Dawah wa Tablig Islamic Website

Help Line = Mob no. +8801783385346 :: Email Address = shalampb@gmail.com || To see the Arabic (Saudi Print) correctly use "Mozilla Firefox" Browser.

Sura Al-Qulam to Sura Al-Layal

INDEX
সূচী-পত্রে ফিরে যাও

Web Page 14 Sura Al-Qalam to Sura Al-Layl

  1. সূরা আল-কালাম, আয়াত নং 1
  2. সূরা আল-হাক্কাহ, আয়াত নং 1
  3. সূরা আল-মা’আরিজ, আয়াত নং 1
  4. সূরা নূহ, আয়াত নং 1
  5. সূরা আল-জিন, আয়াত নং 1
  6. সূরা আল-মুযযামমিল, আয়াত নং 1
  7. সূরা আল-মুদ্দাসসির, আয়াত নং 1
  8. সূরা আল-কিয়ামাহ, আয়াত নং 1
  9. সূরা আল-ইনসান, আয়াত নং 1
  10. সূরা আল-মুরসালাত, আয়াত নং 1
  11. সূরা আন-নাবা, আয়াত নং 1
  12. সূরা আন-নাযি’আত, আয়াত নং 1
  13. সূরা ‘আবাসা, আয়াত নং 1
  14. সূরা আত-তাকউইর, আয়াত নং 1
  15. সূরা আল-ইনফিতর, আয়াত নং 1
  16. সূরা আল-মুতাফ্‌ফিফীন, আয়াত নং 1
  17. সূরা আল-ইনশিকাক, আয়াত নং 1
  18. সূরা আল-বুরূজ, আয়াত নং 1
  19. সূরা আত-তারিক, আয়াত নং 1
  20. সূরা আল-আ’লা, আয়াত নং 1
  21. সূরা আল-গাশিয়াহ, আয়াত নং 1
  22. সূরা আল-ফাজর, আয়াত নং 1
  23. সূরা আল-বালাদ, আয়াত নং 1
  24. সূরা আশ-শাম্‌স, আয়াত নং 1
  25. সূরা আল-লাইল, আয়াত নং 1
সূচী-পত্রে ফিরে যাও

68 নং সূরা – আল-কালাম – اَلْقَلَم

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 52
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – কালাম
نٓۚ وَٱلْقَلَمِ وَمَا يَسْطُرُونَ
নুন, শপথ কলমের এবং ওরা যা লিপিবদ্ধ করে তার।
02 – কালাম
مَآ أَنتَ بِنِعْمَةِ رَبِّكَ بِمَجْنُونٍ
তোমার রবের অনুগ্রহে তুমি উম্মাদ নও।
03 – কালাম
وَإِنَّ لَكَ لَأَجْرًا غَيْرَ مَمْنُونٍ
তোমার জন্য অবশ্যই রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার।
04 – কালাম
وَإِنَّكَ لَعَلَىٰ خُلُقٍ عَظِيمٍ
তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।
05 – কালাম
فَسَتُبْصِرُ وَيُبْصِرُونَ
শীঘ্রই তুমি দেখবে এবং তারাও দেখবে –
06 – কালাম
بِأَييِّكُمُ ٱلْمَفْتُونُ
তোমাদের মধ্যে কে বিকারগ্রস্ত।
07 – কালাম
إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ وَهُوَ أَعْلَمُ بِٱلْمُهْتَدِينَ
তোমার রাব্বতো সম্যক অবগত আছেন যে, কে তাঁর পথ হতে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনি জানেন তাদেরকে যারা সৎ পথপ্রাপ্ত।
08 – কালাম
فَلَا تُطِعِ ٱلْمُكَذِّبِينَ
সুতরাং তুমি মিথ্যাচারীদের অনুসরণ করনা।
09 – কালাম
وَدُّواۡ لَوْ تُدْهِنُ فَيُدْهِنُونَ
তারা চায় যে, তুমি নমনীয় হও, তাহলে তারাও নমনীয় হবে।
10 – কালাম
وَلَا تُطِعْ كُلَّ حَلَّافٍ مَّهِينٍ
এবং অনুসরণ করনা তার যে কথায় কথায় শপথ করে, যে লাঞ্ছিত –
11 – কালাম
هَمَّازٍ مَّشَّآءٍۭ بِنَمِيمٍ
পশ্চাতে নিন্দাকারী, যে একের কথা অপরের নিকট লাগিয়ে বেড়ায় –
12 – কালাম
مَّنَّاعٍ لِّلْخَيْرِ مُعْتَدٍ أَثِيمٍ
যে কল্যাণের কাজে বাঁধা দান করে, সে সীমালংঘনকারী, পাপিষ্ঠ।
13 – কালাম
عُتُلٍّۭ بَعْدَ ذَٰلِكَ زَنِيمٍ
রূঢ় স্বভাব এবং তদুপরি কুখ্যাত।
14 – কালাম
أَن كَانَ ذَا مَالٍ وَبَنِينَ
সে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে সমৃদ্ধশালী।
15 – কালাম
إِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِ ءَايَٰتُنَا قَالَ أَسَٰطِيرُ ٱلْأَوَّلِينَ
তার নিকট আমার আয়াত আবৃত্তি করা হলে সে বলেঃ এটাতো সেকালের উপকথা মাত্র।
16 – কালাম
سَنَسِمُهُۥ عَلَى ٱلْخُرْطُومِ
আমি তার নাসিকা দাগিয়ে দিব।
17 – কালাম
إِنَّا بَلَوْنَٰهُمْ كَمَا بَلَوْنَآ أَصْحَٰبَ ٱلْجَنَّةِ إِذْ أَقْسَمُواۡ لَيَصْرِمُنَّهَا مُصْبِحِينَ
আমি তাদেরকে পরীক্ষা করেছি, যেভাবে পরীক্ষা করেছিলাম উদ্যান অধিপতিদেরকে, যখন তারা শপথ করেছিল যে, তারা প্রত্যুষে আহরণ করবে বাগানের ফল,
18 – কালাম
وَلَا يَسْتَثْنُونَ
এবং তারা ইনশাআল্লাহ বলেনি।
19 – কালাম
فَطَافَ عَلَيْهَا طَآئِفٌ مِّن رَّبِّكَ وَهُمْ نَآئِمُونَ
অতঃপর তোমার রবের নিকট হতে এক বিপর্যয় হানা দিল সেই উদ্যানে, যখন তারা ছিল নিদ্রিত।
20 – কালাম
فَأَصْبَحَتْ كَٱلصَّرِيمِ
ফলে ওটা দগ্ধ হয়ে কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করল।
21 – কালাম
فَتَنَادَوْاۡ مُصْبِحِينَ
প্রত্যুষে তারা একে অপরকে ডেকে বলল –
22 – কালাম
أَنِ ٱغْدُواۡ عَلَىٰ حَرْثِكُمْ إِن كُنتُمْ صَٰرِمِينَ
তোমরা যদি ফল আহরণ করতে চাও তাহলে তরিৎ বাগানে চল।
23 – কালাম
فَٱنطَلَقُواۡ وَهُمْ يَتَخَٰفَتُونَ
অতঃপর তারা চললো নিম্ন স্বরে কথা বলতে বলতে।
24 – কালাম
أَن لَّا يَدْخُلَنَّهَا ٱلْيَوْمَ عَلَيْكُم مِّسْكِينٌ
অদ্য যেন তোমাদের নিকট কোন অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে।
25 – কালাম
وَغَدَوْاۡ عَلَىٰ حَرْدٍ قَٰدِرِينَ
অতঃপর তারা নিবৃত্ত করতে সক্ষম – এই বিশ্বাস নিয়ে প্রভাতকালে বাগানে যাত্রা করল।
26 – কালাম
فَلَمَّا رَأَوْهَا قَالُوٓاۡ إِنَّا لَضَآلُّونَ
অতঃপর তারা যখন বাগানের অবস্থা প্রত্যক্ষ করল, তারা বললঃ আমরাতো দিশা হারিয়ে ফেলেছি!
27 – কালাম
بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ
না, আমরাতো বঞ্চিত!
28 – কালাম
قَالَ أَوْسَطُهُمْ أَلَمْ أَقُل لَّكُمْ لَوْلَا تُسَبِّحُونَ
তাদের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বললঃ আমি কি তোমাদেরকে বলিনি? এখন তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছনা কেন?
29 – কালাম
قَالُواۡ سُبْحَٰنَ رَبِّنَآ إِنَّا كُنَّا ظَٰلِمِينَ
তখন তারা বললঃ আমরা আমাদের রবের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, আমরাতো ছিলাম সীমালংঘনকারী।
30 – কালাম
فَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ يَتَلَٰوَمُونَ
অতঃপর তারা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করতে লাগল।
31 – কালাম
قَالُواۡ يَٰوَيْلَنَآ إِنَّا كُنَّا طَٰغِينَ
তারা বললঃ হায়! দুর্ভোগ আমাদের! আমরাতো ছিলাম সীমালংঘনকারী।
32 – কালাম
عَسَىٰ رَبُّنَآ أَن يُبْدِلَنَا خَيْرًا مِّنْهَآ إِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا رَٰغِبُونَ
আমরা আশা রাখি, আমাদের রাব্ব এর পরিবর্তে আমাদেরকে দিবেন উৎকৃষ্টতর উদ্যান; আমরা আমাদের রবের অভিমুখী হলাম।
33 – কালাম
كَذَٰلِكَ ٱلْعَذَابُۖ وَلَعَذَابُ ٱلْءَاخِرَةِ أَكْبَرُۚ لَوْ كَانُواۡ يَعْلَمُونَ
শাস্তি এরূপই হয়ে থাকে এবং আখিরাতের শাস্তি কঠিনতর, যদি তারা জানত!
34 – কালাম
إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ
মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই রয়েছে ভোগ বিলাসপূর্ণ জান্নাত, তাদের রবের নিকট।
35 – কালাম
أَفَنَجْعَلُ ٱلْمُسْلِمِينَ كَٱلْمُجْرِمِينَ
আমি কি আত্মসমর্পনকারীদেরকে অপরাধীদের সদৃশ গন্য করব?
36 – কালাম
مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ
তোমাদের কি হয়েছে? তোমাদের এ কেমন সিদ্ধান্ত?
37 – কালাম
أَمْ لَكُمْ كِتَٰبٌ فِيهِ تَدْرُسُونَ
তোমাদের নিকট কি কোন কিতাব আছে যা তোমরা অধ্যয়ন কর –
38 – কালাম
إِنَّ لَكُمْ فِيهِ لَمَا تَخَيَّرُونَ
যে, তোমাদের জন্য ওতে রয়েছে যা তোমরা পছন্দ কর?
39 – কালাম
أَمْ لَكُمْ أَيْمَٰنٌ عَلَيْنَا بَٰلِغَةٌ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِۙ إِنَّ لَكُمْ لَمَا تَحْكُمُونَ
আমি কি তোমাদের সাথে কিয়ামাত পর্যন্ত বলবৎ এমন কোন প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ আছি যে, তোমরা নিজেদের জন্য যা স্থির করবে তা পাবে?
40 – কালাম
سَلْهُمْ أَيُّهُم بِذَٰلِكَ زَعِيمٌ
তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর, তাদের মধ্যে এই দাবীর যিম্মাদার কে?
41 – কালাম
أَمْ لَهُمْ شُرَكَآءُ فَلْيَأْتُواۡ بِشُرَكَآئِهِمْ إِن كَانُواۡ صَٰدِقِينَ
তাদের কি কোন শরীক আছে? থাকলে তারা তাদের শরীকদের উপস্থিত করুক, যদি তারা সত্যবাদী হয়।
42 – কালাম
يَوْمَ يُكْشَفُ عَن سَاقٍ وَيُدْعَوْنَ إِلَى ٱلسُّجُودِ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ
স্মরণ কর, গোছা পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা, সেদিন তাদেরকে আহবান করা হবে সাজদাহ করার জন্য, কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবেনা।
43 – কালাম
خَٰشِعَةً أَبْصَٰرُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌۖ وَقَدْ كَانُواۡ يُدْعَوْنَ إِلَى ٱلسُّجُودِ وَهُمْ سَٰلِمُونَ
তাদের দৃষ্টি অবনত, হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে, অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল তখনতো তাদেরকে আহবান করা হয়েছিল সাজদাহ করতে।
44 – কালাম
فَذَرْنِى وَمَن يُكَذِّبُ بِهَٰذَا ٱلْحَدِيثِۖ سَنَسْتَدْرِجُهُم مِّنْ حَيْثُ لَا يَعْلَمُونَ
যারা আমাকে এবং এই বাণীকে প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে ছেড়ে দাও আমার হাতে, আমি তাদেরকে এমনভাবে ক্রমে ক্রমে ধরব যে, তারা জানতে পারবেনা।
45 – কালাম
وَأُمْلِى لَهُمْۚ إِنَّ كَيْدِى مَتِينٌ
আর আমি তাদেরকে সময় দিয়ে থাকি, আমার কৌশল অত্যন্ত বলিষ্ঠ।
46 – কালাম
أَمْ تَسْـَٔلُهُمْ أَجْرًا فَهُم مِّن مَّغْرَمٍ مُّثْقَلُونَ
তুমি কি তাদের নিকট পারিশ্রমিক চাচ্ছ যে, তারা একে একটি দুর্বহ দন্ড মনে করে?
47 – কালাম
أَمْ عِندَهُمُ ٱلْغَيْبُ فَهُمْ يَكْتُبُونَ
তাদের কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে, তারা তা লিখে রাখে?
48 – কালাম
فَٱصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ وَلَا تَكُن كَصَاحِبِ ٱلْحُوتِ إِذْ نَادَىٰ وَهُوَ مَكْظُومٌ
অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর তোমার রবের নির্দেশের অপেক্ষায়, তুমি মৎস্য সহচরের ন্যায় অধৈর্য হয়োনা, সে বিষাদ আচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর প্রার্থনা করছিল।
49 – কালাম
لَّوْلَآ أَن تَدَٰرَكَهُۥ نِعْمَةٌ مِّن رَّبِّهِۦ لَنُبِذَ بِٱلْعَرَآءِ وَهُوَ مَذْمُومٌ
তার রবের অনুগ্রহ তার নিকট না পৌঁছলে সে লাঞ্ছিত হয়ে নিক্ষিপ্ত হত উন্মুক্ত প্রান্তরে।
50 – কালাম
فَٱجْتَبَٰهُ رَبُّهُۥ فَجَعَلَهُۥ مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ
পুনরায় তার রাব্ব তাকে মনোনীত করলেন এবং তাকে সৎ কর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করলেন।
51 – কালাম
وَإِن يَكَادُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواۡ لَيُزْلِقُونَكَ بِأَبْصَٰرِهِمْ لَمَّا سَمِعُواۡ ٱلذِّكْرَ وَيَقُولُونَ إِنَّهُۥ لَمَجْنُونٌ
কাফিরেরা যখন কুরআন শ্রবণ করে তখন তারা যেন উহাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছড়ে ফেলে দিবে এবং বলবে ‘‘এতো এক পাগল’’।
52 – কালাম
وَمَا هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَٰلَمِينَ
কুরআনতো বিশ্ব জগতের জন্য উপদেশ।

69 নং সূরা – আল-হাক্কাহ – اَلْحَاقَّة

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 52
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – হাক্কাহ
ٱلْحَآقَّةُ
সেই অবশ্যম্ভাবী ঘটনা।
02 – হাক্কাহ
مَا ٱلْحَآقَّةُ
কি সেই অবশ্যম্ভাবী ঘটনা?
03 – হাক্কাহ
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا ٱلْحَآقَّةُ
কিসে তোমাকে জানাবে সেই অবশ্যম্ভাবী ঘটনা কি?
04 – হাক্কাহ
كَذَّبَتْ ثَمُودُ وَعَادٌۢ بِٱلْقَارِعَةِ
‘‘আদ ও সামূদ’’ সম্প্রদায় অস্বীকার করেছিল মহাপ্রলয়।
05 – হাক্কাহ
فَأَمَّا ثَمُودُ فَأُهْلِكُواۡ بِٱلطَّاغِيَةِ
আর সামূদ সম্প্রদায় – তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রলয়ংকর বিপর্যয় দ্বারা।
06 – হাক্কাহ
وَأَمَّا عَادٌ فَأُهْلِكُواۡ بِرِيحٍ صَرْصَرٍ عَاتِيَةٍ
আর ‘আদ’ সম্প্রদায় – তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচন্ড ঝঞ্ঝাবায়ু দ্বারা।
07 – হাক্কাহ
سَخَّرَهَا عَلَيْهِمْ سَبْعَ لَيَالٍ وَثَمَٰنِيَةَ أَيَّامٍ حُسُومًا فَتَرَى ٱلْقَوْمَ فِيهَا صَرْعَىٰ كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ خَاوِيَةٍ
যা তিনি তাদের উপর প্রবাহিত করেছিলেন সাত রাত ও আট দিন বিরামহীনভাবে; তুমি যদি তখন উক্ত সম্প্রদায়কে দেখতে তাহলে দেখতে পেতে যে, তারা সেখানে লুটিয়ে পড়ে আছে বিক্ষিপ্ত অসার খেজুর কান্ডের ন্যায়।
08 – হাক্কাহ
فَهَلْ تَرَىٰ لَهُم مِّنۢ بَاقِيَةٍ
তুমি তাদের কোনো অস্তিত্ব দেখতে পাও কি?
09 – হাক্কাহ
وَجَآءَ فِرْعَوْنُ وَمَن قَبْلَهُۥ وَٱلْمُؤْتَفِكَٰتُ بِٱلْخَاطِئَةِ
ফির‘আউন, তার পূর্ববর্তীরা এবং লূত সম্প্রদায় পাপাচারে লিপ্ত ছিল।
10 – হাক্কাহ
فَعَصَوْاۡ رَسُولَ رَبِّهِمْ فَأَخَذَهُمْ أَخْذَةً رَّابِيَةً
তারা তাদের রবের রাসূলকে অমান্য করেছিল, ফলে তিনি তাদেরকে শাস্তি দেন, কঠোর সেই শাস্তি!
11 – হাক্কাহ
إِنَّا لَمَّا طَغَا ٱلْمَآءُ حَمَلْنَٰكُمْ فِى ٱلْجَارِيَةِ
যখন প্লাবন হয়েছিল তখন আমি তোমাদেরকে (মানব জাতিকে) আরোহণ করিয়েছিলাম নৌযানে।
12 – হাক্কাহ
لِنَجْعَلَهَا لَكُمْ تَذْكِرَةً وَتَعِيَهَآ أُذُنٌ وَٰعِيَةٌ
আমি উহা করেছিলাম তোমাদের শিক্ষার জন্য এবং এ জন্য যে, শ্রুতিধর কর্ণ ইহা সংরক্ষণ করে।
13 – হাক্কাহ
فَإِذَا نُفِخَ فِى ٱلصُّورِ نَفْخَةٌ وَٰحِدَةٌ
যখন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে, একটি মাত্র ফুৎকার,
14 – হাক্কাহ
وَحُمِلَتِ ٱلْأَرْضُ وَٱلْجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةً وَٰحِدَةً
পর্বতমালা সমেত পৃথিবী উৎক্ষিপ্ত হবে এবং একই ধাক্কায় তারা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাবে।
15 – হাক্কাহ
فَيَوْمَئِذٍ وَقَعَتِ ٱلْوَاقِعَةُ
সেদিন সংঘটিত হবে মহা প্রলয়।
16 – হাক্কাহ
وَٱنشَقَّتِ ٱلسَّمَآءُ فَهِىَ يَوْمَئِذٍ وَاهِيَةٌ
এবং আকাশ বিদীর্ণ হয়ে বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে।
17 – হাক্কাহ
وَٱلْمَلَكُ عَلَىٰٓ أَرْجَآئِهَاۚ وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَمَٰنِيَةٌ
মালাইকা/ফেরেশতারা আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে এবং সেদিন আটজন মালাইকা/ফেরেশতা তাদের রবের ‘আরশকে ধারণ করবে তাদের উর্ধ্বে।
18 – হাক্কাহ
يَوْمَئِذٍ تُعْرَضُونَ لَا تَخْفَىٰ مِنكُمْ خَافِيَةٌ
সেই দিন উপস্থিত করা হবে তোমাদেরকে এবং তোমাদের কিছুই গোপন থাকবেনা।
19 – হাক্কাহ
فَأَمَّا مَنْ أُوتِىَ كِتَٰبَهُۥ بِيَمِينِهِۦ فَيَقُولُ هَآؤُمُ ٱقْرَءُواۡ كِتَٰبِيَهْ
তখন যাকে তার ‘আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে সে বলবেঃ নাও, আমার ‘আমলনামা পাঠ করে দেখ।
20 – হাক্কাহ
إِنِّى ظَنَنتُ أَنِّى مُلَٰقٍ حِسَابِيَهْ
আমি জানতাম যে, আমাকে হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে।
21 – হাক্কাহ
فَهُوَ فِى عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ
সুতরাং সে যাপন করবে সন্তোষজনক জীবন –
22 – হাক্কাহ
فِى جَنَّةٍ عَالِيَةٍ
সুমহান জান্নাতে –
23 – হাক্কাহ
قُطُوفُهَا دَانِيَةٌ
যার ফলরাশি অবনমিত থাকবে নাগালের মধ্যে।
24 – হাক্কাহ
كُلُواۡ وَٱشْرَبُواۡ هَنِيٓـًٔۢا بِمَآ أَسْلَفْتُمْ فِى ٱلْأَيَّامِ ٱلْخَالِيَةِ
তাদেরকে বলা হবেঃ পানাহার কর তৃপ্তির সাথে, তোমরা অতীত দিনে যা করেছিলে তার বিনিময়ে।
25 – হাক্কাহ
وَأَمَّا مَنْ أُوتِىَ كِتَٰبَهُۥ بِشِمَالِهِۦ فَيَقُولُ يَٰلَيْتَنِى لَمْ أُوتَ كِتَٰبِيَهْ
কিন্তু যার ‘আমলনামা তার বাম হস্তে দেয়া হবে সে বলবেঃ ‘হায়! আমাকে যদি দেয়াই না হত আমার ‘আমলনামা!
26 – হাক্কাহ
وَلَمْ أَدْرِ مَا حِسَابِيَهْ
এবং আমি যদি না জানতাম আমার হিসাব!
27 – হাক্কাহ
يَٰلَيْتَهَا كَانَتِ ٱلْقَاضِيَةَ
হায়! আমার মৃত্যুই যদি আমার শেষ হত!
28 – হাক্কাহ
مَآ أَغْنَىٰ عَنِّى مَالِيَهْۜ
আমার ধনসম্পদ আমার কোন কাজেই এলোনা।
29 – হাক্কাহ
هَلَكَ عَنِّى سُلْطَٰنِيَهْ
আমার ক্ষমতাও অপসৃত হয়েছে।
30 – হাক্কাহ
خُذُوهُ فَغُلُّوهُ
মালাইকা/ফেরেশতাদেরকে বলা হবেঃ ধর ওকে, গলদেশে বেড়ি পরিয়ে দাও।
31 – হাক্কাহ
ثُمَّ ٱلْجَحِيمَ صَلُّوهُ
অতঃপর নিক্ষেপ কর জাহান্নামে।
32 – হাক্কাহ
ثُمَّ فِى سِلْسِلَةٍ ذَرْعُهَا سَبْعُونَ ذِرَاعًا فَٱسْلُكُوهُ
পুনরায় তাকে শৃংখলিত কর সত্তর হাত দীর্ঘ এক শৃংখলে।
33 – হাক্কাহ
إِنَّهُۥ كَانَ لَا يُؤْمِنُ بِٱللَّهِ ٱلْعَظِيمِ
সে মহান আল্লাহয় বিশ্বাসী ছিলনা।
34 – হাক্কাহ
وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلْمِسْكِينِ
এবং অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহিত করতনা।
35 – হাক্কাহ
فَلَيْسَ لَهُ ٱلْيَوْمَ هَٰهُنَا حَمِيمٌ
অতএব সেদিন সেখানে তার কোন সুহৃদ থাকবেনা।
36 – হাক্কাহ
وَلَا طَعَامٌ إِلَّا مِنْ غِسْلِينٍ
এবং কোন খাদ্য থাকবেনা, ক্ষতনিঃসৃত স্রাব ব্যতীত।
37 – হাক্কাহ
لَّا يَأْكُلُهُۥٓ إِلَّا ٱلْخَٰطِـُٔونَ
যা অপরাধী ব্যতীত কেহ খাবেনা।
38 – হাক্কাহ
فَلَآ أُقْسِمُ بِمَا تُبْصِرُونَ
আমি কসম করছি উহার যা তোমরা দেখতে পাও।
39 – হাক্কাহ
وَمَا لَا تُبْصِرُونَ
এবং যা তোমরা দেখতে পাওনা –
40 – হাক্কাহ
إِنَّهُۥ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ
নিশ্চয়ই এই কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের বাহিত বার্তা।
41 – হাক্কাহ
وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَاعِرٍۚ قَلِيلًا مَّا تُؤْمِنُونَ
ইহা কোন কবির রচনা নয়; তোমরা অল্পই বিশ্বাস কর।
42 – হাক্কাহ
وَلَا بِقَوْلِ كَاهِنٍۚ قَلِيلًا مَّا تَذَكَّرُونَ
ইহা কোন গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই অনুধাবন কর।
43 – হাক্কাহ
تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
ইহা জগতসমূহের রবের নিকট হতে অবতীর্ণ।
44 – হাক্কাহ
وَلَوْ تَقَوَّلَ عَلَيْنَا بَعْضَ ٱلْأَقَاوِيلِ
সে যদি আমার নামে কিছু রচনা করে চালাতে চেষ্টা করত –
45 – হাক্কাহ
لَأَخَذْنَا مِنْهُ بِٱلْيَمِينِ
আমি অবশ্যই তার ডান হাত ধরে ফেলতাম।
46 – হাক্কাহ
ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ ٱلْوَتِينَ
এবং কেটে দিতাম তার জীবন-ধমনী।
47 – হাক্কাহ
فَمَا مِنكُم مِّنْ أَحَدٍ عَنْهُ حَٰجِزِينَ
অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেহ নেই যে, তাকে রক্ষা করতে পারবে।
48 – হাক্কাহ
وَإِنَّهُۥ لَتَذْكِرَةٌ لِّلْمُتَّقِينَ
এই কুরআন মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই এক উপদেশ।
49 – হাক্কাহ
وَإِنَّا لَنَعْلَمُ أَنَّ مِنكُم مُّكَذِّبِينَ
আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে মিথ্যা আরোপকারী রয়েছে।
50 – হাক্কাহ
وَإِنَّهُۥ لَحَسْرَةٌ عَلَى ٱلْكَٰفِرِينَ
এবং এই কুরআন নিশ্চয়ই কাফিরদের অনুশোচনার কারণ হবে।
51 – হাক্কাহ
وَإِنَّهُۥ لَحَقُّ ٱلْيَقِينِ
অবশ্যই এটা নিশ্চিত সত্য।
52 – হাক্কাহ
فَسَبِّحْ بِٱسْمِ رَبِّكَ ٱلْعَظِيمِ
অতএব তুমি মহান রবের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।

