কিতাবুত তাওহীদ গ্রন্থের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর সাথে তাঁর ইবাদত বন্দেগীতে অংশীদার স্থাপন করতে নিষেধ করা এবং একত্ববাদের নির্দেশ দেয়া। (সঠিক)
বাদশাহী করা।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
বালা, সুতা ও তাবীয ব্যবহার করা, কোন ধারণের শিরক?
শিরকে আকবার।
শিরকে আসগার। (সঠিক)
শিরকে খাফি।
পীর-মুরিদি কোন ধারণের শিরক?
শিরক আসগার।
শিরক আকবার। (সঠিক)
শিরক খাফি।
পীর-মুরিদি ও শিক্ষক-ছাত্র কি একই রকম?
হাঁ।
না। (সঠিক)
০
একই ব্যক্তি কি একই সাথে একাধিক পীরের মুরিদ হতে পারে?
না (সঠিক)
হাঁ।
০
একই ছাত্রের এক সাথে একাধিক শিক্ষক থাকতে পারে কি?
হাঁ। (সঠিক)
না।
০
পীর হতে হলে কি অবশ্যই কুরআন ও সহীহ হাদীস এর উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হয়?
না। (সঠিক)
হাঁ।
০
একজন দ্বীনের শিক্ষক হতে হলে কি অবশ্যই কুরআন ও সহীহ হাদীস এর উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হয়?
হাঁ। (সঠিক)
না।
০
পীরের পুত্র হলেই কি পীর হওয়া যায়?
হাঁ। (সঠিক)
না।
০
একজন দ্বীনের শিক্ষকের পুত্র কি কুরআন ও সহীহ হাদীস এর উপর যথেষ্ট জ্ঞান ছাড়া দ্বীনের শিক্ষক হতে পারে?
না। (সঠিক)
হাঁ।
০
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
পীরকে বা কোন মানুষকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য মাধ্যম হিসাবে সাব্যস্ত করার বা সুপরিশকারী হিসাবে গ্রহণ করার হুকুম কি? কুরআন মাজিদ থেকে দুইটি প্রমাণ পেশ কর। উত্তরঃ পীরকে বা কোন মানুষকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য মাধ্যম হিসাবে সাব্যস্ত করা বা সুপরিশকারী হিসাবে গ্রহণ করা শিরক আকবর। আল্লাহ বলেন وَأَنْذِرْ بِهِ ٱلَّذِينَ يَخَافُونَ أَنْ يُحْشَرُوۤاْ إِلَىٰ رَبِّهِمْ ۙ لَيْسَ لَهُمْ مِّنْ دُونِهِ ۧ وَلِىٌّ وَلَا شَفِيعٌ এর অর্থ “(কুরআন) এর মাধ্যমে তুমি ঐ সকল লোককে ভয় দেখাও যারা নিজেদের প্রভুর নিকট একত্র হওয়ার ভয়ে ভীত। তিনি ব্যতীত তাদের কোন অভিভাবক নেই, সুপারিশকারীও নেই। [সূরা আন’আমঃ ৫১] , مَنْ ذَا ٱلَّذِى يَشْفَعُ عِنْدَهُۥۤ إِلَّا بِإِذْنِهِۦ অর্থ- “কে আছে যে তাঁর (আল্লাহর) অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করবে?” [সূরা বাকারাহ- ২৫৫] । মূলত আল্লাহই তাঁর প্রীয় বান্দদের জন্য একমাত্র সুপারিশকারী। কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুবহানাহু তাআল তাঁর প্রীয় ও মোখলিস বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা তাকেঁ সুপারিস করার অনুমোতি দিয়ে সম্মানীত করবেন। কাকে ও কার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা সে সম্মানে ভুষিত করবেন এ দুনিয়তে কেহ তা জানে না। আল্লাহ হুকুম ছাড়া কেহ সে দিন সুপরিশ করতে পারবে না। মূলত আল্লাহই সবকিছু নির্ধারিত করে রেখেছেন, আর এ জ্ঞান শুধুমাত্র তাঁরই আছে অন্য কেহ তা জানে না আর আল্লাহ জানলেও তাঁকে সুপারিশকারী হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না কারণ এ সুপারিশ করার ক্ষমতা মূলত আল্লাহর। একমাত্র আল্লাহর ইবাদতই সুপারিশ লাভের উপায়। অন্য কাহারও প্রতি ইবাদত বা ভক্তি বা অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করা মহা শিরক। তাই আল্লাহ ছাড়া অন্য কাহাকেও সুপারিশকারী হিসাবে গ্রহণ করা শিরকে আকবার।
তাওহীদ সকল ইবাদতের মূল, এ সম্পর্কে কুরআন মাজিদ থেকে দুইটি আয়াত উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত বর্ননা কর। উত্তরঃ তাওহীদ সকল ইবাদতের মূল। এ সম্পর্কে কুরআন মাজিদে বেশ কয়েকটি আয়াত আছে, তার মধ্যে থেকে এখানে দুইটি আয়াত উল্লেখ করা হলো। ১। وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّالِيَعْبُدُونِ- (الذاريات) অর্থ- “আর আমি জ্বিন ও মানুষকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।” [সূরা আয্যারিয়াত- ৫৬], ২। وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍرَّسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ- (النحل) “আর আমি তোমাদের প্রত্যেক জাতির মধ্যে এ মর্মে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুত থেকে দূরে থাক।”[সূরা আন্-নাহ্ল- ৩৬]
তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদ সকল ইবাদতের মূল, এ মর্মে আল্লাহ সুবহানাহু তা’আল অনেকগুলো আয়াত নাযিল করেছেন তার মধ্যে এখানে দুইটি আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে “আমি জ্বিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি এ জন্য যে, তারা কেবল আমারই ইবাদত করবে।” এটাকে আর একটু প্রশস্ত করে বললে বলতে হয়- আল্লাহ জ্বিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এ জন্য যে, তারা সকল মিথ্যা উপাস্যকে পরিত্যাগ করে একমাত্র সত্য উপাস্য আল্লাহর উপসনা করবে। এ উক্তর বহিপ্রকাশ হয়েছে পরের আয়াতে, এখানে আল্লাহ বলেন, আল্লাহ এ দুনিয়াতে মানুষের মধ্যে প্রত্যেক জাতির প্রতি তিনি রাসূল প্রেরণ করেন এ জন্য যে তারা সকল তাগুত বা মিথ্যা উপাস্য থেকে দূরে থাকবে বা তাদেরকে ছুড়ে ফেলে দিবে বা তাদেরকে পারিত্যগ করবে এবং একমাত্র সত্য উপাস্য আল্লাহর ইবাদত করবে।
“তাওহীদ সকল ইবাদতের মূল” শিরনামে অধ্যাটি থেকে মোট কতগুলো বিষয় সম্পর্কে জানা যায়? এর থেকে যে কোন ৩ টি বিষয় উল্লেখ করে আলোচনা কর। উত্তরঃ “তাওহীদ সকল ইবাদতের মূল” শিরনামে অধ্যাটি থেকে মোট ২৪টি বিষয় জানা যায়। এ ২৪ বিষয়ের মধ্য থেকে ৩ টি বিষয় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হবে।
১। জ্বিন ও মানব জাতির সৃষ্টির রহস্যঃ
জ্বিন ও মানব জাতির সৃষ্টির রহস্যের মূলে রয়েছে তাওহীদ। এ তাওহীদের মূল কথা হচ্ছে আল্লাহর কার্যে, আল্লাহর গুণ সিফাতে ও আল্লাহর উপাসনায় কোন অংশি নাই। মানব ও জ্বীন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে শুধু এই কারণে যো তারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কোন কিছুকেই অংশি স্থীর করবে না। আর এটাই তাওহীদের মূল কথা।
২। ইবাদতের মূল তত্ত্বই হচ্ছে তাওহীদ। কারণ, এটা নিয়েই (সৃষ্টির সূচনা হতে) সর্বপ্রকার দ্বন্দ্ব ও মতভেদঃ
যেমন মানুষ ও জ্বিন জাতির সৃষ্টির মূল রহস্য তাওহীদ ঠিক তেমনি ইবাদতের মূলেও আছে তাওহীদ। তাই তাওহীদ ছাড়া কোন ইবাদত নেই। কারণ মানুষ ও জ্বিন জাতিকে সৃষ্টিই করা হয়ে সকল মিথ্যা উপস্যদেরকে অস্বীকার করে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা জন্য।
৩। যে ব্যক্তি তাওহীদ পন্থী নয় তথা তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করল না, সে কোন ইবাদতই করল না। এতে নিহিত রয়েছে আল্লাহর এ বাণীর তাৎপর্য وَلَاأَنْتُمْ عَابِدُونَ مَاأَعْبُدُ অর্থ- আমি যার ইবাদত করি, তোমরা তার ইবাদত কর নাঃ
তাওহীদ ছাড়া আল্লাহর কাছে কোন ইবাদতই ইবাদত হিসাবে গৃহিত হবে না। আল্লাহ ইচ্ছা করলে মানুষের সব কিছুই ক্ষামা করে দিতে পারেন। কিন্তু আল্লাহ পরিস্কার ভাবে বলে দিয়েছেন, যে মুশরিক অবস্থায় মারাগেল আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না। তাই তাওহীদ ছাড়া কোন ইবাদতই ইবাদত নয়।
তাওহীদ সকল পাপ মোচন করে জান্নাত প্রাপ্তি ঘটায়। এর সপক্ষ দলীল পেশ কর। উত্তরঃ হাঁ, তাওহীদ মানুষকে জান্নাতে দাখিল করে। এর প্রমাণ- আল্লাহ বলেন- الَّذِينَ آمَنُو وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ وَهُمْ مُّهْتَدُونَ- (الاَنْعام) অর্থ , যারা ঈমান আনবে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম (শিরক) এর সাথে মিশ্রিত করবে না তাঁদের জন্য রয়েছে নিরাপত্তা। তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত। [সূরা আন্’আম- ৮২], সাহাবী ইতবান বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, فَإِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَى النَّرِ مَنْ قَالَ : لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ, يَبْتَغِى بِذَلِكِ وَجْهَ اللهِ-
