ন সা‘দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি মাহ্’মূদ ইব্ন রাবী‘ থেকে, তিনি ‘ইতবান ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘরে এলেন এবং বললেন: তোমার ঘরের কোন জায়গায় আমার সালাত আদায় করা তুমি পছন্দ কর? তিনি বললেন: তখন আমি তাঁকে একটি স্থানের দিকে ইঙ্গিত করলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকবীর বললেন। আমরা তাঁর পেছনে কাতার হয়ে দাঁড়ালাম। তিনি দু’রাকা’আত সালাত আদায় করলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪১২]
وَصَلَّى البَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ: «فِي مَسْجِدِهِ فِي دَارِهِ جَمَاعَةً»
বরা’ ইব্ন ‘আযিব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) নিজের বাড়ীর মসজিদে জামা‘আত করে সালাত আদায় করেছিলেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٢٥ – حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ الأَنْصَارِيُّ، أَنَّ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ وَهُوَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مِنَ الأَنْصَارِ أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ أَنْكَرْتُ بَصَرِي، وَأَنَا أُصَلِّي لِقَوْمِي فَإِذَا كَانَتِ الأَمْطَارُ سَالَ الوَادِي الَّذِي بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ، لَمْ أَسْتَطِعْ أَنْ آتِيَ مَسْجِدَهُمْ فَأُصَلِّيَ بِهِمْ، وَوَدِدْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَّكَ تَأْتِينِي فَتُصَلِّيَ فِي بَيْتِي، فَأَتَّخِذَهُ مُصَلًّى، قَالَ: فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَأَفْعَلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ» قَالَ عِتْبَانُ: فَغَدَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ حِينَ ارْتَفَعَ النَّهَارُ، فَاسْتَأْذَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَذِنْتُ لَهُ، فَلَمْ يَجْلِسْ حَتَّى دَخَلَ البَيْتَ، ثُمَّ قَالَ: «أَيْنَ تُحِبُّ أَنْ أُصَلِّيَ مِنْ بَيْتِكَ» قَالَ: فَأَشَرْتُ لَهُ إِلَى نَاحِيَةٍ مِنَ البَيْتِ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَبَّرَ، فَقُمْنَا فَصَفَّنَا فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ، قَالَ وَحَبَسْنَاهُ عَلَى خَزِيرَةٍ صَنَعْنَاهَا لَهُ، قَالَ: فَآبَ فِي البَيْتِ، رِجَالٌ مِنْ أَهْلِ الدَّارِ ذَوُو عَدَدٍ، فَاجْتَمَعُوا، فَقَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ: أَيْنَ مَالِكُ بْنُ الدُّخَيْشِنِ أَوِ ابْنُ الدُّخْشُنِ؟ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: ذَلِكَ مُنَافِقٌ لَا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” لَا تَقُلْ ذَلِكَ، أَلَا تَرَاهُ قَدْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، يُرِيدُ بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ ” قَالَ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: فَإِنَّا نَرَى وَجْهَهُ وَنَصِيحَتَهُ إِلَى المُنَافِقِينَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، يَبْتَغِي بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ ” قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: ثُمَّ سَأَلْتُ الحُصَيْنَ بْنَ مُحَمَّدٍ الأَنْصَارِيَّ – وَهُوَ أَحَدُ بَنِي سَالِمٍ – وَهُوَ مِنْ سَرَاتِهِمْ، عَنْ حَدِيثِ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ الأَنْصَارِيِّ: «فَصَدَّقَهُ بِذَلِكَ»
সা‘ঈদ ইব্ন ‘উফায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লাইছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘উকায়ল আমাকে আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি বললেন: মাহমূদ ইব্নু রাবী’ আনসারী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাকে খবর দিলেন, তিনি বললেন: ‘ইতবান ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু), যিনি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে বদরের যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী আনসারগণের অন্যতম, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাযির হয়ে আরয করলেন হে আল্লাহ্র রসূল! আমার দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেয়েছে। আমি আমার গোত্রের লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করি। কিন্তু বৃষ্টি হলে আমার ও তাদের বাসস্থানের মধ্যবর্তী নিম্নভুমিতে পানি জমে যাওয়াতে তা পার হয়ে তাদের মসজিদে পৌছাতে এবং তাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করতে সমর্থ হই না। আর হে আল্লাহর রসূল! আমার একান্ত ইচ্ছা যে, আপনি আমার ঘরে এসে কোন এক স্থানে সালাত আদায় করেন এবং আমি সেই স্থানকে সালাতের জন্য নির্দিষ্ট করে নিই। রাবী বলেন: তাঁকে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: ইনশাআল্লাহ্ অচিরেই আমি তা করব। ‘ইতবান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: পর দিন সূর্যোদয়ের পর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমার ঘরে তাশরীফ আনেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে আমি তাঁকে অনুমতি দিলাম। ঘরে প্রবেশ করে তিনি না বসেই জিজ্ঞেস করলেন: তোমার ঘরের কোন স্থানে সালাত আদায় করা পছন্দ কর? তিনি বলেন: আমি তাঁকে ঘরের এক প্রান্তের দিকে ইঙ্গিত করলাম। অতঃপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়ালেন এবং তাকবীর বললেন। তখন আমরাও দাঁড়ালাম এবং কাতারবন্দী হলাম। তিনি দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর সালাম ফিরালেন। তিনি (‘ইতবান) বলেন: আমরা তাঁকে কিছুক্ষণের জন্য বসালাম এবং তাঁর জন্য তৈরি ‘খাযিরাহ’ ১ নামক খাবার তাঁর সামনে পেশ করলাম। রাবী বলেন: এ সময় মহল্লার কিছুলোক এসে ঘরে ভীড় জমালেন। তখন উপস্থিত লোকদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি বলে উঠলেন, ‘মালিক ইব্নু দুখাইশিন’ কোথায়? অথবা বললেন: ‘ইব্নু দুখশুন’ কোথায়? তখন তাদের একজন জওয়াব দিলেন, সে মুনাফিক। সে মহান আল্লাহ ও আল্লাহর রসূলকে ভালবাসে না। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: এরূপ বলো না। তুমি কি দেখছ না যে, সে আল্লাহর সন্তোষ লাভের জন্য “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ” বলেছে? তখন সে ব্যক্তি বললেন: আল্লাহ ও তাঁর রসূলই ভাল জানেন। আমরা তো তার সম্পর্ক ও নাসীহাত কামনা মুনাফিকদের সাথেই দেখি। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আল্লাহ তা’আলা তো এমন ব্যক্তির প্রতি জাহান্নাম হারাম করে দিয়েছেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে “লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ” বলে। রাবী’ ইব্ন শিহাব (রহমাহুল্লাহ) বলেন: অতঃপর আমি মাহমূদ ইব্ন রাবী’ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর হাদীস সম্পর্কে হুসায়ন ইব্নু মুহাম্মাদ আনসারী (রহমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, যিনি বনূ সালিম গোত্রের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি এ হাদীস সমর্থন করলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪১৩]
ফুটনোটঃ
১. খাযিরাহ: ছোট ছোট গোশতের টুকরা বা কিমা, পানি দ্বারা সিদ্ধ করার পর সেটাতে আটা মিশিয়ে রান্না করা খাবার।
وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ: «يَبْدَأُ بِرِجْلِهِ اليُمْنَى فَإِذَا خَرَجَ بَدَأَ بِرِجْلِهِ اليُسْرَى»
ইব্ন ‘উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) প্রবেশের সময় প্রথম ডান পা দিয়ে শুরু করতেন এবং বের হওয়ার সময় প্রথম বাঁ পা দিয়ে শুরু করতেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٢٦ – حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّ التَّيَمُّنَ مَا اسْتَطَاعَ فِي شَأْنِهِ كُلِّهِ، فِي طُهُورِهِ وَتَرَجُّلِهِ وَتَنَعُّلِهِ»
সুলায়মান ইব্ন হা’রব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আশ‘আছি ইব্ন সুলায়ম থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি মাসরূক্ব থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন, “নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের সমস্ত কাজে যথাসম্ভব ডানদিক হতে আরম্ভ করা পছন্দ করতেন। তাহারাত অর্জন, মাথা আঁচড়ানো এবং জুতা পরার সময়ও”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪১৪]
لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَعَنَ اللَّهُ اليَهُودَ اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ» وَمَا يُكْرَهُ مِنَ الصَّلَاةِ فِي القُبُورِ وَرَأَى عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يُصَلِّي عِنْدَ قَبْرٍ، فَقَالَ: «القَبْرَ القَبْرَ، وَلَمْ يَأْمُرْهُ بِالإِعَادَةِ»
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: ইয়াহুদীদের উপর আল্লাহ্র অভিশাপ, তারা নবীগণের কবরকে মসজিদ বানিয়েছে। আর কবরের উপর সালাত আদায় করা মাকরূহ হওয়া প্রসঙ্গে ‘উমার ইব্ন খত্তাব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আনাস ইব্ন মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে একটি কবরের কাছে সালাত আদায় করতে দেখে বললেন: কবর! কবর! কিন্তু তিনি তাঁকে সালাত পুনরায় আদায় করতে বলেন নি-
হাদীসের মান: সহীহ
٤٢٧ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ المُؤْمِنِينَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ، وَأُمَّ سَلَمَةَ ذَكَرَتَا كَنِيسَةً رَأَيْنَهَا بِالحَبَشَةِ فِيهَا تَصَاوِيرُ، فَذَكَرَتَا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّ أُولَئِكَ إِذَا كَانَ فِيهِمُ الرَّجُلُ الصَّالِحُ فَمَاتَ، بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا، وَصَوَّرُوا فِيهِ تِلْكَ الصُّوَرَ، فَأُولَئِكَ شِرَارُ الخَلْقِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ القِيَامَةِ»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন মুছান্না আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হিশাম থেকে, তিনি বললেন: আমার পিতা আমাকে খবর দিলেন উম্মুল মূ’মেনিন ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বললেন: উম্মু হাবীবা ও উম্মু সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) হাবশায় তাঁদের দেখা একটা গির্জার কথা বলেছিলেন, যাতে বেশ কিছু মূর্তি ছিল। তাঁরা উভয়ে বিষয়টি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বর্ণনা করলেন। তিনি ইরশাদ করলেন: তাদের অবস্থা ছিল এমন যে, কোন সৎ লোক মারা গেলে তারা তার কবরের উপর মসজিদ বানাতো। আর তার ভিতর ঐ লোকের মূর্তি তৈরি করে রাখতো। কিয়ামত দিবসে তারাই আল্লাহ্র নিকট সবচাইতে নিকৃষ্ট সৃষ্টজীব বলে পরিগণিত হবে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪১৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٢٨ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ فَنَزَلَ أَعْلَى المَدِينَةِ فِي حَيٍّ يُقَالُ لَهُمْ بَنُو عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، فَأَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِمْ أَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى بَنِي النَّجَّارِ، فَجَاءُوا مُتَقَلِّدِي السُّيُوفِ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَاحِلَتِهِ، وَأَبُو بَكْرٍ رِدْفُهُ وَمَلَأُ بَنِي النَّجَّارِ حَوْلَهُ حَتَّى أَلْقَى بِفِنَاءِ أَبِي أَيُّوبَ ، وَكَانَ يُحِبُّ أَنْ يُصَلِّيَ حَيْثُ أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ، وَيُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الغَنَمِ، وَأَنَّهُ أَمَرَ بِبِنَاءِ المَسْجِدِ، فَأَرْسَلَ إِلَى مَلَإٍ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ فَقَالَ: «يَا بَنِي النَّجَّارِ ثَامِنُونِي بِحَائِطِكُمْ هَذَا»، قَالُوا: لَا وَاللَّهِ لَا نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلَّا إِلَى اللَّهِ، فَقَالَ أَنَسٌ: فَكَانَ فِيهِ مَا أَقُولُ لَكُمْ قُبُورُ المُشْرِكِينَ، وَفِيهِ خَرِبٌ وَفِيهِ نَخْلٌ، فَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقُبُورِ المُشْرِكِينَ، فَنُبِشَتْ، ثُمَّ بِالخَرِبِ فَسُوِّيَتْ، وَبِالنَّخْلِ فَقُطِعَ، فَصَفُّوا النَّخْلَ قِبْلَةَ المَسْجِدِ وَجَعَلُوا عِضَادَتَيْهِ الحِجَارَةَ، وَجَعَلُوا يَنْقُلُونَ الصَّخْرَ وَهُمْ يَرْتَجِزُونَ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُمْ، وَهُوَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلْأَنْصَارِ وَالمُهَاجِرَهْ»
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল ওয়ারিছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আবূ তায়য়াহ’ থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় পৌঁছে প্রথমে মদীনার উচ্চ এলাকায় অবস্থিত বনূ ‘আম্র ইব্নু ‘আওফ নামক গোত্রে উপনীত হন। তাদের সঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চৌদ্দ দিন (অপর বর্ণনায় চব্বিশ দিন) অবস্থান করেন। অতঃপর তিনি বনূ নাজ্জারকে ডেকে পাঠালেন। তারা কাঁধে তলোয়ার ঝুলিয়ে উপস্থিত হলো। আমি যেন এখনো সে দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছিলেন তাঁর বাহনের উপর, আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) সে বাহনেই তাঁর পেছনে আর বনূ নাজ্জারের দল তাঁর আশেপাশে। অবশেষে তিনি আবূ আয়্যূব আনসারী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-র ঘরের সাহানে অবতরণ করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেখানেই সালাতের ওয়াক্ত হয় সেখানেই সালাত আদায় করতে পছন্দ করতেন এবং তিনি ছাগল-ভেড়ার খোঁয়াড়েও সালাত আদায় করতেন। এখন তিনি মসজিদ তৈরি করার নির্দেশ দেন। তিনি বনূ নাজ্জারকে ডেকে বললেন: হে বনূ নাজ্জার! তোমরা আমার কাছ হতে তোমাদের এই বাগিচার মূল্য নির্ধারণ কর। তারা বললো: না, আল্লাহ্র কসম, আমরা এর দাম নেব না। এর দাম আমরা একমাত্র আল্লাহ্র নিকটই আশা করি। আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: আমি তোমাদের বলছি, এখানে মুশরিকদের কবর এবং ভগ্নাবশেষ ছিল। আর ছিল খেজুর গাছ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশে মুশরিকদের কবর খুঁড়ে ফেলা হলো, অতঃপর ভগ্নাবশেষ সমতল করে রাখা হলো, খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলা হলো অতঃপর মসজিদের কিবলায় সারিবদ্ধ করে রাখা হলো এবং তার দুই পাশে পাথর বসানো হলো। সাহাবীগণ পাথর তুলতে তুলতে ছন্দোবদ্ধ কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও তাঁদের সাথে ছিলেন। তিনি তখন বলছিলেনঃ أَللهُمَّ لَاخَيْرَإِلَّاخَيْرُالْاَخِرَة + فَاغْفِرْ لِلْاَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَةِ “হে আল্লাহ! আখিরাতের কল্যাণ ব্যতীত (প্রকৃত) আর কোন কল্যাণ নেই। তুমি আনসার ও মুহাজিরগণকে ক্ষমা কর।”
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনী: ৪১০, ইসলামী ফাউন্ডেশন: ৪১৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٢٩ – حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الغَنَمِ، ثُمَّ سَمِعْتُهُ بَعْدُ يَقُولُ: «كَانَ يُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الغَنَمِ قَبْلَ أَنْ يُبْنَى المَسْجِدُ»
সুলায়মান ইব্ন হা’রব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আবূ তায়্য়াহ থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছাগল থাকার স্থানে সালাত আদায় করেছেন। রাবী বলেন, অতঃপর আমি আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে বলতে শুনেছি যে, মসজিদ নির্মাণের পূর্বে তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছাগলের খোঁয়াড়ে সালাত আদায় করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪১৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٣٠ – حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الفَضْلِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَيَّانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ «يُصَلِّي إِلَى بَعِيرِهِ»، وَقَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُهُ
স্বাদাক্বাহ ইব্ন ফাযল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুলায়মান ইব্ন হা’য়য়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘উবায়দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন নাফি’ থেকে, তিনি বলেন: আমি ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)–কে তাঁর উটের দিকে সালাত আদায় করতে দেখেছি। আর ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেছেন: আমি দেখেছি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন করতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪১৮]
وَقَالَ الزُّهْرِيُّ، أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عُرِضَتْ عَلَيَّ النَّارُ وَأَنَا أُصَلِّي»
যহরী (রহমাহুল্লাহ) বলেন: আমাকে আনাস ইব্ন মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) জানিয়েছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার সামনে আগুন (জাহান্নাম) পেশ করা হলো, তখন আমি সালাতে ছিলাম।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٣١ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: انْخَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: «أُرِيتُ النَّارَ فَلَمْ أَرَ مَنْظَرًا كَاليَوْمِ قَطُّ أَفْظَعَ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসলামাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মালিক থেকে, তিনি যায়দ ইব্ন আসলাম থেকে, তিনি ‘আত্বা ইব্ন ইয়াসার থেকে, তিনি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আব্বাস (রহমাহুল্লাহ) থেকে, তিনি বলেন: একবার সূর্য গ্রহণ হলো। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করলেন। অতঃপর বললেন: আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়েছে। আজকের মত ভয়াবহ দৃশ্য ইতোপূর্বে কখনো দেখিনি।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪১৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٣٢ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اجْعَلُوا فِي بُيُوتِكُمْ مِنْ صَلَاتِكُمْ وَلَا تَتَّخِذُوهَا قُبُورًا»
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উবায়দুল্লাহ ইব্ন ‘উমার থেকে, তিনি বললেন: নাফি‘ আমাকে খবর দিলেন ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের ঘরেও কিছু সালাত আদায় করবে এবং ঘরকে তোমরা কবর বানিয়ে নিও না।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২০]
وَيُذْكَرُ أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «كَرِهَ الصَّلَاةَ بِخَسْفِ بَابِلَ»
উল্লেখ রয়েছে যে, ‘আলী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ব্যাবিলনের ধ্বংস্তুপে সালাত আদায় করা মাকরূহ মনে করতেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٣٣ – حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَدْخُلُوا عَلَى هَؤُلَاءِ المُعَذَّبِينَ إِلَّا أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ، فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا بَاكِينَ فَلَا تَدْخُلُوا عَلَيْهِمْ، لَا يُصِيبُكُمْ مَا أَصَابَهُمْ»
ইসমা‘ঈল ইব্ন আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন দ্বীনার থেকে, তিনি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা এসব ‘আযাবপ্রাপ্ত সম্প্রদায়ের লোকালয়ে ক্রন্দনরত অবস্থা ব্যতীত প্রবেশ করবে না। কান্না না আসলে সেখানে প্রবেশ করো না, যেন তাদের উপর যা আপতিত হয়েছিল তা তোমাদের প্রতিও আসতে না পারে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২১]
وَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «إِنَّا لَا نَدْخُلُ كَنَائِسَكُمْ مِنْ أَجْلِ التَّمَاثِيلِ الَّتِي فِيهَا الصُّوَرُ» وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «يُصَلِّي فِي البِيعَةِ إِلَّا بِيعَةً فِيهَا تَمَاثِيلُ»