70 নং সূরা – আল-মা’আরিজ – اَلْمَعَارِج

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 44
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – মা’আরিজ
سَأَلَ سَآئِلٌۢ بِعَذَابٍ وَاقِعٍ
এক ব্যক্তি চাইল সংঘটিত হোক শাস্তি যা অবধারিত –
02 – মা’আরিজ
لِّلْكَٰفِرِينَ لَيْسَ لَهُۥ دَافِعٌ
কাফিরদের জন্য, ইহা প্রতিরোধ করার কেহ নেই।
03 – মা’আরিজ
مِّنَ ٱللَّهِ ذِى ٱلْمَعَارِجِ
ইহা আসবে আল্লাহর নিকট হতে যিনি সমুচ্চ মর্যাদার অধিকারী।
04 – মা’আরিজ
تَعْرُجُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ إِلَيْهِ فِى يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُۥ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ
মালাইকা/ফেরেশতা এবং রূহ আল্লাহর দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যা পার্থিব পঞ্চাশ হাজার বৎসরের সমান।
05 – মা’আরিজ
فَٱصْبِرْ صَبْرًا جَمِيلًا
সুতরাং তুমি ধৈর্য ধারণ কর, পরম ধৈর্য।
06 – মা’আরিজ
إِنَّهُمْ يَرَوْنَهُۥ بَعِيدًا
তারা ঐ দিনকে মনে করে সুদূর।
07 – মা’আরিজ
وَنَرَىٰهُ قَرِيبًا
কিন্তু আমি দেখছি ইহা আসন্ন।
08 – মা’আরিজ
يَوْمَ تَكُونُ ٱلسَّمَآءُ كَٱلْمُهْلِ
সেদিন আকাশ হবে গলিত ধাতুর মত।
09 – মা’আরিজ
وَتَكُونُ ٱلْجِبَالُ كَٱلْعِهْنِ
এবং পর্বতসমূহ হবে রঙ্গীন পশমের মত।
10 – মা’আরিজ
وَلَا يَسْـَٔلُ حَمِيمٌ حَمِيمًا
এবং সুহৃদ সুহৃদের খোঁজ খবর নিবেনা।
11 – মা’আরিজ
يُبَصَّرُونَهُمْۚ يَوَدُّ ٱلْمُجْرِمُ لَوْ يَفْتَدِى مِنْ عَذَابِ يَوْمِئِذٍۭ بِبَنِيهِ
তাদেরকে করা হবে একে অপরের দৃষ্টিগোচর। অপরাধী সেদিনের শাস্তির বদলে দিতে চাবে তার সন্তান-সন্ততিকে,
12 – মা’আরিজ
وَصَٰحِبَتِهِۦ وَأَخِيهِ
তার স্ত্রী ও ভাইকে,
13 – মা’আরিজ
وَفَصِيلَتِهِ ٱلَّتِى تُـْٔوِيهِ
তার জ্ঞাতি গোষ্ঠিকে যারা তাকে আশ্রয় দিত –
14 – মা’আরিজ
وَمَن فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ يُنجِيهِ
এবং পৃথিবীর সকলকে, যাতে এই মুক্তিপণ তাকে মুক্তি দেয়।
15 – মা’আরিজ
كَلَّآۖ إِنَّهَا لَظَىٰ
না, কখনই নয়, ইহাতো লেলিহান অগ্নি –
16 – মা’আরিজ
نَزَّاعَةً لِّلشَّوَىٰ
যা গাত্র হতে চামড়া খসিয়ে দিবে।
17 – মা’আরিজ
تَدْعُواۡ مَنْ أَدْبَرَ وَتَوَلَّىٰ
জাহান্নাম সেই ব্যক্তিকে ডাকবে, যে সত্যের প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিল ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল –
18 – মা’আরিজ
وَجَمَعَ فَأَوْعَىٰٓ
যে সম্পদ পুঞ্জীভুত এবং সংরক্ষিত করে রাখছিল।
19 – মা’আরিজ
إِنَّ ٱلْإِنسَٰنَ خُلِقَ هَلُوعًا
মানুষতো সৃষ্টি হয়েছে অতিশয় অস্থির চিত্ত রূপে।
20 – মা’আরিজ
إِذَا مَسَّهُ ٱلشَّرُّ جَزُوعًا
যখন বিপদ তাকে স্পর্শ করে সে হয় হা হুতাশকারী।
21 – মা’আরিজ
وَإِذَا مَسَّهُ ٱلْخَيْرُ مَنُوعًا
আর যখন কল্যাণ তাকে স্পর্শ করে তখন সে হয় অতি কৃপণ।
22 – মা’আরিজ
إِلَّا ٱلْمُصَلِّينَ
তবে সালাত আদায়কারী ব্যতীত।
23 – মা’আরিজ
ٱلَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَاتِهِمْ دَآئِمُونَ
যারা তাদের সালাতে সদা নিষ্ঠাবান।
24 – মা’আরিজ
وَٱلَّذِينَ فِىٓ أَمْوَٰلِهِمْ حَقٌّ مَّعْلُومٌ
আর যাদের সম্পদের নির্ধারিত হক রয়েছে –
25 – মা’আরিজ
لِّلسَّآئِلِ وَٱلْمَحْرُومِ
প্রার্থী ও বঞ্চিতের।
26 – মা’আরিজ
وَٱلَّذِينَ يُصَدِّقُونَ بِيَوْمِ ٱلدِّينِ
এবং যারা কর্মফল দিনকে সত্য বলে জানে।
27 – মা’আরিজ
وَٱلَّذِينَ هُم مِّنْ عَذَابِ رَبِّهِم مُّشْفِقُونَ
আর যারা তাদের রবের শাস্তি সম্পর্কে ভীত সন্ত্রস্ত,
28 – মা’আরিজ
إِنَّ عَذَابَ رَبِّهِمْ غَيْرُ مَأْمُونٍ
নিশ্চয়ই তাদের রবের শাস্তি হতে নিঃশঙ্ক থাকা যায়না –
29 – মা’আরিজ
وَٱلَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَٰفِظُونَ
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।
30 – মা’আরিজ
إِلَّا عَلَىٰٓ أَزْوَٰجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ
তাদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্র ব্যতীত, এতে তারা নিন্দনীয় হবেনা –
31 – মা’আরিজ
فَمَنِ ٱبْتَغَىٰ وَرَآءَ ذَٰلِكَ فَأُوۡلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْعَادُونَ
তবে কেহ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা হবে সীমালংঘনকারী।
32 – মা’আরিজ
وَٱلَّذِينَ هُمْ لِأَمَٰنَٰتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَٰعُونَ
এবং যারা আমানাত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।
33 – মা’আরিজ
وَٱلَّذِينَ هُم بِشَهَٰدَٰتِهِمْ قَآئِمُونَ
আর যারা তাদের সাক্ষ্য দানে অটল,
34 – মা’আরিজ
وَٱلَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ
এবং নিজেদের সালাতে যত্নবান –
35 – মা’আরিজ
أُوۡلَٰٓئِكَ فِى جَنَّٰتٍ مُّكْرَمُونَ
তারাই সম্মানিত হবে জান্নাতে।
36 – মা’আরিজ
فَمَالِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواۡ قِبَلَكَ مُهْطِعِينَ
কাফিরদের হল কি যে, ওরা তোমার দিকে ছুটে আসছে –
37 – মা’আরিজ
عَنِ ٱلْيَمِينِ وَعَنِ ٱلشِّمَالِ عِزِينَ
ডান ও বাম দিক হতে দলে দলে?
38 – মা’আরিজ
أَيَطْمَعُ كُلُّ ٱمْرِئٍ مِّنْهُمْ أَن يُدْخَلَ جَنَّةَ نَعِيمٍ
তাদের প্রত্যেকে কি এই প্রত্যাশা করে যে, তাকে দাখিল করা হবে প্রাচুর্যময় জান্নাতে?
39 – মা’আরিজ
كَلَّآۖ إِنَّا خَلَقْنَٰهُم مِّمَّا يَعْلَمُونَ
না তা হবেনা, আমি তাদেরকে যা হতে সৃষ্টি করেছি তা তারা জানে।
40 – মা’আরিজ
فَلَآ أُقْسِمُ بِرَبِّ ٱلْمَشَٰرِقِ وَٱلْمَغَٰرِبِ إِنَّا لَقَٰدِرُونَ
আমি শপথ করছি উদয়াচল ও অস্তাচলের অধিপতির! নিশ্চয়ই আমি সক্ষম –
41 – মা’আরিজ
عَلَىٰٓ أَن نُّبَدِّلَ خَيْرًا مِّنْهُمْ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ
তাদের অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর মানবগোষ্ঠী তাদের স্থলবর্তী করতে; এবং আমি অক্ষম নই।
42 – মা’আরিজ
فَذَرْهُمْ يَخُوضُواۡ وَيَلْعَبُواۡ حَتَّىٰ يُلَٰقُواۡ يَوْمَهُمُ ٱلَّذِى يُوعَدُونَ
অতএব তাদেরকে বাক-বিতন্ডা ও ক্রীড়া কৌতুকে মত্ত থাকতে দাও, যে দিন সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল তার সম্মুখীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত।
43 – মা’আরিজ
يَوْمَ يَخْرُجُونَ مِنَ ٱلْأَجْدَاثِ سِرَاعًا كَأَنَّهُمْ إِلَىٰ نُصُبٍ يُوفِضُونَ
সেদিন তারা কাবর হতে বের হবে দ্রুত বেগে। মনে হবে তারা কোন একটি লক্ষ্যস্থলের দিকে ধাবিত হচ্ছে –
44 – মা’আরিজ
خَٰشِعَةً أَبْصَٰرُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌۚ ذَٰلِكَ ٱلْيَوْمُ ٱلَّذِى كَانُواۡ يُوعَدُونَ
অবনত নেত্রে; হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে; এটাই সেদিন, যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল তাদেরকে।

71 নং সূরা – নূহ – نُوح

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 28
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – নূহ
إِنَّآ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَىٰ قَوْمِهِۦٓ أَنْ أَنذِرْ قَوْمَكَ مِن قَبْلِ أَن يَأْتِيَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
নূহকে আমি প্রেরণ করেছিলাম তার সম্প্রদায়ের প্রতি এই নির্দেশসহঃ তুমি তোমার সম্প্রদায়কে সতর্ক কর তাদের প্রতি শাস্তি আসার পূর্বে।
02 – নূহ
قَالَ يَٰقَوْمِ إِنِّى لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
সে বলেছিলঃ হে আমার সম্প্রদায়! আমিতো তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী –
03 – নূহ
أَنِ ٱعْبُدُواۡ ٱللَّهَ وَٱتَّقُوهُ وَأَطِيعُونِ
এ বিষয়ে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর, তাঁকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
04 – নূহ
يَغْفِرْ لَكُم مِّن ذُنُوبِكُمْ وَيُؤَخِّرْكُمْ إِلَىٰٓ أَجَلٍ مُّسَمًّىۚ إِنَّ أَجَلَ ٱللَّهِ إِذَا جَآءَ لَا يُؤَخَّرُۖ لَوْ كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
তিনি তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে অবকাশ দিবেন এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত; নিশ্চয়ই আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত কাল উপস্থিত হলে উহা বিলম্বিত হয়না; যদি তোমরা এটা জানতে।
05 – নূহ
قَالَ رَبِّ إِنِّى دَعَوْتُ قَوْمِى لَيْلًا وَنَهَارًا
সে বলেছিলঃ হে আমার রাব্ব! আমিতো আমার সম্প্রদায়কে দিন-রাত আহবান করছি।
06 – নূহ
فَلَمْ يَزِدْهُمْ دُعَآءِىٓ إِلَّا فِرَارًا
কিন্তু আমার আহবান তাদের পলায়ন প্রবণতাই বৃদ্ধি করছে।
07 – নূহ
وَإِنِّى كُلَّمَا دَعَوْتُهُمْ لِتَغْفِرَ لَهُمْ جَعَلُوٓاۡ أَصَٰبِعَهُمْ فِىٓ ءَاذَانِهِمْ وَٱسْتَغْشَوْاۡ ثِيَابَهُمْ وَأَصَرُّواۡ وَٱسْتَكْبَرُواۡ ٱسْتِكْبَارًا
আমি যখন তাদের আহবান করি যাতে তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর, তারা কানে অংগুলি দেয়, নিজেদেরকে বস্ত্রাবৃত করে ও জিদ করতে থাকে এবং অতিশয় ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে।
08 – নূহ
ثُمَّ إِنِّى دَعَوْتُهُمْ جِهَارًا
অতঃপর আমি তাদের আহবান করেছি প্রকাশ্যে।
09 – নূহ
ثُمَّ إِنِّىٓ أَعْلَنتُ لَهُمْ وَأَسْرَرْتُ لَهُمْ إِسْرَارًا
পরে আমি সোচ্চার প্রচার করেছি ও উপদেশ দিয়েছি গোপনে।
10 – নূহ
فَقُلْتُ ٱسْتَغْفِرُواۡ رَبَّكُمْ إِنَّهُۥ كَانَ غَفَّارًا
বলেছিঃ তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, তিনিতো মহা ক্ষমাশীল।
11 – নূহ
يُرْسِلِ ٱلسَّمَآءَ عَلَيْكُم مِّدْرَارًا
তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটাবেন।
12 – নূহ
وَيُمْدِدْكُم بِأَمْوَٰلٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّٰتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَٰرًا
তিনি তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা।
13 – নূহ
مَّا لَكُمْ لَا تَرْجُونَ لِلَّهِ وَقَارًا
তোমাদের কি হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করতে চাচ্ছনা?
14 – নূহ
وَقَدْ خَلَقَكُمْ أَطْوَارًا
অথচ তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন পর্যায়ক্রমে।
15 – নূহ
أَلَمْ تَرَوْاۡ كَيْفَ خَلَقَ ٱللَّهُ سَبْعَ سَمَٰوَٰتٍ طِبَاقًا
তোমরা কি লক্ষ্য করনা আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে?
16 – নূহ
وَجَعَلَ ٱلْقَمَرَ فِيهِنَّ نُورًا وَجَعَلَ ٱلشَّمْسَ سِرَاجًا
এবং সেখানে চাঁদকে স্থাপন করেছেন আলোক রূপে ও সূর্যকে স্থাপন করেছেন প্রদীপ রূপে;
17 – নূহ
وَٱللَّهُ أَنۢبَتَكُم مِّنَ ٱلْأَرْضِ نَبَاتًا
তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা হতে।
18 – নূহ
ثُمَّ يُعِيدُكُمْ فِيهَا وَيُخْرِجُكُمْ إِخْرَاجًا
অতঃপর তাতে তিনি তোমাদের প্রত্যাবৃত্ত করবেন ও পরে পুনরুত্থিত করবেন।
19 – নূহ
وَٱللَّهُ جَعَلَ لَكُمُ ٱلْأَرْضَ بِسَاطًا
এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য ভূমিকে করেছেন বিস্তৃত –
20 – নূহ
لِّتَسْلُكُواۡ مِنْهَا سُبُلًا فِجَاجًا
যাতে তোমরা চলাফিরা করতে পার প্রশস্ত পথে।
21 – নূহ
قَالَ نُوحٌ رَّبِّ إِنَّهُمْ عَصَوْنِى وَٱتَّبَعُواۡ مَن لَّمْ يَزِدْهُ مَالُهُۥ وَوَلَدُهُۥٓ إِلَّا خَسَارًا
নূহ বলেছিলঃ হে আমার রাব্ব! আমার সম্প্রদায়তো আমাকে অমান্য করছে এবং অনুসরণ করছে এমন লোকের যার ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তার ক্ষতি ব্যতীত আর কিছুই বৃদ্ধি করেনি।
22 – নূহ
وَمَكَرُواۡ مَكْرًا كُبَّارًا
তারা ভয়ানক ষড়যন্ত্র করেছিল।
23 – নূহ
وَقَالُواۡ لَا تَذَرُنَّ ءَالِهَتَكُمْ وَلَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَلَا سُوَاعًا وَلَا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسْرًا
এবং বলেছিলঃ তোমরা কখনও পরিত্যাগ করনা তোমাদের দেব-দেবীকে; পরিত্যাগ করনা ওয়াদ, সুওয়া, আগুছ, আউক ও নাসরকে।
24 – নূহ
وَقَدْ أَضَلُّواۡ كَثِيرًاۖ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا ضَلَٰلًا
তারা অনেককে বিভ্রান্ত করছে; সুতরাং যালিমদের বিভ্রান্তি ব্যতীত আর কিছুই বৃদ্ধি করেনা।
25 – নূহ
مِّمَّا خَطِيٓـَٰٔتِهِمْ أُغْرِقُواۡ فَأُدْخِلُواۡ نَارًا فَلَمْ يَجِدُواۡ لَهُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ أَنصَارًا
তাদের অপরাধের জন্য তাদেরকে নিমজ্জিত করা হয়েছিল এবং পরে তাদেরকে দাখিল করা হয়েছিল আগুনে, অতঃপর তারা কেহকেও আল্লাহর মুকাবিলায় পায়নি সাহায্যকারী।
26 – নূহ
وَقَالَ نُوحٌ رَّبِّ لَا تَذَرْ عَلَى ٱلْأَرْضِ مِنَ ٱلْكَٰفِرِينَ دَيَّارًا
নূহ আরও বলেছিলঃ হে আমার রাব্ব! পৃথিবীতে কাফিরদের মধ্য হতে কোন গৃহবাসীকে অব্যাহতি দিওনা।
27 – নূহ
إِنَّكَ إِن تَذَرْهُمْ يُضِلُّواۡ عِبَادَكَ وَلَا يَلِدُوٓاۡ إِلَّا فَاجِرًا كَفَّارًا
তুমি তাদেরকে অব্যাহতি দিলে তারা তোমার বান্দাদেরকে বিভ্রান্ত করবে এবং জন্ম দিতে থাকবে কেবল দুস্কৃতিকারী ও কাফির।
28 – নূহ
رَّبِّ ٱغْفِرْ لِى وَلِوَٰلِدَىَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيْتِىَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَٱلْمُؤْمِنَٰتِ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارًۢا
হে আমার রাব্ব! তুমি ক্ষমা কর আমাকে, আমার মাতা-পিতাকে এবং যারা মু’মিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে তাদেরকে এবং মু’মিন পুরুষ ও মু’মিনা নারীদেরকে; আর যালিমদের শুধু ধ্বংসই বৃদ্ধি কর।