আল্লাহ তাআ’লা এমন ব্যক্তির উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেছে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৪২৩; সহীহ মুসলিম, হদীস নং- ৩৩, ২৬৩], সাহাবী উবাদা বিন সামিত (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন-
مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَاشَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأَنَّ عِيْسَى عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ وَالْجَنَّةُ حَقُّ وَالنَّارُ حَقُّ أَدْخَلَهُ اللهُ الْجَنَّةَ عَلَى مَا كَانَ مِنْ الْعَمَلِ-‘যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য দান করল যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরীক নেই। মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল। ঈসা (আ’লাইহিস সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তিনি তাঁর এমন এক কালিমা যা তিনি মারিয়ামে (আ’লাইহিস সাল্লাম) এর প্রতি প্রেরণ করেছেন এবং তাঁর পক্ষ থেকে প্রেরিত রুহ বা আত্মা। জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। সে ব্যক্তিকে আল্লাহতাআ’লা জান্নাত দান করবেন, তার আমল যাই হোক না কেন। [বুখারী, হাদীস নং- ২৮; মুসলিম]
”যে ব্যক্তি তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করবে সে বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে” এ উক্তির উপর প্রমাণ উপস্থাপন কর। উত্তরঃ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ كَانَ أُمَّةً قَانِتًا لِلَّهِ حَنِيفًا وَلَمْ يَكُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ- (النحل) নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন একনিষ্ঠ ভাবে আল্লাহর হুকুম পালনকারী একটি উম্মাত বিশেষ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।” [সূরা আন-নাহ্ল- ১২০], আল্লাহ আরও বলছেন, وَالَّذِينَ هُمْ بِرَبِّهِمْ لَايُشْرِكُونَ- (ابراهيم) “আর যারা তাদের রবের সাথে কোন অংশীদার সাব্যস্ত করে না” [সূর আল-মুমিনুন- ৫৯], عُرِضَتْ عَلَيَّ أَلْأُمَمُ, فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ وَمَعَهُ الرَّجُلُ وَرَّجُلَانِ وَالنَّبِيَّ لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ إِذْ رُفِعَ لِي سَوَادٌ عَظِيمٌ فَظَنَنْتُ أَنَّهُمْ أُمَّتِي فَقِيلَ لِي هَذَا مُوسَى صَلَّى عَلَيْهِ وَقَوْمُهُ وَلَكِنْ انْظُرْ إِلَى الْأُفُقِ فَنَظَرْتُ فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ لِى انْظُرْ إِلَى الْأُفُقِ الآخَرِ فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ لِي أُمَّتُكَ وَمَعَهُمْ سَبْعُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلَا عَذَابٍ ثُمَّ نَهَضَ فََدَخَلَ مَنْزِلَهُ فَخَاضَ النَّاسُ فِي فِي أُولَئِكَ الَّذِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلَا عَذَابٍ فَقَالَ بَعْضُهُمْ فَلَعَلَّهُمْ الَّذِينَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ وَقَالَ بَعَضُهُمْ فَلَعَلَّهُمْ الَّذِينَ وُلِدُوا فِي الْإِسْلَامِ وَلَمْ يُشْبِكُُوا بَاللهِ وَذَكَرُوا أَشْيَءَ فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ مَا الَّذِي تُخُوضُونَ فِيهِ فَأَخْبَرُوهُ فَقَالَ هُمْ الَّذِينَ لَا يَسْتَرْقُونَ وَلَا يَتَطَيَّرُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ فَقَامَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ فَقَالَ إِدْعُ اللهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ فَقَالَ أَنْتَ مِنْهُمْ ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ ادْعُ اللهُ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ فَقَالَ سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ – “আমার সম্মুখে সমস্ত জাতিকে উপস্থাপন করা হল। তখন