‘উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেছেন: আমরা তোমাদের গির্জাসমূহে প্রবেশ করি না, কারণ তাতে মূর্তি রয়েছে। ইব্ন ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) গির্জায় সালাত আদায় করতেন। তবে যেগুলোতে মূর্তি ছিল সেগুলোতে নয়।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٣٤ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَامٍ، قَالَ : أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ، ذَكَرَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَنِيسَةً رَأَتْهَا بِأَرْضِ الحَبَشَةِ يُقَالُ لَهَا مَارِيَةُ، فَذَكَرَتْ لَهُ مَا رَأَتْ فِيهَا مِنَ الصُّوَرِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُولَئِكَ قَوْمٌ إِذَا مَاتَ فِيهِمُ العَبْدُ الصَّالِحُ، أَوِ الرَّجُلُ الصَّالِحُ، بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا، وَصَوَّرُوا فِيهِ تِلْكَ الصُّوَرَ، أُولَئِكَ شِرَارُ الخَلْقِ عِنْدَ اللَّهِ»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন সালাম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হিশাম ইব্ন ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বললেন: উম্মু সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট তাঁর হাবশায় দেখা মারিয়া নামক একটা গির্জার কথা উল্লেখ করলেন। তিনি সেখানে যে সব প্রতিচ্ছবি দেখেছিলেন, সেগুলোর বর্ণনা দিলেন। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: এরা এমন সম্প্রদায় যে, এদের মধ্যে কোন সৎ বান্দা অথবা বলেছেন কোন সৎ লোক মারা গেলে তার কবরের উপর তারা মসজিদ বানিয়ে নিত। আর তাতে ঐ সব ব্যক্তির প্রতিচ্ছবি স্থাপন করতো। এরা আল্লাহ্র নিকট নিকৃষ্টতম সৃষ্টজীব।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২২]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٣٥ – حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، قَالَا: لَمَّا نَزَلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيصَةً لَهُ عَلَى وَجْهِهِ، فَإِذَا اغْتَمَّ بِهَا كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ، فَقَالَ وَهُوَ كَذَلِكَ: «لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى اليَهُودِ وَالنَّصَارَى، اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ» يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوا
আবূ ইয়ামান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘আয়ব আমাদেরকে খবর দিলেন জুহুরী থেকে, তিনি বললেন: ‘উবাইদুল্লাহ ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ ইব্ন ‘উত্বাহ (রহমাহুল্লাহ) আমাকে খবর দিলেন ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) এবং আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তাঁরা উভয়ই বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যু পীড়া শুরু হলে তিনি তাঁর একটা চাদরে নিজ মুখমণ্ডল আবৃত করতে লাগলেন। যখন শ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম হলো, তখন মুখ হতে চাদর সরিয়ে দিলেন। এমতাবস্থায় তিনি বললেন: ইয়াহুদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহ্র অভিশাপ, তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছেন। (এ বলে) তারা যে (বিদ’আতী) কার্যকলাপ করত তা হতে তিনি সতর্ক করেছিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৩]
হাদীসের মান: সহীহ
হাদীসটির সনদ ও মোতন পূর্বের ৪৩৫ নং হাদীসটি একই।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٣٦ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «قَاتَلَ اللَّهُ اليَهُودَ، اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসলামাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মালিক থেকে, তিনি ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি সা‘ঈদ ইব্ন মুসায়্য়িব থেকে, তিনি আবূ হুরায়রাহ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহুদীদের ধ্বংস করুন। কেননা তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে।”
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٣٨ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَيَّارٌ هُوَ أَبُو الحَكَمِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ الفَقِيرُ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ مِنَ الأَنْبِيَاءِ قَبْلِي: نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ، وَجُعِلَتْ لِي الأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا، وَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَدْرَكَتْهُ الصَّلَاةُ فَلْيُصَلِّ، وَأُحِلَّتْ لِي الغَنَائِمُ، وَكَانَ النَّبِيُّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ خَاصَّةً، وَبُعِثْتُ إِلَى النَّاسِ كَافَّةً، وَأُعْطِيتُ الشَّفَاعَةَ “
মুহা’ম্মাদ ইব্ন সিনান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হুশায়ম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সায়য়ার তিনি আবূ হা’কাম ছিলেন আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াযীদ ফাক্বীর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় প্রদান করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে কোন নবীকে দেয়া হয়নি। (১) আমাকে এমন প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে যা একমাসের দূরত্ব পর্যন্ত অনুভূত হয়। (২) সমস্ত যমীন আমার জন্যে সালাত আদায়ের স্থান ও পবিত্রতা অর্জনের উপায় করা হয়েছে। কাজেই আমার উম্মতের যে কেউ যেখানে সালাতের ওয়াক্ত হয় (সেখানেই) যেন সালাত আদায় করে নেয়। (৩) আমার জন্য গনীমত হালাল করা হয়েছে। (৪) অন্যান্য নবী নিজেদের বিশেষ গোত্রের প্রতি প্রেরিত হতেন আর আমাকে সকল মানবের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে। (৫) আমাকে সার্বজনীন সুপারিশের অধিকার প্রদান করা হয়েছে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٣٩ – حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ وَلِيدَةً كَانَتْ سَوْدَاءَ لِحَيٍّ مِنَ العَرَبِ، فَأَعْتَقُوهَا، فَكَانَتْ مَعَهُمْ، قَالَتْ: فَخَرَجَتْ صَبِيَّةٌ لَهُمْ عَلَيْهَا وِشَاحٌ أَحْمَرُ مِنْ سُيُورٍ، قَالَتْ: فَوَضَعَتْهُ – أَوْ وَقَعَ مِنْهَا – فَمَرَّتْ بِهِ حُدَيَّاةٌ وَهُوَ مُلْقًى، فَحَسِبَتْهُ لَحْمًا فَخَطِفَتْهُ، قَالَتْ: فَالْتَمَسُوهُ، فَلَمْ يَجِدُوهُ، قَالَتْ: فَاتَّهَمُونِي بِهِ، قَالَتْ: فَطَفِقُوا يُفَتِّشُونَ حَتَّى فَتَّشُوا قُبُلَهَا، قَالَتْ: وَاللَّهِ إِنِّي لَقَائِمَةٌ مَعَهُمْ، إِذْ مَرَّتِ الحُدَيَّاةُ فَأَلْقَتْهُ، قَالَتْ: فَوَقَعَ بَيْنَهُمْ، قَالَتْ: فَقُلْتُ هَذَا الَّذِي اتَّهَمْتُمُونِي بِهِ، زَعَمْتُمْ وَأَنَا مِنْهُ بَرِيئَةٌ، وَهُوَ ذَا هُوَ، قَالَتْ: «فَجَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَتْ»، قَالَتْ عَائِشَةُ: «فَكَانَ لَهَا خِبَاءٌ فِي المَسْجِدِ – أَوْ حِفْشٌ -» قَالَتْ: فَكَانَتْ تَأْتِينِي فَتَحَدَّثُ عِنْدِي، قَالَتْ: فَلَا تَجْلِسُ عِنْدِي مَجْلِسًا، إِلَّا قَالَتْ:
‘উবায়দ ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ উসামাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হিশাম ইব্ন ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: কোন আরব গোত্রের একটা কালো দাসী ছিল। তারা তাকে আযাদ করে দিল। অতঃপর সে তাদের সাথেই থেকে গেল। সে বলেছে যে, তাদের একটি মেয়ে গলায় লাল চামড়ার উপর মূল্যবান পাথর খচিত হার পরে বাইরে গেল। দাসী বলেছে: সে হারটা হয়ত নিজে কোথাও রেখে দিয়েছিল, অথবা কোথাও পড়ে গিয়েছিল। তখন একটা চিল তা পড়ে থাকা অবস্থায় গোশ্তের টুকরা মনে করে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল। দাসী বলেছে: অতঃপর গোত্রের লোকেরা বেশ খোঁজাখুঁজি করতে লাগলো। কিন্তু তারা তা পেল না। তখন তারা আমার উপর এর দোষ চাপাল। সে বলেছে: তারা আমার উপর তল্লাশী শুরু করলো, এমন কি আমার লজ্জাস্থানেও। দাসীটি বলেছে: আল্লাহ্র কসম! আমি তাদের সাথে সেই অবস্থায় দাঁড়ানো ছিলাম, এমন সময় চিলটি উড়ে যেতে যেতে হারটি ফেলে দিল। সে বলেছেঃ তাদের সামনেই তা পড়লো। তখন আমি বললাম: তোমরা তো এর জন্যই আমার উপর দোষ চাপিয়েছিলে। তোমরা আমার সম্পর্কে সন্দেহ করেছিলে অথচ আমি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্দোষ। এই তো সেই হার! সে বলেছে: অতঃপর সে রাসূলুল্ললাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে ইসলাম গ্রহণ করলো। ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন: তার জন্য মসজিদে (নাবাবীতে) একটা তাঁবু অথবা ছাপড়া করে দেয়া হয়েছিল। ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন: সে (দাসীটি) আমার নিকট আসতো আর আমার সঙ্গে কথাবার্তা বলতো। সে আমার নিকট যখনই বসতো তখনই বলতো: (وَيَومُ الوِشَاحِ مِن تَحَاجِيبِ رَبِّنَا * اَلاَ اِنَّهُ مِن بَلدَةِ الكُفرِ اَنجَانِي ) “সেই হারের দিনটি আমার প্রতিপালকের আশ্চর্য ঘটনা বিশেষ। জেনে রাখুন সে ঘটনাটি আমাকে কুফরের শহর হতে মুক্তি দিয়েছে।” ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন, আমি তাকে বললাম: কি ব্যাপার, তুমি আমার নিকট বসলেই সে এ কথাটা বলে থাক? ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন: সে তখন আমার নিকট উক্ত ঘটনা বর্ণনা করল।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৬]
وَقَالَ أَبُو قِلَابَةَ: عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: «قَدِمَ رَهْطٌ مِنْ عُكْلٍ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانُوا فِي الصُّفَّةِ» وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ: «كَانَ أَصْحَابُ الصُّفَّةِ الفُقَرَاءَ»
আবূ ক্বিলাবাহ (রহমাহুল্লাহ) আনাস ইব্ন মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণনা করেন: ‘উক্বল গোত্রের কতিপয় ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আসলেন এবং সুফ্ফায় অবস্থান করলেন। ‘আব্দুর রহমান ইব্ন আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: সুফ্ফাবাসিগণ ছিলেন দরিদ্র।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٤٠ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي نَافِعٌ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، «أَنَّهُ كَانَ يَنَامُ وَهُوَ شَابٌّ أَعْزَبُ لَا أَهْلَ لَهُ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উবায়দুল্লাহ থেকে, তিনি বললেন: নাফি‘ আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ‘উমার আমাকে খাবর দিলেন, তিনি মসজিদে নববীতে ঘুমাতেন। তিনি ছিলেন অবিবাহিত যুবক। তার কোন পরিবার-পরিজন ছিল না।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ৪২১ , ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٤١ – حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْتَ فَاطِمَةَ فَلَمْ يَجِدْ عَلِيًّا فِي البَيْتِ، فَقَالَ: «أَيْنَ ابْنُ عَمِّكِ؟» قَالَتْ: كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ شَيْءٌ، فَغَاضَبَنِي، فَخَرَجَ، فَلَمْ يَقِلْ عِنْدِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِإِنْسَانٍ: «انْظُرْ أَيْنَ هُوَ؟» فَجَاءَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هُوَ فِي المَسْجِدِ رَاقِدٌ، فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُضْطَجِعٌ، قَدْ سَقَطَ رِدَاؤُهُ عَنْ شِقِّهِ، وَأَصَابَهُ تُرَابٌ، فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُهُ عَنْهُ، وَيَقُولُ: «قُمْ أَبَا تُرَابٍ، قُمْ أَبَا تُرَابٍ»
ক্বুতায়বাহ ইব্ন সা‘ঈদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল ‘আযীয ইব্ন আবূ হা’যিম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আবূ হা’যিম থেকে, তিনি সাহ্ল ইব্নু সা’দ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফাতিমা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা)-এর গৃহে এলেন, কিন্তু ‘আলী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে ঘরে পেলেন না। তিনি ফাতিমা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা)-কে জিজ্ঞেস করলেন: তোমার চাচাত ভাই কোথায়? তিনি বললেন: আমার ও তাঁর মধ্যে বাদানুবাদ হওয়ায় তিনি আমার সাথে রাগ করে বাইরে চলে গেছেন। আমার নিকট দুপুরের বিশ্রামও করেননি। অতঃপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে বললেন: দেখ তো সে কোথায়? সে ব্যক্তি খুঁজে এসে বললো: হে আল্লাহর রসূল, তিনি মসজিদে শুয়ে আছেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এলেন, তখন ‘আলী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কাত হয়ে শুয়ে ছিলেন। তাঁর শরীরের এক পাশে চাদর পড়ে গেছে এবং তার শরীরে মাটি লেগেছে। আল্লাহর রসূল মাটি ঝেড়ে দিতে দিতে বললেন: উঠ, হে আবূ তূরাব ! উঠ, হে আবূ তূরাব ! ১
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৮]
ফুটনোটঃ
১. আবূ তুরাবঃ ‘আলী (রাযী.)-এর উপ-নাম (রাসূল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ নামে তাকে ডেকেছিলেন)।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٤٢ – حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «لَقَدْ رَأَيْتُ سَبْعِينَ مِنْ أَصْحَابِ الصُّفَّةِ مَا مِنْهُمْ رَجُلٌ عَلَيْهِ رِدَاءٌ، إِمَّا إِزَارٌ وَإِمَّا كِسَاءٌ، قَدْ رَبَطُوا فِي أَعْنَاقِهِمْ، فَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ نِصْفَ السَّاقَيْنِ، وَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ الكَعْبَيْنِ، فَيَجْمَعُهُ بِيَدِهِ، كَرَاهِيَةَ أَنْ تُرَى عَوْرَتُهُ»
ইঊসুফ ইব্ন ‘ঈসা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন ফুযায়ল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন তাঁর পিতা থেকে, তিনি আবূ হা’যিম থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমি সত্তরজন আসহাবে সুফফাকে দেখেছি, তাদের কারো গায়ে বড় চাদর ছিল না। হয়ত ছিল কেবল লুঙ্গি কিংবা ছোট চাদর, যা তার ঘাড়ে বেঁধে রাখতেন। (নীচের দিকে) কারো নিস্ফে সাক বা হাঁটু পর্যন্ত আর কারো টাখনু পর্যন্ত ছিল। তারা লজ্জাস্থান দেখা যাবার ভয়ে কাপড় হাত দিয়ে ধরে রাখতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪২৯]
وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ بَدَأَ بِالْمَسْجِدِ فَصَلَّى فِيهِ»
কা‘ব ইব্ন মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফর থেকে ফিরে এসে প্রথমে মসজিদে প্রবেশ করে সালাত আদায় করতেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٤٣ – حَدَّثَنَا خَلَّادُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَارِبُ بْنُ دِثَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي المَسْجِدِ – قَالَ مِسْعَرٌ: أُرَاهُ قَالَ: ضُحًى – فَقَالَ: «صَلِّ رَكْعَتَيْنِ» وَكَانَ لِي عَلَيْهِ دَيْنٌ فَقَضَانِي وَزَادَنِي
খাল্লাদ ইব্ন ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মিস’আর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মুহা’রিব ইব্ন দিছার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলাম। তিনি তখন মসজিদে ছিলেন। রাবী মিস’আর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: আমার মনে পড়ে রাবী মুহারিব (রহমাহুল্লাহ) চাশতের সময়ের কথা বলেছেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তুমি দু’ রাকা’আত সালাত আদায় কর। জাবির (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমার কিছু পাওনা ছিল। তিনি তা আদায় করে দিলেন বরং কিছু বেশী দিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩০]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٤٤ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ السَّلَمِيِّ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ المَسْجِدَ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইঊসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন ‘আমির ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন যুবায়র থেকে, তিনি ‘আম্র ইব্ন সুলায়ম যুরাক্বী থেকে, তিনি আবূ কাতাদাহ্ সালামী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাকা’আত সালাত আদায় করে নেয়”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩১]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٤٥ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” المَلَائِكَةُ تُصَلِّي عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِي مُصَلَّاهُ الَّذِي صَلَّى فِيهِ، مَا لَمْ يُحْدِثْ، تَقُولُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ “
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইঊসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন আবূ যিনাদ থেকে, তিনি আ‘রাজ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “তোমাদের কেউ মসজিদে সালাতের পরে হাদাসের পূর্ব পর্যন্ত সেখানে সালাত আদায় করেছে সেখানে যতক্ষণ বসে থাকে ততক্ষণ মালাকগণ তার জন্য দু’আ করতে থাকেন। তাঁরা বলেন: হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ! তার উপর রহম কর।”
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩২]
وَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ: «كَانَ سَقْفُ المَسْجِدِ مِنْ جَرِيدِ النَّخْلِ» وَأَمَرَ عُمَرُ بِبِنَاءِ المَسْجِدِ وَقَالَ: «أَكِنَّ النَّاسَ مِنَ المَطَرِ، وَإِيَّاكَ أَنْ تُحَمِّرَ أَوْ تُصَفِّرَ فَتَفْتِنَ النَّاسَ» وَقَالَ أَنَسٌ: «يَتَبَاهَوْنَ بِهَا ثُمَّ لَا يَعْمُرُونَهَا إِلَّا قَلِيلًا» وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «لَتُزَخْرِفُنَّهَا كَمَا زَخْرَفَتِ اليَهُودُ وَالنَّصَارَى»
আবূ সা‘ঈদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: মসজিদে নববীর ছাদ ছিল খেজুর গাছের ডালের তৈরী। ‘উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) মসজিদ নির্মাণের হুকুম দিয়ে বললেন: আমি লোকদেরকে বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে চাই। মসজিদে লাল বা হলুদ রং লাগান থেকে সবাধান থাক, এতে মানুষকে তুমি ফিতনায় ফেলবে। আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: লোকেরা মসজিদ নিয়ে গর্ব করবে অথচ তারা একে কমই আবাদ (ইবাদতে) রাখবে। ইব্ন ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: তোমরা ইয়াহুদী ও নাসারাদের মতো মসজিদকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে ফেলবে।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٤٦ – حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ ” أَنَّ المَسْجِدَ كَانَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَبْنِيًّا بِاللَّبِنِ، وَسَقْفُهُ الجَرِيدُ، وَعُمُدُهُ خَشَبُ النَّخْلِ، فَلَمْ يَزِدْ فِيهِ أَبُو بَكْرٍ شَيْئًا، وَزَادَ فِيهِ عُمَرُ: وَبَنَاهُ عَلَى بُنْيَانِهِ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاللَّبِنِ وَالجَرِيدِ وَأَعَادَ عُمُدَهُ خَشَبًا، ثُمَّ غَيَّرَهُ عُثْمَانُ فَزَادَ فِيهِ زِيَادَةً كَثِيرَةً: وَبَنَى جِدَارَهُ بِالحِجَارَةِ المَنْقُوشَةِ، وَالقَصَّةِ وَجَعَلَ عُمُدَهُ مِنْ حِجَارَةٍ مَنْقُوشَةٍ وَسَقَفَهُ بِالسَّاجِ “
আলী ইব্ন আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়া‘ক্বূব ইব্ন ইবরাহীম ইব্ন সা‘আদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমার পিতা আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন স্বালিহ’ ইব্ন কায়সান থেকে, তিনি বললেন: নাফি‘ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ‘উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে মসজিদ তৈরি হয় কাঁচা ইট দিয়ে, তার ছাদ ছিল খেজুরের ডালের, খুঁটি ছিল খেজুর গাছের। আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এতে কিছু বাড়ান নি। অবশ্য ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বাড়িয়েছেন। আর তার ভিত্তি তিনি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে যে ভিত্তি ছিল তার উপর কাঁচা ইট ও খেজুরের ডাল দিয়ে নির্মাণ করেন এবং তিনি খুঁটিগুলো পরিবর্তন করে কাঠের (খুঁটি) লাগান। অতঃপর ‘উসমান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাতে পরিবর্তন সাধন করেন এবং অনেক বৃদ্ধি করেন। তিনি দেয়াল তৈরি করেন নকশী পাথর ও চুন-সুরকি দিয়ে। খুঁটিও দেন নকশা করা পাথরের, আর ছাদ বানিয়েছিলেন সেগুন কাঠের।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৩]