72 নং সূরা – আল-জিন – اَلْجِنِّ

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 28
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – জিন
قُلْ أُوحِىَ إِلَىَّ أَنَّهُ ٱسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ ٱلْجِنِّ فَقَالُوٓاۡ إِنَّا سَمِعْنَا قُرْءَانًا عَجَبًا
বলঃ আমার প্রতি অহী প্রেরিত হয়েছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছে এবং বলেছে, আমরাতো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি –
02 – জিন
يَهْدِىٓ إِلَى ٱلرُّشْدِ فَـَٔامَنَّا بِهِۦۖ وَلَن نُّشْرِكَ بِرَبِّنَآ أَحَدًا
যা সঠিক পথ নির্দেশ করে; ফলে আমরা এতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনও আমাদের রবের সাথে কোন শরীক স্থির করবনা।
03 – জিন
وَأَنَّهُۥ تَعَٰلَىٰ جَدُّ رَبِّنَا مَا ٱتَّخَذَ صَٰحِبَةً وَلَا وَلَدًا
এবং নিশ্চয়ই সমুচ্চ আমাদের রবের মর্যাদা; তিনি গ্রহণ করেননি কোন পত্নী এবং না কোন সন্তান।
04 – জিন
وَأَنَّهُۥ كَانَ يَقُولُ سَفِيهُنَا عَلَى ٱللَّهِ شَطَطًا
এবং আমাদের মধ্যকার নির্বোধরা আল্লাহ সম্বন্ধে অতি অবাস্তব উক্তি করত।
05 – জিন
وَأَنَّا ظَنَنَّآ أَن لَّن تَقُولَ ٱلْإِنسُ وَٱلْجِنُّ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا
অথচ আমরা মনে করতাম মানুষ এবং জিন, আল্লাহ সম্বন্ধে কখনও মিথ্যা আরোপ করবেনা।
06 – জিন
وَأَنَّهُۥ كَانَ رِجَالٌ مِّنَ ٱلْإِنسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِّنَ ٱلْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا
আর যে কতিপয় মানুষ কতক জিনের স্মরণ নিত, ফলে তারা জিনদের আত্মম্ভরিতা বাড়িয়ে দিত।
07 – জিন
وَأَنَّهُمْ ظَنُّواۡ كَمَا ظَنَنتُمْ أَن لَّن يَبْعَثَ ٱللَّهُ أَحَدًا
আর জিনরা বলেছিলঃ তোমাদের মত মানুষও মনে করে যে, মৃত্যুর পর আল্লাহ কেহকেও পুনরুত্থিত করবেননা।
08 – জিন
وَأَنَّا لَمَسْنَا ٱلسَّمَآءَ فَوَجَدْنَٰهَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِيدًا وَشُهُبًا
এবং আমরা চেয়েছিলাম আকাশের তথ্য সংগ্রহ করতে। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ।
09 – জিন
وَأَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَٰعِدَ لِلسَّمْعِۖ فَمَن يَسْتَمِعِ ٱلْءَانَ يَجِدْ لَهُۥ شِهَابًا رَّصَدًا
আর পূর্বে আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শোনার জন্য বসতাম। কিন্তু এখন কেহ সংবাদ শুনতে চাইলে সে তার উপর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডের সম্মুখীন হয়।
10 – জিন
وَأَنَّا لَا نَدْرِىٓ أَشَرٌّ أُرِيدَ بِمَن فِى ٱلْأَرْضِ أَمْ أَرَادَ بِهِمْ رَبُّهُمْ رَشَدًا
আমরা জানিনা, জগতবাসীর অমংগলই অভিপ্রেত, না কি তাদের রাব্ব তাদের মংগল করার ইচ্ছা রাখেন।
11 – জিন
وَأَنَّا مِنَّا ٱلصَّٰلِحُونَ وَمِنَّا دُونَ ذَٰلِكَۖ كُنَّا طَرَآئِقَ قِدَدًا
এবং আমাদের কতক সৎ কর্মপরায়ণ এবং কতক এর ব্যতিক্রম, আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথের অনুসারী;
12 – জিন
وَأَنَّا ظَنَنَّآ أَن لَّن نُّعْجِزَ ٱللَّهَ فِى ٱلْأَرْضِ وَلَن نُّعْجِزَهُۥ هَرَبًا
এখন আমরা বুঝেছি যে, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহকে পরাভূত করতে পারবনা এবং পলায়ন করেও তাঁকে ব্যর্থ করতে পারবনা।
13 – জিন
وَأَنَّا لَمَّا سَمِعْنَا ٱلْهُدَىٰٓ ءَامَنَّا بِهِۦۖ فَمَن يُؤْمِنۢ بِرَبِّهِۦ فَلَا يَخَافُ بَخْسًا وَلَا رَهَقًا
আমরা যখন পথ নির্দেশক বাণী শুনলাম তখন তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। যে ব্যক্তি তার রবের প্রতি ঈমান আনে তার কোন ক্ষতি কিংবা জোর জবরদস্তির আশংকা থাকবেনা।
14 – জিন
وَأَنَّا مِنَّا ٱلْمُسْلِمُونَ وَمِنَّا ٱلْقَٰسِطُونَۖ فَمَنْ أَسْلَمَ فَأُوۡلَٰٓئِكَ تَحَرَّوْاۡ رَشَدًا
আমাদের কতক আত্মসমপর্ণকারী এবং কতক সীমা লংঘনকারী; যারা আত্মসমর্পণ করে তারা সুচিন্তিতভাবে সত্য পথ বেছে নেয়।
15 – জিন
وَأَمَّا ٱلْقَٰسِطُونَ فَكَانُواۡ لِجَهَنَّمَ حَطَبًا
অপর পক্ষে সীমা লংঘনকারীতো জাহান্নামেরই ইন্ধন।
16 – জিন
وَأَلَّوِ ٱسْتَقَٰمُواۡ عَلَى ٱلطَّرِيقَةِ لَأَسْقَيْنَٰهُم مَّآءً غَدَقًا
তারা যদি সত্য পথে প্রতিষ্ঠিত থাকত, তাদেরকে আমি প্রচুর বারি বর্ষণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করতাম –
17 – জিন
لِّنَفْتِنَهُمْ فِيهِۚ وَمَن يُعْرِضْ عَن ذِكْرِ رَبِّهِۦ يَسْلُكْهُ عَذَابًا صَعَدًا
যদ্বারা আমি তাদেরকে পরীক্ষা করতাম। যে ব্যক্তি তার রবের স্মরণ হতে বিমুখ হয় তিনি তাকে দুঃসহ শাস্তিতে প্রবেশ করাবেন।
18 – জিন
وَأَنَّ ٱلْمَسَٰجِدَ لِلَّهِ فَلَا تَدْعُواۡ مَعَ ٱللَّهِ أَحَدًا
এবং এই যে মাসজিদসমূহ, আল্লাহরই জন্য। সুতরাং আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কেহকেও ডেকনা।
19 – জিন
وَأَنَّهُۥ لَمَّا قَامَ عَبْدُ ٱللَّهِ يَدْعُوهُ كَادُواۡ يَكُونُونَ عَلَيْهِ لِبَدًا
আর এই যে, যখন আল্লাহর বান্দা তাঁকে ডাকার জন্য দন্ডায়মান হল তখন তারা তার নিকট ভিড় জমালো।
20 – জিন
قُلْ إِنَّمَآ أَدْعُواۡ رَبِّى وَلَآ أُشْرِكُ بِهِۦٓ أَحَدًا
বলঃ আমি আমার রাব্বকে ডাকি এবং তাঁর সাথে কেহকে শরীক করিনা।
21 – জিন
قُلْ إِنِّى لَآ أَمْلِكُ لَكُمْ ضَرًّا وَلَا رَشَدًا
বলঃ আমি তোমাদের মঙ্গল-অমঙ্গলের মালিক নই।
22 – জিন
قُلْ إِنِّى لَن يُجِيرَنِى مِنَ ٱللَّهِ أَحَدٌ وَلَنْ أَجِدَ مِن دُونِهِۦ مُلْتَحَدًا
বলঃ আল্লাহর শাস্তি হতে কেহ আমাকে রক্ষা করতে পারবেনা এবং আল্লাহ ব্যতীত আমি কোন আশ্রয় পাবনা।
23 – জিন
إِلَّا بَلَٰغًا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِسَٰلَٰتِهِۦۚ وَمَن يَعْصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَإِنَّ لَهُۥ نَارَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًا
কেবল আল্লাহর বাণী পৌঁছানো এবং তা প্রচার করাই আমার কাজ। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে।
24 – জিন
حَتَّىٰٓ إِذَا رَأَوْاۡ مَا يُوعَدُونَ فَسَيَعْلَمُونَ مَنْ أَضْعَفُ نَاصِرًا وَأَقَلُّ عَدَدًا
যখন তারা প্রতিশ্রুতি প্রত্যক্ষ করবে তখন তারা বুঝতে পারবে, কে সাহায্যকারীর দিক দিয়ে দুর্বল এবং কে সংখ্যায় স্বল্প।
25 – জিন
قُلْ إِنْ أَدْرِىٓ أَقَرِيبٌ مَّا تُوعَدُونَ أَمْ يَجْعَلُ لَهُۥ رَبِّىٓ أَمَدًا
বলঃ আমি জানিনা তোমাদেরকে যে শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা কি আসন্ন, না কি আমার রাব্ব এর জন্য কোন দীর্ঘ মেয়াদ স্থির করবেন?
26 – জিন
عَٰلِمُ ٱلْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَىٰ غَيْبِهِۦٓ أَحَدًا
তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারও নিকট প্রকাশ করেননা –
27 – জিন
إِلَّا مَنِ ٱرْتَضَىٰ مِن رَّسُولٍ فَإِنَّهُۥ يَسْلُكُ مِنۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِۦ رَصَدًا
তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত। সেক্ষেত্রে আল্লাহ রাসূলের অগ্রে এবং পশ্চাতে প্রহরী নিয়োজিত করেন,
28 – জিন
لِّيَعْلَمَ أَن قَدْ أَبْلَغُواۡ رِسَٰلَٰتِ رَبِّهِمْ وَأَحَاطَ بِمَا لَدَيْهِمْ وَأَحْصَىٰ كُلَّ شَىْءٍ عَدَدًۢا
রাসূলগণ তাদের রবের বাণী পৌঁছে দিয়েছেন কি না জানার জন্য। রাসূলগণের নিকট যা আছে তা তাঁর জ্ঞান গোচর এবং তিনি সমস্ত কিছুর বিস্তারিত হিসাব রাখেন।

73 নং সূরা – আল-মুযযামমিল – اَلْمُزَّمِّل

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 20
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – মুযযামমিল
يَٰٓأَيُّهَا ٱلْمُزَّمِّلُ
হে বস্ত্রাবৃত!
02 – মুযযামমিল
قُمِ ٱلَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا
রাত জাগরণ কর কিছু অংশ ব্যতীত।
03 – মুযযামমিল
نِّصْفَهُۥٓ أَوِ ٱنقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا
অর্ধ রাত কিংবা তদপেক্ষা কিছু কম।
04 – মুযযামমিল
أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ ٱلْقُرْءَانَ تَرْتِيلًا
অথবা তদপেক্ষা বেশী। আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে।
05 – মুযযামমিল
إِنَّا سَنُلْقِى عَلَيْكَ قَوْلًا ثَقِيلًا
আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী।
06 – মুযযামমিল
إِنَّ نَاشِئَةَ ٱلَّيْلِ هِىَ أَشَدُّ وَطْـًٔا وَأَقْوَمُ قِيلًا
নিশ্চয়ই রাতে জাগরণ ইবাদাতের জন্য গভীর মনোনিবেশ, হৃদয়ঙ্গম এবং স্পষ্ট উচ্চারণে অনুকূল।
07 – মুযযামমিল
إِنَّ لَكَ فِى ٱلنَّهَارِ سَبْحًا طَوِيلًا
দিনে তোমার জন্য রয়েছে দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।
08 – মুযযামমিল
وَٱذْكُرِ ٱسْمَ رَبِّكَ وَتَبَتَّلْ إِلَيْهِ تَبْتِيلًا
সুতরাং তুমি তোমার রবের নাম স্মরণ কর এবং একনিষ্ঠভাবে তাতে মগ্ন হও।
09 – মুযযামমিল
رَّبُّ ٱلْمَشْرِقِ وَٱلْمَغْرِبِ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ فَٱتَّخِذْهُ وَكِيلًا
তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের রাব্ব, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই; অতএব তাঁকেই কর্ম-বিধায়ক রূপে গ্রহণ কর।
10 – মুযযামমিল
وَٱصْبِرْ عَلَىٰ مَا يَقُولُونَ وَٱهْجُرْهُمْ هَجْرًا جَمِيلًا
লোকে যা বলে, তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং সৌজন্য সহকারে উহাদেরকে পরিহার করে চল।
11 – মুযযামমিল
وَذَرْنِى وَٱلْمُكَذِّبِينَ أُوۡلِى ٱلنَّعْمَةِ وَمَهِّلْهُمْ قَلِيلًا
ছেড়ে দাও আমাকে এবং বিলাস সামগ্রীর অধিকারী সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদেরকে; আর কিছু কালের জন্য তাদেরকে অবকাশ দাও।
12 – মুযযামমিল
إِنَّ لَدَيْنَآ أَنكَالًا وَجَحِيمًا
আমার নিকট আছে শৃংখল প্রজ্জ্বলিত আগুন।
13 – মুযযামমিল
وَطَعَامًا ذَا غُصَّةٍ وَعَذَابًا أَلِيمًا
আর আছে এমন খাদ্য যা গলায় আটকে যায় এবং মর্মন্তদ শাস্তি।
14 – মুযযামমিল
يَوْمَ تَرْجُفُ ٱلْأَرْضُ وَٱلْجِبَالُ وَكَانَتِ ٱلْجِبَالُ كَثِيبًا مَّهِيلًا
সেই দিনে পৃথিবী ও পর্বতমালা প্রকম্পিত হবে এবং পর্বতসমূহ বহমান বালুকারাশিতে পরিণত হবে।
15 – মুযযামমিল
إِنَّآ أَرْسَلْنَآ إِلَيْكُمْ رَسُولًا شَٰهِدًا عَلَيْكُمْ كَمَآ أَرْسَلْنَآ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ رَسُولًا
আমি তোমাদের নিকট পাঠিয়েছি রাসূল তোমাদের জন্য স্বাক্ষী স্বরূপ, যেমন রাসূল পাঠিয়েছিলাম ফিরআউনের নিকট।
16 – মুযযামমিল
فَعَصَىٰ فِرْعَوْنُ ٱلرَّسُولَ فَأَخَذْنَٰهُ أَخْذًا وَبِيلًا
কিন্তু ফির‘আউন সেই রাসূলকে অমান্য করেছিল, ফলে আমি তাকে কঠিন শাস্তি দিয়েছিলাম।
17 – মুযযামমিল
فَكَيْفَ تَتَّقُونَ إِن كَفَرْتُمْ يَوْمًا يَجْعَلُ ٱلْوِلْدَٰنَ شِيبًا
অতএব যদি তোমরা কুফরী কর, কি করে আত্মরক্ষা করবে সেদিন যেদিন শিশুদেরকে পরিণত করবে বৃদ্ধে?
18 – মুযযামমিল
ٱلسَّمَآءُ مُنفَطِرٌۢ بِهِۦۚ كَانَ وَعْدُهُۥ مَفْعُولًا
যেদিন আকাশ হবে বিদীর্ণ; তাঁর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।
19 – মুযযামমিল
إِنَّ هَٰذِهِۦ تَذْكِرَةٌۖ فَمَن شَآءَ ٱتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِۦ سَبِيلًا
ইহা এক উপদেশ, অতএব যার অভিরুচি সে তার রবের পথ অবলম্বন করুক!
20 – মুযযামমিল
إِنَّ رَبَّكَ يَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُومُ أَدْنَىٰ مِن ثُلُثَىِ ٱلَّيْلِ وَنِصْفَهُۥ وَثُلُثَهُۥ وَطَآئِفَةٌ مِّنَ ٱلَّذِينَ مَعَكَۚ وَٱللَّهُ يُقَدِّرُ ٱلَّيْلَ وَٱلنَّهَارَۚ عَلِمَ أَن لَّن تُحْصُوهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْۖ فَٱقْرَءُواۡ مَا تَيَسَّرَ مِنَ ٱلْقُرْءَانِۚ عَلِمَ أَن سَيَكُونُ مِنكُم مَّرْضَىٰۙ وَءَاخَرُونَ يَضْرِبُونَ فِى ٱلْأَرْضِ يَبْتَغُونَ مِن فَضْلِ ٱللَّهِۙ وَءَاخَرُونَ يُقَٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِۖ فَٱقْرَءُواۡ مَا تَيَسَّرَ مِنْهُۚ وَأَقِيمُواۡ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواۡ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَقْرِضُواۡ ٱللَّهَ قَرْضًا حَسَنًاۚ وَمَا تُقَدِّمُواۡ لِأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِندَ ٱللَّهِ هُوَ خَيْرًا وَأَعْظَمَ أَجْرًاۚ وَٱسْتَغْفِرُواۡ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌۢ
তোমার রাব্বতো জানেন যে, তুমি জাগরণ কর কখনও রাতের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও এক-তৃতীয়াংশ এবং জাগে তোমার সংগে যারা আছে তাদের একটি দলও এবং আল্লাহই নির্ধারণ করেন দিন ও রাতের পরিমাণ। তিনি জানেন যে, তোমরা এর সঠিক হিসাব রাখতে পারনা, অতএব আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরবশ হয়েছেন। অতএব কুরআনের যতটুকু আবৃত্তি করা তোমাদের জন্য সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর; আল্লাহ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেহ কেহ অসুস্থ হয়ে পড়বে, কেহ কেহ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশ ভ্রমণ করবে এবং কেহ কেহ আল্লাহর পথে সংগ্রামে লিপ্ত হবে। অতএব কুরআন হতে যতটুকু সহজসাধ্য আবৃত্তি কর। সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহকে দাও উত্তম ঋণ। তোমরা তোমাদের আত্মার মঙ্গলের জন্য ভাল যা কিছু অগ্রিম প্রেরণ করবে তোমরা তা পাবে আল্লাহর নিকট। উহা উৎকৃষ্টতর এবং পুরস্কার হিসাবে মহত্তর। আর তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর আল্লাহর নিকট। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