আমি এমন একজন নাবীকে দেখতে পেলাম যার সাথে অল্প সংখ্যক লোক রয়েছে। এরপর আরো একজন নাবীকে দেখতে পেলাম যার সাথে মাত্র দু‘জন লোক রয়েছে। আবার একজন নাবীকে দেখতে পেলাম যার সাথে কোন লোকই নেই। ঠিক এমন সময় আমার সামনে এক বিরাট জনগোষ্ঠী পেশ করা হল। তখন আমি ভাবলাম, এরা আমার উম্মত। কিন্তু আমাকে বলা হল এরা হচ্ছে মুসা (আঃ) এবং তাঁর জাতি। এরপর আরো একটি বিরাট জনগোষ্ঠীর দিকে তাকালাম। তখন আমাকে বলা হল, এরা আপনার উম্মত। এদের মধ্যে সত্তর হাজার লোক রয়েছে যারা বিনা হিসেবে এবং বিনা আজাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ কথা বলে তিনি দরবার থেকে উঠে বাড়ির অভ্যন্তরে চলে গেলেন। এরপর লোকেরা ঐ সব ভাগ্যবান লোকদের ব্যাপারে বিতর্ক শুরু করে দিল। কেউ বলল, তারা বোধ হয় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সহচার্য লাভকারী ব্যক্তিবর্গ। আবার কেউ বলল, তারা বোধ হয় ইসলাম পরিবেশে অথবা মুসলিম মাতা-পিতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছে আর আল্লাহর সাথে তারা কাউকে শরিক করেনি। তারা এ ধরণের আরও কথা বলাবলি করল। অতঃপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের মধ্যে উপস্থিত হলে বিষয়টি তাঁকে জানানো হল। তখন তিনি বললেন, ‘তারা হচ্ছে ঐ সব লোক যারা ঝাড়-ফুক করে না। পাখি উড়িয়ে ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করে না। শরীরে সেক বা দাগ দেয় না। আর তাদের রবের উপর তারা ভরসা করে।’ এ কথা শুনে ওয়াকাশা বিন মুহসিন দাঁড়িয়ে বলল, ‘আপনি আমার জন্য দু‘আ করুন যেন আল্লাহ তা‘আলা আমাকে সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের দল ভুক্ত করে নেন। ‘তিনি বললেন আমি দুআ’ করলাম, ‘তুমি তাদের দলভুক্ত।’ অতঃপর অন্য একজন লোক দাঁড়িয়ে বলল, আল্লাহর কাছে আমার জন্যও দোয়া করুন যেন তিনি আমাকেও তাদের দলভুক্ত করে নেন। তিনি বললেন, ‘তোমার পূর্বেই ওয়াকাশা অগ্রবর্তী হয়ে গেছে।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৭৫২, ৫৭০৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২২০]
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-০৫ (২০১৯)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
কিতাবুত তাওহীদ গ্রন্থটির লিখকের নাম কি?
ইমাম শাফি রহমাহুল্লাহ।
ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ রহমাহুল্লাহ।
মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব রহমাহুল্লাহ। (সঠিক)
মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব রহমাহুল্লাহ কোন দেশের মানুষ ছিলেন?
জর্ডানের।
ইরাকের।
সৌদি আরবের। (সঠিক)
তিনি কিসের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন?
উপন্যাস লিখে।
দেশ জয় করে।
সৌদি সমাজ থেকে শিরক, বিদাত ও নানান কুসংস্কার উচ্ছেদ করে তাওহীদ ও সুন্নাত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। (সঠিক)
কিতাবুত তাওহীদ গ্রন্থে কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?
খেলাধুলা নিয়ে।
বিজ্ঞান নিয়ে।
তাওহীদ ও এর বিপরীত শিরক নিয়ে। (সঠিক)
তাওহীদের আভিধানিক অর্থ কি?
বহুত্ববাদ।
একত্ববাদ। (সঠিক)
দ্বীত্ববাদ।
তাওহীদের পারিভাষিক অর্থ কি?
আল্লাহর তথা স্রোষ্টার একত্ববাদ। (সঠিক)
স্রোষ্টার দ্বিত্ববাদ।
স্রোষ্টার তৃত্ববাদ।
তাওহীদের সংঙ্গা লিখ?
সকল মিথ্যা মাবুদ কে অস্বীকার করে একমাত্র আল্লাহর উলুহিয়্যাহ, রুবুবিয়্যাহ ও আসমাআসসিফাতে এক ও একক হিসাবে মানা। (সঠিক)
সকল ক্ষমতার উৎস জনগণের ।
সকল ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল।
সাধারণ ভাবে শিরক কত প্রকার? কি কি?
সাধারণ ভাবে শিরক ২ প্রকার। ১। শিরকে আকবার, ২। শিরকে আসগার।
সাধারণ ভাবে শিরক ৩ প্রকার। ১। কথার শিরক, ২। কানের শিরক, ৩। চোখের শিরক।
সাধারণ ভাবে শিরক চার প্রকার। ১। উঠাবসার শিরক, ২। ব্যাবসা বাণিজ্যের শিরক, ৩। দান-খয়রাতে শিরক, ৪। কামে-কাজে শিরক।
অন্যভাবে শিরক কত প্রকার ও কি কি?