{مَا كَانَ لِلْمُشْرِكِينَ أَنْ يَعْمُرُوا مَسَاجِدَ اللَّهِ شَاهِدِينَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ بِالكُفْرِ، أُولَئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ وَفِي النَّارِ هُمْ خَالِدُونَ، إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا اللَّهَ، فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَكُونُوا مِنَ المُهْتَدِينَ}
আর আল্লাহ তা‘আলার বাণী: “মুশরিকদের অধিকার নেই যে, তারা আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যখন তারা নিজেরাই নিজেদর কুফরীর স্বীকৃতি দিচ্ছে। এদের কর্মসমূহ বিফল হয়েগেছে। আর এরা জাহান্নামে অনন্তকাল থাকবে। আল্লাহর মাসজিদসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ তো কেবল তারাই করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষে দিনের প্রতি, এবং সালাত কায়িম করে ও যাকাত দেয়, ও আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। বস্তুত: এদেরই সম্বন্ধে আশা করা যায় যে, তারা হিদায়াত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। [সূরা আত-তাওবাহ, ৯:১৭-১৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٤٧ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ مُخْتَارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ الحَذَّاءُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ لِي ابْنُ عَبَّاسٍ وَلِابْنِهِ عَلِيٍّ: انْطَلِقَا إِلَى أَبِي سَعِيدٍ فَاسْمَعَا مِنْ حَدِيثِهِ، فَانْطَلَقْنَا فَإِذَا هُوَ فِي حَائِطٍ يُصْلِحُهُ، فَأَخَذَ رِدَاءَهُ فَاحْتَبَى، ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُنَا حَتَّى أَتَى ذِكْرُ بِنَاءِ المَسْجِدِ، فَقَالَ: كُنَّا نَحْمِلُ لَبِنَةً لَبِنَةً وَعَمَّارٌ لَبِنَتَيْنِ لَبِنَتَيْنِ، فَرَآهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَنْفُضُ التُّرَابَ عَنْهُ، وَيَقُولُ: «وَيْحَ عَمَّارٍ، تَقْتُلُهُ الفِئَةُ البَاغِيَةُ، يَدْعُوهُمْ إِلَى الجَنَّةِ، وَيَدْعُونَهُ إِلَى النَّارِ» قَالَ: يَقُولُ عَمَّارٌ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الفِتَنِ “
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল আযীয ইব্ন মুখতার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: খালিদ হা’যযা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘ইকরামাহ থেকে, তিনি বলেন: ইব্নু ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাকে ও তাঁর ছেলে ‘আলী (রহমাহুল্লাহ)- কে বললেন: তোমরা উভয়ই আবূ সা’ঈদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এর নিকট যাও এবং তাঁর হতে হাদীস শুনে আস। আমরা গেলাম। তখন তিনি একটা বাগানে কাজ করছেন। তিনি আমাদেরকে দেখে চাদরে হাঁটু মুড়ি দিয়ে বসলেন এবং পরে হাদীস বর্ণনা শুরু করলেন। শেষ পর্যায়ে তিনি মসজিদে নাববী নির্মাণ আলোচনায় আসলেন। তিনি বললেন: আমরা একটা একটা করে কাঁচা ইট বহন করছিলাম আর ‘আম্মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) দু’টো দুটো করে কাঁচা ইট বহন করছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা দেখে তার দেহ হতে মাটি ঝাড়তে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন: ‘আম্মারের জন্য আফসোস, তাকে বিদ্রোহী দল হত্যা করবে। সে তাদেরকে আহবান করবে জান্নাতের দিকে আর তারা তাকে আহবান করবে জাহান্নামের দিকে। আবূ সা’ঈদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: তখন আম্মার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: “আমি ফিতনা হতে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় চাচ্ছি।”
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٤٨ – حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ، حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلٍ، قَالَ: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى امْرَأَةٍ: «مُرِي غُلَامَكِ النَّجَّارَ، يَعْمَلْ لِي أَعْوَادًا، أَجْلِسُ عَلَيْهِنَّ»
ক্বুতায়বা ইব্ন সা‘ঈদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আব্দুল ‘আযীয আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, আবূ হা’যিম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন সাহ্ল (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈকা মহিলার নিকট লোক পাঠিয়ে বললেন, “তুমি তোমার গোলাম কাঠমিস্ত্রীকে বল, সে যেন আমার জন্য কাঠের মিম্বার বানিয়ে দেয় যাতে আমি বসতে পারি”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ৪২৯ , ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٤٩ – حَدَّثَنَا خَلَّادٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ بْنُ أَيْمَنَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ امْرَأَةً قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا أَجْعَلُ لَكَ شَيْئًا تَقْعُدُ عَلَيْهِ، فَإِنَّ لِي غُلَامًا نَجَّارًا؟ قَالَ: «إِنْ شِئْتِ» فَعَمِلَتِ المِنْبَرَ
খাল্লাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আব্দুল ওয়হি’দ ইব্ন আয়মান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন তাঁর পিতা থেকে, তিনি জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: জনৈকা মহিলা বললেন: হে আল্লাহর রসূল! আমি কি আপনার বসার জন্য কিছু তৈরি করে দিব? আমার এক কাঠমিস্ত্রী গোলাম আছে। তিনি বললেন, “তোমার ইচ্ছে হলে সে যেন একটা মিম্বার বানিয়ে দেয়”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٥٠ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ بُكَيْرًا، حَدَّثَهُ أَنَّ عَاصِمَ بْنَ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ عُبَيْدَ اللَّهِ الخَوْلَانِيَّ، أَنَّهُ سَمِعَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، يَقُولُ عِنْدَ قَوْلِ النَّاسِ فِيهِ حِينَ بَنَى مَسْجِدَ الرَّسُولِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّكُمْ أَكْثَرْتُمْ، وَإِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ” مَنْ بَنَى مَسْجِدًا – قَالَ بُكَيْرٌ: حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ: يَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ – بَنَى اللَّهُ لَهُ مِثْلَهُ فِي الجَنَّةِ “
ইয়াহ’ইয়া ইব্ন সুলায়মান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন ওয়াহ্ব আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আম্র আমাকে খবর দিলেন বুকায়র থেকে, তিনি তাকে ‘আস্বিম ইব্ন ‘উমার ইব্ন ক্বাতাদাহ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি ‘উবাইদুল্লাহ খাওলানী (রহমাহুল্লাহ) থেকে শুনেছেন, তিনি ‘উসমান ইব্নু ‘আফফান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে বলতে শুনেছেন, তিনি যখন মসজিদে নাবাবী নির্মাণ করেছিলেন তখন লোকজনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছিলেন: তোমরা আমার উপর অনেক বাড়াবাড়ি করছ অথচ আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণ করে, বুকায়র (রহমাহুল্লাহ) বলেন: আমার মনে হয় রাবি ‘আসিম (রহমাহুল্লাহ) তাঁর বর্ণনায় ঊল্লেখ করেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্যে জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করে দেবেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٥١ – حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: قُلْتُ لِعَمْرٍو: أَسَمِعْتَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: مَرَّ رَجُلٌ فِي المَسْجِدِ وَمَعَهُ سِهَامٌ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمْسِكْ بِنِصَالِهَا»؟
ক্বুতায়বাহ ইব্ন সা‘ঈদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমি আম্রকে বললাম: তুমি কি জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনেছ? তিনি বলছেন, “এক ব্যক্তি তীর সাথে করে মসজিদে নাববী অতিক্রম করছিল। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেন, এর ফলাগুলো হাত দিয়ে ধরে রাখ”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٥٢ – حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بُرْدَةَ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ مَرَّ فِي شَيْءٍ مِنْ مَسَاجِدِنَا أَوْ أَسْوَاقِنَا بِنَبْلٍ، فَلْيَأْخُذْ عَلَى نِصَالِهَا، لَا يَعْقِرْ بِكَفِّهِ مُسْلِمًا»
মূসা ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আব্দুল ওয়াহি’দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ বুরাদাহ ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমি আবূ বুরাদাহ থেকে শুনলাম, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি তীর নিয়ে আমাদের মসজিদ অথবা বাজার দিয়ে চলে সে যেন তার ফলা হাত দিয়ে ধরে রাখে, যাতে করে তার হাতে কোন মুসলমান আঘাতপ্রাপ্ত না হয়।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٥٣ – حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ الحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّهُ سَمِعَ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيَّ، يَسْتَشْهِدُ أَبَا هُرَيْرَةَ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ، هَلْ سَمِعْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَا حَسَّانُ، أَجِبْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ القُدُسِ» قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: نَعَمْ
আবূ ইয়ামান হা’কাম ইব্ন নাফি‘ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘আয়ব আমাদেরকে খবর দিলেন যুহুরী থেকে, তিনি বললেন: আবূ সালামা ইব্নু ‘আবদূর রহমান ইব্নু ‘আওফ (রহমাহুল্লাহ) আমাকে খবর দিলেন, তিনি স্সান ইব্নু সাবিত আনসারী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনলেন যে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-কে আল্লাহর কসম দিয়ে এ কথার সাক্ষ্য চেয়ে বলেন: আপনি কি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ কথা বলতে শুনেছেন, “হে হাস্সান! আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ হতে (কবিতার মাধ্যমে মুশরিকদের) জবাব দাও। হে আল্লাহ! হাস্সান কে রুহুল কুদুস (জিবরীল) (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দ্বারা সাহায্য কর।” আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেনঃ হ্যাঁ।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪০]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٥٤ – حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا عَلَى بَابِ حُجْرَتِي وَالحَبَشَةُ يَلْعَبُونَ فِي المَسْجِدِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتُرُنِي بِرِدَائِهِ، أَنْظُرُ إِلَى لَعِبِهِمْ»
আব্দুল আযীয ইব্ন আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইবরাহীম ইব্ন সা‘ঈদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন স্বালিহ’ ইব্ন কায়সান থেকে, তিনি শিহাব থেকে, তিনি বললেন: ‘উরওয়াহ ইব্ন যুবায়ের আমাকে খবর দিলেন ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: একদা আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমার ঘরের দরজায় দেখলাম। তখন হাবশার লোকেরা মসজিদে (বর্শা দ্বারা) খেলা করছিল। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর চাদর দিয়ে আমাকে আড়াল করে রাখছিলেন। আমি ওদের খেলা অবলোকন করছিলাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪১]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٥٥ – زَادَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالحَبَشَةُ يَلْعَبُونَ بِحِرَابِهِمْ»
ইবরাহীম ইব্ন মুনযির অতিরিক্ত বর্ণনা করে বলেন: ইব্ন ওয়াহাব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, ইউনুস আমাকে খবর দিলেন ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি ‘উরওয়াহ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেছেন, “আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখলাম, সে সময় হাবশিরা তাদের বর্শা বল্লম নিয়ে খেলা করছিল”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৫ শেষাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪১ শেষাংশ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٥٦ – حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: أَتَتْهَا بَرِيرَةُ تَسْأَلُهَا فِي كِتَابَتِهَا، فَقَالَتْ: إِنْ شِئْتِ أَعْطَيْتُ أَهْلَكِ وَيَكُونُ الوَلَاءُ لِي، وَقَالَ أَهْلُهَا: إِنْ شِئْتِ أَعْطَيْتِهَا مَا بَقِيَ – وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً: إِنْ شِئْتِ أَعْتَقْتِهَا، وَيَكُونُ الوَلَاءُ لَنَا – فَلَمَّا جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَّرَتْهُ ذَلِكَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ابْتَاعِيهَا فَأَعْتِقِيهَا، فَإِنَّ الوَلَاءَ لِمَنْ أَعْتَقَ» ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى المِنْبَرِ – وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً: فَصَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى المِنْبَرِ – فَقَالَ: «مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا، لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَنِ اشْتَرَطَ شَرْطًا لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ، فَلَيْسَ لَهُ، وَإِنِ اشْتَرَطَ مِائَةَ مَرَّةٍ»، قَالَ عَلِيٌّ: قَالَ يَحْيَى، وَعَبْدُ الوَهَّابِ: عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَمْرَةَ، نَحْوَهُ، وَقَالَ جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، عَنْ يَحْيَى، قَالَ: سَمِعْتُ عَمْرَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ، وَرَوَاهُ مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَمْرَةَ: أَنَّ بَرِيرَةَ وَلَمْ يَذْكُرْ صَعِدَ المِنْبَرَ
আলী ইব্ন আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ইয়াহ’ইয়া থেকে, তিনি আম্র থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: বারীরা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাঁর নিকট এসে কিতাবাতের ১ দেনা পরিশোধের জন্য সাহায্য চাইলেন। তখন তিনি বললেন: তুমি চাইলে আমি (তোমার মূল্য) তোমার মালিককে দিয়ে দিব এ শর্তে যে , উত্তরাধিকার স্বত্ব থাকবে আমার। তার মালিক ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা)- কে বললো: আপনি চাইলে বাকী মূল্য বারীরাকে দিতে পারেন। রাবী সুফিয়ান (রহমাহুল্লাহ) আর একবার বলেছেন: আপনি চাইলে তাকে আযাদ করতে পারেন, তবে উত্তরাধিকার স্বত্ব থাকবে আমাদের। যখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসলেন তখন আমি তাঁর নিকট ব্যাপারটি বললাম। তিনি বললেন: তুমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দাও। কারন উত্তরাধিকার স্বত্ব থাকে তারই, যে আযাদ করে। অতঃপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারের উপর দাঁড়ালেন। সুফিয়ান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আর একবার বলেন: অতঃপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে আরোহন করে বললেন: লোকদের কী হলো? তারা এমন সব শর্ত করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই। কেউ যদি এমন শর্তারোপ করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই, তার সে শর্তের কোন মূল্য নেই। এমনকি এরূপ শর্ত একশবার আরোপ করলেও। মালিক (রহমাহুল্লাহ)…. ‘আমরা (রহমাহুল্লাহ) হতে বারীরা (রহমাহুল্লাহ)-এর ঘটনা বর্ণনা করেছেন, তবে মিম্বারে আরোহন করার কথা উল্লেখ করেননি। ‘আলী ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ ‘আমরাহ (রহমাহুল্লাহ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। জা’ফর ইব্নু ‘আওন (রহমাহুল্লাহ) ইয়াহইয়া (রহমাহুল্লাহ)-এর মাধ্যমে ‘আমরাহ (রহমাহুল্লাহ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আমি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হতে শুনেছি।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ৪৩৬ , ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪২]
ফুটনোটঃ
১. কিতাবাত: দাসত্ব থেকে মুক্তিলাভের উদ্দেশ্যে মনিবের সঙ্গে কিস্তি হিসেবে মুক্তিপণ পরিশোধের চুক্তি।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٥٧ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ كَعْبٍ، أَنَّهُ تَقَاضَى ابْنَ أَبِي حَدْرَدٍ دَيْنًا كَانَ لَهُ عَلَيْهِ فِي المَسْجِدِ، فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا حَتَّى سَمِعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي بَيْتِهِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمَا حَتَّى كَشَفَ سِجْفَ حُجْرَتِهِ، فَنَادَى: «يَا كَعْبُ» قَالَ: لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «ضَعْ مِنْ دَيْنِكَ هَذَا» وَأَوْمَأَ إِلَيْهِ: أَيِ الشَّطْرَ، قَالَ: لَقَدْ فَعَلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: «قُمْ فَاقْضِهِ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মুহা’ম্মাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘উসমান ইব্ন ‘উমার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইউনুস আমাদেরকে খবর দিলেন যুহুরী থেকে, তিনি ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন কা‘আব ইব্ন মালিক থেকে, তিনি কা‘আব থেকে, তিনি মসজিদের ভিতরে ইব্নু আবূ হাদরাহ (রহমাহুল্লাহ)–এর নিকট তাঁর পাওনা ঋণের তাগাদা করলেন। দু’জনের মধ্যে এ নিয়ে বেশ উচ্চৈঃস্বরে কথাবার্তা হলো। এমনকি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘর হতেই তাদের কথার আওয়ায শুনলেন এবং তিনি পর্দা সরিয়ে তাদের নিকট বেরিয়ে গেলেন। আর ডাক দিয়ে বললেন: হে কা’ব! কা’ব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) উত্তর দিলেন, লাব্বায়েক রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তোমার পাওনা ঋণ হতে এতটুকু ছেড়ে দাও। আর হাতে ইঙ্গিত করে বোঝালেন, অর্থাৎ অর্ধেক পরিমাণ। তখন কা’ব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: আমি তাই করলাম, হে আল্লাহ্র রসূল! তখন তিনি ইব্নু আবূ হাদরাদকে বললেন: উঠ আর বাকীটা দিয়ে দাও।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٥٨ – حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَجُلًا أَسْوَدَ أَوِ امْرَأَةً سَوْدَاءَ كَانَ يَقُمُّ المَسْجِدَ فَمَاتَ، فَسَأَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهُ، فَقَالُوا: مَاتَ، قَالَ: «أَفَلَا كُنْتُمْ آذَنْتُمُونِي بِهِ دُلُّونِي عَلَى قَبْرِهِ – أَوْ قَالَ قَبْرِهَا – فَأَتَى قَبْرَهَا فَصَلَّى عَلَيْهَا»
সুলায়মন ইব্ন হা’রব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হা’ম্মাদ ইব্ন যায়দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ছাবিত থেকে, তিনি আবূ রাফি‘ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: একজন কাল বর্ণের পুরুষ অথবা বলেছেন কাল বর্ণের মহিলা মসজিদ ঝাড়ু দিত। সে মারা গেল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সাহাবীগণ বললেন, সে মারা গেছে। তিনি বললেন: তোমরা আমাকে খবর দিলে না কেন? আমাকে তার কবরটা দেখিয়ে দাও। অতঃপর তিনি তার কবরের নিকট গেলেন এবং তার জানাযার সালাত আদায় করলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [ ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٥٩ – حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: لَمَّا أُنْزِلَتِ الآيَاتُ مِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ فِي الرِّبَا، «خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى المَسْجِدِ فَقَرَأَهُنَّ عَلَى النَّاسِ، ثُمَّ حَرَّمَ تِجَارَةَ الخَمْرِ»