74 নং সূরা – আল-মুদ্দাসসির – اَلْمُدَّثِّر

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 56
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – মুদ্দাসসির
يَٰٓأَيُّهَا ٱلْمُدَّثِّرُ
হে বস্ত্রাচ্ছাদিত!
02 – মুদ্দাসসির
قُمْ فَأَنذِرْ
উঠ, সতর্ক বাণী প্রচার কর।
03 – মুদ্দাসসির
وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ
এবং তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর।
04 – মুদ্দাসসির
وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ
তোমার পরিচ্ছদ পরিস্কার রাখ।
05 – মুদ্দাসসির
وَٱلرُّجْزَ فَٱهْجُرْ
অপবিত্রতা হতে দূরে থাক।
06 – মুদ্দাসসির
وَلَا تَمْنُن تَسْتَكْثِرُ
অধিক পাওয়ার প্রত্যাশায় দান করনা।
07 – মুদ্দাসসির
وَلِرَبِّكَ فَٱصْبِرْ
এবং তোমার রবের উদ্দেশ্যে ধৈর্য ধর।
08 – মুদ্দাসসির
فَإِذَا نُقِرَ فِى ٱلنَّاقُورِ
যেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে –
09 – মুদ্দাসসির
فَذَٰلِكَ يَوْمَئِذٍ يَوْمٌ عَسِيرٌ
সেদিন হবে এক সংকটের দিন –
10 – মুদ্দাসসির
عَلَى ٱلْكَٰفِرِينَ غَيْرُ يَسِيرٍ
যা কাফিরদের জন্য সহজ নয়।
11 – মুদ্দাসসির
ذَرْنِى وَمَنْ خَلَقْتُ وَحِيدًا
আমাকে ছেড়ে দাও এবং তাকে, যাকে আমি সৃষ্টি করেছি অসাধারণ করে।
12 – মুদ্দাসসির
وَجَعَلْتُ لَهُۥ مَالًا مَّمْدُودًا
আমি তাকে দিয়েছি বিপুল ধন সম্পদ।
13 – মুদ্দাসসির
وَبَنِينَ شُهُودًا
এবং নিত্য সঙ্গী পুত্রগণ।
14 – মুদ্দাসসির
وَمَهَّدتُّ لَهُۥ تَمْهِيدًا
এবং তাকে দিয়েছি স্বচ্ছন্দময় জীবনের প্রচুর উপকরণ।
15 – মুদ্দাসসির
ثُمَّ يَطْمَعُ أَنْ أَزِيدَ
এর পরও সে কামনা করে যে, আমি তাকে আরও অধিক দিই।
16 – মুদ্দাসসির
كَلَّآۖ إِنَّهُۥ كَانَ لِءَايَٰتِنَا عَنِيدًا
না, তা হবেনা, সেতো আমার নিদর্শনসমূহের ঔদ্ধত বিরুদ্ধাচারী।
17 – মুদ্দাসসির
سَأُرْهِقُهُۥ صَعُودًا
আমি অচিরেই তাকে ক্রমবর্ধমান শাস্তি দ্বারা আচ্ছন্ন করব।
18 – মুদ্দাসসির
إِنَّهُۥ فَكَّرَ وَقَدَّرَ
সে চিন্তা করল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল।
19 – মুদ্দাসসির
فَقُتِلَ كَيْفَ قَدَّرَ
অভিশপ্ত হোক সে! কেমন করে সে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল!
20 – মুদ্দাসসির
ثُمَّ قُتِلَ كَيْفَ قَدَّرَ
আরও অভিশপ্ত হোক সে! কেমন করে সে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হল!
21 – মুদ্দাসসির
ثُمَّ نَظَرَ
সে আবার চেয়ে দেখল।
22 – মুদ্দাসসির
ثُمَّ عَبَسَ وَبَسَرَ
অতঃপর সে ভ্রু কুঞ্চিত করল ও মুখ বিকৃত করল।
23 – মুদ্দাসসির
ثُمَّ أَدْبَرَ وَٱسْتَكْبَرَ
অতঃপর সে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল এবং অহংকার করল।
24 – মুদ্দাসসির
فَقَالَ إِنْ هَٰذَآ إِلَّا سِحْرٌ يُؤْثَرُ
এবং ঘোষণা করল, এতো লোক পরম্পরায় প্রাপ্ত যাদু ভিন্ন আর কিছু নয়।
25 – মুদ্দাসসির
إِنْ هَٰذَآ إِلَّا قَوْلُ ٱلْبَشَرِ
এটাতো মানুষেরই কথা।
26 – মুদ্দাসসির
سَأُصْلِيهِ سَقَرَ
আমি তাকে নিক্ষেপ করব সাকার-এ।
27 – মুদ্দাসসির
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا سَقَرُ
তুমি কি জান সাকার কি?
28 – মুদ্দাসসির
لَا تُبْقِى وَلَا تَذَرُ
উহা তাদের জীবিতাবস্থায় রাখবেনা এবং মৃত অবস্থায়ও ছেড়ে দিবেনা।
29 – মুদ্দাসসির
لَوَّاحَةٌ لِّلْبَشَرِ
উহাতো গাত্রচর্ম দগ্ধ করবে।
30 – মুদ্দাসসির
عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَرَ
উহার তত্ত্বাবধানে রয়েছে উনিশ জন প্রহরী।
31 – মুদ্দাসসির
وَمَا جَعَلْنَآ أَصْحَٰبَ ٱلنَّارِ إِلَّا مَلَٰٓئِكَةًۙ وَمَا جَعَلْنَا عِدَّتَهُمْ إِلَّا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُواۡ لِيَسْتَيْقِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواۡ ٱلْكِتَٰبَ وَيَزْدَادَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاۡ إِيمَٰنًاۙ وَلَا يَرْتَابَ ٱلَّذِينَ أُوتُواۡ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْمُؤْمِنُونَۙ وَلِيَقُولَ ٱلَّذِينَ فِى قُلُوبِهِم مَّرَضٌ وَٱلْكَٰفِرُونَ مَاذَآ أَرَادَ ٱللَّهُ بِهَٰذَا مَثَلًاۚ كَذَٰلِكَ يُضِلُّ ٱللَّهُ مَن يَشَآءُ وَيَهْدِى مَن يَشَآءُۚ وَمَا يَعْلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَۚ وَمَا هِىَ إِلَّا ذِكْرَىٰ لِلْبَشَرِ
আমি তাদেরকে করেছি জাহান্নামের প্রহরী। কাফিরদের পরীক্ষা স্বরূপ। আমি তাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করেছি যাতে কিতাবীদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বর্ধিত হয় এবং বিশ্বাসীরা ও কিতাবীরা সন্দেহ পোষণ না করে। এর ফলে যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তারা ও কাফিরেরা বলবেঃ আল্লাহ এই অভিনব উক্তি দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছেন? এভাবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা পথ নির্দেশ করেন। তোমার রবের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। এটাতো মানুষের জন্য সাবধান বাণী।
32 – মুদ্দাসসির
كَلَّا وَٱلْقَمَرِ
কক্ষনো না, চন্দ্রের শপথ!
33 – মুদ্দাসসির
وَٱلَّيْلِ إِذْ أَدْبَرَ
শপথ রাতের, যখন তার অবসান ঘটে।
34 – মুদ্দাসসির
وَٱلصُّبْحِ إِذَآ أَسْفَرَ
শপথ প্রভাতকালের, যখন উহা হয় আলোকোজ্জ্বল।
35 – মুদ্দাসসির
إِنَّهَا لَإِحْدَى ٱلْكُبَرِ
নিশ্চয়ই জাহান্নাম ভয়াবহ বিপদসমূহের অন্যতম।
36 – মুদ্দাসসির
نَذِيرًا لِّلْبَشَرِ
মানুষের জন্য সতর্ককারী।
37 – মুদ্দাসসির
لِمَن شَآءَ مِنكُمْ أَن يَتَقَدَّمَ أَوْ يَتَأَخَّرَ
তোমাদের মধ্যে যে অগ্রসর হতে চায় কিংবা যে পিছিয়ে পড়ে, তার জন্য।
38 – মুদ্দাসসির
كُلُّ نَفْسٍۭ بِمَا كَسَبَتْ رَهِينَةٌ
প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের দায়ে আবদ্ধ।
39 – মুদ্দাসসির
إِلَّآ أَصْحَٰبَ ٱلْيَمِينِ
তবে ডান পার্শ্বস্থ ব্যক্তিগণের নয়।
40 – মুদ্দাসসির
فِى جَنَّٰتٍ يَتَسَآءَلُونَ
তারা থাকবে উদ্যানে এবং তারা পরস্পরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে –
41 – মুদ্দাসসির
عَنِ ٱلْمُجْرِمِينَ
অপরাধীদের সম্পর্কে,
42 – মুদ্দাসসির
مَا سَلَكَكُمْ فِى سَقَرَ
তোমাদেরকে কিসে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছে?
43 – মুদ্দাসসির
قَالُواۡ لَمْ نَكُ مِنَ ٱلْمُصَلِّينَ
তারা বলবেঃ আমরা সালাত আদায় করতামনা –
44 – মুদ্দাসসির
وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ ٱلْمِسْكِينَ
আমরা অভাবগ্রস্তকে আহার্য দান করতামনা।
45 – মুদ্দাসসির
وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ ٱلْخَآئِضِينَ
এবং আমরা আলোচনাকারীদের সাথে আলোচনায় নিমগ্ন থাকতাম –
46 – মুদ্দাসসির
وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ ٱلدِّينِ
আমরা কর্মফল দিন অস্বীকার করতাম –
47 – মুদ্দাসসির
حَتَّىٰٓ أَتَىٰنَا ٱلْيَقِينُ
আমাদের নিকট মৃত্যুর আগমন পর্যন্ত।
48 – মুদ্দাসসির
فَمَا تَنفَعُهُمْ شَفَٰعَةُ ٱلشَّٰفِعِينَ
ফলে সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন কাজে আসবেনা।
49 – মুদ্দাসসির
فَمَا لَهُمْ عَنِ ٱلتَّذْكِرَةِ مُعْرِضِينَ
তাদের কি হয়েছে যে, তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় উপদেশ হতে?
50 – মুদ্দাসসির
كَأَنَّهُمْ حُمُرٌ مُّسْتَنفِرَةٌ
তারা যেন ভীত- সন্ত্রস্থ গর্দভ –
51 – মুদ্দাসসির
فَرَّتْ مِن قَسْوَرَةٍۭ
যা সিংহের সম্মুখ হতে পলায়নপর।
52 – মুদ্দাসসির
بَلْ يُرِيدُ كُلُّ ٱمْرِئٍ مِّنْهُمْ أَن يُؤْتَىٰ صُحُفًا مُّنَشَّرَةً
বস্তুতঃ তাদের প্রত্যেকেই কামনা করে যে, তাকে একটি উম্মুক্ত গ্রন্থ দেয়া হোক।
53 – মুদ্দাসসির
كَلَّاۖ بَل لَّا يَخَافُونَ ٱلْءَاخِرَةَ
না ইহা হবার নয়, বরং তারাতো আখিরাতের ভয় পোষণ করেনা।
54 – মুদ্দাসসির
كَلَّآ إِنَّهُۥ تَذْكِرَةٌ
কখনও না, এটাতো উপদেশ মাত্র।
55 – মুদ্দাসসির
فَمَن شَآءَ ذَكَرَهُۥ
অতএব যার ইচ্ছা সে ইহা হতে উপদেশ গ্রহণ করুক।
56 – মুদ্দাসসির
وَمَا يَذْكُرُونَ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُۚ هُوَ أَهْلُ ٱلتَّقْوَىٰ وَأَهْلُ ٱلْمَغْفِرَةِ
আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কেহ উপদেশ গ্রহণ করবেনা, একমাত্র তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী।

75 নং সূরা – আল-কিয়ামাহ – اَلْقِيٰمَة

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 40
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – কিয়ামাহ
لَآ أُقْسِمُ بِيَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِ
আমি শপথ করছি কিয়ামাত দিবসের।
02 – কিয়ামাহ
وَلَآ أُقْسِمُ بِٱلنَّفْسِ ٱللَّوَّامَةِ
আরও শপথ করছি তিরস্কারকারী আত্মার।
03 – কিয়ামাহ
أَيَحْسَبُ ٱلْإِنسَٰنُ أَلَّن نَّجْمَعَ عِظَامَهُۥ
মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার অস্থিসমূহ একত্র করতে পারবনা?
04 – কিয়ামাহ
بَلَىٰ قَٰدِرِينَ عَلَىٰٓ أَن نُّسَوِّىَ بَنَانَهُۥ
বস্তুতঃ আমি তার অঙ্গুলীর অগ্রভাগ পর্যন্ত পুনঃ বিন্যস্ত করতে সক্ষম।
05 – কিয়ামাহ
بَلْ يُرِيدُ ٱلْإِنسَٰنُ لِيَفْجُرَ أَمَامَهُۥ
তবুও মানুষ তার সম্মুখে যা আছে তা অস্বীকার করতে চায়;
06 – কিয়ামাহ
يَسْـَٔلُ أَيَّانَ يَوْمُ ٱلْقِيَٰمَةِ
সে প্রশ্ন করেঃ কখন কিয়ামাত দিবস আসবে?
07 – কিয়ামাহ
فَإِذَا بَرِقَ ٱلْبَصَرُ
যখন চক্ষু স্থির হয়ে যাবে।
08 – কিয়ামাহ
وَخَسَفَ ٱلْقَمَرُ
এবং চক্ষু হয়ে পড়বে জ্যোতিহীন।
09 – কিয়ামাহ
وَجُمِعَ ٱلشَّمْسُ وَٱلْقَمَرُ
যখন সূর্য ও চাঁদকে একত্র করা হবে।
10 – কিয়ামাহ
يَقُولُ ٱلْإِنسَٰنُ يَوْمَئِذٍ أَيْنَ ٱلْمَفَرُّ
সেদিন মানুষ বলবেঃ আজ পালানোর স্থান কোথায়?
11 – কিয়ামাহ
كَلَّا لَا وَزَرَ
না, কোন আশ্রয়স্থল নেই।
12 – কিয়ামাহ
إِلَىٰ رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ ٱلْمُسْتَقَرُّ
সেদিন ঠাঁই হবে তোমার রবের নিকট।
13 – কিয়ামাহ
يُنَبَّؤُاۡ ٱلْإِنسَٰنُ يَوْمَئِذٍۭ بِمَا قَدَّمَ وَأَخَّرَ
সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে সে কি অগ্রে পাঠিয়েছে এবং কি পশ্চাতে রেখে গেছে।
14 – কিয়ামাহ
بَلِ ٱلْإِنسَٰنُ عَلَىٰ نَفْسِهِۦ بَصِيرَةٌ
বস্তুতঃ মানুষ নিজের সম্বন্ধে সম্যক অবগত।
15 – কিয়ামাহ
وَلَوْ أَلْقَىٰ مَعَاذِيرَهُۥ
যদিও সে নানা অজুহাতের অবতারণা করে।
16 – কিয়ামাহ
لَا تُحَرِّكْ بِهِۦ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِۦٓ
তাড়াতাড়ি অহী আয়ত্ত্ব করার জন্য তুমি তোমার জিহবা দ্রুততার সাথে সঞ্চালন করনা।
17 – কিয়ামাহ
إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُۥ وَقُرْءَانَهُۥ
ইহা সংরক্ষণ ও পাঠ করানোর দায়িত্ব আমারই।
18 – কিয়ামাহ
فَإِذَا قَرَأْنَٰهُ فَٱتَّبِعْ قُرْءَانَهُۥ
সুতরাং যখন আমি উহা পাঠ করাই তুমি সেই পাঠের অনুসরণ কর।
19 – কিয়ামাহ
ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُۥ
অতঃপর এর বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই।
20 – কিয়ামাহ
كَلَّا بَلْ تُحِبُّونَ ٱلْعَاجِلَةَ
না, তোমরা প্রকৃত পক্ষে পার্থিব জীবনকে ভালবাস।
21 – কিয়ামাহ
وَتَذَرُونَ ٱلْءَاخِرَةَ
এবং আখিরাতকে উপেক্ষা কর।
22 – কিয়ামাহ
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاضِرَةٌ
সেদিন কোন কোন মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে।
23 – কিয়ামাহ
إِلَىٰ رَبِّهَا نَاظِرَةٌ
তারা তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে।
24 – কিয়ামাহ
وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍۭ بَاسِرَةٌ
কোন কোন মুখমন্ডল হয়ে পড়বে বিবর্ণ।
25 – কিয়ামাহ
تَظُنُّ أَن يُفْعَلَ بِهَا فَاقِرَةٌ
এবং এই আশংকায় যে, এক ধ্বংসকারী বিপর্যয় আসন্ন।
26 – কিয়ামাহ
كَلَّآ إِذَا بَلَغَتِ ٱلتَّرَاقِىَ
যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে।
27 – কিয়ামাহ
وَقِيلَ مَنْۜ رَاقٍ
এবং বলা হবেঃ কে তাকে রক্ষা করবে?
28 – কিয়ামাহ
وَظَنَّ أَنَّهُ ٱلْفِرَاقُ
তখন তার প্রত্যয় হবে যে, উহা বিদায়ক্ষণ।
29 – কিয়ামাহ
وَٱلْتَفَّتِ ٱلسَّاقُ بِٱلسَّاقِ
এবং পায়ের সংগে পা জড়িয়ে যাবে।
30 – কিয়ামাহ
إِلَىٰ رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ ٱلْمَسَاقُ
সেদিন তোমার রবের নিকট সমস্ত কিছু প্রত্যানীত হবে।
31 – কিয়ামাহ
فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلَّىٰ
সে বিশ্বাস করেনি এবং সালাত আদায় করেনি।
32 – কিয়ামাহ
وَلَٰكِن كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ
বরং সে প্রত্যাখ্যান করেছিল ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।
33 – কিয়ামাহ
ثُمَّ ذَهَبَ إِلَىٰٓ أَهْلِهِۦ يَتَمَطَّىٰٓ
অতঃপর সে তার পরিবার পরিজনের নিকট ফিরে গিয়েছিল দম্ভভরে।
34 – কিয়ামাহ
أَوْلَىٰ لَكَ فَأَوْلَىٰ
তোমার দুর্ভোগের উপর দুর্ভোগ!
35 – কিয়ামাহ
ثُمَّ أَوْلَىٰ لَكَ فَأَوْلَىٰٓ
আবার তোমার দুর্ভোগের উপর দুর্ভোগ!
36 – কিয়ামাহ
أَيَحْسَبُ ٱلْإِنسَٰنُ أَن يُتْرَكَ سُدًى
মানুষ কি মনে করে যে, তাকে নিরর্থক ছেড়ে দেয়া হবে?
37 – কিয়ামাহ
أَلَمْ يَكُ نُطْفَةً مِّن مَّنِىٍّ يُمْنَىٰ
সে কি স্খলিত শুক্রবিন্দু ছিলনা?
38 – কিয়ামাহ
ثُمَّ كَانَ عَلَقَةً فَخَلَقَ فَسَوَّىٰ
অতঃপর সে রক্তপিন্ডে পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ তাকে আকৃতি দান করেন ও সুঠাম করেন।
39 – কিয়ামাহ
فَجَعَلَ مِنْهُ ٱلزَّوْجَيْنِ ٱلذَّكَرَ وَٱلْأُنثَىٰٓ
অতঃপর তিনি তা হতে সৃষ্টি করেন যুগল নর ও নারী।
40 – কিয়ামাহ
أَلَيْسَ ذَٰلِكَ بِقَٰدِرٍ عَلَىٰٓ أَن يُحْۦِىَ ٱلْمَوْتَىٰ
তবুও কি সেই স্রষ্টা মৃতকে পুনর্জীবিত করতে সক্ষম নন?

76 নং সূরা – আল-ইনসান – اَلْإِنْسَان

মাদানী – আয়াত সংখ্যা: 31
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – ইনসান
هَلْ أَتَىٰ عَلَى ٱلْإِنسَٰنِ حِينٌ مِّنَ ٱلدَّهْرِ لَمْ يَكُن شَيْـًٔا مَّذْكُورًا
কাল-প্রবাহে মানুষের উপর এক সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিলনা।
02 – ইনসান
إِنَّا خَلَقْنَا ٱلْإِنسَٰنَ مِن نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ نَّبْتَلِيهِ فَجَعَلْنَٰهُ سَمِيعًۢا بَصِيرًا
আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্রবিন্দু হতে, তাকে পরীক্ষা করার জন্য; এ জন্য আমি তাকে করেছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন।
03 – ইনসান
إِنَّا هَدَيْنَٰهُ ٱلسَّبِيلَ إِمَّا شَاكِرًا وَإِمَّا كَفُورًا
আমি তাকে পথের নির্দেশ দিয়েছি; হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে।
04 – ইনসান
إِنَّآ أَعْتَدْنَا لِلْكَٰفِرِينَ سَلَٰسِلَاۡ وَأَغْلَٰلًا وَسَعِيرًا
আমি অকৃতজ্ঞদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি শৃংখল, বেড়ি ও লেলিহান অগ্নি।
05 – ইনসান
إِنَّ ٱلْأَبْرَارَ يَشْرَبُونَ مِن كَأْسٍ كَانَ مِزَاجُهَا كَافُورًا
সৎ কর্মশীলরা পান করবে মিশ্রিত পানীয় ‘কাফুর’ –
06 – ইনসান
عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا عِبَادُ ٱللَّهِ يُفَجِّرُونَهَا تَفْجِيرًا
এমন একটি প্রস্রবণের যা হতে আল্লাহর বান্দাগণ পান করবে, তারা এই প্রস্রবণকে যেখানে ইচ্ছা প্রবাহিত করতে পারবে।
07 – ইনসান
يُوفُونَ بِٱلنَّذْرِ وَيَخَافُونَ يَوْمًا كَانَ شَرُّهُۥ مُسْتَطِيرًا
তারা কর্তব্য পালন করে এবং সেদিনের ভয় করে, যেদিন বিপত্তি হবে ব্যাপক।
08 – ইনসান
وَيُطْعِمُونَ ٱلطَّعَامَ عَلَىٰ حُبِّهِۦ مِسْكِينًا وَيَتِيمًا وَأَسِيرًا
তাদের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে।
09 – ইনসান
إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ ٱللَّهِ لَا نُرِيدُ مِنكُمْ جَزَآءً وَلَا شُكُورًا
এবং বলেঃ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি, আমরা তোমাদের নিকট হতে প্রতিদান চাইনা, কৃতজ্ঞতাও নয়।
10 – ইনসান
إِنَّا نَخَافُ مِن رَّبِّنَا يَوْمًا عَبُوسًا قَمْطَرِيرًا
আমরা আশংকা করি আমাদের রবের নিকট হতে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের।
11 – ইনসান
فَوَقَىٰهُمُ ٱللَّهُ شَرَّ ذَٰلِكَ ٱلْيَوْمِ وَلَقَّىٰهُمْ نَضْرَةً وَسُرُورًا
পরিণামে আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করবেন সেই দিনের অনিষ্টতা হতে এবং তাদেরকে দিবেন উৎফুল্লতা ও আনন্দ।
12 – ইনসান
وَجَزَىٰهُم بِمَا صَبَرُواۡ جَنَّةً وَحَرِيرًا
আর তাদের ধৈর্যশীলতার পুরস্কার স্বরূপ তাদেরকে দেয়া হবে জান্নাত ও রেশমী বস্ত্র।
13 – ইনসান
مُّتَّكِـِٔينَ فِيهَا عَلَى ٱلْأَرَآئِكِۖ لَا يَرَوْنَ فِيهَا شَمْسًا وَلَا زَمْهَرِيرًا
সেখানে তারা সমাসীন হবে সুসজ্জিত আসনে, তারা সেখানে অতিশয় গরম ও অতিশয় শীত অনুভব করবেনা।
14 – ইনসান
وَدَانِيَةً عَلَيْهِمْ ظِلَٰلُهَا وَذُلِّلَتْ قُطُوفُهَا تَذْلِيلًا
উহার বৃক্ষছায়া তাদের উপর ঝুকে থাকবে এবং এর ফলমূল সম্পূর্ণ রূপে তাদের নাগালের মধ্যে থাকবে।
15 – ইনসান
وَيُطَافُ عَلَيْهِم بِـَٔانِيَةٍ مِّن فِضَّةٍ وَأَكْوَابٍ كَانَتْ قَوَارِيرَا۠
তাদেরকে পরিবেশন করা হয়ে রৌপ্য পাত্রে এবং স্ফটিকের মত স্বচ্ছ পান পাত্রে।
16 – ইনসান
قَوَارِيرَاۡ مِن فِضَّةٍ قَدَّرُوهَا تَقْدِيرًا
রূপালী স্ফটিক পাত্রে পরিবেশনকারীরা যথাযথ পরিমাণে উহা পূর্ণ করবে।
17 – ইনসান
وَيُسْقَوْنَ فِيهَا كَأْسًا كَانَ مِزَاجُهَا زَنجَبِيلًا
সেখানে তাদের পান করতে দেয়া হবে যানযাবীল মিশ্রিত পানীয় –
18 – ইনসান
عَيْنًا فِيهَا تُسَمَّىٰ سَلْسَبِيلًا
জান্নাতের এমন এক প্রসবণের যার নাম সালসাবীল।
19 – ইনসান
وَيَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَٰنٌ مُّخَلَّدُونَ إِذَا رَأَيْتَهُمْ حَسِبْتَهُمْ لُؤْلُؤًا مَّنثُورًا
তাদেরকে পরিবেশন করবে চির কিশোরগণ, তাদেরকে দেখে মনে হবে তারা যেন বিক্ষিপ্ত মুক্তা।
20 – ইনসান
وَإِذَا رَأَيْتَ ثَمَّ رَأَيْتَ نَعِيمًا وَمُلْكًا كَبِيرًا
তুমি যখন সেখানে দেখবে, দেখতে পাবে ভোগ বিলাসের উপকরণ এবং বিশাল রাজ্য।
21 – ইনসান
عَٰلِيَهُمْ ثِيَابُ سُندُسٍ خُضْرٌ وَإِسْتَبْرَقٌۖ وَحُلُّوٓاۡ أَسَاوِرَ مِن فِضَّةٍ وَسَقَىٰهُمْ رَبُّهُمْ شَرَابًا طَهُورًا
তাদের আবরণ হবে সূক্ষ্ণ সবুজ রেশম ও স্থুল রেশম; তারা অলংকৃত হবে রৌপ্য নির্মিত কংকনে, আর তাদের রাব্ব তাদেরকে পান করাবেন বিশুদ্ধ পানীয়।
22 – ইনসান
إِنَّ هَٰذَا كَانَ لَكُمْ جَزَآءً وَكَانَ سَعْيُكُم مَّشْكُورًا
অবশ্যই এটাই তোমাদের পুরস্কার এবং তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা স্বীকৃতি প্রাপ্ত।
23 – ইনসান
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا عَلَيْكَ ٱلْقُرْءَانَ تَنزِيلًا
আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করেছি পর্যায়ক্রমে।
24 – ইনসান
فَٱصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ وَلَا تُطِعْ مِنْهُمْ ءَاثِمًا أَوْ كَفُورًا
সুতরাং ধৈর্যের সাথে তোমার রবের নির্দেশের প্রতীক্ষা কর এবং তাদের মধ্য কোনো পাপীষ্ঠ অথবা কাফিরের আনুগত্য করনা।
25 – ইনসান
وَٱذْكُرِ ٱسْمَ رَبِّكَ بُكْرَةً وَأَصِيلًا
এবং তোমার রবের নাম স্মরণ কর সকাল সন্ধ্যায়।
26 – ইনসান
وَمِنَ ٱلَّيْلِ فَٱسْجُدْ لَهُۥ وَسَبِّحْهُ لَيْلًا طَوِيلًا
রাতের কিয়দংশ তাঁর প্রতি সাজদায় নত হও এবং রাতের দীর্ঘ সময় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।
27 – ইনসান
إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ يُحِبُّونَ ٱلْعَاجِلَةَ وَيَذَرُونَ وَرَآءَهُمْ يَوْمًا ثَقِيلًا
তারা ভালবাসে পার্থিব জীবনকে এবং পরবর্তী কঠিন দিনকে তারা উপেক্ষা করে চলে।
28 – ইনসান
نَّحْنُ خَلَقْنَٰهُمْ وَشَدَدْنَآ أَسْرَهُمْۖ وَإِذَا شِئْنَا بَدَّلْنَآ أَمْثَٰلَهُمْ تَبْدِيلًا
আমি তাদের সৃষ্টি করেছি এবং তাদের গঠন সুদৃঢ় করেছি। আমি যখন ইচ্ছা করব তখন তাদের পরিবর্তে তাদের অনুরূপ এক জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করব।
29 – ইনসান
إِنَّ هَٰذِهِۦ تَذْكِرَةٌۖ فَمَن شَآءَ ٱتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِۦ سَبِيلًا
ইহা এক উপদেশ, অতএব যার ইচ্ছা সে তার রবের পথ অবলম্বন করুক।
30 – ইনসান
وَمَا تَشَآءُونَ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
তোমরা ইচ্ছা করবেনা যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
31 – ইনসান
يُدْخِلُ مَن يَشَآءُ فِى رَحْمَتِهِۦۚ وَٱلظَّٰلِمِينَ أَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًۢا
তিনি যাকে ইচ্ছা তাঁর অনুগ্রহের অন্তর্ভুক্ত করেন, কিন্তু যালিমদের জন্যতো তিনি প্রস্তুত রেখেছেন মর্মন্তদ শাস্তি।