অন্যভাবে শিরক তিন প্রকার। ১। শিরকে আকবার, ২। শিরকে আসগার, ৩। শিরকে খাফি বা গুপ্ত শিরক। (সঠিক)
অন্যভাবে শিরক দুই প্রকার। ১। খেলাধুলায় শিরক, ২। খাওয়াদাওয়ায় শিরক।
অন্যভাবে শিরক এক প্রকার। ১। মানুষের সাথে লেনদেনে শিরক।
শিরকে আকবার কি?
শিরকে আকবার এমন শিরক যা ইসলাম থেকে বের করে দেয়। (সঠিক)
শিরকে আকবার এমন শিরক যা ইসলাম থেকে বের করে দেয় না।
শিরকে আকবার এমন শিরক যা একটি বড় গুনাহের কাজ যা ইসলাম থেকে বের করে দেয় না।
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
শিরকে আকবার কাহকে বলে? এর দুইটি উদাহরণ লিখ। উত্তরঃ শিরকে আকবার এমন শিরক যা ইসলামের গণ্ডী থেকে বের করে দেয়। এটি হচ্ছে আল্লাহর সাথে অন্য কারো ইবাদত করা অথবা আল্লাহ ছাড়া অন্য করো জন্য ইবাদতের কিছুটা হলেও সম্পন্ন করা, অথবা ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করা। যেমন- ১। মূর্তিপূজকদের শির্ক, ২। কবর ও মৃতদের পূজাকারীদের শির্ক।
শিরকে আসগার কাহকে বলে? এর দুইটি উদাহরণ লিখ। উত্তরঃ শিরকে আসগার এমন শিরক যা ইসলামের গণ্ডী থেকে বের করে দেয় না, তবে এটি বড় গুনাহ যা পরিত্যাগ না করলে তাকে ধিরে ধিরে শিরকে আকবারের দিকে নিয়ে যায়। যেমান- ১। বালা, সুতা ও তাবীয ব্যবহার করা, ২। রিয়া বা মানুষকে প্রদর্শন করার জন্য ইবাদত করা।
শিরকে আকবার কত প্রকার ও কি কি? প্রত্যেক প্রকারে একটি করে উদাহরণ লিখ। উত্তরঃ শিরকে আকবার দুই প্রকার। ১। প্রকাশ্য শিরক, উদাহরণ- কবরওয়ালার নিকট চাওয়া, ভক্তি করা। ২। গোপন শিরক, উদাহরণ- মানাফিক বা কপটতার শিরক।
গুপ্ত শিরক বা শিরকে খাফি কাহাকে বলে? এর একটি উদাহারণ লিখ। উত্তরঃ ইবাদতে রিয়া করা বা মানুষকে প্রদর্শনের জন্য যে ইবাদত করা হয় তাকে গুপ্ত শিরক বা শিরকে খাফি বলা হয়। যেমন- মসজিদে সুন্দর ও দীর্ঘ করে সালাত আদায় করা কিন্তু আন্তরে থাকে মানুষ যেন তার এ সালত দেখে তাকে বড় ইবাদতগুজার মনে করে।
তাওহীদুর রুবুবিয়্যা কাহাকে বলে? একটি উদাহরণ দাও। উত্তরঃ তাওহীদুর রুবুবিয়্যা হচ্ছে- আল্লাহকে তাঁর কার্যাবলীতে এক ও অদ্বিতীয় বলে মেনে নেওয়া। উদাহরণ- আল্লাহ মানুষসহ সব কিছুর স্রষ্টা।
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-০৪ (২০১৯)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
উসূলুদদ্বীন কিতাবটিতে লিখক দ্বীনের কয়টি জরুরী নীতিমালা উল্লেখ করেছেন?
৮ টি।
১০ টি। (সঠিক)
৭ টি।
তাওহীদের আভিধানিক অর্থ কি?
দ্বীত্ত্ববাদ।
একত্ববাদ। (সঠিক)
বহুত্ববাদ।
সুন্নাতের আভিধানিক অর্থ কি?
নিয়ম কানুন। (সঠিক)
পথ।
বিভক্তি।
ইসলামী পরিভাষায় সুন্নাত কাহাকে বলে?
আল্লাহ সুবহানাহুতা’আলা, তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মাধ্যমে আমাদেরকে যে নিয়ম কানুন প্রদান করেছেন তাকে সুন্নাত বা সুন্নাহ বলে। (সঠিক)
ইমাম আবু হানিফা আদের জন্য যে নিয়ম কানুন দিয়েগেছেন তাকে সুন্নাহ বলে।
অন্যান্য ইমামগণ যে নিয়ম কানুন দিয়েগেছেন তাকে সুন্নাহ বলে।
কাফির এর আভিধানিক অর্থ কি?
ঢেকে দেয়া। (সঠিক)
খুলে দেয়া।
প্রকাশ করা।
কাফিরে পারিভাষিক অর্থ কি?