‘আবদান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আবূ হা’মযাহ থেকে, তিনি আ‘মাশ থেকে, তিনি মুসলিম থেকে, তিনি মাশরুক্ব থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: সুদ সম্পর্কীয় সূরা বাকারার আয়াত সমূহ অবতীর্ণ হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে গিয়ে সে সব আয়াত সাহাবীগণকে পাঠ করে শুনালেন। অতঃপর তিনি মদের ব্যবসা হারাম করে দিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৫]
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «نَذَرْتُ لَكَ مَا فِي بَطْنِي مُحَرَّرًا لِلْمَسْجِدِ يَخْدُمُهَا»
ইব্ন ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) (এ আয়াত) “আমার গর্ভে যা আছে তা একান্ত আপনার জন্য উৎসর্গ করলাম” [৩:৩৫] -এর ব্যাখ্যায় বলেন: মসজিদের জন্য উৎসর্গ করলাম।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٦٠ – حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ وَاقِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ امْرَأَةً – أَوْ رَجُلًا – كَانَتْ تَقُمُّ المَسْجِدَ – وَلَا أُرَاهُ إِلَّا امْرَأَةً – فَذَكَرَ حَدِيثَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ صَلَّى عَلَى قَبْرِهَا»
আহ’মাদ ইব্ন ওয়াক্বিদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হা’ম্মাদ ইব্ন যায়দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ছাবিত থেকে, তিনি আবূ রাফি‘ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: একজন পুরুষ অথবা বলেছেন একজন মহিলা মসজিদ ঝাড়ু দিত। (রাবী ছাবিত বলেন:) আমার মনে হয় তিনি বলেছেন একজন মহিলা। অতঃপর তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর হাদীস বর্ণনা করে বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কবরে জানাযার সালাত আদায় করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٦١ – حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا رَوْحٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الجِنِّ تَفَلَّتَ عَلَيَّ البَارِحَةَ – أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا – لِيَقْطَعَ عَلَيَّ الصَّلَاةَ، فَأَمْكَنَنِي اللَّهُ مِنْهُ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَرْبِطَهُ إِلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي المَسْجِدِ حَتَّى تُصْبِحُوا وَتَنْظُرُوا إِلَيْهِ كُلُّكُمْ، فَذَكَرْتُ قَوْلَ أَخِي سُلَيْمَانَ: رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي “، قَالَ رَوْحٌ: «فَرَدَّهُ خَاسِئًا»
ইসহা’ক্ব ইব্ন ইবরাহীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: রাওহ’ এবং মুহা’ম্মাদ ইব্ন জা‘ফার আমাদেরকে খবর দিলেন শু‘বাহ থেকে, তিনি মুহা’ম্মাদ ইব্ন যিয়াদ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: গত রাতে একটা অবাধ্য জ্বিন হঠাৎ আমার সামনে প্রকাশ পেল। রাবী বলেন, অথবা তিনি অনুরূপ কোন কথা বলেছেন, যেন সে আমার সালাতে বাধা সৃষ্টি করে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে তার উপর ক্ষমতা দিলেন। আমি ইচ্ছা করেছিলাম যে, তাকে মসজিদের খুঁটিঁর সাথে বেঁধে রাখি, যাতে ভোর বেলা তোমরা সবাই তাকে দেখতে পাও। কিন্তু তখন আমার ভাই সুলায়মান (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর এই উক্তি আমার স্মরণ হলো, “হে প্রভু! আমাকে এমন রাজত্ব দান কর, যার অধিকারী আমার পরে আর কেউ না হয়”- (সূরা সোয়াদ ৩৮:৩৫)। (বর্ণনাকারী) রাওহ্ (রহমাহুল্লাহ) বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই শয়তানটিকে অপমানিত করে ছেড়ে দিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [ধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৭]
وَكَانَ شُرَيْحٌ: «يَأْمُرُ الغَرِيمَ أَنْ يُحْبَسَ إِلَى سَارِيَةِ المَسْجِدِ»
কাযী শুরাইহ ১ (রহমাহুল্লাহ) দেনাদার ব্যক্তিকে মসজিদের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখার নির্দেশ দিতেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٦٢ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْلًا قِبَلَ نَجْدٍ، فَجَاءَتْ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ: ثُمَامَةُ بْنُ أُثَالٍ، فَرَبَطُوهُ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي المَسْجِدِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَطْلِقُوا ثُمَامَةَ»، فَانْطَلَقَ إِلَى نَخْلٍ قَرِيبٍ مِنَ المَسْجِدِ، فَاغْتَسَلَ، ثُمَّ دَخَلَ المَسْجِدَ، فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লায়ছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সা‘ঈদ ইব্ন আবূ সা‘ঈদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনলেন, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কয়েকজন অশ্বারোহী মুজাহিদকে নজদের দিকে পাঠালেন। তারা বনূ হানীফা গোত্রের সুমামা ইব্নু উসাল নামক এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসে তাকে মসজিদের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিকট গেলেন এবং বললেন: সুমামাকে ছেড়ে দাও। (ছাড়া পেয়ে) তিনি মসজিদে নাবাবীর নিকট এক খেজুর বাগানে গিয়ে সেখানে গোসল করলেন, অতঃপর মসজিদে প্রবেশ করে বললেন: أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রসূল”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৮]
ফুট নোটঃ
১. শুরাইহ: ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর খিলাফতের সময়কার বিশিষ্ট কাযী।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٦٣ – حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: أُصِيبَ سَعْدٌ يَوْمَ الخَنْدَقِ فِي الأَكْحَلِ، «فَضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْمَةً فِي المَسْجِدِ، لِيَعُودَهُ مِنْ قَرِيبٍ فَلَمْ يَرُعْهُمْ» وَفِي المَسْجِدِ خَيْمَةٌ مِنْ بَنِي غِفَارٍ، إِلَّا الدَّمُ يَسِيلُ إِلَيْهِمْ، فَقَالُوا: يَا أَهْلَ الخَيْمَةِ، مَا هَذَا الَّذِي يَأْتِينَا مِنْ قِبَلِكُمْ؟ فَإِذَا سَعْدٌ يَغْذُو جُرْحُهُ دَمًا، فَمَاتَ فِيهَا
যাকারিয়া ইব্ন ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন নুমায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হিশাম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: খন্দকের যুদ্ধে সা’দ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)–এর হাতের শিরা যখম হযেছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে (তাঁর জন্য) একটা তাঁবু স্থাপন করলেন, যাতে নিকট হতে তাঁর দেখাশুনা করতে পারেন। মসজিদে বনূ গিফারেরও একটা তাঁবু ছিল। সা’দ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)–এর প্রচুর রক্ত তাঁদের দিকে প্রবাহিত হওয়ায় তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন: হে তাঁবুর লোকেরা! তোমাদের তাঁবু হতে আমাদের দিকে কী প্রবাহিত হচ্ছে? তখন দেখা গেল যে, সা’দের যখম হতে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। অবশেষে এতেই তিনি মারা গেলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৯]
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «طَافَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بَعِيرٍ»
ইব্ন ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের উটে সওয়ার হয়ে তওয়াফ করেছেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٦٤ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: شَكَوْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِّي أَشْتَكِي قَالَ: «طُوفِي مِنْ وَرَاءِ النَّاسِ وَأَنْتِ رَاكِبَةٌ» فَطُفْتُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي إِلَى جَنْبِ البَيْتِ يَقْرَأُ بِالطُّورِ وَكِتَابٍ مَسْطُورٍ
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন মুহা’ম্মাদ ইব্ন ‘আব্দুর রহ’মান ইব্ন নাওফাল থেকে, তিনি ‘উরওয়াহ ইব্ন যুবায়র থেকে, তিনি যায়নাব বিনতি আবূ সালামাহ থেকে, তিনি উম্মু সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট (বিদায় হজ্জে) আমার অসুস্থতার কথা জানালে তিনি বললেন: সওয়ার হযে লোকদের হতে দূরে থেকে ত্বওয়াফ কর। আমি ত্বওয়াফ করলাম। আর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইতুল্লাহ্র পাশে তিলাওয়াত করে সালাত আদায় করেছিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫০]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٦٥ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ «أَنَّ رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَا مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ، وَمَعَهُمَا مِثْلُ المِصْبَاحَيْنِ يُضِيئَانِ بَيْنَ أَيْدِيهِمَا، فَلَمَّا افْتَرَقَا صَارَ مَعَ كُلِّ وَاحِدٍ، مِنْهُمَا وَاحِدٌ حَتَّى أَتَى أَهْلَهُ»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন মুছান্নাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মু‘আয ইব্ন হি’শাম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমার পিতা আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ক্বাতাদাহ থেকে, তিনি বললেন: আনাস ইব্ন মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর দু’জন সাহাবী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট হতে অন্ধকার রাতে বের হলেন। {তাঁদের একজন ‘আবক্বাদ ইব্নু বিশ্র (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আর দ্বিতীয় জন সম্পর্কে আমার ধারণা যে, তিনি ছিলেন উসায়দ ইব্নু হুযায়র (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)} আর উভয়ের সাথে চেরাগ সদৃশ কিছু ছিল, যা তাঁদের সামনের দিকটাকে আলোকিত করছিল। তাঁরা উভয়ে যখন আলাদা হয়ে গেলেন, তখন প্রত্যেকের সাথে একটা করে (আলো) রয়ে গেল। অবশেষে এভাবে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে পৌঁছলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫১]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٦٦ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، قَالَ: خَطَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ خَيَّرَ عَبْدًا بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ مَا عِنْدَهُ فَاخْتَارَ مَا عِنْدَ اللَّهِ»، فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقُلْتُ فِي نَفْسِي مَا يُبْكِي هَذَا الشَّيْخَ؟ إِنْ يَكُنِ اللَّهُ خَيَّرَ عَبْدًا بَيْنَ الدُّنْيَا وَبَيْنَ مَا عِنْدَهُ، فَاخْتَارَ مَا عِنْدَ اللَّهِ، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ العَبْدَ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ أَعْلَمَنَا، قَالَ: «يَا أَبَا بَكْرٍ لَا تَبْكِ، إِنَّ أَمَنَّ النَّاسِ عَلَيَّ فِي صُحْبَتِهِ وَمَالِهِ أَبُو بَكْرٍ، وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلًا مِنْ أُمَّتِي لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ، وَلَكِنْ أُخُوَّةُ الإِسْلَامِ وَمَوَدَّتُهُ، لَا يَبْقَيَنَّ فِي المَسْجِدِ بَابٌ إِلَّا سُدَّ، إِلَّا بَابُ أَبِي بَكْرٍ»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন সিনান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ফুলায়হ’ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ নযর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উবায়দ ইব্ন হু’নায়ন থেকে, তিনি বুসর ইব্ন সা‘ঈদ থেকে, তিনি আবূ সা’ইদ খুদরী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ভাষণে বললেন: আল্লাহ তা’আলা তাঁর এক বান্দাকে দুনিয়া ও আল্লাহর নিকট যা আছে- এ দুয়ের মধ্যে একটি গ্রহণের ইখতিয়ার দিলেন। তিনি আল্লাহর নিকট যা আছে– তা গ্রহণ করলেন। তখন আবু বক্র (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কাঁদতে লাগলেন। আমি মনে মনে ভাবলাম, এই বৃদ্ধকে কোন্ বস্তুটি কাঁদাচ্ছে? আল্লাহ তাঁর এক বান্দাকে দুনিয়া ও আল্লাহর নিকট যা রয়েছে-এ দুয়ের একটা গ্রহণ করার ইখতিয়ার দিলে তিনি আল্লাহর নিকট যা রয়েছে তা গ্রহণ করেছেন (এতে কাঁদার কি আছে?)। মূলত: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–ই ছিলেন সেই বান্দা। আর আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ছিলেন আমাদের মাঝে সর্বাধিক জ্ঞানী। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: হে আবূ বক্র, তুমি কাঁদবে না। নিজের সাহচর্য ও সম্পদ দিয়ে আমাকে যিনি সবচেয়ে অধিক ইহসান করেছেন তিনি আবূ বক্র। আমার কোন উম্মাতকে যদি আমি খলীল (অন্তরঙ্গ বন্ধু) রূপে গ্রহণ করতাম, তবে তিনি হতেন আবূ বক্র। কিন্তু তাঁর সাথে রয়েছে ইসলামের ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য। আবূ বক্রের দরজা ব্যতীত মসজিদের কোন দরজাই রাখা হবে না, সবই বন্ধ করা হবে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫২]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٦٧ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الجُعْفِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: سَمِعْتُ يَعْلَى بْنَ حَكِيمٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، عَاصِبٌ رَأْسَهُ بِخِرْقَةٍ، فَقَعَدَ عَلَى المِنْبَرِ ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: «إِنَّهُ لَيْسَ مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ أَمَنَّ عَلَيَّ فِي نَفْسِهِ وَمَالِهِ مِنْ أَبِي بكْرِ بْنِ أَبِي قُحَافَةَ، وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنَ النَّاسِ خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلًا، وَلَكِنْ خُلَّةُ الإِسْلَامِ أَفْضَلُ، سُدُّوا عَنِّي كُلَّ خَوْخَةٍ فِي هَذَا المَسْجِدِ، غَيْرَ خَوْخَةِ أَبِي بَكْرٍ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মুহা’ম্মাদ জু‘ফী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ওয়াহাব ইব্ন জারীর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমার পিতা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমি ইয়া‘লা ইব্ন হা’কীম থেকে শুনেছি, তিনি ‘ইকরামাহ থেকে, তিনি ইব্নু আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্তিম রোগের সময় এক টুকরা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে বাইরে এসে মিম্বারে বসলেন। আল্লাহ্র প্রশংসা ও সানা সিফাত বর্ণনার পর বললেন: জান-মাল দ্বারা আবূ বক্র ইব্নু আবূ কুহাফার চেয়ে অধিক কেউ আমার প্রতি ইহসান করেনি। আমি কাউকেও অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে অবশ্যই আবূ বক্রকে গ্রহণ করতাম। তবে ইসলামের বন্ধুত্বই উত্তম। আবূ বক্রের দরজা ব্যতীত এই মসজিদের ছোট দরজাগুলো সব বন্ধ করে দাও।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৩]
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: وَقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: قَالَ لِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ: «يَا عَبْدَ المَلِكِ، لَوْ رَأَيْتَ مَسَاجِدَ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبْوَابَهَا»
আবূ ‘আব্দুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রহমাহুল্লাহ)] বললেন: আব্দুল্লাহ ইব্ন মুহাম্মাদ আমাকে সুফইয়ান বর্ণিত হাদীসটি বললেন, তিনি ইব্ন জুরায়জ্ থেকে বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন আবূ মুলায়কা আমাকে বললেন, “হে ‘আব্দুল মালিক! তুমি ইব্ন ‘আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)-এর মসজিদ ও তার দরজাগুলোকে যদি দেখতে”
হাদীসের মান: সহীহ
٤٦٨ – حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِمَ مَكَّةَ فَدَعَا عُثْمَانَ بْنَ طَلْحَةَ فَفَتَحَ البَابَ فَدَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِلَالٌ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ، ثُمَّ أَغْلَقَ البَابَ، فَلَبِثَ فِيهِ سَاعَةً، ثُمَّ خَرَجُوا» قَالَ ابْنُ عُمَرَ: فَبَدَرْتُ فَسَأَلْتُ بِلَالًا فَقَالَ: صَلَّى فِيهِ، فَقُلْتُ: فِي أَيٍّ؟ قَالَ: بَيْنَ الأُسْطُوَانَتَيْنِ، قَالَ: ابْنُ عُمَرَ: فَذَهَبَ عَلَيَّ أَنْ أَسْأَلَهُ كَمْ صَلَّى
আবূ নু‘মান এবং ক্বুতায়বাহ ইব্ন সা‘ঈদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তারা উভয় বললেন: হা’ম্মাদ ইব্ন যায়দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আয়য়ূব থেকে, তিনি নাফি‘ থেকে, তিনি ইব্নু ‘উমর থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় আসেন তখন ‘উসমান ইব্নু তালহা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)–কে ডাকলেন। তিনি দরজা খুলে দিলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), বিলাল, উসামাহ ইব্নু যায়দ ও উসমান ইব্নু তালহা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ভিতরে গেলেন। অতঃপর দরজা বন্ধ করে দেয়া হল। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করলেন। অতঃপর সকলেই বের হলেন। ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে বিলাল (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)–কে (সালাতের কথা) জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভিতরে সালাত আদায় করেছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম: কোন্ স্থানে? তিনি বললেন, দুই স্তম্ভের মাঝামাঝি। ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: কয় রাক’আত আদায় করেছেন তা জিজ্ঞেস করতে আমি ভুলে গিয়েছিলাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٦٩ – حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: ” بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْلًا قِبَلَ نَجْدٍ، فَجَاءَتْ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ: ثُمَامَةُ بْنُ أُثَالٍ، فَرَبَطُوهُ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي المَسْجِدِ “
ক্বুতায়বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লায়ছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন সা‘ঈদ ইব্ন আবূ সা‘ঈদ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনেছেন, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কতিপয় অশ্বারোহী সৈন্য নজদ অভিমুখে পাঠালেন। তারা বনূ হানীফা গোত্রের সুমামা ইব্নু উসাল নামক এক ব্যক্তিকে নিয়ে এলেন। অতঃপর তাকে মসজিদের একটি খুঁটির সাথে বেঁধে রাখলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٧٠ – حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الجُعَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ خُصَيْفَةَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: كُنْتُ قَائِمًا فِي المَسْجِدِ فَحَصَبَنِي رَجُلٌ، فَنَظَرْتُ فَإِذَا عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ، فَقَالَ: اذْهَبْ فَأْتِنِي بِهَذَيْنِ، فَجِئْتُهُ بِهِمَا، قَالَ: مَنْ أَنْتُمَا – أَوْ مِنْ أَيْنَ أَنْتُمَا؟ – قَالَا: مِنْ أَهْلِ الطَّائِفِ، قَالَ: «لَوْ كُنْتُمَا مِنْ أَهْلِ البَلَدِ لَأَوْجَعْتُكُمَا، تَرْفَعَانِ أَصْوَاتَكُمَا فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
‘আলী ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া ইব্ন সা‘ঈদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: জুয়া‘ঈদ ইব্ন আব্দুর রহা’মান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াযীদ ইব্ন খুস্বায়ফাহ আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন সাইব ইব্ন ইয়াযীদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমি মসজিদে নাবাবীতে দাঁড়িয়েছিলাম। এমন সময় একজন লোক আমার দিকে একটা কাঁকর নিক্ষেপ করলো। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে, তিনি উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)। তিনি বললেন: যাও, এ দু’জনকে আমার নিকট নিয়ে এস। আমি তাদের নিয়ে তাঁর নিকট এলাম। তিনি বললেন: তোমরা কারা? অথবা তিনি বললেন: তোমরা কোন স্থানের লোক? তারা বললো: আমরা তায়েফের অধিবাসী। তিনি বললেন: তোমরা যদি মদীনার লোক হতে, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের কঠোর শাস্তি দিতাম। তোমরা দু’জনে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলেছো!