77 নং সূরা – আল-মুরসালাত – اَلْمُرْسَلَاتِ

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 50
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – মুরসালাত
وَٱلْمُرْسَلَٰتِ عُرْفًا
শপথ কল্যাণ স্বরূপ প্রেরিত বায়ুর;
02 – মুরসালাত
فَٱلْعَٰصِفَٰتِ عَصْفًا
আর প্রলয়ঙ্করী ঝটিকার;
03 – মুরসালাত
وَٱلنَّٰشِرَٰتِ نَشْرًا
শপথ সঞ্চালনকারী বায়ুর;
04 – মুরসালাত
فَٱلْفَٰرِقَٰتِ فَرْقًا
আর মেঘপুঞ্জ বিচ্ছিন্নকারী বায়ুর।
05 – মুরসালাত
فَٱلْمُلْقِيَٰتِ ذِكْرًا
এবং তার, যে মানুষের অন্তরে পৌঁছে দেয় উপদেশ –
06 – মুরসালাত
عُذْرًا أَوْ نُذْرًا
অনুশোচনা স্বরূপ অথবা সতর্কতা স্বরূপ।
07 – মুরসালাত
إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَوَٰقِعٌ
নিশ্চয়ই তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা অবশ্যম্ভাবী।
08 – মুরসালাত
فَإِذَا ٱلنُّجُومُ طُمِسَتْ
যখন নক্ষত্ররাজির আলো নির্বাপিত হবে,
09 – মুরসালাত
وَإِذَا ٱلسَّمَآءُ فُرِجَتْ
যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,
10 – মুরসালাত
وَإِذَا ٱلْجِبَالُ نُسِفَتْ
এবং যখন পর্বতমালা উম্মুলিত ও বিক্ষিপ্ত হবে,
11 – মুরসালাত
وَإِذَا ٱلرُّسُلُ أُقِّتَتْ
এবং রাসূলগণের নিরূপিত সময় উপস্থিত হবে।
12 – মুরসালাত
لِأَىِّ يَوْمٍ أُجِّلَتْ
এই সমূদয় স্থগিত রাখা হয়েছে কোন দিনের জন্য?
13 – মুরসালাত
لِيَوْمِ ٱلْفَصْلِ
বিচার দিনের জন্য।
14 – মুরসালাত
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا يَوْمُ ٱلْفَصْلِ
বিচার দিন সম্বন্ধে তুমি জান কি?
15 – মুরসালাত
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।
16 – মুরসালাত
أَلَمْ نُهْلِكِ ٱلْأَوَّلِينَ
আমি কি পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করিনি?
17 – মুরসালাত
ثُمَّ نُتْبِعُهُمُ ٱلْءَاخِرِينَ
অতঃপর আমি পরবর্তীদেরকে তাদের অনুগামী করব।
18 – মুরসালাত
كَذَٰلِكَ نَفْعَلُ بِٱلْمُجْرِمِينَ
অপরাধীদের প্রতি আমি এরূপই করে থাকি।
19 – মুরসালাত
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।
20 – মুরসালাত
أَلَمْ نَخْلُقكُّم مِّن مَّآءٍ مَّهِينٍ
আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি হতে সৃষ্টি করিনি?
21 – মুরসালাত
فَجَعَلْنَٰهُ فِى قَرَارٍ مَّكِينٍ
অতঃপর আমি তা স্থাপন করেছি নিরাপদ আধারে।
22 – মুরসালাত
إِلَىٰ قَدَرٍ مَّعْلُومٍ
এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত।
23 – মুরসালাত
فَقَدَرْنَا فَنِعْمَ ٱلْقَٰدِرُونَ
আমি এটাকে গঠন করেছি পরিমিতভাবে, আমি কত নিপুণ স্রষ্টা।
24 – মুরসালাত
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।
25 – মুরসালাত
أَلَمْ نَجْعَلِ ٱلْأَرْضَ كِفَاتًا
আমি কি ভূমিকে সৃষ্টি করিনি ধারণকারী রূপে –
26 – মুরসালাত
أَحْيَآءً وَأَمْوَٰتًا
জীবিত ও মৃতের জন্য?
27 – মুরসালাত
وَجَعَلْنَا فِيهَا رَوَٰسِىَ شَٰمِخَٰتٍ وَأَسْقَيْنَٰكُم مَّآءً فُرَاتًا
আমি তাতে স্থাপন করেছি সুদৃঢ় উচ্চ পর্বতমালা এবং তোমাদেরকে দিয়েছি সুপেয় পানি।
28 – মুরসালাত
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।
29 – মুরসালাত
ٱنطَلِقُوٓاۡ إِلَىٰ مَا كُنتُم بِهِۦ تُكَذِّبُونَ
তোমরা যাকে অস্বীকার করতে, চল তারই দিকে।
30 – মুরসালাত
ٱنطَلِقُوٓاۡ إِلَىٰ ظِلٍّ ذِى ثَلَٰثِ شُعَبٍ
চল তিন কুন্ডল বিশিষ্ট ছায়ার দিকে।
31 – মুরসালাত
لَّا ظَلِيلٍ وَلَا يُغْنِى مِنَ ٱللَّهَبِ
যে ছায়া শীতল নয় এবং যা রক্ষা করেনা অগ্নি শিখা হতে।
32 – মুরসালাত
إِنَّهَا تَرْمِى بِشَرَرٍ كَٱلْقَصْرِ
ইহা উৎক্ষেপ করবে অট্টালিকা তুল্য বৃহৎ স্ফুলিংগ।
33 – মুরসালাত
كَأَنَّهُۥ جِمَٰلَتٌ صُفْرٌ
উহা পীতবর্ণ উষ্ট্রশ্রেণী সদৃশ।
34 – মুরসালাত
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।
35 – মুরসালাত
هَٰذَا يَوْمُ لَا يَنطِقُونَ
ইহা এমন একদিন যেদিন কারও বাকস্ফুর্তি হবেনা।
36 – মুরসালাত
وَلَا يُؤْذَنُ لَهُمْ فَيَعْتَذِرُونَ
এবং তাদেরকে ওযর পেশ করার অনুমতি দেয়া হবেনা।
37 – মুরসালাত
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।
38 – মুরসালাত
هَٰذَا يَوْمُ ٱلْفَصْلِۖ جَمَعْنَٰكُمْ وَٱلْأَوَّلِينَ
ইহাই ফাইসালার দিন, আমি একত্রিত করব তোমাদেরকে এবং পূর্ববর্তীদেরকে।
39 – মুরসালাত
فَإِن كَانَ لَكُمْ كَيْدٌ فَكِيدُونِ
তোমাদের কোন অপকৌশল থাকলে তা প্রয়োগ কর আমার বিরুদ্ধে।
40 – মুরসালাত
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।
41 – মুরসালাত
إِنَّ ٱلْمُتَّقِينَ فِى ظِلَٰلٍ وَعُيُونٍ
মুত্তাকীরা থাকবে ছায়ায় ও প্রস্রবণ বহুল স্থানে।
42 – মুরসালাত
وَفَوَٰكِهَ مِمَّا يَشْتَهُونَ
তাদের বাঞ্ছিত ফলমূলের প্রাচুর্যের মধ্যে।
43 – মুরসালাত
كُلُواۡ وَٱشْرَبُواۡ هَنِيٓـًٔۢا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
তোমাদের কর্মের পুরস্কার স্বরূপ তোমরা তৃপ্তির সাথে পানাহার কর।
44 – মুরসালাত
إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ
এভাবে আমি সৎ কর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
45 – মুরসালাত
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।
46 – মুরসালাত
كُلُواۡ وَتَمَتَّعُواۡ قَلِيلًا إِنَّكُم مُّجْرِمُونَ
তোমরা পানাহার কর এবং ভোগ করে লও অল্প কিছুদিন, তোমরাতো অপরাধী।
47 – মুরসালাত
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।
48 – মুরসালাত
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ ٱرْكَعُواۡ لَا يَرْكَعُونَ
যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ ‘আল্লাহর প্রতি নত হও’, তারা নত হয়না।
49 – মুরসালাত
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন দুর্ভোগ অস্বীকারকারীদের জন্য।
50 – মুরসালাত
فَبِأَىِّ حَدِيثٍۭ بَعْدَهُۥ يُؤْمِنُونَ
সুতরাং তারা কোন্ কথায় এরপর বিশ্বাস স্থাপন করবে?

78 নং সূরা – আন-নাবা – اَلنَّبَاء

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 40
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – নাবা
عَمَّ يَتَسَآءَلُونَ
তারা পরস্পর কোন্ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে?
02 – নাবা
عَنِ ٱلنَّبَإِ ٱلْعَظِيمِ
সেই মহান সংবাদ সম্বন্ধে –
03 – নাবা
ٱلَّذِى هُمْ فِيهِ مُخْتَلِفُونَ
যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করে থাকে!
04 – নাবা
كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
কখনই না, তাদের ধারণা অবাস্তব, তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
05 – নাবা
ثُمَّ كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
আবার বলি, কখনই না, তারা অচিরেই অবগত হবে।
06 – নাবা
أَلَمْ نَجْعَلِ ٱلْأَرْضَ مِهَٰدًا
আমি কি পৃথিবীকে শয্যা (রূপে) নির্মাণ করিনি?
07 – নাবা
وَٱلْجِبَالَ أَوْتَادًا
এবং পর্বতসমূহকে কীলক রূপে নির্মাণ করিনি?
08 – নাবা
وَخَلَقْنَٰكُمْ أَزْوَٰجًا
আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায়।
09 – নাবা
وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا
তোমাদের জন্য নিদ্রাকে করে দিয়েছি বিশ্রাম,
10 – নাবা
وَجَعَلْنَا ٱلَّيْلَ لِبَاسًا
করেছি রজনীকে আবরণ,
11 – নাবা
وَجَعَلْنَا ٱلنَّهَارَ مَعَاشًا
এবং করেছি দিনকে জীবিকা আহরণের জন্য (উপযোগী)।
12 – নাবা
وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا
আর নির্মাণ করেছি তোমাদের উর্ধ্বদেশে সুদৃঢ় সপ্ত আকাশ,
13 – নাবা
وَجَعَلْنَا سِرَاجًا وَهَّاجًا
এবং সৃষ্টি করেছি একটি প্রদীপ্ত প্রদীপ।
14 – নাবা
وَأَنزَلْنَا مِنَ ٱلْمُعْصِرَٰتِ مَآءً ثَجَّاجًا
আর বর্ষণ করেছি মেঘ হতে প্রচুর বৃষ্টি।
15 – নাবা
لِّنُخْرِجَ بِهِۦ حَبًّا وَنَبَاتًا
তদ্বারা আমি উদ‌্গত করি শস্য ও উদ্ভিদ,
16 – নাবা
وَجَنَّٰتٍ أَلْفَافًا
এবং বৃক্ষরাজি বিজড়িত উদ্যানসমূহ।
17 – নাবা
إِنَّ يَوْمَ ٱلْفَصْلِ كَانَ مِيقَٰتًا
নিশ্চয়ই নির্ধারিত আছে মীমাংসা দিন।
18 – নাবা
يَوْمَ يُنفَخُ فِى ٱلصُّورِ فَتَأْتُونَ أَفْوَاجًا
সেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে এবং তোমরা দলে দলে সমাগত হবে,
19 – নাবা
وَفُتِحَتِ ٱلسَّمَآءُ فَكَانَتْ أَبْوَٰبًا
আকাশকে উন্মুক্ত করা হবে, ফলে ওটা হয়ে যাবে বহু দ্বারবিশিষ্ট।
20 – নাবা
وَسُيِّرَتِ ٱلْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا
এবং সঞ্চালিত করা হবে পর্বতসমূহকে, ফলে সেগুলি হয়ে যাবে মরীচিকা বৎ।
21 – নাবা
إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا
নিশ্চয়ই জাহান্নাম ওঁৎ পেতে রয়েছে।
22 – নাবা
لِّلطَّٰغِينَ مَـَٔابًا
(ওটা হচ্ছে) অবাধ্য লোকদের অবস্থিতি স্থল –
23 – নাবা
لَّٰبِثِينَ فِيهَآ أَحْقَابًا
সেখানে তারা যুগ যুগ ধরে অবস্থান করবে,
24 – নাবা
لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًا وَلَا شَرَابًا
সেখানে তারা আস্বাদন করতে পাবেনা কোন ঠান্ডা কিংবা (অন্য) কোন পানীয়-
25 – নাবা
إِلَّا حَمِيمًا وَغَسَّاقًا
উত্তপ্ত পানি ও পুঁজ ব্যতীত;
26 – নাবা
جَزَآءً وِفَاقًا
এটাই সমুচিত প্রতিফল।
27 – নাবা
إِنَّهُمْ كَانُواۡ لَا يَرْجُونَ حِسَابًا
তারা কখনও হিসাবের আশংকা করতনা,
28 – নাবা
وَكَذَّبُواۡ بِـَٔايَٰتِنَا كِذَّابًا
এবং তারা দৃঢ়তার সাথে আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করেছিল।
29 – নাবা
وَكُلَّ شَىْءٍ أَحْصَيْنَٰهُ كِتَٰبًا
সব কিছুই আমি সংরক্ষণ করেছি লিখিতভাবে।
30 – নাবা
فَذُوقُواۡ فَلَن نَّزِيدَكُمْ إِلَّا عَذَابًا
অতঃপর তোমরা আস্বাদ গ্রহণ কর, এখন আমিতো তোমাদের যাতনাই শুধু বৃদ্ধি করতে থাকব।
31 – নাবা
إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ مَفَازًا
এবং নিশ্চয়ই সংযমশীল লোকদের জন্যই সফলতা;
32 – নাবা
حَدَآئِقَ وَأَعْنَٰبًا
প্রাচীর বেষ্টিত বাগান ও আঙ্গুর;
33 – নাবা
وَكَوَاعِبَ أَتْرَابًا
এবং সম বয়স্কা যুবতীবৃন্দ;
34 – নাবা
وَكَأْسًا دِهَاقًا
এবং পূর্ণ পূতঃ পানপাত্র।
35 – নাবা
لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا كِذَّٰبًا
সেখানে তারা শুনবেনা অসার ও মিথ্যা বাক্য;
36 – নাবা
جَزَآءً مِّن رَّبِّكَ عَطَآءً حِسَابًا
এটাই তোমার রবের অনুগ্রহের পূর্ণ প্রতিদান।
37 – নাবা
رَّبِّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا ٱلرَّحْمَٰنِۖ لَا يَمْلِكُونَ مِنْهُ خِطَابًا
যিনি রাব্ব আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও ওগুলির অন্তঃবর্তী সব কিছুর, যিনি দয়াময়; তাঁর নিকট আবেদন-নিবেদনের শক্তি তাদের থাকবেনা।
38 – নাবা
يَوْمَ يَقُومُ ٱلرُّوحُ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ صَفًّاۖ لَّا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ ٱلرَّحْمَٰنُ وَقَالَ صَوَابًا
সেদিন রুহ্ ও মালাইকা/ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে; দয়াময় যাকে অনুমতি দিবেন সে ছাড়া অন্যেরা কথা বলবেনা এবং সে সঙ্গত কথা বলবে।
39 – নাবা
ذَٰلِكَ ٱلْيَوْمُ ٱلْحَقُّۖ فَمَن شَآءَ ٱتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِۦ مَـَٔابًا
এই দিন সুনিশ্চিত। অতএব যার অভিরুচি সে তার রবের শরণাপন্ন হোক।
40 – নাবা
إِنَّآ أَنذَرْنَٰكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنظُرُ ٱلْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ ٱلْكَافِرُ يَٰلَيْتَنِى كُنتُ تُرَٰبًۢا
আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম; সেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম প্রত্যক্ষ করবে এবং কাফির বলতে থাকবেঃ হায়রে হতভাগা আমি! যদি আমি মাটি হয়ে যেতাম!

79 নং সূরা – আন-নাযি’আত – اَلنَّزِعٰت

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 46
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – নাযি’আত
وَٱلنَّٰزِعَٰتِ غَرْقًا
শপথ তাদের যারা নির্মমভাবে উৎপাটন করে,
02 – নাযি’আত
وَٱلنَّٰشِطَٰتِ نَشْطًا
এবং যারা মৃদুভাবে বন্ধন মুক্ত করে দেয়,
03 – নাযি’আত
وَٱلسَّٰبِحَٰتِ سَبْحًا
এবং যারা তীব্র গতিতে সন্তরণ করে,
04 – নাযি’আত
فَٱلسَّٰبِقَٰتِ سَبْقًا
এবং যারা দ্রুত বেগে অগ্রসর হয়,
05 – নাযি’আত
فَٱلْمُدَبِّرَٰتِ أَمْرًا
অতঃপর যারা সকল কর্ম নির্বাহ করে।
06 – নাযি’আত
يَوْمَ تَرْجُفُ ٱلرَّاجِفَةُ
সেদিন প্রথম শিঙ্গাধ্বনি প্রকম্পিত করবে,
07 – নাযি’আত
تَتْبَعُهَا ٱلرَّادِفَةُ
ওকে অনুসরণ করবে পরবর্তী শিঙ্গাধ্বনি।
08 – নাযি’আত
قُلُوبٌ يَوْمَئِذٍ وَاجِفَةٌ
কত হৃদয় সেদিন সন্ত্রস্ত হবে,
09 – নাযি’আত
أَبْصَٰرُهَا خَٰشِعَةٌ
তাদের দৃষ্টি ভীতি বিহবলতায় অবনমিত হবে।
10 – নাযি’আত
يَقُولُونَ أَءِنَّا لَمَرْدُودُونَ فِى ٱلْحَافِرَةِ
তারা বলেঃ আমরা কি পূর্বাবস্থায় প্রত্যাবর্তিত হবই –
11 – নাযি’আত
أَءِذَا كُنَّا عِظَٰمًا نَّخِرَةً
গলিত অস্থিতে পরিণত হওয়ার পরও?
12 – নাযি’আত
قَالُواۡ تِلْكَ إِذًا كَرَّةٌ خَاسِرَةٌ
তারা বলেঃ তা’ই যদি হয় তাহলেতো এটা সর্বনাশা প্রত্যাবর্তন!
13 – নাযি’আত
فَإِنَّمَا هِىَ زَجْرَةٌ وَٰحِدَةٌ
এটাতো এক বিকট শব্দ মাত্র;
14 – নাযি’আত
فَإِذَا هُم بِٱلسَّاهِرَةِ
ফলে তখনই মাইদানে তাদের আবির্ভাব হবে।
15 – নাযি’আত
هَلْ أَتَىٰكَ حَدِيثُ مُوسَىٰٓ
তোমার নিকট মূসার বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি?
16 – নাযি’আত
إِذْ نَادَىٰهُ رَبُّهُۥ بِٱلْوَادِ ٱلْمُقَدَّسِ طُوًى
যখন তার রাব্ব পবিত্র ‘তূওয়া’ প্রান্তরে তাকে সম্বোধন করে বলেছিলেন –
17 – নাযি’আত
ٱذْهَبْ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ إِنَّهُۥ طَغَىٰ
ফির‘আউনের নিকট যাও, সেতো সীমা লংঘন করেছে,
18 – নাযি’আত
فَقُلْ هَل لَّكَ إِلَىٰٓ أَن تَزَكَّىٰ
এবং (তাকে) বলঃ তুমি কি শুদ্ধাচারী হতে চাও?
19 – নাযি’আত
وَأَهْدِيَكَ إِلَىٰ رَبِّكَ فَتَخْشَىٰ
আর আমি তোমাকে তোমার রবের পথে পরিচালিত করি যাতে তুমি তাঁকে ভয় কর।
20 – নাযি’আত
فَأَرَىٰهُ ٱلْءَايَةَ ٱلْكُبْرَىٰ
অতঃপর সে তাকে মহা নিদর্শন দেখালো।
21 – নাযি’আত
فَكَذَّبَ وَعَصَىٰ
কিন্তু সে অস্বীকার করল এবং অবাধ্য হল।
22 – নাযি’আত
ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَىٰ
অতঃপর সে পশ্চাৎ ফিরে প্রতিবিধানে সচেষ্ট হল।
23 – নাযি’আত
فَحَشَرَ فَنَادَىٰ
সে সকলকে সমবেত করল এবং উচ্চৈঃস্বরে ঘোষণা করল,
24 – নাযি’আত
فَقَالَ أَنَا۠ رَبُّكُمُ ٱلْأَعْلَىٰ
আর বললঃ আমিই তোমাদের শ্রেষ্ঠ রাব্ব।
25 – নাযি’আত
فَأَخَذَهُ ٱللَّهُ نَكَالَ ٱلْءَاخِرَةِ وَٱلْأُولَىٰٓ
ফলে আল্লাহ তাকে ধৃত করলেন আখিরাতের ও ইহকালের দন্ডের নিমিত্ত।
26 – নাযি’আত
إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَعِبْرَةً لِّمَن يَخْشَىٰٓ
যে ভয় করে তার জন্য অবশ্যই এতে শিক্ষা রয়েছে।
27 – নাযি’আত
ءَأَنتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ ٱلسَّمَآءُۚ بَنَىٰهَا
তোমাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আকাশ সৃষ্টি? তিনিই এটা নির্মাণ করেছেন।
28 – নাযি’আত
رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّىٰهَا
তিনি এটাকে সুউচ্চ ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
29 – নাযি’আত
وَأَغْطَشَ لَيْلَهَا وَأَخْرَجَ ضُحَىٰهَا
এবং তিনি ওর রাতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করেছেন এবং ওর জ্যোতি বিনির্গত করেছেন।
30 – নাযি’আত
وَٱلْأَرْضَ بَعْدَ ذَٰلِكَ دَحَىٰهَآ
এবং পৃথিবীকে এরপর বিস্তৃত করেছেন।
31 – নাযি’আত
أَخْرَجَ مِنْهَا مَآءَهَا وَمَرْعَىٰهَا
তিনি ওটা হতে বহির্গত করেছেন ওর পানি ও তৃণ,
32 – নাযি’আত
وَٱلْجِبَالَ أَرْسَىٰهَا
আর পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রোথিত করেছেন;
33 – নাযি’আত
مَتَٰعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَٰمِكُمْ
এ সবই তোমাদের ও তোমাদের জন্তুগুলির ভোগের জন্য।
34 – নাযি’আত
فَإِذَا جَآءَتِ ٱلطَّآمَّةُ ٱلْكُبْرَىٰ
অতঃপর যখন মহা সংকট উপস্থিত হবে,
35 – নাযি’আত
يَوْمَ يَتَذَكَّرُ ٱلْإِنسَٰنُ مَا سَعَىٰ
সেদিন মানুষ যা করেছে তা স্মরণ করবে,
36 – নাযি’আত
وَبُرِّزَتِ ٱلْجَحِيمُ لِمَن يَرَىٰ
এবং দর্শকদের জন্য প্রকাশ করা হবে জাহান্নাম।
37 – নাযি’আত
فَأَمَّا مَن طَغَىٰ
অনন্তর যে সীমালংঘন করে,
38 – নাযি’আত
وَءَاثَرَ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا
এবং পার্থিব জীবনকে বেছে নেয়,
39 – নাযি’আত
فَإِنَّ ٱلْجَحِيمَ هِىَ ٱلْمَأْوَىٰ
জাহান্নামই হবে তার অবস্থান স্থল।
40 – নাযি’আত
وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِۦ وَنَهَى ٱلنَّفْسَ عَنِ ٱلْهَوَىٰ
পক্ষান্তরে যে স্বীয় রবের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং কুপ্রবৃত্তি হতে নিজেকে বিরত রাখে,
41 – নাযি’আত
فَإِنَّ ٱلْجَنَّةَ هِىَ ٱلْمَأْوَىٰ
জান্নাতই হবে তার অবস্থিতি স্থান।
42 – নাযি’আত
يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلسَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَىٰهَا
তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করে কিয়ামাত সম্পর্কে যে, ওটা কখন ঘটবে?
43 – নাযি’আত
فِيمَ أَنتَ مِن ذِكْرَىٰهَآ
এর আলোচনার সাথে তোমার কি সম্পর্ক?
44 – নাযি’আত
إِلَىٰ رَبِّكَ مُنتَهَىٰهَآ
এর উত্তম জ্ঞান আছে তোমার রবেরই নিকট।
45 – নাযি’আত
إِنَّمَآ أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخْشَىٰهَا
যে ওর ভয় রাখে তুমি শুধু তারই সতর্ককারী।
46 – নাযি’আত
كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوٓاۡ إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَىٰهَا
যেদিন তারা এটা প্রত্যক্ষ করবে সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা পৃথিবীতে এক সন্ধ্যা অথবা এক প্রভাতের অধিক অবস্থান করেনি।