দ্বীন ইসলামকে অস্বিকার করা। (সঠিক)
দ্বীন ইসলামকে ভাল মনে করা।
দ্বীন ইসলামকে স্বিকার করা।
ঈমানের সর্বচ্চ শাখা কি?
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা ও বিশ্বাস করা। (সঠিক)
সালাত আদায় করা।
সিয়াম পালন করা।
সালাত পরিত্যাগকারী কি কাফির?
জি, কাফির। সঠিক
না, কাফির নয়।
0
ইসলামী আকিদা বলতে কি বুঝায়?
ইসলামের মৌলিক বিষয় সমূহে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করা। (সঠিক)
পীরের উপর বিশ্বাস করা।
ওলী আওলীয়তে বিশ্বাস করা।
আকিদার প্রথম ধাপ কি?
আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক জেনে বিশ্বাস স্থাপন করা। (সঠিক)
পীর সম্পর্কে সঠিক জেনে বিশ্বাস স্থাপন করা।
ওলী আওলীয়া সম্পর্কে সঠিক জেনে বিশ্বাস স্থাপন করা।
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
উসূলুদ্দিন কিতাবে কয়টি দ্বীনের জরুরী নীতিমালা বর্ণনা করা হয়েছে। ঐ সব নীতিমালাগুলো থেকে যে কোন ৫ টি নীতিমালা লিখ। উত্তরঃ উসূলুদ্বীন কিতাবে দ্বীনের জরুরী নীতিমালা মোট ১০টি বর্ণনা করা হয়েছে। এর মধে থেকে ৫টি এখানে উল্লেখ করা হইল- ১। মহৎ লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য হারাম কোন মাধ্যম গ্রহণ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ২। ভালবাসা ও ঘৃণা শুধুমাত্র আল্লাহর ওয়াস্তেই হতে হবে। ৩। বিপর্যয় দূরীকরণ মঙ্গল অর্জনের পূর্বের কাজ। বিপর্যয় দূরীকরণ আগে তারপর মঙ্গল অর্জনের কাজ। ৪। মনুষ্য সীমিত জ্ঞান বুদ্ধিকে অসীম জ্ঞানের অধিকারী আল্লাহ প্রদত্ত কুরআন ও বিশুদ্ধ হদীসের উপর প্রাধান্য দেওয়া ধ্বংসের ভারী হাতিয়ার। ৫। দ্বীন ইসলাম শাশ্বত, সনাতন, সর্বযুগ ও সবার জন্য সংরক্ষিত এবং বাস্তবায়নযোগ্য।
তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি? উত্তরঃ তাওহীদ তিন প্রকার, ১। তাওহীদুল ঊলুহিয়্য, ২। তাওহীদুর রুবুবিয়া, ৩। তাওহীদুল আসমা আসসিফাত।
বিদাতের আভিধানিক অর্থ কি? উত্তরঃ পূর্বের কোন নমুনা ব্যতিরেকে প্রতিটি নতুন আবিস্কারকে বিদাত বলে, চাই তা দ্বীনের মাঝে হোক বা দুনিয়ার বিষয় হোক।
ঈমানের রুকুন সম্পর্কে উক্ত কিতাবে উল্লিখিত হাদীসটির অর্থ হাদীস গ্রন্থের নাম সহ উল্লেখ কর? উত্তরঃ হাদীসে জিবরীল [আঃ]। যখন তিনি নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন, আমাকে ঈমান সম্পর্কে খবর দেন। রসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেন, (ঈমান হচ্ছে) “আল্লাহ, ফেরেশতাগণ, পরকাল, কিতাব, নবী-রসূগণ, শেষ দিবস ও তকদিরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান আনবে।” [বুখারী ও মুসলিম]
বিদাতের পারিভাষিক অর্থ কি? উত্তরঃ আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় ও দ্বীন মনে করে দ্বীনের মধ্যে প্রতিটি নতুন আবিস্কার, যা শরীয়তের প্রতিদ্বন্দ্বী ও সদৃশ এবং যার আসলে বা গুণাগুনের প্রমাণে কোন বিশুদ্ধ দলিল নেই।
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-০৩ (২০১৯)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
উসূলুদদ্বীন কিতাবটিতে লিখক “কুরআন মাজিদ” এর কয়টি বৈশিষ্ট উল্লেখ করেছেন?
৮ টি।
৯ টি। (সঠিক)
১২ টি।
উসূলুদদ্বীন কিতাবটিতে লিখক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু’আলাইহি ওয়া সালালামের বিশুদ্ধ হাদীস সম্পর্কে কয়টি বৈশিষ্ট উল্লেখ করেছেন?