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٧١ – حَدَّثَنَا أَحْمَدُ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ تَقَاضَى ابْنَ أَبِي حَدْرَدٍ دَيْنًا لَهُ عَلَيْهِ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي المَسْجِدِ، فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا حَتَّى سَمِعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي بَيْتِهِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى كَشَفَ سِجْفَ حُجْرَتِهِ، وَنَادَى كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ: «يَا كَعْبُ» قَالَ: لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَأَشَارَ بِيَدِهِ أَنْ ضَعِ الشَّطْرَ مِنْ دَيْنِكَ، قَالَ كَعْبٌ: قَدْ فَعَلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قُمْ فَاقْضِهِ»
হা’ম্মাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন ওয়াহব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইউনুস ইব্ন ইয়াযীদ আমাকে খাবর দিলেন ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি বললেন: ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন কা‘ব ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর যুগে তিনি ইব্নু আবূ হাদরাদের নিকট তাঁর প্রাপ্য সম্পর্কে মসজিদে নাববীতে তাগাদা করেন। এতে উভয়ের আওয়ায উঁচু হয়ে গেল। এমন কি সে আওয়ায আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘর হতে শুনতে পেলেন। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর ঘরের পর্দা সরিয়ে তাদের দিকে বের হয়ে এলেন এবং কা’ব ইব্নু মালিককে ডেকে বললেন: হে কা’ব! উত্তরে কা’ব বললেন: লাব্বায়কা ইয়া রসূলাল্লাহ! তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাতে ইঙ্গিত করলেন যে, তোমার প্রাপ্য হতে অর্ধেক ছেড়ে দাও। কা’ব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: হে আল্লাহ্র রসূল! আমি তাই করলাম। তখন আল্লাহর রসূল ইব্নু আবূ হাদরাদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)–কে বললেন: উঠ এবার (বাকী) ঋণ পরিশোধ কর।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٧٢ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ المُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى المِنْبَرِ، مَا تَرَى فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ، قَالَ: «مَثْنَى مَثْنَى، فَإِذَا خَشِيَ الصُّبْحَ صَلَّى وَاحِدَةً، فَأَوْتَرَتْ لَهُ مَا صَلَّى» وَإِنَّهُ كَانَ يَقُولُ: اجْعَلُوا آخِرَ صَلَاتِكُمْ وِتْرًا، فَإِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِهِ
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: বিশর ইব্ন মুফাযযাল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘উবায়দুল্লাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন নাফি‘ থেকে, তিনি ‘আব্দুল্লাহ ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে প্রশ্ন করলেন, তখন তিনি মিম্বারে ছিলেন- আপনি রাতের সালাত কীভাবে আদায় করতে বলেন? তিনি বলেন: দু’রাক’আত দু’রাক’আত করে আদায় করবে। যখন তোমাদের কারো ভোর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তখন সে আরো এক রাক’আত আদায় করে নিবে। আর এটি তার পূর্ববর্তী সালাতকে বিত্র করে দেবে। [নাফি (রহঃ) বলেন] ইব্নু উমর (রাঃ) বলতেনঃ তোমরা বিত্রকে রাতের শেষ সালাত হিসেবে আদায় কর। কেননা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ নির্দেশ দিয়েছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٧٣ – حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَجُلًا، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَخْطُبُ، فَقَالَ: كَيْفَ صَلَاةُ اللَّيْلِ؟ فَقَالَ: «مَثْنَى مَثْنَى، فَإِذَا خَشِيتَ الصُّبْحَ فَأَوْتِرْ بِوَاحِدَةٍ، تُوتِرُ لَكَ مَا قَدْ صَلَّيْتَ» قَالَ الوَلِيدُ بْنُ كَثِيرٍ: حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُمْ: أَنَّ رَجُلًا نَادَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي المَسْجِدِ
আবূ নু‘মান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হা’ম্মাদ ইব্ন যায়দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আয়য়ূব থেকে, তিনি নাফি‘ থেকে, তিনি ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এমন সময় আসলেন যখন তিনি খুত্বা দিচ্ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: রাতের সালাত কীভাবে আদায় করতে হয়? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: দু’রাক’আত দু’রাক’আত করে আদায় করবে। আর যখন ভোর হবার আশঙ্কা করবে, তখন আরো এক রাক’আত আদায় করে নিবে। সে রাক’আত তোমরা পূর্বের সালাতকে বিত্র করে দিবে। ওয়ালীদ ইব্ন কাসীর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: উবাইদুল্লাহ ইব্নু আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমার নিকট বলেছেন যে, ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাঁদের বলেছেনঃ এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে সম্বোধন করে বললেন, তখন তিনি মসজিদে ছিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٧٤ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ أَبَا مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، قَالَ: بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي المَسْجِدِ فَأَقْبَلَ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ، فَأَقْبَلَ اثْنَانِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَهَبَ وَاحِدٌ، فَأَمَّا أَحَدُهُمَا، فَرَأَى فُرْجَةً فِي الحَلْقَةِ، فَجَلَسَ وَأَمَّا الآخَرُ فَجَلَسَ خَلْفَهُمْ، فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” أَلَا أُخْبِرُكُمْ عَنِ النَّفَرِ الثَّلَاثَةِ؟ أَمَّا أَحَدُهُمْ: فَأَوَى إِلَى اللَّهِ، فَآوَاهُ اللَّهُ، وَأَمَّا الآخَرُ: فَاسْتَحْيَا فَاسْتَحْيَا اللَّهُ مِنْهُ، وَأَمَّا الآخَرُ: فَأَعْرَضَ فَأَعْرَضَ اللَّهُ عَنْهُ “
আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসূফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন ইসহা’ক ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন আবূ ত্বালহা’ থেকে, তিনি ‘আক্বিল ইব্ন আবূ তালিব এর স্বাধীন করা দাস মুর্রাহ থেকে, তিনি আবূ ওয়াক্বিদ লায়সী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: একদা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনজন লোক এলেন। তাঁদের দু’জন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এগিয়ে এলেন আর একজন চলে গেলেন। এ দু’জনের একজন হালকায় খালি স্থান পেয়ে সেখানে বসে পড়লেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি তাদের পেছনে বসলেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কথাবার্তা হতে অবসর হয়ে বললেনঃ আমি কি তোমাদের ঐ তিন ব্যক্তি সম্পর্কে খবর দেব? এক ব্যক্তি তো আল্লাহর দিকে অগ্রসর হলো! আল্লাহও তাকে আশ্রয় দিলেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি লজ্জা করলো, আর আল্লাহ তা’আলাও তাকে (বঞ্চিত করতে) লজ্জাবোধ করলেন। তৃতীয় ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নিল, কাজেই আল্লাহও তার হতে ফিরে থাকলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬০]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٧٥ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ «رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْتَلْقِيًا فِي المَسْجِدِ، وَاضِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى» وَعَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، قَالَ: «كَانَ عُمَرُ، وَعُثْمَانُ يَفْعَلَانِ ذَلِكَ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসলামাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মালিক থেকে, তিনি শিহাব থেকে, তিনি ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন তামীম থেকে, তিতি তাঁর চাচা থেকে, তিনি (তাঁর চাচা) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে মসজিদে চিত হয়ে এক পায়ের উপর আরেক পা রেখে শুয়ে থাকতে দেখেছেন। ইব্নু শিহাব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) সা’ঈদ ইব্নু মুসায়্যাব (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণনা করেন যে, উমর ও উসমান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এমন করতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬১]
وَبِهِ قَالَ: الحَسَنُ، وَأَيُّوبُ، وَمَالِكٌ
হাসান বসরী, আয়্যুব এবং মালিক (রহমাহুল্লাহ) এরূপ বলেছেন।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٧٦ – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: ” لَمْ أَعْقِلْ أَبَوَيَّ إِلَّا وَهُمَا يَدِينَانِ الدِّينَ، وَلَمْ يَمُرَّ عَلَيْنَا يَوْمٌ إِلَّا يَأْتِينَا فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، طَرَفَيِ النَّهَارِ: بُكْرَةً وَعَشِيَّةً، ثُمَّ بَدَا لِأَبِي بَكْرٍ، فَابْتَنَى مَسْجِدًا بِفِنَاءِ دَارِهِ، فَكَانَ يُصَلِّي فِيهِ وَيَقْرَأُ القُرْآنَ، فَيَقِفُ عَلَيْهِ نِسَاءُ المُشْرِكِينَ وَأَبْنَاؤُهُمْ، يَعْجَبُونَ مِنْهُ وَيَنْظُرُونَ إِلَيْهِ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رَجُلًا بَكَّاءً، لَا يَمْلِكُ عَيْنَيْهِ إِذَا قَرَأَ القُرْآنَ ، فَأَفْزَعَ ذَلِكَ أَشْرَافَ قُرَيْشٍ مِنَ المُشْرِكِينَ “
ইয়াহ’ইয়া ইব্ন বুকায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: লায়ছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি ‘উক্বায়ল থেকে, তিনি ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি বললেন: উরওয়া বিন যুবাইর আমাকে খবর দিলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেছেন: আমার জ্ঞানমতে আমি আমার মাতা-পিতাকে সব সময় দ্বীনের অনুসরণ করতে দেখেছি। আর আমাদের এমন কোন দিন যায়নি যে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে দিনের উভয় প্রান্তে সকাল-সন্ধ্যায় আমাদের নিকট আসেননি। অতঃপর আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)–এর মসজিদ নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দিল। তিনি তাঁর ঘরের আঙ্গিণায় একটি মসজিদ তৈরি করলেন। তিনি এতে সালাত আদায় করতেন ও কুরআন তিলাওয়াত করতেন। মুশরিকদের মহিলা ও ছেলেমেয়েরা সেখানে দাঁড়াতো এবং এতে তারা বিস্মিত হয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতো। আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ছিলেন একজন অধিক ত্রন্দনকারী ব্যক্তি। তিনি কু্রআন পড়া শুরু করলে অশ্রু সংবরণ করতে পারতেন না। তাঁর এ অবস্থা নেতৃস্থানীয় মুশরিক কুরাইশদের নেতৃবৃন্দকে শঙ্কিত করে তুলল।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬২]
وَصَلَّى ابْنُ عَوْنٍ: «فِي مَسْجِدٍ فِي دَارٍ يُغْلَقُ عَلَيْهِمُ البَابُ»
ইব্ন ‘আওন (রহমাহুল্লাহ) ঘরের মসজিদে সালাত আদায় করতেন যার দরজা বন্ধ করা হতো।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٧٧ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” صَلَاةُ الجَمِيعِ تَزِيدُ عَلَى صَلَاتِهِ فِي بَيْتِهِ، وَصَلَاتِهِ فِي سُوقِهِ، خَمْسًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ، وَأَتَى المَسْجِدَ، لَا يُرِيدُ إِلَّا الصَّلَاةَ، لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلَّا رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً، وَحَطَّ عَنْهُ خَطِيئَةً، حَتَّى يَدْخُلَ المَسْجِدَ، وَإِذَا دَخَلَ المَسْجِدَ، كَانَ فِي صَلَاةٍ مَا كَانَتْ تَحْبِسُهُ، وَتُصَلِّي – يَعْنِي عَلَيْهِ المَلَائِكَةُ – مَا دَامَ فِي مَجْلِسِهِ الَّذِي يُصَلِّي فِيهِ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ، مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيهِ “
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ মু‘আবিয়াহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আবূ স্বালিহ’ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: জামা’আতের সাথে সালাত আদায় করলে ঘর বা বাজারে সালাত আদায় করার চেয়ে পঁচিশ গুণ সওয়াব বৃদ্ধি পায়। কেননা, তোমাদের কেউ যদি ভাল করে উযূ করে কেবল সালাতের উদ্দেশ্যেই মসজিদে আসে, সে মসজিদে প্রবেশ করা পর্যন্ত যতবার কদম রাখে তার প্রতিটির বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলা তার মর্যাদা ক্রমান্বয়ে উন্নীত করবেন এবং তার এক একটি করে গুনাহ মাফ করবেন। আর মসজিদে প্রবেশ করে যতক্ষণ পর্যন্ত সালাতের অপেক্ষায় থাকে, ততক্ষণ তাকে সালাতেই গণ্য করা হয়। আর সালাত শেষে সে যতক্ষণ ঐ স্থানে থাকে ততক্ষণ মালাকগণ (ফেরেশতাগণ) তার জন্যে এ বলে দু’আ করেন: হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ! তাকে রহম করুন- যতক্ষণ সে কাউকে কষ্ট না দেয়, উযূ ভেঙ্গে যাওয়ার কোন কাজ সেখানে না করে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٧٨ – حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، حَدَّثَنَا وَاقِدٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَوْ ابْنِ عَمْرٍو: «شَبَكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصَابِعَهُ»
হা’মিদ ইব্ন ‘উমার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন বিশর থেকে, তিনি বললেন: ‘আস্বীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ওয়াক্বিদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন তাঁর পিতা থেকে, তিনি ইব্ন ‘উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) অথবা ইব্নু আমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন, “নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক হাতের আঙ্গুল আর এক হাতের আঙ্গুলে প্রবেশ করান”।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪]
হাদীসের মান: সহীহ
সনদ ও মতন পূর্বের হাদীস অনুরূপ।
হাদীসের মান: সহীহ
٤٨٠ – وَقَالَ عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، سَمِعْتُ هَذَا الحَدِيثَ مِنْ أَبِي، فَلَمْ أَحْفَظْهُ، فَقَوَّمَهُ لِي وَاقِدٌ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي وَهُوَ يَقُولُ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو كَيْفَ بِكَ إِذَا بَقِيتَ فِي حُثَالَةٍ مِنَ النَّاسِ بِهَذَا»
এবং আসিম ইব্নু আলী বললেন: আসিম ইব্নু মুহাম্মাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, আমি এ হাদীস আমার পিতা হতে শুনেছিলাম, কিন্তু আমি তা স্মরণ রাখতে পারিনি। পরে এ হাদীসটি আমাকে ঠিকভাবে বর্ণনা করেন ওয়াকিদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাঁর পিতা হতে। তিনি বলেন: আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে, আবদুল্লাহ্ ইব্নু আম্র (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেছেন যে, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, “হে আবদুল্লাহ্ ইব্নু আমর! যখন তুমি নিকৃষ্ট লোকদের সাথে অবস্থান করবে, তখন তোমার কী অবস্থা হবে”?