80 নং সূরা – ‘আবাসা – عَبَسَ

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 42
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – ‘আবাসা
عَبَسَ وَتَوَلَّىٰٓ
সে ভ্রু কুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিলো,
02 – ‘আবাসা
أَن جَآءَهُ ٱلْأَعْمَىٰ
যেহেতু তার নিকট এক অন্ধ আগমন করেছিল।
03 – ‘আবাসা
وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّهُۥ يَزَّكَّىٰٓ
তুমি কেমন করে জানবে সে হয়তো পরিশুদ্ধ হত,
04 – ‘আবাসা
أَوْ يَذَّكَّرُ فَتَنفَعَهُ ٱلذِّكْرَىٰٓ
অথবা উপদেশ গ্রহণ করত, ফলে উপদেশ তার উপকারে আসতো।
05 – ‘আবাসা
أَمَّا مَنِ ٱسْتَغْنَىٰ
পক্ষান্তরে যে পরওয়া করেনা –
06 – ‘আবাসা
فَأَنتَ لَهُۥ تَصَدَّىٰ
তুমি তার প্রতি মনোযোগ দিয়েছো।
07 – ‘আবাসা
وَمَا عَلَيْكَ أَلَّا يَزَّكَّىٰ
অথচ সে নিজে পরিশুদ্ধ না হলে তোমার কোন দায়িত্ব নেই।
08 – ‘আবাসা
وَأَمَّا مَن جَآءَكَ يَسْعَىٰ
অন্যপক্ষ যে তোমার নিকট ছুটে এলো –
09 – ‘আবাসা
وَهُوَ يَخْشَىٰ
তার সেই সশংক চিত্ত –
10 – ‘আবাসা
فَأَنتَ عَنْهُ تَلَهَّىٰ
তুমি তাকে অবজ্ঞা করলে!
11 – ‘আবাসা
كَلَّآ إِنَّهَا تَذْكِرَةٌ
না, এই আচরণ অনুচিত, এটাতো উপদেশ বাণী;
12 – ‘আবাসা
فَمَن شَآءَ ذَكَرَهُۥ
যে ইচ্ছা করবে সে ইহা স্মরণ রাখবে,
13 – ‘আবাসা
فِى صُحُفٍ مُّكَرَّمَةٍ
ইহা আছে মর্যাদাময় পত্রসমূহে (লিখিত) –
14 – ‘আবাসা
مَّرْفُوعَةٍ مُّطَهَّرَةٍۭ
(এবং) উন্নত পুতঃ –
15 – ‘আবাসা
بِأَيْدِى سَفَرَةٍ
লেখকদের হাতে (সুরক্ষিত)।
16 – ‘আবাসা
كِرَامٍۭ بَرَرَةٍ
(ঐ লেখকগণ) মহৎ ও সৎ।
17 – ‘আবাসা
قُتِلَ ٱلْإِنسَٰنُ مَآ أَكْفَرَهُۥ
মানুষ ধ্বংস হোক! সে কত অকৃতজ্ঞ!
18 – ‘আবাসা
مِنْ أَىِّ شَىْءٍ خَلَقَهُۥ
তিনি তাকে কোন বস্তু হতে সৃষ্টি করেছেন?
19 – ‘আবাসা
مِن نُّطْفَةٍ خَلَقَهُۥ فَقَدَّرَهُۥ
শুক্র বিন্দু হতে তিনি তাকে সৃষ্টি করেন, পরে তার পরিমিত বিকাশ সাধন করেন,
20 – ‘আবাসা
ثُمَّ ٱلسَّبِيلَ يَسَّرَهُۥ
অতঃপর তার জন্য পথ সহজ করে দেন;
21 – ‘আবাসা
ثُمَّ أَمَاتَهُۥ فَأَقْبَرَهُۥ
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কাবরস্থ করেন।
22 – ‘আবাসা
ثُمَّ إِذَا شَآءَ أَنشَرَهُۥ
এরপর যখন ইচ্ছা তিনি তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন।
23 – ‘আবাসা
كَلَّا لَمَّا يَقْضِ مَآ أَمَرَهُۥ
তিনি তাকে যে আদেশ করেছেন, সেতো তা পালন করেনি।
24 – ‘আবাসা
فَلْيَنظُرِ ٱلْإِنسَٰنُ إِلَىٰ طَعَامِهِۦٓ
মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক।
25 – ‘আবাসা
أَنَّا صَبَبْنَا ٱلْمَآءَ صَبًّا
আমিই প্রচুর বারি বর্ষণ করি,
26 – ‘আবাসা
ثُمَّ شَقَقْنَا ٱلْأَرْضَ شَقًّا
অতঃপর আমি ভূমিকে প্রকৃষ্ট রূপে বিদীর্ণ করি;
27 – ‘আবাসা
فَأَنۢبَتْنَا فِيهَا حَبًّا
এবং ওতে আমি উৎপন্ন করি শস্য;
28 – ‘আবাসা
وَعِنَبًا وَقَضْبًا
দ্রাক্ষা, শাক-সবজি,
29 – ‘আবাসা
وَزَيْتُونًا وَنَخْلًا
যাইতূন, খেজুর,
30 – ‘আবাসা
وَحَدَآئِقَ غُلْبًا
বহু বৃক্ষবিশিষ্ট উদ্যান,
31 – ‘আবাসা
وَفَٰكِهَةً وَأَبًّا
ফল এবং গবাদির খাদ্য,
32 – ‘আবাসা
مَّتَٰعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَٰمِكُمْ
এটা তোমাদের ও তোমাদের পশুগুলির ভোগের জন্য।
33 – ‘আবাসা
فَإِذَا جَآءَتِ ٱلصَّآخَّةُ
যখন ঐ ধ্বংস ধ্বনি এসে পড়বে;
34 – ‘আবাসা
يَوْمَ يَفِرُّ ٱلْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ
সেদিন মানুষ পলায়ন করবে তার ভাই হতে,
35 – ‘আবাসা
وَأُمِّهِۦ وَأَبِيهِ
এবং তার মাতা, তার পিতা,
36 – ‘আবাসা
وَصَٰحِبَتِهِۦ وَبَنِيهِ
তার স্ত্রী ও তার সন্তান হতে,
37 – ‘আবাসা
لِكُلِّ ٱمْرِئٍ مِّنْهُمْ يَوْمَئِذٍ شَأْنٌ يُغْنِيهِ
সেদিন তাদের প্রত্যেকের হবে এমন গুরুতর অবস্থা যা তাকে সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত রাখবে।
38 – ‘আবাসা
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ مُّسْفِرَةٌ
সেদিন বহু মুখমন্ডল হবে দীপ্তিমান;
39 – ‘আবাসা
ضَاحِكَةٌ مُّسْتَبْشِرَةٌ
সহাস্য ও প্রফুল্ল।
40 – ‘আবাসা
وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ عَلَيْهَا غَبَرَةٌ
এবং অনেক মুখমন্ডল হবে সেদিন ধূলি ধূসরিত,
41 – ‘আবাসা
تَرْهَقُهَا قَتَرَةٌ
সেগুলিকে আচ্ছন্ন করবে কালিমা।
42 – ‘আবাসা
أُوۡلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْكَفَرَةُ ٱلْفَجَرَةُ
তারাই কাফির ও পাপাচারী।

81 নং সূরা – আত-তাকউইর – اَلتَّكْوِير

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 29
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – তাকউইর
إِذَا ٱلشَّمْسُ كُوِّرَتْ
সূর্য যখন নিস্প্রভ হবে,
02 – তাকউইর
وَإِذَا ٱلنُّجُومُ ٱنكَدَرَتْ
যখন নক্ষত্ররাজি খসে পড়বে,
03 – তাকউইর
وَإِذَا ٱلْجِبَالُ سُيِّرَتْ
পর্বতসমূহকে যখন চলমান করা হবে,
04 – তাকউইর
وَإِذَا ٱلْعِشَارُ عُطِّلَتْ
যখন পূর্ণ-গর্ভা উষ্ট্রী উপেক্ষিত হবে,
05 – তাকউইর
وَإِذَا ٱلْوُحُوشُ حُشِرَتْ
যখন বন্য পশুগুলি একত্রীকৃত হবে;
06 – তাকউইর
وَإِذَا ٱلْبِحَارُ سُجِّرَتْ
এবং সমুদ্রগুলিকে যখন উদ্বেলিত করা হবে;
07 – তাকউইর
وَإِذَا ٱلنُّفُوسُ زُوِّجَتْ
দেহে যখন আত্মা পুনঃসংযোজিত হবে,
08 – তাকউইর
وَإِذَا ٱلْمَوْءُۥدَةُ سُئِلَتْ
যখন জীবন্ত প্রোথিতা কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে –
09 – তাকউইর
بِأَىِّ ذَنۢبٍ قُتِلَتْ
কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল?
10 – তাকউইর
وَإِذَا ٱلصُّحُفُ نُشِرَتْ
যখন ‘আমলনামা উন্মোচিত হবে,
11 – তাকউইর
وَإِذَا ٱلسَّمَآءُ كُشِطَتْ
যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে,
12 – তাকউইর
وَإِذَا ٱلْجَحِيمُ سُعِّرَتْ
জাহান্নামের আগুন যখন উদ্দীপিত করা হবে,
13 – তাকউইর
وَإِذَا ٱلْجَنَّةُ أُزْلِفَتْ
এবং জান্নাত যখন নিকটর্বতী করা হবে,
14 – তাকউইর
عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّآ أَحْضَرَتْ
তখন প্রত্যেক ব্যক্তিই জানবে সে কি নিয়ে এসেছে।
15 – তাকউইর
فَلَآ أُقْسِمُ بِٱلْخُنَّسِ
কিন্তু না, আমি প্রত্যাবর্তনকারী তারকাপুঞ্জের শপথ করছি!
16 – তাকউইর
ٱلْجَوَارِ ٱلْكُنَّسِ
যা গতিশীল ও স্থিতিবান;
17 – তাকউইর
وَٱلَّيْلِ إِذَا عَسْعَسَ
শপথ রাতের যখন ওর আবির্ভাব হয়,
18 – তাকউইর
وَٱلصُّبْحِ إِذَا تَنَفَّسَ
আর উষার যখন ওর আবির্ভাব হয়,
19 – তাকউইর
إِنَّهُۥ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ
নিশ্চয়ই এই কুরআন সম্মানিত বার্তাবহের আনীত বাণী।
20 – তাকউইর
ذِى قُوَّةٍ عِندَ ذِى ٱلْعَرْشِ مَكِينٍ
যে সামর্থশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাসম্পন্ন,
21 – তাকউইর
مُّطَاعٍ ثَمَّ أَمِينٍ
যাকে সেখানে মান্য করা হয় এবং যে বিশ্বাসভাজন।
22 – তাকউইর
وَمَا صَاحِبُكُم بِمَجْنُونٍ
এবং তোমাদের সহচর উন্মাদ নয়,
23 – তাকউইর
وَلَقَدْ رَءَاهُ بِٱلْأُفُقِ ٱلْمُبِينِ
সেতো তাকে স্পষ্ট দিগন্তে অবলোকন করেছে।
24 – তাকউইর
وَمَا هُوَ عَلَى ٱلْغَيْبِ بِضَنِينٍ
সে অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করতে কার্পন্য করেনা।
25 – তাকউইর
وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَيْطَٰنٍ رَّجِيمٍ
এবং ইহা অভিশপ্ত শাইতানের বাক্য নয়।
26 – তাকউইর
فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ
সুতরাং তোমরা কোথায় চলেছ?
27 – তাকউইর
إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَٰلَمِينَ
এটাতো শুধু বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ –
28 – তাকউইর
لِمَن شَآءَ مِنكُمْ أَن يَسْتَقِيمَ
তোমাদের মধ্যে যে সরল পথে চলতে চায় তার জন্য।
29 – তাকউইর
وَمَا تَشَآءُونَ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلْعَٰلَمِينَ
তোমরা ইচ্ছা করবেনা, যদি জগতসমূহের রাব্ব আল্লাহ ইচ্ছা না করেন।

82 নং সূরা – আল-ইনফিতার – اَلْإِنْفِطَار

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 19
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – ইনফিতার
إِذَا ٱلسَّمَآءُ ٱنفَطَرَتْ
আকাশ যখন বিদীর্ণ হবে,
02 – ইনফিতার
وَإِذَا ٱلْكَوَاكِبُ ٱنتَثَرَتْ
যখন নক্ষত্রমন্ডলী বিক্ষিপ্তভাবে ঝরে পড়বে,
03 – ইনফিতার
وَإِذَا ٱلْبِحَارُ فُجِّرَتْ
যখন সমুদ্র উদ্বেলিত হবে,
04 – ইনফিতার
وَإِذَا ٱلْقُبُورُ بُعْثِرَتْ
এবং যখন কাবরসমূহ সমুত্থিত হবে;
05 – ইনফিতার
عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ وَأَخَّرَتْ
যখন প্রত্যেকে যা পূর্বে প্রেরণ করেছে এবং পশ্চাতে পরিত্যাগ করেছে তা পরিজ্ঞাত হবে।
06 – ইনফিতার
يَٰٓأَيُّهَا ٱلْإِنسَٰنُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ ٱلْكَرِيمِ
হে মানুষ! কিসে তোমাকে তোমার মহান রাব্ব (আল্লাহ) হতে প্রতারিত করল?
07 – ইনফিতার
ٱلَّذِى خَلَقَكَ فَسَوَّىٰكَ فَعَدَلَكَ
যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুঠাম করেছেন এবং অতঃপর সুবিন্যস্ত করেছেন,
08 – ইনফিতার
فِىٓ أَىِّ صُورَةٍ مَّا شَآءَ رَكَّبَكَ
যে আকৃতিতে চেয়েছেন, তিনি তোমাকে গঠন করেছেন।
09 – ইনফিতার
كَلَّا بَلْ تُكَذِّبُونَ بِٱلدِّينِ
না, কখনই না, তোমরাতো শেষ বিচারকে অস্বীকার করে থাকো;
10 – ইনফিতার
وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَٰفِظِينَ
অবশ্যই রয়েছে তোমাদের উপর সংরক্ষকগণ;
11 – ইনফিতার
كِرَامًا كَٰتِبِينَ
সম্মানিত লেখকবর্গ;
12 – ইনফিতার
يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ
তারা অবগত হয় যা তোমরা কর।
13 – ইনফিতার
إِنَّ ٱلْأَبْرَارَ لَفِى نَعِيمٍ
পুণ্যবানগণতো থাকবে পরম সুখ সম্পদে;
14 – ইনফিতার
وَإِنَّ ٱلْفُجَّارَ لَفِى جَحِيمٍ
এবং দুস্কর্মকারীরা থাকবে জাহান্নামে;
15 – ইনফিতার
يَصْلَوْنَهَا يَوْمَ ٱلدِّينِ
তারা কর্মফল দিনে তাতে প্রবিষ্ট হবে;
16 – ইনফিতার
وَمَا هُمْ عَنْهَا بِغَآئِبِينَ
তারা ওটা হতে অন্তর্হিত হতে পারবেনা।
17 – ইনফিতার
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا يَوْمُ ٱلدِّينِ
কর্মফল দিন কি তা কি তুমি জান?
18 – ইনফিতার
ثُمَّ مَآ أَدْرَىٰكَ مَا يَوْمُ ٱلدِّينِ
আবার বলিঃ কর্মফল দিন কি তা কি তুমি অবগত আছ?
19 – ইনফিতার
يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَيْـًٔاۖ وَٱلْأَمْرُ يَوْمَئِذٍ لِّلَّهِ
সেদিন একের অপরের জন্য কিছু করার সামর্থ্য থাকবেনা; এবং সেদিন সমস্ত কর্তৃত্ব হবে একমাত্র আল্লাহর।

83 নং সূরা – আল-মুতাফ্‌ফিফীন – اَلْمُطَفِّفِين

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 36
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – মুতাফ্‌ফিফীন
وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ
মন্দ পরিণাম তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়,
02 – মুতাফ্‌ফিফীন
ٱلَّذِينَ إِذَا ٱكْتَالُواۡ عَلَى ٱلنَّاسِ يَسْتَوْفُونَ
যারা লোকের নিকট হতে মেপে নেয়ার সময় পূর্ণ মাত্রায় গ্রহণ করে।
03 – মুতাফ্‌ফিফীন
وَإِذَا كَالُوهُمْ أَو وَّزَنُوهُمْ يُخْسِرُونَ
এবং যখন তাদের জন্য মেপে অথবা ওজন করে দেয় তখন কম দেয়।
04 – মুতাফ্‌ফিফীন
أَلَا يَظُنُّ أُوۡلَٰٓئِكَ أَنَّهُم مَّبْعُوثُونَ
তারা কি চিন্তা করেনা যে, তারা পুনরুত্থিত হবে,
05 – মুতাফ্‌ফিফীন
لِيَوْمٍ عَظِيمٍ
সেই মহান দিনে;
06 – মুতাফ্‌ফিফীন
يَوْمَ يَقُومُ ٱلنَّاسُ لِرَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ
যে দিন দাঁড়াবে সমস্ত মানুষ জগতসমূহের রবের সম্মুখে!
07 – মুতাফ্‌ফিফীন
كَلَّآ إِنَّ كِتَٰبَ ٱلْفُجَّارِ لَفِى سِجِّينٍ
না, না, কখনই না; পাপাচারীদের ‘আমলনামা নিশ্চয়ই সিজ্জীনে থাকে;
08 – মুতাফ্‌ফিফীন
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا سِجِّينٌ
সিজ্জীন কি তা কি তুমি জান?
09 – মুতাফ্‌ফিফীন
كِتَٰبٌ مَّرْقُومٌ
ওটা হচ্ছে লিখিত পুস্তক।
10 – মুতাফ্‌ফিফীন
وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
সেদিন মন্দ পরিণাম হবে মিথ্যাচারীদের –
11 – মুতাফ্‌ফিফীন
ٱلَّذِينَ يُكَذِّبُونَ بِيَوْمِ ٱلدِّينِ
যারা কর্মফল দিনকে অস্বীকার করে,
12 – মুতাফ্‌ফিফীন
وَمَا يُكَذِّبُ بِهِۦٓ إِلَّا كُلُّ مُعْتَدٍ أَثِيمٍ
আর সীমা লংঘনকারী মহাপাপী ব্যতীত কেহই ওকে মিথ্যা বলতে পারেনা।
13 – মুতাফ্‌ফিফীন
إِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِ ءَايَٰتُنَا قَالَ أَسَٰطِيرُ ٱلْأَوَّلِينَ
তার নিকট আমার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হলে সে বলেঃ এটাতো পূরাকালীন কাহিনী।
14 – মুতাফ্‌ফিফীন
كَلَّاۖ بَلْۜ رَانَ عَلَىٰ قُلُوبِهِم مَّا كَانُواۡ يَكْسِبُونَ
না, এটা সত্য নয়, বরং তাদের কৃতকর্মের ফলেই তাদের মনের উপর মরিচা জমে গেছে।
15 – মুতাফ্‌ফিফীন
كَلَّآ إِنَّهُمْ عَن رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوبُونَ
না, অবশ্যই সেদিন তারা তাদের রবের সাক্ষাত হতে অন্তরীণ থাকবে;
16 – মুতাফ্‌ফিফীন
ثُمَّ إِنَّهُمْ لَصَالُواۡ ٱلْجَحِيمِ
অনন্তর নিশ্চয়ই তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে;
17 – মুতাফ্‌ফিফীন
ثُمَّ يُقَالُ هَٰذَا ٱلَّذِى كُنتُم بِهِۦ تُكَذِّبُونَ
অতঃপর বলা হবেঃ এটাই তা যা তোমরা অস্বীকার করতে।
18 – মুতাফ্‌ফিফীন
كَلَّآ إِنَّ كِتَٰبَ ٱلْأَبْرَارِ لَفِى عِلِّيِّينَ
অবশ্যই পুণ্যবানদের ‘আমলনামা ইল্লিয়্যীনে থাকবে,
19 – মুতাফ্‌ফিফীন
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا عِلِّيُّونَ
ইল্লিয়্যীন কি তা কি তুমি জান?
20 – মুতাফ্‌ফিফীন
كِتَٰبٌ مَّرْقُومٌ
(তা হচ্ছে) লিখিত পুস্তক।
21 – মুতাফ্‌ফিফীন
يَشْهَدُهُ ٱلْمُقَرَّبُونَ
আল্লাহর সান্নিধ্য প্রাপ্তরা ওটা প্রত্যক্ষ করবে।
22 – মুতাফ্‌ফিফীন
إِنَّ ٱلْأَبْرَارَ لَفِى نَعِيمٍ
সৎ আমলকারীতো থাকবে পরম স্বাচ্ছন্দ্যে।
23 – মুতাফ্‌ফিফীন
عَلَى ٱلْأَرَآئِكِ يَنظُرُونَ
তারা সুসজ্জিত আসনে বসে অবলোকন করবে।
24 – মুতাফ্‌ফিফীন
تَعْرِفُ فِى وُجُوهِهِمْ نَضْرَةَ ٱلنَّعِيمِ
তুমি তাদের মুখমন্ডলে স্বাচ্ছন্দ্যের দীপ্তি দেখতে পাবে,
25 – মুতাফ্‌ফিফীন
يُسْقَوْنَ مِن رَّحِيقٍ مَّخْتُومٍ
তাদেরকে মোহরযুক্ত বিশুদ্ধ মদিরা হতে পান করানো হবে,
26 – মুতাফ্‌ফিফীন
خِتَٰمُهُۥ مِسْكٌۚ وَفِى ذَٰلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ ٱلْمُتَنَٰفِسُونَ
ওর মোহর হচ্ছে কস্তুরীর। আর থাকে যদি কারও কোন আকাংখা বা কামনা, তাহলে তারা এরই কামনা করুক।
27 – মুতাফ্‌ফিফীন
وَمِزَاجُهُۥ مِن تَسْنِيمٍ
ওর মিশ্রণ হবে তাসনীমের।
28 – মুতাফ্‌ফিফীন
عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا ٱلْمُقَرَّبُونَ
এটি একটি প্রস্রবণ, যা হতে নৈকট্য প্রাপ্ত ব্যক্তিরা পান করে।
29 – মুতাফ্‌ফিফীন
إِنَّ ٱلَّذِينَ أَجْرَمُواۡ كَانُواۡ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواۡ يَضْحَكُونَ
অপরাধীরা মু’মিনদেরকে উপহাস করত,
30 – মুতাফ্‌ফিফীন
وَإِذَا مَرُّواۡ بِهِمْ يَتَغَامَزُونَ
এবং তারা যখন মু’মিনদের নিকট দিয়ে যেত তখন,
31 – মুতাফ্‌ফিফীন
وَإِذَا ٱنقَلَبُوٓاۡ إِلَىٰٓ أَهْلِهِمُ ٱنقَلَبُواۡ فَكِهِينَ
এবং যখন তাদের আপনজনের নিকট ফিরে আসতো তখন তারা ফিরতো উৎফুল্ল হয়ে।
32 – মুতাফ্‌ফিফীন
وَإِذَا رَأَوْهُمْ قَالُوٓاۡ إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ لَضَآلُّونَ
এবং যখন তাদেরকে দেখত তখন বলতঃ এরাইতো পথভ্রষ্ট।
33 – মুতাফ্‌ফিফীন
وَمَآ أُرْسِلُواۡ عَلَيْهِمْ حَٰفِظِينَ
তাদেরকে তো এদের সংরক্ষকরূপে পাঠানো হয়নি!
34 – মুতাফ্‌ফিফীন
فَٱلْيَوْمَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواۡ مِنَ ٱلْكُفَّارِ يَضْحَكُونَ
আজ তাই মু’মিনগণ উপহাস করছে কাফিরদেরকে –
35 – মুতাফ্‌ফিফীন
عَلَى ٱلْأَرَآئِكِ يَنظُرُونَ
সুসজ্জিত আসন হতে তাদেরকে অবলোকন করে।
36 – মুতাফ্‌ফিফীন
هَلْ ثُوِّبَ ٱلْكُفَّارُ مَا كَانُواۡ يَفْعَلُونَ
কাফিরেরা তাদের কৃত কর্মের ফল পেলো তো?

84 নং সূরা – আল-ইনশিকাক – اَلْإِنْشِقَاق

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 25
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – ইনশিকাক
إِذَا ٱلسَّمَآءُ ٱنشَقَّتْ
যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,
02 – ইনশিকাক
وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ
এবং ওটা স্বীয় রবের আদেশ পালন করবে, আর ওকে তদুপযোগী করা হবে,
03 – ইনশিকাক
وَإِذَا ٱلْأَرْضُ مُدَّتْ
এবং পৃথিবীকে যখন সম্প্রসারিত করা হবে,
04 – ইনশিকাক
وَأَلْقَتْ مَا فِيهَا وَتَخَلَّتْ
এবং পৃথিবী তার অভ্যন্তরে যা আছে তা বাইরে নিক্ষেপ করবে ও শূন্য গর্ভ হয়ে যাবে,
05 – ইনশিকাক
وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ
এবং তার রবের আদেশ পালন করবে, আর ওকে তদুপযোগী করা হবে (তখন তোমরা পুনরুত্থিত হবেই)।
06 – ইনশিকাক
يَٰٓأَيُّهَا ٱلْإِنسَٰنُ إِنَّكَ كَادِحٌ إِلَىٰ رَبِّكَ كَدْحًا فَمُلَٰقِيهِ
হে মানবসকল! তোমরা কঠোর পরিশ্রম করতে থাক, তোমাদের আমাল অনুযায়ী তোমাদের রবের সাক্ষাত লাভ করবে, আর এটাতো অবশ্যম্ভাবি।
07 – ইনশিকাক
فَأَمَّا مَنْ أُوتِىَ كِتَٰبَهُۥ بِيَمِينِهِۦ
অতঃপর যাকে ডান হাতে তার কর্মলিপি প্রদত্ত হবে –
08 – ইনশিকাক
فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا
তার হিসাব-নিকাশতো সহজভাবে গৃহীত হবে,
09 – ইনশিকাক
وَيَنقَلِبُ إِلَىٰٓ أَهْلِهِۦ مَسْرُورًا
এবং সে তার স্বজনদের নিকট প্রফুল্ল চিত্তে ফিরে যাবে।
10 – ইনশিকাক
وَأَمَّا مَنْ أُوتِىَ كِتَٰبَهُۥ وَرَآءَ ظَهْرِهِۦ
এবং যাকে তার কর্মলিপি তার পৃষ্ঠের পশ্চাদ্ভাগে দেয়া হবে –
11 – ইনশিকাক
فَسَوْفَ يَدْعُواۡ ثُبُورًا
ফলে অচিরেই সে মৃত্যুকে আহবান করবে,
12 – ইনশিকাক
وَيَصْلَىٰ سَعِيرًا
এবং জ্বলন্ত আগুনে সে প্রবেশ করবে।
13 – ইনশিকাক
إِنَّهُۥ كَانَ فِىٓ أَهْلِهِۦ مَسْرُورًا
সে তার স্বজনদের মধ্যেতো সহর্ষে ছিল,
14 – ইনশিকাক
إِنَّهُۥ ظَنَّ أَن لَّن يَحُورَ
যেহেতু সে ভাবতো যে, সে কখনই প্রত্যাবর্তিত হবেনা।
15 – ইনশিকাক
بَلَىٰٓ إِنَّ رَبَّهُۥ كَانَ بِهِۦ بَصِيرًا
হ্যাঁ,(অবশ্যই প্রত্যাবর্তিত হবে) নিশ্চয়ই তার রাব্ব তার উপর সবিশেষ দৃষ্টি রাখেন।
16 – ইনশিকাক
فَلَآ أُقْسِمُ بِٱلشَّفَقِ
আমি শপথ করি অস্তরাগের –
17 – ইনশিকাক
وَٱلَّيْلِ وَمَا وَسَقَ
এবং রাতের, আর ওটা যা কিছুর সমাবেশ ঘটায় তার,
18 – ইনশিকাক
وَٱلْقَمَرِ إِذَا ٱتَّسَقَ
এবং শপথ চন্দ্রের যখন ওটা পরিপূর্ণ হয়,
19 – ইনশিকাক
لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَن طَبَقٍ
নিশ্চয়ই তোমরা এক স্তর হতে অন্য স্তরে আরোহণ করবে,
20 – ইনশিকাক
فَمَا لَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
সুতরাং তাদের কি হল যে, তারা বিশ্বাস স্থাপন করেনা?
21 – ইনশিকাক
وَإِذَا قُرِئَ عَلَيْهِمُ ٱلْقُرْءَانُ لَا يَسْجُدُونَ۩
এবং তাদের নিকট কুরআন পঠিত হলে তারা সাজদাহ করেনা? [সাজদাহ]
22 – ইনশিকাক
بَلِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواۡ يُكَذِّبُونَ
পরন্তু কাফিরেরাই অসত্যারোপ করে,
23 – ইনশিকাক
وَٱللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يُوعُونَ
অথচ তারা (মনে মনে) যা পোষণ করে আল্লাহ তা সবিশেষ পরিজ্ঞাত।
24 – ইনশিকাক
فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
সুতরাং তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ প্রদান কর।
25 – ইনশিকাক
إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواۡ وَعَمِلُواۡ ٱلصَّٰلِحَٰتِ لَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍۭ
যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে অবিচ্ছিন্ন পুরস্কার।

85 নং সূরা – আল-বুরূজ – اَلْبُرُوج

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 22
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – বুরূজ
وَٱلسَّمَآءِ ذَاتِ ٱلْبُرُوجِ
শপথ রাশিচক্র সমন্বিত আকাশের,
02 – বুরূজ
وَٱلْيَوْمِ ٱلْمَوْعُودِ
এবং প্রতিশ্রুত দিনের,
03 – বুরূজ
وَشَاهِدٍ وَمَشْهُودٍ
শপথ দ্রষ্টা ও দৃষ্টের।
04 – বুরূজ
قُتِلَ أَصْحَٰبُ ٱلْأُخْدُودِ
ধ্বংস হয়েছিল কুন্ডের অধিপতিরা –
05 – বুরূজ
ٱلنَّارِ ذَاتِ ٱلْوَقُودِ
ইন্ধনপূর্ণ যে কুন্ডে ছিল অগ্নি।
06 – বুরূজ
إِذْ هُمْ عَلَيْهَا قُعُودٌ
যখন তারা এর পাশে উপবিষ্ট ছিল;
07 – বুরূজ
وَهُمْ عَلَىٰ مَا يَفْعَلُونَ بِٱلْمُؤْمِنِينَ شُهُودٌ
এবং তারা মু’মিনদের সাথে যা করেছিল তা প্রত্যক্ষ করছিল।
08 – বুরূজ
وَمَا نَقَمُواۡ مِنْهُمْ إِلَّآ أَن يُؤْمِنُواۡ بِٱللَّهِ ٱلْعَزِيزِ ٱلْحَمِيدِ
তারা তাদেরকে নির্যাতন করেছিল শুধু এ কারণে যে, তারা সেই মহিমাময় পরাক্রান্ত প্রশংসাভাজন আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল।
09 – বুরূজ
ٱلَّذِى لَهُۥ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۚ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ شَهِيدٌ
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব যাঁর, আর আল্লাহ সর্ব বিষয়ে দ্রষ্টা।
10 – বুরূজ
إِنَّ ٱلَّذِينَ فَتَنُواۡ ٱلْمُؤْمِنِينَ وَٱلْمُؤْمِنَٰتِ ثُمَّ لَمْ يَتُوبُواۡ فَلَهُمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَلَهُمْ عَذَابُ ٱلْحَرِيقِ
যারা বিশ্বাসী নর নারীকে বিপদাপন্ন করেছে এবং পরে তাওবাহ করেনি, তাদের জন্য আছে জাহান্নামের শাস্তি ও দহন যন্ত্রণা (নির্ধারিত) রয়েছে।
11 – বুরূজ
إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواۡ وَعَمِلُواۡ ٱلصَّٰلِحَٰتِ لَهُمْ جَنَّٰتٌ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُۚ ذَٰلِكَ ٱلْفَوْزُ ٱلْكَبِيرُ
যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে তাদের জন্যই আছে জান্নাত, যার নিম্নে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত; এটাই সুমহান, সফলকাম।
12 – বুরূজ
إِنَّ بَطْشَ رَبِّكَ لَشَدِيدٌ
তোমার রবের শাস্তি বড়ই কঠিন।
13 – বুরূজ
إِنَّهُۥ هُوَ يُبْدِئُ وَيُعِيدُ
তিনিই অস্তিত্ব দান করেন ও পুনরাবর্তন ঘটান,
14 – বুরূজ
وَهُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلْوَدُودُ
এবং তিনি ক্ষমাশীল, প্রেমময়,
15 – বুরূজ
ذُو ٱلْعَرْشِ ٱلْمَجِيدُ
আরশের অধিপতি মহিমময়,
16 – বুরূজ
فَعَّالٌ لِّمَا يُرِيدُ
তিনি যা ইচ্ছা করেন তা’ই করে থাকেন,
17 – বুরূজ
هَلْ أَتَىٰكَ حَدِيثُ ٱلْجُنُودِ
তোমার নিকট কি পৌঁছেছে সৈন্য বাহিনীর বৃত্তান্ত –
18 – বুরূজ
فِرْعَوْنَ وَثَمُودَ
ফির‘আউন ও ছামূদের?
19 – বুরূজ
بَلِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواۡ فِى تَكْذِيبٍ
তবু কাফিরেরা মিথ্যা আরোপ করায় রত,
20 – বুরূজ
وَٱللَّهُ مِن وَرَآئِهِم مُّحِيطٌۢ
এবং আল্লাহ তাদের পরিবেষ্টন করে রয়েছেন।
21 – বুরূজ
بَلْ هُوَ قُرْءَانٌ مَّجِيدٌ
এটা কুরআন,
22 – বুরূজ
فِى لَوْحٍ مَّحْفُوظٍۭ
সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ।

86 নং সূরা – আত-তারিক – اَلطَّارِق

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 17
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – তারিক
وَٱلسَّمَآءِ وَٱلطَّارِقِ
শপথ আকাশের এবং রাতে যা আবির্ভূত হয় তার;
02 – তারিক
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا ٱلطَّارِقُ
তুমি কী জান রাতে যা আবির্ভূত হয় তা কি?
03 – তারিক
ٱلنَّجْمُ ٱلثَّاقِبُ
ওটা দীপ্তিমান নক্ষত্র!
04 – তারিক
إِن كُلُّ نَفْسٍ لَّمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ
প্রত্যেক জীবের উপরই সংরক্ষক রয়েছে।
05 – তারিক
فَلْيَنظُرِ ٱلْإِنسَٰنُ مِمَّ خُلِقَ
সুতরাং মানুষের চিন্তা করা উচিত যে, তাকে কিসের দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে।
06 – তারিক
خُلِقَ مِن مَّآءٍ دَافِقٍ
তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি হতে,
07 – তারিক
يَخْرُجُ مِنۢ بَيْنِ ٱلصُّلْبِ وَٱلتَّرَآئِبِ
এটা নির্গত হয় পৃষ্ঠদেশ ও পঞ্জরাস্থির মধ্য হতে।
08 – তারিক
إِنَّهُۥ عَلَىٰ رَجْعِهِۦ لَقَادِرٌ
নিশ্চয়ই তিনি তার পুনরাবর্তনে ক্ষমতাবান।
09 – তারিক
يَوْمَ تُبْلَى ٱلسَّرَآئِرُ
যেদিন গোপন বিষয়সমূহ পরীক্ষা করা হবে –
10 – তারিক
فَمَا لَهُۥ مِن قُوَّةٍ وَلَا نَاصِرٍ
সেদিন তার কোন ক্ষমতা থাকবেনা এবং সাহায্যকারীও না।
11 – তারিক
وَٱلسَّمَآءِ ذَاتِ ٱلرَّجْعِ
শপথ আসমানের যা ধারণ করে বৃষ্টি,
12 – তারিক
وَٱلْأَرْضِ ذَاتِ ٱلصَّدْعِ
এবং শপথ যমীনের যা বিদীর্ণ হয়,
13 – তারিক
إِنَّهُۥ لَقَوْلٌ فَصْلٌ
নিশ্চয়ই ইহা (আল কুরআন) মীমাংসাকারী বাণী,
14 – তারিক
وَمَا هُوَ بِٱلْهَزْلِ
এবং এটা নিরর্থক নয়।
15 – তারিক
إِنَّهُمْ يَكِيدُونَ كَيْدًا
তারা ভীষণ ষড়যন্ত্র করে,
16 – তারিক
وَأَكِيدُ كَيْدًا
আর আমিও ভীষণ কৌশল করি।
17 – তারিক
فَمَهِّلِ ٱلْكَٰفِرِينَ أَمْهِلْهُمْ رُوَيْدًۢا
অতএব কাফিরদেরকে অবকাশ দাও, তাদেরকে অবকাশ দাও কিছু কালের জন্য।

87 নং সূরা – আল-আ’লা – اَلْإَعْلٰى

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 19
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – আ’লা
سَبِّحِ ٱسْمَ رَبِّكَ ٱلْأَعْلَى
তুমি তোমার সুমহান রবের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।
02 – আ’লা
ٱلَّذِى خَلَقَ فَسَوَّىٰ
যিনি সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর যথাযথভাবে সমন্বিত করেছেন,
03 – আ’লা
وَٱلَّذِى قَدَّرَ فَهَدَىٰ
এবং যিনি নিয়ন্ত্রণ করেছেন, তারপর পথ দেখিয়েছেন,
04 – আ’লা
وَٱلَّذِىٓ أَخْرَجَ ٱلْمَرْعَىٰ
এবং যিনি তৃণাদী উৎপন্ন করেছেন,
05 – আ’লা
فَجَعَلَهُۥ غُثَآءً أَحْوَىٰ
পরে ওকে বিশুস্ক বিমলিন করেছেন,
06 – আ’লা
سَنُقْرِئُكَ فَلَا تَنسَىٰٓ
অচিরেই আমি তোমাকে পাঠ করাব, ফলে তুমি বিস্মৃত হবেনা –
07 – আ’লা
إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُۚ إِنَّهُۥ يَعْلَمُ ٱلْجَهْرَ وَمَا يَخْفَىٰ
আল্লাহ যা ইচ্ছা করবেন তদ্ব্যতীত, নিশ্চয়ই তিনি প্রকাশ্য ও গুপ্ত বিষয় জ্ঞাত আছেন,
08 – আ’লা
وَنُيَسِّرُكَ لِلْيُسْرَىٰ
আমি তোমার জন্য কল্যাণের পথকে সহজ করে দিব।
09 – আ’লা
فَذَكِّرْ إِن نَّفَعَتِ ٱلذِّكْرَىٰ
অতএব উপদেশ যদি ফলপ্রসু হয় তাহলে উপদেশ প্রদান কর।
10 – আ’লা
سَيَذَّكَّرُ مَن يَخْشَىٰ
যারা ভয় করে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে।
11 – আ’লা
وَيَتَجَنَّبُهَا ٱلْأَشْقَى
আর ওটা উপেক্ষা করবে সে, যে নিতান্ত হতভাগা।
12 – আ’লা
ٱلَّذِى يَصْلَى ٱلنَّارَ ٱلْكُبْرَىٰ
সে ভয়াবহ অগ্নিকুন্ডে প্রবেশ করবে।
13 – আ’লা
ثُمَّ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَىٰ
অতঃপর সে সেখানে মরবেও না, বাঁচবেও না।
14 – আ’লা
قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكَّىٰ
নিশ্চয়ই সে সাফল্য লাভ করবে যে পবিত্রতা অর্জন করে।
15 – আ’লা
وَذَكَرَ ٱسْمَ رَبِّهِۦ فَصَلَّىٰ
এবং স্বীয় রবের নাম স্মরণ করে ও সালাত আদায় করে।
16 – আ’লা
بَلْ تُؤْثِرُونَ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا
কিন্তু তোমরা পার্থিব জীবনকে পছন্দ করে থাক,
17 – আ’লা
وَٱلْءَاخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰٓ
অথচ আখিরাতের জীবনই উত্তম ও অবিনশ্বর।
18 – আ’লা
إِنَّ هَٰذَا لَفِى ٱلصُّحُفِ ٱلْأُولَىٰ
নিশ্চয়ই এটা পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে (বিদ্যমান) আছে।
19 – আ’লা
صُحُفِ إِبْرَٰهِيمَ وَمُوسَىٰ
(বিশেষতঃ) ইবরাহীম ও মূসার গ্রন্থসমূহে।

88 নং সূরা – আল-গাশিয়াহ – اَلْغَاشِيَة

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 26
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – গাশিয়াহ
هَلْ أَتَىٰكَ حَدِيثُ ٱلْغَٰشِيَةِ
তোমার কাছে কি সমাচ্ছন্নকারী সংবাদ পৌঁছেছে?
02 – গাশিয়াহ
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ خَٰشِعَةٌ
সেদিন বহু মুখমন্ডল অবনত হবে;
03 – গাশিয়াহ
عَامِلَةٌ نَّاصِبَةٌ
কর্মক্লান্ত পরিশ্রান্তভাবে;
04 – গাশিয়াহ
تَصْلَىٰ نَارًا حَامِيَةً
তারা প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে;
05 – গাশিয়াহ
تُسْقَىٰ مِنْ عَيْنٍ ءَانِيَةٍ
তাদেরকে উত্তপ্ত প্রস্রবণ হতে পান করানো হবে,
06 – গাশিয়াহ
لَّيْسَ لَهُمْ طَعَامٌ إِلَّا مِن ضَرِيعٍ
তাদের জন্য বিষাক্ত কন্টক ব্যতীত খাদ্য নেই –
07 – গাশিয়াহ
لَّا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِى مِن جُوعٍ
যা তাদেরকে পুষ্ট করবেনা এবং তাদের ক্ষুধাও নিবৃত্ত করবেনা।
08 – গাশিয়াহ
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاعِمَةٌ
বহু মুখমন্ডল হবে সেদিন আনন্দোজ্জ্বল –
09 – গাশিয়াহ
لِّسَعْيِهَا رَاضِيَةٌ
নিজেদের কর্মসাফল্যে পরিতৃপ্ত,
10 – গাশিয়াহ
فِى جَنَّةٍ عَالِيَةٍ
সমুন্নত কাননে অবস্থিতি হবে –
11 – গাশিয়াহ
لَّا تَسْمَعُ فِيهَا لَٰغِيَةً
সেখানে তারা অবান্তর বাক্য শুনবেনা।
12 – গাশিয়াহ
فِيهَا عَيْنٌ جَارِيَةٌ
সেখানে আছে প্রবহমান ঝর্ণাধারা –
13 – গাশিয়াহ
فِيهَا سُرُرٌ مَّرْفُوعَةٌ
তন্মধ্যে রয়েছে সমুচ্চ আসনসমূহ;
14 – গাশিয়াহ
وَأَكْوَابٌ مَّوْضُوعَةٌ
এবং সুরক্ষিত পান পাত্রসমূহ,
15 – গাশিয়াহ
وَنَمَارِقُ مَصْفُوفَةٌ
ও সারি সারি তাকিয়াসমূহ,
16 – গাশিয়াহ
وَزَرَابِىُّ مَبْثُوثَةٌ
এবং সম্প্রসারিত গালিচাসমূহ।
17 – গাশিয়াহ
أَفَلَا يَنظُرُونَ إِلَى ٱلْإِبِلِ كَيْفَ خُلِقَتْ
তাহলে কি তারা উষ্ট্র পালের দিকে লক্ষ্য করেনা যে, কিভাবে ওকে সৃষ্টি করা হয়েছে?
18 – গাশিয়াহ
وَإِلَى ٱلسَّمَآءِ كَيْفَ رُفِعَتْ
এবং আকাশের দিকে যে, কিভাবে ওটাকে সমুচ্চ করা হয়েছে?
19 – গাশিয়াহ
وَإِلَى ٱلْجِبَالِ كَيْفَ نُصِبَتْ
এবং পর্বতমালার দিকে যে, কিভাবে ওটা দৃঢ়ভাবে স্থাপন করা হয়েছে?
20 – গাশিয়াহ
وَإِلَى ٱلْأَرْضِ كَيْفَ سُطِحَتْ
এবং ভূতলের দিকে যে, কিভাবে ওটাকে সমতল করা হয়েছে?
21 – গাশিয়াহ
فَذَكِّرْ إِنَّمَآ أَنتَ مُذَكِّرٌ
অতএব তুমি উপদেশ দিতে থাক, তুমিতো একজন উপদেশ দাতা মাত্র।
22 – গাশিয়াহ
لَّسْتَ عَلَيْهِم بِمُصَيْطِرٍ
তুমি তাদের কর্মনিয়ন্ত্রক নও।
23 – গাশিয়াহ
إِلَّا مَن تَوَلَّىٰ وَكَفَرَ
তবে কেহ মুখ ফিরিয়ে নিলে ও কুফরী করলে –
24 – গাশিয়াহ
فَيُعَذِّبُهُ ٱللَّهُ ٱلْعَذَابَ ٱلْأَكْبَرَ
আল্লাহ তাকে কঠোর দন্ডে দন্ডিত করবেন।
25 – গাশিয়াহ
إِنَّ إِلَيْنَآ إِيَابَهُمْ
নিশ্চয়ই তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট।
26 – গাশিয়াহ
ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا حِسَابَهُم
অতঃপর আমারই নিকট তাদের হিসাব-নিকাশ (গ্রহণের ভার)।

89 নং সূরা – আল-ফাজ্‌র – اَلْفَجْر

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 30
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – ফাজ্‌র
وَٱلْفَجْرِ
শপথ ঊষার,
02 – ফাজ্‌র
وَلَيَالٍ عَشْرٍ
শপথ দশ রাতের,
03 – ফাজ্‌র
وَٱلشَّفْعِ وَٱلْوَتْرِ
শপথ জোড় ও বেজোড়ের,
04 – ফাজ্‌র
وَٱلَّيْلِ إِذَا يَسْرِ
এবং শপথ রাতের, যখন ওটা গত হতে থাকে।
05 – ফাজ্‌র
هَلْ فِى ذَٰلِكَ قَسَمٌ لِّذِى حِجْرٍ
জ্ঞানবান ব্যক্তি জন্য কি এর মধ্যে কসম করার উপাদান নেই?
06 – ফাজ্‌র
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ
তুমি কি দেখনি তোমার রাব্ব কি করেছিলেন ‘আদ বংশের –
07 – ফাজ্‌র
إِرَمَ ذَاتِ ٱلْعِمَادِ
ইরাম গোত্রের প্রতি, যারা অধিকারী ছিল সুউচ্চ প্রাসাদের?
08 – ফাজ্‌র
ٱلَّتِى لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِى ٱلْبِلَٰدِ
যার সমতুল্য অন্য কোন নগর নির্মিত হয়নি?
09 – ফাজ্‌র
وَثَمُودَ ٱلَّذِينَ جَابُواۡ ٱلصَّخْرَ بِٱلْوَادِ
এবং ছামূদের প্রতি, যারা উপত্যকার পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল?
10 – ফাজ্‌র
وَفِرْعَوْنَ ذِى ٱلْأَوْتَادِ
এবং বহু সৈন্য শিবিরের অধিপতি ফির‘আউনের প্রতি –
11 – ফাজ্‌র
ٱلَّذِينَ طَغَوْاۡ فِى ٱلْبِلَٰدِ
যারা নগরসমূহে উদ্ধতাচরণ করেছিল।
12 – ফাজ্‌র
فَأَكْثَرُواۡ فِيهَا ٱلْفَسَادَ
অতঃপর সেখানে তারা বহু বিপ্লব (সংঘটিত) করেছিল।
13 – ফাজ্‌র
فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ
সুতরাং তোমার রাব্ব তাদের উপর শাস্তির কশাঘাত হানলেন।
14 – ফাজ্‌র
إِنَّ رَبَّكَ لَبِٱلْمِرْصَادِ
নিশ্চয়ই তোমার রাব্ব সবই দেখেন ও সময়ের প্রতীক্ষায় থাকেন।
15 – ফাজ্‌র
فَأَمَّا ٱلْإِنسَٰنُ إِذَا مَا ٱبْتَلَىٰهُ رَبُّهُۥ فَأَكْرَمَهُۥ وَنَعَّمَهُۥ فَيَقُولُ رَبِّىٓ أَكْرَمَنِ
মানুষতো এমনই যে, তার রাব্ব যখন তাকে পরীক্ষা করেন, পরে তাকে সম্মানিত করেন এবং সুখ-সম্পদ দান করেন, তখন সে বলেঃ আমার রাব্ব আমাকে সম্মানিত করেছেন।
16 – ফাজ্‌র
وَأَمَّآ إِذَا مَا ٱبْتَلَىٰهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُۥ فَيَقُولُ رَبِّىٓ أَهَٰنَنِ
এবং আবার যখন তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর তার রিয্ক সংকুচিত করেন, তখন সে বলেঃ আমার রাব্ব আমাকে হীন করেছেন।
17 – ফাজ্‌র
كَلَّاۖ بَل لَّا تُكْرِمُونَ ٱلْيَتِيمَ
না, কখনই নয়। বস্তুতঃ তোমরা ইয়াতীমদেরকে সম্মান করনা।
18 – ফাজ্‌র
وَلَا تَحَٰٓضُّونَ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلْمِسْكِينِ
এবং তোমরা অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দানে পরস্পরকে উৎসাহিত করনা,
19 – ফাজ্‌র
وَتَأْكُلُونَ ٱلتُّرَاثَ أَكْلًا لَّمًّا
এবং তোমরা উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য সম্পদ সম্পূর্ণ রূপে আহার করে থাকো,
20 – ফাজ্‌র
وَتُحِبُّونَ ٱلْمَالَ حُبًّا جَمًّا
এবং তোমরা ধন-সম্পদকে অত্যধিক ভালবেসে থাক,
21 – ফাজ্‌র
كَلَّآ إِذَا دُكَّتِ ٱلْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا
এটা সংগত নয়। পৃথিবীকে যখন চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে,
22 – ফাজ্‌র
وَجَآءَ رَبُّكَ وَٱلْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا
এবং যখন তোমার রাব্ব আগমন করবেন, আর সারিবদ্ধভাবে মালাইকা/ফেরেশতাগণও সমুপস্থিত হবে –
23 – ফাজ্‌র
وَجِاۡىٓءَ يَوْمَئِذٍۭ بِجَهَنَّمَۚ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ ٱلْإِنسَٰنُ وَأَنَّىٰ لَهُ ٱلذِّكْرَىٰ
সেদিন জাহান্নামকে আনয়ন করা হবে এবং সেদিন মানুষ উপলদ্ধি করবে, কিন্তু এই উপলদ্ধি তার কি করে কাজে আসবে?
24 – ফাজ্‌র
يَقُولُ يَٰلَيْتَنِى قَدَّمْتُ لِحَيَاتِى
সে বলবেঃ হায়! আমার এ জীবনের জন্য আমি যদি কিছু অগ্রিম পাঠাতাম!
25 – ফাজ্‌র
فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُعَذِّبُ عَذَابَهُۥٓ أَحَدٌ
সেই দিন তাঁর শাস্তির মত শাস্তি কেহ দিতে পারবেনা,
26 – ফাজ্‌র
وَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُۥٓ أَحَدٌ
এবং তাঁর বন্ধনের মত বন্ধন কেহ করতে পারবেনা।
27 – ফাজ্‌র
يَٰٓأَيَّتُهَا ٱلنَّفْسُ ٱلْمُطْمَئِنَّةُ
বলা হবেঃ হে প্রশান্ত চিত্ত!
28 – ফাজ্‌র
ٱرْجِعِىٓ إِلَىٰ رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً
তুমি তোমার রবের নিকট ফিরে এসো সন্তুষ্ট ও সন্তোষ ভাজন হয়ে,
29 – ফাজ্‌র
فَٱدْخُلِى فِى عِبَٰدِى
অতঃপর তুমি আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হও,
30 – ফাজ্‌র
وَٱدْخُلِى جَنَّتِى
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।

90 নং সূরা – আল-বালাদ – اَلْبَلَد

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 20
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – বালাদ
لَآ أُقْسِمُ بِهَٰذَا ٱلْبَلَدِ
শপথ করছি এই নগরের,
02 – বালাদ
وَأَنتَ حِلٌّۢ بِهَٰذَا ٱلْبَلَدِ
আর তুমি এই নগরের বৈধ অধিকারী হবে।
03 – বালাদ
وَوَالِدٍ وَمَا وَلَدَ
শপথ জন্মদাতার এবং যা সে জন্ম দিয়েছে তার।
04 – বালাদ
لَقَدْ خَلَقْنَا ٱلْإِنسَٰنَ فِى كَبَدٍ
অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি ক্লেশের মধ্যে।
05 – বালাদ
أَيَحْسَبُ أَن لَّن يَقْدِرَ عَلَيْهِ أَحَدٌ
সে কি মনে করে যে, কখনও তার উপর কেহ ক্ষমতাবান হবেনা?
06 – বালাদ
يَقُولُ أَهْلَكْتُ مَالًا لُّبَدًا
সে বলেঃ আমি রাশি রাশি অর্থ উড়িয়ে দিয়েছি।
07 – বালাদ
أَيَحْسَبُ أَن لَّمْ يَرَهُۥٓ أَحَدٌ
সে কি ধারণা করে যে, তাকে কেহই দেখছেনা?
08 – বালাদ
أَلَمْ نَجْعَل لَّهُۥ عَيْنَيْنِ
আমি কি তার জন্য সৃষ্টি করিনি চক্ষু যুগল?
09 – বালাদ
وَلِسَانًا وَشَفَتَيْنِ
তার জিহবা ও ওষ্ঠদ্বয়?
10 – বালাদ
وَهَدَيْنَٰهُ ٱلنَّجْدَيْنِ
এবং আমি তাদেরকে দু’টি পথ দেখিয়েছি ।
11 – বালাদ
فَلَا ٱقْتَحَمَ ٱلْعَقَبَةَ
কিন্তু সে গিরিসংকটে প্রবেশ করলনা।
12 – বালাদ
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا ٱلْعَقَبَةُ
তুমি কি জান, গিরিসংকট কি?
13 – বালাদ
فَكُّ رَقَبَةٍ
এটা হচ্ছে দাসকে মুক্তি প্রদান।
14 – বালাদ
أَوْ إِطْعَٰمٌ فِى يَوْمٍ ذِى مَسْغَبَةٍ
অথবা দুর্ভিক্ষের সময় আহার্য দান –
15 – বালাদ
يَتِيمًا ذَا مَقْرَبَةٍ
পিতৃহীন আত্মীয়কে,
16 – বালাদ
أَوْ مِسْكِينًا ذَا مَتْرَبَةٍ
অথবা ধূলায় লুন্ঠিত দরিদ্রকে।
17 – বালাদ
ثُمَّ كَانَ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواۡ وَتَوَاصَوْاۡ بِٱلصَّبْرِ وَتَوَاصَوْاۡ بِٱلْمَرْحَمَةِ
অতঃপর অন্তর্ভুক্ত হওয়া মু’মিনদের এবং তাদের যারা পরস্পরকে উপদেশ দেয় ধৈর্য ধারনের ও দয়া দাক্ষিণ্যের।
18 – বালাদ
أُوۡلَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلْمَيْمَنَةِ
তারাই সৌভাগ্যশালী।
19 – বালাদ
وَٱلَّذِينَ كَفَرُواۡ بِـَٔايَٰتِنَا هُمْ أَصْحَٰبُ ٱلْمَشْـَٔمَةِ
যারা আমার নিদর্শন প্রত্যাখ্যান করেছে তারাই হতভাগ্য।
20 – বালাদ
عَلَيْهِمْ نَارٌ مُّؤْصَدَةٌۢ
তাদের উপরই অবরুদ্ধ রয়েছে প্রচন্ড আগুন।

91 নং সূরা – আশ-শাম্‌স – اَلشَّمْس

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 15
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – শাম্‌স
وَٱلشَّمْسِ وَضُحَىٰهَا
শপথ সূর্যের যখন সে আচ্ছন্ন করে,
02 – শাম্‌স
وَٱلْقَمَرِ إِذَا تَلَىٰهَا
শপথ চন্দ্রের যখন ওটা সূর্যের পর আবির্ভুত হয়।
03 – শাম্‌স
وَٱلنَّهَارِ إِذَا جَلَّىٰهَا
শপথ দিনের, যখন ওটা ওকে প্রকাশ করে।
04 – শাম্‌স
وَٱلَّيْلِ إِذَا يَغْشَىٰهَا
শপথ রাতের, যখন ওটা ওকে আচ্ছাদিত করে।
05 – শাম্‌স
وَٱلسَّمَآءِ وَمَا بَنَىٰهَا
শপথ আকাশের এবং যিনি ওটা নির্মাণ করেছেন তাঁর।
06 – শাম্‌স
وَٱلْأَرْضِ وَمَا طَحَىٰهَا
শপথ পৃথিবীর এবং যিনি ওকে বিস্তৃত করেছেন তাঁর।
07 – শাম্‌স
وَنَفْسٍ وَمَا سَوَّىٰهَا
শপথ মানুষের এবং তাঁর, যিনি তাকে সুঠাম করেছেন।
08 – শাম্‌স
فَأَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَىٰهَا
অতঃপর তাকে তার অসৎ কাজ ও তার সৎ কার্জের জ্ঞান দান করেছেন,
09 – শাম্‌স
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّىٰهَا
সে’ই সফলকাম হবে যে নিজেকে পবিত্র করবে।
10 – শাম্‌স
وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّىٰهَا
এবং সে’ই ব্যর্থ মনোরথ হবে যে নিজেকে কলুষাচ্ছন্ন করবে।
11 – শাম্‌স
كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِطَغْوَىٰهَآ
ছামূদ সম্প্রদায় অবাধ্যতা বশতঃ সত্যকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করল,
12 – শাম্‌স
إِذِ ٱنۢبَعَثَ أَشْقَىٰهَا
সুতরাং তাদের মধ্যে যে সর্বাধিক হতভাগ্য সে যখন তৎপর হয়ে উঠল –
13 – শাম্‌স
فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ ٱللَّهِ نَاقَةَ ٱللَّهِ وَسُقْيَٰهَا
তখন আল্লাহর রাসূল তাদেরকে বললঃ আল্লাহর উষ্ট্রী ও, ওকে পানি পান করানোর বিষয়ে সাবধান হও,
14 – শাম্‌স
فَكَذَّبُوهُ فَعَقَرُوهَا فَدَمْدَمَ عَلَيْهِمْ رَبُّهُم بِذَنۢبِهِمْ فَسَوَّىٰهَا
কিন্তু তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলল, অতঃপর ঐ উষ্ট্রিকে কেটে ফেলল। সুতরাং তাদের পাপের জন্য তাদের রাব্ব তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করলেন, অতঃপর তাদেরকে ভূমিসাৎ করে ফেললেন,
15 – শাম্‌স
وَلَا يَخَافُ عُقْبَٰهَا
আর তিনি ওর পরিণামকে ভয় করলেন না।

92 নং সূরা – আল-লাইল – اَلَّيْل

মাক্বী – আয়াত সংখ্যা: 21
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

01 – লাইল
وَٱلَّيْلِ إِذَا يَغْشَىٰ
শপথ রাতের যখন ওটা আচ্ছন্ন করে,
02 – লাইল
وَٱلنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّىٰ
শপথ দিনের যখন ওটা উদ্ভাসিত করে,
03 – লাইল
وَمَا خَلَقَ ٱلذَّكَرَ وَٱلْأُنثَىٰٓ
এবং শপথ নর ও নারীর যা তিনি সৃষ্টি করেছেন।
04 – লাইল
إِنَّ سَعْيَكُمْ لَشَتَّىٰ
অবশ্যই তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা বিভিন্ন মুখী,
05 – লাইল
فَأَمَّا مَنْ أَعْطَىٰ وَٱتَّقَىٰ
সুতরাং কেহ দান করলে, সংযত হলে –
06 – লাইল
وَصَدَّقَ بِٱلْحُسْنَىٰ
এবং সদ্বিষয়কে সত্যজ্ঞান করলে –
07 – লাইল
فَسَنُيَسِّرُهُۥ لِلْيُسْرَىٰ
অচিরেই আমি তার জন্য সুগম করে দিব সহজ পথ।
08 – লাইল
وَأَمَّا مَنۢ بَخِلَ وَٱسْتَغْنَىٰ
পক্ষান্তরে কেহ কার্পণ্য করলে ও নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করলে –
09 – লাইল
وَكَذَّبَ بِٱلْحُسْنَىٰ
আর যা উত্তম তা অস্বীকার করলে –
10 – লাইল
فَسَنُيَسِّرُهُۥ لِلْعُسْرَىٰ
অচিরেই তার জন্য আমি সুগম করে দিব কঠোর পরিণামের পথ –
11 – লাইল
وَمَا يُغْنِى عَنْهُ مَالُهُۥٓ إِذَا تَرَدَّىٰٓ
এবং তার সম্পদ তার কোন কাজে আসবেনা যখন সে ধ্বংস হবে।
12 – লাইল
إِنَّ عَلَيْنَا لَلْهُدَىٰ
আমার কাজতো শুধু পথ নির্দেশ করা,
13 – লাইল
وَإِنَّ لَنَا لَلْءَاخِرَةَ وَٱلْأُولَىٰ
আমিই মালিক পরলোকের ও ইহলোকের।
14 – লাইল
فَأَنذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَظَّىٰ
আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের লেলিহান আগুন হতে সতর্ক করে দিয়েছি।
15 – লাইল
لَا يَصْلَىٰهَآ إِلَّا ٱلْأَشْقَى
তাতে প্রবেশ করবে সে’ই যে নিতান্ত হতভাগা –
16 – লাইল
ٱلَّذِى كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ
যে অসত্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।
17 – লাইল
وَسَيُجَنَّبُهَا ٱلْأَتْقَى
আর ওটা হতে রক্ষা পাবে সেই পরম মুত্তাকী –
18 – লাইল
ٱلَّذِى يُؤْتِى مَالَهُۥ يَتَزَكَّىٰ
যে স্বীয় সম্পদ দান করে আত্মশুদ্ধির উদ্দেশে,
19 – লাইল
وَمَا لِأَحَدٍ عِندَهُۥ مِن نِّعْمَةٍ تُجْزَىٰٓ
এবং তার প্রতি কারও অনুগ্রহের প্রতিদান হিসাবে নয়,
20 – লাইল
إِلَّا ٱبْتِغَآءَ وَجْهِ رَبِّهِ ٱلْأَعْلَىٰ
বরং শুধু তার মহান রবের সন্তোষ লাভের প্রত্যাশায়,
21 – লাইল
وَلَسَوْفَ يَرْضَىٰ
সেতো অচিরেই সন্তোষ লাভ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

শাইখ আব্দুর রব আফ্ফান- দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ ক্লাস, বিষয়- আকিদা (শবেবরাত)-২০, তাং- ১০-৫-২০১৭
শাইখ সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী – DWT class, বিষয়- রাসূলের আনুগত্য- ১৮, তাং- ১৭-০৮-২০১৭
শাইখ সাইফুদ্দিন বেলালা মাদানী- কুরবানী-২০১৭, তাং- ১০-০৮-২০১৭
শাইখ জাকির হুসাইন- দাওয়াহ ওয়া তবলীগ ক্লাস, বিষয়- আরবী ভাষা শিক্ষা-৫, তাং- ২০-১১-২০১৬
শাইখ সাইফুদ্দিন বেলাল – DWT ক্লাস, বিষয়- যিলহজ্জ্ব মাসের ১০ দিনের আমল ও ফযিল, তাং- ১-৮-২০১৭
আহলি সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা, শাইখ সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী
© Dawah wa Tablig since 2013