৯ টি।
৪ টি। (সঠিক)
৬ টি।
“আসমান ও যমিনে যা কিছু আছে সব কিছু আল্লাহ তা‘আলার, তোমার পূর্বে আমি যাদেরকে কিতাব দিয়াছিলাম তাদেরকেও আদেশ করেছিলাম এবং তোমাদেরকেও আদেশ করছি যে, তোমরা আল্লহকে ভয় কর, আর যদি তোমরা অস্বীকার কর তাহলেও আসমান ও যমিনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর, আর আল্লাহ অভাব শূন্য (সৃষ্টির অভাব পূরণের সব কিছু তাঁর আছে) প্রশংসিত।” উসূলুদদ্বীন কিতাবে এ আয়াতটি উল্লেখ করা হয়েছে, আয়াতটি কোন সূরার ও আয়াত নম্বর কত?
সূরা বাকারা, ৬০ নং আয়াত।
সূরা আল-ইমারানের, ৩০ নং আয়াত।
সূরা নিসার, ১৩১ নং আয়াত। (সঠিক)
উসূলুদদ্বীন কিতাবে লিখক তাকওয়া সম্পর্কে কুরআন মাজিদ থেকে কয়টি আয়াত উল্লেখ করেছেন?
২ টি।
৫ টি।
৮ টি। (সঠিক)
উসূলুদদ্বীন কিতাবে লিখক আখিরাত সম্পর্কে কুরআন মাজিদ থেকে কয়টি আয়াত উল্লেখ করেছেন?
১০ টি আয়াত।
১৩ টি আয়াত। (সঠিক)
৫ টি আয়াত।
‘অন্যায় কর্ম দেখলে’ যে কর্ম দূর্বল ঈমানের পরিচয় বহন করে তা কোনটি?
সামর্থ থাকলে তা হাত দ্বারা প্রতিরোধ করা।
সামর্থ থাকলে তা মুখ দিয়ে প্রতিরোধ করা।
আর সামর্থ থাকার পরও তা হস্ত বা মুখ দ্বারা প্রতিরোধ না করে কেবল অন্তর দ্বারা ঘৃণা করা। (সঠিক)
ঈমানের শাখ-প্রশাখার মধ্যে সর্বনিম্ন শাখা কি?
পাড়া প্রতিবেশিদের দান করা।
রমজান মাসে সিয়াম পালন করা।
রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেয়া। (সঠিক)
নবুয়াত ও রিসালত সম্পর্কে উসূলুদদ্বীন কিতাবে কুরআন মাজিদ থেকে কয়টি আয়াত দ্বারা উদারহণ পেশ করা হয়েছে?
৫ টি।
৮ টি। (সঠিক)
১০ টি।
তাকওয়া সম্পর্কে উসূলুদ্দিন কিতাবে কয়টি আয়াত কুরআন মাজিদ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে?
৩ টি।
৫ টি।
৮ টি। (সঠিক)
আখিরাত সম্পর্কে উসূলুদ্দিন কিতাবে কুরআন মাজিদ থেকে কয়টি আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে?
৫ টি।
১০ টি।
১৩ টি। (সঠিক)
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
উসূলুদ্দিন কিতাবে ঈমানের শাখা-প্রশাখ সম্পর্কে হাদীস গ্রন্থ মুসলিম থেকে যে হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে তার অর্থ লিখ। উত্তরঃ “আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “ঈমানের ৭৩ বা ৬৩ টির বেশী শাখা-প্রশাখা রয়েছে। এর সর্বোচ্চটি হলো- লা- ইলা- হা ইল্লাল্লা- হা আর সর্বনিম্ন হলো, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেওয়া এবং লজ্জাকারাও ঈমানের একটি অঙ্গ।”
উসূলুদদ্বীন কিতাবে ঈমানের রুকন সম্পর্কিত কুরআন মাজিদের দুইটি আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। সে দুইটি আয়াতের অর্থ, সূরার নাম ও আয়াত নম্বর সহ লিখ। উত্তরঃ ১। তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল পূর্ব বা পশ্চিম দিকে করবে তাতে পুণ্য নেই, বরং পুণ্য হলো, যে ব্যক্তি আল্লাহ, পরকাল, ফিরিস্তাগণ, কিতাব ও নবীগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে।” [সূরা বাকারা- ১৭৭] ২। “আমি সবকিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধরিত পরিমাপে।” [সূরা কামার- ৪৯]
ঈমানের রুকন কয়টি ও কি কি? উত্তরঃ ঈমানের রোকন ৬টি যথা- আল্লাহর প্রতি এবং তাঁর ফিরিস্তাগণ, কিতাবসমূহ, নবীরসূলগণ, শেষ দিবস ও তাকদিরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান আনা।
ঈমানের রুকুন সম্পর্কে উক্ত কিতাবে উল্লিখিত হাদীসটির অর্থ হাদীস গ্রন্থের নাম সহ উল্লেখ কর? উত্তরঃ হাদীসে জিবরীল [আঃ]। যখন তিনি নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন, আমাকে ঈমান সম্পর্কে খবর দেন। রসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেন, (ঈমান হচ্ছে) “আল্লাহ, ফেরেশতাগণ, পরকাল, কিতাব, নবী-রসূগণ, শেষ দিবস ও তকদিরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান আনবে।” [বুখারী ও মুসলিম]
উসূলুদ্দিন কিতাবে নিফাকে ইতিকাদী সম্পর্কে কুরআন মাজিদ থেকে যে কয়টি আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্য ধেতে যে কোন একটি আয়াতের অর্থ সূরার নাম ও নম্বর সহ লিখ? উত্তরঃ “নিঃসন্দেহে মোনাফেকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে। আর তোমরা তাদের কোন সাহায্যকারী কখনও পাবে না।” [সূরা নিসা- ১৪৫]
দাওয়াহ ওয়া তাবলীগ কুইজ প্রতিযোগিতা-০২ (২০১৯)
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :: Short Question
কুরআন মাজিদের মোট সূরা সংখ্যা কয়টি?