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৮ শেষাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪ শেষাংশ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٨١ – حَدَّثَنَا خَلَّادُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ المُؤْمِنَ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا» وَشَبَّكَ أَصَابِعَهُ
খাল্লাদ ইব্ন ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আবূ বুরদাহ ইব্ন আব্দুল্লাহ ইব্ন আবূ বুরদাহ থেকে, তিনি জাদ্দিহ থেকে, তিনি আবূ মূসা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: একজন মু’মিন আরেকজন মু’মিনের জন্যে ইমারত স্বরূপ, যার এক অংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে থাকে। এ ব’লে তিনি তাঁর হাতের আঙ্গুলগুলো একটার মধ্যে আরেকটা প্রবেশ করালেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٨٢ – حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِحْدَى صَلَاتَيِ العَشِيِّ – قَالَ ابْنُ سِيرِينَ: سَمَّاهَا أَبُو هُرَيْرَةَ وَلَكِنْ نَسِيتُ أَنَا – قَالَ: فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ، فَقَامَ إِلَى خَشَبَةٍ مَعْرُوضَةٍ فِي المَسْجِدِ، فَاتَّكَأَ عَلَيْهَا كَأَنَّهُ غَضْبَانُ، وَوَضَعَ يَدَهُ اليُمْنَى عَلَى اليُسْرَى، وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ، وَوَضَعَ خَدَّهُ الأَيْمَنَ عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ اليُسْرَى، وَخَرَجَتِ السَّرَعَانُ مِنْ أَبْوَابِ المَسْجِدِ، فَقَالُوا: قَصُرَتِ الصَّلَاةُ؟ وَفِي القَوْمِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَهَابَا أَنْ يُكَلِّمَاهُ، وَفِي القَوْمِ رَجُلٌ فِي يَدَيْهِ طُولٌ، يُقَالُ لَهُ: ذُو اليَدَيْنِ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَسِيتَ أَمْ قَصُرَتِ الصَّلَاةُ؟ قَالَ: «لَمْ أَنْسَ وَلَمْ تُقْصَرْ» فَقَالَ: «أَكَمَا يَقُولُ ذُو اليَدَيْنِ» فَقَالُوا: نَعَمْ، فَتَقَدَّمَ فَصَلَّى مَا تَرَكَ، ثُمَّ سَلَّمَ، ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ، ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ، فَرُبَّمَا سَأَلُوهُ: ثُمَّ سَلَّمَ؟ فَيَقُولُ: نُبِّئْتُ أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ، قَالَ: ثُمَّ سَلَّمَ
ইসহা’ক্ব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: নাযর ইব্ন শুমায়ল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইব্ন ‘আওন আমাদেরকে খবর দিলেন ইব্ন শীরীন থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা আমাদের বিকালের এক সালাতে ইমামত করলেন। ইব্নু সীরীন (রহমাহুল্লাহ) বলেন: আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) সালাতের নাম বলেছিলেন, কিন্তু আমি তা ভুলে গেছি। আবূ হুরায়রা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: তিনি আমাদের নিয়ে দু’রাক’আত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন। অতঃপর মসজিদে রাখা এক টুকরা কাঠের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। তাঁকে রাগান্বিত মনে হচ্ছিল। তিনি তাঁর ডান হাত বাঁ হাতের উপর রেখে এক হাতের আঙ্গূল অপর হাতের আঙ্গুলের মধ্যে প্রবেশ করালেন। আর তাঁর ডান গাল বাম হাতের পিঠের উপর রাখলেন। যাঁদের তাড়া ছিল তাঁরা মসজিদের দরজা দিয়ে বাইরে চলে গেলেন। সাহাবীগণ বললেন: সালাত কি সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে? উপস্থিত লোকজনের মধ্যে আবূ বকর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এবং উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ও ছিলেন। কিন্তু তাঁরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে কথা বলতে ভয় পেলেন। আর লোকজনের মধ্যে লম্বা হাত বিশিষ্ট এক ব্যক্তি ছিলেন, যাঁকে ‘যুল-ইয়াদাইন’ বলা হতো, তিনি বললেন: হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি ভুলে গেছেন, নাকি সালাত সংক্ষেপ করা হয়েছে? তিনি বললেন: আমি ভুলিনি এবং সালাত সংক্ষেপও করা হয়নি। অতঃপর (অন্যদের) জিজ্ঞেস করলেন: যুল-ইয়াদাইনের কথা কি ঠিক? তাঁরা বললেন: হ্যাঁ! অতঃপর তিনি এগিয়ে এলেন এবং সালাতের বাদপড়া অংশটুকু আদায় করলেন। অতঃপর সালাম ফিরালেন ও তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিক ভাবে সিজদা’র মতো বা একটু দীর্ঘ সিজদা করলেন। অতঃপর তাকবীর বলে তাঁর মাথা উঠালেন। পরে পুনরায় তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিকভাবে সিজদা’র মত বা একটু দীর্ঘ সিজদা করলেন। অতঃপর তাকবীর বলে তাঁর মাথা উঠালেন। লোকেরা প্রায়ই ইব্নু সীরীন (রহমাহুল্লাহ)–কে জিজ্ঞেস করতো, “পরে কি তিনি সালাম ফিরিয়েছিলেন”? তখন ইব্নু সীরীন (রহমাহুল্লাহ) বলতেন: আমার নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, ‘ইমরান ইব্নু হুসাইন (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) আমাকে খবর দিয়েছেন যে, অতঃপর তিনি সালাম ফিরিয়েছিলেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٨٣ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ المُقَدَّمِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، قَالَ: رَأَيْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَتَحَرَّى أَمَاكِنَ مِنَ الطَّرِيقِ فَيُصَلِّي فِيهَا، وَيُحَدِّثُ أَنَّ أَبَاهُ كَانَ يُصَلِّي فِيهَا «وَأَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِي تِلْكَ الأَمْكِنَةِ». وَحَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي فِي تِلْكَ الأَمْكِنَةِ، وَسَأَلْتُ سَالِمًا، فَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا وَافَقَ نَافِعًا فِي الأَمْكِنَةِ كُلِّهَا إِلَّا أَنَّهُمَا اخْتَلَفَا فِي مَسْجِدٍ بِشَرَفِ الرَّوْحَاءِ
মুহা’ম্মাদ ইব্ন আবূ বাক্র মুক্বাদ্দামী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ফুযায়ল ইব্ন সুলায়মান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মূসা ইব্নু উক্বা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বলেন: আমি সালিম ইব্নু আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে রাস্তার বিশেষ বিশেষ স্থান অনুসন্ধান করে সে সব স্থানে সালাত আদায় করতে দেখেছি এবং তিনি বর্ণনা করতেন যে, তাঁর পিতাও এসব স্থানে সালাত আদায় করতেন। আর তিনিও আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এসব স্থানে সালাত আদায় করতে দেখেছেন। মূসা ইব্নু উকবা (রহমাহুল্লাহ) বলেন: নাফি (রহমাহুল্লাহ)-ও আমার নিকট ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি সেসব স্থানে সালাত আদায় করতেন। অতঃপর আমি সালিম (রহমাহুল্লাহ) কে জিজ্ঞেস করি। আমার জানামতে তিনিও সেসব স্থানে সালাত আদায়ের ব্যাপারে নাফি’ (রহমাহুল্লাহ) এর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন; তবে ‘শারাফুর-রাওহা’ নামক স্থানের মসজিদটির ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٨٤ – حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ الحِزَامِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَنْزِلُ بِذِي الحُلَيْفَةِ حِينَ يَعْتَمِرُ، وَفِي حَجَّتِهِ حِينَ حَجَّ تَحْتَ سَمُرَةٍ فِي مَوْضِعِ المَسْجِدِ الَّذِي بِذِي الحُلَيْفَةِ، وَكَانَ إِذَا رَجَعَ مِنْ غَزْوٍ كَانَ فِي تِلْكَ الطَّرِيقِ أَوْ حَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ هَبَطَ مِنْ بَطْنِ وَادٍ، فَإِذَا ظَهَرَ مِنْ بَطْنِ وَادٍ أَنَاخَ بِالْبَطْحَاءِ الَّتِي عَلَى شَفِيرِ الوَادِي الشَّرْقِيَّةِ، فَعَرَّسَ ثَمَّ حَتَّى يُصْبِحَ لَيْسَ عِنْدَ المَسْجِدِ الَّذِي بِحِجَارَةٍ وَلَا عَلَى الأَكَمَةِ الَّتِي عَلَيْهَا المَسْجِدُ»، كَانَ ثَمَّ خَلِيجٌ يُصَلِّي عَبْدُ اللَّهِ عِنْدَهُ فِي بَطْنِهِ كُثُبٌ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَّ يُصَلِّي، فَدَحَا السَّيْلُ فِيهِ بِالْبَطْحَاءِ، حَتَّى دَفَنَ ذَلِكَ المَكَانَ، الَّذِي كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يُصَلِّي فِيهِ
ইবরাহীম ইব্ন মুনযির হি’যামী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আনাস ইব্ন ‘ইয়ায আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মূসা ইব্ন ‘উক্ববাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন নাফি‘ থেকে, তিনি আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উমরাহ ও হজ্জের জন্যে রওয়ানা হলে ‘যুল-হুলায়ফা’য় অবতরণ করতেন, বাবলা গাছের নীচে ‘যুল হুলায়ফা’র মসজিদের স্থান। আর যখন কোন যুদ্ধ হতে অথবা হজ্জ বা ‘উমরাহ করে সেই পথে ফিরতেন, তখন উপত্যকার মাঝখানে অবতরণ করতেন। যখন উপত্যকার মাঝখান হতে উপরের দিকে আসতেন, তখন উপত্যকার তীরে অবস্থিত পূর্ব নিম্নভূমিতে উট বসাতেন। সেখানে তিনি শেষ রাত হতে ভোর পর্যন্ত বিশ্রাম করতেন। এ স্থানটি পাথরের উপর নির্মিত মসজিদের নিকট নয় এবং যে মসজিদ টিলার উপর, তার নিকটেও নয়। এখানে ছিল একটি ঝিল, যার পাশে আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) সালাত আদায় করতেন। এর ভিতরে কতগুলো বালির স্তূপ ছিল। আর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এখানেই সালাত আদায় করতেন। অতঃপর নিম্নভূমিতে পানি প্রবাহ (সৃষ্টি) হয়ে ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) যে স্থানে সালাত আদায় করতেন তা সমান করে দিয়েছে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ প্রথমাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٨٥ – وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ حَدَّثَهُ، ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى حَيْثُ المَسْجِدُ الصَّغِيرُ الَّذِي دُونَ المَسْجِدِ الَّذِي بِشَرَفِ الرَّوْحَاءِ، وَقَدْ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَعْلَمُ المَكَانَ الَّذِي كَانَ صَلَّى فِيهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ثَمَّ عَنْ يَمِينِكَ حِينَ تَقُومُ فِي المَسْجِدِ تُصَلِّي، وَذَلِكَ المَسْجِدُ عَلَى حَافَةِ الطَّرِيقِ اليُمْنَى، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى مَكَّةَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ المَسْجِدِ الأَكْبَرِ رَمْيَةٌ بِحَجَرٍ أَوْ نَحْوُ ذَلِكَ “
(পূর্বের হাদীসটির পর থেকে) এবং ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘শারাফুর-রাওহা’র মসজিদের নিকট ছোট মসজিদের স্থানে সালাত আদায় করেছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেখানে সালাত আদায় করেছিলেন, আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) সে স্থানের পরিচয় দিতেন এই বলে যে, যখন তুমি মসজিদে সালাতে দাঁড়াবে তখন তা তোমার ডানদিকে। আর সেই মসজিদটি হলো যখন তুমি (মদীনা হতে) মক্কা যাবে তখন তা ডানদিকের রাস্তার এক পাশে থাকবে। সে স্থান ও বড় মসজিদের মাঝখানে ব্যবধান হলো একটি ঢিল নিক্ষেপ পরিমাণ অথবা তার কাছাকাছি।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ দ্বিতীয় অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ দ্বিতীয় অংশ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٨٦ – وَأَنَّ ابْنَ عُمَرَ: كَانَ يُصَلِّي إِلَى العِرْقِ الَّذِي عِنْدَ مُنْصَرَفِ الرَّوْحَاءِ، وَذَلِكَ العِرْقُ انْتِهَاءُ طَرَفِهِ عَلَى حَافَةِ الطَّرِيقِ دُونَ المَسْجِدِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ المُنْصَرَفِ، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى مَكَّةَ وَقَدِ ابْتُنِيَ ثَمَّ مَسْجِدٌ، فَلَمْ يَكُنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُصَلِّي فِي ذَلِكَ المَسْجِدِ، كَانَ يَتْرُكُهُ عَنْ يَسَارِهِ وَوَرَاءَهُ، وَيُصَلِّي أَمَامَهُ إِلَى العِرْقِ نَفْسِهِ، وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَرُوحُ مِنَ الرَّوْحَاءِ فَلَا يُصَلِّي الظُّهْرَ حَتَّى يَأْتِيَ ذَلِكَ المَكَانَ، فَيُصَلِّي فِيهِ الظُّهْرَ، وَإِذَا أَقْبَلَ مِنْ مَكَّةَ، فَإِنْ مَرَّ بِهِ قَبْلَ الصُّبْحِ بِسَاعَةٍ أَوْ مِنْ آخِرِ السَّحَرِ عَرَّسَ حَتَّى يُصَلِّيَ بِهَا الصُّبْحَ
(পূর্বের হাদীসটির পর থেকে) আর ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ‘রাওহা’র শেষ মাথায় ‘ইরক’ (ছোট পাহাড়)–এর নিকট সালাত আদায় করতেন। সেই ‘ইরক’–এর শেষ প্রান্ত হলো রাস্তার পাশে মসজিদের কাছাকাছি মক্কা যাওয়ার পথে রাওহা ও মক্কার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এখানে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে। ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এই মসজিদে সালাত আদায় করতেন না, রবং সেটাকে তিনি বামদিকে ও পেছনে ফেলে অগ্রসর হয়ে ‘ইরক’–এর নিকটে সালাত আদায় করতেন। আর ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) রাওহা হতে বেরিয়ে ঐ স্থানে পৌঁছার পূর্বে যুহ্রের সালাত আদায় করতেন না। সেখানে পৌঁছে যোহর আদায় করতেন। আর মক্কা হতে আসার সময় এ পথে ভোরের এক ঘন্টা পূর্বে বা শেষ রাতে আসলে সেখানে অবস্থান করে ফজরের সালাত আদায় করতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ তৃতীয় অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ তৃতীয় অংশ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٨٧ – وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ حَدَّثَهُ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَنْزِلُ تَحْتَ سَرْحَةٍ ضَخْمَةٍ دُونَ الرُّوَيْثَةِ، عَنْ يَمِينِ الطَّرِيقِ، وَوِجَاهَ الطَّرِيقِ فِي مَكَانٍ بَطْحٍ سَهْلٍ، حَتَّى يُفْضِيَ مِنْ أَكَمَةٍ دُوَيْنَ بَرِيدِ الرُّوَيْثَةِ بِمِيلَيْنِ، وَقَدِ انْكَسَرَ أَعْلَاهَا، فَانْثَنَى فِي جَوْفِهَا وَهِيَ قَائِمَةٌ عَلَى سَاقٍ، وَفِي سَاقِهَا كُثُبٌ كَثِيرَةٌ»
(পূর্বের হাদীসটির পর থেকে) আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হাদীসটি বর্ণনা করছেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুওয়ায়ছা’র নিকটে রাস্তার ডানদিকে রাস্তা সংলগ্ন প্রশস্ত সমতল ভূমিতে একটা বিরাট গাছের নীচে অবস্থান করতেন। অতঃপর তিনি ‘রুওয়ায়ছা’র ডাকঘরের দু’মাইল দূরে ঢিলার পাশ দিয়ে রওয়ানা হতেন। বর্তমানে গাছটির উপরের অংশ ভেঙ্গে গিয়ে মাঝখানে ঝুঁকে গেছে। গাছের কাণ্ড এখনো দাঁড়িয়ে আছে। আর তার আশেপাশে অনেকগুলো বালির স্তূপ বিস্তৃত রয়েছে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ চতুর্থ অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ চতুর্থ অংশ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٨٨ – وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، حَدَّثَهُ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي طَرَفِ تَلْعَةٍ مِنْ وَرَاءِ العَرْجِ، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى هَضْبَةٍ عِنْدَ ذَلِكَ المَسْجِدِ قَبْرَانِ أَوْ ثَلَاثَةٌ، عَلَى القُبُورِ رَضَمٌ مِنْ حِجَارَةٍ، عَنْ يَمِينِ الطَّرِيقِ عِنْدَ سَلَمَاتِ الطَّرِيقِ بَيْنَ أُولَئِكَ السَّلَمَاتِ» كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَرُوحُ مِنَ العَرْجِ، بَعْدَ أَنْ تَمِيلَ الشَّمْسُ بِالهَاجِرَةِ، فَيُصَلِّي الظُّهْرَ فِي ذَلِكَ المَسْجِدِ
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: ‘আরজু’ গ্রামের পরে পাহাড়ের দিকে যেতে যে উচ্চভূমি আছে, তার পাশে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করেছেন। এই মসজিদের পাশে দু’তিনটি কবর আছে। এসব কবরে পাথরের বড় বড় খণ্ড পড়ে আছে। রাস্তার ডান পাশে গাছের নিকটেই তা অবস্থিত। দুপুরের পর সূর্য ঢলে পড়লে ‘আবদুল্লাহ্ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ‘আর্জ’–এর দিক হতে এসে গাছের মধ্য দিয়ে যেতেন এবং ঐ মসজিদে যুহ্রের সালাত আদায় করতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ পঞ্চম অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ পঞ্চম অংশ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٨٩ – وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، حَدَّثَهُ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ عِنْدَ سَرَحَاتٍ عَنْ يَسَارِ الطَّرِيقِ فِي مَسِيلٍ دُونَ هَرْشَى، ذَلِكَ المَسِيلُ لَاصِقٌ بِكُرَاعِ هَرْشَى، بَيْنَهُ وَبَيْنَ الطَّرِيقِ قَرِيبٌ مِنْ غَلْوَةٍ» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ «يُصَلِّي إِلَى سَرْحَةٍ هِيَ أَقْرَبُ السَّرَحَاتِ إِلَى الطَّرِيقِ، وَهِيَ أَطْوَلُهُنَّ»
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে রাস্তার বাঁ দিকে বিরাট গাছগুলোর নিকট অবতরণ করেন যা ‘হারশা’ পাহাড়ের নিকটবর্তী নিম্নভূমির দিকে চলে গেছে। সেই নিম্নভূমিটি ‘হারশা’–এর এক প্রান্তের সাথে মিলিত। এখান হতে সাধারণ সড়কের দূরত্ব প্রায় এক তীর নিক্ষেপের পরিমাণ। আবদূল্লাহ ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) সেই গাছগুলোর মধ্যে একটির নিকট সালাত আদায় করতেন, যা ছিল রাস্তার নিকটে এবং সবচেয়ে উঁচু।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ ষষ্ঠ অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ ষষ্ঠ অংশ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٩٠ – وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، حَدَّثَهُ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَنْزِلُ فِي المَسِيلِ الَّذِي فِي أَدْنَى مَرِّ الظَّهْرَانِ، قِبَلَ المَدِينَةِ حِينَ يَهْبِطُ مِنَ الصَّفْرَاوَاتِ يَنْزِلُ فِي بَطْنِ ذَلِكَ المَسِيلِ عَنْ يَسَارِ الطَّرِيقِ، وَأَنْتَ ذَاهِبٌ إِلَى مَكَّةَ، لَيْسَ بَيْنَ مَنْزِلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ الطَّرِيقِ إِلَّا رَمْيَةٌ بِحَجَرٍ»
আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অবতরণ করতেন ‘মাররুয যাহরান’ উপত্যকার মেষ প্রান্তে নিম্নভূমিতে, যা মদীনার দিকে যেতে ছোট পাহাড়গুলোর নীচে অবস্থিত। তিনি সে নিম্নভূমির মাঝখানে অবতরণ করতেন। এটা মক্কা যাওয়ার পথে বাম পাশে থাকে। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর মনযিল ও রাস্তার মাঝে দূরত্ব এক পাথর নিক্ষেপ পরিমাণ।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ সপ্তম অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ সপ্তম অংশ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٩١ – وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، حَدَّثَهُ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَنْزِلُ بِذِي طُوًى، وَيَبِيتُ حَتَّى يُصْبِحَ، يُصَلِّي الصُّبْحَ حِينَ يَقْدَمُ مَكَّةَ، وَمُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ عَلَى أَكَمَةٍ غَلِيظَةٍ، لَيْسَ فِي المَسْجِدِ الَّذِي بُنِيَ ثَمَّ، وَلَكِنْ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى أَكَمَةٍ غَلِيظَةٍ»
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘যূ-তুওয়া’য় অবতরণ করতেন এবং এখানেই রাত যাপন করতেন আর মক্কায় আসার পথে এখানেই ফজরের সালাত আদায় করতেন। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সালাত আদায়ের সেই স্থানটা ছিল একটা বড় টিলার উপরে। যেখানে মসজিদ নির্মিত হয়েছে সেখানে নয় বরং তার নীচে একটা বড় টিলার উপর।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ অষ্টম অংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ অষ্টম অংশ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٩٢ – وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، حَدَّثَهُ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَقْبَلَ فُرْضَتَيِ الجَبَلِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجَبَلِ الطَّوِيلِ، نَحْوَ الكَعْبَةِ، فَجَعَلَ المَسْجِدَ الَّذِي بُنِيَ ثَمَّ يَسَارَ المَسْجِدِ، بِطَرَفِ الأَكَمَةِ، وَمُصَلَّى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْفَلَ مِنْهُ عَلَى الأَكَمَةِ السَّوْدَاءِ، تَدَعُ مِنَ الأَكَمَةِ عَشَرَةَ أَذْرُعٍ أَوْ نَحْوَهَا، ثُمَّ تُصَلِّي مُسْتَقْبِلَ الفُرْضَتَيْنِ مِنَ الجَبَلِ الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَ الكَعْبَةِ»
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাহাড়ের দু’টো প্রবেশপথ সামনে রাখতেন যা তার ও দীর্ঘ পাহাড়ের মাঝখানে কা’বার দিকে রয়েছে। বর্তমানে সেখানে যে মসজিদ নির্মিত হয়েছে, সেটিকে তিনি [ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)] টিলার প্রান্তের মসজিদটির বাম পাশে রাখতেন। কিন্তু নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সালাতের জায়গা ছিল এর নীচের কাল টিলার উপরে। এটি প্রথম টিলা হতে প্রায় দশ হাত দূরে। অতঃপর যে পাহাড়টি তোমার ও কা’বার মাঝখানে পড়বে তার দু’প্রবেশ দ্বারের দিকে মুখ করে তুমি সালাত আদায় করবে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬২ শেষাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৮ শেষাংশ]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٩٣ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ: أَقْبَلْتُ رَاكِبًا عَلَى حِمَارٍ أَتَانٍ، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ قَدْ نَاهَزْتُ الِاحْتِلَامَ، «وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ بِمِنًى إِلَى غَيْرِ جِدَارٍ، فَمَرَرْتُ بَيْنَ يَدَيْ بَعْضِ الصَّفِّ فَنَزَلْتُ، وَأَرْسَلْتُ الأَتَانَ تَرْتَعُ، وَدَخَلْتُ فِي الصَّفِّ، فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيَّ أَحَدٌ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইঊসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন ইব্ন শিহাব থেকে, তিনি ‘উবায়দুল্লাহ ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ‘উত্বাহ থেকে, তিনি আবদুল্লাহ্ ইব্নু আব্বাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমি একটা মাদী গাধার উপর সওয়ার হয়ে এলাম, তখন আমি ছিলাম সাবালক হবার নিকটবর্তী। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামনে দেয়াল ব্যতীত অন্য কিছুকে সুতরা বানিয়ে মিনায় লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করছিলেন। কাতারের কিছু অংশ অতিক্রম করে আমি সওয়ারী হতে অবতরণ করলাম। গাধীটিকে চরাতে দিয়ে আমি কাতারে শামিল হয়ে গেলাম। আমাকে কেউই এ কাজে বাধা দেয়নি।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٩٤ – حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ يَعْنِي ابْنَ مَنْصُورٍ ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا خَرَجَ يَوْمَ العِيدِ أَمَرَ بِالحَرْبَةِ، فَتُوضَعُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَيُصَلِّي إِلَيْهَا وَالنَّاسُ وَرَاءَهُ، وَكَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي السَّفَرِ»، فَمِنْ ثَمَّ اتَّخَذَهَا الْأُمَرَاءُ
ইসহা’ক্ব অর্থাৎ ইব্ন মানস্বূর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন নুমায়র আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘উবায়দুল্লাহ ইব্ন ‘উমার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন নাফি‘ থেকে, তিনি ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের দিন যখন বের হতেন তখন তাঁর সম্মুখে ছোট নেযা (বল্লম) পুঁতে রাখতে নিদের্শ দিতেন। সেদিকে মুখ করে তিনি সালাত আদায় করতেন। আর লোকজন তাঁর পেছনে দাঁড়াতো। সফরেও তিনি তাই করতেন। এ হতে শাসকগণও এ পন্থা অবলম্বন করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭০]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٩٥ – حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِهِمْ بِالْبَطْحَاءِ وَبَيْنَ يَدَيْهِ عَنَزَةٌ، الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ، وَالعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ، تَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ المَرْأَةُ وَالحِمَارُ»
আবূ ওয়ালীদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আওন ইব্ন আবূ জুহা’য়ফাহ থেকে, তিনি বললেন: আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীগণকে নিয়ে ‘বাতহা’ নামক স্থানে যুহ্রের দু’রাক’আত ও আসরের দু’রাক’আত সালাত আদায় করেন। তখন তাঁর সামনে বল্লম পুঁতে রাখা হয়েছিল। তাঁর সম্মুখ দিয়ে (সুত্রার বাইরে) নারী ও গাধা চলাচল করতো।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭১]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٩٦ – حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: «كَانَ بَيْنَ مُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ الجِدَارِ مَمَرُّ الشَّاةِ»
‘আম্র ইব্ন যুরারাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আব্দুল ‘আযীয ইব্ন আবূ হা’যিম আমাদেরকে খবর দিলেন তাঁর পিতা থেকে, তিনি সাহ্ল ইব্নু সা’দ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সালাতের স্থান ও দেয়ালের মাঝখানে একটা বকরী চলার মত ব্যবধান ছিল।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭২]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٩٧ – حَدَّثَنَا المَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ، قَالَ: «كَانَ جِدَارُ المَسْجِدِ عِنْدَ المِنْبَرِ مَا كَادَتِ الشَّاةُ تَجُوزُهَا»
মাক্কী ইব্ন ইবরাহীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াযীদ ইব্ন আবূ ‘উবায়দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন সালামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: মসজিদের দেয়াল ছিল মিম্বারের এত নিকট যে, মাঝখান দিয়ে একটা বকরীরও চলাচল কঠিন ছিল।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٩٨ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُرْكَزُ لَهُ الحَرْبَةُ فَيُصَلِّي إِلَيْهَا»
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উবায়দুল্লাহ থেকে, তিনি বললেন: নাফি‘ আমাকে খবর দিলেন আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সামনে বর্শা পুঁতে রাখা হতো, আর তিনি সেদিকে সালাত আদায় করতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৪]
হাদীসের মান: সহীহ
٤٩٩ – حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَوْنُ بْنُ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي، قَالَ: «خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالهَاجِرَةِ، فَأُتِيَ بِوَضُوءٍ، فَتَوَضَّأَ، فَصَلَّى بِنَا الظُّهْرَ وَالعَصْرَ، وَبَيْنَ يَدَيْهِ عَنَزَةٌ وَالمَرْأَةُ وَالحِمَارُ يَمُرُّونَ مِنْ وَرَائِهَا»
আদম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আওন ইব্নু আবূ জুহাইফা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বলেন: আমি আমার পিতার কাছ হতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: একদা দুপুরে আমাদের সামনে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাশরীফ আনলেন। তাঁকে উযূর পানি দেয়া হলো। তিনি উযূ করলেন এবং আমাদের নিয়ে যুহর ও আসরের সালাত আদায় করলেন। সালাতের সময় তাঁর সামনে ছিল বল্লম, যার বাইরের দিক দিয়ে নারী ও গাধা চলাচল করতো।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٥٠٠ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ بَزِيعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَاذَانُ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ، تَبِعْتُهُ أَنَا وَغُلَامٌ وَمَعَنَا عُكَّازَةٌ أَوْ عَصًا أَوْ عَنَزَةٌ، وَمَعَنَا إِدَاوَةٌ، فَإِذَا فَرَغَ مِنْ حَاجَتِهِ نَاوَلْنَاهُ الإِدَاوَةَ»
মুহা’ম্মাদ ইব্ন হা’তিম ইব্ন বাযী‘ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শাযান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন শু‘বাহ থেকে, তিনি ‘আত্বা ইব্ন মায়মূনাহ থেকে, তিনি বললেন: আমি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে শুনেছি, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে রের হতেন, তখন আমি ও একজন বালক তাঁর পিছনে যেতাম। আর আমাদের সাথে থাকতো একটা লাঠি বা একটা ছড়ি অথবা একটা ছোট নেযা, আরো থাকতো একটা পানির পাত্র। তিনি তাঁর প্রয়োজন সেরে নিলে আমরা তাঁকে ঐ পাত্রটি দিতাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৬]
হাদীসের মান: সহীহ
٥٠١ – حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الحَكَمِ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالهَاجِرَةِ، فَصَلَّى بِالْبَطْحَاءِ الظُّهْرَ وَالعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ، وَنَصَبَ بَيْنَ يَدَيْهِ عَنَزَةً وَتَوَضَّأَ»، فَجَعَلَ النَّاسُ يَتَمَسَّحُونَ بِوَضُوئِهِ
সুলায়মান ইব্ন হা’রব আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: শু‘বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হা’কাম থেকে, তিনি আবূ জুহাইফা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: একদা দুপুরে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সামনে তাশরীফ আনলেন। তিনি ‘বাতহা’ নামক স্থানে যোহর ও ‘আসরের সালাত দু-দু’রাক’আত করে আদায় করলেন। তখন তাঁর সামনে একটা লৌহযুক্ত ছড়ি পুঁতে রাখা হয়েছিল। তিনি যখন উযূ করছিলেন, তখন সাহাবীগণ তাঁর উযূর পানি নিজেদের শরীরে (বারাকাতের জন্য) মাস্হ্ করতে লাগলো।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৭]
وَقَالَ عُمَرُ: «المُصَلُّونَ أَحَقُّ بِالسَّوَارِي مِنَ المُتَحَدِّثِينَ إِلَيْهَا» وَرَأَى عُمَرُ: ” رَجُلًا يُصَلِّي بَيْنَ أُسْطُوَانَتَيْنِ، فَأَدْنَاهُ إِلَى سَارِيَةٍ، فَقَالَ: صَلِّ إِلَيْهَا “
‘উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন: বাক্যালাপে রত ব্যক্তিদের চাইতে মুসল্লীরাই স্তম্ভ সামনে রাখার বেশী অধিকারি। এক সময় ইব্ন ‘উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) দেখলেন, এক ব্যক্তি দুটো স্তম্ভের মাঝখানে সালাত আদায় করছে। তখন তিনি তাকে একটি স্তম্ভের কাছে এনে বললেনঃ এটি সামনে রেখে সালাত আদায় কর।
হাদীসের মান: সহীহ
٥٠٢ – حَدَّثَنَا المَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ، قَالَ: كُنْتُ آتِي مَعَ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ فَيُصَلِّي عِنْدَ الأُسْطُوَانَةِ الَّتِي عِنْدَ المُصْحَفِ، فَقُلْتُ: يَا أَبَا مُسْلِمٍ، أَرَاكَ تَتَحَرَّى الصَّلَاةَ عِنْدَ هَذِهِ الأُسْطُوَانَةِ، قَالَ: فَإِنِّي «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَحَرَّى الصَّلَاةَ عِنْدَهَا»
মাক্কী ইব্ন ইবরাহীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াযীদ ইব্নু আবূ উবায়দ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বলেন: আমি সালামা ইব্নুল আকওয়া (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)–এর নিকট আসতাম। তিনি সর্বদা মসজিদে নাববীর সেই স্বম্ভের নিকট সালাত আদায় করতেন যা ছিল মাসহাফের নিকটবর্তী। আমি তাঁকে বললাম: হে আবূ মুসলিম! আমি আপনাকে সর্বদা এই স্তম্ভ খুঁজে বের করে সামনে রেখে সালাত আদায় করতে দেখি (এর কারণ কী?) তিনি বললেন: আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে এটি খুঁজে বের করে এর নিকট সালাত আদায় করতে দেখেছি।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٥٠٣ – حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «لَقَدْ رَأَيْتُ كِبَارَ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْتَدِرُونَ السَّوَارِيَ عِنْدَ المَغْرِبِ»، وَزَادَ شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَنَسٍ، حَتَّى يَخْرُجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
ক্বাবীস্বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুফইয়ান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আম্র ইব্ন ‘আমির থেকে, তিনি আনাস ইব্নু মালিক (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর বিশিষ্ট সাহাবীদের পেয়েছি। তাঁরা মাগরিবের সময় দ্রুত স্তম্ভের নিকট যেতেন। শু’বাহ (রহমাহুল্লাহ) ‘আমর (রহমাহুল্লাহ) সূত্রে আনাস (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) হতে (এ হাদীসে) অতিরিক্ত বলেছেন: ‘নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বেরিয়ে আসা পর্যন্ত।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٥٠٤ – حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: ” دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ البَيْتَ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ، وَبِلَالٌ فَأَطَالَ، ثُمَّ خَرَجَ وَكُنْتُ أَوَّلَ النَّاسِ دَخَلَ عَلَى أَثَرِهِ، فَسَأَلْتُ بِلَالًا: أَيْنَ صَلَّى؟ قَالَ: بَيْنَ العَمُودَيْنِ المُقَدَّمَيْنِ “
মূসা ইব্ন ইসমা‘ঈল আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: জুওয়ায়রিয়াহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন নাফি‘ থেকে, তিনি ইব্নু উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাইতুল্লাহ–এ প্রবেশ করেছিলেন। আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন উসামা ইব্নু যায়দ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু), ‘উসমান ইব্নু ত্বলহা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এবং বিলাল (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)। তিনি অনেকক্ষণ ভিতরে ছিলেন। অতঃপর বের হলেন। আর আমিই প্রথম ব্যক্তি যে তাঁর পরে প্রবেশ করেছে। আমি বিলাল (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)–কে জিজ্ঞেস করলাম: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোথায় সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেন: সামনের দুই খুঁটির মধ্যখানে।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮০]
হাদীসের মান: সহীহ
٥٠٥ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ: ” أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ الكَعْبَةَ وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، وَبِلَالٌ، وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ الحَجَبِيُّ فَأَغْلَقَهَا عَلَيْهِ، وَمَكَثَ فِيهَا، فَسَأَلْتُ بِلَالًا حِينَ خَرَجَ: مَا صَنَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: جَعَلَ عَمُودًا عَنْ يَسَارِهِ، وَعَمُودًا عَنْ يَمِينِهِ، وَثَلَاثَةَ أَعْمِدَةٍ وَرَاءَهُ، وَكَانَ البَيْتُ يَوْمَئِذٍ عَلَى سِتَّةِ أَعْمِدَةٍ، ثُمَّ صَلَّى “، وَقَالَ لَنَا: إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، وَقَالَ: «عَمُودَيْنِ عَنْ يَمِينِهِ»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইঊসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন নাফি‘ থেকে, তিনি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আর উসামা ইব্নু যায়দ, বিলাল এবং উসমান ইব্নু তালহা হাজাবী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কা’বায় প্রবেশ করলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর প্রবেশের সাথে সাথে উসমান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কা’বার দরজা বন্ধ করে দিলেন। তাঁরা কিছুক্ষণ ভিতরে ছিলেন। বিলাল (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বের হলে আমি তাঁকে বললাম: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কী করলেন? তিনি বললেন: একটা খুঁটি বাম দিকে, একটা খুঁটি ডান দিকে আর তিনটা খুঁটি পেছনে রাখলেন। আর তখন বায়তুল্লাহ্ ছিল ছয়টি খুঁটি বিশিষ্ট। অতঃপর তিনি সালাত আদায় করলেন।
[ইমাম বুখারী (রহমাহুল্লাহ) বলেন] ইসমাঈল (রহমাহুল্লাহ) আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, ইমাম মালিক (রহমাহুল্লাহ) বলেছেন যে, তাঁর (নবীর) ডান পাশে দু’টো স্তম্ভ ছিল।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮১]
হাদীসের মান: সহীহ
٥٠٦ – حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ «إِذَا دَخَلَ الكَعْبَةَ مَشَى قِبَلَ وَجْهِهِ حِينَ يَدْخُلُ، وَجَعَلَ البَابَ قِبَلَ ظَهْرِهِ، فَمَشَى حَتَّى يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجِدَارِ الَّذِي قِبَلَ وَجْهِهِ قَرِيبًا مِنْ ثَلَاثَةِ أَذْرُعٍ، صَلَّى يَتَوَخَّى المَكَانَ الَّذِي أَخْبَرَهُ بِهِ بِلَالٌ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِيهِ»، قَالَ: وَلَيْسَ عَلَى أَحَدِنَا بَأْسٌ إِنْ صَلَّى فِي أَيِّ نَوَاحِي البَيْتِ شَاءَ
ইবরামীহ ইব্ন মুনযির আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ যাম্রাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মূসা ইব্ন ‘উক্ববাহআমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন নাফি‘ থেকে, তিনি আবদুল্লাহ্ ‘উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি যখন কা’বা -তে প্রবেশ করতেন তখন সামনের দিকে চলতে থাকতেন এবং দরজা পেছনে রাখতেন। এভাবে এগিয়ে গিয়ে যেখানে তাঁর ও দেওয়ালের মাঝে প্রায় তিন হাত পরিমাণ ব্যবধান থাকতো, সেখানে তিনি সালাত আদায় করতেন। তিনি সে স্থানেই সালাত আদায় করতে চাইতেন, যেখানে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করেছিলেন বলে বিলাল (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাঁকে খবর দিয়ছিলেন। তিনি বলেন: কা’বা ঘরে যে-কোন প্রান্তে ইচ্ছা, সালাত আদায় করাতে আমাদের কোন দোষ নেই।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮২]
হাদীসের মান: সহীহ
٥٠٧ – حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ المُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ «كَانَ يُعَرِّضُ رَاحِلَتَهُ، فَيُصَلِّي إِلَيْهَا»، قُلْتُ: أَفَرَأَيْتَ إِذَا هَبَّتِ الرِّكَابُ؟ قَالَ: «كَانَ يَأْخُذُ هَذَا الرَّحْلَ فَيُعَدِّلُهُ، فَيُصَلِّي إِلَى آخِرَتِهِ – أَوْ قَالَ مُؤَخَّرِهِ -» وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَفْعَلُهُ “
মুহা’ম্মাদ ইব্ন আবূ বাক্র মুক্বাদ্দামী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মু‘উতামির আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘উবায়দুল্লাহ ইব্ন ‘উমার থেকে, তিনি নাফি‘ থেকে, তিনি ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উটনীকে সামনে রেখে সালাত আদায় করতেন। [রাবী নাফি (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বলেন] আমি [আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে] জিজ্ঞেস করলাম: যখন সওয়ারী নড়াচড়া করত তখন (তিনি কি করতেন?) তিনি বলেন: তিনি তখন হাওদা নিয়ে সোজা করে নিজের সামনে রাখতেন, আর তার শেষাংশের দিকে সালাত আদায় করতেন। [নাফি (রহমাহুল্লাহ) বলেন: ] ইব্নু ‘উমর (রাজিআল্লাহু ‘আনহু)- ও তা করতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৩]
হাদীসের মান: সহীহ
٥٠٨ – حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: أَعَدَلْتُمُونَا بِالكَلْبِ وَالحِمَارِ «لَقَدْ رَأَيْتُنِي مُضْطَجِعَةً عَلَى السَّرِيرِ، فَيَجِيءُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَتَوَسَّطُ السَّرِيرَ، فَيُصَلِّي، فَأَكْرَهُ أَنْ أُسَنِّحَهُ، فَأَنْسَلُّ مِنْ قِبَلِ رِجْلَيِ السَّرِيرِ حَتَّى أَنْسَلَّ مِنْ لِحَافِي»
‘উছমান ইব্ন আবূ শায়বাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: জারীর আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন মানস্বুর থেকে, তিনি ইবরাহীম থেকে, তিনি আসওয়াদ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বলেন: তোমরা আমাদেরকে কুকুর, গাধার সমান করে ফেলেছ! আমি নিজে এ অবস্থায় ছিলাম যে, আমি চৌকির উপর শুয়ে থাকতাম আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে চৌকির মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন। এভাবে আমি সামনে থাকা পছন্দ করতাম না। তাই আমি চৌকির পায়ের দিকে সরে গিয়ে চুপি চুপি নিজের লেপ হতে বেরিয়ে পড়তাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৪]
وَرَدَّ ابْنُ عُمَرَ: فِي التَّشَهُّدِ وَفِي الكَعْبَةِ، وَقَالَ: «إِنْ أَبَى إِلَّا أَنْ تُقَاتِلَهُ فَقَاتِلْهُ»
ইব্ন উমার (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাশাহুদে বসা অবস্থায় এবং কাবা (অতিক্রমকারীকে) বাধা দিয়েছেন এবং তিনি বলেন, সে অতিক্রম করা থেকে বিরত থাকাতে অস্বীকার করে লড়তে চাইলে মুসুল্লী তার সাথে লড়বে।
হাদীসের মান: সহীহ
٥٠٩ – حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ح وَحَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ المُغِيرَةِ، قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ العَدَوِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ، قَالَ: رَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الخُدْرِيَّ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ يُصَلِّي إِلَى شَيْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ، فَأَرَادَ شَابٌّ مِنْ بَنِي أَبِي مُعَيْطٍ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَدَفَعَ أَبُو سَعِيدٍ فِي صَدْرِهِ، فَنَظَرَ الشَّابُّ فَلَمْ يَجِدْ مَسَاغًا إِلَّا بَيْنَ يَدَيْهِ، فَعَادَ لِيَجْتَازَ، فَدَفَعَهُ أَبُو سَعِيدٍ أَشَدَّ مِنَ الأُولَى، فَنَالَ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ، ثُمَّ دَخَلَ عَلَى مَرْوَانَ، فَشَكَا إِلَيْهِ مَا لَقِيَ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ، وَدَخَلَ أَبُو سَعِيدٍ خَلْفَهُ عَلَى مَرْوَانَ، فَقَالَ: مَا لَكَ وَلِابْنِ أَخِيكَ يَا أَبَا سَعِيدٍ؟ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ إِلَى شَيْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ فَأَرَادَ أَحَدٌ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَلْيَدْفَعْهُ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ»
আবূ মা‘মার আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আব্দুল ওয়ারিছ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়ুনুস আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন হু’মায়দ ইব্ন হিলাল থেকে, তিনি আবূ স্বালিহ’ থেকে, তিনি আবূ সা‘ঈদ থেকে, তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: (হাদীসটির অন্য সনদে) আদম ইব্ন আবূ ইয়াসিন আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: সুলায়মান ইব্ন মুগীরাহ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হু’মায়দ ইব্ন হিলাল ‘আদাবী আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আবূ স্বালিহ’স সাম্মান আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমি আবু সা’ইদ খুদরী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে দেখেছি। তিনি জুম’আর দিন লোকদের জন্য সুতরা হিসেবে কোন কিছু সামনে রেখে সালাত আদায় করছিলেন। আবু মু’আইত গোত্রের এক যুবক তার সামনে দিয়ে যেতে চাইল। আবু সা’ইদ খুদরী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তার বুকে ধাক্কা মারলেন। যুবকটি লক্ষ্য করে দেখল যে, তাঁর সামনে দিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। এজন্য সে পুনরায় তাঁর সামনে দিয়ে যেতে চাইল। এবারে আবু সাইদ খুদরী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) প্রথমবারের চেয়ে জোরে ধাক্কা দিলেন। ফলে আবু সাইদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) কে তিরস্কার করে সে মারওয়ানের নিকট গিয়ে আবু সাইদ খুদরী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এর ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল। এদিকে তার পরপরই আবু সাইদ খুদরী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) মারওয়ানের নিকট গেলেন। মারওয়ান তাঁকে বললেন: হে আবু সাইদ! তোমার এই ভাতিজার কি ঘটেছে? তিনি জবাব দিলেন আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের কেউ যদি লোকদের জন্য সামনে সুতরা রেখে সালাত আদায় করে, আর কেউ যদি তার সামনে দিয়ে যেতে চায়, তাহলে যেন সে তাকে বাঁধা দেয়। সে যদি না মানে, তবে সে ব্যক্তি (মুসল্লী) যেন তার সাথে লড়াই করে, কেননা সে শয়তান।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৫]
হাদীসের মান: সহীহ
٥١٠ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ، أَرْسَلَهُ إِلَى أَبِي جُهَيْمٍ يَسْأَلُهُ: مَاذَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي المَارِّ بَيْنَ يَدَيِ المُصَلِّي؟ فَقَالَ أَبُو جُهَيْمٍ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ يَعْلَمُ المَارُّ بَيْنَ يَدَيِ المُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ، لَكَانَ أَنْ يَقِفَ أَرْبَعِينَ خَيْرًا لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ» قَالَ أَبُو النَّضْرِ: لَا أَدْرِي، أَقَالَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، أَوْ شَهْرًا، أَوْ سَنَةً
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইঊসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন ‘উমার ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ -এর স্বাধীন করা গুলাম নযর থেকে, তিনি বুসর ইব্নু সা‘ঈদ (রহমাহুল্লাহ) থেকে, তিনি বললেন: যায়দ ইব্নু খালিদ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) তাঁকে আবূ জুহায়ম (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) এর নিকট পাঠালেন, যেন তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে, মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীর সম্পর্কে তিনি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে কি শুনেছেন। তখন আবু জুহায়ম (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যদি মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানতো এটা তার কত বড় অপরাধ, তাহলে সে মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে চল্লিশ (দিন/মাস/বছর) দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করতো।
আবুন-নাযর (রহমাহুল্লাহ) বলেন: আমার জানা নেই তিনি কি চল্লিশ দিন বা মাস কিংবা চল্লিশ বছর বলেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৬]
وَكَرِهَ عُثْمَانُ: «أَنْ يُسْتَقْبَلَ الرَّجُلُ وَهُوَ يُصَلِّي» وَإِنَّمَا هَذَا إِذَا اشْتَغَلَ بِهِ فَأَمَّا إِذَا لَمْ يَشْتَغِلْ فَقَدْ قَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ: «مَا بَالَيْتُ إِنَّ الرَّجُلَ لَا يَقْطَعُ صَلَاةَ الرَّجُلِ»
‘উসমান (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) সালাতরত অবস্থায় কাউকে সামনে রেখা মাকরূহ মনে করতেন। এ হুকুম তখনই প্রযোজ্য যখন তা মুসল্লীকে অন্যমনস্ক করে দেয়। কিন্তু যখন অন্যমনস্ক করে না, তখন যায়দ ইব্ন সাবিত (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) -এর মতানুসারে কোন ক্ষতি নেই। তিনি বলেন: একজন আরেক জনের সালাত নষ্ট করতে পারে না।
হাদীসের মান: সহীহ
٥١١ – حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ يَعْنِي ابْنَ صُبَيْحٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهُ ذُكِرَ عِنْدَهَا مَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ، فَقَالُوا: يَقْطَعُهَا الكَلْبُ وَالحِمَارُ وَالمَرْأَةُ، قَالَتْ: لَقَدْ جَعَلْتُمُونَا كِلَابًا، «لَقَدْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي، وَإِنِّي لَبَيْنَهُ وَبَيْنَ القِبْلَةِ، وَأَنَا مُضْطَجِعَةٌ عَلَى السَّرِيرِ، فَتَكُونُ لِي الحَاجَةُ، فَأَكْرَهُ أَنْ أَسْتَقْبِلَهُ، فَأَنْسَلُّ انْسِلَالًا» وَعَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَهُ
ইসমা‘ঈল ইব্ন খালিদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আলী ইব্ন মুসহির আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আ‘মাশ থেকে, তিনি মুসলিম অর্থাৎ ইব্ন স্বুবায়হ’ থেকে, তিনি মাসরুক্ব থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, তিনি বললেন: একবার তাঁর সামনে সালাত নষ্টকারী জিনিস সম্পর্কে আলোচনা করা হল। লোকেরা বললো: কুকুর, গাধা ও মহিলা সালাত নষ্ট করে দেয়। ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) বললেন: তোমরা আমাদেরকে কুকুরের সমান করে দিয়েছ! আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখেছি, সালাত আদায় করছেন আর আমি তাঁর ও কিবলার মাঝে চৌকির উপর কাত হয়ে শুয়ে থাকতাম। কোন কোন সময় আমার বের হবার দরকার হতো এবং তাঁর সামনের দিকে যাওয়া অপছন্দ করতাম। এজন্য আমি চুপে চুপে সরে পড়তাম। আ’মাশ (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৭]
হাদীসের মান: সহীহ
٥١٢ – حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي وَأَنَا رَاقِدَةٌ مُعْتَرِضَةٌ عَلَى فِرَاشِهِ، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يُوتِرَ أَيْقَظَنِي فَأَوْتَرْتُ»
মুসাদ্দাদ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়াহ’ইয়া আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: হিশাম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমার পিতা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাত আদায় করতেন আর আমি তখন তাঁর বিছানায় আড়াআড়িভাবে শুয়ে থাকতাম। বিতর পড়ার সময় তিনি আমাকেও জাগাতেন, তখন আমিও বিতর পড়তাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৮]
হাদীসের মান: সহীহ
٥١٣ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَايَ فِي قِبْلَتِهِ، فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي، فَقَبَضْتُ رِجْلَيَّ، فَإِذَا قَامَ بَسَطْتُهُمَا»، قَالَتْ: وَالبُيُوتُ يَوْمَئِذٍ لَيْسَ فِيهَا مَصَابِيحُ
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইঊসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন ‘উমার ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ এর স্বাধীন করা গুলাম আবূ নযর থেকে, তিনি আবূ সালামাহ ইব্ন আব্দুর রহ’মান থেকে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আমি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে শুয়ে থাকতাম আর আমার পা দু’টো থাকত তাঁর কিবলার দিকে। তিনি যখন সিজদা করতেন তখন আমাকে টোকা দিতেন, আর আমি পা সরিয়ে নিতাম। তিনি দাঁড়িয়ে গেলে পুনরায় পা দু’টো প্রসারিত করে দিতাম। ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বলেন: তখন ঘরে কোন বাতি ছিল না।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৯]
হাদীসের মান: সহীহ
٥١٤ – حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، ح قَالَ: الأَعْمَشُ، وَحَدَّثَنِي مُسْلِمٌ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، ذُكِرَ عِنْدَهَا مَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ الكَلْبُ وَالحِمَارُ وَالمَرْأَةُ، فَقَالَتْ: شَبَّهْتُمُونَا بِالحُمُرِ وَالكِلَابِ، وَاللَّهِ «لَقَدْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي وَإِنِّي عَلَى السَّرِيرِ بَيْنَهُ وَبَيْنَ القِبْلَةِ مُضْطَجِعَةً، فَتَبْدُو لِي الحَاجَةُ، فَأَكْرَهُ أَنْ أَجْلِسَ، فَأُوذِيَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَنْسَلُّ مِنْ عِنْدِ رِجْلَيْهِ»
‘উমার ইব্ন হা’ফস্ব্ গিয়াছি আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: আমার পিতা আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ‘আমাশআমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইবরাহীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন আসওয়াদ থেকে, তিনি ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তাঁর সামনে সালাত নষ্টকারী কুকুর, গাধা ও নারী সমন্ধে আলোচনা চলছিল। ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) বললেন: তোমরা আমাদেরকে গাধা ও কুকুরের সাথে তুলনা করছ? আল্লাহ্র কসম! আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সালাত আদায় করতে দেখেছি। তখন আমি চৌকির উপরে তাঁর ও কিবলার মাঝখানে শুয়ে ছিলাম। আমার প্রয়োজন হলে আমি তাঁর সামনে বসা খারাপ মনে করতাম। তাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কষ্ট হতে পারে। আমি তাঁর পায়ের পাশে চুপিসারে বের হয়ে যেতাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৯০]
হাদীসের মান: সহীহ
٥١٥ – حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ سَأَلَ عَمَّهُ عَنِ الصَّلَاةِ، يَقْطَعُهَا شَيْءٌ فَقَالَ لَا يَقْطَعُهَا شَيْءٌ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: «لَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُومُ فَيُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ، وَإِنِّي لَمُعْتَرِضَةٌ بَيْنَهُ وَبَيْنَ القِبْلَةِ عَلَى فِرَاشِ أَهْلِهِ»
ইসহা’ক ইব্ন ইবরাহীম আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: ইয়‘ক্বূব ইব্ন ইবরাহীম ইব্ন সা‘আদ আমাদেরকে খবর দিলেন, তিনি বললেন: আমার ভ্রাতুষ্পুত্র ইব্ন শিহাব আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি তাঁর চাচাকে সালাত ভঙ্গ হওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, উত্তরে তিনি বললেন: এতে সালাত ভঙ্গ হবে না এবং বললেন: ‘উরওয়াহ ইব্ন যুবায়র আমাকে খবর দিলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) থেকে, তিনি বলেন: আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতে উঠে সালাতে দাঁড়াতেন আর আমি তাঁর ও কিবলার মাঝখানে আড়াআড়িভাবে তাঁর পরিজনদের বিছানায় শুয়ে থাকতাম।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৯১]
হাদীসের মান: সহীহ
٥١٦ – حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي وَهُوَ حَامِلٌ أُمَامَةَ بِنْتَ زَيْنَبَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلِأَبِي العَاصِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَهَا، وَإِذَا قَامَ حَمَلَهَا»
‘আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ আমাদেরকে হাদীসটি বর্ণনা করলেন, তিনি বললেন: মালিক আমাদেরকে খবর দিলেন ‘আমির ইব্ন ‘আব্দুল্লাহ ইব্ন যুবায়র থেকে, তিনি ‘আম্র ইব্ন সুলায়ম যুরাক্বী থেকে, তিনি আবু ক্বাতাদহ আনসারী (রাজিআল্লাহু ‘আনহু) থেকে, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মেয়ে যয়নবের গর্ভজাত ও আবুল আস ইব্নু রাবী’আ ইব্নু আবদ শামস (রহমাহুল্লাহ) এর ঔরসজাত কন্যা উমামা (রাজিআল্লাহু ‘আনহা) কে কাঁধে নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি যখন সিজদায় যেতেন তখন তাকে রেখে দিতেন আর যখন দাঁড়াতেন তখন তাকে তুলে নিতেন।
অনুরূপ বর্ণনা : [আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৯২]
হাদীসের মান: সহীহ
٥١٧ – حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الهَادِ، قَالَ: أَخْبَرَتْنِي خَالَتِي مَيْمُونَةُ بِنْتُ الحَارِثِ، قَالَتْ: «كَانَ فِرَاشِي حِيَالَ مُصَلَّى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرُبَّمَا وَقَعَ ثَوْبُهُ عَلَيَّ وَأَنَا عَلَى فِ