১২০ টি।
১১৪ টি। (সঠিক)
১১৫ টি।
কুরআন মাজিদের মোট মক্কায় নাযিল হওয়া সূরা সংখ্যা কয়টি?
২৮ টি।
৮৬ টি। (সঠিক)
২৭ টি।
কুরআন মাজিদের মোট মদিনায় নাযিল হওয়া সূরা সংখ্যা কয়টি?
৮১ টি।
৮৬ টি।
২৮ টি। (সঠিক)
কুরআন মাজিদে মোট নির্দেশের আয়াত সংখ্যা কয়টি?
১০০ টি।
৫০০ টি।
১০০০ টি। (সঠিক)
কুরআন মাজিদে মোট নিষেধের আয়াত সংখ্যা কয়টি?
২০০০ টি।
১০০০। (সঠিক)
৫০০ টি।
ঈমানের শাখ-প্রশাখার মধ্যে সর্বোচ্চ শাখা কি?
সালাত আদায় করা।
রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেয়া।
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। (সঠিক)
ঈমানের শাখ-প্রশাখার মধ্যে সর্বনিম্ন শাখা কি?
পাড়া প্রতিবেশিদের দান করা।
রমজান মাসে সিয়াম পালন করা।
রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেয়া। (সঠিক)
কুরআন ও সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে ঈমানে রোকন কয়টি?
৫ টি।
৬ টি। (সঠিক)
৭ টি।
কুরআন মাজিদে মোট দোয়ার আয়াত সংখ্যা কয়টি?
১০০০ টি।
৫০০ টি।
১০০ টি। (সঠিক)
নিফাক কয় প্রকার?
৫ প্রকার।
৩ প্রকার।
২ প্রকার। (সঠিক)
বর্ণনা মূলক প্রশ্ন :: Broad Questions
নিফাক কাহাকে বলে? উত্তরঃ অন্তরের ভিতরে কুফুরি লুকিয়ে রেখে বাহিরে ইসলাম প্রকাশ করাকে নিফাক বলে।
নিফাক মূলত কয় প্রকার ও কি কি? উত্তরঃ নিফাক মূল দুই প্রকার। এক- নিফাক এতেকাদী, দুই- নিফাক আমলী।
নিফাক এতেকাদী কাহাকে বলে ও এর লক্ষণগুলো কি কি? উত্তরঃ তথা আকীদা (বিশ্বাসে) নেফাকি, একে বড় নেফাকি বলে। বড় মোনাফেক ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায় এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নামের অতল তলে। এর লক্ষণ সমূহ- রসূলুল্লাহ (সাঃ) কে মিথ্যা মনে করা, রসূলুল্লাহ (সাঃ) আনিত বিধানের কিছুকে মিথ্যা মনে করা, রসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর প্রতি বিদ্বেষ মনের মধ্যে পোষণ করা, রসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর আনীত কোন বিধানের প্রতি বিদ্বেষ মনের মধ্যে পোষণ করা, রসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর দ্বীনের পরাজয়ে আনন্দ পাওয়া, রসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর দ্বীনের বিজয়কে মনে মনে ঘৃণা করা।
নিফাক আমলী কাহাকে বলে? উত্তরঃ কর্মে নেফাকিকে আমলী নিফাক বা ছোট নিফাক বলে। ইহা অন্তরে ঈমান থাকার পরেও কাজে-কর্মে মোনাফিকের আমল করা। এ ধরনের নেফাকি ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয় না। তবে মোনাফিক হওয়ার জন্য এক মাধ্যম। এ নেফাক ঈমানের সঙ্গে থাকতে পারে। কিন্তু যখন ছোট নেফাকি প্রকট আকার ধারণ করে তখন বড় মোনাফিক হয়ে যায়।
তাওহীদ কয় প্রকার ও কি কি? উত্তরঃ তাওহীদ তিন প্রকার। ১। তাওহীদুর রবূবিয়্যাহ। ২। তাওহীদুল আসমা ওয়াসস্বিফা-ত। ৩। তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ।